#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_৮
“-আতিক আর লোকগুলোর ভেতরে চরম তর্ক চলছে এই সুযোগে ফারিয়া ওখান থেকে বেরিয়ে এসে একটা অটো দেখে চলে যায়। আজকে আর ভার্সিটিতে এসেও ভেতরে যেতে পারলো না ফারিয়া আতিক এর কারনে। আতিক আশাহত হয়। সে পারলো না ফারিয়াকে বুঝাতে।ওখানকার লোকদের কোনরকম বুঝিয়ে ঝামেলা থেকে বেড়িয়ে আসে,তখুনি তার চোখ পড়ে সামিয়া নামক রমনীর দিকে।
-ছলছল নয়নে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তারমানে এতক্ষণ সামিয়া নিষ্পলকভাবে সবকিছু দেখছিলো। সামিয়াকে দেখে আতিক ক্ষিন নরম সুরে বলতে লাগলো,
‘সামিয়া,তুমি এখানে.? কেনো আমাকে দেখে অবাক হলে বুঝি ছলছল নয়নে অভিমানের সুরে কথাগুলো সামিয়া আতিককে বলছে। প্লিজ সামিয়া জান আমাকে ভুল বুঝো না প্লিজ। সামিয়া আর কিছু না বলে দ্রুত উল্টো পথে হাটা শুরু করে।আর আতিক সামিয়ার পিছনে পিছনে যেতে থাকে।
_________
“বিশাল আকাশের নিচে হেটে চলেছে একম রমনী। বিশাল আকাশের দিকে পলকহীন ভাবে তাকিয়ে আছে। আচ্ছা এই আকাশটা অনেক বিশাল বড়।এই বিশালতার মাঝে আকাশ কি তার কষ্টগুলো নিয়ে নিবে.?যদি নিয়ে নিতো তবে অনেক ভালো হতো। আকাশের বুকে কালো মেঘ জমেছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি আকাশ তার কালো মেঘকে দূর করতে এখুনি বৃষ্টি দিবে। সেই বৃষ্টিতে ফারিয়ার চোখের জল বৃষ্টি সাথে নির্বিশেষে একাকার হয়ে যাবে। ফারিয়া একটু পর হাটু গেড়ে বসে থাকে।সে এখন মাঠের এককোণ বসে আছে। একপাশেয় রয়েছে ছোট্ট একটা পুকুর। বিশাল এই জায়গায় আপাতত কেউ নেই ফারিয়া ব্যাতীত। অতঃপর মুশল ধরা বৃষ্টি শুরু হলো। ফারিয়া বৃষ্টির পানিতে হাতদুটো মেলে দিয়ে মন উজার করে কান্না করে দিলো৷ যেই কান্না সে এতদিন কারো সামনে কাঁদতে পারিনি।
‘ফারিয়া আজ এই বৃষ্টির কাছে প্রকাশ করবে সকল দুঃখ বেদনাগুলোকে। যে দুঃখ-বেদনাগুলো এতদিন সে চেপে রেখেছিলো। তখুনি ফারিয়া অনুভব করে তার মাথার উপর কেউ একজন ছাতা মেলে ধরে আছে।ফারিয়া তাকিয়ে দেখে,নীল ছাতা হাতে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। ফারিয়াকে দেখে নীলের বুকের ভেতরে ধুক করে উঠে। ফারিয়া কী কান্না করেছে.? তার চোখ-মুখ ফুলে গেছে।
‘-নীল জরুরি কাজ শেষ করে ভার্সিটি এসে খুজতে থাকে ফারিয়াকে। ফারিয়ার ক্লোজ একটা ফ্রেন্ড এর কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে,ফারিয়া আজকে ভার্সিটি আসিনি। আসিনি মানে কি.? আমি নিজেই তো ওকে লাবিয়ে দিয়ে গিয়েছি ভার্সিটির সামনে। তাহলে কী ফারিয়ার কোন বিপদ হলো। নীলের মনের মাঝে একরাশ ভয়ের জন্ম নিলো। আর দেরি না করে সে আশেপাশে খুজতে লাগে,খুজতে খুজতে কিছু দূরে যেতেই,চোখ পড়ে বৃষ্টির ভেতরে কেউ জেনো বসে আছে। নীল গাড়িতে থাকা ছাতা মিলে দিয়ে দেখতে যায় বৃষ্টির মাঝে কে বসে থাকতে পারে। কয়েক কদম হাটার পর দেখতে পায় কোন একটা মেয়ে বসে আছে। নীল আরেকটু কাছে যেতে স্পষ্ট বুঝতে পারে এটা ফারিয়া। নীল তখুনি ফারিয়ার মাথায় ছাতা মেলে ধরে।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
“নীল রাগান্বিত কন্ঠে বলতে থাকে, বৃষ্টিতে এভাবে বসে আসো কেনো পাগলের মতো। তোমার মাথা ঠিক আছে.? আমার তো মনে হয়না তোমার মাথা ঠিক আছে। এভাবে বসে বসে বৃষ্টিতে ভিজলে তো জ্বর চলে আসবে। বেবির যদি কোন ক্ষতি হয় তখন কি হবে.? নীল ফারিয়ার দিকে হাত বাড়িয়ে দেয় উঠার জন্য। ফারিয়া নীলের হাত ধরে উঠে পড়ে। তারপর নীলের সাথে গাড়িতে বসে বলতে থাকে। তোমাকে না বলেছিলাম,আমি না আসা পর্যন্ত একা একা চলে আসবে না,আমার কথাগুলো কি তোমার ভালো লাগেনা.? ফারিয়া নরম কন্ঠে সরি বলে। আর এমনটা হবেনা। নীলও তাকে আর কিছু বলেনা। গাড়ির ভেতরে বসে আছে দুজন,ফারিয়া গাড়ির ভেতর থেকে বৃষ্টি পড়া দেখছে অপলক দৃষ্টিতে। হঠাৎ আকাশটা চিরিক মেরে বিদ্যুৎ চমকায়( আকাশটা ডেকে ওঠে) ফারিয়া নীলকে জড়িয়ে ধরে। কারন ফারিয়া ছোট থেকে বিদ্যুৎ চমকানো ভয় পেতো। এর আগে আকাশে মেঘ দেখলেই সে তার মায়ের রুমে গিয়ে কানে হাত চেপে বসে থাকতো। আর তার মাকে জড়িয়ে ধরবো। মোটকথায় অনেকটা ভয় পেতো। ফারিয়ার ভেজা শরীরে জড়িয়ে ধরায় সংস্পর্শে নীলের পুরো শরীরে অন্যরকম একটা অনুভূতির জাগ্রত হয়। নীলের শরীরে প্রথমবারের মতো কোন মেয়ের স্পর্শ পেলো। নীল চুপচাপ মেরে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে ড্রাইভিং করছে। নীলেরও ইচ্ছে করছে ফারিয়াকে জড়িয়ে ধরতে। কিন্তু আফসোস, সে এখন পারবে না। একটু পর ফারিয়া সুন্দর একটা পারফিউম এর সুগন্ধির ঘ্রাণ পেয়ে অনুভব করতে লাগলো,কারো বুকে তার মাথা রয়েছে,ফারিয়া তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে ফেললো। এক ঝটকায় সে দূরে সরে গেলো। ফারিয়ার মুখ লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।
-‘এটা আমি কি করলাম.? আমি আর জড়িয়ে ধরার কাউকে পেলাম না,শেষমেষে নীলকে জড়িয়ে ধরলাম। না জানি ওনি আমাকে কি ভেবে বসবে। ফারিয়ার মনে হতে থাকে,যখন সে নীলের বুকে মাথা রেখেছিলো,তার মনে হচ্ছিল,সে কোন একটা নিরাপদ জায়গায় ঘুমাচ্ছে। খুব একটা নিরাপদ আশ্রয় মনে হচ্ছিল। কেনো ফারিয়ার এমন অনুভূতি হচ্ছে তা ফারিয়ার নিজেরও জানা নেই। আমি কি আর ইচ্ছে করে ওনাকে জড়িয়ে ধরেছি.? বিদ্যুৎ চমকানো আমি অনেক ভয় পায় তাই কোনকিছু না বুঝে ওনাকে জড়িয়ে ধরেছি কথাগুলো মনে মনে বলছে ফারিয়া।
-ফারিয়ার সকল ঘোর কাটিয়ে নীল বলতে লাগলো,লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই। নীলের কথায় আবারো লজ্জায় লাল হয়ে গেলো ফারিয়া মুখ। ফারিয়ার বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালো। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)এতক্ষণে বৃষ্টি থেমে গেছে। ফারিয়া গাড়ি থেকে নেমে পড়লো।একটু পর নীলকেও তার পিছনে পিছনে যেতে দেখে অনেকটা অবাব দৃষ্টিতে একটু যেতেই থেমে যাই ফারিয়া। আ, আপনি কোথায় যাচ্ছেন.??
‘কেনো আমি কি তোমার সাথে বাসার ভেতরে যেতে পারিনা.?? না মানে বিষয়টা এমন না,হঠাৎ এভাবে আমার সাথে,, কলিং বেল বাজাতেই ফারিয়ার মা দরজাটা খুলে আমাকে দেখে অনেকটা চমকে গেলো। নীলকে দেখে ফারিয়ার মা ভেতরে আসতে বললো। আর ফারিয়াকে দেখে অনেকটা অবাক হয় তার মা,কারন ফারিয়ার জামা-কাপড়গুলো ভিজে রয়েছে। নীল ভেতরে গিয়ে সোফায় বসলো। ফারিয়াকে একটু পাশে নিয়ে গিয়ে, কিরে ফারিয়া তোর জামা-কাপড় ভিজে কেনো.?কোন বিপদ হয়েছে কি.? আসলে মা আসার পথে হঠাৎ বৃষ্টি, তাই একটু ভিজে গেছি। কোথাও বসতে পারিস নি,,তারাতাড়ি ড্রেস চেন্জ করে নীলের জন্য নাস্তা রেডি করছি দিতে যাবি। ফারিয়া তার মাকে,মাথা নাড়িয়ে হ্যা সুচক দিয়ে সায় জানালো।
-‘একটু পর ফারিয়া তার মায়ের রুমে গিয়ে নাস্তা নিয়ে নীলের সামনে দিলো। নীল জিজ্ঞেস করলো,আংকেল কোথায় আছে একটু দেখো তারাতাড়ি পাঠাও,তার সাথে জরুরি কিছু কথা বলার জন্যই এখানে আসা। ফারিয়া তার মায়ের রুমে গিয়ে বললো,মা নীল বাবাকে ডাকছে। আচ্ছা তুই তোর রুমে যা আমি তোর বাবাকে ডেকে দিচ্ছি। কিগো শুনছো,নীল এসেছে তোমার সাথে জরুরি কিছু কথা বলবে কথাগুলো ফারিয়ার বাবা আমিন সাহেবকে বলছে ফারিয়ার মা অহনা বেগম। আচ্ছা যাচ্ছি বলে,ফারিয়ার বাবা আমিন সাহেব নিজের এলোমেলো চুলগুলো আয়নার সামনে দাড়িয়ে চিরোনী দিয়ে ঠিক করে অগ্রসর হলো নীলের দিকে। নীল সোফাই বসে আছে। অহনা বেগমও আমিন সাহেবের পিছনে পিছনে আসতে থাকে । নীল দেখতে পেলো তারা আসছে,কাছে আসতেই তাদেরকে সালাম দিলো। ভালো মন্দ সব কথা শেষ করলো।
‘আংকেল কিছুদিন আগে আপনি কিছুদিন সময় চেয়েছিলেন বিষয়টা ভাবার জন্য। আপনি যা সময় চেয়েছিলেন তার থেকে বেশি সময় দিয়েছি আমি,আশা করবো আপনারা সঠিক সিদ্ধান্তটা নিতে পেরেছেন। আমি আপনাদের মনের সিদ্ধান্তটা শুনতে চাই আপনাদের নিজের কাছ থেকে।
-“আমিন সাহেব একটু পর গলা খাকড়িয়ে নরেচরে বসে বললেন,বাবা আমরা তোমার সাথে ফারিয়াকে বিয়ে দিতে রাজি আছি। তবে একটা সমস্যাও আছে। আমিন সাহেবের মুখ থেকে সমস্যা কথাটা শুনে নীল অনেকটা অবাক হয়ে গেলো। নীল বলতে লাগে,কী সমস্যা বলতে পারেন। ইসলামী শরিয়তের মতে সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় ডিভোর্স দিলে তা ডিভোর্স হয়না,যতদিন পর্যন্ত সন্তানটা না হচ্ছে। আবার এই অবস্থায় যদি তোমার সাথে ফারিয়ার বিয়ে দিয় তাহলে এটা হারাম বিয়েতে পরিনত হবে। আমি কি করবো কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না,এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও কি করবে, আমি বিষয়টা বুঝে উঠতে পারছি না। আবার ফারিয়া রাজি হবে কিনা তাও আমাদের জানা নেই,কথাগুলো নীলের দিকে ছুড়ে মারলো আমিন সাহেব।
-‘এদিকে ফারিয়া দরজায় হেলান দিয়ে সব কথা শুনছে। ফারিয়া মনে মনে বলছে,আমি আমার ছেলেকে নিজের পরিচয় দিতে সবকিছু করতে পারবো। না হলে যে আমার সন্তান এই সমাজের আর স্বার্থপর পৃথিবীর মানুষের কুটকথায় মারা যাবে,অন্য বাচ্চাদের মতো স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবে না। আমি তাকে বাবার পরিচয়ে বড় করবো,যাতে করে আতিক এর মতো স্বার্থপর আর বেঈমানকে আমার সন্তানকে বাবা বলে একটা দিন হলেও জানতে না পারে। আমি চায়না আতিক যে তার বাবা এই বিষয়টা সে নিজের পায়ে না দাড়ানো পর্যন্ত জানতে পারুক।
“নীল আমিন সাহেব ও অনহা বেগমকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,বিষয়টা আমি বুঝতে পারছি,আমি মনে করি ফারিয়ার পেটে থাকা সন্তানটা আমার।আমি তাকে নিজের ছেলের পরিচয়ে বড় করতে চাই। (লেখক_আহম্মেদ_নীল)যেহেতু ইসলামীক শরিয়তে সন্তান না হওয়া পর্যন্ত ডিভোর্স কার্যকর হবেনা। তাই আমি এখন বিয়ে করবো না। আমি অপেক্ষা করবো,তবে আমার একটা শর্ত আছে। আমিন সাহেব কৌতুহল হয়ে জানার আগ্রহও আরো বেড়ে গেলো। আমিন সাহেব বলতে লাগলো,কি শর্ত.?
“নীল বলতে লাগলো,আমি চাই ফারিয়াকে আমার বাসায় নিয়ে যেতে,এবং আমি তাকে দেখাশুনা করে তার পাশে থাকতে। আমার উপর এতটুকু ভরসা করতে পারেন,আমি ওকে নিজের সবটুকু দিয়ে আগলে রাখবো। কষ্টকে ওর আশেপাশে আসতে দিবোনা। নীলের এমন কথা শুনে ফারিয়ার দু নয়নের অশ্রুকে আর আটকে রাখতে পারলো না। তার অশ্রুগুলো নিজ গতিতে টপটপ করে গড়িয়ে পড়েই চলেছে,সে যেনো আজ কারো বাধা মানবে না। আমিন সাহেব নীলের প্রস্তাবে রাজি। দেখো বাবা,তুমি যেইটা বলছো আমরা মেনে নিলাম,তবে তুমি একা কিভাবে সামলাবে,তোমার তো অফিস আছে, তুমি ফারিয়াকে কেমন করে সামলাবে? এই সময়ে ফারিয়ার পাশে একজনকে সবসময় লাগবে। নীল বলতে লাগলো,একদম চিন্তা করবেন না। আমি যতটুকু অফিসে থাকবো ফারিয়াকে দেখার জন্য আলাদা মানুষ রাখা হবে।
-নীলের প্রতিটা কথা শুনছে আজ নিজের প্রতি নিজের গর্ব হচ্ছে। ফারিয়ার ইচ্ছে হচ্ছে নীলকে জড়িয়ে ধরতে অঝড়ে কাঁদতে । কিন্তু এটা সম্ভব না এখন। নীলের মতো মানুষ পৃথিবীতে এখনো আছে তা জানা ছিলোনা ফারিয়া এবং ওর পরিবারের।পরক্ষণে সে পেটে হাত দিয়ে বলতে থাকে,আমি থাকতে তোমার কোন চিন্তা নেই। তোমার মা থাকতে তোমার শরীরে একটা ফুলের টোকরাও লাগবে না। তুমি আমার জীবন। অতঃপর ফারিয়া আবার নীলের কথাগুলো শুনতে লাগে।
‘এবার আমিন সাহেব বলে এই বিষয়ে ফারিয়ার মতটা জানা খুব জরুরি। যদি সে তোমার প্রস্তাবে রাজি থাকে তাহলে আমরা আর না করবো না। নীল পড়ে গেলো চরম চিন্তায়। এখন যদি ফারিয়া রাজি না হয় তাহলে কি হবে। পরক্ষণে নীলের মনে অনেকটা মনোবল জাগ্রত হয়। তার মনে হচ্ছে ফারিয়া রাজি হবে। ভাগ্য তাকে কোথায় নিয়ে যাবে তা এখন প্রমান করে দিবে ফারিয়া।
-‘একটু পর ফারিয়ার মা ফারিয়াকে বুঝাতে চলে যায় ফারিয়ার রুমে। ফারিয়া বুঝতে পারে তাই সে রুমের ভেতরে চলে যায়। টিস্যু দিয়ে তার চোখে মুখের পানি মুছে নেয়,যাতে করে তার মা যাতে বুঝতে না পারে,সে কান্না করছিলো।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
______________
“সামিয়ার পিছনে পিছনে আতিক নামক মানুষকে হেটেই চলেছে,কিন্তুু সামিয়ার মনে অতিরিক্ত অভিমান জমে আছে। নিজের স্বামীর সাথে প্রক্তন প্রেমিকাকে রাস্তায় এভাবে কথা বলা দেখলে কার মাথায় কাজ করবে.? অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক।এদিকে ভার্সিটির সামনে রাখা আছে।সে ড্রাইভারকে বললো গাড়িটা নিয়ে বাসায় চলো যেতে। ড্রাইভার আতিক এর কথামতো গাড়িটা বাসায় নিয়ে চলে যায়। একটু পর সামিয়া একটা অটোতে উঠে চলে যায়। সামিয়া টানা পায়ে হাটায় আতিক কিছুটা পিছিয়ে পড়ে। তাই সামিয়া গাড়িতে উঠার সময় আতিক তার নাগাল পেলো না। রাগে আতিক এর মাথা গরম হয়ে যায়। ইচ্ছে করছে সামিয়ার মাথাট ফাটিয়ে দিতে। আতিকও একপ্রকার বাধ্য হয়ে সিনজি করে বাসার উদ্দেশ্য চলে যেতে থাকে।
‘বাসায় এসে দেখে সামিয়া বালিশে মুখ গুজে কান্না করছে।আতিক বিছানায় ব্যাগ ফেলে সামিয়ার দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই সামিয়া চিৎকার করে বলতে থাকে,
“খবরদার,,,
চলবে কী.?