অলকানন্দার নির্বাসন পর্ব ১৬

0
608

#অলকানন্দার_নির্বাসন
#মম_সাহা

১৬.

দ্বৈপায়ন গ্রামে অলকানন্দার নিবিড় একটা শাসন ব্যবস্থা শুরু হয়ে গিয়েছে। অনেকে মানতে পারছে না কেউবা আবার করছে ধন্য ধন্য। অলকানন্দা নিজের বোনকে শহরের চিকিৎসালয়ে রেখেই আবার এসেছে গ্রামে। বোনের সাথে সাথে একটা পরিবার সাথে একটা গ্রামও তাকে পরিচালনা করতে হয়। তার উপর তার কাছে খবর গিয়েছে নবনীল গ্রামে নেই। কোনো একটা কারণে সে তার পিতৃালায়ে ফিরে গিয়েছে, মনোহর কিছুটা সুস্থ হতেই আবার নিজেকে হর্তাকর্তা ভাবা শুরু করে দিয়েছে। গ্রামে শুরু হয়ে গিয়েছে অরাজকতা। অবশেষে দীর্ঘ ক্লান্তি নিয়ে সে ফিরেছে গ্রামে প্রায় বেশখানিকটা দিন পরই।

গ্রামে ফিরতেই অলকানন্দার চক্ষু চড়কগাছ। কৃষকদের যেই জমি নিয়ে অলকানন্দা এত হৈচৈ করল, সাহেবদের সাথে অব্দি কত ধরণের কথা কাটাকাটি, শত্রুতা করল, এমনকি, হয়তো সেজন্যই আজ তার বোনের এই অবস্থা অথচ সেই জমিতে আজ ফসলের ছিটেফোঁটাও নেই। হেমন্ত কালে যে জমি থাকত ফসলে ভরপুর, মনে হতো যেন সোনার খনি হেতায় আজ সেই জমি ফসল শূন্য কেন! এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না। অলকানন্দার মাথা ঘুরে উঠল, নিজেকে মনে হলো দিকশূন্য। ফসলের জমি পেরিয়ে নিজেদের ‘বিহারিণী মহলের’ সামনে আসতেই অলকানন্দা আরেক দফা বিস্মিত হলো। এই ভর সন্ধ্যাবেলা তাদের মহলের সামনে এই অনাকাঙ্খিত জন সমুদ্রের ঢেউ দেখে সে হতবাক। হুট করে কী এমন হলো গ্রামে! সব এত এলোমেলো কেন! অলকানন্দার বুক মোচড় দিয়ে উঠল। অপ্রত্যাশিত কিছুর আভাস তার কানে বাজল। সে বিচলিত হয়ে গাড়ি থেকে নামতেই সকলের নজর তার দিকে এলো। তরঙ্গিণী ছুটে এলো, কিছুটা ফিসফিস করেই বলল,
“নন্দা, চলো তো ভেতরে। এখন ওদের সাথে কথা বলার দরকার নেই।”

অলকানন্দা ভ্রু কুঁচকালো। অবাক কণ্ঠে বলল,
“কী হয়েছে?”

“অনেক কিছু হয়েছে। আপাতত তোমার শুনতে হবে না, তুমি ভেতরে আসো।”

অলকানন্দা ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে নিয়েও আবার ফিরে গেল গ্রামবাসীদের দিকে। সকলের মুখ থমথমে। অলকানন্দা সকলের সামনে উপস্থিত হলো। সকলের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুঁড়ল,
“কী সমস্যা হয়েছে আপনাদের? আমাকে বলুন।”

জনসম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা সেদিনের বৃদ্ধ লোকটা থমথমে মুখ নিয়ে বলল,
“তোমার আদর্শ বিচারের জন্য কী হয়ে গিয়েছে গ্রামে তা শুনবে না?”

বৃদ্ধার থমথমে কণ্ঠের এমন প্রশ্নে কিছুটা থতমত খেলো অলকানন্দা। আমতা-আমতা করে জিজ্ঞেস করল,
“কী হয়েছে জেঠা বাবু?”

“তুমি বিচার করেছিলে তোমার দেবরের। আমি বলেছিলাম মেয়েটাকে বিয়ে দিতে তোমার দেবরের সাথে কিন্তু তুমি দিলে না। তুমি ন্যায় বিচার করবে, অপরাধীর শাস্তি দিবে, তোমার কথা-ই রইলো। অপরাধীর শাস্তি হলো। আজ অপরাধীই বেঁচে আছে আর যার সাথে অপরাধ হয়েছে সে ঝুলে আছে বৃক্ষে। কেবল সে না, তার বাপ মাসহ ঝুলে আছে। এতক্ষণে বোধহয় ন্যায় বিচার হলো, বলো? অপরাধী বেঁচে রইলো, মরলো নিরপরাধ মেয়েটা।”

অলকানন্দা কিংকর্তব্যবিমুঢ়। তার মিনিট কয়েক লাগল বৃদ্ধর কথাগুলো বুঝতো। কিন্তু যখনই তার মস্তিষ্কের নিউরণে কথা গুলো প্রতিধ্বনিত হলো ঠিক তখনই সে দু-কদম পিছিয়ে গেলো। প্রাণ শূন্য চোখে তাকাল বৃদ্ধার পানে। হতবিহ্বল কণ্ঠে বলল,
“কবে মারা গিয়েছে ওরা? কেনই বা এটা হলো?”

বৃদ্ধ লোকটির চোখে আগুনের ফুলকি, কণ্ঠে তার তেজ, সে ক্রোধ নিয়ে বলল,
“কেন হবে বুঝতে পারছ না? একটা মেয়ের জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান কী বলো? কার চরিত্র। আর মেয়েটার সে চরিত্রই লুটে নিয়েছিল তোমার দেবর, তো বাঁচবেই বা কেন ও? মেয়েটা ঘর থেকে বেরুতে পারত না, স্কুল গিয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের বিরূপ মন্তব্য মেয়েটাকে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল। আর না পেরে তিনজনই নিজেদের জীবন দিয়ে দিল গতকাল। সেদিন যদি মেয়েটার বিয়ে দিয়ে দিতে তবে আজ এমনটা হতো না। যোগ্য আসনে যোগ্য বিচারকই লাগে, খালি তেজ দিয়ে কিছু হয়না তুমি তার প্রমাণ।”

পুরো পরিবেশ জুরে থমথমে নিরবতা। কোনো শোরগোল নেই, হৈচৈ নেই। নিভু নিভু বাতাসে বাড়ির চারপাশে জ্বালানো মশাল গুলো থেমে থেমে কাঁপছে। দীর্ঘশ্বাসে ভারী হলো প্রকৃতি। অলকানন্দার চক্ষু টলমল করছে। হুট করে আবার সবটা তার হাতের বাহিরে বেরিয়ে যাচ্ছে, সবটা অন্য স্রোতে চলে যাচ্ছে। মিস্টার স্টিফেন একটা কথা ঠিকই বলেছিলেন সেদিন- ‘কেবল সাহসিকতা দিয়ে রাজনীতি করা যায় না’ আজ অলকানন্দা তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে।

ভিড়ের মধ্য থেকে আরেকটি কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, “কী করবেন এখন বউমা? মৃত দেহ গুলো এখনো গাছেই ঝুলানো আছে। কেউ ধরেনি। কী করবেন?”

এমন কথার জন্য হয়তো অলকানন্দা মোটেও প্রস্তুত ছিল না। গতকাল যারা মারা গিয়েছে আজও তাদের মৃত দেহ দাহ্য করা হয়নি! কিন্তু কেন? অলকানন্দার ভেতর তৈরী হওয়া প্রশ্নটা সে আর দমিয়ে রাখতে পারল না। কিছু তীক্ষ্ণ কণ্ঠেই বলল,
“কাল ওরা মারা গিয়েছে অথচ আজও দাহ্য হয়নি কেন? কী সমস্যা?”

“ওরা ছোটো জাত। আমাদের গ্রামে একমাত্র ওরাই ছোটো জাত ছিল যার জন্য ওদের বাড়িটা একটু পেছনের দিকটাতে ছিল। ওদের কোনো কাজে আমরা যেতে পারবো না। জাতের অমান্য হবে। তাই ওদের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।”

উপস্থিত একজনের কথা শুনে অলকানন্দার ভাবমূর্তি আরও বিস্মিত হলো। কিন্তু কিছু সময়ের ব্যবধানে মেয়েটা খিলখিল করে হেসে ওঠল। অবাক হলো জনসমাগম সাথে অবাক হলো মহলের ভেতর দাঁড়িয়ে থাকা অলকানন্দার পরিবারের মানুষ গুলো। এমন একটা পরিস্থিতিতে এহেন কান্ড করার মেয়ে তো অলকানন্দা না, তবে ওর হাসির কারণ কী!

সকলের চোখে মুখে যখন তাজ্জব ভাবটা ছড়িয়ে পড়েছে তখন অলকানন্দার হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরার অবস্থা। বহু কষ্টে সে হাসি থামিয়ে বলল,
“ওরা ছোটো জাত বলে মৃতদেহ গাছে ঝুলছে অথচ ওদেরকে ন্যায় বিচার দিতে চাওয়া আমাকে আপনারা বিচার করা শুরু করে দিয়েছেন। কোন আসন আমার যোগ্য কোনটা অযোগ্য তা নিয়ে শুরু করে দিয়েছেন হৈচৈ। আপনাদের দেবতা ভাববো না দৈত্য তা নিয়ে আমি সংশয়ে আছি।”

“খবরদার।”

“আপনারা খবরদার। আমার সাথে ভুলেও কঠিন হতে আসবেন না। আমি কঠিন হলে কিন্তু মাটিও কাঁপবে। নারী মানে জানেন তো? মমতাময়ী মা আবার ধ্বংসলীলা চালানো কালীও। সাবধান।”

যে লোকটা অলকানন্দাকে ধমক দিয়েছিল সে রীতিমতো পিছিয়ে গেল অলকানন্দার বজ্রকণ্ঠে। অলকানন্দা গলার স্বর কিঞ্চিৎ উঁচু করে পাহারাদার একজনকর ডাকল,
“বিনু দাদা, বিনু দাদা।”

সাথে সাথে মোটাতাজা একজন লোক ছুটে এলেন। হাতে তার মোটা বাঁশের লাঠি। সে মাথা নত করে বললেন,
“বলুন, বটঠাকুরণ।”

“এক্ষুনি আমার সাথে চলুন আপনি। ওদের মৃতদেহ সৎকার করার সকল ব্যবস্থা করব আমি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে, চলুন।”

বিনু নামের লোকটা মাথা নাড়ালেন। কিন্তু অন্দরমহল থেকে এবার বেরিয়ে এলেন নন্দন মশাই। হুংকার ছাড়তে ছাড়তে বললেন,
“এখনো তোমার লজ্জা হয়না, তাই না? তোমার জন্য তিনটা মানুষ মরেছে তবুও তুমি ক্ষমতা দেখাচ্ছো? আর তুমি কী জাত নষ্ট করার জন্য ওঠে পড়ে লেগেছ? এমনেতেই তো বাছ বিচার মানছো না। শহরে চলে যাচ্ছ, পুরুষ ডাক্তারদের দিয়ে বোনের চিকিৎসা করছ, নিজেকেও তাদের সাথে মিশাচ্ছো, লাজ লজ্জা সকল বিসর্জন দিয়েছ, আর কী চাও? জাত ধর্ম খেতে চাও? সমাজ তোমাকে একঘরে করে দিবে জানো তুমি সেটা?”

সমাজের এই বিধান অবশ্য অলকানন্দার অজানাই ছিল। তাই সে কিঞ্চিৎ ভ্রু কুঁচকে বলল,
“তাহলে আপনি কী করতে বলছেন? মৃতদেহ গুলো এভাবে ঝুলবে!”

“হ্যাঁ, এভাবেই থাকবে। বন জঙ্গল ওদিকে, নেকড়ে আছে সেখানে, এসে ছিঁড়ে খেয়ে নিবে। আমাদের যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।”

নন্দন মশাইয়ের এমন হৃদয়হীন কথাবার্তায় কেঁপে ওঠল অলকানন্দা। ধিক্কার জানিয়ে বলল,
“আপনি মানুষ!”

নন্দন মশাইয়ের ইচ্ছে হলো এই ভরা জনসমাগমে অলকানন্দাকে সশব্দে দু’টো চড় লাগিয়ে দেওয়ার কিন্তু অলকানন্দার প্রতি একটা নিবিড় ভীত ভাব তাকে এটা করার সাহস দিল না। ততক্ষণে বাড়ির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে তরঙ্গিণীও। অলকানন্দার পাশ দাঁড়িয়ে কাঠ কাঠ কণ্ঠে বলল,
“চল নন্দা, আমিও যাব তোমার সাথে।”

অলকানন্দা আশ্বাস পেল। একবার গ্রামবাসী আরেকবার অন্দরমহলের সকলের দিকে তাকিয়ে সে ওঠে গেলো গরুর গাড়িটিতে। তার পিছে এলো দুজন পাহারাদারও। মজা দেখার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায়নি গ্রামবাসী, তাই কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে এলো তারাও।

_

দ্বৈপায়ন গ্রামের প্রায় শেষদিকের বাড়িটাই ছিল বিদিশাদের। যে মারা গিয়েছে। ছোটো জাত হওয়ায় সভ্য সমাজ থেকে একটু দূরেই তাদের স্থান হয়েছিল। বিদিশাদের বাড়ির পাশেই বড়ো অশ্বত্থ গাছ। আর সেখানেই বিদিশা চির নিদ্রায় আচ্ছাদিত। অলকানন্দার বেশ মায়া হলো মেয়েটার জন্য। মশালের আলোয় মেয়েটার মুখ একটু হলদে সাদা দেখাচ্ছিল। বারো তেরো বছরের হবে মেয়েটা। কী সুন্দর চেহারা! মিষ্টতা পুরো মুখ জুড়ে যেন। অথচ একটা কুলাঙ্গারের জন্য মেয়েটার সুন্দর জীবনটা শেষ। পাহারাদারদের সাহায্যে অলকানন্দা সব গুলো দেহ নিচে নামাল। পুরোহিতকে আনতে পাঠানো হয়েছিল কিন্তু পাহারাদার এসে খবর জানাল পুরোহিত নাকি আসবে না। লাশ গুলো স্নান করানো প্রয়োজন অথচ কোনো সাহায্যকারী এগিয়ে আসছে না। অলকানন্দা বিনু নামের লোকটাকে আবার ডাকল,
“বিনু দাদা, এখানে আসুন।”

আদেশ পেতে পেতেই বিনু চলে এলো। মাথা নত করে বলল,
“বলুন, বৌঠাকুরণ।”

“গ্রামে কে মৃতদেহ স্নান করায়! খবর দিয়েছেন তাদের?”

“দিয়েছিলাম, কিন্তু তারা আসবে না জানিয়েছে।”

গ্রামের প্রায় বেশ খানিকজন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। তার মাঝে থেকেই একজন বলল,
“ওরা ছোটো জাত, ওদের কেউ-ই স্পর্শ করবে না।”

অলকানন্দা যেন সে কথা কানেই তুলল না বরং কাঠ কাঠ কণ্ঠে বিনুকে উদ্দেশ্য করে বলল,
“বিনু দাদা, স্নান করানোর ব্যবস্থা করুন। বিদিশা আর ওর মা’কে আমি স্নান করাবো।”

মানুষে পরিপূর্ণ স্থানটায় মুহূর্তে কলরব সৃষ্টি হয়ে গেলো। বিস্ফোরিত নয়ন জোড়া মেলে একজন অপরজনের দিকে কেবল চাওয়াচাওয়ি করল। বিনু মাথা নত করে বলল,
“কিন্তু বিদিশার বাবা?”

অলকানন্দা পড়ল বিপাকে। সত্যিই তো, ঐ মানুষটাকে কে স্নান করাবে! নিজেকে বড্ড অসহায় অনুভব করল সে। ততক্ষণে অবশ্য জায়গাটার চারপাশে মশাল জ্বালিয়ে আলোকিত করে দেওয়া হয়েছে। অলকানন্দা সে আলোতেই মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখছে। সেখান থেকে কেউ কী নেই অলকানন্দাকে সাহায্য করবে! অলকানন্দা আশা ভরা দৃষ্টি নিয়ে তাকালো সবার পানে কিন্তু কারো মুখে টু শব্দটুকু নেই। আজ নবনীল থাকলে এতটা অসহায় হয়তো সে নিজেকে অনুভব করতো না। মানুষটা ছাড়া অলকানন্দার এই আসনে টিকে থাকা যে বড়ো বেশিই মুশকিল তা সে মুহূর্তে মুহূর্তে উপলব্ধি করতে পারছে।

অলকানন্দা যখন একবারেই আশা ছেড়ে দিতে নিল ঠিক তখনই ভীড় থেকে একটা বৃদ্ধ কণ্ঠ বলে উঠল,
“আমি গোসল করাবো বিদিশার পিতাকে। আমি নিচ্ছি এই দায়িত্ব।”

সকলের দৃষ্টি তখন সেই বৃদ্ধের দিকে। অলকানন্দা অস্ফুটস্বরে বলল,
“মুমিনুল মাস্টারমশাই!”

মুমিনুল ইসলাম নামক লোকটা এগিয়ে এলো। অলকানন্দাদের বিদ্যালয়ের আদর্শ শিক্ষক। সে এগিয়ে এসে ধীর কণ্ঠে বলল,
“আমি করাবো গোসল, নন্দা।”

সকলের মাঝে আবার হৈ হৈ রব উঠলো, কয়েকজন তো এগিয়ে এসে হিংস্রতার সাথে বলল,
“না, আমরা হিন্দুজাতি আর আপনারা মুসলিম, আপনারা এখানে কিছু করতে পারবেন না।”

মুমিনুল ইসলাম বড়ো শান্তির সাথে উত্তর দিলেন, “আমি মানুষ জাতি আর ওরাও মানুষ, আপনারা না পারলে আমি মানুষ হিসেবে তো সাহায্য করতেই পারি। উদারতার চেয়ে বড়ো ধর্ম নেই।”

গ্রামের লোক মানতে নারাজ। এর মাঝেই পাহারাদার বিনু বলে ওঠলেন,
“আমিও স্নান করাতে সাহায্য করবো মাস্টারমশাই। আমি আছি।”

অলকানন্দার চক্ষু জুড়ে উপচে পড়লো কৃতজ্ঞতা বোধ। মানবধর্ম সবচেয়ে বড়ো ধর্ম সেটা আবারও এই মানুষ গুলো প্রমাণ করল। এমন একটা পিছিয়ে পরা শতকে এমন বদল সত্যিই বিস্ময়কর এবং চমকপ্রদ। কিন্তু এর জন্য পোহাতে হবে অনেক দুর্গতি।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here