শ্যামাঙ্গণা-১৬

0
393

শ্যামাঙ্গণা-১৬
————-

কিছু কিছু সময় থাকে যখন আমরা স্বপ্ন জগতে বাস করি। তখন বাস্তবিক কিছুই আমাদের মাথায় কাজ করে না। সেই টুকু সময়ের জন্য আমরা অবুঝ হয়ে উঠি। সময় পেরিয়ে যায় থমকে যাওয়া অনুভূতির প্রহরে। আমরা তখন শুধু ভাবি আর ভাবি কিন্তু আসল ভাবনাটা আর বোঝা হয়ে উঠে না।

ঝুমুরের সঙ্গেও তেমনই কিছু একটা ঘটে গেছে এখন। ফাহমানের কথা শুনে সে হতবুদ্ধি অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। নিজের আবেগীয় প্রকাশকে অন্তরালে রাখা ফাহমানের এই অচেনা রূপ সে ধরতে পারছে না। এ কি তার সেই চেনা ফাহমান নাকি অন্য কেউ ? ঝুমুরকে এভাবে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাসলো ফাহমান।

‘ এভাবে দাড়িয়ে থাকবেন না মিস অঙ্গণা। আপনাকে এভাবে আরও সুন্দর লাগছে। শাড়িতে আপনাকে ভালো মানিয়েছে। কৃতিত্ব শাড়ির নয়। শাড়ি কি জানে সে কার সর্বাঙ্গ জুড়ে আছে ? জানলে হয়তো সে নিজেকে ভাগ্যবতী ভাবতো। ‘

ফাহমানের কথা শুনে ভাবনার জগৎ ছেড়ে মর্তলোকে নেমে এলো ঝুমুর। কথাগুলো যে বাস্তবিকই ফাহমান তাকে বলেছে সেটা ধরতে পেরে তার অধর জুড়ে প্রশস্ত হাসি ছড়িয়ে পড়লো। ফাহমান সেই হাসি দেখে আবারও যেন কুপোকাত হলো। বললো ‘ আমার হৃদয়ে আপনার সাধারণ হাসিও কাপন ধরায় অঙ্গণা। সে আপনি শ্যামাঙ্গণাই হন বা আলতা বরণ নারী। আমার চোখে আমার একান্ত শ্যামাঙ্গণাই সেরা সুন্দরী। ‘

সবার সঙ্গে কথা বলার মাঝেও তানিয়া শাহজাহানের সতর্ক দৃষ্টি ঝুমুর আর ফাহমানের দিকে। ঝুমুর আর ফাহমানের এত ঘনিষ্ঠতাই উনার সন্দেহকে সঠিক প্রমাণ করেছে। যদিও প্রেম ভিত্তিক সম্পর্ক তার পছন্দ নয় কিন্তু ভাগ্নির উপর তার বিশ্বাস আছে। যেখানে উনার বোন তাসনুবাই প্রেম করে জগতের শ্রেষ্ঠতম পুরুষকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছেন সেখানে তার মেয়ে হয়ে ঝুমুর কোনো ভুল করবে না এটাই তার বিশ্বাস। তাছাড়া কারোর প্রেমে পড়া তো অপরাধ নয়।

তানিয়া শাহজাহান ঠিক করলেন তার প্রিয় বোন জির এই প্রেমের সম্পর্ককে উনি স্থায়ী সম্পর্কে রূপ দিবেন। তবে সেটা ঝুমুরের এইচএসসি বোর্ড ফাইনাল শেষ হওয়ার পর। ততদিন অব্দি সম্পর্ক যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। এই ব্যাপারে সময় করে উনি ঝুমুরের সঙ্গেও কথা বলবেন।

ঝুমুর ও ফাহমানকে শুধু তানিয়া শাহজাহানই নন আরও এক জোড়া চোখ লক্ষ্য করেছে। তাদের এই ঘনিষ্ঠতা তার হৃদয়ের ঘরে দহন জ্বালিয়েছে। প্রতি নিয়ত পছন্দের মানুষটিকে নিজের প্রিয় সখীর সঙ্গে দেখে ব্যর্থতার আগুনে পুড়ছে তার হৃদয়ে। দোষটা কার ছিল ? তার নাকি ঝুমুরের ? দোষ তার ছিল না। সে তো জানতোই না তার প্রিয় সখী তারই পছন্দের মানুষকে ভালোবাসে।

দোষ ঝুমূরেরও নয়। সে তো চায়নি সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে কষ্ট দিতে। তাইতো নিজের ভালোবাসা,নিজের মনের অনুভূতির কথা লুকিয়ে গেছে। দোষ তার, ঝুমুর কিংবা ফাহমান কারোরই নয়। দোষ তার কপালের। সে জানে কপালে যা লেখা থাকে তা কখনোই খন্ডানোর নয়। তার হৃদয় যে ভাঙারই ছিল। তার কষ্ট পাওয়া যে নিয়তির লিখন। এই লিখনকে খন্ডায় কে ?

দুই চোখের অশ্রুগুলো হাতের উলটো পিঠ দিয়ে মুছে নিলো শাওমি। সে জানে তার অনুভূতি ক্ষণস্থায়ী মাত্র। সবে একদিনের ভালো লাগায় তার হৃদয় এই বিরহ যন্ত্রণা অবশ্যই সামলে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। অথচ তার সখি যার সঙ্গে সে ছোট থেকে বড় হয়েছে সে সবার সামনে কঠিন হলেও ভিতর দিয়ে যে সে একেবারেই নরম।

ঝুমুর অনেকটা নারিকেলের মতো। বাহিরে শক্ত ভিতরে নরম। ঝুমুর তার মাকে হারিয়েছে সেই কবে। এখন ফাহমানকে কেড়ে নিয়ে ঝুমুরকে শেষ করে দিতে চায় না শাওমি। ঝুমুরের মায়ের পর তো এক ফাহমান আর সেই তো আছে। তার একটা ভুলের মাশুল তিন তিনটা জীবন নষ্ট করে দিবে। তাই শাওমি নীরবে সব মেনে নিল।

—-

বাড়ি ফিরে ঝুমুর তার রুমের দিকে গেল। শাওমি তার আগেই গাড়ি থেকে নেমে ঘরে চলে এসেছে। ঘরে ঢুকে ঝুমুর দেখলো শাওমি ফ্রেশ হয়ে মুখে সিরাম দিচ্ছে। তাকে দেখে ঝুমুরও চলে গেলো ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে ঝুমুর আগামী কালের কলেজের পড়াগুলো দেখে নিল। শাওমি ততক্ষনে বিছানায় শুয়ে পড়েছে। এসে থেকে শাওমি তার সঙ্গে একটা কথাও বলেনি। ঝুমুর ধরে নিলো হয়তো জার্নি করে টায়ার্ড। এমনিতেই শাওমির জেটল্যাগ কাটেনি এখনো।

পড়াগুলো গুছিয়ে রেখে বিছানায় শুতে এলো ঝুমুর। ঘরের বাতি সব নিভিয়ে দিয়েছে সে। সে বিছানায় শুয়ে কিছুক্ষণ এপাশ ওপাশ করলো কিন্তু নিদ্রা দেবী আজ যেন ঝুমুরের চোখে ধরা দিতে চাইছে না। অনেকক্ষণ চেষ্টার পরও যখন ঝুমুরের ঘুম পেলো না তখন সে এক প্রকার বাধ্য হয়েই চোখ জোড়া খুললো। মনোযোগী দৃষ্টিতে শাওমিকে লক্ষ্য করলো।

শাওমি সোজা হয়ে কপালে হাত রেখে শুয়ে আছে। কপালে হাত রাখার কারণে সে ঘুমাচ্ছে নাকি জেগে আছে বুঝা যাচ্ছে না। ঝুমুর ভাবলো ডাক দিবে। কিন্তু তার আগেই শাওমি তাকে অবাক করে দিয়ে বললো ‘ আজকে বিয়েতে একটা ছেলেকে দেখলাম। বিশ্বাস কর আমি না ওর প্রেমে পড়ে গেছি। ওই ছেলেকে দেখে মনে হলো ওর কাছে তোর ওই টিচারও ফেইল। কিন্তু আফসোসের কথা হলো ওই ছেলেকে চিনি না আমি। ‘

শেষের কথাগুলো মেকি কান্নার ভান ধরে বললো শাওমি। ঝুমুরের সামনে অন্য কারোর প্রেমে পড়ে কাদার ভান ধরলেও সে তো জানে তার হৃদয় কার জন্য প্রতি নিয়ত কাদঁছে। কিন্তু প্রিয় সখী এবং পছন্দের মানুষটাকে সুখী করার জন্য এতটুকু সুখ বিসর্জন সেও দিতে পারে। ঝুমুর যদি তার সুখের কথা ভেবে নিজের আনন্দের কথা লুকিয়ে যায় তাহলে সে কেন পারবে না ? এভরিথিং ইজ পসিবল ফর শাওমি।

শাওমির কথায় ঝুমুর অন্ধকারের মাঝেই বিস্ফারিত চোখে তাকালো শাওমির দিকে। যেই মেয়ে সকালে এক ছেলের প্রেমে পড়ল সেই মেয়েই নাকি রাত হতে হতে আরেক ছেলের প্রেমে পড়ে গেলো। এটা আদৌ সম্ভব ? শাওমির ক্ষেত্রে তো সম্ভবই না। শাওমি এসব ব্যাপারে একেবারে খুঁতখুঁতে।

‘ আর ইউ শিওর শাওমি ? না মানে তুই তো এত সহজে কাউকে দেখে প্রেমে পড়িস না। ইউ আর ভেরি সেনসিটিভ ইন দিস ম্যাটার। ‘

ঝুমুর ইনিয়ে বিনিয়ে কথাটা বললো। শাওমি নিজ মুখে স্বীকার করলেও কেন যেন তার শাওমির মুখের কথা বিশ্বাস হচ্ছে না। যেই মেয়ে এসব ব্যাপারে এত পসেসিভ সে এভাবেই দুম করে যার তার প্রেমে পড়ে যাবে সেটা আদৌ বিশ্বাস যোগ্য তো ? তবে ঝুমুর জানে শাওমি মিথ্যা কথা বলে না এবং এই ধরনের বিষয়ে মজা করার অবকাশ তো আরও নেই। তাইতো সে এখন দ্বিধায় পড়ে গেছে।

ঝুমুরের কথায় শাওমি ওর চোখে মুখে অসহায় ভাব ফুটিয়ে তুলে বললো ‘ তুই ঠিক বলেছিস। আমি সেনসিটিভ কিন্তু তুই তো জানিস আমি এত বছর এই দিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছি। এত বছর সুযোগ থাকার পরেও কাউকে জীবনের সাথে জড়াইনি শুধু সঠিক মানুষটার জন্য। নাহলে কোরিয়ানদের জন্য বয়ফ্রেন্ড বানানো কঠিন নয়।

প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আমি তোর টিচারের প্রেমে পড়েছি। কিন্তু আজ বিয়েতে ওই স্বপ্ন পুরুষকে দেখা মাত্রই আমার মনে হলো ফাহমান নয় উনিই আমার সেই মানুষটা যার জন্য আমি এতদিন ধরে অপেক্ষা করেছি। এতদিন অপেক্ষা করার পর আমি নিশ্চই ভুল মানুষকে পছন্দ করবো না। ফাহমান মোহ ছিল কিন্তু সে আমার প্রেম। ‘

ঝুমুর শাওমির কথায় এবং তার ধরনে ভাবলো শাওমি বুঝি সত্যিই ফাহমানের মোহে পড়েছিল এবং সেই মোহ সে কাটিয়ে উঠেছে। কথাটা শুনে যেন তার ধরে পানি এলো। কলিজাটা শুকিয়ে গিয়েছিল তার। এখন অন্তত ভালোবাসার মানুষ এবং প্রিয় সখীর মাঝে পরে যাঁতাকলে পিষতে হবে না। কাউকে অজান্তে কষ্ট দিয়ে ফেলার ভয় পেতে হবে না।

তবে অজান্তে ঝুমুর আসলেই শাওমিকে কষ্ট দিয়ে ফেলেছে। এই কষ্টের কোনো পরিমাপ হয় না। পরিমাপের খাতায় তার ভার অসামান্য। শাওমি তার যন্ত্রণায় ভার হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে নীরবে চোখ বুজলো। মুখে অস্বীকার করলেও সে জানে সে ফাহমান নামক সেই প্রেমিক পুরুষে আসক্ত। তার এই আসক্তি যে আর এই জন্মে মিটবার নয়।

ঝুমুর শান্তিতে নিশ্বাস ফেললো। প্রিয় সখিকে জড়িয়ে ধরে নরম গলায় বললো ‘ চিন্তা করিস না। আমি দেখছি ওই ছেলেটার খোঁজ বের করতে পারি কিনা। তুই শুধু আমাকে তার চেহারার বর্ণনা দিস। আমি দেখি কি করা যায়। ‘
ঝুমুরের কথার জবাব দিলো না শাওমি। সত্য তো এই অচেনা সেই ছেলে নামের কাল্পনিক চরিত্রকে সে মিথ্যে অজুহাতে তৈরি করেছে। তার নীরবতায় ঝুমুর ভাবলো সে হয়তো ঘুমিয়ে গেছে। তবে তার চোখের কোল বেয়ে যে অশ্রুর ঢল নেমেছে সেটা আর দেখা হলো না ঝুমুরের।

—-

ভার্সিটির উদ্দেশ্যে বড় রাস্তায় উঠে আসতেই একটা সাদা রংয়ের গাড়ি এসে দাড়ালো হৈমন্তীর সামনে। ক্ষনিকের জন্য হৈমন্তী থতমত খেয়ে গেছিলো। তবে তার থতমত ভাব কাটিয়ে উঠতে উঠতে আসিফ গাড়ির উইন্ডো খুলে নিজের মুখ দর্শন করলো। চমৎকার হেসে বলল ‘ আসিফ জোহান থাকতে তার বিবি পায়ে হেঁটে বাসে করে কলেজ যাবে এটা সম্ভব না কখনোই। উঠে আসুন বিবিজান। আপনার শাশুড়ি মায়ের আদেশ আপনাকে যেন নিরাপদে ভার্সিটি পৌঁছে দি। ‘

হৈমন্তী কিয়ৎক্ষণ আপত্তি করলো তবে আসিফের যুক্তির কাছে তার এই আপত্তির জোর বেশিক্ষণ টিকলো না। অবশেষে সে বাধ্য হয়েই গাড়িতে আসিফের পাশের সিটে উঠে বসলো। সে উঠে বসতেই আসিফ এগিয়ে এলো তার দিকে। হুট করে আসিফকে এগিয়ে আসতে দেখে হৈমন্তী হকচকিয়ে গেল। আসিফের দিকে বিস্ফারিত চোখে তাকিয়ে আছে সে।

হৈমন্তীর এত বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে থাকা দেখে আসিফ হৈমন্তীর সিট বেল্টটা লাগিয়ে দিয়ে সরে গেলো। গাড়ি স্টার্ট দিয়ে ঘুরাতে ঘুরাতে ভ্রু কুচকে বললো ‘ এত বড় বড় চোখ করে দেখার কিছু নেই ম্যাডাম। আপনার সিট বেল্ট লাগিয়ে দেওয়ার জন্যই এগিয়েছিলাম আমি। আপনি কি ভাবলেন ? আমি আপনাকে কিছু করে বসবো ? ‘

আসিফের কথায় অসস্তিতে পড়ে গেলো হৈমন্তী। নিজের মাথায় নিজেরই গাট্টা মারতে ইচ্ছা করলো তার। কোন কুক্ষণে যে বড় বড় চোখে আসিফের দিকে তাকিয়েছিল কে জানে। না জানি আসিফ এখন তাকে কি ভাবছে। নিশ্চই তাকে খারাপ একটা মেয়ে ভাবছে যে শুধু শুধু উল্টাপাল্টা চিন্তা করে। কথা তো ভুল নয়। আসলেই সে উল্টাপাল্টা চিন্তা করে। তাদের বিয়ের দিনও তো মুহূর্তের জন্য তার মাথায় আসতে চেয়েছিল আসিফ তাকে বিয়ে করে তার অঙ্গ পাচার করে দিবে।

কতটা পাগল হলে এরকম একটা চিন্তা একজন মানুষের মাথায় আসে। হৈমন্তী জানে সে পাগল এবং অবুঝ। কিন্তু তবুও এই অবুঝ মনটাই বারবার মনে করিয়ে দেয় আদৌ সে এত সুখের ভাগীদার তো ? তার জীবনে তো সুখময় প্রাপ্তি খুব কমই। প্রথমে বাবাকে হারিয়েছে তারপর সামর্থ্য থাকার পরও দারিদ্রতায় দিনাতিপাত করে আজ এতদূর এসেছে।

হৈমন্তীকে নীরব দেখে আসিফ হাসতে হাসতে বললো ‘ তুমি দেখি আবারও ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলে। কথায় কথায় কল্পনায় হারিয়ে যাওয়া কি তোমার অভ্যাস ? আমি কিন্তু এরকম উইয়ার্ড হ্যাবিটের মানুষ আগে দেখিনি। তবে সেই দিক থেকে একটা কিছু ভালো হলো। আমি প্রফেশনে টিচার। আমার বউয়ের মাথা তার ছেড়া না হলে আমি টিচার হিসেবে ব্যর্থ। টিচারদের বউয়ের মাথার তার অবশ্যই ছিড়া থাকা উচিত। ‘

আসিফের কথায় হৈমন্তী না হেসে পারল না। সে ফিক করে হেসে দিল। তাকে হাসতে দেখে আসিফের ঠোঁটের কোণেও মৃদু হাসি চলে এলো। সে ঠোঁট জোড়া প্রসারিত করে বললো ‘ এভাবেই হাসতে থাকুন বিবিজান। মন খারাপ আপনাকে মানায় না। আসিফ জোহানের ওয়াইফ সবসময় হাসি খুশি থাকুক এটাই চায় আসিফ জোহান। ‘

আসিফের কথায় হৈমন্তীর ঠোঁটের হাসি আরও প্রসারিত হলো। আসলেই তার মুখ থেকে যেন হাসি সরছেই না। এর কারণ জানেনা সে তবে হয়তো হাসি খুশি মানুষের সঙ্গ পেয়েই তার এই অবস্থা। কথায় আছে সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। তেমনই ঘটেছে হৈমন্তীর ক্ষেত্রেও। হৈমন্তীর সদ্য বিবাহিত বর স্ত্রীকে খুশি করতে তাকে হাসাচ্ছে। এটা যেন তার হৈমন্তীর কাছে অনেক বড় একটা প্রাপ্তি।

চলবে…
মিফতা তিমু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here