মন প্রাঙ্গনে এলে যখন পর্ব ২৬

0
938

#মন_প্রাঙ্গনে_এলে_যখন
#লেখনীতেঃ #আলফি_শাহরিন_অর্পা
#পর্ব_২৬

জয় হোস্টের কাছ থেকে মাইক ছিনিয়ে এনে পরশির সামনে দাঁড়ালো। অতঃপর ঠোঁটে একটা বাঁকা হাসি ঝুলিয়ে সকলকে উদ্দেশ্য করে বললো-
–এখানে কোনো এনগেজমেন্ট হবে না।

এতক্ষণ রুদ্ধ চুপচাপ সব দেখলেও এখন আর নিজের রাগকে আয়ত্তে রাখতে পারলো না। হন্তদন্ত হয়ে ছুটলো জয়ের কাছে। তারপর নিজের দু-হাত দিয়ে জয়ের পাঞ্জাবির কলার উঁচিয়ে রাগর কণ্ঠে বললো-
–দেখ জয় এখন কোনো ফাজলামি করার সময় না। কোনো সমস্যা হলে বল এর সমাধান আমি করবো তাও এখন এনগেজমেন্টটা কর।

জয় নিজের দু-হাত দিয়ে রুদ্ধের দু-হাত ধরে তার পাঞ্জাবির কলার থেকে রুদ্ধের হাত ছাড়ালো। অতঃপর উত্তেজিত হয়ে বললো-
–ফাজলামি আমি করেছি নাকি তুই আর তোর বোন আমার সাথে করেছিস। কী এমন ক্ষ’তি করেছিলাম তোদের যে তোরা দুই ভাই-বোন আমার জীবন এভাবে তছনছ করে দিলি।

রুদ্ধ ওর কথা বুঝতে না পেরে ওকে প্রশ্ন করলো-
–কী বলছিস তুই? আমরা তোর জীবন ন’ষ্ট করেছি? তুই পা’গ’ল হয়ে গেছিস। কী সব উল্টা পাল্টা বকছিস? এসব ছাড়। এখন যা বলবি একদম স্পষ্ট ভাষায় বলবি। আমি আর কোনো কাহিনি শুনতে ইচ্ছুক নই।

–ঠিক আছে। তাহলে শুন। নিজের বোনকে অনেক ভালোবাসিস না তুই? ওর জন্য তুই সবকিছু করতে পারবি? এই কথাটা তুই আমাকে একদিন বলেছিলি মনে আছে। নিজের বোনের তুই নিজের বন্ধুর জীবন ন’ষ্ট করলি কিন্তু একটা মেয়ের জীবন কেনো ন’ষ্ট করলি তুই? তুই তোহ এমন ছিলি না? তুই তোহ প্রত্যেক মেয়েকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখতি ওর সাথে এমন কেনো করলি?

–আমি কোনো মেয়ের জীবন ন’ষ্ট করেছি? কার কথা বলছিস তুই? রাগান্বিত স্বরে জয়কে প্রশ্ন করলো রুদ্ধ।

–মেঘা। আমি মেঘার কথা বলছি। চিৎকার করে কথাটি বললো জয়। অতঃপর নিজেকে সামলে আবার বললো-
–মেঘাকে আমি ভালোবাসতাম। খুব বেশিই বাসতাম। তাই তো তার জন্য এসব করা। যখন পরশি আমায় ভালোবাসার প্রস্তাব দেয় সেই কথা পরশি তোকে না বললেও আমি তোকে বলেছিলাম। কারণ আমি আমার বেস্ট ফ্রেন্ডকে অন্ধকারে রাখতে চাইতাম না। ওকে প্রত্যাখান করার পর মনে খুব বেশি অনুশোচনার সৃষ্টি হয়, তাই আমি আর মেঘা দু’জনে এসে তোর সাথে কথা বলেছিলাম। এই বয়সে এসব আবেগ আসে। তুই তখন বলেছিলি তুই পরশিকে বুঝাবি। তাহলে সেটা না করে কেনো গু’ন্ডা পাঠিয়ে মেঘার ছোট বোনকে কি’ড’ন্যা’প করলি আর কেনোই বা মেঘাকে এত ভয় দেখালি যে সে আমার জীবন থেকে চলে যেতে বাধ্য হলো। বোনের ভালোবাসায় এতটা অন্ধ হয়ে গেলি যে ঠিক-ভুল যাচাই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেললি। মেঘা তোহ তোরও বন্ধু ছিলো। তোর সূত্রপাতেই তো আমার ওর সাথে দেখা। মেঘা যাওয়ার আগে একটা ভালো কাজ করে গেছে যাওয়ার আগে রহিম চাচার কাছে একটা চিঠি লিখে গেছে এবং তোর সত্যি আমাকে জানিয়ে গিয়েছে। নাহলে তো আমি কখনো জানতেই পারতাম না আর সারাজীবন ওকে দোষী ভেবে যেতাম।

তারপর আমি শুরু করলাম খেলা প্রেমের খেলা। বাংলায় একটা প্রবাদ আছে না কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা আমিও তাই করলাম। যে বোনের খুশির জন্য তুই এত কিছু করলি তোর সামনেই তা ধ্বং’স করে দিলাম। আর তুই চেয়েও কিছু করতে পারবি না। এই বলে হো হো করে হাসতে লাগলো। এরপর নিজের হাসিকে থামিয়ে আবার বললো-

যে জায়গায় আজ তোর বোন দাঁড়িয়ে আছে সেই জায়গায় মেঘার দাঁড়িয়ে থাকার কথা ছিলো। যেই আনন্দ তোর বোন এতক্ষণ ভো’গ করছিল আজ সে জায়গায় মেঘার হওয়ার কথা ছিলো। এমনকি আজ এই দিনে আমি আর মেঘা ভেবে রেখেছিলাম আমাদের এনগেজমেন্ট করবো কারণ আজ আমাদের সম্পর্কের দুই বছর পূর্ণ হত। আর হ্যাঁ যে আংটি পড়ানোর জন্য তুই আমাকে মা’ড়’তে আসলি সেটাও মেঘার পড়ার কথা ছিলো। আমি আর মেঘা না হয় একে অপরকে না পেলাম কিন্তু তোর বোন তো সব কিছু পেয়েও হারালো। আজ এখানে উপস্থিত সকলের সামনে তোর বোন নিজের সম্মান হারালো। আমি প্রথমে ভেবেছিলাম তুই যা মেঘার বোনের সাথে করেছিস তোর বোনের সাথে সেটাই করবো, কিন্তু পরক্ষণে ভাবলাম এটা করলে তোর বেশি সময় লাগবে না তোর বোননকে খুঁজতে। তাই এমন কিছু করতে হবে যাতে তুই আর তোর বোন নিজের সম্মান হারাক, কারো সামনে নিজের মুখ দেখাতে না পারিস আর আজ তাই হলো। আজকের তুই আর তোর বোন কাউকে মুখ দেখানোর যোগ্য থাকলি না। এই বলে জয় আবার অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো।

তখনি মিসেস চৌধুরী এসে জয়কে থা’প্প’ড় লাগালো। এতে জয়ের কোনো ভাবাবেগ হলো বলে মনে হলো না। সে শক্তভাবে সেখানে দাঁড়িয়ে ছিলো। মিসেস চৌধুরী যখন তাকে কিছু বলতে যাবে তখনি সে হাত দেখিয়ে তার মাকে কথা বলতে না করলো। সকলের দিকে একবার তাকিয়ে বেড়িয়ে গেল অনুষ্ঠান থেকে। সে পিছনে ফিরে একবার তাকালো না। যদি তাকাতো তাহলে হয়ত দেখতে পেত এক মেয়ের স্বপ্ন ভাং’চু’রের দৃশ্য। কান্না করতে করতে চোখের পানি একদম শুখিয়ে গিয়েছে। স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। মনে হচ্ছে সে এখানে থেকেও নেই। হঠাৎ করে মেয়েটির সামনে সব কিছু ঝাপসা লাগছে। অতঃপর মেয়েটি সেখানে নিজের জ্ঞান হারিয়ে ফেললো।

সেই ঘটনার অনেকদিন পেড়িয়ে গেলো। সময় গতিতে তাল মিলিয়ে সবার জীবন চলতে থাকলেও থমকে গেল পরশির জীবন। সে নিজেকে যতই উঠে দাড় করানোর চেষ্টা করতো তখনই ঐ ঘটনা তার চোখের সামনে ভাসতো যা তাকে ভেঙে গুড়িয়ে দিত। একসময় তার মনে হতে লাগলো এখানে থাকলে একসময় সে পা’গ’ল হয়ে যাবে তাই সে রুদ্ধের সাথে কথা বলে যেন তাকে দূরে কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া হোক। প্রথমে রুদ্ধ নাকচ করলেও পরে পরশির মানসিক অবস্থা খেয়াল করে তাকে দূরে পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো।

জয় এখন নিজের ফ্ল্যাটে থাকে সেই ঘটনার পর আর বাসায় যায়নি। একাকিত্ব ঘিরে রেখেছে তাকে। কিন্তু এর কারণটা সে ধরতে পারছে না। হয়ত মেঘা এমন না বলে চলে যাওয়া নয়ত..। আর কিছু ভাবলো না।

আজ বন্ধুদের জোড়াজুড়িতে বাসা থেকে বের হলো সে। প্রথমে না করলেও পরে ভাবলো তার রিফ্রেসমেন্ট দরকার তাই সে রাজী হয়ে গেলো। বর্তমানে ঢাকার বসুন্ধরা কমপ্লেক্সে বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে সে। বন্ধুদের অপেক্ষা করছে। সবগুলো তাকে আসতে বলে কোথায় হাওয়া হয়ে গেছে কে জানি? প্রচণ্ড বিরক্ত বোধ করছে সে। ঠিক তখনই পিছন থেকে এক মেয়েলি কণ্ঠ শুনতে পেলো সে। কণ্ঠ শুনে সে এক ঝটকায় চিনে গেলো কণ্ঠের মালিক কে? তাৎক্ষনিক সে দেড়ি না করে পিছে ফিরে তাকিয়ে দেখলো মেঘা একটা ছেলের সাথে হেঁসে কথা বলছে, ঠিক তখনই খেয়াল আসলো রহিম চাচাতো বলেছিলো মেঘা পরিবারসহ অন্য দেশে সেটেল হয়ে গেছে। সে মেঘার দিকে এগোবে তখনই মেঘা ছেলেটির সাথে গাড়ি করে কোথাও চলে গেল। সে আর কিছু না ভেবে গাড়িটির পিছন নিলো। গাড়িটি গিয়ে থামলো একটা বাংলোর কাছে এবং তার দু’জন সেই বাংলোতে চলে গেল। জয় তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে বের হয়ে বাংলোতে ঢুকতে যাবে ঠিক তখনই বাংলোটির দারোয়ান এসে তাকে আঁটকে ফেললো। সে কিছতেই তাকে ভিতরে যেতে দিবে না। অনেক কষ্টে জয় তাকে মেনেজ করলো অতঃপর দারোয়ান লোকটি বললো মেয়েটি তাদের মালিকের ছোট ছেলের স্ত্রী। এইটুকু শুনতেই জয়ের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো।

~বর্তমান~

অতীতের কথা ভাবলে যখন নিজের করা দোষ গুলো সামনে আসে তখন হাতে কিছু করার থাকে না। যতক্ষণ পর্যন্ত না অপর ব্যক্তিটি তোমাকে ক্ষমা করছে ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার মনকে অনুতপ্ততা গ্রাস করে রাখে। নিজেকে যতই বোঝাও না কেনো যে সব ভুল বোঝাবোঝি ছিলো তাও মন তা মানতে চেত না।

পরশিকে হসপিটাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়েছে আজ সাত দিন। মোটামুটি সুস্থ আছে তাও মাঝে মাঝে আঘাত প্রাপ্ত স্থান গুলো একটু ব্যাথা করে। এখন পরশি নিজের বিছানার সাথে হেলান দিয়ে বসে আছে আর স্নিগ্ধা পরশির পায়ের কাছে বসে ছুঁ’ড়ি দিয়ে ফল কাঁটছে এবং তাকে এগিয়ে দিচ্ছে। আর পরশি স্নিগ্ধার কান্ড দেখছে আর মিটিমিটি হাসছে। স্নিগ্ধা অনেক্ক্ষণ ধরে তা খেয়াল করছিলো কিন্তু কিছু বলেনি। এবার না পেরে বলেই উঠলো-

–কী হয়েছে আপু? তুমি আমার দিকে তাকিয়ে হাসছো কেনো? আমার চেহারায় কী কিছু লেগে আছে?

স্নিগ্ধার কথা শুনে পরশি হোহো করে হেঁসে উঠলো। পরশির হাসি দেখে স্নিগ্ধার ভ্রু খানিকটা কুঁচকে এলো। সে বিছানা থেকে উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে নিজের চেহারা দেখতে লাগলো। “চেহারায় তো কিছু নেই তাহলে আপু হাসলো কেনো?” বিরবির করে কথাটা বললে পরশি তা শুনে ফেললো আর অট্ট হাসিতে ফেটে পড়লো।

–আরে মেয়ে তোমার চেহারায় কিছু লেগে নেই। আমি বিছানায় পড়ে পড়ে বিরক্ত হচ্ছিলাম তাই ভাবলাম কাউকে বিরক্ত করি। তুমি সামনে ছিলে তাই তোমাকে করলাম। দেখতে চাচ্ছিলাম তুমি কতটুকু বিরক্তি বোধ করো।

–এটা ঠিক না আপু। আমি সহজে বিরক্ত হয়ে যাই বলে তুমি আমাকে এভাবে বিরক্ত করবে?বাচ্চাদের মুখ ফুলিয়ে কথাগুলো বললো স্নিগ্ধা।

–ওহ তাই নাকি! কিন্ত সেদিন তো তোমাকে বিরক্ত হতে দেখিনে যেদিন তুমি ভাইয়ার সেবা করছিলে?

পরশির কথা শুনে স্নিগ্ধা হকচকিয়ে গেল। খানিকটা তোতলিয়ে বললো-
–কো..কো..কোনদিনের কথা বলছো আপু?

–সেইদিনের কথা বলছি যেদিন ভাইয়ার জড় এসেছিলো আর তুমি সারা রাত ভাইয়ার মাথার জল পট্টি দিয়েছিলে। চাইলে তুমি আমাকে বা কোনো সার্ভেন্টকে ডাকতে পারতে কিন্তু তুমি তা করোনি। আমি বলছি বলে এটা ভেবো না আমি সারারাত তোমাদের পাহারা দিয়েছি, আমাকেও একজন সার্ভেন্ট বলেছে। কন্ঠে কিছুটা রসিকতা মিশিয়ে কথাগুলো বললো স্নিগ্ধাকে।

পরশির মুখে এমন কথা শুনে স্নিগ্ধা তো লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে। পরশির মুখের দিকেও তাকাতে পারছে না কেননা ওর মুখের দুষ্ট হাসি দেখলেই এখন স্নিগ্ধার পালাতে মন চাইবে।

–জানো স্নিগ্ধা যখন বাবা-মায়ের এ’ক্সি’ডে’ন্ট হয় তখন আমি খুব ছোট ছিলাম। যতটুকু আমি জানি আমাদের মা-বাবা উভয়ই ছিলো অ’না’থ, তাই দাদা-দাদি, নানা-নানি, খালা-ফুফু ইত্যাদি কারো ভালোবাসা আমরা পাইনি। মা-বাবা, ভাই আর আমি এই চারজনেই ছিলাম আমাদের পরিবার। কিন্তু হঠাৎ এক দূর্ঘটনা সব পাল্টে দিলো, হয়ে গেলাম আমরা বাবা-মা হারা। এই দুনিয়াতে আমার মনে হয় না এ’তি’মদের থেকে মনে হয় না অসহায় কেউ আছে। ভাইয়ের বয়সও তখন বেশি ছিলো না। সেই বয়সে সে আমাকে একাহাতে বড় করেছে। যে বয়সে ছেলেরা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিত, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেত সেই বয়সে ভাই আমাকে নিজের সবটুকু সময় দিয়েছে।

এইটুকু বলে থামলো পরশি। গলাটা একটু শুকিয়ে গেছে। সাইড টেবিল থেকে পানির গ্লাসটা তুলে পানি পান করে হালকা একটু গলা ভিজিয়ে নিলো পরশি। অতঃপর মুচকি হেঁসে বললো-

–সারাজীবন তোহ আর আমি ভাইয়ের সাথে থাকতে পারবো না। তাই তার জন্য এমন কাউকে রেখে যেতে চাই যে সবসময় তাকে ভালোবাসবে, আগলে রাখবে। যেকোনো ঝড়-ঝাপটায় একে অপরের পাশে দাঁড়াবে, একে অপরের পরিপূরক হয়ে। একটা সত্যি কথা বলি আমি কখনো ভাবিনি আমার ভাইয়ের জন্য তোমাকে চয়েজ করবো। ভেবেছিলাম কোনো ম্যাচিয়ুর মেয়ে হবে হয়ত আমার ভাইয়ের জন্য কিন্তু কে জানতো আমার ভাইয়েরও এই বাচ্চা মেয়েটা পছন্দ হবে।

স্নিগ্ধা পরশির প্রথমদিকের কথা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। কত কষ্ট করেছে তারা জীবনে? তার মাথায় মায়ের ছায়া থাকলেও এদের মাথায় এমন কোনো মানুষের ছায়া ছিলো না যারা তাদের আগলে রাখবে। এইসবই ভাবছিলো আর আফসোস করছিলো। তখনি পরশির শেষোক্ত বাণী শুনে সে লজ্জায় মিইয়ে গেলো। রুদ্ধ তাকে পছন্দ করে? এটা কী শুনছে সে? না এখানে থাকা এখন বিপদজনক। পরশি আপু নাহলে আজ তাকে লজ্জা দিতে দিতে শেষ করে ফেলবে। এই বলে দিলো এক দৌড়। আর পরশি ওর অবস্থা দেখে খিলখিল করে হাসছিলো।

চলবে…

বিঃদ্রঃ আজ অনেক বড় একটা পর্ব দিয়েছে প্রায় ১৬৩০ শব্দের। তাই আশা করছি এই আজকের পোস্ট লাইক আর কমেন্ট ও সেই হিসাবে বেশি করে আসবে। আর আমকে সাপোর্ট করার জন্য আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here