#অবশেষে_পূর্ণতা
#লেখক_আহম্মেদ_নীল
#পর্ব_৫
-‘আতিক কথা বলে গাড়ির দিকে অগ্রসর হতে থাকে। আর সামিয়া পিছনে পিছনে যেতে শুরু করে। এদিকে আতিক এর মা পড়ে যায় মহা চিন্তায়।তিনি কিছুটা হলেও আন্দাজ করতে পারছে ছেলের মনে কি চলছে। যদি তার আন্দাজ ঠিক হয় তাহলে তো অনেক বড় সর্বনাশ।
“সামিয়াকে খুব যত্ন সহকারে আইসক্রিম খাইয়ে দিচ্ছে আতিক। যা আড়াল থেকে ফারিয়া ভালোভাবে দেখতে পারছে। যেখানে বাঘের ভয় সেখানে রাত হয়,তার বাস্তব প্রমান ফারিয়া নিজে। যার ছায়া দেখবে না বলে সে শহরে ছেড়ে চলে আসলো একটু দূরে, আর শেষে কিনা তার আগমন হলো একই ভার্সিটিতে। সামিয়ার ঠোঁটের কোনে আইসক্রিম লেগে গেলে,তা টিস্যু দিয়ে মুছে দেই আতিক।সকালে তারাতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফারিয়া ভার্সিটির উদ্দেশ্য রওনা দিলো। কারন আজ ভার্সিটিতে ক্লাস ভিত্তিক পরিক্ষা আছে।৪ মাসের প্রেগনেন্ট অবস্থায়ও একপ্রকার বাধ্য হয়ে তাকে ভার্সিতে যেতে হয়।
‘ফারিয়া ভার্সিটির মাঠে পা রাখতে গেলেই,তার চোখ পড়ে আতিক আর সামিয়ার সেই আইসক্রিম খাওয়ার দৃশ্যর দিকে। সামিয়া একমাত্র বাবার একমাত্র আদরের মেয়ে। আতিক এর সাথে প্রথম অবস্থায় তার বাবা তাকে বিয়ে দিতে রাজি না হলে মেয়ের জোরাজোরির কারনে একপ্রকার বাধ্য হয়ে বিয়ে দিয়ে দেয়। ছোট্ট থেকে সামিয়া যা চেয়ে এসেছে মূহুর্তের মধ্যে তা হাজির করেছে তার বাবা। সামিয়া মেধাবী হওয়ার কারনে সে ভার্সিটিতে চান্জ পেয়েছে। কিন্তুু কি নির্মম পরিহাস,ফারিয়ার যার কারনে এই শহরে পাড়ি জমালো সেই শহরেই আতিক এর আগমন ঘটলো। ফারিয়ার এক ব্যাচ সিনিয়র সামিয়া। আজকে আতিক এর সাথে সামিয়া ভার্সিটিতে আসার পথে আতিক এর কাছে আবদার করে বস,
সে আজকে আইসক্রিম খাবে।যদিও আতিক এর কোন ইচ্ছে ছিলোনা,তবুও সামিয়াকে ভার্সিটির পাশে থাকা একটা আইসক্রিমের দোকানের নিয়ে গিয়ে আতিক নিজ হাতে সামিয়াকে আইসক্রিম খাইয়ে দিতে লাগে।সামিয়ার বান্ধবীরা এই দৃশ্য দেখে হাসতে হাসতে বলে,
-‘সত্যিই যাই বলিস।আমাদের সামিয়া ভাগ্য করে এমন বর পেয়েছে।আমাদের আতিক ভাইয়া সামিয়াকে কত ভালোবাসে। হায় তাদের এই ভালোবাসায় কারো যেনো নজর না পড়ে।সামিয়া লজ্জা পায় তাদের এমন কথায়। আতিক একদম চুপ থাকে। কোথাও না কোথায় এই সবকিছু সাথে ফারিয়া জড়িয়ে আছে।আতিক এর মাঝে ফারিয়া নামক একটা শূন্যতার অনুভূতি কাজ করতে থাকে। কই তার ভালোবাসার সামিয়া তো তার সাথেই আছে। তবুও কেন তার এত শূন্যতা কাজ করছে তার ভেতর.?
“ফারিয়ার এই দৃশ্য দেখে পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে যেতে লাগে।আতিক ভেনালো আইসক্রিম খুব পছন্দ করতো ফারিয়া বিয়ের পর জানতে পারে। প্রথম অবস্থায় সে ভেনালো আইসক্রিম বানাতে না পারলেও ইউটিউব দেখে তা বানানো শিখে নেয়।(লেখক_আহম্মেদ_নীল) আতিককে ফারিয়া নিজ হাতে আইসক্রিম খাইয়ে দিতো,তখন আতিক এর মুখে বাচ্চাদের মতো লেগে যেতো। তখন খুব যত্ন সহকারে ফারিয়া মুছিয়ে দিতো। সময়ের বিবর্তনে বাস্তবতা সবকিছু কেড়ে নেয় ফারিয়ার কাছ থেকে। আচ্ছা আতিক এর কি এসব স্মৃতি একটুও মনে পড়ে.?হয়তো একটুও মনে পড়ে না। তখন ফারিয়া মনে মনে বলতে থাকে,
‘আর কতভাবে আমাকে তোমার দহনে পুড়াবে আতিক.?আর কতভাবে আমাকে শাস্তি দিবে। তোমার দেওয়া শাস্তিগুলো যে আমি আর সহ্য করতে পারছি না। আমিও যে সবার মতো রক্ত মাংশে গড়া একটা মানুষ,আমারও যে একটা মন আছে।তোমাকে ভালোবাসার অপরাধে আমাকে যে শাস্তি দিচ্ছ তা যে আমি আর নিতে পারছি না।ফারিয়া ভেতরে ভেতরে কষ্ট জর্জরিত।পরক্ষণে সে তার সন্তানের কথা ভেবে নিজেকে সামলে নিয়ে বিরবির করে বলতে লাগে, এইযে আমার বেবি তুমি কিন্তুু একদম ভাববে না যে তোমার মা দূর্বল। সে সকল অবস্থায় নিজেকে শক্ত রাখবে,অন্তত তোমার জন্য হলেও কথাগুলো ফারিয়া নিজের পেটে হাত দিয়ে বলছে।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
-“ফারিয়া কথাটি বলেই উল্টো রাস্তায় হাট ধরে।আজকে সে ঠিক করে কিছুক্ষণ হাটবে।পরিক্ষা আর দিতে যাবে না। সামনে যা সুন্দর মনোরম দৃশ্য দেখলো,এতে করে তার এমন অবস্থায় হওয়াটায় স্বাভাবিক। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় হাটাহাটি করলে,তার এবং বেরির দুজনের জন্যই ভালো। ফারিয়া এই মুহূর্তে আতিক নাম প্রতারকের কথা ভাবতে চায়না বরং এখন তার সমস্ত ভাবনা তার পেটে থাকা সন্তানকে ঘিরে।
____________
‘নীল ফারিয়ার পিছন থেকে অবলক দৃষ্টিতে তাকে দেখছে ।তখুনি নীল মনে মনে বলতে লাগলো,
(লেখনিতে ফারজানা & নীল)
-কোনো বিষন্নতা যদি তোমায় ছুয়ে ফেলে ঐ আবছা নীল আাকাশের দিকে তাকিয়ে থেকো,এক ফালি রোদ এনে দেবো তোমায়.!
-বসন্তের সকালের মন খারাপে থাকলে ভোরের কোকিল হয়ে গান শোনাব..!
-গ্রীষ্মের দুপুরে দক্ষিনা হাওয়া হয়ে তোমায় ছুয়ে যাব..!
-বর্ষায় বৃষ্টি হয়ে ভিজিয়ে দিয়ে যাব..!
-শরৎকালে রংধনু হয়ে তোমার মনে রং লাগিয়ে দিবো..!
-হেমন্তের পাকা ধানের মিষ্টি গন্ধে তোমার মন ভরিয়ে দেব..!
-শীতের চাদর হয়ে তোমায় জড়িয়ে রাখব.!
-প্রেমিক হয়ে নয় বন্ধু হয়ে থাকব তোমার পাশে..!
-ভালোবেসে নয় তোমায় আমি মায়ায় বেধে রাখব..!
-কেননা ভালোবাসা একদিন ফুরিয়ে যেতে পারে,কিন্তু তোমার ঐ চোখের মায়া ফুরাবে না কখনো..!
-আমিই তোমার সপ্নের শ্যাম পুরুষ হয়ে থাকব..!
-কেননা আমার গল্পের শ্যামা পাখিটিই তুমি..!
-ভালোবাসি, ভালোবাসি, ভালোবাসি ওগো প্রিয়সী তোমায় আমি ভালোবাসি..!
-তুমিই আমার সেই নদীর তীরে এলোমেলো চুলে হেটে যাওয়া মায়াবীনি..!
-তুমি আমার “অবশেষে পূর্ণতা” পাওয়ার আশাখানি..!
“অবশেষে পূর্ণতা”
‘তার এই দেখার যেনো কোন শেষ নেই। হঠাৎ ফারিয়া পিছনে ফিরতে চনকে উঠলো এই অসময়ে নীলকে দেখে। নীলের মুখ লজ্জায় লাল হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা। এই প্রথম সে কোন মেয়ের দিকে তাকিয়ে আছে,যেমনটা একজন প্রেমিক তার প্রমিকার দিকে তাকিয়ে থাকে। নীল এখন ফারিয়াকে কি জবাব দিবে তা ভেবে উঠতে পারছে না।নীল পড়ে গেলো একটা কঠিন সিচুয়েশনে এ। আর এদিকে সুরেচ নীলের এসব কান্ডকারখানা দেখছে কয়েক কদম দূরে দাড়িয়ে।
“ফারিয়ে উঠে খোলা চুলে ওড়না দিয়ে নীলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। নীলের হৃৎস্পন্দনের গতি বেড়ে গেলো কিছুক্ষনের জন্য। চোখো থাকা সানগ্লাসটা খুলে হাতে নিলো নীল। ফারিয়া নীলকে সালাম দিলো,তারপর বলতে লাগলো,কেমন আছেন.? নীল সালাম জানিয়ে বলতে লাগলো,ভালো। হঠাৎ কি মনে করে.? আমাদের এখানে কি কোন কাজে এসেছেন.?আসলে তেমন কিছু না,এমনিতেই আসলাম। খুব ভালো করেছেন,চলুন না আমাদের বাসায়,সামনেই আমাদের বাসা কথাগুলো ফারিয়া নীলকে বলতে লাগলো। তারথেকে বরং আশেপাশে খানিকটা হাটতে পারি তুমি চাইলে। আমার কথাায় ফারিয়া রাজি হলো,তারপর দুজন হাটতে শুরু করি। কিছুটা দূরে যেতে দেখতে পেলাম,একটা ফুসকার দোকান। আমি ফারিয়াকে বলতে লাগলাম,ফুসকা খাবে.? ফারিয়া কয়েকবার না না করলেও পরে আমার জোরাজুরিতে খেতে রাজি হয়ে যায়। আসলে আমি জানি প্রতিটা মেয়ে ফুসকা পছন্দ করে (লেখক_আহম্মেদ_নীল) ফারিয়া লজ্জা না না করছিলো তা আমার বুঝতে বাকি রইলো না। ফারিয়া ফুসকা খাচ্ছে আর নীল অপরুপ দৃষ্টিতে তার মায়াভরা নিষ্পাপ মুখটার দিকে চেয়ে রয়েছে। ফারিয়া হাটতে হাটতে নীলের সাথে গল্প করছে। সন্ধা নেমে এলো শহরের বুকে। একটু পর ফারিয়াকে বিদায় জানিয়ে একপ্রকার বাধ্য হয়ে নীল বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য রওনা দিলো। সময়টা কেমন যেনো দ্রুত চলে গেলো। নীলের ইচ্ছে করছিলো ফারিয়ার সাথে আরো কিছুটা সময় কাটাতে। কিন্তুু দেখতে দেখতে সময়টা অতিদ্রুত অতিক্রম হয়ে গেলো।
-‘রাত বারোটা। রাতে ডিনার করে নীল ঘুমানোর জন্য বেডরুমে চলে যায়। নীল মাথার নিচে হাত ভাজ করে করে রেখে চিত হয়ে শুয়ে আছে।চোখের নজর উপরের দিকে। চোখে বিন্দু পরিমানের ঘুমের কোন হুদিস নেই।বারবার চোখের সামনে ফারিয়ার সাথে কাটানো সময়টার কথা মনে পড়ে যাচ্ছে নিজের মনের অজান্তেই। খোলা চুলগুলোর সেই দৃশ্যটা নীল বারবার ভাবতে থাকে। সেইটা ভাবতে ভাবতে আপনা আপনি তার হাটতা গালে চলে যায়। ঠোঁট জোড়ার মাঝে ছেয়ে গেলো সেই অদ্ভুত ভালোলাগার হাসিতে। আজকের দিনটা নীলের কাছে অনেকটা স্পেশাল ছিলো।কিছুটা ভালো লাগা আর খুশিতে ভরা। যেই খুশিটা নীল সবসময় খুজেছে। ফারিয়ার সাথে কাটানো মূহুর্ত কিংবা সময়টুকুতে নীল নিজেকে খুব প্রামন্তভাবে খুজে পেয়েছি।
(লেখক_আহম্মেদ_নীল)
‘নীলের অবচেতনা মন হঠাৎ উপলব্ধি করলো যে,এই মেয়েটা তার লাইফে স্পেশাল কিংবা মূল্যবান পারসন্স। এই মেয়েটাকে তার চাই। খুব করে চাই। এই মেয়েটা তার হারানোর সকল খুশির ঠিকানা। ফারিয়াকে ছাড়া সে একটা মুহূর্তও থাকতে চায়না। নীল কিছু একটা ভেবে মনে মনে একটা রহাস্যময় হাসি দিল।
“পরেরদিন সকালে সুরেচকে কল করে তারাতাড়ি আসতো বললো। সুরেচ বেচারা নীলে জন্য শান্তি করে ঘুমাতেও পারছে না। আবার নীলের কথা ফেলতেও পারছে না,সুরেচের পরিবারের ওর মা ছাড়া তেমন কেউ নেই। একটা সময় তারো একটা সাজানো গোছানো পরিবার ছিলো। একটা সড়ক দুর্ঘটনায় তার বাবা আর একমাত্র আদরের ছোট বোনকে হারাই। তার মা আর সে কোনরকম প্রানে বেঁচে যায়। সুরেচ একটা সময় চরম অভাব অনোটনের ভেতরে পড়ে যায়। তখন নীল তার পাশে এসে দাড়ায়। তখন থেকে একমাত্র নীলের সাথে তার ভালো একটা সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়। নীলের অফিসের কাজে সুরেচ সাহায্য করে পাশাপাশি সবকিছু দেখাশোনা দায়িত্ব সুরেচের কাধে এসে পড়ে। এখন সুরেচ নীলের রক্তের সাথে মিশে গেছে বললে বলা যায়।
-‘ফারিয়ার বাসার সামনে গাড়ি থামিয়ে সুরেচ বলতে লাগলো,নীল এত সকাল সকাল এখানে আসলি কেনো.? নীল গাড়ি থেকে নামতে নামতে বললো,নেমে আয় আগে। বাসার ভেতরে গেলি সবকিছু বুঝতে পারবি। নীল একটু পর ফরিয়াদের বাসার সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজাতেই,একটু পর একজন মহিলা এসে দরজা খুলে দিলো। নীলের বুঝতে বাকি রইলো না ওনি ফারিয়ার মা। ফারিয়ার কাছ থেকে শুনেছিলাম,তার পরিবারে তার মা,বাবা ছাড়া আর কেউ নেই। নীল ওনাকে বিনয়ী নরম কন্ঠে সালাম দিলো। তারপর বলতে লাগলো,এটা কি ফারিয়াদের বাসা.? ওনি সালামের উত্তর দিয়ে হ্যা সুচক সায় জানালো। এই ফারিয়া মা একটু তারাতাড়ি আয় তো,,কে যেনো এসেছে তোকে খুজতেছে।
‘দেখতে পেলাম, ফারিয়া তড়িঘড়ি করে চলে আসলো। আমাকে দেখে বলতে লাগলো,আরে আপনি। আসুন না ভেতরে। নীল মুচকি হেসে ফল ভেতরে ঢুকলো। ফারিয়া নীল আর সুরেচকে সোফায় বসতে বললো। ওরা দুজন সোফায় বসলো। ফারিয়া নীলের সাথে তার বাবা মায়ের পরিচয় করিয়ে দিতে লাগলো। ফারিয়ার বাবা-মা অনেক খুশি হলো। ফারিয়া তার বাবা-মায়ের সাথে নীলের উপকারের সকল কথা বলেছিলো। মেয়েকে বারবার বাঁচানোর জন্য তারা নীলের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলো।
-‘একটু পর নাস্তা দিলো। সামান্য একটা ফালি আপেল নিয়ে খেতে লাগলো নীল। আর ফারিয়া দাড়িয়ে আছে। নীল কয়েকবার আড়চোখে ফারিয়ার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলো। নীল গলা খাকড়ি দিয়ে ফারিয়ার বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে বলতে লাগলো,আপনাদের সাথে কিছু জরুরি কথা বলার জন্য মূলত আমার এখানে আসা। ফারিয়ার বাবা বলল,হ্যা বলতে পারো কোন সমস্যা নেই। এদিকে ফারিয়া রুমে চলে গেলো। একটু পর ফারিয়া রুমের দরজায় দাড়িয়ে নীলের বলা কথাগুলো শুনছে।
“নীল একটু নড়েচড়ে বসে বললো,দেখুন আমি ঘুরিয়ে পেচিয়ে কথা বলতে একদম পছন্দ করিনা। তাই সরাসরি বলছি।আমি জানি এসব বিষয়ে মুরব্বিদের কথা বলা লাগে। আমার পরিবারে বাবা,মা ছাড়া আর কেউ নেই। ওনার কিছুদিন আগে লন্ডনে গেছেন বিশেষ কাজে। নীলের এসব কথা শুনে ফারিয়া তো রিতিমতো শক খেয়ে যাওয়ার মতো উপক্রম। আসলে ওনি কি বলতে চান আর কি করতে চলেছে ওনি কথাগুলো ভাবতেই ফারিয়ার গলা শুখিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। তাই আমি নিজেই আপনাকে কথাগুলো বলছি কথাটা নীল ফারিয়ার বাবার দিকে ছুড়ে মারলো। আমি আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।
‘নীলের কথা শুনে ফারিয়ার বাবা-মা একজন আরেকজনের দিকে তাকা তাকি করতে লাগলো। ফারিয়ার বাবা নিজেকে একটু সামলিয়ে বলতে লাগলো। নীলের মুখ থেকে এমন কথা শুনে ওনি অনেকটা অবাক আর আশ্চর্য হয়ে গেলো। এদিকে সুরেচ মাত্রই পানির গ্লাসটা মুখে নিয়েছিলো,নীলের এমন কথা শুনে তার মনে হলো পানির বিপরীতে সে বিষ খাচ্ছে। ফারিয়ার মাও নীলের এমন প্রস্তাবে অনেকটা হতভম্ব হয়ে যায়।
হঠাৎ নীল,,
চলবে কী.?