#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part..3
Maishara_Jahan
দিয়া,,,,,,,,কি ভেবেছে কি, ভয়ে চলে এসেছি, একদমি না। সম্মানে খাতিরে চলে এসেছি হুহহ। পেটি হুহহ কোনো নাম হলো। এটা আবার কোথা থেকে উড়ে এসে জুরে বসলো,আল্লাহ।
দিয়া গোসল করে আসে। এসে দেখে আহান দিয়ার রুমে বসে আছে। দিয়া কিছু বলার আগেই আহান বলে উঠে,,,,,,,, আমার রুমে কেনো এসেছেন এটা বলার সাহসও করবি না। কারন বাড়িটা আমার সো রুমটা আমারি।
দিয়া,,,,,,,,,, তাই বলে একটা মেয়ের রুমে না বলে ঢুকা কি ঠিক নাকি। এখন যদি আমি ড্রেস চেঞ্জ করতে থাকতাম তখন।
আহান,,,,,,,,সেটা তোর সমস্যা আমার কি। আমি যখন খুশি আসবো তুই সাবধানে থাকবি।
দিয়া অভাক হয়ে হা করে তাকিয়ে থাকে। আহান আস্তে আস্তে দিয়ার দিকে এগোতে থাকে, এখন দিয়ার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়৷
দিয়া,,,,,,, আ আ আপনি এদিকে কেনো আসছেন।
আহান দিয়ার কাছে যায়, দিয়ার চোখের দিকে তাকায়, আস্তে আস্তে তার মাথাটা দিয়ার দিকে ঝুকায়। দিয়া শক্ত হয়ে বরফের মতো দাঁড়িয়ে আছে। আহান কিছু ক্ষন দিয়ার দিকে তাকিয়ে থেকে পরে মাথাটা বেকিয়ে দিয়ার কানে হাত দিয়ে বলে
,,,,,,,,,, কানে সাবানের ফেনা লেগে আছে কেনো, পানি ঢালিস না নাকি ঠিক করে।
দিয়া তাড়াতাড়ি সরে গিয়ে কানে হাত দিয়ে মুছতে থাকে৷
আহান,,,,,,,,, শুন ডিনারে ভালো কিছু করিস কারন পেটি ডিনার করে যাবে।
দিয়া,,,,,,,,,,পারবো না।
,,,,,,,,,কিহহ
,,,,,,,,,,,, বলছি পেটি মেম কি খাবে ডিনারে। (জোর করে হেসে)
,,,,,,,,,,,,,, জানি না, ভালো কিছু বানিয়ে দে।
বলে চলে যায়। দিয়া সেখনে দাঁড়িয়ে মনে মনে একশত একটা গালি দিচ্ছে। আহান তাড়াতাড়ি দিয়ার রুম থেকে বেরিয়ে দাঁড়িয়ে দুই তিনটা ডোগ গিলতে থাকে। আর চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা নিশ্বাস ছাড়ে।
আহান,,,,,,,,,,(আহান তুই আবার একি ভুল করিস না, তুই আবার দিয়ার দিকে এট্রাকটিভ হতে পারিস না, এখানে আমি একটা প্রবলেম ঠিক করতে এসেছি, করে চলে যাবো)
পেটি,,,,,,,,আহান ঐদিকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কি ভাবছো, এদিকে আসো তো।
আহান ও পেটির কাছে যায়, গিয়ে বসে। দিয়া রান্না ঘরে যায়, সেখানে গিয়ে শুধু তাদের দিকে দেখছে। আহান আর পেটি একটা লেপটপ নিয়ে প্রজেক্ট এর কথা বলছে।
দিয়া এটা দেখে জোরে জোরে ছুরি দিয়ে সবজি কাটছে। আর হিংস্র বাঘের মতো তাকিয়ে আছে। আহান বার বার দিয়ার আচরণ দেখছে।
আহান,,,,,,,,,,,(দিয়া কি আমাদের দেখে জেলাস ফিল করছে, কিন্তু কেনো)
আহান দিয়াকে দেখিয়ে পেটির আরো কাছে গিয়ে বসে। দিয়া এটা দেখে নিজের ঠোঁট কামরাতে থাকে।
,,,,,,,,,,,,,
রিমান শুয়ে শুয়ে অপেক্ষা করছে। তখনি রুহি একটা হাসি দিয়ে রুমে ঢুকে। আর জোরে বলে,,,,,,, আমি এসে গেছি।
রিমান ভয় পেয়ে যায়। নিজের বুকে হাত রেখে বলে,,,,,,, চুপ এতো জোরে কেও কথা বলে, এখনি আমার হার্ট বেরিয়ে যেতো।
রুহি,,,,,,,,,আরে তোমার হার্ট কি করে বের হবে, এটা তো আমার কাছে, আমি যত্ন করে রেখে দিয়েছি।
রিমান,,,,,,,, আচ্ছা, তাহলে অন্য পার্ট গুলো বাকি রেখেছিস কেনো, কিডনি, কলিজা, ফেফরা, গুর্দা সব রেখে দে। এগুলো অনেক ভারি তো তাই শরীরে রাখতে কষ্ট হয়।
রুহি,,,,,,,,,, বেশি কথা বললে না অপারেশন করে সব বের করে দিবো।
রিমান,,,,,,,, নাউজুবিল্লাহ,,,,, তুই এখানে কি করিস। এখনো বাসায় যাসনি।
রুহি,,,,,,,,আমি তোমাকে নিতে এসেছি। তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিবো।
রিমান,,,,,,,,, কোনো দরকার নেয়, আমার উপর এতো মেহের বানি করার। আমার বন্ধু আসছে, আমাকে নিতে।
রুহি,,,,,,,,,,, আসবে না, আমি না করে দিয়েছি। বলেছি আমি আসছি তাকে নিতে।
রিমান,,,,,,,, পাগল তুই,,, আমি কোথাও যাবো না, আমি এখানেই আছি কাল যাবো।
রুহি,,,,,,,,,তাহলে আজ রাতে এখানে থাকবে।
,,,,,,,,,হুমম
,,,,,,,ঠিক আছে থাকো,,, রাতে আবার ভয় পেয়ো না,, একা একা থাকতে হবে তো।
,,,,,,,,,, একা থাকতে হবে তো কি হয়ছে, সারা জীবন তো একায় থাকি,, ভয় কেনো পাবো।
,,,,,,,,, না মানে,, তোমার রুমের পাশে মৃত লাশ রাখ হয় তো তাই বললাম আরকি।
,,,,,,,,,, মৃত লাশ রাখা হয় মানে,,, লাশ রুম নাকি।
,,,,,,হুমম,, তোমার মাথার ঠিক পিছনের রুমে।
রিমান লাফ দিয়ে উঠে বসে, আর ভয়ে ভয়ে বলে,,,,,, চল মিথ্যাুক, আমাকে নেওয়ার জন্য এটা বলছিস তাই না।
,,,,,,,,,একদমি না,, তুমি চাইলে অন্য কাওকে জিজ্ঞেস করতে পারো। আর দেখো না এদিকে বেশি কেও আসে না, আর একটু পর তো কেও আসবে না।
,,,,,,,,,,,, কি বলে,, আমি এখানে থাকবো না।
,,,,,,,,,,ঠিক আছে চলো।
,,,,,,,,,,, বাধ্য হয়ে তোর সাথে যাচ্ছি, অন্য কিছু ভাববি না।
,,,,,,,,,,,ওকে ওকে।
রুহি রিমানকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। রিমান যাচ্ছে আর বলছে,,,,,,,তুই এতো খাটো কেনো রে, আমার কতোটা ঝুকে যাওয়া লাগছে।
,,,,,,,,,,, কে খাটো,, আমার লম্বা একদম ঠিক আছে, আমি ৫’৭ ওকে,, তুমি বেশি লম্বা।
,,,,,,,,,,হুমম কিন্তু আমার আরো লম্বা মেয়ে পছন্দ।
,,,,,,,,,তোমার আমার ছাড়া দুনিয়ার সব মেয়ে পছন্দ। বেশি কথা বললে এখানেই কিন্তু ছেড়ে দিয়ে চলে যাবো, তোমার সাইডে যে দরজাটা দেখছো সেটাই লাশ ঘর।
,,,,,,,,,,,চুপচাপ চল এখান থেকে।
রুহি রিমানকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাড়িতে বসায়। আর গাড়ি ড্রাইভ করতে থাকে।
রিমান,,,,,,,, গাড়িটা ঠিক ভাবে চালাস,,, আমি চাই না আমার আরো কিছু ভেঙে যাক।
রুহি,,,,,,,,,আজ তো হাড় গুড় ভেঙেই নিয়ে যাবো।
বলে জোরে গাড়ি চালাতে থাকে, রিমান তাড়াতাড়ি ভয়ে সিট বেল বেঁধে নেয় আর বলে,,,,,,,, তোর পাপ লাগবো একটা অসুস্থ মানুষকে এভাবে ভয় দেখাচ্ছিস।
রুহি,,,,,,,,, লাগুক।
রুহি জোরে গাড়ি চালিয়ে বাড়ির সামনে থামায়।
রিমান,,,,,,,,,, যাক আল্লাহ বাঁচাইছে কিছু ভাঙেনি।
রুহি নেমে রিমানকে নামায়। রিমান থেমে গিয়ে বলে,,,,,,,তুই বাসায় যা, আমার বাড়ির ভিতরে যেতে হবে না।
রুহি,,,,,,,,, কেনো কেনো, কাকে লুকিয়ে রেখেছেন ঘরে। কোনো মেয়ে টেয়েকে আবার লুকিয়ে রাখেননি তো।
রিমান,,,,,,,, একজন কেই তো সামলাতে পারছি না। তুই জানিস না বাড়িতে আমার কেও নেয়, আমি একা থাকি।
রুহি,,,,,,,,,হ্যাঁ তো,, চিন্তা করো না একা ঘরে তোমাকে খেয়ে ফেলবো না আমি। আর তোমার প্রতিও আমার পুরো বিশ্বাস আছে।
,,,,,,,,সবাইকে এতো বিশ্বাস করতে নেয়।
,,,,,,,,,,,সবাইকে না শুধু তোমাকে করি। আচ্ছা চলো।
রুহি জোর করে রিমানের বাড়ির ভিতরে নিয়ে যায়। বাড়িতে সব কিছু এলো মেলো। রুহি রিমানকে সোফায় বসায়।
রুহি,,,,,,,,, ঘরের একি অবস্থা, বাড়িতে কি কাবাডি খেলো নাকি।
,,,,,,,,,,, একা থাকি আর প্রচুর বিজি থাকি তাই এই অবস্থা।
,,,,,,,,,একা কাজের লোক রাখলেই পারো।
,,,,,,,,,, নিজে চলতে পারি না আবার কাজের লোক,, এই বাড়িটাও মা বাবা রেখে গেছে না হলে এটাও থাকতো না। আমার বাড়ি দেখে বড়ো লোক মনে হলেও আমি কিন্তু গরিব।
,,,,,,,,,,, এই জন্যই বলি আমাকে বিয়ে করে নাও, পুরো বাড়ি আর তোমাকে দুজনকেই সামলাবো। আর দেখো আমি তোমার লাইফে আসলে তুমি যে প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছো সেটা সুপার টুপার হিট হয়ে যাবে আর তুমি বিশাল বড়ো লোক হয়ে যাবে।
,,,,,,,,,,কচু হবে, এক বছরের বেশি হয়ে গেছে এই প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করছি। জানি না কবে সফল হবো। আচ্ছা এবার তুই বাসায় যা।
,,,,,,,,,আরে দূররর তুমি বসো তো, আগে আমি ঘরটা পরিষ্কার করি।
,,,,,,,,,কোনো দরকার নেয়।
,,,,,,,,, অবশ্যই দরকার আছে। আর চুপচাপ বসে থাকবা। আল্লাহ কি অবস্থা।
রুহি পুরো ঘর পরিষ্কার করছে। কখনো এখানে কাজ করছে কখনো সেখানে। আর রিমান রুহির কাজে সাহায্য করতে নিলে রুহি বকে বসিয়ে দিচ্ছে। পুরো দু ঘন্টা লাগিয়ে বাড়িটা গুছিয়ে ফেলে।
রিমান,,,,,,,, হয়েছে এবার শান্তি,, এখন যা তুই।
,,,,,,,,, এই এতো যা যা করো কেনো,,রান্নাটা করে নি,, খাবে কি।
,,,,,,,,,,,, তুই রান্না কবে শিখলি।
,,,,,,,,,,শুধু তোমার জন্য মার কাছ থেকে রান্না শিখছি।
,,,,,,,,,,, ঠিক আছে,, এখন রান্না করার কোনো দরকার নেয়,অনেক রাত হয়েছে।
,,,,,,,,, এখন মাত্র আটটা বাঝে, আর আমি বাসায় বলে দিয়েছি যে, আমার আসতে লেইট হবে।
,,,,,,,,আর আংকেল আন্টি মেনে নিলো।
,,,,,,,বলেছি হসপিটালে কাজ আছে।
,,,,,,,,, আংকেল আন্টিকে সহজ সোজা পেয়ে যা করলি। আল্লাহ মাফ করবে না তোকে।
,,,,,,,,,,যার জন্য করি চুরি সেই বলে চুর। বাহ! আচ্ছা বলো কি রান্না করবো তোমার জন্য।
,,,,,,,,,বেশি কিছু করা লাগবে না, ভাত আর ডিম ভাজি করে দে তাহলেই হবে।
,,,,,,,,দূরর রাতে এগুলো দিয়ে কে খায়। আমি তোমার জন্য মাছ রান্না করছি।
,,,,,,,,,ইশশশ এটাতে সময় লাগবে।
,,,,,,,,, যে রান্না করবে তার সমস্যা নেয় আর যে বসে বসে খাবে তার এতো কি সমস্যা কে জানে।
রুহি রান্না করছে আর রিমান আর কতো ক্ষন আর কতো ক্ষন করছে। রুহি রান্না শেষ করে টেবিলে খাবার রাখে। রিমান বসে আছে রুহি খাবার বেড়ে দিচ্ছে।
রিমান,,,,,,,, এক কাজ কর তুইও বসে পর, খাবার খেয়ে পরে যা৷
রুহি সাথে সাথে বসে বলে,,,,,,,,ঠিক আছে।
রিমান,,,,,,,,, আব্বে বেশরম একবার না তো করবি নাকি।
,,,,,,,,,,কেনো করবো, কিছু দিন পরে আমাকে এখানেই আসতে হবে।
রুহি খাবার খেয়ে নিজের তারিফ নিজে করছে,,,,,বাহহ আমার হাতে তো জাদু আছে, কি টেস্টি খাবার বানিয়েছি আমি উম্মাহহ (নিজের হাতে কিস করে)
,,,,,,,,,, বাহহ! নিজের প্রশংসা নিজে করছিস, ভালো ভালো।
,,,,,,,,,,, আমি তো তোমার মনের কথা বলছি, যেটা তুমি বলবে না।
,,,,,,,,হুমম হয়েছে কোনো রকম।
,,,,,,,,,, কোনো রকম,,, যাক কিছু তো বললা।
রুহি, রিমান খাওয়া দাওয়া শেষ করে।
রিমান,,,,,,, হয়েছে এবার তুই যা, ১০ টা বাঝতে যাচ্ছে।
,,,,,,,,,হ্যাঁ হ্যাঁ যাচ্ছি বসে থাকবো না। ওকে বাই নিজের খেয়াল রেখো আর আমার কথা মনে করো ওকে।
,,,,,,,,,,,, শুন সাবধানে যাবি, আর পৌঁছেই একটা ফোন দিবি।
,,,,,,ওকে,, বাই বাই।
রুহি চলে যায়, আর রিমান মন খারাপ করে শুয়ে শুয়ে গবীর ভাবনায় চলে যায়।
,,,,,,,,,,
দিয়া সেই কখন থেকে খাবার রেডি করে টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তাদের কোনো খবরি নেয়। শুধু আসছি আসছি বলছে। বেশ অনেক ক্ষন পরে তারা খেতে আসে।
দিয়া খাবার সার্ফ করছে। পেটি একটু খাবার মুখে দিয়ে পানি খাচ্ছে। আর বলছে,,,,,,এতো ঝাল কেনো খাবারে। ইশশ এ খাবার খাবো কিভাবে।
দিয়া,,,,,,,,আমরা বাংলী তো তাই সব কিছুতে ঝাল একটু বেশি খাই।
আহান,,,,,,,,, কোথায় এতো ঝাল।
দিয়া,,,,,,,,,আপনিও তো বাংলী তাই ঝাল লাগবে কি করে।
আহান,,,,,,,হুমম কিন্তু আমি তো ঝাল কম খাই, আমার কাছে তো ঝাল লাগছে না।
আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে দিয়া মুশকি মুশকি হাসছে। তখন আহান পেটির দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,, পেটি তুমি খাবারে লেবুর রস মিশিয়ে খাও, এতে ঝালও কম লাগবে আর মজাও লাগবে।
পেটি তাই করে, এভাবে খেয়ে বলে,,,,,,হুমম এখন একটু খাওয়া যায়।
আহান দিয়ার দিকে তাকায়, দিয়া রাগী ফেইস করে দাঁড়িয়ে আছে। পেটি খেয়ে আহানকে হাগ করে চলে যায়।
দিয়া,,,,,,,(ঢং দেখে বাচি না)
আহান,,,,,,, উফফ আজকে একটু বেশি কাজ হয়ে গেছে, আমি শুতে গেলাম।
দিয়া,,,,,,,,,,হেহহ, বেশি কাজ হয়ে গেছে, সারা দিন বসে থেকে৷
আহান চলে যায়, দিয়া তাড়াতাড়ি খেয়ে সব গুছিয়ে বিছানায় গিয়ে তার শরীর লাগিয়ে দেয়।
সকালে,,,,,,,,
দিয়া বই নিয়ে পড়তে থাকে আর নাস্তা বানাতে থাকে। এক হাতে বই নিয়ে জোরে জোরে পড়ছে আর অন্য হাতে নাস্তা বানাচ্ছে। আহান উপর থেকে নিচে এসে দিয়াকে দেখে দেখে সোফায় বসে। দিয়াকে এভাবে দেখে আহানের ঠোঁটে হাসি চলে আসে।
আহান তার হাসি কন্ট্রোল করে বলে,,,,,,,,তোর বেশি পড়া থাকলে, তুই বসে পড় নাস্তা অন্য কেও বানিয়ে দিবে।
দিয়ার কোনো খেয়াল নেয়, সে নিজের মতো কাজ করছে আর পড়ছে। আহান আরো দুতিন বার বলে কিন্তু দিয়ার কানেই যাচ্ছে না। তখন আহান আর কিছু বলে না সোজা টেবিলে বসে পড়ে।
দিয়া খাবার নিয়ে এসে টেবিলে রাখে। আহান যে হাত বাড়াবে খাবারের প্লেটটা নিজের দিকে করার জন্য তখনি দিয়া বসে খেতে থাকে। আহান দিয়ার দিকে তাকায়। দিয়ার চোখ বইয়ের দিকে, সে বইয়ের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে খাবার খাচ্ছে। আহান আর কিছু বলছে না শুধু দিয়াকে দেখছে।
কিছু ক্ষন পর দিয়া খাবার শেষ করে বসে বসে পড়ছে। একটু পর বইটা বন্ধ করে একটা টানা দিয়ে বলে,,,,,,,, শেষ।
চোখ খুলে আহানকে দেখে আবার দাঁড়িয়ে যায়।
দিয়া,,,,,,,,,,, আপনি কখন আসলেন।
,,,,,,,,অনেক ক্ষন হলো। তোর কি পরীক্ষা নাকি।
,,,,,,,,, না, একটা সাবজেক্ট মাথায় ঢুকছিলো না, সেটাই পড়ে শেষ করলাম।
,,,,,,,ও আচ্ছা, এখন পড়া শেষ হলে আমার জন্য কিছু নিয়ে আসেন।
,,,,,,,,কি নিয়ে আসবো।
,,,,,,,,, আরে খাওয়ার জন্য কিছু নিয়ে আয়।
,,,,,,,,,ওহ এখনি আনছি।
দিয়া তাড়াতাড়ি করে নাস্তা নিয়ে আসে। আহান খেতে থাকে আর বলে,,,,,,, তোর বুঝতে সমস্যা হলে বল, আমি তোর জন্য টিচার এর ব্যবস্থ করে দিবো।
দিয়া,,,,,,,,,,৷ কোনো দরকার নেয় সৌরভ আমাকে সব ভালো করে বুঝিয়ে দেয়। (এটা বলে দিয়া তার মুখ হাত দিয়ে চেপে ধরে)
আহান খাবার খাওয়া বন্ধ করে, চামচটা রেখে দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,,, কে সৌরভ।
দিয়া,,,,,,,, ঐ আরকি, আমার সিনিয়র।
আহান,,,,,,কাল যার সাথে দেখা হয়ে ছিলো সে।
,,,,,,,,,, হুমম।
,,,,,,,,,, সিনিয়রকে নাম ধরে ডাকছিস, তোর বন্ধু হয় নাকি। (ধমক দিকে)
,,,,,,,,,, হ্যাঁ মানে না,,, ওনিই বলেছে ওনাকে নাম ধরে ডাকতে।
,,,,,,,,, সে তোকে কেনো বুঝায়,,সেকি তোদের ক্লাস নেয়।
,,,,,,,,, না, মানে এমনি কিছু না বুঝলে বুঝিয়ে দেয়।
,,,,,,,,,, কেনো যারা তোর ক্লাস নেয় তাড়া কি বুঝে না, তাদের জিজ্ঞেস করলে কি হয়।
,,,,,,,,,,অনেক কিছু আছে যেটা স্যার দের জিজ্ঞেস করা যায় না।
,,,,,,,,, আর সৌরভকে করা যায় তাই না। (ধমক দিয়ে)
,,,,,,,,, আমি কি কিছুই বুঝিনা অদ্ভুত,, মাঝে মাঝে কিছু না বুঝলে বুঝিয়ে দেয়।
,,,,,,,,,,এর পরের বার থেকে কিছু না বুঝলে আমাকে বলবি, আমি বুঝনোর মতো লোকের লাইন লাগিয়ে দিবো। মনে থাকবে। (দিয়ার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে)
,,,,,,,,, ঠি ঠিক আছে।
আহান উঠে চলে যায়। দিয়া দাঁড়িয়ে থাকে।
দিয়া,,,,,,,, বলে আমাকে নাকি ভালোবাসে না, তাহলে এতো রাগ কেনো আমি যার সাথে মনে চাই মিশি।
দুপুরে দিয়া রান্না করছে, তখনি দরজায় বেল বাঝে আর একটা সার্বেন্ট দরজা খুলে দেয়। এসেই ভাইয়া করে একটা চিৎকার করে। দিয়া তাকিয়ে দেখে রুহি এসেছে। দিয়া তাড়াতাড়ি নিচে বসে পড়ে। যাতে না দেখতে পারে।
রুহির আওয়াজ শুনে আহান তাড়াতাড়ি নিচে আসে। আহানকে দেখে রুহি হেসে হেঁসে বলে,,,,,,,ভাইয়া আমি এসে গেছি।
আহান তাড়াতাড়ি আশেপাশে তাকায়, দিয়া নেয় আশেপাশে।
আহান,,,,,,,,, তোর ক্লাস নেয়,, এখন আসলি যে।
রুহি,,,,,,,,উফফ ভাইয়া আজ শুক্রবার। আজ সারাদিন আমি এখানেই থাকবো।
আহান,,,,,,,ওহহ তো বলে আসবি তো।
রুহি,,,,,,,,,, বলে কেনো আসবো আমার নিজের বাড়িতে, তুমি কি খুশি হওনি আমি এসেছি তাই।
আহান,,,,,,,, আরে খুশি কেনো হবো না, আমার ছোট বোন এসেছে।
রুহি,,,,,,,হুমম,,,, বাড়িটা কিন্তু জোস।
তখনি আবার রিমান আসে।
রিমান,,,,,,,,, দোস্ত আমি এসে গেছি।
আহান,,,,,,,,,হয়ছে এবার। আয় আয় ভিতরে আয় তোরি কমতি ছিলো৷
রুহি,,,,,,,,, আরে ভাইয়া আপনি,, এখন আপনার পা কেমন আছে।
রিমান আশেপাশে তাকিয়ে বলছে,,,,,,তুই কি আমাকে বলছিস।
রুহি,,,,,,, হ্যাঁ ভাইয়া।
রিমান,,,,,,,,,, ভাইয়া তাও আবার আমাকে, আবার আপনি করে। তুই তোর ভাষায় কথা বল এভাবে বললে আমার সন্দেহ লাগে।
আহান,,,,,,,,, মানে কি,, রুহি তো তোকে এভাবেই বলবে তুই ওর থেকে বয়সে বড়ো।
রুহি,,,,,,,,, রিমান ভাইয়া মনে হয় চাই না আমি তাকে ভাইয়া বলে ডাকি।
রিমান,,,,,,,,,, আমি চাই না।
আহান,,,,,,,,, ও বান্দর,, আমার বোনের উপর লাইন মারিস না।
রিমান,,,,,,,,,,, আমি লাইন মারি, আমি।
আহান,,,,,,চুপচাপ এসে বস তো,, আর বল তোর পায়ের অবস্থা কি।
রিমান,,,,,,,,,,, হুমম এখন অনেকটাই ভালো আছে।
দিয়া নিচে বসে আছে, আর কি করবে বুঝছে না। তখনি একটা সার্বেন্ট এসে বলে,,,,,,, আরে মেম আপনি নিচে বসে আছেন কেনো।
সবাই রান্না ঘরের দিকে তাকায়।
রুহি,,,,,,,,কে নিচে বসে আছে যাকে সার্বেন্ট মেম বলে ডাকছে।
রিমান,,,,,,,,, না জানিয়ে বিয়ে টিয়ে করে ফেললি নাকিম।
আহান,,,,,,,,আরে না, ও হয়তো সার্বেন্টের হেড এজন্য মেম করে ডাকছে৷
রিমান,,,,,,, আমার তো সন্দেহ হচ্ছে,, তোর চোখ মুখ এমন লাল হয়ে গেছে কেনো, ভয় ভয় লাগছে,, ডাল মে কুছ কালা হে।
আহান,,,,,,,,,,আরে না, তুই সব সময় বেশি বুঝিস।
রিমান,,,,,,,, রুহি গিয়ে দেখে আয় তো।
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।