শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part 23
#Maishara_Jahan
বলে চলে যায়। রুহি বেক্কেল এর মতো দাঁড়িয়ে বলছে,,,,,ঐ কি বলছো,, আমি কি বললাম আর ও কি মানে বের করলো শয়তান ছিঃ।
রুহি রুমে গিয়ে দেখে দিয়া লজ্জা পেয়ে একা একা মুশকি মুশকি হাসছে আর টেবিলে আঙুল গুড়াচ্ছে। রুহি দিয়ার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।
রুহি,,,,,,,,, কি করছিস।
দিয়া চমকে গিয়ে বলে,,,,,,,,,অহহ তুই।
,,,,,,,,,,, তাহলে কে,, আহান ভাইয়া মনে করেছিস নাকি। আমি আহান ভাইয়ার বোন আহান ভাইয়া না। এতো লজ্জা পাচ্ছিস কেনো, বিয়ের কথা শুনে।
,,,,,,,,,,হুমমম (লজ্জা পেয়ে)
,,,,,,,,অলে বাবা রে,,,,এখনি এতো লজ্জা বিয়ের পরে যখন তুই আর আহান ভাইয়া এক রুমে এক বেডে থাকবি তখন কি করবি।
,,,,,,,,ইশশশ ছিঃ,, কি বলছিস (লজ্জায় লাল হয়ে)
,,,,,,,,,, হয়ছে ভাই এতো লজ্জা পাওয়ার ও কিছু নাই বিয়ে ঠিক হয়ছে বাসর রাত না আজ।
,,,,,,,,,, রুহি চুপ করবি। আচ্ছা রিমানকে তু,,,,,,,
,,,,,,,,,চুপ একদম চুপ ওর ব্যাপারে কোনো কথা বললে তোকে আমি এখানেই মেরে ফেলবো, কিছু বলবি না তুই। ওর পিছনে গুড়তাম বলে ও কি মনে করেছে এতো সোজা আমি৷ রুহি কি জিনিস হাড়ে হাড়ে টের পাবে।
,,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,, কিরে বেটা আমার বিয়ে দিয়ে আসছিস নাকি নিজে বিয়ে করতে কোনটা।
আহান,,,,,, আরে আমি ইচ্ছা করে করছি নাকি, হয়ে গেছে।
,,,,,,,,,,তোদের সব হয়েই যা, এরকম করে করে আমার বিয়েটা হয়ে যেতে পারে না।
,,,,,,,,,হুমম,,কিন্তু আমার বোন এখনো ছোট, এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে।
,,,,,,,,,, আচ্ছা,, তাহলে দিয়া তো অনেক বড়ো,,আর সৌরভের সাথে বিয়ে হলে মেজিক করে বড় হয়ে যাবে। শালা আজকে বিয়ে দিলে কিছু দিন পড়ে মা হয়ে যাবে তোর বোন আর ও ছোট। এই বয়সে আগে মেয়েরা তিন চারটার মা হয়ে যেতো।
,,,,,,,,,,, এই ছোট্ট একটা কথার জন্য এতো বড় ভাষণ না দিলেও পাড়তি।
,,,,,,, তোর তো মনে লাড্ডু ফুটছে, কিছু দিন পড়ে বিয়ে।
,,,,,,,,,,,, আবার জিজ্ঞায়,,,(ভাব নিয়ে)
,,,,,,,,,, এতো হেঁসো না চান্দু,, আমার বিয়ে না হলে আমি তোর বিয়ে হতে দিবো না।
,,,,,,,,,,, হেহহ কিভাবে আটকাবি।
,,,,,,,, একটা কথা ভুলো, আমি সোজা কাজকে টেরা ভাবে করি আর টেরা কাজকে সোজা ভাবে সো এটা আমার জন্য কোনো বড় ব্যাপার না।
,,,,,,,,,,, আরে তুই তো শুধু শুধু রাগ করছিস, আমি তো এমনি বলছিলাম,,,রুহির বিয়ের ব্যাপারে কিছু একটা ভাবতে হবে।
,,,,,,,,,হুমম,,,গুড। ঐ এক মিনিট রুহির বিয়ে তো হচ্ছে, তুই আমার ব্যাপারে ভাব।
,,,,,,,,, আরে দূরর একি তো হলো।
,,,,,,,,, তোর আশায় বসে থাকলে আমার কপালে বিয়ে নেয়, আমাকেই কিছু করতে হবে। আর তোর বোন এতো ঘাড় ত্যাড়া কেন, আমাকে বুঝেই না।
,,,,,,,,,, এটাতে তোর যথেষ্ট ভুল আছে।
,,,,,,,,, হয়ছে ভাই জানি,, দুই ভাই বোনের ঘাড়ের একটা রগ ত্যাড়া।
বলে ওয়াশ রুমে চলে যায়।
আহান,,,,,,,,,,ঐ তাড়াতাড়ি বের হবি।
রিমান,,,,,,,, পারমু না ভাই।
আহান,,,,,,,,,, তাহলে আমাকে আগে যেতে দে ভাই পিল্জ।
রিমান,,,,,,,,, বসে বসে মনে মনে বিয়ের কথা ভাব তাহলে এসব কিছু আর মনে পড়বো না।
সবাই ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে নাস্তা করতে থাকে। এসময় সৌরভ আসে। সৌরভকে দেখে রুহি দাঁড়িয়ে যায়, রিমান হাত ধরে টান দিয়ে বসিয়ে দেয়, সবাই রিমানের দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান সবাইকে এভাবে তাকিয়ে থেকে দেখে আহানের দিকে তাকিয়ে ইশারা করে কিছু বলার জন্য। আহান অন্য দিকে তাকিয়ে খেতে থাকে, যেনো কিছু হয়নি।
রিমান,,,,,,,, (শালা বেইমান) রুহি এটা তোর ক্লাস রুম না, আর সৌরভ এখন তোর টিচার ও না তাই উঠে দাঁড়ানোর কোনো দরকার নেয়,এটাই বলছিলাম আরকি।
রুহি,,,,,,,,, হুমম এখন তো হবু হাসবেন্ড তাই না (রিমানের দিকে তাকিয়ে বড় করে একটা হাসি দিয়ে)
রিমান,,,,,,,,,,, ( ইশশ কলিজায় গিয়া লাগলো, সারা জীবন হবুই থেকে যাবে হারামজাদা) বলে এমন ভাবে খেতে থাকে জেনে সৌরভকে চিবিয়ে খাচ্ছে।
এমন সময় আহান রিমানের কাঁধে হাত রাখে রিমানকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য।
রিমান,,,,,,,,, হাত সরা না হলে এই মাংসের জায়গায় তোর হাত খেয়ে ফেলমু বলে দিলাম (বলে জোরে জোরে চিবিয়ে খেতে থাকে, রিমানের খাওয়া দেখে আহান তার হাত সরিয়ে ফেলে)
মা,,,,,,,,, সৌরভ এসো খেতে বসো।
এটা শুনে রিমান তার চেয়ারটা ঠেলে একটু রুহির কাছে নিয়ে যায়। সৌরভ রুহির সামনের চেয়ারে বসে।
রুহি,,,,,,,,হঠাৎ এখানে আসছেন যে, আমাকে বলেন ও নি।
রিমান,,,,,,,,, তোর সাথে সৌরভের ফোনে কথা হয় নাকি।
রুহি,,,,,,,, হুমম হয়,, হবে না কেনো।
রিমান,,,,,,,, (তোর মোবাইলের আমি,,,, **)
সৌরভ,,,,,,,,, আমি এখানে এসেছি রুহির আঙুলের মাপ নিতে।
রিমান,,,,,,, এতে মাপ নেওয়ার কি আছে ওর আঙুল ৫ ইঞ্চি হবে।
সৌরভ,,,,,,,,,, হাতের আংটির জন্য।
রিমান,,,,,,, এতে নিজে আসার কি হলো কাওকে পাঠালেই হতো।
আবার সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে। রিমান একটু ভালো সাজার চেষ্টা করে বলে,,,,,,,, না মানে তুমি ডক্টর মানুষ, তুমি তো অনেক বিজি তাই কষ্ট করে তোমার আসার কি দরকার ছিলো।
সৌরভ,,,,,,,, না আসল কথা হলো, রুহির সাথে একটু দেখা করতে ইচ্ছে করছিলো, কারন কারন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের কারনে তো দেখা হবে না আর তাই।
রিমান,,,,,,,,,, (জানতাম হালার নিয়ত খারাপ)
মা,,,,,,,,,, খেয়ে নাও পরে যতো খুশি কথা বলো।
সবাই খাওয়া শেষ করে। রুহি রিমানকে দেখিয়ে দেখিয়ে সৌরভকে নিয়ে উপরে যায়। রিমান শান্ত হয়ে পকেটে হাত ঢুকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আহান রিমানের কাছে এসে জিজ্ঞেস করে,,,,,,,, কেমন ফিল হচ্ছে এখন।
রিমান জোরে আহানের পায়ে পাড়া দিয়ে ধরে রাখে, আহান দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত হয়ে থাকে। রিমান শান্ত হয়ে বলে,,,,,,,,,, ঠিক এমনি লাগছে, না পারছি কিছু বলতে না পারছি কিছু করতে।
আহান,,,,,,,পা টা সরালে খুশি হতাম।
রিমান,,,,,,,,,, আমার এখন কারো খুশ সহ্য হচ্ছে না।
আহান,,,,,,,, এর থেকে ভালো এক কাজ কর, তুই গিয়ে দেখে নে কি কথা হচ্ছে।
রিমান দৌড়ে উপরে চলে যায়, গিয়ে দেখে রুহির দরজা বন্ধ। রিমানের মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়।
,,,,,,,,,
সৌরভ,,,,,,, আমরা নরমালি কথা বলতে পারি, দরজা বন্ধ করার কি দরকার।
রুহি,,,,,,,,, না হলে অনেকে ডিস্টার্ব করবে, আপনি বলেন কি বলবেন।
অনেক ক্ষন পরে দুজনে রুম থেকে বের হয়। সৌরভ চলে যায়। সৌরভকে বিদায় করে রুহি তার রুমের দিকে যাচ্ছিলো রিমান টান দিয়ে রুহিকে দেওয়ালের সাথে মিশিয়ে দেয়।
রুহি,,,,,,,, কি করছো কি।
রিমান,,,,, তুই কি করছিস হুমম,,,কি করছিলি এতো ক্ষন হুমম,,দরজা কেনো বন্ধ করলি হুমম (প্রচন্ড রাগে)
,,,,,,,, আমরা কথা বলছিলাম।
,,,,,,,,,,, দরজা বন্ধ করে কি এমন কথা বলছিলি শুনি। কি করছিলি (রুহির মুখ চেপে ধরে রুহির মুখ গুড়িয়ে গুড়িয়ে ভালে করে দেখছে)
,,,,,,,,,, কি দেখছো হুমম,,,আমি যা মনে চাই করবো তোমার কি হুমম।
রুহির মুখ চেপে ধরে বলে,,,,,,,,ভালো করে বুঝাচ্ছি বুঝে যা, না হলে অনেক কষ্ট হবে, আমার বুঝাতে না তোর বুঝতে। বিয়েটা তো আমি হতে দিবো না। দরকার পড়লে তোকে উঠিয়ে নিয়ে যাবো।
,,,,,,,,, আমিও দেখে নিবো কিভাবে আমাকে বিয়ে করো।
,,,,,,,,থাকতে পারবি তো আমাকে ছাড়া।
,,,,,,,,,শিখে নিবো।
,,,,,,,,,, আমার স্পর্শ ছাড়া অন্য কারো স্পর্শ সহ্য করতে পারবি তো।
,,,,,,,,,,,,, অভ্যাস করে নিবো।
,,,,,,,,,,, অন্য কারো বউ হয়ে অন্য কারো বাড়িতে বউ হয়ে যেতে পারবি আমাকে ছেড়ে।
,,,,,,,, নিয়তি ভেবে মেনে নিবো।
,,,,,,,,কিন্তু আমি পারবো,,, আমি ছাড়া তোকে অন্য কেও স্পর্শ করবে সেটার অভ্যাস আমি হতে দিবো না। অন্য কারো বউ হয়ে তোকে আমি থাকতে দিবো না। তুই আমার বউ হয়ে আমার বাড়িতে থাকবি।
মানিকের হাত থেকে মোবাইল পড়ে যায়,দুজনে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে, আর মানিক ওদের দিকে। মানিক মোবাইলটা উঠিয়ে বলে,,,,,, সরি,, পিল্জ কন্টিনিউ।
মানিক যেতে নেয় রিমান রুহি থেকে সরে মানিককে ডাক দিয়ে বলে,,,,,,,, তুমি কি কিছু দেখছো।
মানিক,,,,,,, না, আসলে ঘুমের মধ্যে ছিলাম তো তাই চোখে ঝাপসা দেখছি।
রিমান,,,,,,, কিছু শুনেছো।
মানিক,,,,,,,,, আসলে কিছু দিন ধরে কানে কম শুনি, মনে হয় ডক্টর দেখাতে হবে। তুমি যে এক্ষনি কি বললা সেটাই আমি শুনি নি,, আচ্ছা যায় অনেক ক্ষুধা লাগছে আমার।
রিমান,,,,,,,,, বেরি স্মার্ট বয়,, আই লাইক ইট।
মানিক,,,,,,,,,, থ্যাঙ্ক ইউ ব্রো।
রুহির রাগে রিমানকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। বিয়ের সব আয়োজন চলছে। আর এই দিকে রিমান এসব আয়োজন দেখে রাগি ফুসফুস করছে।
রিমান,,,,,,, মনে চাচ্ছে সব ফুল চিবিয়ে খেয়ে ফেলতাম।
আহান,,,,,,,, আরে তুই এটা ভাব না যে, এটা আমার বিয়ের আয়োজন হচ্ছে।
রিমান,,,,, এটা ভাবলে আমার আরো বেশি রাগ হবে।
আহান,,,,,,,কেনো।
রিমান,,,,,,,,,, আমাদের বয়স এক তাহলে আমার আগে তোর কেনো বিয়ে হবে।
রুহি,,,,,,,,,, ভাইয়া চল।
আহান,,,,,,,কোথায়।
রুহি,,,,,,,, আমার আর রুহির জন্য লেহেঙ্গার অর্ডার দিতে হবে। তাই ডিজাইনার এর কাছে যাবো।
রিমান,,,,,,,, আমিও যাবো।
রুহি,,,,,,, কোনো দরকার নেয়।
রিমান,,,,,,,, আমি তোর সাথে না, আমার বন্ধুর সাথে যাবো, কারন ওর ও তো শেরওয়ানির অর্ডার দিতে হবে, আর সেটা আমি ঠিক করবো, তাই না আহান।
আহান,,,,,,,,একদম ঠিক ওকে ছাড়া তো আমি যেতেই পারবো না।
রুহি,,,,,,,, অফফ,,, চল দিয়া।
রুহি গিয়ে পিছনের সিটে বসে, রিমান ও গিয়ে পিছনের সিটে বসে।
রুহি,,,,,,,, এই উঠো উঠো, এখানে দিয়া বসবে।
রিমান,,,,,,, দিয়া অলরেডি বসে গেছে আহানের সাথে।
রুহি,,,,,,, এই দিয়া তুই এখানে এসে বস।
দিয়া,,,,,,,, চুপচাপ বসে থাক না,, আমি পিছনে এখন যেতে পারবো না।
রুহি,,,,,,,, আহাহাআ,, কিছু ক্ষন আগে তো বিয়ে বিয়ে বলে লজ্জায় লাল নীল হচ্ছিলি, মুখ দিয়ে কথায় বের হচ্ছিলো না, এখন কি হলো ভাই।
দিয়া,,,,,,, ইশশশ রুহি চুপ কর না।
রিমান,,,,,,,, কেনো ওদের ভালো বাসায় নিজের এতো বড় নাকটা ঢুকাচ্ছো। এই আহান ভাই গাড়ি চালানো শুরু কর তো।
আহান গাড়ি চালানো শুরু করে।
রিমান,,,,,,,,, এই পথ যদি না শেষ হয় তাহলে কেমন হতো তুমি বলো তো (গান গেয়ে)
রুহি,,,,,,, খুবি খারাপ হতো।
রিমান,,,,,,,, গানের পুরে মুডটাই নষ্ট করে দিলো।
কিছু ক্ষন পরে মলে পৌঁছে যায়। সবাই ডিজাইন দেখছে। রুহি একটা ডিজাইন ধরে জিজ্ঞেস করে,,,,,, এটা কেমন,, ভালোই লাগছে,, এটা দিবো।
রিমান,,,,,,, ভালো লাগছে এটাই দিয়ে দে।
রুহি,,,,,,,,,, আমাকে কিছু অন্য ডিজাইন দেখান পিল্জ।
রুহি,,,,,,দিয়া এটা কেমন।
রিমান,,,,,, সেই।
রুহি,,,,,,,, তোমাকে জিজ্ঞেস করছি,,, এটাও নিবো না।
রুহি একের পর এক ডিজাইন দেখাচ্ছে আর রিমান সেই সেই করছে আর রুহি রেখে দিচ্ছে। রুহি আরেকটা ডিজাইন হাতে নেয়, তখনি রিমান বলে উঠে,,,,, এটা রেখে দে, এটা ভালো লাগছে না।
রুহি,,,,,,,, এই ডিজাইনটাই দিবেন,, ঠিক এমনি যেনো হয়।
রিমান একটা হাসি দেয়।
রুহি,,,,,,,, দিয়া তোর কিছু পছন্দ হলো,আর ভাইয়া তোমার।
দিয়া,,,,,,,,,,অনেক আগে আর দিয়েও দিয়েছি আমরা।
রুহি,,,,,,,, ওহহ ভালো
রিমান,,,,,,,, বাসি, অনেক বেশি (একটা কিউট হাসি দিয়ে)
রুহি,,,,,, উফফ চল তো দিয়া।
চারজন বাহিরে বেরিয়ে আসে।
দিয়া,,,,,,, দেখ আজ দিনটা কতো সুন্দর,, মেঘলা,, আমার তো আইসক্রিম খেতে খেতে হাঁটতে ইচ্ছে করছে।
আহান,,,,,,,ঠিক আছে চলো।
আহান সবাইকে আইসক্রিম এনে দেয়। আহান আর দিয়া আগে আগে হাঁটছে। রিমান রুহির সাথে সাথে।
রিমান,,,,,,,,,, ও মটর সাইকেল, আস্তে হাট,,কাবাবে হাড্ডি কেনো হতে চাস অদ্ভুত। দেখছিস না ওরা একটু আলাদা থাকতে চাইছে।
,,,,,,,,,,, হুমম,, ঠিক আছে।
,,,,,,,,, তবে আজকে আবহাওয়াটা কিন্তু অনেক রোমান্টিক, কি বলিস।
,,,,,,,, কচুর রোমান্টিক।
,,,,,,,,,
আহান,,,,,,,তুই বলে বিয়ের কথা শুনে অনেক লজ্জা পাচ্ছিলি,, আর আমার নাম শুনেও।
,,,,,,,,, কই না তো (লজ্জায় লাল হয়ে)
,,,,,,,,, তাহলে এখন তোর গাল লাল কেনো হয়ে গেছে।
,,,,,,,,,, ওহহ এমনি।
,,,,,,,,,,,, আমার মনে হয় বিয়ে করার সিধান্ত নেওয়ার আগে ভাবা উচিত ছিলো।
,,,,,,,,,কেনো।
,,,,,,কার সাথে বিয়ে করছে, যার মধ্যে বিন্দু মাত্র সাহস নেয়। এই তুই অপারেশন করিস কেমনে।
,,,,,,,কিহহ,, আমার অনেক সাহস।
,,,,,আচ্ছা, তাহলে আমাকে কিস করে দেখা।
,,,,,,,,কিহহ,,এখানে পাগল তুমি।
,,,,,,এখানে কেও নেয়, আর রিমান রুহির কথা ভুলে যা
,,,,,,, না না পারবো না।
,,,,,,জানতাম, এতো ছোট কলিজা নিয়ে আমার বউ হবি কিভাবে, আমার সাহসী মেয়ে পছন্দ, আর তুই,,
দিয়া আহানের টাই টান দিয়ে গালে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়। কিস করে অন্য দিকে ফিরে যায়। আহান দিয়ার গালে একটা কিস করে বলে,,,,,, এবার মনে হচ্ছে তোর আমাকে বিয়ে করার যোগ্যতা আছে।
,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,,, ওদের দেখে আমার হিংসে হচ্ছে,,, নিজের বান্ধবী থেকে কিছু শিখ কাজে লাগবে।
,,,,,,,আমার কিছু শিখা লাগবে না।
,,,,,,,,,আমার লাগবে। (বলে রুহির দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্ট হাসি দেয়)
,,,,, খবরদার যদি আমার কাছে আসো তো।
,,,,,,,, হিহিহি,, আমি ও করবো কিস।
,,,,,,,,, সরো,, আমার কাছে আসলে খবর আছে।
রুহি দৌড় দেয়, রিমান রুহিকে দৌড়াতে থাকে।
রিমান,,,,,,, আজ তোকে কে বাঁচাবে হিহি।
রুহি,,,,,,,, রিমান খুব খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু,,, আম্মুওওও।
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।