#কৃষ্ণময়ীর_অলংকার
#রাহনুমা_রাহা
#পর্বঃ২১
আকাশে পূর্ণ চন্দ্র। তাকে কে ঘিরে রয়েছে অগণিত তারকারাজি। জোছনার আলোয় প্রকৃতি নিজেকে করে তুলেছে মোহময়ী । মায়াবী রাত বুঝি একেই বলে। একেই হয়তো বলে চাঁদের হাসির বাঁধ ভাঙা আলো। চাঁদের আলোয় সাদা গোলাপ গুলোকে মনে হচ্ছে আরও বেশি স্বচ্ছ। আরও বেশি পবিত্র। মোহময়, আবেদনময়ী।
তপা পলকের দিকে তাকাল। এক চাঁদের উপর পড়েছে অন্য চাঁদের বাঁধ ভাঙা আলো। হলুদ ফর্সা রঙটা চাঁদের আলোয় আরও আকর্ষণীয় লাগছে।
পলক মোলায়েম গলায় বলল,
“কি দেখছো?”
তপা বিনা দ্বিধায় বলল,
“আপনাকে আকাশের ওই পূর্ণ চাঁদের মতো লাগছে।”
পলক মৃদু হেসে বলল,
“আমার কাছে তুমিও আমার আকাশের চাঁদ।”
তপা একটু হাসল। বলল,
“হ্যা, অর্ধ চাঁদ।”
পলক তপার চোখের দিকে তাকাল। চাঁদের আলোয় স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তপা তার দিকেই তাকিয়ে আছে এখনো।
গম্ভীর পুরুষালী কণ্ঠ খাদে নামিয়ে বলল,
“তুমি কি জানো, পূর্ণ চাঁদের চেয়ে অর্ধ চাঁদ আরও বেশি মায়াবী।”
তপা হাসল। প্রাণ খোলা হাসি। পরক্ষণেই পলকের চাহনিতে লজ্জা রাঙা হয়ে গেল। ওষ্ঠকোণে ধরা পড়ল লাজুক হাসি।
” তখন গোধূলি লগ্ন। প্রতিদিনের মত সেদিনও আমি ছাদে এসেছিলাম। দেখছিলাম নীল আকাশের নতুন বধূর ন্যায় লাজে রাঙা রূপ। কিন্তু বিশ্বাস করো আমার জন্য এর থেকেও হাজার গুণ বেশি রূপ নিয়ে যে কেউ ছাদেই অপেক্ষা করছিল আমি ঘূনাক্ষরেও টের পাইনি। অবশ্য অপেক্ষা করছিল বলা যায় না। বরং সেদিনের পর আমিই প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করে গেছি তার জন্য।”
তপা কৌতুহলী নজরে তাকিয়ে আছে পলকের দিকে। পলক তা দেখে মুচকি হাসল। পুনরায় বলল,
“এক এলোকেশী রমনী তার সদ্য ভেজা চুলগুলো পিঠময় ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়ে এসেছিল এইখানটায়। ভেজা জামাকাপড়গুলো কোনো রকম মেলে দিয়েই চলে গিয়েছিল অন্দরমহলে। সাথে নিয়ে গিয়েছিল আমার মনটা। রেখে গিয়েছিল আমার ভগ্নহৃদয়টা। সেদিন তার এলোকেশ হতে টপটপ করে পরা জলকণা গুলো কেবল জলকণা ছিল না। বরং সেগুলো ছিল আমার জন্য একেকটা কালো যাদুর মন্ত্রোচ্চারণ। যা প্রতিনিয়ত বশীভূত করে রেখেছে আমাকে। সেদিনই প্রথম এ হৃদয়ে বসন্ত এসেছিল। আটাশ বছরের জীবনে সাতাশটা বসন্ত কেবল পাতা ঝড়া বসন্ত হলেও সেদিনই প্রথম ফুল ফুটেছিল এই হৃদয় বাগিচায়। যা আজ বিশালাকার বাগানে রূপান্তরিত হয়েছে। আমার হৃদয় বাগিচার ফোঁটা সুদৃশ্য ফুলটা আজ আমার বউ। আমার অর্ধাঙ্গিনী।”
তপা চোখ পিটপিট করে তাকাল। মনে পড়ে গেল এই বাসায় আসার পরের কিছুদিনের কথা। মনে হতো কেউ আছে। কেউ দেখছে তাকে। ভয় হতো। অস্বস্তি হতো। কিন্তু নিজেকে সাহস দিতো। নিজের মন কে ভাবাতো ওটা ভালো মানুষ। সত্যি সত্যিই যে ভালো মানুষ ছিল সেটা আজ বুঝতে পারল।
এই লোকটা তাকে এতটা ভালবাসে কি করে তা বুঝতে পারে না তপা। কি করে এতটা ভালবাসা যায়? এরকম নিঃস্বার্থ ভালবাসা সইবে তো তার পোড়া কপালে? তার চার আঙুল কপালে যে সুখ সয় না।
“আমায় আমার অধিকার দেবে বউ?”
পলকের এহেন কথা শুনে তপার দম বন্ধ হয়ে আসল। এতক্ষণ ভুলে গেলেও আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাসর রাতের কথা। গায়ের লোমকূপ শিরশির করে উঠল।
তপাকে ভড়কে যেতে দেখে পলক মৃদু হেসে বলল,
“ভয় পেলে?”
তপা মুখ তুলে চাইল।
ছাদের মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে পাশাপাশি বসা সদ্য বিবাহিত দম্পতি। আকাশে পূর্ণিমা চাঁদ। চাঁদের আলোয় সাধারণ প্রকৃতিও অন্য রূপে সেজেছে।
কোমর চেপে কাছে টেনে গায়ের সাথে গা মিলিয়ে বসল পলক। তপা সরে যেতে চেয়েও পারল না। একটা হাত তখনও শক্ত করে ধরে আছে কোমরের একপাশ। তপা মোচড়ামুচড়ি করছে দেখে পলক ভ্রু কুঁচকে বলল,
“সাপের মত মোচাড়ামুচড়ি করছো কেন?”
তপা ফোস করে শ্বাস ফেলল। কিছু বলার আগেই পলক পুনরায় বলল,
“আবার সাপের মতো ফোস ফোস করে নিশ্বাস নিচ্ছো। ব্যাপার কি তোমার? তুমি কি আমাকে ভয় দেখিয়ে আমার বাসর ভন্ডুল করতে চাইছো?”
তপা চোখ ছোট ছোট করে তাকাল। বলল,
“আপনি আসলেই একটা ইতর প্রজাতির প্রাণী।”
পলক শব্দ করে হাসল। ঠোঁটে হাসির পরশ রেখেই বলল,
“জানি তো। এর আগেও বলেছো। আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমি তোমাকে বাচ্চা বলেছিলাম সেজন্য রেগে গিয়ে বলেছিলে।”
তপা দীর্ঘশ্বাস ফেলল।
“আপনি সেদিন বাচ্চা বলাতে রেগে গিয়েছিলাম। কেন জানেন?”
পলক একহাতে তপা কে জড়িয়ে বুকের একপাশে এনে বলল,
“সেদিন না জানলেও এখন জানি। ছোটবেলায় কাউকে কিছু বলতে চাইলে সবাই বাচ্চা মনে করে কথার গুরুত্ব দিতো না সেজন্য তাই না?”
তপা মাথা দুলিয়ে সায় জানালো।
পলক মৃদু স্বরে বলল,
“আসলে সমস্যা তোমার বাচ্চা বয়সের জন্য নয়। সমস্যাটা তোমার অসহায়তার ছিল। তোমার নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত থাকলে তোমার ওই বয়সের কথারও গুরুত্ব দিতো সবাই । তোমার ভিতটাই যে নড়বড়ে ছিল। তবে আর নয়। এখন তোমার জন্য শক্তপোক্ত খুঁটি আছে। স্বয়ং পলক তাজওয়ার। তোমার দিকে আঙুল তুলে দাঁড়ানোর সাহসও কেউ করবে না। যদি তুলেও তবে আঙুল কাঁটার দায়িত্ব আমার। তুমি নিশ্চিন্তে থাকো।”
তপা বুক থেকে মাথা তুলে পলকের মুখের দিকে তাকাল। আবছা আলোয় অস্পষ্ট মুখটা দেখার বৃথা চেষ্টা করে বলল,
“মিস্টার তাজওয়ার।”
পলক ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আমি তোমার অফিসের বস?”
তপা কিছু বুঝতে না পেরে বলল,
“মানে?”
পলক তপার থেকে একটু সরে বসার চেষ্টা করে বলল,
“এইযে মিস্টার তাজওয়ার বলো সব সময়। এটা তো বস কেই বলে তাই না? স্বামী কে কেউ এভাবে বলে? স্বামী কে ভালবেসে ডাকতে হয়। ভালবেসে ডাকো।”
তপা ঠোঁট টিপে হাসল। মাথায় দুষ্ট বুদ্ধি কিলবিলিয়ে উঠছে তার। আদুরে কণ্ঠে বলল,
“ওগো শুনছো।”
পলক আকষ্মিক ডাকে খুকখুক করে কেশে উঠল। তপা পলকের অপ্রস্তুত হওয়া দেখে খিলখিল করে হেসে ফেলল। হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। শেষে নিজেকে সামলে নিতে পলকের বুকেই লেপ্টে গেল।
পলক তপার মাথাটা বুকের সাথে চেপে ধরল। ভাল লাগছে তার এভাবে তার কৃষ্ণময়ীকে দেখতে। হাসি আনন্দ দুঃখ সব কিছুতেই তো তার কৃষ্ণময়ীকে বুকে আগলে রাখতে চায়। ভাল বাসতে চায়। অতি যত্নের সাথে হৃদয়ের মণিকোঠায় লুকিয়ে রাখতে চায়।
“কৃষ্ণময়ী।”
“হুম।”
“আমায় অধিকার দেবে? তোমার ওই এলোকেশের উপর একচ্ছত্র অধিকার। যাতে ইচ্ছে করলেই ছুঁয়ে দিতে পারি এই দুটো হাত দিয়ে, চুমু একে দিতে পারি এই ঠোঁট দিয়ে। চাইলে যখন তখন দেখতে পারি এ দু নয়ন দিয়ে। দেবে?”
তপা একহাতে পলকের পেটের কাছের শার্ট আঁকড়ে ধরে বলল,
“আমার পুরোটাই আপনার। আপনি চাইলে আমি বাঁধা দিতে পারি না।”
“আমি তোমাকে চাইব। পুরোটাই চাইব। তবে সময় হলে। আজ নয়। তাই একটু পর পর ভয়ে শিউরে না উঠে সহজ হও। কেমন?”
তপা লজ্জা পেয়ে একটুখানি হাসল। পলক পুনরায় বলল,
“কি হলো দেবে অধিকার?”
তপা একহাতে হাত খোঁপা খুলে কেশরাশি পিঠ জুড়ে ছড়িয়ে দিয়ে বলল,
“লিখে দিলাম আজ থেকে আপনার নামে।”
পলক কয়েক মূহুর্ত চুপ করে থেকে নাক ডুবালো নিকষ কৃষ্ণ আধারের ন্যায় কেশরাশিতে। কেটে গেল কিছু মূহুর্ত। দম বন্ধ করা কিছু অনূভুতি প্রবণ সময়।
“আমি কিছু বলতে চাই।”
পলক তপার চুলের নেশা থেকে বেরিয়ে এলো । ঘোর লাগা কণ্ঠে বলল,
“বলো কৃষ্ণময়ী।”
“আমি নিজের পায়ে দাঁড়াতে চাই মিস্টার তাজওয়ার।”
পলক মৃদু স্বরে বলল,
“বাঁধা দিচ্ছে কে?”
“আপনি।”
পলক অবাক হলো। চোখ ছোট ছোট করে ভ্রু কুঁচকে বলল,
“আমি? কখন? কিভাবে?”
তপা আলতো হাতে পলকের ভ্রুকুটি স্পর্শ করে বলল,
“এই যে এখন। এভাবে বিয়ে করে।”
“বিয়ে করে তোমার নিজের পায়ে দাঁড়াতে বাঁধা দিচ্ছি আমি?”
“ঠিক তা নয়। তবে… ”
পলক তপাকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে গালে হাত রেখে চোখে চোখ রেখে বলল,
“তবে কি কৃষ্ণময়ী? আমাকে বুঝিয়ে বলো। না বললে তো আমি বুঝতে পারব না।”
তপা নিচের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমি জানি আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু আমি চাই আগে আমি নিজের পায়ে দাঁড়াই। তারপর আপনি বাড়িতে জানান আমাদের বিয়ের কথা। আগে আমি নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে চাই মিস্টার তাজওয়ার।”
পলক মুচকি হাসল।
“তুমি এটা বলতে এত হেজিটেড করছিলে? তুমি যা চাইছো সেটাই হবে। তবে আমার বাবা মা খুব কঠোর শ্বশুর শ্বাশুড়ি হবে না। তারা তোমাকে সাদরেই গ্রহণ করবে। আর তুমি যদি লেখাপড়া শেষ করতে নাও চাও আমার মা তোমাকে জোর করেই পড়াবে। দেখলে বুঝতে পারবে। তোমার অতীতটা আমি বদলাতে পারব না। কিন্তু আল্লাহ চাইলে ভবিষ্যতটা রঙিন করার দায়িত্ব আমি নিতে পারি। ভরিয়ে দিতে পারি তোমার জীবন ছোট ছোট খুশিতে, আনন্দে, আহ্লাদে।”
বিবাহ পরবর্তী দিনের ঊষালগ্ন। পূব আকাশ রক্তরাঙা আলোয় আলোকিত। পুঞ্জ পুঞ্জ সাদা মেঘ কমলা আভায় ছেয়ে গেছে। খোলা আকাশটাকে মনে হচ্ছে সুবিশাল মাঠ। যার কিঞ্চিৎ দুরত্বেই অবস্থান করছে জলন্ত আগ্নেয়গিরি। পূব আকাশের লার্ভা থেকে অগ্নি বলয় ছড়িয়ে পড়ছে পুরো অন্তরিক্ষ জুড়ে।
খোলা আকাশের নিচে ছাদের মেঝেতে মাদুর পেতে রেলিংএ হেলান দিয়ে শুয়ে আছে পলক। তার বুকেই আস্টেপিস্টে জড়িয়ে গভীর ঘুমে মগ্ন তপা।
মুখের উপর আলোর আভাস পেতেই চোখ মুখ কুঁচকে ফেলল পলক। চোখ পিটপিট করে তাকিয়ে নিজের অবস্থান বুঝতে পারতেই বক্ষস্থলে বয়ে গেল মাতাল সমীরণ।
তপার মাথায় ঠোঁট ঠেকিয়ে আরও একটু গভীরতা তৈরির জন্য হাতের বাঁধন দৃঢ় করতেই তপা নড়েচড়ে উঠল। হাই তুলে নিজেকে কারো শক্ত বন্ধনে আবিষ্কার করতেই চট করে উঠে বসল।
পলক ভ্রু কুঁচকে ফেলল।
তপা পলকের চাহনি দেখে মাথা নিচু করে বলল,
“আসলে আমি ভুলে গিয়েছিলাম বিয়ের কথা।”
পলক চোখ ছোট ছোট করে বলল,
“এখন মনে পড়েছে?”
তপা মাথা নাড়াল।
“তাহলে দূরে কেন? এসো আমার সকাল টা মিষ্টি করে দাও।”
তপা চোখ ছোট ছোট করে ভ্রু কুঁচকে তাকাল।
পলক তা দেখে নিজেও ভ্রুকুটি করে বলল,
“তুমি আবার আমাকে কুঁচকানো ভ্রু দেখাচ্ছো। দাঁড়াও হচ্ছে তোমার আজকে।”
তপা সরে গিয়ে দ্রুত উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল। রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে বলল,
“নতুন জীবনের প্রথম সকালের শুভেচ্ছা মিস্টার তাজওয়ার।”
পলক মৃদু হেসে বলল,
“শুভেচ্ছা আপনাকেও মিসেস তাজওয়ার।”
তপা মুচকি হাসল। উল্টো ঘুরে এলোচুলগুলো গুছিয়ে হাত খোঁপা করতে করতে পা চালিয়ে ঢুকে পড়ল অন্দরমহলে।
পুরোটা ভেতরে ঢুকে আবার একটুখানি মাথা বের করে বলল,
“আমি নাশতা রেডি করছি। আপনি ফ্রেশ হয়ে আসুন।”
পলক মাথা চুলকে হাসল। নিজেকে বিবাহিত বিবাহিত মনে হচ্ছে তার। কিছুক্ষণ ঘাপটি মেরে বসে রইল। চোখ তুলে নিজের শারীরিক কসরতের জিনিসপত্রের দিকে তাকিয়ে বিরবির করে বলল,
“নাহ, অনেক অনিয়ম হয়ে গেছে। এবার নিজের ফর্মে ফিরতে হবে মিস্টার তাজওয়ার। নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য হলেও ব্যায়ামাগারের দিকে নজর দিতে হবে। নইলে বউ পাত্তা দিবে না। গেট রেডি মিস্টার তাজওয়ার।”
সপ্তাহ খানেক পর। তপা ক্লাস শেষে ইউনিভার্সিটি গেইটে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিল পলকের। দেরি দেখে বারবার বা হাতে পরে থাকা ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিল। মিনিট পাঁচেক যাওয়ার পর ব্যাগ হাতড়ে ফোন বের করল। কিন্তু পলকের নাম্বার ডায়াল করার আগেই চোখ আঁটকে গেল সামনে দাঁড়ানো মানুষটার ওপর।
অস্ফুট স্বরে কণ্ঠ নৃঃসৃত হলো একটি শব্দ।
“বাবা।”
মূহুর্তেই আঁখি পল্লব ভিজে উঠল নোনাজলে। নিজেকে সামলাতে বার কয়েক অক্ষিপল্লব ঝাপটে খিঁচে বন্ধ করে ফেলল নেত্রযুগল।
মনকে কঠোরতায় মুড়ে দিয়ে বিরবির করে বলল,
” আমি এই লোকটাকে চিনি না। চিনি না। বাবা বলে আমার কখনো কেউ ছিল না। আজও নেই। হবেও না কখনো।”
চলবে…
গল্প তো আগাতেই চাচ্ছে না। এক জায়গায় থম মেরে থাকতে চাইছে।