তুমি আমার অভিমান পর্ব ১৩

0
1398

#তুমি_আমার_অভিমান❤
|| পর্ব – ১৩ ||
#লেখনীতে_বিবি_জোহরা_ঊর্মি

সকালবেলা নীরার রুমে গিয়ে তার মাসি তাকে ডেকে তুলে। সারারাত কেঁদে কেঁদে মেয়েটার চোখ দুটো ফুলে গেছে। চেহারার অবস্থা খুব বাজে হয়ে গেছে। কিন্তু সেদিকে নীরার মাসির কোনো খেয়ালই নেই। তিনি এসে নীরাকে মুখ ধুইয়ে খাইয়ে দিলেন। উনি দাঁত কিড়মিড় করে বললেন,

‘পার্লারের লোক এসে পড়বে। তাড়াতাড়ি খেয়ে আমায় উদ্ধার কর। ছেলের বাড়ির লোকজনদের সামনে একদম মুখ খুলবিনা।’

নীরার তার মাসির হাত ধরে আকুতি মিনতি করে বলছে,

‘মাসি, ও মাসি। বিশ্বাস করো আমায়। আমি কিছু করিনি। আমার আর সর্বনাশ করো না তুমি।’

‘তোর সর্বনাশ তো আগেই হয়েছে মুখপুরি।’

নীরা করুন চোখে তার মাসির দিকে তাকিয়ে বলে,

‘মাসি…।’

নীরা মাসি দরজা বন্ধ করে ওখান থেকে চলে যায়। নীরা ভাবতে থাকে। ওর কপালে বোধহয় এটাই লেখা আছে। কোনো ভাবেই এই বিয়ে সে আটকাতে পারছেনা।

.
সকালটা শুরু হয়েছিল ফজরের নামাজ পড়ে। কতদিন রবের ডাকে সাড়া দেয়নি অভিক। আজ সব কিছু ছেড়ে রবের ডাকে সাড়া দিয়েছে। নিজের প্রিয়তমা কে পাওয়ার আবদার জানিয়েছে তার রবের কাছে।

অভিক তার বাসায় বসে কফি খাচ্ছে। এমন সময় ফাহাদ আর শুভ্র এসে অভিকের পাশে বসে। অভিক ওদের দুজনকে দেখে বলে,

‘তোরা রেড়ি আছিস? এগারোটার দিকে বের হবি। তারপর কাজ সেড়ে বারোটায় কাজি অফিসে থাকবি। দুজনকে আমার বাসায় সব রেড়ি করার জন্য পাঠিয়ে দিবি৷ ক্যামেরাটা সাথে রাখিস। যা যা বলেছি সব মনে আছে তো?’

ফাহাদ বলে,

‘হ্যাঁ। কিন্তু এখনো আমার গার্লফ্রেন্ডকে বলা হয়নি।’

অভিক রেগে গিয়ে বলে,

‘ঠাস করে এক থাপ্পড় দিব। সময় নেই দেখছিস না?’

‘সরি দোস্ত। বিশ্বাস কর ওর ফোনের যে কি হলো। কলই যাচ্ছেনা। কতগুলো নাম্বার দিয়ে ট্রাই করলাম। তুই চিন্তা করিস না। ঠিক ব্যবস্থা করে নিব।’

শুভ্র তার হাত ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সময় দেখে নিল। তারপর ফাহাদকে তাড়া দিয়ে বলল,

‘দোস্ত, সময় নেই। চল রেড়ি হয়ে বের হয়ে যাই। আর অভিক! জায়গাটা কোথায় যেন?’

অভিক ওদের একটা অ্যাড্রেস দেয়। তারা সেটা নিয়েই বের হয়ে যায়। অভিক একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে।

.
পার্লার থেকে দুইটা মেয়ে এসে নীরাকে মেহেদী পরিয়ে দিচ্ছে। মীরা তখন একমনে অভিকের কথা ভাবছে। সে চলে আসার পর একবারও খোঁজ নিলনা অভিক তার। একটাবার ফোনও দিল না। নীরা ভাবছে, অভিক বোধয় সত্যিটা জেনে নীরার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। অভিক আর ওকে নিয়ে ভাববে না। ওর কেয়ার করবে না। নীরার প্রতি অভিকের আর ভালোবাসা নেই। নীরা কারো ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্যই নয়।

পার্লারের একটা মেয়ে নীরাকে জিজ্ঞেস করলো,

‘আপনার হাতে কার নাম লিখবো ম্যাম? কার কথা ভাবছেন আপনি এতো?’

নীরা আনমনে বলে,

‘অভিক স্যার।’

পার্লারের মেয়েরা ভাবছে, অভিকই বোধয় নীরার হবু বর। তাই নীরার হাতে অভিকের নাম লিখে দিল। নীরা সেটাও খেয়াল করেনি।

প্রায় দু’ঘন্টা মতো সময় নিয়ে নীরাকে বউ সাজালো তারা। নীরার হাতের মেহেদীর রঙ দেখতে গিয়ে পার্লারের মেয়েটি বলে,

‘ম্যাম, আপনার হাতের মেহেদীর রঙ তো খুব গাঢ় হয়েছে। দেখবেন আপনাকে আপনার বর খুব ভালোবাসবে।’

নীরা মলিন হেসে তার হাতের মেহেদীর দিকে তাকায়। হঠাৎ অভিকের নাম দেখে নীরা চমকে উঠে। নীরা তাদের জিজ্ঞেস করে,

‘আপনারা আমার হাতে কি নাম লিখেছেন?’

‘অভিক। কেন ম্যাম? আপনিই তো ওনার নামটা আমাদের বললেন।’

নীরা ভয়ে চুপসে যায়। নীরা হয়তো নিজের মধ্যে ছিলনা, তাই অভিকের নাম নিয়ে ফেলেছে। এখন যদি তার মাসি এটা দেখে ফেলে তো তার আর রক্ষে নেই। নীরা নিজের হাত গুটিয়ে রাখে।

পার্লারের মেয়েগুলো চলে যায়। নীরার মাসি বাইরে তাদের আশ্রমের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে রান্নাবান্নার কাজ দেখছিল। তখন বোরকা পরা দুজন এসে নীরার মাসিকে বলল,

‘কনের ঘরটা কোথায়?’

নীরার মাসি তাদের দিকে ভালো করে তাকালেন। তারপর জিগ্যেস করলেন,

‘আপনারা কারা?’

‘আমরা বর পক্ষের। তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পরবে। আমাদের বলল, একটু আগে এসে কনের সাথে থাকতে।’

নীরার মাসির কেমন যেন লাগলো। বিশেষ করে মহিলা দুটোর গলা। তবুও তিনি ধ্যান দিলেন না। ওদের নিয়ে নীরার রুমে চলে গেলেন।

তারা নীরার রুমে ঢুকেই দরজা লাগিয়ে দিল। নীরার মাসির শুধু অবাক লাগছে। তিনি কিছু বললেন না। ভাবছেন হয়তো জরুরী কথা বলবে। নীরাকে ভালো মতো বুঝিয়েছে, মনে হয়না সে মুখ খুলবে। নিশ্চিত মনে তিনি চলে গেলেন।

নীরা চুপচাপ বসে আছে। চোখ দিয়ে টুপটাপ ফোঁটা পড়ছে। নীরাকে পিছন থেকে একজন বলে উঠে,

‘আর কাঁদতে হবে না। এদিকে তাকাও।’

পুরুষালি কণ্ঠ শুনে নীরা চমকে উঠে সামনে তাকায়। আর সামনে যা দেখে নীরা তার চোখকেও বিশ্বাস করতে পারছেনা। নীরার সামনে ফাহাদ আর শুভ্র বোরকা পরে দাঁড়িয়ে আছে। নীরা বসা থেকে উঠে ওদের দেখে জিজ্ঞেস করে।

‘আ..আপনারা?’

ফাহাদ হেসে বলে,

‘হুম আমরা। তোমায় কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে এসেছি।’

নীরা ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে,

‘মানে?’

তখনই শুভ্র একটা রুমালে স্প্রের মতো কিছু একটা লাগিয়ে নীরার মুখে চেপে ধরে। নীরা গন্ধ শুকেই অজ্ঞান হয়ে যায়। ফাহাদ আর শুভ্র নীরাকে ধরে বারান্দার দিকে নিয়ে যায়। তারপর ভালো করে তাকিয়ে দেখে ওখানে কেউ আছে কিনা। কিন্তু নীরাকে কিভাবে নিচে নামাবে সেটাই ভেবে পাচ্ছেনা। নীরার বারান্দায় একটা মোটা রশ্মি দেখতে পায় ফাহাদ। সেটা নিয়ে গ্রিলের সাথে বেধে দেয়। আগে শুভ্র রশ্মি দিয়ে নিচে নামে। তারপর নীরার হাত রশ্মি দিয়ে বেধে দেয়। আস্তে করে নীরাকে নিচে ছেড়ে দেয়। শুভ্র প্রস্তুত হয়ে নীরাকে ধরে নেয়। তারপর ফাহাদকে তাড়াতাড়ি নিচে নামতে বলে। ফাহাদ নিচে নামতেই শুভ্র বলে,

‘দোস্ত, কেউ আসছে। পালা।’

ফাহাদ নীরাকে কোলে নিয়ে দ্রুত পিছনের গেইটের দিকে চলে যায়। শুভ্র তাদের পিছনে দৌড়ে দৌড়ে আসে। ওদের একটা জিপ ছিল পিছনের সাইডে রাখা। সেটায় উঠেই ওখান থেকে কেটে পরে।

.
কাজি অফিসের ভিতরে পায়চারী করছে অভিক। নিজের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে পারছেনা বলে কাজি অফিসটাই সাজিয়ে দিয়েছে। কি সুন্দর ডেকোরেশন করেছে।

কিছুক্ষণের মধ্যেই ফাহাদ আর শুভ্র নীরাকে নিয়ে কাজি অফিসে আসে। নীরাকে কোলে নিয়ে তারা কাজি অফিসের ভিতরে ঢুকে। অভিক ওদের দেখেই চিন্তা মুক্ত হয়। ফাহাদ নীরাকে একটা চেয়ারে বসায়৷ নীরা এখনো অজ্ঞান।

অভিক নীরার দিকে তাকিয়ে দেখে নীরাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে। কিন্তু চোখ ফুলে গেছে বেশ। অভিক একটা পানির বোতল থেকে কিছু পানি হাতে নিয়ে নীরার চোখে মুখে ছিটিয়ে দেয়। অভিক এসব করতে করতে ফাহাদকে বলে,

‘ফাহাদ তোর গার্লফ্রেন্ডকে কল দে জলদি।’

ফাহাদ তার গার্লফ্রেন্ডকে কল দিয়ে বলে,

‘প্রীতি তুমি কোথায়? কাজি অফিসে আসো জলদি। বিয়ে হচ্ছে, সাক্ষী হতে হবে তোমায়।’

এইটুকু বলেই ফাহাদ কল কেটে দেয়। এদিকে অভিক নীরাকে ডাকছে।

‘নীরা? এই যে, শুনছো? নীরা?’

নীরা পিটপিট চোখ খুলে তাকায়। চোখের সামনে অভিকের আবছা মুখটা দেখে ভাবে হয়তো এটা তার মনের ভুল। সে ভালো করে না তাকিয়ে চোখ বন্ধ করে বলে,

‘চলে যান অভিক স্যার। আপনি শুধুই আমার কল্পনা। বাস্তবে আর আপনি আমাকে দেখবেন না।’

অভিক নীরার কথা শুনে তাজ্জব বনে যায়। এটা কি হলো? নীরা কি সত্যিই ওকে কল্পনা ভাবছে? অভিক আলতো করে নীরার দুই গালে হাত রেখে বলে,

‘এই নীরা। ভালো করে তাকিয়ে দেখো, আমি তোমার কল্পনা নই। জলজ্যান্ত বসে আছি।’

নীরা অভিকের কথা শুনে চোখ খুলে সামনে দেখে। অভিক নীরাকে দেখে মুচকি হাসে৷ নীরা মুগ্ধ নয়নে অভিকের দিকে তাকিয়ে আছে। অভিক আজ একটা শুভ্র রঙের পাঞ্জাবি পরেছে। সাথে শুভ্র পায়জামা আর মাথায় সাদা টুপি। বার্থডের পর থেকে অভিকের গালে ছাপ দাড়ি গজিয়েছে। অভিককে দেখে একদম স্বচ্ছ পবিত্র লাগছে। অভিকের এই রুপের সাথে নীরার প্রথম পরিচয়। অভিককে দেখে সে কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে। অভিক ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করে,

‘কি দেখছো এতো?’

নীরা অভিকের কথা শুনে তার দিক থেকে চোখ সরিয়ে নেয়। অভিক এখনো নীরার গালে হাত ধরে আছে। নীরার হঠাৎ মনে হলো তার আজ বিয়ে। তাহলে সে কোথায়? নীরার এটাও মনে হলো যে ফাহাদ আর শুভ্র ওকে কিডন্যাপ করবে বলেছিল। নীরা হকচকিয়ে চারদিকে তাকিয়ে দেখে ও একটা কাজি অফিসে আছে। কাজি অফিসটা ফুলে ফুলে সজ্জিত। ফাহাদ আর শুভ্রও দাঁড়িয়ে আছে। একদিকে একটা কাজি বসে আছে। নীরার কিচ্ছু মাথায় ঢুকছে না। সে অভিককে জিজ্ঞেস করে,

‘আমি এখানে কেন স্যার? আর আপনি এই সাজে কেন?’

‘আজ আমাদের বিয়ে হবে নীরা।’

কথাটা শুনে নীরা পিলে চমকে উঠে।

‘কি বলছেন কি! আমার সাথে আপনার যায়না। মাসি খুঁজছে এতক্ষণে, কি কাণ্ডই না হয়ে যাচ্ছে ওখানে। স্যার আমাকে আশ্রমে দিয়ে আসুন।’

‘নীরা আমি তোমাকে ভালোবাসি। আমি আমার ভালোবাসাকে অন্যের হাতে কিভাবে তুলে দিব? তোমার অতীত জেনে তো তোমায় ভালোবাসিনি। তাহলে অতীতে কি হয়েছে, সেটা ভেবে আমি কেন তোমায় দূরে সরিয়ে রাখবো?’

‘আপনি বুজছেন না।’

অভিক নীরার হাত ধরে বলে,

‘নীরা, একটা কথা বলো আমায়। আমার প্রতি কি তোমার একটুও ফিলিংস নেই? আমাকে কি তোমার ভালো লাগে না?’

‘না স্যার সেটা নয়। আপনি অনেক ভালো। আপনাকে আমার ভালোও লাগে কিন্তু…’

বাকি কথা বলার আগেই নীরার মুখে হাত দিয়ে চেপে ধরে অভিক। নীরাকে থামিয়ে দিয়ে বলে,

‘তোমার যত কলঙ্ক, আমি আমার ভালোবাসা দিয়ে সব মুছে দিব। আই প্রমিস। আর কিন্তু নয়। রাজি হয়ে যাও প্লিজ। খুব কষ্ট পাবো।’

নীরা অভিকের দিকে করুণ চোখে তাকিয়ে আছে। অভিক নীরার মুখ থেকে হাত সরিয়ে উঠে দাঁড়ায়।

ফাহাদের গার্লফ্রেন্ড এসেই সোজা ফাহাদের কলার চেপে ধরে। সবাই নির্বাক। ফাহাদ স্তব্ধ।

‘অন্য মেয়েকে বিয়ে করছ আবার আমাকে বলছ তোমার বিয়ের সাক্ষী হতে? লায়ার।’

প্রীতি কেঁদেই দিয়েছে। ফাহাদ আস্তে করে প্রীতির হাত ছাড়িয়ে বলে,

‘আরে প্রীতু। আমার বিয়ে না তো। অভিকের বিয়ে। আর তোমাকে ছাড়া আমি অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো না প্রমিস।’

প্রীতি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে,

‘অভিক ভাইয়ার বিয়ে?’

ফাহাদ অভিকের দিকে তাকাতে বলে। প্রীতি তাকিয়ে দেখে একটা মেয়ে বউ সেজে বসে আছে। আর অভিকও পাঞ্জাবি পরে দাঁড়িয়ে আছে। শুভ্র এসে বলে,

‘প্রীতি তুমি আর কাউকে আনোনি?’

‘নাহ। সরি আমি দৌড়ের উপর দিয়ে আসছিলাম।’

‘সমস্যা নেই। আমি আমার ফ্রেন্ড কয়েকটাকে এনেছি। বিয়ে শুরু হোক।’

সবাই রেড়ি হয়ে কাজির সামনে বসে। কাজি বিয়ে পড়ানো শুরু করে দেন। অভিক আগে কবুল বলে। নীরা বসে আছে। কাজি নীরাকে বলছেন কবুল বলতে। কিন্তু নীরা চুপ করে আছে। অভিক নীরার দিকে তাকিয়ে বলে,

‘কবুল বলবে না? আমাদের ছেলেমেয়েকে কিন্তু বলবো যে তোর মা কবুল বলতে চায়নি।’

অভিকের মজা করা দেখে সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পরে। নীরা লজ্জায় লাল হয়ে যায়। একটু সময় নিয়ে কবুল বলে। সবাই মোনাজাত করে। তারপর যখন রেজিস্ট্রি পেপারে সাইন করতে বলে অভিক আগে নীরার দিকে এগিয়ে দেয়। নীরা কলম ঘুরায়। অভিক তা দেখে আবারও বলে

‘আমাদের বাচ্চাকে বলবো তোর মা’কে আমি কিডন্যাপ করে বিয়ে করেছি।’

নীরা ফিক করে হেসে দেয়। এতো লজ্জায় কেন ফেলছে অভিক তাকে? নীরা সাইন করে। অভিকও নীরার কাছ থেকে নিয়ে পেপারে সাইন করে। পরে একে একে সাক্ষীরা সবাই সাইন করে। কাজি বলেন বিবাহ সম্পূর্ণ। অভিক আর নীরাকে দুটি মালা দেয়া হয়। অভিক প্রথমে নীরার গলায় পরিয়ে দেয়। পরে নীরা অভিকের গলায় পরিয়ে দেয়। শুভ্র এতক্ষণ ওদের বিয়ের ভিডিও প্লাস ছবি তুলেছে। এখন ওদের একসাথে দাঁড় করিয়ে বিভিন্ন পোজে ছবি তুলছে।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here