অবশেষে পূর্ণতা পর্ব ১০

0
637

#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_১০

-সবাইকে চমকে দিয়ে ফারিয়া বলতে লাগলো,আমি এই বিয়েছে রাজি। ফারিয়ার মুখ থেকে রাজি কথাটা শুনে নীলের মুখে আর চোঠের মাঝে একরাশ হাসির ছাপ দেখা দিলো। হয়তো এটা চরম ভালোবালার একটা সুখের হাসি। ফারিয়ার পরিবারের সবার মুখেও হাসি রেখা দেখা দিলো। অহনা বেগম বলতে লাগলো,তোমরা সবাই বসো আমি তোমাদের জন্য নাস্তা রেডি করি। একটু পর আমিন সাহেবও রুমের দিকে চলে গেলো। আর এদিকে ফারিয়া আর নীল দুজন লজ্জায় মাথা নিচু করে বসে আছে। নীল একটু গলা খাকড়িয়ে ফারিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,কালকে রেডি হয়ে থেকো ভার্সিটিতে তোমাকে রেখে আসবো। আর কিছুদিন পর থেকে ভার্সিটি যাওয়া সম্ভব হবেনা তোমার পক্ষেে। ফারিয়ার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে রয়েছে তা স্পষ্ট বুঝা যাচ্ছে।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘ফারিয়া নীলের সামনে মুখ তুলতেই কেমন যেনো একটা মনে হচ্ছে। এই মানুষটা যে বড্ড বেশি ভালো মানুষ। না হলে আমার মতো একটা মেয়ের পিছনে দিনের পর দিন এভাবে পড়ে থাকতো না। যে মানুষটা দিনের পর দিন তাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করেছে,খারাপ সময়ে তার পাশে এসে দাড়িয়েছে,,রাজি না হওয়ার সাধ্য কি আদেও ফারিয়ার আছে.?হয়তো নেই। একটু পর ফারিয়ার মা নাস্তা নিয়ে আসলো নীলের আর ফারিয়ার জন্য। নীল সামান্য একটু খাওয়ার পর আর খায়না। অহনা বেগম নীলকে বলতে লাগলো,কি হলো বাবা,নাস্তা কি ভালো হয়নি.? আসলে আন্টি অনেক সুন্দর হয়েছে। একটু আগেই তো অনেক রকমের ফল আর বিস্কুট খেলাম,তাই পেট ভরে আছে।

“আমাকে আন্টি বলবে না কেমন,আমিতো তোমার মায়ের মতো। তাই আমাকে মা বলে ডাকলে আমি খুশি হবো। নীল বললো,আচ্ছা আজকে থেকে মা বলবো আপনাকে। একটু পর আমিন সাহেব আসলো,তারপর নীলকে উদ্দেশ্য করে বললো,তোমার বাবা,মায়ের সঙ্গে যদি একটু কথা বলিয়ে দিতে পারতে তাহলে বেশ ভালো হতো। নীল তার মা,বাবার কন্টাক্ট নাম্বার দিলো,আগামীকাল তারা লন্ডন থেকে দেশে ফিরবে। তাই নীল বললো,আগামীকাল তারা দেশে ফিরবে,তারপর আপনারা সকলে আমাদের বাসায় যাবেন,তখন যা বলার কিংবা জানার আছে সরাসরি জেনে নিবেন। আমি মনে করি সরাসরি কথা বললেই ভালো হবে।

-‘আমি চাই আমার পরিবারকে এনে তখন ফারিয়াকে নিয়ে যাবো। আমিন সাহেব নীলের কথা শুনে খুশি হলো। কারন দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নিয়ে তারপর বিষয়টা এগিয়ে নিয়ে গেলে পরবর্তী আর কোন ঝামেলা থাকবে না। আমিন সাহেব হ্যা সুইচ মাথা নাড়িয়ে সায় জানালো। একটু পর নীল আমিন সাহেবকে উদ্দেশ্য করে বললো,আমি কি ফারিয়ার সাথে আলাদা করে একটু কথা বলার জন্য সময় পেতে পারি.? তবে আপনার মতামত না দিলে কোন সমস্যা নেই।

-“অহনা বেগম আর আমিন সাহেব নীলকে ফারিয়ার সাথে তার রুমে নিয়ে যেতে বলে। একটু পর ফারিয়ার তার সাথে নীলকে নিয়ে যায় তার রুমে। রুমটা একটু অগোছালো রয়েছে,তাই ফারিয়া একটু তারাতাড়ি করে সবকিছু গুচাচ্ছে, একটু বেশি তারাহুরো করতে গিয়ে ফারিয়া বেডের উপর থেকে পড়ে যেতে নিলেই, নীল খপ করে তাকে ধরে ফেলে,আর ফারিয়া অপলক দৃষ্টিতে নীলের দিকে তাকিয়ে আছে। ফারিয়া হয়তো একটু জন্য বেঁচে গেলো,আজ নীল যদি তাকে না ধরতো,তাহলে পেটে থাকা বেবির কি হতো.? হয়তো ফারিয়া তার সন্তানকে শেষ রক্ষা করতে পারতো না।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘নীল ফারিয়ার কোমর চেপে তাকে ধরে আছে,আর দুজন দুজনকে অপলক দৃষ্টিতে দেখছে। দুজন দুজনের চোখের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আর মনে হচ্ছে, এই চোখ জোড়াগুলো কত চিরচেনা,কত পরিচিত তারা দুজন দুজনের। নীল নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে রাগান্বিত কন্ঠে বলতে লাগলো,এই স্টুপেড মেয়ে সবসময় এত তাড়াহুড়ো করো কেনো.? আর একটু হলে কি হয়ে যেতো। নীলের কথা শুনে ফারিয়ার সকল ঘোর কাটলো,নিজের দিকে তাকিয়ে যা দেখলো তা দেখার জন্য ফারিয়া নিজেকে একটুও প্রস্তুত করিনি। নীল তাকে পাজাকরে ধরে আছে কোমড়ে হাত দিয়ে।একটু পর ফারিয়াকে ছেড়ে দিলে ফারিয়া আবারো লজ্জা পেতে থাকে। এই মানুষটার সামনে আসলে বারবার কেনো আমার এমন হাল হয়ে যায়,কথাগুলো ফারিয়া নিজেকে বলছে। আর এই লোকটার কথায় একটুও রসকস নেই,সবসময় আমাকে বকা দেয় কথাগুলো অভিমানী সুরে বলতে থাকে ফারিয়া। এদিকে নীল এত সুন্দর একটা রোমান্টিক মূহুর্ত পেয়ে যাবে কখনো কল্পনাও করিনি।

“ফারিয়া কোনকিছু না বলে নীলকে বসতে বলে। নীল একটু মুচকি হাসি দিলো,তা দেখো ফারিয়া মুথাটা নিচু করে ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে পড়লো। হয়তো সে লজ্জা পেয়েছে। নীল বলতে লাগলো আমি তোমার সাথে একান্ত কিছু কথা বলতে চাই তাই এখানে আসা। হুম বলতে পারেন কোন সমস্যা নেই। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)তারপর নীল বলতে লাগলো,আমি চাইনা তোমাকে জোর করে বিয়ে করতে,তুমি না করলে আমি হয়তো অনেকটা কষ্ট পাবো,এর বেশি কিছু না। আমি তোমাকে সারাজীবন এর জন্য পেতে চাই। তাই তোমাকে বিয়ে করতে চাই। ফারিয়া বললো,আমি অনেক ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছি আর রাজি হয়েছি। এই বিষয়ে আমার কোন সমস্যা নেই। তবে একটা সমস্যা আছে।

“ফারিয়ার মুখ থেকে সমস্যা কথাটা শুনে কিছুক্ষণের জন্য ভাবতে থাকে,কি এমন সমস্যা.? ফারিয়াকে নিজের করে না পাওয়া পর্যন্ত নীলের মন থেকে হয়তো ভয়টা কাটবে না। হয়তো এটা হারানোর ভয়। নীল নিজেকে একটু স্বাভাবিক করে বলতে লাগলো,কি সমস্যা.? তখুনি ফারিয়া বলে,আমি চাই আমার পেটে থাকা বাচ্চাটা পৃথিবীর আলো দেখার সাথে সাথে আতিক এর সাথে আমার ডিভোর্সটা আইনগতভাবে কার্যকার করতে। আমি চাইনা আমার পেটে থাকা বাচ্চাটা যে আতিক এর, এই কথাটা আতিক কোনদিন যেনো না জানতে পারে। বিশেষ করে তার জ্ঞান বুদ্ধি জাগ্রত না হওয়া পর্যন্ত। আতিক যদি জানতে পারে আমার সন্তানকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে যাবে। কথাগুলো বলতে বলতে ফারিয়ার চোখ বেড়ে নোনাজল গড়িয়ে পড়তে দেখে,নীল পকেট টিস্যু বের করে ফারিয়ার চোখ থেকে জলগুলো মুছিয়ে দিলো। একদম কান্না করবে না আজকের পর থেকে। এখন তুমি আমার, তাই আমি তোমাকে কোনদিনও চোখের জল ফেলতে দিতে পারিনা। তোমার ভালো খারাপ, সময়ে পাশে থাকা আমার দায়িত্ব। আর তোমাকে এত চিন্তা করা লাগবে না,আমি সবকিছুর ব্যবস্থা করবো। যদি এখন করা যেতো তাহলে আমি আইনগত ভাবে ডিভোর্সটা কার্যকর করতাম। কিন্তুু এখন সম্ভব না। আর কখনো বলবে না,যে সন্তানটা আতিক নামক নরপশুর।

-এই সন্তানটা নীল চৌধুরীর এটা মাথায় রাখবে আজকে থেকে। নিজের প্রতি খেয়াল রেখো এই কয়দিন,তারপর তোমাকে ওই বাড়িতে নিয়ে যাবো। তখন সবকিছু আমি দেখে রাখবো। একটু পর নীল ফারিয়ার চোখজোড়ার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে মনে মনে বলতে থাকে,

-আকাশে বাতাসে উড়ছে শিউলি ফুলের গন্ধ..!
-ভালোবাসায় নেই কোন পাপ,তাহলে লোকে
কেনো বলে মন্দ.?
-লোকের কথা দিওনা কান, লোকে তো বলবেই মন্দ..!
-তার সত্বেও তোমার আমার ভালোবাসা চিরকাল চলবেই..!

‘একটু পর নীল ফারিয়াকে বলে আজ উঠি। কালকে তুমি রেডি হয়ে থেকো। ভার্সিটি যাওয়ার জন্য। আমি তোমাকে নিয়ে যাবো। আর যদি যেতে ইচ্ছে না হয় তাহলে আমার নাম্বারে কল দিয়ে জানিয়ে দিবে কেমন। ফারিয়া বলে আচ্ছা। নীল চলে যেতেই নিলেই,ফারিয়া বলে একটু শুনুন। নীল পিছনে ফিরতেই ফারিয়া বলে উঠে, সাবধানে বাসায় যাবেন,তারপর আমার নাম্বারে একটা কল দিবেন। ফারিয়ার মনে হয়তো নীলের জন্ম ভালোবাসার জন্ম নিচ্ছে। আর নেয়ারি তো কথা। যে মানুষ ফারিয়ার খারাপ সময়ে পাশে রয়েছে,তার প্রতি একটু হলেও তো মায়া জন্মানোর কথা। আতিক নাম নরপশু না চলে গেলো ফারিয়া হয়তো সত্যিকারের ভালোবাসার একজন মানুষ একজনকে কতটা ভালোবাসতে পারো তা কখনো উপলব্ধি করতে পারতো না। নীল ফারিয়ার রুম থেকে মুচকি হাসতে হাসতে চলে যায়,আজ তার জীবনের একটা স্মরণীয় দিন। নীল পেরেছে তার ভালোবাসাকে জয় করতে। অহনা বেগম ও আমিন সাহেবের থেকে বিদায় নিয়ে রওনা দিলো বাসার দিকে।

“নীল চলে যাওয়ার পর অহনা বেগম ও আমিন সাহেব বলতে লাগলো,মেয়েটাকে নিয়ে আমরা অনেক চিন্তায় ছিলাম,যাক শেষমেষে একটা হিরার টুকরা ছেলেকে পেলাম,,জানা ছিলোনা নীলের মতো ছেলে পৃথিবীতে আছে,যে কিনা আমাদের ফারিয়ার জন্য সবকিছু করতে পারবে। উপরে একজন আছে যিনি সবকিছু দেখেন এবং শুনেন,তিনি কাউকে নিরাশ করেন না। যা কেড়ে নেয় তার থেকে উত্তম কিছু দান করেন। নীলের মতো একজন জীবনসঙ্গী ফারিয়া পাবে তা আমাদের কল্পনাও ছিলো না। আমরা তো ভেবেছিলাম বাকিটা জীবন হয়তো মানুষের কুটকথা শুনতে হবে,আমাদের শহরে আর যাওয়া হবে না। নিয়তি কখন কাকে কোথায় নিয়ে যায় তা বুঝা যে বড্ডই বেশি কঠিন।

-‘ফারিয়ার রুমে বসে আছে। ইস আজকে কি হয়ে গেলো,পড়ার আর সময় পেলাম না,নীলের সামনেই পড়তে হলো। কেনো জানি ওনার সামনেই যত সব অঘটন ঘটে আমাকে লজ্জায় পড়তে হয়। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই ফারিরর মুখের মাঝে আর ঠোঁটের কোনে একরাশ হাসির ঝলকানি চলে আসে। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)ফারিয়ার সামনে থাকা ড্রেসিং টেবিলের দিকে চোখ যেতেই ফারিয়া চমকে উঠে। তার ঠোঁটের কোনে এমন হাসি কতদিন আগে বিরাজ করেছে তার এখন মনে পড়েনা। হয়তো যেদিন প্রেগন্যান্ট ধরা পড়ে সেদিন শেষবারের মতো এমন হাসি ফুটেছিলো তার ঠোঁটের কোনে।
তবে সেই হাসিটা স্থায়ী হয়নি,আতিক তার সেই হাসিটা চিরস্থায়ী করতে চায়নি,তাকে ঠেলে দিয়েছিলো একরাশ দুঃখ, যত্ননা আর অন্ধাকার জীবনের ভেতরে। ফারিয়ার সকল ঘোর কাটিয়ে তার ফোনটা বেজে ওঠে। ফোনের স্কিনের দিকে তাকিয়ে দেখলো নীল কল করেছে।

-“হ্যালো ফারিয়া। আপনি বাসায় পৌঁছে গেছেন.?হুম কেবলমাত্র আসলাম। তুমি কি করছো.? ফারিয়া বলতে লাগলো,তেমন কিছু না বসে আছি। আপনি কি করছেন.? ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুমে আসলাম। অনেকক্ষণ কথা বলার পর দুজন ফোনটা রেখে দিলো।

_________________

‘আতিক নিমিষেই বোতল অর্ধেক করি দিলো। তা দেখে নেহাল বলতে লাগলো,কিরে আতিক এত খাচ্ছিস কেনো,এত বেশি খেলে তো বাসায় যেতে পারবি না। কিন্তুু আতিক নেহাল এর কথায় কান না দিয়ে নিজের ইচ্ছেতো অনবরত ঢোক গিলতে লাগে। আতিক এর মনে যে বড্ড বেশি কষ্ট। ফারিয়ার শূন্যতা দিনের পর দিন তাকে তাড়া করে বেড়ায়। হয়তো এটা প্রকৃতির বিচার,এর থেকে কেউ রক্ষা পায়না। নেহাল মাত্র ২ গ্লাস খাওয়ার আগেই আতিক পুরোটা শেষ করে দেয়। এটা কি করলি আতিক তুই..? আতিক ঢুলতে ঢুলতে ভুল বকা শুরু করে। ফারিয়া আমাকে মাফ করে দাও,তোমার শূন্যতা যে আমাকে ভালো থাকতে দিচ্ছে না। আমি একটু বুঝতে পারিনি,দ্বিতীয় বিয়ে করার পর তোমার সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত মিস করবো,,তোমাকে এত মায়ায় জড়িয়ে ফেলবো একটু বুঝতে পারিনি। আতিক একের পর এক ভুল বকতে থাকে। কারন সে আজ অনেকটা ড্রিংক করেছে,যা এর আগে কোনদিন করিনি। নেহাল কিছুটা হলেও আচ করতে পারে,ফারিয়ার সাথে আতিক বড় কোন অন্যায় করেছে। আতিক তাহলে কি সত্যি বলে, দ্বিতীয় বিয়ে করেছে.? না এটা হতে পারেনা,ফারিয়া মেয়েটা তো অনেক ভালো,তাহলে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে কেনো.? না না এসব হয়তো আমার ভুল ধারনা,কথাগুলো নেহাল আনমনে ভাবতে শুরু করে।
নেহাল অল্প পরিমানে ড্রিংক করেছে তাই তার কোন সমস্যা হচ্ছে না। একটু পর বিল পরিশোধ করে,নেহাল আতিক কে ধরে নিচে নেমে গাড়িতে বসে। আর আতিক অনরবত ভুল বলতে থাকে। আতিক এর মুখ থেকে শুধু ফারিয়া নামক রমনীর কথা উচ্চারিত হচ্ছিল। নেহাল আতিক এর পকেট থেকে গাড়ির চাবি বের করে ড্রাইভিং করতে থাকে।

(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“রাত প্রায় ২ টা বেজে গেছে। সামিয়া আতিক এর জন্য অপেক্ষা করছে। ফোন দিলেও কোন লাভ হয়না,ফোনটা বন্ধ দেখাচ্ছে,, সামিয়ার মনের মাঝে এক অজানা ভয় কাজ করছে। আতিক এর কোন বিপদ হলো না তো.? কথাগুলো ভাবতেই সামিয়া পুরো শরীর ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। এদিকে ছেলের জন্য নারগিস বেগমের দূচিন্তার শেষ নেই। রাত ২ টা ৪০ মিনিটে গাড়ির শব্দ পেয়ে সামিয়া একটু শান্তি পেলো। নারগিস বেগম দুইতলা থেকে নিচে নেমে এলো সাথে সামিয়াও আসলো। গাড়িটা থামিয়ে দেখতে পেলো কেউ একজন তাকে ধরে নামিয়ে আনছে। আর বারবার ফারিয়ার কথা বলছে। তা শুনে নারগিস বেগম হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে আতিকের দিকে। কি হচ্ছে আতিক এর সাথে.? একটু পর নেহাল আতিককে নিয়ে তার রুমে দিয়ে আসে,সামিয়া আতিক এর এমন হাল দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে। একটু পর নারগিস বেগম নেহাল কে একটা রুম দেখিয়ে দিয়ে আসে,রাতটুকু থাকার জন্য। অনেক রাত হয়েছে তাই নেহালও থেকে যায়।

-হঠাৎ সামিয়া নামক রমনীর,,,,

চলবে কী.?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here