#তুমি_আমার_অভিমান❤
|| পর্ব – ১৫ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি
ফজরের আজানে ঘুম ভাঙ্গলো নীরার। কারো বুকের উষ্ণতা অনুভব করে পিটপিট চোখ খুলে তাকায়। নীরা দেখে সে অভিকের বুকে শুয়ে আছে। অভিক তাকে জড়িয়ে ধরে আছে। নীরা আস্তে করে অভিকের কাছ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে উঠে যায়। বেড থেকে নেমে চুলগুলো হাত খোঁপা করে নেয়। ওয়াশরুমে যেয়ে হাত মুখ ধুয়ে অজু করে আসে। অভিকের কাছে এসে অভিককে ডাকতে থাকে।
‘শুনছেন? এই যে। উঠুন না।’
অভিক ঘুুমুঘুমু চোখ নিয়ে তাকিয়ে দেখে, নীরা মাথায় ঘোমটা দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। নীরাকে দেখে অভিক বলে,
‘এবার মনে হচ্ছে তুমি নতুন বউ।’
নীরা অভিকের কথা এড়িয়ে বলে,
‘নামাজ পড়বেন না? আমি অজু করে এসেছি। আপনি মসজিদে যান।’
অভিক উঠে নিল জলদি। তারপর রেড়ি হয়ে মসজিদে গেল। নীরা নিজের রুমে নামাজ পড়ে নিল। তসবিহ গুনতে গুনতে আবার শুয়ে পড়লো। চোখে ঘুম ভর করেছে আবার। অভিক এসে দেখে নীরাকে দেখে সে ঘুমিয়ে গেছে আবার। অভিক বিরক্ত করলো না। নীরার গায়ে কাঁথা দিয়ে দিল।
.
সকাল আটটায় নীরার ঘুম ভাঙে। নীরা ধড়ফড়িয়ে উঠে। কত বেলা হয়ে গেছে, আর সে কিনা ঘুমুচ্ছে? নীরা কোথাও অভিককে দেখতে পেল না। নীরা কোমরে শাড়ির আঁচল গুঁজে প্রথমে বিছানা ঘুছিয়ে রাখে। এরপর জানালার পর্দাগুলো মেলে দেয়। তারপর একটা ঝাড়ু দিয়ে রুমটা পরিষ্কার করে। বিয়ের পোশাকগুলো নিয়ে বারান্দায় শুকাতে দেয়। বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রাণ ভরে একটা নিঃশ্বাস নেয়৷ এরকম একটা সকাল ওর জীবনে আসবে সেটা কল্পনাও করেনি নীরা। ওকে কেউ ভালোবাসবে, আগলে রাখবে কেউ বলেনি। কিছু মানুষ আসতো, অতীতের কথা শুনলেই পালিয়ে যেত। কিন্তু অভিক! একেবারে অন্যরকম।
পিছন থেকে কেউ জড়িয়ে ধরায় হকচকিয়ে উঠে নীরা। এই কেউ টা যে অভিক তা ভালো করেই বুঝতে পারছে নীরা।
‘কি-কি করছেন।’
অভিক নীরার খোলা চুলে মুখ গুঁজে বলে,
‘তোমার চুলের ঘ্রাণ নিচ্ছি। ডিস্টার্ব করবেনা।’
নীরা পড়ে যায় অস্বস্তিতে। অভিক ওকে জড়িয়ে ধরে আছে শক্ত করে। একটু নড়তেও পারছেনা। কোনরকম নড়েচড়ে বলে,
‘ছা-ছাড়ুন! আমি কিচেনে যাবো।’
অভিক তার হাত আলগা করতেই নীরা দৌড়ে ওখান থেকে নিচে চলে গেল। অভিক আনমনে হেসে উঠলো।
কিচেনে এসে নীরা প্রথমে নাশতা বানালো। তারপর অভিকের জন্য কফি তৈরি করলো। নিজের জন্য চা। নীরা আবার চা খেতে বেশি পছন্দ করে। অভিক ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে দেখে নীরা কিচেনে আছে এখনো। অভিক এগিয়ে গিয়ে বলে,
‘হেল্প লাগবে?’
নীরা মুখে ভেংচি কেটে বলে,
‘আমার কারোর সাহায্যের প্রয়োজন হয়না। আমি একাই সব করতে পারি। বেশি কথা না বলে চেয়ারে গিয়ে বসুন। আমি আসছি।’
অভিক ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে ডাইনিং চেয়ারে বসে। নীরা এসে নাশতা দেয়। অভিক তা দেখে বলে,
‘কফি তো চলবে, কিন্তু এগুলো কি?’
নীরা বিরক্তি নিয়ে বলে,
‘আমার মাথা এগুলো। আজ থেকে এগুলোই খাবেন। আমি খাই এগুলো।’
অভিক নীরার কথা শুনে খেতে শুরু করে। আর মনে মনে বলে,
‘কি বউ রে বাবা! প্রথম দিনই হুমকি দিয়ে হাবিজাবি খাওয়াচ্ছে। না জানি আর কি কি খাওয়ায়। কোন কুলক্ষণে যে বিয়ে করতে গেলাম!’
নীরা বসে বসে চা খাচ্ছিল। অভিকের দিকে তাকিয়ে দেখে সে কিচ্ছু খেতে পারছে না।
‘আপনি খাচ্ছেন না কেন? দেখুন এগুলো খুব ভালো খাবার। আপনার কি খেতে খুব কষ্ট হচ্ছে? অহ, আমিতো ভুলেই গেছিলাম যে আপনি তো এসব খাবার কোনো দিন খাননি। আচ্ছা, খেতে হবে না। আমি আপনার জন্য অন্য খাবার বানিয়ে দিচ্ছি।’
এক নাগাড়ে কথা বলে যায় নীরা। অভিক উঠে বলে,
‘চুপচাপ বসো এখানে। খাইনি তো কি হয়েছে। অভ্যাস করে নিব সমস্যা নেই। একটু খেয়ে দেখলাম। খুব ভালো লাগলো। বউ বানিয়েছে বলে কথা। না খেয়ে উপায় আছে?’
‘কিন্তু আপনি তো…’
নীরাকে থামিয়ে দিয়ে অভিক বলে,
‘শাটআপ। খাও বলছি।’
নীরা চুপচাপ বসে খেতে শুরু করে। খাওয়া শেষ হলে সব গুছিয়ে উপরে তাদের রুমে চলে যায় নীরা। অভিক আগেই চলে গেছে। অফিসে যাওয়ার জন্য রেড়ি হচ্ছে। নীরাও রেড়ি হতে নিল। অভিক নীরাকে দেখে বলে,
‘কোথায় যাবে?’
‘অফিসে।’
‘অফিসে না গেলেও চলবে তোমার।’
‘আপনি বললে হবে নাকি? আমি একা বাড়িতে থাকবো না। আমি যাবই যাবো।’
‘কয়েকদিন দেখালাম শান্ত হয়ে থাকো, আবার কয়েকদিন দেখি রাগ দেখিয়ে কথা বলো। বুঝিনা তোমাকে।’
নীরা রেড়ি হয়ে নেয় চট জলদি। একটা সিম্পল গাউন পড়ে হিজাব বেঁধে নিল। তারপর অভিকের আগেই ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেল অফিসে। অভিক নীরার এই কাণ্ড দেখে রেগে যায়। তার সাথে না গিয়ে একা যাওয়ার কি দরকার ছিল?
.
অফিসে ইতিমধ্যেই অভিক অফিসে এসে গেছে। নীরা রিক্সা করে আসছে তাই লেইট হচ্ছে। অভিক মনে মনে নীরাকে অনেক কথাই শুনিয়ে দিয়েছে। নীরা আসে কিছুক্ষণ পর। অভিক নীরাকে দেখে বাকি সবাইকে উদ্দেশ্য করে বলে,
‘আপনাদের কিছু কথা বলার আছে আমার। আমি সব মেনে নিতে পারি, কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা আমি মেনে নিতে পারিনা। যে আমার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তার কঠিন শাস্তি আমি দিব। আপনারা যেমন আমাকে বিশ্বাস করেন, ঠিক একইভাবে আমিও যেন আপনাদের উপর বিশ্বাস রেখে কাজ করতে পারি। আপনারা হয়তো জানেন না ম্যানেজার আমাদের কোম্পানির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তাকে আমি পুলিশে দিয়েছি। তার আগে যা শাস্তি দেওয়ার দিয়েছি। আমাদের কোম্পানির নতুন ম্যানেজার নিয়োগ দেওয়া হবে।’
সবাই নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে লাগলো, কে হবে নতুন ম্যানেজার। এমন সময় অভিক একজনকে দেখিয়ে বলল,
‘ওই যে, উনিই হবেন আমাদের এই অফিসের ম্যানেজার।’
দূর থেকে শুভ্র এগিয়ে আসে। অভিকের কথা একটাও কানে যায়নি তার। অভিক আসার সময় শুভ্রকে কল দিয়ে তার অফিসে আসতে বলে। শুভ্র এ ব্যাপারে কিছুই জানে না। অভিক হুট করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়। শুভ্র কাছে আসতেই সবাই তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। শুভ্র ভ্রু কুচকে থাকে। সবাই নিজেদের ডেস্কে বসে কাজ করতে থাকে। শুভ্র জিজ্ঞেস করে,
‘কি জন্য শুভেচ্ছা জানালো তারা?’
‘তুই এই অফিসের নতুন ম্যানেজার তাই।’
শুভ্র চমকে উঠে বলে,
‘হোয়াট! দেখ, এতকিছু আমি সামলাতে পারবো না। আমার নিজের একটা জব আছে। তারউপর তোর কোম্পানির দায়িত্ব! না না।’
‘চুপ। যা বলছি তাই করবি। ভেতরে আয় কথা বললে।’
নীরা অভিক আর শুভ্র অভিকের কেবিনে ঢোকে। নীরাকে দেখে শুভ্র জিজ্ঞেস করে,
‘নীরাও আছে। বাহ্ বেশ ভালো। আজ লাঞ্চ একসাথে করবো’
অভিক কিছু বলে না। তিনজন মিলে অফিসের কাজ নিয়ে আলোচনা করে। পরে লাঞ্চ একসাথে করে শুভ্র চলে যায়। অভিক ল্যাপটপে কাজ করছিল তার কেবিনে দরজা অফ করে। নীরা অভিকের জন্য বাইরেও যেতে পারছেনা। বিরক্তি নিয়ে অভিককে বলে,
‘দরজাটা খুলুন। আমি বের হবো।’
অভিক শুনেও না শোনার ভান করে থাকে। নীরার খুব রাগ হয়। সে অভিকের একদম কাছে এসে বলে,
‘আপনি কি কানে তুলো গুঁজে রেখেছেন? দরজাটা খুলুন প্লিজ।’
অভিক ল্যাপটপ থেকে চোখ সরিয়ে নীরার দিকে তাকিয়ে বলে,
‘আমার সাথে না এসে রিক্সা করে কেন আসলে তুমি? সারাদিন আজকে এখানে আটকে রাখবো।’
নীরা কাঁদো কাঁদো মুখ করে বলে,
‘আমি আপনার সব কথা শুনবো, এখন প্লিজ আমায় যেতে দিন। ওয়াশরুমে যাবো।’
অভিক রিমোট দিয়ে দরজা খুলে দেয়। নীরা মুহুর্তেই বেরিয়ে যায়। অভিকের মোটেও ভালো লাগছে না। হঠাৎ একটা পিয়ন এসে অভিককে একটা খাম দিল।
‘স্যার এটা একজন দিয়ে গেল।’
অভিক পিয়নের কাছ থেকে খামটা নিয়ে তাকে যেতে বলে। সে চলে যাওয়ার পর অভিক খামটা খুলে দেখে। খামটা খোলার সাথে সাথেই সে চমকে যায়। যেই ম্যানেজারকে সে কাল মেরে জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে, তাকে কেউ খুন করে তার কাটা মুণ্ডুটার ছবি অভিককে পাঠিয়েছে। অভিক ভাবতে থাকে কে হতে পারে যে এই জঘন্য কাজটি করেছে? তাহলে কি অভিকের নতুন শত্রু সে?
নীরা আসার সাথে সাথেই অভিক ছবিগুলো তার ড্রয়ারে ঢুকিয়ে ফেলে। নীরাকে বলে,
‘তুমি গাড়ি করে বাসায় চলে যাও। আমি একটু পরে যাচ্ছি।’
নীরা ঘাবড়ে গিয়ে বলে,
‘আমি একা যাবো না। আমার একা খুব ভয় করে।’
বাধ্য হয়ে নীরাকে নিয়ে অভিক অফিস থেকে বেরিয়ে পরে। তারপর একসাথে গাড়ি করে বাসায় যায়।
বাসায় এসে নীরা ফ্রেশ হতে চলে যায়। অভিক নীরার অনুপস্থিতে তার একটা গুপ্তচরকে কল করে,
‘আজকের মধ্যেই আমার ম্যানেজার এর খুণ হওয়ার রহস্য সম্পর্কে সব ডিটেইলস চাই।’
গুপ্তচর কি বললো তা অস্পষ্ট। কিন্তু অভিক বেশ চিন্তিত।
নীরা বের হতেই অভিক নিজেক স্বাভাবিক রাখে। নীরার দিকে তাকাতেই থমকে যায় অভিক। একটা কালো শাড়ি পরেছে নীরা। কি ক্লিন ফর্সা গাল নীরার। লম্বা ভেজা চুলগুলো টাওয়াল দিয়ে মুছতে মুছতে অভিকের সামনে দিয়ে বারান্দায় চলে গেল৷ অভিক যেন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেল। নীরা বারান্দায় টাওয়াল শুকাতে দিয়ে রুমে চলে আসে। বাইরে যেতে নিলেই অভিক নীরার হাত ধরে নেয়। নীরা বেশ চমকে পিছনে তাকায়। অভিককে অন্যভাবে তাকাতে দেখে নীরা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে,
‘কি হয়েছে? ওভাবে তাকিয়ে আছেন কেন?’
অভিক নীরার হাত এক টানে নীরাকে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। নীরার কপালের সাথে কপাল ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করে থাকে কিছুক্ষণ। দুজনের নিঃশ্বাস দুজনের মুখের উপর বারি খাচ্ছে। অভিক মাথা শরীরে নীরার দিকে নেশালো চোখে তাকিয়ে আছে। নীরা ঢোক গিলছে বারবার। অভিকের চোখ গেল নীরার গলায় থাকা ওই কুচকুচে কালো তিলের উপর। অভিক নীরার সৌন্দর্যে মাতোয়ারা হয়ে নীরার গলায় মুখ ডোবালো। নীরা কেঁপে উঠে। অভিক নীরার ওই তিলে চুমু খাচ্ছে বারবার। অভিককে নিজের থেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে নীরা। অভিক যেন আরো শক্ত করে নীরাকে জড়িয়ে ধরে। নীরার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে থাকে। সে ঘনঘন নিঃশ্বাস নিতে থাকে। অভিকের সে দিকে হুশ নেই। সে নীরাতে মগ্ন থাকে। নীরার নিঃশ্বাস নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। সে অভিককে ধাক্কা দিয়ে নিজের কাছ থেকে সরিয়ে নেয়। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে থাকে। ফ্লোরে পড়ে যায় নীরা। অভিক নীরার এই অবস্থা দেখে ভয় পেয়ে যায়। সে নীরার কাছে গিয়ে নীরাকে ডাকতে থাকে।
‘নীরা, এই নীরা। কি হয়েছে তোমার? এই নীরা চোখ খোলো না।’
নীরার অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে। অভিক দিশেহারা হয়ে যায়। নীরাকে কোলে নিয়ে সে বাসার নিচে নামে। ড্রাইভারকে বলে গাড়ি বের করতে। গাড়িতে নীরাকে উঠিয়ে হসপিটালে নিয়ে যায় অভিক।
হসপিটালে এসে ডাক্তারের কাছে ছুটে যায় অভিক। ডাক্তার নীরাকে দেখে ইমারজেন্সী তে নিয়ে যেতে বলে৷ নীরাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। অভিক নিজেকে অপরাধী মনে করে। সে ভাবে যে তার কারণেই নীরার এই অবস্থা। আধাঘন্টা পর ডাক্তার এসে অভিককে বলে যায় নীরা এখন আগের থেকে বেটার। শ্বাসকষ্ট কমে গেছে।
অভিক নীরার কাছে গিয়ে নীরার পাশে বসে। নীরার মুখে এখনো অক্সিজেন লাগানো। নীরা অভিকের দিকে তাকাতেই অভিক চোখ সরিয়ে নেয়। নীরা অভিকের হাত ধরলে অভিক নীরার দিকে তাকায়। অপরাধী কন্ঠে বলে,
‘সরি নীরা। আমি তোমার কষ্ট দিতে চাইনি। আমার ভুল। তোমার অনুমতি ছাড়া তোমার কাছে আসার অধিকার আমার নেই। ক্ষমা করে দিও আমায়।’
নীরা অভিকের হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলে,
‘আপনার অধিকার থেকে আমি আপনাকে বঞ্চিত করবোনা। শুধু আমায় ছেড়ে কোথাও যাবেন না অভিক। আমার আপনি ছাড়া আপন কেউ নেই।’
‘সরি নীরা। কথা দিচ্ছি, তোমাকে ছেড়ে কোথাও যাবো না। আই স্টিল লাভ ইউ।’
নীরাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। ডাক্তার তাকে কিছু ঔষধ দেয়। অভিক রাতে নিজে খাবার বানিয়ে নীরাকে খাওয়ায়, সাথে ঔষধও। অভিক নীরাকে নিয়ে বেশিই সেন্সেটিভ। ঘুমানোর সময় নীরার হাতটা শক্ত করে ধরে থাকে।
চলবে…