#দৃষ্টিনন্দনে_তুমি
কলমে : লাবণ্য ইয়াসমিন
পর্ব:৭
চোখ বন্ধ করে সোফায় হেলান দিয়ে শুয়ে আছে আরাফাত। চোখের সামনে এখনো সেই মেয়েটার ছবি জ্বলজ্বল করে জ্বলছে। এ কেমন শাস্তি পাচ্ছে আল্লাহ ভালো জানে। ভালোবাসা মানুষের আবয়বের আড়ালে আরেকজনের বসবাস। মন অশান্ত হয়ে আছে। হৃদয় ভাঙার হাহাকার শোনা যায় না। ভুক্তভোগী শুধু উপলব্দি করতে পারে। কথাগুলো একমনে ভেবে চলেছেন আরাফাত। হঠাৎ পাশে কারো বসার শব্দে ও চমকে উঠে পাশ ফিরে তাঁকিয়ে দেখলো ছোঁয়া বসে আছে। মেয়েটার ঠোঁটে রহস্যময় হাসি। আরাফাত পাত্তা দিলো না। পূর্বের ন্যায় চোখ বন্ধ করলো। আপাতত ঝগড়া ঝামেলা করার ইচ্ছে নেই। ছোঁয়া ওর এই নিরবতাকে সহ্য করতে পারলো না ফিসফিস করে বলল,
> মনঃকষ্টে দিনগুনছো অথচ আশেপাশে অনেকেই আছে কাউকে নিজের হৃদয়ের দখলদারি দিচ্ছো না। এতো জেদি কেনো তুমি?
আরাফাত ভ্রু কুচকে বিরক্তি নিয়ে উত্তর দিল,
> আমার হৃদয়ের গহীন অরণ্যে লুকায়িত আছে বিষেভরা পঞ্চা ব্যাঞ্জন। ফালতু কেউ দখলদারি নিতে চাইলে বিষাক্ত আঘাতে বিলীন হয়ে যাবে। সেখানে শুধু শ্রেত শুভ্র পবিত্র মনের কাউকে প্রয়োজন। তুমি আমার হৃদয়ের তল পাবে না অযথা সময় নষ্ট না করে অন্য জায়গাই চেষ্টা করো। আশাকরি দ্রুত ফল পাবে।
আরাফাতের কথা শুনে ছোঁয়ার মাটির সঙ্গে মিশে যেতে মন চাইলো। এই ছেলেটাকে ওর খুন করতে মন চাই। এভাবে চলতে পারে না। একটা মেয়ে হয়ে আর কতবার নিলজ্জের মতো ছেলেটার সামনে নিজের ভালোবাসাকে উপস্থাপন করবে। এভাবে হবে না বুদ্ধি দিয়ে কাজ করতে হবে। কথাটা ভেবে ও চুপচাপ রুমে উঠে আসলো। বিছানা থেকে খালার নাম্বারে ডায়েল করলো। আমেনা বেগমের কাজকর্ম নেই সারাদিন বসে থাকা ছাড়া। ফোনটা সব সময় উনার কাছেই থাকে। আজ অবধি কেউ বলতে পারবে না একবার ফোন দিয়ে মিস হয়েছে। উনি হয়তো মাঝেমাঝে মিস কল আসলেও রিসিভ করে ফেলেন। ছোঁয়া ফোন দিতেই আমেনা বেগম রিসিভ করলেন। ছোঁয়া মিষ্টি করে সালাম দিয়ে বলল,
> খালামনি কেমন আছো? তোমার শরীর ঠিক আছে তো?
আমেনা বেগম বিস্তার হাসি দিয়ে বললেন,
> আলহামদুলিল্লাহ্ মা,মোটামুটি ভালো আছি। মেয়েটার জন্য চিন্তা হচ্ছে এই যা। সেসব ছাড় তোরা কেমন আছিস বল? রাহলে কোথায় আছে।
> আলহামদুলিল্লাহ্ আমরাও ভালো আছি।খালামনি হৈমী খুব ভালো আছে। তুমি অযথা চিন্তা করছো। তোমার ছোট ছেলেটার মাথায় সমস্যা আছে বুঝলে? ওর জন্যই রাজীব ভাইয়া হৈমীকে শশুর বাড়িতে রাখতে চাইছে না। ওরা কতটা আদর যত্নে রেখেছে মেয়েটাকে তুমি যদি জানতে।শুধু শুধু ঝামেলা করছে। আমার কাছে একটা বুদ্ধি আছে শুনবে?
আমেনা বেগম দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বললেন,
> বল মা।
> তুমি ওর বিয়ে দিয়ে দাও। বউ আসলে দেখবে একদম সোজা হয়ে গেছে। ত্যাড়ামি ঘুচে যাবে।
আমেনা বেগম চিন্তিত হয়ে বললেন,
> মাসুদের বিয়ে হয়নি তার আগে কি ও বিয়ে কববে? তাছাড়া ওর সঙ্গে আমি পারিনা। আমার শশুরের মতো ত্যাড়া হয়েছে। কাউকেই পরোয়া করে না। একবার বলেছিলাম কথা না শুনলে আমি বাড়ি ছেড়ে চলে যাবো। সেটা শুনে ও কি বলেছিল জানিস?বলেছিল চলে যাও আমার কি। তুই ভাব কেমন লাগে?
আমেনা বেগমের কথা শুনে ছোঁয়া নিভে গেলো। মন থেকে আরাফাতকে পাওয়ার ইচ্ছে দমে যাচ্ছে। ছেলেদের মন কি এমন হয়? ছোঁয়া যথেষ্ট সুন্দরী শিক্ষিতা আধুনিকা মেয়ে। যেকোনো পুরুষের হৃদয়ে ঝড় তোলার জন্য যথেষ্ট তবুও কেনো আরাফাত ওর দিকে ফিরেও তাকাই না মাথায় আসে না। আরাফাতকে ওর খুন করতে মন চাইছে। চোখ ঝাপসা হয়ে আসছে। নিজেকে খুব ছোট মনে হয়। কথাগুলো ভেবে ও ফুপিয়ে উঠলো।
☆☆
সারারাত আবিরের ঘুম হয়নি। সোফায় বসে রাত পার করেছে। রফিকের ঘুমানো একটুও ভালো না। হাত পা ছড়িয়ে নাক ডেকে ঘুমিয়েছে। মাঝেমাঝে আবার আবোলতাবোল বকেছে। আবিরের ইচ্ছে করছিল ছেলেটার মাথায় একটা বাড়ি দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিতে। আবির বুঝে নিয়েছে এই ছেলের মাধ্যমিক ফেলের কারণ কি। এই মেধা নিয়ে নাকি রাজনীতি করবে। দেশের বারোটা আগে থেকেই বেজে আছে এরম ছ্যাছড়া টাইপ লোকজন ঢুকে আরও বাজাবে। আবির বিড়বিড় করে ওকে বকতে বকতে বেরিয়ে গেলো। আসমা বেগম নামাজের পরেই রান্নাঘরে ডুকেছেন। এতগুলো মানুষের আহারের ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন। আবির ঢুলতে ঢুলতে হৈমন্তীর পাশে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লো। হৈমন্তী তখনও ঘুমিয়েই আছে। রাতে পায়ের যন্ত্রণায় বেশ ভুগতে হয়েছে। আসমা বেগম সারারাত ওর মাথার কাছে বসে ছিল। হৈমন্তী শাশুড়ির উপরে প্রচণ্ড খুশী। এই বাড়ির ছেলেগুলো যতটা খাটাস টাইপের মেয়ে বউ গুলো ততটাই ভালো। হৈমন্তী বুঝতে পারছে না এই বাছাইকৃত শয়তানের মধ্যে ভালো মেয়েগুলো কিভাবে ফেঁসে গেলো। বিয়ের আগে হয়তো খোঁজখবর রাখেনি। আহা খুব আফসোস হয়েছে শাশুড়ির জন্য। ওর মনে হয় শাশুড়ি ওর শশুরের চাইতে ভালো কাউকে পেতে পারতো।
সোজা হয়ে ঘুমিয়ে আছে হৈমন্তী। হঠাৎ হাতের উপরে কারো ছোঁয়া পেয়ে চমকে উঠে ওর ঘুম ভেঙে গেলো। হৈমন্তী ঝট করে চোখ খুঁলে দেখলো আবির ওর পাশে ঘুমিয়ে আছে। হৈমন্তী দ্রুত ওর হাতটা সরিয়ে দিয়ে পাশে রাখা বালিশটা মাঝখানে দিয়ে দিলো। আপাতত ঝগড়া ঝামেলা করতে মন চাইছে না। তাছাড়া সকালে ঘুম থেকে জেগে ওর কথা বলতে ইচ্ছে করে না। আবির নড়াচড়া করছে না। হৈমন্তী পাশ ফিরে আবারও ঘুমিয়ে গেলো। ঘুম ভাঙলো আসমা বেগমের ডাকে। হৈমন্তী তাড়াতাড়ি করে উঠতে চাইলো কিন্তু পারলো না। আসমা বেগম ওকে বসিয়ে দিলেন। হৈমন্তী পাশে ফিরে দেখলো আবির এখনো ঘুমিয়ে আছে। হৈমন্তী ওর দিকে তাঁকিয়ে ফিসফিস করে বলল,
> আম্মা লোকটা এখানে কেনো? কখন এসেছে তুমি জানো?
আসমা বেগম হৈমন্তীর হাতে ব্রাশ দিয়ে বললেন,
> নামাজের পরে এসেছে। রফিকের সঙ্গে কেউ ঘুমাতে পারেনা। সারারাত হয়তো না ঘুমিয়েই ছিল।
কথাটা শুনে হৈমন্তীর ঠোঁটে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠলো। বেশ হয়েছে বলে ওর মনে হচ্ছে। পায়ের ব্যান্ডেজ রাতেই খোলা হয়েছে। হাটতে কষ্ট হচ্ছে তবুও শাশুড়ির সাহায্যে বাথরুম চলে গেলো। আশা করা যায় কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি ঠিক হয়ে যাবে। আবিরের ঘুম ভাঙলো এগারোটার পরে। হাসপাতালে যেতে হয়নি আজ। শুক্রবারের জন্য হাসপাতাল সপ্তাহিক ছুটি আর ক্লিনিকে আজ কোনো অপারেশন নেই। তবে বিকেলে রোগী দেখবে। আবির হামি ছেড়ে বসে কয়েক মিনিট ঝিমিয়ে নিলো। হৈমন্তী ওর পাশেই বালিশে হেলান দিয়ে বই পড়ছে। আবির ভাঙাভাঙ কন্ঠে বলল,
> শুভ সকাল।
হৈমন্তী শুনেও না শোনার ভান করে চুপচাপ বসে থাকলো। আবির বুঝলো উত্তর পাবে না তবুও বলল,
> আচ্ছা হৈমী তোমরা আমাদের বাড়ির লোকজনদেরকে এতো অপছন্দের কেনো করো বলবে? ঝগড়া বিবাদ কিসের এতো? ক্ষতি যা হয়েছে সব তো আমাদের। তোমাদের তো কিছু হয়নি।
হৈমন্তী বই থেকে মুখ তুলে উত্তর দিল,
> জীবন্ত দাফন করে বলছেন ক্ষতি হয়নি? শুনেন অযথা রাগাবেন না। এই বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছুক আমি।
> আরে বাবা এক পক্ষের কথা শুনে তুমি বিচার করছো । তোমাকে মানিয়ে নিতে চাইছি অথচ তুমি আমাকে দেখলেই জ্বলে উঠছো। এমন কেনো করছো?
> আপনাকে মানিয়ে নিতে হবে না। বিয়ের দিন কে আপনার ভাইকে আটকে রেখেছিল সেই জন্য আমার ভাইয়াকে দোষারোপ করলেন এটাকি ঠিক হলো বলুন? আমাদের বাড়ি থেকে তো সব মেনেই নিয়েছিল। তারপর কি হলো আপনার চাচা আমার ভাইয়াকে হুমকি দিলো। আগে নিজে ঠিক হয়ে আমাদের বলবেন। অযথা ঝামেলা করবেন না।
হৈমন্তীর ঝাড়ি শুনে আবির মুখ ভার করে উঠে আসলো। এভাবে হবে না। মেয়েটা কথা শুনছে না। মেয়েটাকে কৌশলে বোঝাতে হবে। ওকে যেতে দেখে হৈমী বই রেখে চোখ বন্ধ করলো। বাইরের কানাঘুষা চলছে। কি একটা বিষয় নিয়ে তর্কাতর্কি হচ্ছে। আবির ততক্ষণে ফ্রেস হয়ে বাইরের গিয়ে দাঁড়াতেই আনোয়ারা কাজী ওষ্ঠে হাসি ফুটিয়ে বললেন,
> বাপ এখানে আর কতদিন থাকবো?বলছিলাম কি তুই থাক আমরা বউমাকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে যায়।
কথাটা শুনে আবিরের মেজাজ খারাপ হলো। ও ভ্রু কুচকে বলল,
> পারবো না।
আবিরের সোজাসাপ্টা উত্তর শুনে উনি কিছুটা দমে গেলেন তবুও হাল ছাড়লেন না। বললেন,
> বউমা আমাদের সঙ্গে থাকলে ভালো থাকবে। তুই হাসপাতালে পড়ে থাকবি আর মেয়েটা বাড়িতে থাকবে আমার টেনশন হচ্ছে যদি ওরা ওকে নিয়ে যায় তখন? বাপ তুই আমার কথা আর মানা করিস না।
> মানার করার প্রশ্নই আসছে না। আমি ওকে ছাড়ছি না। দরকার হয় তোমার হাতি বাহিনীকে নিয়ে তোমরাও এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সমস্যা নাই।
আনোয়ার কাজী বিরক্ত হচ্ছেন ছেলের কথাবার্তা শুনে। এই ছেলেটা সব সময় ত্যাড়ামি করে। আবির উনার দিকে তাকিয়ে বলল,
> আম্মা আর হাতি বাহিনী থাকলে তো তোমাদের অসুবিধা হওয়ার কথা না। সকাল সকাল বেরিয়ে পড়ো সুবিধা হবে।
আবির কথাটা বলে বাইরে চলে গেলো। আনোয়ার কাজী রুষ্ট হলেন। এতগুলো বছর পরে এখন ছেলের জন্য আসমাকে এই ঢাকা শহরে রেখে যেতে হবে। কিন্তু কিছুই করার নেই। শেষমেশ দুভাই আলাপ আলোচনা করে ঠিক করলো লাঠিয়াল বাহিনী আর বাড়ির মেয়েদের কয়েকজনকে রেখে উনারা ফিরে যাবেন। বিকেল হতেই সবাই ফিরে গেলো। হৈমন্তীর বেশ স্বস্তি লাগছে। বাড়ি গড়ের মাঠ হয়ে উঠেছিল।
__________________
এভাবেই কয়েকদিন পার হলো। হৈমন্তীর পায়ের ব্যাথাটা প্রায় ঠিক হয়ে গেছে। হাটা চলা করতে অসুবিধা হচ্ছে না। আবির নিয়মিত হাসপাতালে যাচ্ছে। আবিরের সঙ্গে ওর তেমন আর কথা হয়নি। আসমা বেগমের সঙ্গে হৈমীর সম্পর্কটা আরও ভালো হয়ে গেছে। আরেকজন আছে যার সাঙ্গে হৈমন্তীর একদম বন্ধুর মতো সম্পর্ক তৈরী হয়েছে। সেটা হচ্ছে আবিরের কাজিন অরিন। অরিন রফিকের ছোট বোন। মেয়েটা বেশ হাসিখুশি। ও এখানে হোস্টেলে থাকতো কিছুদিন হচ্ছে আবিরের বাসাই উঠেছে। মেয়েটা বেশ সরল। হৈমন্তীর সময়টা ভালো যাচ্ছে। সকাল সকাল আসমা বেগম হৈমন্তীকে নিয়ে রান্নাঘরে ঢুকেছেন। উনি হৈমীকে পুডিং তৈরী শিখতে সাহায্য করছেন। আবির হাসপাতালে যাবে তৈরী হচ্ছে। একটা ফাইল খুজে না পেয়ে চিৎকার করছিল আসমা বেগম ডিমের বাটিটা হৈমন্তীর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বের হলেন। হৈমন্তী ডিমটা একটু নেড়েচেড়ে দেখছিল হঠাৎ অরিনের ডাক শুনে বাটি হাতে বেরিয়ে আসলো। আবির ফাইল নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে যাওয়ার সময় হৈমন্তীর সঙ্গে লেগে গেলো ধাক্কা। ফলাফল ডিমের বাটিটা আবিরের গায়ে ছড়িয়ে পড়লো। হৈমন্তী চোখ বড়বড় করে ফেলল। আবির নিজের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে রাগে ফেটে পড়লো। কাচা ডিমের গন্ধ ও সহ্যহয়না। আবির ওকে ধমক দিয়ে বলল,
> তুমি ইচ্ছে করে এমন করলে তাই না? তোমাকে খুন করবো আমি। ফাজিল মেয়ে। থাপ্পড় চিনো?
হৈমন্তী কেঁপে উঠলো ওর ধমক শুনে। মিনমিনে কন্ঠে বলল
> সরি আমি ইচ্ছে করে এমন করিনি। আপনিই তো চলে আসলেন।
আবির রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। হৈমন্তী গালে থাপ্পড় দিতে গিয়েও হাত ফিরিয়ে নিয়ে রুমে গিয়ে ধপাস করে দরজা বন্ধ করে দিলো। হৈমন্তী ঠাই দাঁড়িয়ে আছে। আসমা বেগম দৌড়ে এসে ওকে জড়িয়ে ধরেলেন। আবির রুমে গিয়ে দ্রুত গোসল করে বের হলো। আজকে হাসপাতালে যাওটা খুব দরকারি। হাসপাতালে অর্ধগলিত এক মেয়ের লাশ এসেছে। তার ময়নাতদন্তের দায়িত্ব পড়েছে আবিরের উপরে। কেসটা নিয়ে আবির বেশ চিন্তিত। এক বছর আগেও এমন একটা লাশ পেয়েছিল।
(চলবে)
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। আশাকরি গঠনমূলক মন্তব্য করবেন।