প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা:আফরিন ইসলাম
সিজন :৩
পার্ট :১০
একটা অন্ধকার ঘরে হাত পা বাধাঁ অবস্থায় দ্বীপ চৌধুরী পরে আছে ৷জ্ঞান আসার পর একটু পানির জন্য চিৎকার করে গেছেন ৷ কিন্তু কেউ আসে নি তার কাছে ৷ঘুটঘুটে অন্ধকারে কোথায় আছেন তাও বুঝতে পারছেন না ৷কিন্তু তার সাথে খারাপ কিছু হতে চলেছে ৷এটা ভাবতেই ভয়ে তার হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসছে ৷নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও সফল হন নি তিনি ৷অনেকটা সময় যাওয়ার পর হঠাৎ কারো পায়ের শব্দ পেলেন দ্বীপ চৌধুরী ৷নিরব পরিবেশে যে কোনো শব্দ স্পষ্ট শোনা যায় ৷শব্দটা তার খুব কাছে চলে আসছে একটু একটু করে ৷ঘুটঘুটে অন্ধকারে কিছুই দেখতে পারছেন না তিনি ৷কিন্তু কেউ একজন তার খুব কাছে দাড়িয়ে আছে এটা বুঝতে পারছেন ৷সময়টা একদম নিস্তব্ধ ৷সামনের মানুষটা তাকে দেখছে খুব করে ৷হঠাৎ করেই একটা তীব্র আলো চোখে পড়তে দ্বীপের চোখ বন্ধ হয়ে গেল ৷আস্তে আস্তে চোখ খুলতেই সামনে একটা নারী অবয়ব দেখতে পেল ৷তার পাশে থাকা টর্চের আলোতে ঘরটা এখন আলোকিত ৷মেয়েটা কিছু একটা করছে পেছন ফিরে ৷দ্বীপ বলল
কে তুমি ৷
মেয়েটা জবাব দিল না ৷নিজের মতো কাজ করতেই ব্যস্ত সে ৷দ্বীপ আবারো বলল
কথা বলছো না কেন ৷কে তুমি ৷
তোমাদের জন্য আমার সব শেষ হয়ে গেছে ৷তোমার জন্য আমি আজ একটু একটু করে মরছি ৷আমার ভালোবাসার মানুষ গুলোকে আমি হারিয়েছি ৷আজ তুমিও হারাবে ৷তুমিও আজ নিজের চোখের সামনে ভালোবাসার মানুষ হারাবে ৷আমি যেমন সেই দিন দেখেছি ৷আজ তুমিও দেখবে ৷আজ তোমাদের জন্য আমি আমার শেষ ভালোবাসার মানুষটাকে হারিয়েছি ৷তোমাদের জন্য চেয়েও কিছু করতে পারি নি ৷আজ আমার নির্ঝর অন্য কারো হয়ে গেছে ৷তাই বলে নিজের মা বাবার প্রতি দায়িত্ব থেকে এতটুকু সরে দাড়াই নি আমি ৷আজ তুমি দেখবে প্রিয়জন হারানোর যন্ত্রনা কতটুকু হয় ৷মেয়েটা চলে গেল ৷দ্বীপের আজ ভয় করছে ৷খুব ভয় করছে ৷,বুকের ভেতরটা অজানা ভয়ে কাপঁছে ৷একটু পরেই মেয়েটা ফিরে এলো ৷কিন্তু এবার একা আসে নি ৷একটা হুইল চেয়ারের সাথে তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে এসেছে ৷ছেলেকে দেখে যতটা খুশি হয়েছে ৷তার থেকেও বেশি কষ্ট হচ্ছে তার রক্ত দেখে ৷দ্বীপ চিৎকার করে বলল
তুই আমার ছেলের এই কি অবস্থা করেছিস প্রীতি ৷তোকে আমি খুন করে ফেলবো ৷
প্রীতি দৌড়ে দ্বীপের কাছে এলো ৷দ্বীপের দুই গাল শক্ত করে চেপেঁ বলল
হুশশশ একদম কথা না ৷শুধু চিৎকার শুনতে চাই আমি ৷শুধু চিৎকার ৷
প্রীতি দ্বীপের একদম সামনে দিহানকে বসালো ৷দিহানে শরীরে মারের দাগ ৷মাথা বেয়ে রক্ত পড়ছে ৷হয়তো কোনো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ৷চোখ দুটো বন্ধ তার ৷প্রীতি একটা ছুড়ি নিয়ে দিহানে গায়ে আকিঁবুকিঁ করছে ৷কিন্তু আঘাত করছে না ৷হঠাৎ করেই প্রীতি হাতের ছুড়িটা দিহানের বাম হাতে ঢুকিয়ে দিল ৷দ্বীপ চৌধুরী চিৎকার করে কাদঁতে লাগলো ছেলের জন্য ৷প্রীতি সেই দিকে তাকিয়ে হাসলো ৷তারপর বলল
কি কষ্ট হচ্ছে ৷আমার বাবারও কষ্ট হয়ে ছিল ৷কিন্তু তোদের পাষান মন গলে নি ঐ দিন ৷মেরে দিয়ে ছিলি আমার ভাই কে ৷আজ তুইও দেখবি সন্তান মরলে কত কষ্ট হয় ৷প্রীতি দিহানের ডান হাতে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করছিল একের পর এক ৷আর দ্বীপ চৌধুরী চিৎকার করে কাদঁছিল ৷একটা সময় সে শান্ত হয়ে গেল ৷আর প্রীতিও থেমে গেল ৷
দ্বীপ চৌধুরী চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠলেন ৷কিন্তু একি সে কোথায় আছে ৷তার চিৎকার শুনে একজন নার্স দৌড়ে এলেন ৷আর ডাক্তারকে খবর দিলেন ৷দ্বীপ চৌধুরী কাদঁতে কাদঁতে বললেন
ও আমার দিহানকে মেরে ফেলেছে ৷আমার দিহানকে বাচাঁও তোমরা ৷আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে ৷প্রীতিলতা ফিরে এসেছে ৷ও কাউকে ছাড়বে না ৷ও আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে ৷দ্বীপের চিৎকারের মাঝেই আবেশ দৌড়ে ভেতরে এসে নিজের প্রান প্রিয় চাচাকে জরিয়ে ধরে বললেন
আপনি শান্ত হন চাচা ৷আর আপনি কি করে জানলেন প্রীতি ফিরে এসেছে ৷ আর আপনি কাউকে কিছু না বলে কোথায় গিয়ে ছিলেন ৷চাচীকে মেসেজে বললেন চিন্তা না করতে ৷আর আজ সকালে আপনাকে পাওয়া গেছে হাসপাতালের সামনে ৷আপনি কোথায় গিয়ে ছিলেন ৷
আমি কোথাও যায় নি ৷আর না কোনো মেসেজ করেছি ৷সব কিছু প্রীতিলতা করেছে ৷ আমি নিজের চোখে ওকে দেখেছি ৷ও আমার চোখের সামনে দিহানকে খুন করেছে ৷দ্বীপ চৌধুরী দুই হাতে মুখ ঢেকে কাদঁতে লাগলেন ৷
দিহানের কিছু হয় নি চাচা ৷দিহান আইসিইউ তে ভর্তি আছে ৷কিন্তু ওর অবস্থা ভালো না ৷আর প্রীতি মারা গেছে অনেক আগে ৷ আর ফিরে এলেও ও কেন খুন করবে ৷
আমি কিছু জানি না ৷আমাকে আগে আমার ছেলের কাছে নিয়ে চল আবেশ ৷আমি আমার ছেলেকে দেখব ৷
আবেশ নিজের চাচাকে ধরে নিয়ে গেলেন ৷ স্বচ্ছ কাচেঁর এপারে দাড়িয়ে নিজের ঘুমন্ত ছেলেকে দেখলো দ্বীপ ৷তারপর চলে গেল নিজের কেবিনে ৷
অপর দিকে আশরাফ খান আর তার ম্যানেজার তন্ন তন্ন করে পুরনো ফাইল খুজছে ৷কিন্তু কোথাও খুজে না পেয়ে আশরাফ খান তার ম্যানেজার এমদাদকে বলল
এমদাদ আমার মনে হয় ও ফাইলটা নিয়ে গেছে ৷
ওর হাতে যদি ফাইলটা চলে যায় ৷তাহলে আমরা শেষ ৷আমাদের সকল পাপ কাজ আর জালিয়াতির র খবর ঐখানে আছে ৷মিডিয়ার সামনে একবার ঐ ফাইল আসলে আমরা শেষ ৷
আমরা শেষ হবো না এমদাদ ৷আমাদের শেষ করার আগে ৷আমরাই ওর জীবন শেষ করে দেব ৷
আজ সারাদিন নির্ঝরের সাথে প্রীতির কথা হয় নি ৷একটা নদীর পারে একা বসে আছে প্রীতি ৷তার দৃষ্টি খোলা আকাশে ৷শুষ্ক চোখ আর ফ্যাকাশে মুখ নিয়ে বসে আছে ৷ আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে প্রীতি বলল
আমাকে দুঃখ নামক বিশাল সমুদ্রে ভাসিয়ে তোমরা চলে গেছো ৷আমার জীবন থেকে বেচেঁ থাকার সব কারন নিয়ে তোমরা চলে গেছো ৷কেন সেই দিন আমাকে বাচিঁয়ে ছিলে মা ৷কেন সেই দিন চোখের ভাষায় প্রতিশোধের জন্য ফিরে আসতে বলে ছিলে বাবা ৷কেন সেই দিন আমাকে দুনিয়ার বুকে একা করে চলে গিয়ে ছিলে ৷জানো বাবা দিনশেষে সবার একটা প্রিয় মানুষ দরকার হয় ৷হোক সেটা মা ,হোক বাবা ,ভাই ,বোন ,বন্ধু কিংবা ভালোবাসার মানুষ ৷কিন্তু আমার তো কেউ নেই ৷দিন শেষে আমার খোজঁ নেওয়ার কেউ নেই ৷জানো মা এখন যদি আমি মরে যাই তাহলে কেউ কাদঁবে না আমার জন্য ৷কেউ একটা বার জরিয়ে ধরে বলবে না ফিরে আয় ৷ আমার খুব ইচ্ছে করে কেউ কাদুঁক আমার জন্য ৷আমি চাই মরার পর কেউ আমার জন্য চোখের পানি ফেলুক ৷জানো আজ আমি কি করেছি ৷ আজ একটা সংস্থায় গিয়ে ছিলাম ৷সেখানে জীবিত মানুষ নিজের জন্য চাইলে জায়গা কিনতে পারে ৷মরার পর ঐ সংস্থার লোকেরাই সব করবে ৷ কিন্তু তার বিনিময়ে তাদের টাকা দিতে হয় ৷আজ আমি নিজের নামে একটু খানি মাটি কিনেছি ৷আমি মরে গেলে ঐখানে মাটি দেবে আমায় ৷অনেক দামি মাটি জানো ৷সাড়ে তিন হাত মাটির দাম দুই কোটি টাকা ৷আমার কবর একদম পার্মানেন্ট হয়ে যাবে ৷ আমি তো জানি আমি মরার পর কেউ আসবে না ৷আমি তো জানি আর কিছু দিন পর সবাই আমাকে ঘৃনা করবে ৷একটা খুনীকে কে আর ভালোবাসবে বলো তো ৷ কেন যেন ইচ্ছে হলো আমার মত্যুর পর কেউ কাদুঁক ৷তাই আজ টাকা দিয়ে দশজন লোক ভাড়া করে এসেছি ৷আমি মরার পর সংস্থা থেকে দশজন লোক এসে কাদঁবে ৷আমায় ভালোবেসে হয়তো তারা কাদঁবে না ৷তবুও আমি চাই কেউ কাদুঁক ৷আমার জীবন থেকে সব হারিয়ে গেছে মা ৷এখন এই শেষ ইচ্ছেটাই বেচেঁ আছে ৷প্রীতি নীল আকাশের দিকে তাকিয়ে কাদঁতে লাগলো নিরবে ৷ যেই কান্নার পরিনতি জানা নেই কারো ৷
চলবে….
প্রীতিলতা আসবে বলে
লেখিকা:আফরিন ইসলাম
সিজন:৩
পার্ট :১১
এক এক করে সব কিছু ঠিক করছে প্রীতি ৷সে জানে পুলিশ তাকে খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করবে ৷তার বিরুদ্ধে চলা সকল ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে সে জানে ৷কিন্তু সে আর কিছুই করবে না ৷এখন যত দ্রুত সম্ভব নারী পাচারকারী গ্যাংটা শেষ করতে হবে ৷শহর থেকে এক এক করে মেয়েরা গায়েব হয়ে যাচ্ছে ৷কাল তাদের মিশনে যেতে হবে ৷ভার্সিটির ভেতরে থাকা সকল নারী পাচারকারী কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ফাইল রেডি করেছে ৷প্রীতির আন্ডারে থাকা পুলিশদের মধ্যে শান্ত এবং আরো কিছু পুলিশ দ্বীপ চৌধুরীর কাছে গিয়েছে ৷ কেননা পুলিশ একটা কেসের সাথে আরেকটা কেসের খুব সুক্ষ্ম মিল খুজে পাচ্ছেন ৷কিন্তু কেসের আসল খেলোয়াড়কে তা আন্দাজ করতে পারছেন না ৷এখন শান্ত বসে আছে দ্বীপ চৌধুরীর পাশে ৷শান্ত দ্বীপ চৌধুরীকে বলল
মিঃ চৌধুরী আপনার কথা অনুযায়ী আপনি অপহরন হয়েছেন ৷এবং আপনার ছেলেকেও একই ব্যক্তি অপহরন করেছে আর আহত করেছে ৷আপনার ভাষ্য মতে আবেশ চৌধুরীর ছেলে মেয়েকেও একই ব্যক্তি অপহরন করেছে তাই তো ৷কিন্তু আপনি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন ৷সে আজ থেকে চৌদ্দ বছর আগে মারা গেছে ৷আগুনে পোড়ার কারনে তার লাশটা পাওয়া যায় নি ৷তাহলে আমরা কি করে বুঝবো আপনার অভিযোগ সঠিক ৷
আমার চাচা একদম মিথ্যে বলছে না অফিসার ৷পেছন থেকে আবেশের এমন কথায় শান্ত ঘুড়ে তাকালো তারপর বলল
আপনি কি করে সিওর হলেন যে আপনার বোন এমনটা করছে ৷
আমি নিজেও জানি না আমার বোন এমন করছে কি না ৷ তবে যেই করছে সে একজন ৷আমার ছেলে মেয়েকে যেই দিন পাই ৷তার আগের দিন আমার কাছে একটা কল আসে ৷আর সেখানে সে নিজেকে প্রীতিলতা বলে পরিচয় দেয় ৷আর চাচাকে যে অপহরন করেছে সেও নিজেকে প্রীতিলতা বলে দাবী করেছে ৷
শান্ত কিছুক্ষন চুপ থেকে বলল আপনার কাছে কোন নাম্বার থেকে কলটা এসে ছিল আমায় দেখাতে পারবেন ৷
জ্বী পারবো ৷
ওকে ৷
আবেশ নাম্বারটা পুলিশকে দিল ৷শান্ত তার প্রয়োজনীয় সব তথ্য নিয়ে চলে গেল ৷
অপর দিকে প্রীতি গত কাল নিয়ে আসা ফাইলটা দেখছে ৷ফাইলটার একটা একটা কপি নিজের ফোনে তুলে নিল ৷হঠাৎ শেষের পাতায় একটা নাম দেখেই প্রীতির চোখ ঝলসে উঠলো ৷প্রীতি প্রথম থেকে ফাইলটা পড়া শুরু করলো ৷ফাইলটা পড়ে প্রীতির হাত পা কাপঁতে লাগলো ৷কেননা এখানে এমন একজন মানুষের নাম আছে যে তার অন্যতম বিশ্বাসের জায়গা ৷প্রীতি নিজের চুল খামচে ধরলো ৷তারপর বিরবির করতে করতে বলল
এটা হতে পারে না ৷ও এটা করতে পারে না ৷নিজের লোকের সাথে কেউ কিভাবে এমন করতে পারে ৷কোথাও একটা ভুল হচ্ছে ৷না না এটা হতে পারে না ৷কিন্তু ও যদি সত্যি মা বাবার খুনের সাথে সংযুক্ত থাকে ৷ তখন আমি কি করবো ৷ওকে তো আমি মারতে পারবো না ৷ আমাকে খোজঁ নিতে হবে আরো ভালো করে ৷প্রীতি ফাইল নিয়ে অফিস থেকে বের হয়ে গেল ৷
পরের দিন নির্ঝর ভার্সিটি যেয়ে সবার কাছে প্রীতির খোজঁ করলো ৷ কিন্তু কোথাও পেল না ৷নির্ঝরের সাথে ওর বন্ধুরাও আছে ৷নির্ঝরে বুকের ভেতরটা তার কাজল কালো প্রীতিলতাকে দেখতে শেষ হয়ে যাচ্ছে ৷কিন্তু কাজল লতার খবর নেই ৷নির্ঝরের চিন্তার মাঝেই বিশ থেকে পচিঁশ টা পুলিশের গাড়ী ভার্সিটির ভেতরে ঢুকে গেল ৷গেটের ভেতরে দলকে দল পুলিশ এসে ঢুকে পড়লো ৷পুলিশ পুরো ভার্সিটির মধ্যে ছড়িয়ে পড়লো ৷ পুলিশের লোকরা ছাত্র ছাত্রীদের আলাদা করে এক পাশে দাড় করালেন ৷পুলিশ চল্লিশটা ছেলেকে আটক করে ফেলেছে কয়েক মিনিটের মধ্যে ৷তারা হয়তো ভাবতেও পারে নি এভাবে পুলিশ আসবে ৷হঠাৎ করেই একটা ছেলে পুলিশের থেকে বাচাঁর জন্য দৌড় লাগালো ৷কিন্তু বেশি দূর যাওয়ার আগেই একটা গুলি খুব নিখুত ভাবে তার পায়ে লাগলো ৷হঠাৎ গুলিও আওয়াজে সবাই চমকে গেল ৷গাড়ী থেকে একটা মেয়ে বেড়িয়ে এলো ৷তার পড়নে কালো জিন্স আর কালো শার্ট ৷চুল গুলো উপরে বান করা ৷চোখে কালো সানগ্লাস ৷ভার্সিটির ছেলে গুলো হা করে তাকিয়ে আছে ঐ দিকে ৷কিন্তু মেয়ে অফিসারের দৃষ্টি এক দিকে আটকে আছে ৷কিন্তু বেশি সময় সে ঐ দিকে তাকালো না ৷নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিল ৷মেয়ে অফিসার টি গাড়ীতে উঠে গেলেন ৷একটু পর সেখানে সাংবাদিক এলো ৷সাংবাদিক আসতেই পুলিশ তাদের জানিয়ে দিলেন এত গুলো ছেলেকে আটক করার ঘটনা ৷আসলে তারা নারী পাচারকারী গ্যাং এর সাথে সংযুক্ত ৷ শুধু তাই নয় শহরের মেয়েরা অনেক ঝুকিতে আছে ৷ কারন কে কখন এই গ্যাং এর শিকার হয় তা কেউ জানে না ৷
অন্যদিকে কেউ একজন নিজের ফোন আছাড় দিয়ে ফেলে চিৎকার করে বলল
এটা হতে পারে না ৷ আমার এত দিনের গ্যাং এভাবে শেষ হতে পারে না ৷যেই গ্যাং এর জন্য দুনিয়ার সব থেকে নিচে নেমেছে ৷সেই গ্যাং সে শেষ হতে দেবে না ৷আয়ান চৌধুরীর খুন চাইলেই আটকাতে পারতো ৷কিন্তু ঐ লোকটা বেচেঁ থাকলে এত এত টাকা সে কোথায় পেত ৷তার পথের কাটা হয়ে দাড়িয়ে ছিল ৷তার গোপন কাজের কথা জেনে গিয়ে ছিল ৷তাই মেরে ফেলেছে সবার সাথে মিশে ৷
চলবে