গল্পের নামঃ বৃষ্টি_থামার_পরে
পর্ব ৩৪: শশুর_যখন_অসুর (খোলাসা)
লেখিকা: #Lucky_Nova
“কিরে! এত সময় লাগে?” মিহিকে দেখে ধৈর্যহারা হয়ে বলে উঠলেন দিপালি। সেই কখন থেকে বসে আছেন তিনি।
“যাইহোক কী খাবে বলল?”
এই প্রশ্নে থতমত খেয়ে গেল মিহি। কি খাবে সেটাই ত জেনে আসা হয়নি। অবশ্য সে বললে ত জানা যেত! বলেই ত নি। উদ্ভট সব কথা বলেই ত সময় পার করে দিল।
“ধ্যাৎ! মুখে কি কুলুপ এঁটে আছিস নাকি?” অতিষ্ঠ হয়ে গেলেন দিপালি।
এদিক ওদিক তাকাতে লাগল মিহি। আচ্ছা বিপদ ত! কিছু ত বলাই লাগবে!
দিপালি বিরক্ত হয়ে কিছু বলার জন্য মুখ খোলার আগেই মিহি বলল, “আ..আলু। আলু ভর্তা খাবে বলেছে।”
দিপালি বোকা বনে গেলেন।
“আলুভর্তা?”
“হ্যাঁ, সাথে তোমার যা ইচ্ছা বানাও।” মেকি হেসে বলেই সোফায় গিয়ে বসলো মিহি।
দিপালি আহাজারি করতে করতে বললেন, “কী যে শুনে এলি কে জানে? ঘোড়ার ডিম সব। ধুর!”
রান্নাঘরে ঢুকে পড়লেন তিনি।
মিহি হাঁফ ছেড়ে টিভির রিমোট হাতে চ্যানেল বদলাতে লাগল। যদিও একটু আগের ঘটনা মনে পড়ে পড়ে গাল লাল হয়ে আসছে তার। লোকটা কি চালাক!
মাথা ঝেঁকে টিভিতে মনোযোগ দিল মিহি। তবে দেখার মতো কোন কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। আরো কিছুক্ষণ খুঁজে বিরক্ত হয়ে বন্ধ করল টিভি।
রিমোট রেখে সামনে তাকাতেই এরোনকে নেমে আসতে দেখতে পেল।
ওকে দেখেই জলদি রিমোট চিপে টিভি অন করে কাচুমাচু হয়ে বসে রইল মিহি। ধকধক করছে ভেতরটা। সাথে অস্থির অস্থির লাগছে। ওই লোক যে এখানেই আসবে সেটা ও জানে।
তাই-ই হলো। সে সোজা হেঁটে এসে পাশে বসে পড়ল ওর।
মিহি ইতস্তত করে হালকা সরে যেতে যেতে নিচু গলায় বলল,”মা আছে কিন্তু রান্নাঘরে।”
“তো?” দায়সারাভাবে বলে মিহির দিকে চেপে এলো এরোন।
ছানাবড়া চোখে সামনের পানে তাকালো মিহি।
‘তো!’ আশ্চর্য! ‘তো’ মানে কী? কেউ দেখলে কী ভাববে! বেডরুম পেয়েছে নাকি এটাকে! আশেপাশে শঙ্কিত ভাবে চোখ বুলিয়ে আরেকটু সরে গেল ও।
এতে কী লাভ! সেও সরে এসেছে সাথে সাথে।
“এখানেও এসব…কেউ দেখলে!” লজ্জায় তিরতির করে কাঁপছে মিহি।
“দেখলে কি হবে?”
“আপনি কি এটা বেডরুম পেয়েছেন।”
এরোন সরু চোখে তাকালো। তারপর বলল, “মানুষ ঠিকই বলে মেয়েদের মনমাইন্ড অনেক খারাপ। চুপচাপ বসে আছি। কিন্তু বউ আমার কি সব ভাবছে!”
থতমত খেয়ে গেল মিহি। লোকটা কি সুন্দর সাধু সাজে ভাবা যায়! সেই ত এর আগে নিজের বাসার ডাইনিং, ড্রয়িং রুম কিছুই বাদ রাখে নি।
এরোন নিঃশব্দে হাসলো। একটু থেমে মিহির দিকে তাকিয়ে আবিষ্ট কন্ঠে বলল, “একজায়গায় নিয়ে যাব। যাবা?”
মিহি চোখ পিটপিটিয়ে নিলো কয়েকবার। তারপর একবার চোখ তুলে তাকিয়েই চোখ নামালো। হ্যাঁ না কিছু না বললেও যা বোঝার বুঝে গেল এরোন।
মৃদু হেসে মিহির কোলের উপর থাকা হাতটা আঁকড়ে ধরলো।
“চলো।”
মিহিকে নিয়ে বেরিয়ে এলো সে। হাতটা মুঠোতেই ধরে রেখে হাঁটতে লাগল। পাশাপাশি হাঁটার ইচ্ছে আজ পূরণ হয়েই গেল৷ আলাদা রকমের ভালোলাগা অনুভূত হচ্ছে যেন।
মিহি কথা বলছে না চুপচাপ পাশাপাশি হাঁটছে। চোখ তুলে তাকাচ্ছেও না। বিব্রতবোধ করছে? নাকি লজ্জা পাচ্ছে? যেটাই হোক। সে যে আগের চেয়ে পরিবর্তন হচ্ছে এটাই অনেক।
এরোন মুচকি হেসে মিহির ধরে রাখা হাতটা তুলে চুমু খেলো হাতের পিঠে। চমকালো মিহি।
এরোন হাসলো। আরো শক্ত করে ধরলো হাতটা।
সন্ধ্যে অনেক আগেই নেমে এসেছে। অমাবস্যার পর আজ দ্বিতীয় দিন। তাই চাঁদটা আকার একদম সীমিত। বলতে গেলে তারাগুলোই আজ আলো দিচ্ছে এই নীল আকাশের নিচের খোলা মাঠটায়। হালকা দমকা হাওয়া। আশেপাশে ঝিঁঝিঁ পোকা আর ব্যাঙদের হাঁকডাক।
এরোন মাঠের মাঝামাঝি বসে পড়ে মিহিকেও নিজের পাশে বসালো। মিহি বসলো। আশেপাশে তাকিয়ে দেখতে দেখতেই এরোন মাঠের মধ্যে শুয়ে পরে ওর হাত টেনে নিজের পাশে শোয়ালো।
মিহি চকিত হয়ে এরোনের দিকে তাকাতেই এরোন আলতো করে ওর গাল ধরে মুখটা সোজা আকাশের দিকে ফিরিয়ে দিলো।
মিহি তাকালো আকাশের দিকে। মেঘহীন সম্পূর্ণ নীল আকাশ। যাতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য তারা। খালি মাঠ থেকে আকাশ দেখা বুঝি এতটাই মনোহর! অপূর্ব।
মিহি অনেক সময় ধরে দেখতে লাগল। সত্যিই খুব সুন্দর।
মিহির দিকে তাকিয়ে থেকে এরোন বলল, “সুন্দর না?”
“হু।” আকাশের দিকে তাকিয়ে থেকে মৃদু হেসে সাঁয় দিলো মিহি।
নিস্তব্ধতায় কেটে গেল কিছু সময়। দেখতে দেখতে একসময়ে এরোনের দিকে ঘুরে তাকালো মিহি। সে আগে থেকেই তাকিয়ে ছিল বলে চোখ নামিয়ে নিল মিহি।
“মিহি?”
“হু।” নামানো গলায় আলতো করে সারা দিল ও।
এরোন কিছু না বলে হুট করে কাছে এসে ঝুঁকে পড়লো।
মিহি ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেল খানিক। চঞ্চল চাহনিতে চোখ নামালো সে।
এরোন তাকিয়ে দেখতে লাগল। অনেক সময় নিয়ে। একদৃষ্টিতে। মুগ্ধ চোখে।
অনেকক্ষণ দেখার পরে বিমোহিত স্বরে বলে উঠল, “তুমি এত সুন্দর কেন?”
মিহি নামানো চোখের পলক ফেলল কয়েক বার।
“আমি তোমাকে এতটা চাই কেন? হু?”
মিহি অবাক হয়ে তাকালো এরোনের দিকে।
“আমি তোমাকে ছাড়া থাকতেই পারি না কেন?” বলতে বলতে মিহির গালে হাত ছোঁয়াতেই উষ্ণ স্পর্শে চোখ বন্ধ করল মিহি।
“বলো না? কেন? বলো?”
হতভম্ব হয়ে তাকালো মিহি। লোকটা পুরো বাচ্চাদের মতো শুরু করেছে।
“কি হলো? বলো?..হু?”
মিহির হাসি পেয়ে গেল। তাও হাসি চেপে রাখলো। রিনরিনে কন্ঠে বলল, “কারণ আপনি পাগল।”
এরোন নিঃশব্দে হাসল। মিহি সেই হাসি দেখে থমকে গেল। তাকিয়ে রইল হা করে। আচ্ছা লোকটা কি সত্যিই সুন্দর করে হাসে? কই এতদিন মনে ত হয়নি!
মিহিকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মুচকি হেসে ঠোঁট এগিয়ে আনলো এরোন।
মিহি চমকে এক হাত দিয়ে মুখ ঢেকে দিলো তার।
চোখ নামিয়ে মিনমিনে স্বরে বলল, “আ..আপনি কি সত্যিই পাগল নাকি! খোলা মাঠ এটা। এখানে..”
মিহির কথা শেষ হবার আগেই এরোন মুখের উপর রাখা মিহির হাতটাতেই চুমু খেল।
চোখ ছানাবড়া করে দ্রুত হাত সারালো মিহি।
“তারমানে খোলা মাঠে রোম্যান্সে সমস্যা তোমার? অন্য জায়গায় ঠিক আছে?” এরোন দুষ্টুমির ছলে কথাটা বলতেই মিহি লজ্জা পেল।
দুই হাত দিয়ে এরোনের কাধের কাছটায় ঠেলে সরিয়ে দিতে চেয়ে বলল,”আপনি একটা যা তা! সরুন।”
হাসতে হাসতেই সরে গেল এরোন। মিহি দ্রুত উঠে দাঁড়ালো।
“এখনি যেতে চাচ্ছ?” অবাক হয়ে বলল এরোন। উঠে বসলো সে।
মিহি দুইপা সামনে এগিয়ে শাড়ি ঠিক করতে করতে বিড়বিড়ালো,”হ্যাঁ আরো থাকি তারপর আপনি আরো লাগামহীন হোন! মানুষ মাঠঘাট ত বিচার করে! আর এনাকে দেখো! যেখানে খুশি সেখানে শুরু হয়ে যায়!”
এরোন শুনতে পেল না। তবে মিহি ফিরে আসছে না দেখে উঠে দাঁড়ালো।
“এক কাজ করি, আবার ওই ছাউনিতে যাই চলো।”
এই কথায় গা শিরশির করে উঠলো মিহির। লজ্জায় দাঁতেদাঁত চিপে সামনে পা বাড়ালো ও। লোকটা কী ধাতু দিয়ে তৈরি?
“যাবা না?” পিছন পিছন হাঁটতে হাঁটতে প্রশ্ন করল এরোন।
মিহি বুঝলো লোকটা ওকে অসম্ভব ভাবে লজ্জা দিতে চাইছে। যদিও সে শতভাগ সফল হয়েও গেছে ইতিমধ্যে।
এরোন এগিয়ে এসে খপ করে টেনে ধরল মিহির এক হাত। মিহি হকচকিয়ে উঠে কাঁপা গলায় বলল,”আ… আপনার ইচ্ছে হলে আপনি যান। আমি যাব না।”
“কেন যাবা না?” ভনিতা করে প্রশ্ন করল এরোন।
“কি শুরু করেছেন বলুন ত!” দোটানায় পরে গেল মিহি।
“জ্বালাচ্ছি তোমাকে।” সোজাসাপটা উত্তর তার।
মিহি অবাক হয়ে তাকালো।
“সেদিন রাতে নেশা করে আমাকে কি পরিমাণ জ্বালিয়েছ জানো? কত মানা করার পরেও কামড়িয়েছ! ওয়ার্নিং দিয়েও কাজ হয় নি। তাই আমাকে বলেও কাজ হবে না।”
আচ্ছা ফ্যাসাদে পড়ে গেল মিহি।
“একবার চিন্তা করো, যদি আমি কোনোদিনো ~~~~।”
পুরো কথা শেষ হতে না হতেই মিহি চমকে গিয়ে দুইহাতে কান বন্ধ করল। হালকা চেঁচিয়ে বলে উঠল, “আপনি দয়া করে চুপ করবেন? পায়ে পড়ি আপনার”
সে থামলো না। পুরোটা রাস্তা জ্বালিয়েই গেল ওকে।
?
“তোমরা?” ঘরে ঢুকেই আরোহী আর জোয়েল সাহেবকে দেখে অবাক হয়ে গেল এরোন। মিহিও অবাক হলো।
সোফায় বসে আছে তারা। মিহির বাবা মাও আছে। মুখ দেখে ত মনে হচ্ছে সিরিয়াস কথা বার্তা হচ্ছিলো।
“হ্যাঁ আমরা।” সরু চোখে তাকিয়ে বললেন আরোহী।
এরোন মনে মনে চিন্তায় পড়ে গেলেও মুখে প্রকাশ করল না।
না জানে কি কথা হচ্ছিলো! কি কি বলেছে ওর বাবা মা?! আবার জট না পাকিয়ে যায়!
এরোন তাকালো একবার মিহির দিকে। সেও তাকালো।
এরোন এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ালো ওর মায়ের পাশ ঘেঁষে। নামানো কন্ঠে বলল,”আসবা সেটা বলো নি ত?!”
“ফোন করেছিলাম। তোর ফোন ধরার সময় হলে ত বলব!” আরোহীও নিভানো কন্ঠে বলে চোখ পাকালেন।
“বসো। তোমাদেরই অপেক্ষা করছিলাম।” গম্ভীর গলায় বললেন রুহুল সাহেব।
এরোন সবাইকে খেয়াল করতে করতে বসলো। সেভাবে আঁচ করতে পারছে না। কিন্তু তবুও চিন্তা হচ্ছে।
আরোহী হাতের ইশারায় মিহিকেও আসতে বললেন।
মিহি এগিয়ে গেল। একটু সরে, বসলো এরোনের পাশে।
এরোন বোঝার চেষ্টা করতে লাগল আসলে হয়েছে টা কি! মিহির বাবার থমথমে মুখটা দেখে ত মনে হচ্ছে বড় কিছু নিয়েই আলোচনা হয়েছে এতক্ষণ।
এরোনের ধারণা সঠিক প্রমান করে দিয়ে রুহুল সাহেব বললেন,”আমরা সব সত্যিটা জানিয়েছি ওনাদের। যত ভুল বোঝাবুঝি সব ক্লিয়ার করেছি।”
এরোন ঘাবড়ালো একটু। হয়তো অনেকটাই ঘাবড়ালো। শঙ্কিত চোখে তাকালো মিহির বাবার দিকে।
জোয়েল সাহেব কপালে ভাজ ফেলে গম্ভীর মুখে মেঝের দিকে দৃষ্টি আবদ্ধ করে আছেন।
ভাবছেন হয়তো কিছু। তিনি যে সবটা কিভাবে নেবেন সেটাই দেখার বিষয়! এই লোক যা অনেক জটিল প্রকৃতির। আবার বেঁকে বসলে!
“তো এই ছিল সব বিষয়। আমি আমার পক্ষ থেকে, আমার ছেলের কাজের জন্য আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” রুহুল সাহেব নম্রভাবে মিহির মা বাবার দিকে তাকিয়ে বললেন।
দিপালি কি বলবেন বুঝলেন না। স্বামীর দিকে শুকনো মুখে তাকিয়ে রইলেন তিনি।
কিন্তু জোয়েল সাহেব ত নিশ্চুপ। চুপচাপ কি যেন ভেবেই চলেছেন।
জোয়েল সাহেবকে নিরব দেখে আরোহী আর রুহুল মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলেন।
এরোনের ভিতরে ভিতরে সেই কখন থেকেই ভয়, উত্তেজনা সব একসাথে কাজ করছে।
মিহি চুপচাপ তাকিয়ে আছে নিজের কোলের দিকে। বাবাকে সে পরে আর এগুলো জানায় নি। যদিও জানানোর অনেক ইচ্ছে ছিল। কিন্তু এখন ত জেনেছে তার বাবা। তাও সে সেভাবে খুশি হতে পারছে না। এসবের কি কারণ!
কয়েক মিনিট পরে মুখ খুলে এই নীরাবতার অবসান ঘটালেন জোয়েল সাহেব।
শীতল কন্ঠে স্বগতোক্তি করে বললেন, “তারমানে আমার মেয়ে রাজি ছিলই না! কোনো সম্পর্কও ছিল না!”
তিনি তাকালেন রুহুলের দিকে।
ভিতরকার উত্তেজনা আরো দ্বিগুণ বাড়লো এরোনের। এখন জোয়েল সাহেব কি চাইতে পারে?
“আমার মেয়ে যা করেছে তার জন্য আমিও ক্ষমা চাচ্ছি। কিন্তু…।”
এটুকু বলে তিনি তাকালেন মিহির দিকে। মিহিও তাকালো।
জোয়েল সাহেব চোখ সরিয়ে পুনরায় রুহুল সাহেবের দিকে তাকিয়ে বললেন,”জোর করে বিয়েটা করা ঠিক হয় নি। কখনো ঠিক হয়নি। তার সাথে সাথে আমাদেরকেও মিথ্যা বলা হয়েছে। আমার মেয়েকে ভুল বুঝেছি আমি। তবে এখন আমার মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আর কিছু হবে না। আমি হতে দেবো না। ও আপনাদের সাথে কোথাও যাবে না। আমার কাছেই থাকবে। এটাই আমার সিদ্ধান্ত।”
থমকে গেল এরোন। হিমশীতল হয়ে গেল ভিতরটা। দম বন্ধ হয়ে আসতে লাগল যেন।
আরোহী আর জোয়েল সাহেবও চরমভাবে চমকালেন। এমনটা যে তারা আশাই করেন নি। সম্পর্কে মিথ্যা না থাকুক সেই আশাতেই ত সব বিস্তারিত জানানো! কিন্তু এতে যে মিহির বাবা এতটা বেঁকে বসবে তা কে জানত?
কিন্তু এই মেয়েকে রেখে যাওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। এরোন ত জীবনেও থাকতে পারবে না।
“আর কিছু বলার নেই আমার। ক্ষমা করবেন।” নম্রভাবে বলতে বলতে উঠে দাঁড়ালেন জোয়েল সাহেব।
(চলবে…)
(পরের পর্ব বুধবার? মঙ্গলবার দিতে চেষ্টা করবো। কিন্তু কেউ অপেক্ষা করবেন না। দিলে রাত ১২ টার মধ্যেই দিব। না দিতে পারার চান্স বেশি। কাল দুইটা এক্সাম। আজকের এক্সামে গাইল খাইছি?)