বান্ধুবিকে প্রপোজ,Part – 2
writer -ArFin SuMon
মেয়েটা আমাকে থাপ্পর মারার পর আমি
চুপ করে বসে আছি। ঠিক ওই সময় জুলি
এলো।
আমিঃ- (চুপ চাপ)।
জুলি বলল..
জুলিঃ- কিরে তোর কি
হয়েছে?
আমিঃ- আমি কিচ্ছু বলছি নাহ(চুপ)।
তার পর ও ওর সিট
এ বসল। ওর সাথের বন্ধুবি শারমিনকে ও
প্রশ্ন করল..
জুলিঃ- রিয়ানের কি হয়েছে?
তখন ওই শারমিন বলল..
আমি নাকি ওই
মেয়েকে লাভ লেটার দিয়েছি।
জুলি এই কথা শুনে আরো রেগে গেল
আমার ওপর।
ক্লাস শেষ আমি চুপ চাপ নিচে নামলাম।
আর জুলি মাঠে ছিল।
আমাকে জুলি মাঠে ডাকলো।সেখানে
না যেতে যেতে জুলির একটা থাপ্পর।আর বলল..
জুলিঃ- অন্য মেয়েকে প্রপোজ করছ।তোর শরম
লাগে নাহ।শয়তান তুই আর আমাকে নোক
করবি নাহ বেইমান একটা।
আমি বললাম..
আমিঃ- জুলি আমার কথাটা শোন।
জুলিঃ- নাহ তোর কোন কথাই আমি শুনবো নাহ।
এই বলে জুলি চলে গেল।তবে জুলি কেন
আমার সাথে এমন করল সেটা আমি বুঝে
গেছি।
হয়তো জুলি আমাকে কখনো বলে নি।
তবে জুলি আমাকে অনেক ভালোবাসে।
আমিও চুপ চাপ চলে এলাম।আসলে দিনটাই
খারাপ ছিল। প্রথমে ওই মেয়ের তার পর
জুলির বকাঝকা।জানি নাহ বাসায়
গেলে কি হয়।
.
সেদিনের পর আমি দুই দিন কলেজে যাই
নি।আর জুলি হয়তো সত্য কথাটা
জেনেছে। যে আমি ওই মেয়ে কে প্রপোজ
করি নি।
জুলি ঠিক সেদিন রাতে কল দিল।
জুলিঃ- ওই কুত্তা। তুই আমকে বলস নাই কে। যে
প্রপোজ টা তুই করস নাই।হারামি একটা?
আমি বললাম..
আমিঃ- তুই আমকে বলার সুযোগ
দিছোস। শুধু অপমানি করলি আর সামনে
থেকে তারাইয়া দিলি।ওকে আমি যাবো
না তোর সামনে কি হবে রে আমার।
জুলিঃ- হুম। এখন তো বলবি কারন আমার তো তোর
জীবনে কোন দায় নেই তাই নাহ।
আর তখন জুলি কান্না শুরু করল।কে থামাবে
ওর কান্না জুলি কান্না করছে আর কত
কথাই না বলছে।
তখন আমি বললাম..
আমিঃ- তুই থামবি নাকি
আন্টিকে ফোন দিব।
জুলিঃ- (চুপ হয়ে গেল আর বলল) না না না।
কাউ কে ফোন দেইস নাহ। আম্মু এত রাতে
তোর সাথে কথা বলছি জানলে বকবো।
আর কতকিছুই তো ভাবতে পারে আমাদের
নিয়ে বল। তবে আমরা তো বেস্টফেরেন্ড।
আমি বললাম..
আমিঃ- হুম। তবে তোর মত
বেস্টফেরেন্ড থাকার চেয়ে না থাকাই
ভালো।
তুই আমাকে একটুও বুঝস নাহ জুলি।
জুলিঃ- কে বলছে বুঝি নাহ।এই তো সেদিন ভুল
বুঝে তোকে মারলাম। খুব ব্যথা পাইছোস
তাই নারে।
আমিঃ- হুম।
থাপ্পর মারলে কেমন লাগে তোর মারলে
তুই বুঝতি।
জুলিঃ- আচ্ছা এখন ঘুমা কাল কলেজে যেতে হবে
তোহ্।
ওই থাক নাহ তোর সাথে কথা বলতে খুবই
ভালো লাগে আমার।
আমিঃ- তোর ফাউল পেঁচাল আমার
শুনে লাভ নেই।আমি ঘুমাচ্ছি।
জুলিঃ- ওকে ঘুমা।
.
পরের দিন কলেজে জুলি তো ওই ছেরির
বারোটা বাজাইছে। ওদের ঝগড়া কাকে
বলে আমি জুলিকে সামলাতে পারছিলাম
নাহ।আর আশা করি বন্ধুরা মেয়েদের
ঝগড়া সর্ম্পকে জানো।
সেদিন কি পরিমান ঝগড়া হয়েছে আমি
নিজেও বলতে পারবো নাহ।
তার পর জুলিকে আমি মাঠে নিয়ে
গেলাম বললাম।
.
আমিঃ- কিরে তুই সেদিন কার কাহিনী নিয়ে আজ
ঝগড়া করলি কে।
জুলিঃ- কেন করবো নাহ বল।ও সেদিন তোকে
সবার সামনে অপমান করছে।তাই আজকে
ওরে সবার সামনে এমনকি তোর সামনে
দিলাম।
আর এমনি তে তুই এই দুই দিন কলেজে আসছ
নাই। তাই ওরে কিচ্ছু বলি নাই আজ বইলা
দিলাম আমি কি?????
সেদিন সেই ঝগড়ার পর,,,
.
ওই মেয়ে তার বাবাকে দিয়ে
পিন্সিপালের কাছে বিচার দেয়। আর ওই
মেয়েদের অনেক ক্ষমতা ছিল।
পিন্সিপাল তখন জুলির
মাকে ডাকলো।
সেদিন পিন্সিপাল জুলির মাকে অনেক
অপমান করল।আর
পিন্সিপাল সেদিন জুলিকে টিসি দিয়ে
দিবে ভেবেছিল তবে জুলির বাবার
সুনামের কথা ভেবে কিছু করে নি।
কিন্তু জুলিকে ওই কলেজে আর রাখা হয়
নি।
জুলিকে তার মা তাদের গ্রামের বাড়ি
নিয়ে যাচ্ছে। শুনেছি জুলি কে সেখানেই
ভর্তি করাবে কলেজে।
.
জুলি সেদিন আমার সাথে লাস্ট দেখা
করতে এসেছে ।
আমি বললাম..
আমিঃ- সরি রে জুলি আসলে সব
কিছু আমার জন্যই হল।
আমার সাথে সেদিন ওই ঘটনা না ঘটলে
আজ হয়তো তোকে কলেজ ছাড়তে হতো নাহ।
জুলি বলল..
জুলিঃ- দূর পাগল তোর কোন দোষ নেই।
জুলি আরো কাঁদতে কাঁদতে বলল।তুই
আমাকে ভুলে যাবি না তো?
আমিঃ- দূর পাগলি তোকে ভুলবো কেন?
জুলি অনেক কান্না করছিল ।
তখন আমি জুলিকে বললাম..
আমিঃ- দেখা না হলে কি
হয়েছে কল এ তো কথা হবে। তুই মন খারাপ
করিস না প্লিজ।
তারপর বিদায় নিয়ে জুলিরা চলে গেলো।
.
.
চলবে……..