#শত_ঘৃণার_পরেও_ভালোবাসি (এক ভালোবাসার গল্প)
Part..2
#Maishara_Jahan
,,,,,,,,,, চিন্তা করবেন না স্যার আমরা দিয়া মেম এর আশেপাশেই থাকবো, আর কেও ওনার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।
,,,,,,,,,হুমম গুড।
আহান ফোন রেখে অফিসে চলে যায়।
দিয়া হসপিটালের ভিতরে যেতেই রুহি এসে দিয়াকে জরিয়ে ধরে।
রুহি,,,,,,,,,কোথায় গেছিলি,, তোকে কতো ফোন করলাম, কিন্তু বন্ধ আসছিলো, শুনলাম তোকে নাকি হোস্টেল থেকে বের করে দিয়েছে।
দিয়া,,,,,,,,, আরে আমার ফোনে চার্জ ছিলো না।
রুহি,,,,,,,,,,এখন কোথায় গিয়ে উঠেছিস।তোর আমাদের বাসায় গেলে কি সমস্যা এটাই বুঝি না।
দিয়া,,,,,,,, বার বার এক কথা বলিস না,,, আমি একটা আন্টির বাসায় উঠেছি।
রুহি,,,,,,,,,তোর হঠাৎ এমন কোন আন্টি হয়ে গেলো যাকে আমি চিনি না। কোন আন্টির বাসায়।
দিয়া,,,,,,,,,আরে আছে,,আচ্ছা একটা কথা বল, তোকে হঠাৎ আজ এতো খুশি খুশি লাগছে কেনো।
রুহি,,,,,,,,,, রিমানের পা ভেঙে গেছে। (খুশি হয়ে)
দিয়া,,,,,,,,,, কিহহ রিমান ভাইয়ার পা ভেঙে গেছে আর তুই খুশি হচ্ছিস, এই তোর ভালোবাসা।
রুহি,,,,,,,,,,,, আরে ওর পা ভেঙে গেছে তাই তো এই হসপিটালে এসেছে, কিছু দিন হয়তো এখানেই থাকবে। তাই আমি খুশি। ও তোকে তো আরেকটা খুশির খবর দেওয়ায় হয়নি।
দিয়া,,,,,,, আবার কার পা ভেঙে গেলো।
রুহি,,,,,,,,আরে দূরর কিছু ভাঙেনি,,, শুন আহান ভাইয়া বাংলাদেশে এসেছে।
,,,,,,,,ও,, ভালো
,,,,,,,,, সবসময় তুই বলতি কবে আহান ভাইয়া আসবে, সে কি আর আসবে না। এসব আমাকে বলতি এখন ওর আসার খবর শুনে কোনো এক্সাইটেড দেখছি না।
,,,,,,,,,,,,, ও সত্যি আহান এসেছে,, তুই আগে বলবি না। আমি অনেক খুশি (মহা খুশি দেখানোর চেষ্টা করে)
,,,,,,,,,,ছাড় অভার এক্টিন হয়ে যাচ্ছে। শুন ভাইয়া এটা কাওকে বলতে মানা করেছে আমি তাও তোকে বললাম।
,,,,,,,,,,ও আচ্ছা,,,, এখন চল রিমানকে দেখে আসি।
,,,,,,,হুমমম।
দিয়া আর রুহি যায়, গিয়ে দেখে রিমান বেডে শুয়ে আছে, বালিশের উপর তার ভাঙা পা রেখে।
দিয়া,,,,,,,,,,রিমান ভাইয়া আপনার এ অবস্থা কীভাবে হলো।
রিমান,,,,,,,,,, ওহ তুমি,, আমরা বন্ধুরা সবাই একটু ক্যাম্পিং এ গিয়েছিলাম সেখানে মজা করতে গিয়ে পা মচকে যায়। (মুখের মধ্যে বিরক্তি ভাব নিয়ে)
রুহি,,,,,,,,,,ঠিক হয়েছে, এটা আমাকে না নিয়ে যাওয়ার শাস্তি। কতো বার বলেছিলাম আমাকে নিয়ে যেতে।
রিমান,,,,,,,,,,,, দিয়া তোমার ফ্রেন্ড পাগল নাকি, সব ছেলেদের মধ্যে আমি একে নিয়ে যাবো। আর যদি মেয়েরাও যেতো তাও নিয়ে যেতাম না।
রুহি,,,,,,,,,কেনো নিয়ে যেতে না।
রিমান,,,,,,,,,, কেনো নিয়ে যাবো, তুই কি আমার গার্লফ্রেন্ড নাকি।
রুহি,,,,,,,,,,,,,,বানিয়ে ফেলো কে মানা করেছে।
রিমান,,,,,,,,,,, আমাকে কি পাগল কুকুরে কামর দিছে যে, পৃথিবীতে এতো সুন্দর সুন্দর মেয়ে থাকতে আমি তোকে আমার গার্লফ্রেন্ড করবো।
রুহি,,,,,,,,,, হুহহ আমি সুন্দর কম নাকি,, জানো আমার পিছনে কতো ছেলে লাইন ধরে থাকে।
রিমান,,,,,,,,,,, ওরা হয়তো চোখে দেখতে পায় না। যাতে ফ্রী ফ্রী চিকিৎসা করাতে পারে তাই তোর সাথে লাইন মারছে।
একথা শুনে রুহি রাগে বসে, রিমানের পায়ে জোরে হাত রাখে, রিমান চিৎকার করে উঠে।
রিমান,,,,,,,,,, ঐ পেত্নীর খালা, হাত সরা,,তুই ডক্টর নাকি জল্লাদ।
রুহি,,,,,,,,,সরি সরি দেখতে পারিনি।
রিমান,,,,,,,, ঐ তোর ক্লাস নেয়,, যা ক্লাসে যা, এখানে আমার মাথা খাস না।
দিয়া,,,,,,,,,উফফ তোমারা দুজনে সবসময় ঝগড়া কেনো করো বুঝি না। আর রিমান তুমি কি জানো আহান বাংলাদেশে।
রিমান,,,,,,,,,,, কিহহ আহান বাংলাদেশে, কবে আসলো।
রুহি,,,,,,,,কেনো তোমাকে বলেনি,, আহারে,, সবার আগে দেখা যায় আমাকে বলেছে,, যতোই হোক বন্ধু থেকে বড় বোন হয়। (একটু ভাব দেখিয়ে)
রিমান,,,,,,,,,,, দুই ভাই বোন এক রকম,,, আহানের এতো বড় সাহস এক বার আমাকে না বলে চলে গেছে আবার এখন আমাকে না বলে চলে এসেছে। হাড়ামি পাই তোরে আমার ভাঙা পায়ে কছম তোরে এই ভাঙা পা দিয়ে পিটামু।
দিয়া,,,,,,,,,,, ওকে রিমান তুমি রেস্ট করো, আমরা ক্লাসে যাচ্ছি।
রিমান,,,,,,,,, ওকে, আচ্ছা দিয়া আহান কি তোমার সাথে কোনো কন্টেক করেছে।
দিয়া,,,,,,,,,, না,, একদমি না,, আমার সাথে কেনো কন্টেক করবে। (তাড়াহুড়ো করে)
রুহি,,,,,,,,ভাইয়া কেনো দিয়ার সাথে কন্টেক করতে চাইবে।
রিমান,,,,,,,,,,, তোর এই দেড় গ্রাম ব্রেনে এটা ঢুকবে না।
রুহি,,,,,,,,,, তোমার ব্রেন তো মহা বড় তাহলে আমার কথা কেনো মাথায় ঢুকে না।
রিমান,,,,,,, আমার ব্রেন বেশি বড় তো তাই এইসব ছোট খাটো বিষয় মাথায় কেচ করে না।
রুহি,,,,,,,,আমারটা ছোট বিষয়। খেয়ে ফেলমু আজকে আপনাকে আমি।
রুহি রিমানকে মারতে যায়, দিয়া ধরে ফেলে।
রুহি,,,,,,,,ছাড় আমাকে আজকে আমি একে ছাড়বো না।
দিয়া জোর করে রুহিকে নিয়ে আসে। বাহিরে এসে রুহি একটা কান্না কান্না ভাব ধরে বলে,,,,,,,ইয়ার আমার মনের কথা রিমান কেনো বুঝে না, আমি এটা বুঝি না।
দিয়া,,,,,,,,, রিমান হয়তো সত্যি বুঝতে পারছে না।
রুহি,,,,,,,,, আমি চিৎকার করে বলছি তাও বুঝতে পারছে, কানে কি ঠসা পড়ছে নাকি।
দিয়া,,,,,,,,,বুঝবে বুঝবে একদিন রিমান ভাইয়াও বুঝবে, চল এখন ক্লাসে যায়।
অনেক ক্ষন পর ক্লাস শেষ হয়ে যায়। এখন লাঞ্চ টাইম। তাই রুহি খাবার নিয়ে নাচতে নাচতে রিমানের কেবিনে যায়, সাথে দিয়াকে নিয়ে যায়। কেবিনের সামনে দাঁড়িয়ে দেখে কেবিনে যুদ্ধ চলছে।
রিমান বেন্ডেজ করা পা উঠিয়ে, এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আহানকে বালিশ দিয়ে মারছে। আহান অন্য পাশে চলে যায়। রিমান টেবিল ধরে দাঁড়ায়।
রিমান,,,,,,,,, ঐ তুই পালাচ্ছিস কেনো, এদিকে আয়, এখন আমি দৌড়াতে পাড়ছি না, তাই তুই ও দৌড়াবি না। চুপচাপ আমার মার খাবি, এখন কি আমি আগের মতো দৌড়িয়ে দৌড়িয়ে মারতে পারবো।
আহান,,,,,,,, চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাক, আসার পর থেকে মারছে, চলতে পারছে না তাও কচ্ছপের মতো এসে এসে মারছে, চুপচাপ বসে থাক এখানে (রাগে)
রিমান,,,,,,,,, ঐ চুপ, তোর সাহস কতো বড় নিজে ভুল করে আমাকে বকছে। বুঝেছি ঐখানে গিয়ে নতুন ইংলিশ ফ্রেন্ড বানিয়েছো তাই আমাকে আর ভালো লাগছে না।
আহান,,,,,,,,,,আমি ঐখানে গিয়ে কাওকে আমার ফ্রেন্ড করি নি।
রিমান,,,,,,,, চুপ শালা, সত্যি কথা বল যে, ওরা কেও তোকে ফ্রেন্ড বানায়নি। মুখে তো হাসি নেয়, রস কস ছাড়া কথা বলিস তোকে কে ফ্রেন্ড করবে। তোকে ফ্রেন্ড বানানো আর একটা পুতুলের সাথে প্রেম করা একি কথা।
সাথে সাথে সবাই হেঁসে দেয়। আহান সবার দিকে রাগি ভাবে তাকায় আর সবাই সাথে সাথে চুপ হয়ে যায়।
আহান,,,,,,,,তাহলে আমাকে কেনো ফ্রেন্ড বানালি।
রিমান,,,,,,, আমিও মাঝে মাঝে এটাই ভাবি যে, তুই আমার মতো এতো ভাবো ফ্রেন্ড পেলি কিভাবে। আচ্ছা ঐ কথা বাদ,,, শালা আমি তোর ফ্রেন্ড নাকি পায়জামা, এমনিতে সব কথা বলিশ আর বাংলাদেশে এসেছিস এটা আমায় বললি না। আমার তো দেখে কোনো দামি নাই।
আহান,,,,,,,ফোন করেছিলাম কিন্তু তোর ফোন বন্ধ।
রিমান,,,,,,,, ও হ্যাঁ, আমার ফোন তো ক্যাম্পিং করতে গিয়ে হারিয়ে গেছে।
আহান,,,,,,,,এখন কার দোষ এইটা।
রিমান,,,,,,,,,,, তাও তোর দোষ।
আহান,,,,,,,,,, কিভাবে।
রিমান,,,,,,,,,,, এভাবে সেভাবে ঐভাবে।
রুহি দৌড়ে এসে আহানকে জরিয়ে ধরে।
রুহি,,,,,,,,,,,,ভাইয়া কতো দিন ধরে দেখি না,, কতো মিস করছি জানো।
আহান,,,,,,,,কালি তো দেখা করলাম।
রুহি,,,,,,,,এটা কোনো দেখা হলো,, আমার কথা কি তোমার একটুও মনে পরে নাই।
রিমান,,,,,,,,, আমিও কতো দিন পরে দেখলাম, আয় দোস্ত আগে তোকে একটু জরিয়ে ধরি।
রুহি আহানের বুকে মাথা রেখে রিমানের দিকে বড় করে হেঁসে তাকিয়ে আছে।
আহান,,,,,,,আয় তুই ও আয়।
রিমান এক পা দিয়ে লাফিয়ে লাফিয়ে আসে, রুহি তার মাথাটা একটু সরিয়ে জায়গা করে দেয়। রিমান এক হাত দিয়ে রুহির মাথা ধরে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। রুহি আহানের থেকে দূরে গিয়ে পড়ে। তখন রিমান আর আহান জরিয়ে ধরে। রুহি মুখ বেকিয়ে তাকিয়ে আছে।
ডক্টর,,,,,,,, এক্সকিউজ মি, এটা আপনাদের বাসা না, সো কয়েট পিল্জ।
আহান,,,,,,সরি ডক্টর,,,, কতো দিন পরে দেখা হলো আমাদের,, ভালো লাগছে।
রিমান,,,,,,,, আজকের দিনটা মনে হয় আমাকে এখানেই থাকতে হবে, তোরা যা মজা কর। (রিমানের হঠাৎ দিয়ার দিকে চোখ যায়) আহান ঐ দেখ দিয়া।
আহান এক নজর দেখে দিয়ার দিকে, পরে আবার ফিরিয়ে নেয়।
আহান,,,,,,,,হ্যাঁ তো কি করবো।
রিমান,,,,,,,, হেহহ,, কি করবি মানে, এটা দিয়াআআআ দিয়াআআআ
আহান,,,,,,,চুপ,,, শুনেছি আমি,, বুঝলাম আমি এটা দিয়া তো কি করবো, আমি এখানে তোর সাথে দেখা করতে এসেছি।
দিয়া,,,,,,,,(এ্যা এমন ভাব করছে যেনো চিনেই না)
রিমান,,,,,,,, আমি কি ঠিক শুনছি। আচ্ছা দিয়া তুমি দেখো কতো দিন পর আহান বাংলাদেশে এসেছে।
দিয়া,,,,,,,,,হুমম দেখেছি,,, আমি এখন আসি আমার ক্লাস আছে।
দিয়া চলে যায়, আহান রিমানের সাথে কিছু ক্ষন কথা বলে।
আহান,,,,,,,,,আমি এখন আসি, রুহি তুই রিমানের খেয়াল রাখিস।
রুহি,,,,,,,,,,অনেক ভালো করে খেয়াল রাখবো।
রিমান,,,,,,,,, হেহহ বিড়ালকে মাছ পাহারা দিতে বলছে।
আহান,,,,,,,,,কিছু বললি।
রিমান,,,,,,,,,,, একদমি না।
আহান,,,,,,আচ্ছা তোরা থাক আমি আসলাম।
আহান রিমানকে বিদায় জানিয়ে বাহিরে যায়, আহান যেতে নেয় আর দিয়াকে একটা ছেলের সাথে হেঁসে কথা বলতে দেখে দাঁড়িয়ে যায়। ছেলেটা দিয়াকে একটা কাগজ দেয় আর দিয়া সেটা নেয়। এটা দেখে আহান রাগে সেখানে যায়, গিয়ে দিয়ার হাত থেকে কাগজটা টান দিয়ে নেয়। দিয়া ভয় পেয়ে যায়।
,,,,,,,,,,,এক্সকিউজ মি কে আপনি।
আহান কোনো উত্তর না দিয়ে কাগজটা খুলে দেখে, সেটা একটা পেসেন্টের রিপোর্ট। রিপোর্টটা দেখে আহান আবার দিয়াকে ফিতোর দিয়ে দেয়।
ডক্টর,,,,,,,, এক্সকিউজ মি,, কে আপনি।
আহান ডক্টরের দিকে না তাকিয়ে দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,আমি বাহিরে অপেক্ষা করছি, চুপচাপ তাড়াতাড়ি বই খাতা নিয়ে চলে আয়।
বলে পকেটে হাত ঢুকিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। দিয়া তাড়াতাড়ি ডক্টরকে কিছু একটা বুঝিয়ে দৌড়ে চলে যায়। গিয়ে দেখে আহান গাড়িতে বসে আছে, দিয়াকে দেখে হন বাজাচ্ছে। দিয়াও গিয়ে গাড়িতে বসে। আহান জোরে গাড়ি চালাতে থাকে।
আহান,,,,,,,,কে ছিলো ছেলেটা (রাগী কন্ঠে)
দিয়া,,,,,, ড ড ডক্টর ছিলো, আমার সিনিয়র।
,,,,,,,,, হেহ তো এতো হেঁসে কি কথা হচ্ছিল শুনি।
,,,,,,,,,, তে তেমন কিছু না,,, এমনি হাসি ঠাট্টা।
আহান হঠাৎ করেই জোরে ব্রেক মারে। দিয়া ভয় পেয়ে যায়।
,,,,,,,, কেনো হাসি ঠাট্টা করার জন্য ক্লাসে কোনো মেয়ে ছিলো (রাগে জোরে)
,,,,,,,,,,, আ আ আর বলবো না (ভয়ে)
,,,,,,,,,গুড।
বলে আবার গাড়ি চালাতে থাকে। বাড়িতে পৌঁছে যায়। ভিতরে গিয়ে আহান সোফায় বসে, দিয়া বসতে নেয় তখন আহান বলে,,,,,,,, আমার জন্য কিছু বানিয়ে আন।
দিয়া যায় গিয়ে আহানের জন্য খাবার বানিয়ে আনে। আহান খাবার খেতে থাকে। দিয়া বসতে নেয় আহান দিয়ার দিকে এক ব্রু উঠিয়ে তাকায়, দিয়া আবার উঠে যায়।
আহান খাবার খেয়ে যাওয়ার আগে বলে,,,,,,, আমি উপরে যাচ্ছি। পুরো বাড়িটা ময়লা হয়ে গেছে, তাড়াতাড়ি খেয়ে কাজে লেগে যা।
দিয়া পুরো বাড়িটা এক বার মাথা ঘুরিয়ে দেখে।
দিয়া,,,,,,,এই পুরো বাড়ি আমি একা পরিষ্কার করবো।
আহান,,,,,,,,,কোথাও যেনো আমি একটা ময়লা দেখতে না পায়।
দিয়া,,,,,,,ঠিক আছে।
দিয়া শক্ত করে ওড়নাটা বেঁধে নেয়, নিয়ে কাজে লেগে পড়ে। কখনো এটা মুছছে কখনো ঐটা। অনেক ক্ষন পর দিয়া হয়রান হয়ে সোফায় গা হেলিয়ে দেয়।
দিয়া,,,,,,,,, আল্লাহ শেষ হলো তাহলে কাজ। এতো বড়ো বাড়ি কেনো কিনেছে কে জানি। টাকা বেশি হয়ছে মনে হয়। এখন যাবো গোসল করবো কি মজা।
তখনি দরজায় বেল বাঝে।
দিয়া,,,,,,,কচুটা এখন আবার কে আসলো।
দিয়া বিরক্তি ভাব নিয়ে দরজা খুলে,,,, দরজা খুলে দেখে একটা বিদেশি মেয়ের মতো এসে দাঁড়িয়ে আছে।
দিয়া,,,,,,,, কাকে চাই।
,,,,,,,, আহান আছে,,, আমি আহানের সাথে দেখা করতে এসেছি।
,,,,,,,,,( আল্লাহ আমার ভাবনা কি তার মানে সত্যি, আহান ভাইয়া বিয়ে করে নিছে, এখন তার বউ এসেছে, আল্লাহ আমাকে উঠিয়ে নাও)
,,,,,,,,,,নও হ্যালো প্লিজ আহানকে ডেকে দাও।
,,,,,,,,আপনি আহানের কে।
,,,,,,,,,, আমি আহানের বন্ধু।
,,,,,,,ওহহ (আল্লাহ বাঁচিয়েছে)
তখনি আহান উপর থেকে বলে,,,,, কে এসেছে।
,,,,,,,,হায় আহান,,
আহান,,,,,,,,আরে পেটি তুমি।
আহান তাড়াতাড়ি নিচে আসে, আসতেই পেটি আহানকে জরিয়ে ধরে। দিয়ার চেহেরা দেখার মতো। ওড়নাটা এমন ভাবে মোচড়াছে যেনো ছিড়েই ফেলবে। আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে পেটিকে জরিয়ে ধরে।
দিয়া,,,,,,,,(ইশশ রং ঢং দেখে বাঁচি না,,, আরে এখানে একটা মানুষ দাঁড়িয়ে আছে আজব,,আমি এখানে না থাকলে না জানি আরো কতো কিছু করতো,না জানি বিদেশ কতো কিছু করেছে)
আহান,,,,,,,,,তুমি এখানে,,কবে আসলে।
পেটি,,,,,,আজি আসলাম,, আসলে তোমাকে অনেক মিস করছিলাম। আর মূলত একটা বিসনেজ এর কাজেই আশা হয়েছে।
আহান,,,,,,,ভালো করেছো,,, তুমি এখানে বসো। দিয়া যা পেটির জন্য কফি নিয়ে আয়।
পেটি,,,,,,,, ও কি সার্বেন্ট।
আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,হুমম।
কথাটা দিয়ার বুকে গিয়ে লাগলো।
পেটি,,,,,,,অনেক বেশি কথা বলে। আর দেখেই দেখা যাচ্ছে সার্বেন্ট।
দিয়া,,,,,,,(হোয়াট দ্যাঁ ফুচকা,, আমাকে দেখে কাজের লোকের মতো মনে হচ্ছে)
আহান,,,,,,,, যা পেটি মেম এর জন্য কফি নিয়ে আয়।
দিয়া,,,,,,,জ্বি স্যার (মেমনএর বাচ্চা)
দিয়া গিয়ে কফি বানাচ্ছে, আর দূর থেকে দেখছে তাদের আর জ্বলছে। কফি নিয়ে যায় গিয়ে পেটি আর আয়ানকে দেয়।
আহান আর পেটি কথা বলছে, দিয়া দাঁড়িয়ে আছে। তখন পেটি দিয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,,,,কোনো মেনার্য নেয়,, এখানে কথা বলছি তার তুমি দাঁড়িয়ে আছো, যাও এখান থেকে।
আহান,,,,,,,,দিয়া যা এখান থেকে, আমরা প্রাইভেট কথা বলবো।
দিয়া,,,,,,,,হুমম যাচ্ছি,, (কি এমন ঘোড়ার ডিম বলবে)
দিয়া চলে যেতে থাকে।
পেটি,,,,,,,আসলে অশিক্ষিতদের এটাই সমস্যা প্রাইভেসি বুঝে না।
এটা শুনে দিয়া দাঁড়িয়ে যায়।
দিয়া,,,,,,,(কিহহ অশিক্ষিত আমি,, আব্বে তোর থেকে তো ভালোই শিক্ষিত, এখনি বুঝাচ্ছি)
দিয়া কমর ধরে পেটির দিকে আসতে নেয়, আহান দিয়ার দিকে তাকিয়ে, রাগী চোখে ওর দিকে ইশারা করে যাওয়ার। দিয়া যেতে নিয়ে আহানের চাওয়া দেখে আবার ফিরত যায়। রুমে গিয়ে বকবক করতে থাকে।
দিয়া,,,,,,,,কি ভেবেছে কি, ভয়ে চলে এসেছি, একদমি না। সম্মানে খাতিরে চলে এসেছি হুহহ। পেটি হুহহ কোনো নাম হলো। এটা আবার কোথা থেকে উড়ে এসে জুরে বসলো,আল্লাহ।
চলবে,,,,,,,
ভালো লাগলে like, comment করতে ভুলবেন না ধন্যবাদ।