“আম্মা আমার সঙ্গে এমন অন্যায় করতে পারেন না আপনি? বাচ্চা হচ্ছে না এতে আমার দোষ কোথায়? আল্লাহ আমাদের কপালে সন্তান সুখ রাখেননি। আপনি জোরজবরদস্তি করে আপনার ছেলের আবার কেনো বিয়ে দিচ্ছেন? এমন করবেন না প্লিজ। কত বছর আছি আপনার বাড়িতে। একটু রহম করুন।”
চয়নিকা কথাগুলো বলে কেঁদে ফেলল। কতগুলো বছরের সংসারজীবন। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় বউ হয়ে এই বাড়িতে পা রেখেছিল।স্বামী রাজীবের সহায়তায় উচ্চ মাধ্যমিক পযর্ন্ত পড়তে পেরেছে তারপর আর এগোনোর সাহস হয়নি। শাশুড়ির মন রক্ষা করতে সব ছাড়তে হলো কিন্তু এতগুলো বছর পার হলেও সন্তানের মুখ দেখা হলো না। চয়নিকাকে আমেনা বেগমের খুব একটা পছন্দ ছিল না।ছেলের পছন্দের মেয়ে তাই সেসময় বাধা দিতে পারেননি। তাই বলে কি এখন পারবে না?পরের মেয়ের জন্য নিজের বংশধরের আশা ত্যাগ করার মতো মন মানুষিকতা আমেনা বেগমের নেই। রাজীবকে রাজি উনি করিয়ে ফেলবেন।ছেলে উনার মাতৃভক্ত। তাছাড়া উনার বোনের মেয়ে লতা এই বাড়িতেই থাকে। দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ্ ভূবন ভোলানো তার রূপ। এমন একটা মেয়ে ছেলের বউ হলে মন্দ কিসের?যদিও রাজীবের সঙ্গে লতার বয়সের পার্থক্য খানিক বেশি কিন্তু পুরুষ মানুষের আবার বয়স কি?আমেনা বেগম চয়নিকার কথার উত্তর না দিয়ে চলে গেছেন। চয়নিকার চোখে পানি। হৃদয় ক্ষতবিক্ষত। স্ত্রী হয়ে স্বামীর বিয়ে কিভাবে দেখবে ভাবতে পারছে না। এর থেকে গলাই দড়ি দেওয়া অনেক সুখের হবে। আর যাইহোক সতীনের মুখ দেখতে হবে না।স্বামীকে ভাগাভাগি করতে হবে না।
ডাক্তারি রিপোর্টে পরিস্কার উল্লেখ আছে বাচ্চা হচ্ছে না এতে চয়নিকার কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হচ্ছে ওর স্বামী রাজীবের। সাধারণ এই কথাটা ওর শাশুড়ি আমেনা বেগম কিছুতেই মানতে রাজি না। ভদ্রমহিলা নিজের মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। বোনের মেয়ে লতার সঙ্গে ছেলের আবার বিয়ে দিবেন। চয়নিকা থমথমে মুখ নিয়ে রুমে ফিরলো। রাজীব এমপি নির্বাচনের একজন প্রার্থী। সব সময় বাইরে বাইরে থাকতে হয় চয়নিকাকে সময় দেওয়া হয় না। বাড়িতে সাজসাজ রব। আমেনা বেগম ছেলের বিয়েটা গোপনীয়তার সঙ্গেই দিবেন।তবুও বাড়ির মধ্যে ছোটখাট একটা অনুষ্ঠান করবেন। মির্জা বাড়ির চাবিকাঠি আমেনা বেগমের হাতে। উনি শক্ত হাতে ছেলেমেয়েদেরে মানুষ করেছেন। মোটামুটি জাদরেল মহিলা। রাজীব রাজি হতে বাধ্য। এ নিয়ে আমেনা বেগমের চিন্তা নেই। উনি রাজীবকে বলবেন বিয়ে না করলে উনি সংসার ত্যাগ করবেন। যেখানে উনার কথার দাম নেই সেখানে উনি থাকবেন না। অপয়া বউকে নিয়ে সংসার করছে এতে অমঙ্গল হচ্ছে। রাজীব চয়নিকার জন্য অপেক্ষা করছিল। চয়নিকা থমথমে মুখ নিয়ে রাজীবের পাশে গিয়ে বসতেই রাজীব ডান হাত দিয়ে ওকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বলল,
> মন খারাপ? আসো মন ভালো করে দিব। আমার বউ মন খারাপ করে থাকবে এটাতো হতে পারে না।
রাজীব আগ্রহ নিয়ে চয়নিকাকে নিজের সঙ্গে আরও কিছুটা টেনে নিতেই ও ঝাড়ি দিয়ে উঠলো,
> একদম নেকামি করবে না। বিয়ে করা হচ্ছে তাহলে আমার মন ভালো থাকলেই কি আর খারাপ থাকলেই কি? যেমন মা তার তেমনি ছেলে। একদম আমাকে স্পর্শ করবে না।
চয়নিকা ওকে ছাড়িয়ে দিয়ে বিছানায় গিয়ে বসলো। রাজীবের চোখেমুখে বিস্ময়। বাড়িতে ফেরা হতো না হাতে প্রচুর কাজ। আমেনা বেগম জরুরি তলব দিয়ে ওক নিয়ে বসেছে। কিন্তু চয়নিকার কথা শুনে ওর মাথার মধ্যে চক্কর দিচ্ছে। শেষপর্যন্ত কিনা এই বয়সে এসে বিয়ে? বিড়বিড় করে বলল, আম্মা এমপি হওয়া আর হলো না”। রাজীবকে এভাবে তাঁকিয়ে থাকতে দেখে চয়নিকা ফিসফিস করে বলল,
> তুমি কালেই আমাকে বাড়িতে রেখে আসবা। তোমার বাড়িতে থাকার বিন্দু পরিমাণ ইচ্ছে ও আমার নেই।
রাজীব জোর করে ওষ্ঠে হাসি এনে বলল,
> আম্মার বয়স হচ্ছে আর পাগলামি বাড়ছে। আমি উনাকে বুঝিয়ে বলবো। তুমি ভেবো না। তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো আমি?
চয়নিকা খুব ভালো করে জানে এই লোকটা মায়ের সামনে গিয়ে একটা কথাও উচ্চারণ করবে না। বরং মিউ মিউ করে বিড়ালের মতো লেজ গুটিয়ে চলে আসবে। তবুও এখন কিছু বলার নেই। স্বামীর সংসার ছেড়ে যাওয়া কথা ও কোনো কালেই ভাবেনি। ভাবলে চলে যেতো। মন মেজাজ বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। রাজীব আর অপেক্ষা করলো না ধীরগতিতে বিছানা থেকে নেমে মায়ের ঘরের গিয়ে থামলো। আমেনা বেগম পানের বাটা নিয়ে বসেছে। ছেলেকে দেখে গম্ভীর কন্ঠে বললেন,
> সামনে বসো তোমাকে কিছু বলার আছে।
রাজীব কিছু না বলে মায়ের সামনে বিছানায় বসে পড়লো। আগে মায়ের কথাগুলো শোনা উচিৎ। আমেনা বেগম পান চিবাতে চিবাতে বলল,
> প্রতিটা পরিবার বা বংশের জন্য সন্তান খুবই গুরুত্ব বিষয়। আল্লাহ্ কখন কার উছিলায় খুশী হয়ে যান বলা যায়না। তোমার বাচ্চা হচ্ছে না বিষয়টা নিয়ে আমি খুবই চিন্তিত। নাতি নাতনির মুখে দাদিজান ডাকটা শুনে কবরে যেতে চাই। তাই ঠিক করেছি লতার সঙ্গে তোমার বিয়েটা দিয়ে দিব। লতা খুবই ভালো মেয়ে। দেখতে শুনতে মাশাল্লাহ্ সুন্দরী।
আমেনা বেগম একদমে কথাগুলো বলে থামলেন। রাজীবের গলা শুকিয়ে এসেছে। মায়ের কথার অবাধ্য হওয়ার ইচ্ছে ওর ছিল না কিন্তু তাই বলে বিয়ে? লতাকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসে কিভাবে বউ হিসেবে মানবে? তাছাড়া চয়নিকাকে ও ভীষণ ভালোবাসে। রাজীব মিনমিনে কন্ঠে বলল,
> আম্মা বিয়েটা না করলে হয়না? সামনে নির্বাচন যদি লোকজন জানে ঝামেলা হয়ে যাবে। তাছাড়া লতা আমার বোনের মতো।
আমেনা বেগম বুঝলেন ছেলের মতিগতি ঠিক নেই তাই ভ্রু কুচকে বিরক্তি নিয়ে বললেন,
> এই বিয়ে যদি না করো তবে তুমি আমার মরা মুখ দেখবে। চুলোয় যাক তোমার নির্বাচন। আমি আত্মহত্যা করবো নয়তো বাড়ি ছাড়বো। আমার জিদ তোমার অজানা নেই। যাও এখন প্রস্তুতি নাও।
রাজীব চুপচাপ উঠে আসলো। মায়ের মৃত্যু কারণ হতে চাইছে না। কিভাবে এই সর্বনাশা বিয়ে আটকাবে বুঝতে পারছে না। লতা ভীষণ খুশী। ওর মা শায়লা বানু ওকে বুঝিয়েছে রাজীব আর দুদিন পরে দেশের এমপি হবে। এমনিতেই শেখ বাড়ির অর্থসম্পদের অভাব নেই। ওকে বিয়ে করলে লাভে লাভ।
গ্রীষ্মের তপ্ত রোদে পুড়তে পুড়তে কলেজ থেকে বাড়িতে ফিরলো হৈমন্তী। মন ভীষণ খারাপ। বাড়িতে ফিরে সোজা ছোট ভাইয়ের ঘরে গিয়ে ঢুকলো। আরাফাত তখন বিছানায় গড়াগড়ি করছিল হঠাৎ হৈমন্তীকে দেখে উঠে বসলো। বোনের মুখটা এমন মলিন দেখে ভ্রু কুচকে ফেলল। হৈমন্তী চুপচাপ ভাইয়ের পাশে গিয়ে কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল,
> ভাইয়া আমি দুই সাবজেক্টে ফেল করেছি।
হৈমন্তীর কথা শুনে ফরহাদ নড়েচড়ে বসে বলল,
> মানে কি? আম্মা শুনলে তো তুলকালাম চলবে। এমনিতেই বাড়িতে অশান্তির শেষ নেই। তোকে সায়েন্স নিতে কে বলেছি যা পড়তে পারিস না? আমি বিরক্তি হচ্ছি।
আরাফাতের ঝাড়ি শুনে হৈমন্তী এবার ভ্যা ভ্যা করে কেঁদে ফেলল। সায়েন্স ও ইচ্ছে করে নেয়নি মায়ের জন্য নিয়েছে। আমেনা বেগম ছেলেদের পড়াশোনা নিয়ে খুব সিরিয়াস। হৈমন্তী এবার উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তি হয়েছে। মাধ্যমিকে মোটামুটি রেজাল্ট করেছিল ভেবেছিল পরে গিয়ে সাবজেক্ট চেঞ্জ করে নিবে কিন্তু তেমন হলো না। আমেনা বেগমের কড়া আদেশ যদি সায়েন্স না নিতে চাই তাহলে পাত্র দেখে বিয়ে দিয়ে দিবে। হৈমন্তীর ধারণা ওকে বিয়ে দেওয়ার জন্যই এমন অদ্ভুত কর্মকাণ্ড। আরাফাত বিরক্তি নিয়ে হৈমীর হাত ধরে বলল,
>একদম কান্নাকাটি করবি না। কিছু হলেই ফ্যাচ ফ্যাচ করে কাঁদতে হবে ক্যান? তোর ওই মটু হাবলু স্যারের সঙ্গে আমি কথা বললো বাড়িতে বলবে না। শোন এখনো সময় আছে আমি তোর সাবজেক্ট চেঞ্জ করে দিব আম্মা জানবে না।
হৈমন্তী চোখ বড়বড় করে বিস্মিত হয়ে বলল,
> আম্মা জানলে খুব অশান্তি হবে। শুনেছো বড় ভাইয়ার সঙ্গে লতা আপার বিয়ে ঠিক করেছে?ভাবির জন্য খুব কষ্ট হচ্ছে। ভাইয়া কিছু একটা ভাবো না। তোমার তো খুব বুদ্ধি।
হৈমন্তী কিছুক্ষণ আগেও কাঁদছিল হঠাৎ চয়নিকার কথা ভেবে কান্না ভুলে গেলো। ছোট থেকেই ভাবির কাছে মানুষ। মায়ের থেকে ভাবির আছে যত আবদার। চয়নিকা দুই দেবর আর দুই ননদকে সমান চোখে দেখে কিন্তু কপালের দোষ। শাশুড়ির চোখে ভালো হয়ে উঠতে পারেনি। হৈমন্তীর ধ্যান ভাঙলো আরাফাতের আওয়াজ শুনে,
> বিয়ে টিয়ে নিয়ে তোর ভাবতে হবে না। আমার উপরে ভরসা নেই?
হৈমন্তী ভাইয়ের দিকে তাঁকিয়ে মাথা নাড়িয়ে জানালো বিশ্বাস নেই। আরাফাত মাথা গরম মানুষ। প্রায় দুমদাম মানুষের সঙ্গে মারামারি করে বসে থাকে। বড় ভাই না থাকলে এতদিন কয়টা কেস হতো হিসাব থাকতো না। দেখা গেলো বিয়ে বন্ধ করতে মায়ের উপরে চিৎকার চেচামেচি করে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলল। হৈমন্তী বিশ্বাস করে না শুনে আরাফাত ভ্রু কুচকে বলল,
> বিশ্বাস করিস না আমাই? আচ্ছা যা তোকে আমি কোনো সাহায্য করবো না।
হৈমন্তী ভয়ে সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে বলল,
> এই না না ভাইয়া আমি তোমাকে বিশ্বাস করি। প্লিজ ভাইয়া বুঝতে চেষ্টা করো।
> এবার যা। শোন ভাই যখন থাকবে না তখন বুঝবি। নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে শেখ। আম্মা যা বলবে তাই মাথা নাড়াতে থাকলে বড় আপার মতো খাটাস মার্কা বর জুটবে।
হৈমন্তী ভাইয়ের কথা শুনে মুখ ভার করে বেরিয়ে আসলো। এখনো বোরখা পরাই আছে।প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও নেকাব পরা বাধ্যতামূলক। বাড়ি থেকে নিয়ম করে ওকে কলেজ গেটে নামিয়ে দেওয়া হয় আবার নিয়ে আসা হয়। বাইরের বন্ধু বান্ধবী বলতে একজন দুজন ছাড়া তেমন কেউ নেই। তবে ওর সঙ্গে আরেকজন যাওয়া আসা করে সে হলো মাধবীলতা। সবাই লতা বলেই জানে। আমেনা বেগম লতাকে বোনের থেকে এক প্রকার চেয়ে নিয়েছেন মেঝ ছেলে মাসুদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু ছেলেটা আর্মিতে জয়েন করার পর কোন এক আর্মি অফিসারের মেয়ের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। আমেনা বেগম ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বিয়েটা মেনে নিয়েছেন। আরাফাত বেয়াড়া টাইপ ওকে যদি লতার সঙ্গে বিয়ের কথা বলা হয় বাড়িতে বোমা পড়বে। উনি মনে মনে ছোট ছেলেকে ভয় করেন। ছেলেটা অনার্স পাশ করে জার্মানি যাওয়ার চেষ্টা করছে। খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে। মির্জ বাড়িতে অর্থসম্পদের অভাব নেই তবে অভাব আছে শান্তির। ছেলেমেয়ে থেকে শুরু করে বাড়ির কাজের লোকগুলো পযর্ন্ত আমেনা বেগমের ভয়ে কাটা হয়ে থাকে। প্রথম থেকেই উনার দাপট বেশি।
☆☆
মলিন মুখে বসে আছে চয়নিকা। অপমানিত হয়ে এই বাড়িতে পড়ে থাকার মতো মেয়ে ও না। দুদিন আগেও লতাকে নিজের বোনের মতো ভালোবাসতো। কতবার কত রকম সাহায্য করছে। সেই মেয়েটা এখন ওকে দেখে মুখ ঘুরিয়ে চলে যাচ্ছে। নিজের স্বামীর বিয়ে দেখতে কোনো মেয়েরি ভালোলাগবে না। রাজীব মায়ের রুম থেকে বের হয়ে চয়নিকার ঘরে আর আসেনি। কোন মুখে আসবে? শুধু শুধু অশান্তি হবে। লোকটার বাইরে সামলাতে দক্ষ হলেও ঘর সামলাতে অপারগ এটা চয়নিকার ভালো করে জানা। চোখ দুটো ছলছল করছে। এ কেমন যন্ত্রণায় হৃদয় পুড়ছে। কাজকর্মে হাত উঠছে না। রাত থেকে খাওয়া হয়নি। হৈমন্তী আর আরাফাত কয়েকবার এসেছিল। চয়নিকার হাতে রান্নাবান্নার দায়িত্ব ছিল হঠাৎ বাড়ির পরিবেশ বদলে গেছে। সকালবেলায় রান্নাঘরে গিয়ে দেখলো রান্না প্রায় শেষ। আমেনা বেগম কাজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে লতাকে রান্না শিখাচ্ছে। সেটা দেখার পর থেকে আর বাইরে যাওয়ার সাহস হয়নি। মনে মধ্যে ঝড় চলছে যদি বিয়ে হয়ে যায়?
(চলবে)
#দৃষ্টিনন্দনে_তুমি
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:১
ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন। নতুন কাহিনি তবে নামগুলো অতিপরিচিত। হৈমন্তীকে নিয়ে অন্যরকমভাবে ফিরে আসা। জানিনা কেমন হবে। সাপোর্ট পেলে নিয়মিত গল্প দিবো ইনশাআল্লাহ।