#কাজললতা
#লেখিকা_ইভা_আক্তার
#পর্ব_২০
———————————————————————————–
সুহাসিনী আপুর প্রফাইলোর নিচে গিয়ে দেখলাম সেখানে ইফতি ভাইয়া আর সুহাসিনী আপুর বেশ কিছু সেলফি রয়েছে। সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছি ইফতি ভাইয়া মোবাইল নিয়ে যখন সুহাসিনী আপু আর নিজের সেলফি তুলছিলো।অথচ সবাই আমাকে বলেছে যে ইফতি ভাইয়া নাকি সুহাসিনী আপুকে দুচোখে সহ্য করতে পারে না। হটাৎ করে মেসেন্জারে সুহাসিনী আপু কল দিতেই খুব কষ্টে নিজের রাগকে কনট্রল করে কলটা রিসিভ করলাম।
– কেমন আছো ইভা?
– কেনো কল করেছেন? আর কেনোই বা আমাকে ফ্রেন্ড রিকয়েস্ট দিয়েছেন?
– আরে আরে এতো রাগ করছো কেনো? বুঝতে পেরেছি ইফতি আর আমার ছবিগুলো দেখে রেগে গেছো তাই না? আসলে সত্যিটা কি ইফতি যতই সবাইকে বলুক না কেনো আমাকে ও দেখতে পারে না তবে সত্যি হচ্ছে ওর মনে আমার জন্য একটু হলেও ভালোবাসার অনুভূতি রয়েছে। নাহলে কেনো আমার সাথে সেলফি তুলবে বলো তো?
– আমি কিন্তু আপনার কাছে এসব জানতে চাই নি। আর ইফতি ভাইয়া আপনাকে ভালোবাসুক বা না বাসুক তাতে আমার কোনো যায় আসে না।
– হুম তা ঠিক। কেননা তুমি একজন সামান্য স্টুডেন্ট। কখনো কি ডাকার মধ্যে সেরা স্টুডেন্ট হয়েছো? হও নি তো? আমি হয়েছি। একারণের ইফতির সাথে আমার বেশ মানায়।
সুহাসিনী আওুর কথাগুলো শুনে রাগে দুঃখে নিজের কান্নাকে খুব কষ্টে চেপে ধরে রেখেছি।
– আচ্ছা বাদ দাও এসব। খুব শিগ্রয়ই দেখবে আমাকে তুমি তোমার ভাবি রূপে দেখতে পাবে বুঝেছো?
সুহাসিনী আপু কথাটা বলে একটা অট্র হসি দিয়ে কলটা রেখে দিতেই আমি মোবাইলটা খাটের উপর জোড়ে মারলাম। ফ্লোরে বসে চিৎকার করে কাদঁতে লাগলাম,
– কেনো আমার সাথে সবাই এমন করে? কেনো আমাকে সবাই ধোকা দেয়? কি ক্ষতি করেছি আমি? আমার কি নিজের ইচ্ছের কোনো মূল্য নেই?
আমার চিৎকার আর কান্নায় বাড়ির সকলে দৌড়ে রুমে চলে এলো।
– কি হয়েছে মা? কে কি বলেছে বল? আমি এক্ষুনি তাকে গিয়ে শাস্তির আওতায় আনবো (বাবা)
– ইভা কি হয়েছে এভাবে কাদঁছিস কেন? বল আমায় মা (আম্মু)
– বারবার আমার সাথেই সবাই কেনো প্রতারণা করে বলো না?
– কে প্রতারণা করেছে তোর সাথে? বল আমায় মা (বাবা)
বাবার কথায় চোখ মেলে তাকাতেই রুমের দরজার সামনে ইফতি ভাইয়াকে দেখতে পেলাম। ইফতি ভাইয়া অসহায় চেহারা নিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। সাথে সাথে উঠে দাঁড়িয়ে চোখে পানি মুছেই সকলকে বললাম,
– দয়া করে তোমরা আমার রুমের থেকে চলে যাও। আমাকে একটু একা থাকতে দাও প্লিজ।
– কিন্তু মা তুই,, (আম্মু)
– প্লিজ আম্মু যাও তোমরা।
আমার চিৎকারের কাছে বাবা আর মা হার মেনে রুম থেকে চলে গেলো কিন্তু যাওয়ার আগে বাবা ইফতি ভাইয়ার কানে কিছু একটা বলতেই ইফতি ভাইয়া বললো,
– চিন্তা করো না আমি দেখছি।
সকলে চলে যেতেই ইফতি ভাইয়া রুমের দরজা আটকে দিলো।
– কি করছে তুমি? রুমের দরজা কেনো আটকে দিলে? চলে যাও এখান থেকে। আমি তোমার মুখ দেখতে চাই না।
– কি হয়েছে ইভা? এতো রেগে কেবো আছিস বল আমায়?
– তোমার বলার মতো তেমন কিছুই আমার কাছে নেই। চলে যাও।
আমার কথায় পাত্তা না দিয়ে ইফতি ভাইয়া আমার কাছে এগোতেই কোনো উপায় না পেয়ো দৌড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিলাম। মুখে কিছুটা পানি দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক করে রুমে আসতেই দেখলাম ইফতি ভাইয়া এখনো রুমের বিছানায় বসে আছে। ইফতি ভাইয়ার হাতে আমার মোবাইল। আমাকে দেখে ইফতি ভাইয়া দাঁড়িয়ে আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে রুনে থেকে বের হয়ে গেলো। ইফতি ভাইয়ার মুখে কঠিন রাগের ছাপ। ইফতি ভাইয়া আমার হাত ধরে রুমের বাইরে আনতেই বাবা বললো,
– কি হয়েছে ইফতি?
– কিছুই না মেঝো চাচ্চু। শুধুমাত্র সত্য আর মিথ্যার ফয়সালা করতে যাচ্ছি।
কথাগুলো বলেই ইফতি ভাইয়া আমার হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসলো। ইফতি ভাইয়াকে আমাকে বাইকে উঠতে বললেই আমি উঠতেই বাইক স্টার্ট দিলো। বাইক এসে থামলো ইফতি ভাইয়ার মেডিকেলের সামনে। বাইক নামিয়ে ইফতি ভাইয়া আমার হাত ধরে মেডিকেলের ভেতর নিয়ে গেলো। আশেপাশে তেমন কোনো স্টুডেন্টকে দেখা যাচ্ছিল না। সামনে তাকাতেই দেখলাম সুহাসিনী আপু তার বন্ধুদের নিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলো। আমাকে আর ইফতি ভাইয়াকে দেখে একটু কাছে আসতেই ইফতি ভাইয়া গিয়ে ঠাস করে সুহাসিনী আপুর গালে চর মেরে দিলো। ইফতি ভাইয়ার এমন কাজে আশেপাশে থাকা সকল মেডিকেল স্টুডেন্টরা হতবাক হয়ে গেলো। আর এদিকে আমি হা করে মুখ চেপে তাকিয়ে রইলাম। পেছনে থেকে কেউ একজন চিৎকার করে ডাকলো।
– ইফতি
পেছনে একজন সুট-প্যান্ট এবং আইডি কার্ড পড়া লোক চিৎকার করে ইফতি ভাইয়াকে ডাকলো।
– মাফ করবেন স্যার। আপনার মেয়েকে এভাবে চর মারার জন্য আমি সত্যি দুঃখিত। আপনি ভালো করেই জানেন আজ পর্যন্ত আমি কোনো মেয়ের গায়ে হাত তোলা তো দূরের কথা কখনো কথাও বলি নি। তাহলে আজ কেনে সুহাসিনীর গায়ে হাত দিলাম সেটা নাহয় ওকেই জিজ্ঞেস করুন।
ইফতি ভাইয়ার কথায় বুঝতে পারলাম লোকটি সুহাসিনী আপুর বাবা অর্থাৎ মেডিকেলের প্রফেসর। সুহাসিনী আপুর বাবা তার দিকে তাকিয়ে অবাক চাহনিতে বললো,
– তুমি এমন কি করেছো সুহাসিনী যে ইফতি তোমার গায়ে হাত তুললো?
সুহাসিনী আপু চুপচাপ ঠায় হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।
– সুহাসিনী সত্যিটা বলবে না স্যার। আমি বলছি। সুহাসিনী তার ফেক আইডিতে আমার আর ওর ছবি আপলোড করে কেপশন দিয়েছে “my Love’, ‘My Hubby’. আপনি জানেন স্যার? এসব ছবি যদি আমার পরিচিত কোনো লোক দেখতো অথবা বন্ধুদের মধ্যে বা মেডিকেলের কোনো স্টুডেন্ট দেখতো তাহলে কি হতে পারতো?
ইফতি ভাইয়ার কথায় সুহাসিনী আপুর বাবা চুপ হয়ে গেলেন। সুহাসিনী আপুর দিকে তাকিয়ে বললেন,
– ইফতি যা যা বলছে তা কি সত্যি?
সুহাসিনী আপু এখোনো চুপ করে আছে। তার চোখে অশ্রু টলমল করছিলো।
– ভালো করে শুনে রাখো সুহাসিনী। তুমি শুধুমাত্রই আমার ক্লাসমেট। নয়তো ফ্রেন্ড নয়তো অন্য কেউ। দিন দিম তোমার পাগলামি আরো জঘন্য ধরণের রূপ নিচ্ছিলো। লাস্ট পরীক্ষায় আমি হাইস্ট নম্বর পাওয়ায় সকলে কনগ্রেচুলেশন জানাচ্ছিল। তখন তুমি রিকোয়েস্ট করেছিলে যেনো তোমার সাথে সেলফি তুলি। তাই বাধ্য হয়ে তুলেছিলাম। কিন্তু কখনো ভাবি নি সামান্য কয়েকটা ছবি দিয়ে তুমি এতো বাজে আর মিথ্যা কাজ করে যাবে। শেষ বারের মতো বলে দিচ্ছি। আর কখনোই যেনো তোমাকে আমার আর ইভার আশেপাশেও না দেখি। তাহলে এর থেকে ভয়ংকর রূপ তুমি আমার দেখতে পাবে।
—————————————————————————————-
মানুষের জীবন খুবই অদ্ভুত। তাদের জীবনের প্রতিটা লড়াইয়ে নিজেদের শক্ত হতে হয় তবুও কেনো জানি না সবসময় অন্যের ইশারায় তারা ভেঙে পড়ে যায়। ছোটোখাটো একটা পার্কের বেঞ্চিতে আমি আর ইফতি ভাইয়া বসে আছি। আমার নজর সম্পূর্ণ সামনে থাকা বাচ্চাদের উপর থাকলেও ইফতি ভাইয়া সেই কখন থেকেই এক নজরে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
– কি হয়েছে ইভা কথা বলছিস না কেনো?
– কিছু না। এমনিই
– এমনি বললেই হবে নাকি? এখনো কি আমাকে বিশ্বাস করিস নি?
ইফতি ভাইয়ার কথায় হুট করে দাঁড়িয়ে গেলাম। আমার এমন কাজে ইফতি ভাইয়া দাঁড়িয়ে বললো,
– কি হয়েছে? ঠিক আছিস?
– ভেনিলা আইসক্রিম খাবো।
আমার কথা শুনে ইফতি ভাইয়া সামনে তাকিয়ে দেখে সামনে একজন লোক আইসক্রিম নিয়ে যাচ্ছে। ইফতি ভাইয়া আমার এক হাত ধরে বললো,
– যেটা ইচ্ছা সেই আইসক্রিম খাবি।
————————————————————————————
দেখতে দেখতে আরো দুটো বছর জীবন থেকে চলে গেলো। ইফতি ভাইয়া এখন একজন সফল ডাক্তার। চারিদিকে ইফতি ভাইয়ার বেশ ডাক নাম রয়েছে। ইফতি ভাইয়ার মতো সুহাসিনী আপু আর শুভও নাকি বেশ নামি দামি ডাক্তার হয়েছে। আমি আর ইলমা এইচএসসিতে অসাধারণ রেজাল্ট করায় ইফতি ভাইয়ার মেডিকেলেই চান্স পেলাম। মেডিকেলে ভর্তির সময় সকল লাস্ট ইয়ার মেডিকেল স্টুডেন্টদের নিয়ে একটা ফাংশন হয়েছিলো যেখানে সকল স্টুডেন্টরা বক্তৃতা দিয়েছিলো। সেদিন শুভ কিছুক্ষণ পর পর আমার দিকে তাকালেও আমি নিজের দৃষ্টি সম্পূর্ণ অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম।
গত দুটো বছর ইফতি ভাইয়ার জন্মদিন সিলেব্রেট করতে চাইলেও ইফতি ভাইয়া তার পড়াশোনার জন্য সম্পূর্ণ নিষেধ করে দেয়। কিন্তু এবার আমরা সকলেই ঠিক করেছি ইফতি ভাইয়ার জন্মদিন খুব বড় করে সিলেব্রেট করবো। সেই অনুযায়ী চলছে সকল তোরজোর। কিছুক্ষণ আগেই ইফতি ভাইয়া আমার কানে কানে বলে গেছে আজ রাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সকলকে ইফতি ভাইয়া আমাদের ভালোবাসার কথা জানাবে। ইলমা, নাহিল ভাইয়া আর ছোটো চাচ্চু আমাদের রিলেশনের সম্পর্কে সবকিছু জানে। মূলত কথাটা ইফতি ভাইয়াই তাদের তিনজনকে জানিয়েছিল। কিন্তু আমার সকল ভয় বাবাকে আর বর চাচ্চুকে নিয়ে। তারা কি পরিবারের মধ্যে বিয়ের সম্পর্কটা কখনোই মেনে নেবে?
সকলে ইফতি ভাইয়ার বাসায় থাকলেও একমাত্র আমিই পড়ে রয়েছি আমাদের বাসায়। নিজেদের হাতে কেক বানিয়ে সন্ধ্যায় ইফতি ভাইয়ূকে আলাদা করে বার্থডে উইস করবো বলে ঠিক করেছি। ইফতি ভাইয়ার দেওয়া সেই প্রথম নীল শাড়ি, নীল রঙের কাচের চুড়ি এবং খোলা চুলে হাতে কেক নিয়ে ইফতি ভাইয়ার বাড়ির দিকে রওনা হলাম। আর সমস্যাটা শুরু হলো ঠিক সেখানেই। ইফতি ভাইয়ার বাড়ির সামনপ পৌঁছতেই কালো মাস্ক পড়া একজন লোক আমার পথ আটকালো। তাকে দেখে ভয় পেয়ে ধাক্কা মেরে চলে যেতেই লোকটি আমার মুখে কিছু একটা স্প্রে করায় আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেললাম এবং সাথে সাথে আমার হাতে থাকা কেকটা নিচে পড়ে গেলো।
———————————————————————————–
জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে একটা অন্ধকার গোডাউনে দেখতে পেলাম। উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতেই দেখলাম আমার দুই হাত চেয়ারের হাতলের সাথে বাঁধা আর দুই পা টাও চেয়ারের সাথে বাঁধা রয়েছে। চিৎকার করতে গেলেই বুঝতে পারলাম কেউ একজন আমার মুখে রুমাল বেধে দিয়েছে। ভয়ে আমার আত্মা শুকিয়ে যাচ্ছিল। কে এনেছে আমাকে এখানে? আর কেনোই বা নিয়ে এসেছে? এসব ভাবতে ভাবতেই কারো একজনের আসার উপস্থিতি টের পেতেই সামনে তাকিয়ে দেখলাম কারো একজনের কালো ছায়া। ছায়াটা যে একজন মেয়ের তা খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলাম। ছায়াটা আমার সামনাসামনি আসতেই মাথা তুলে উপরে তাকিয়ে দেখি ছায়াটা হচ্ছে সুহাসিনী আপুর। সুহাসিনী আপুকে দেখে আমার চোখ কপালে উঠে গেলো।
– তো কেমন লাগছে ইভা? ইনজয় করছো তো?
– কেনো নিয়ে এসেছেন আমাকে এখানে? কি করেছি আমি?
আমার কথা মনে হয় সুহাসিনী আপুর কাছে খুব মজার মনে হলো। আমার কথা শুনে সুহাসিনী আপু অট্ট হাসিতে ফেটে উঠলো।
– কি ভেবেছিলে তুমি? ২টা বছর তোমার আর ইফতির থেকে আমি দূরে থেকেছিলাম বলে সত্যি ইফতি কে আমি ভুলে গেছি? না কখনোই না। ইফতি আমার। ও শুধুই তোমার মোহে আটকে গেছে। আমি ওকে যকোনো মূল্যে আমার করে নেবো। তোমার কারণে ইফতি সকল মানুষের সামনে আমায় চর মেরেছিলো। শুধুমাত্র তোমার জন্য। আর এতো সহজে তোমাকে মাফ করে দেব ভেবেছিলে? কখনোই না।
কথাটা বলেই সুহাসিনী আপু আবার হেসে দিলো। সুহাসিনী আপুর হাসিতে রাগে আমার গা জ্বলে উঠছিলো। চিৎকার করে কিছু বলতে যাবো তখনই শুনতে পেলাম কারো একজনের পায়ের শব্দ। শব্দটা এদিকটায় আসছিলো। অন্ধকারের মধ্য থেকে বেরিয়ে এলো চমার সেই চিরচেন শত্রু শুভ। শুভকে দেখে আমি ভুত দেখার মতো চমকে গিয়েছি।
– কেমন আছো ইভা জান।
– তুমি? তুমি এখানে কি করছো? তারমানে এইসব কিছু তোমরা দুজনে মিলে করেছো?
– হ্যা জান। কি করবো বলো তোমাকে ছাড়া যে আমার প্রতিটা মুহুর্ত বিষাদ মনে হয়। এই দুটো বছর তোমাকে ছাড়া কিভাবে থেকেছি তা তুমিও বুঝতে পারবে না।
– ঘৃণা হচ্ছে প্রচুর। আগে তোমাকে যতটা ঘৃণা করতাম তার থেকেও বেশি ঘৃণা আমার তোমার প্রতি হচ্ছে। একটা মানুষ কতটা নিচে নামতে পারে তা হয়তো তোমাদের দুজনকে না দেখে জানতেই পারতাম না।
– আচ্ছা এখন বাদ দাও এসব। খুব শিগ্রয়ই তুমি আমার বউ হয়ে যাবে। ইভা শুধুই শুভর হয়ে যাবে বুজেছো। আগে না হয় সুহাসিনী তার কাজটা করুক। তারপর আমার কাজটাও করা যাবে।
শেষের কথাটা বলেই শুভ একটা বাঁকা হাসি দিলো। কি করতে চলেছে এরা? শুভ কি আমার সাথে খারাপ কিছু করবে নাকি? ইফতি ভাইয়া আর আমার পথচলা কি এখানেই শেষ হয়ে যাবে তাহলে?
চলবে,,,,💚
[ পাবে। ]