#দেবী
লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
৮ঃ
গ্রীষ্ম মানেই এক বায়ুশুন্য প্রকৃতি। গ্রীষ্মের উষ্ণতায় প্রকৃতি কঠোর রুপ ধারণ করেছে। মাঠঘাট শুকিয়ে কাঠ কাঠ। প্রকৃতির এই কঠোরতায় সিরাজপুর বাসী ক্লান্ত।কিন্তু এই ক্লান্ত পরিবেশেও কারো হৃদয়ে তৃপ্তির ছায়া। হ্যাঁ গতকাল থেকেই রুহুলের মনে এক সুখের পায়রা উড়ছে। সে না ধরতে পারছে আর না ছুতে পারছে। কাল সারা রাত কেবল কাকনের কথাই ভেবেছে সে। সত্যিই হয়তো আল্লাহ বৈধ সম্পর্ক কে এতটাই পবিত্রতা দান করেছেন যে বিবাহ ঠিক হওয়ার পর থেকেই সে আরো কাকনের প্রতি এক অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।কাকনময়ীর মায়ায় জড়াচ্ছে। ডাগর ডাগর চোখ,,চিকন সরু নাক,,ফুলের পাপড়ির ন্যায় ঠোঁট রুহুল সিরাজীর হৃদয়ে জলস্রোত তৈরি করেছে। কাল কাকন কে রুহুলের কাছে রক্তজবা ফুল মনে হয়েছিল। তাই কাল থেকে তার প্রিয় ফুল হয়েছে রক্তজবা। তাই সিরাজী মঞ্জিলের চাকর লতিফ কে দিয়ে রুহুল বেশ অনেক গুলি রক্তজবার চারা কিনে এনেছে। নিজ হাতে তা রোপণ করেছে সে।গাছ টির দিকে এক মনে চেয়ে রইলো।ভেবে নিলো ফুল ফুটলে সে প্রথম ফুল তার হৃদয়হরণীকে দেবে।হঠাৎ তার কাকন এর কেশের কথা মনে হল।আনমনে বললো,
–“তোমার ভ্রমরকৃষ্ণ কেশে গুজে দেবো একজোড়া
রক্তজবা ,তুমি কি আমাকে সেই সুযোগ দিবা”।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
নিজের অজান্তেই হেসে দিলো রুহুল। হাসলে তার বাম গালে চোখের নিচ বরাবর উঁচু অংশে গর্ত হয়। তার সে সুন্দর মিস্টি হাসি ঠোঁটে ঝুলছে ।
এমন সময় সিরাজী মঞ্জিলের চাকরানী রানু আসলো রুহুল কে ডাকতে। সুভা রুহুল কে ডেকে পাঠিয়েছে। রানু বরাবর ই ভিতু স্বভাবের।ভুত প্রেতে বেশি বিশ্বাসী। একা একা রুহুল কে এভাবে বাগানে গাছের নিচে হাসতে দেখে সে ভয় পেয়ে গেলো। কারণ রুহুল একা একা হাসবে কেন। তার মনে হলো রুহুল কে ভুতে ধরেছে। সে দা…দাদাভাই বলে একবার আস্তে করে ডাক দিলো। কিন্তু সাড়া তো পেলোই না উল্টো রুহুলের হাসি আরো প্রসস্থ হওয়া দেখে সে চিৎকার দিয়ে উঠলো,” আম্মাগো,,, আম্মাগো।” (বলেই দৌড়ে মহলের ভিতর চলে গেলো)
অন্যদিকে রানুর চিৎকার শুনে রুহুলের হুশ ফিরলো। কিন্তু যখন দেখলো রানু দৌড়ে অন্দরমহলে যাচ্ছে তখন সে অবাক হলো। পরেই মনে পড়লো সে তো হাসছিল।পরক্ষণেই মনে হলো রানু তাকে একা হাসতে দেখে ফেলেছে। বিশ্রি ব্যাপার মনে হলো তার কাছে। সে বদনায় রাখা পানি দিয়ে হাত পা ধুয়ে মহলের দিকে গেলো।
এদিকে রানুর কথায় সকলেই ছুটে এলো।
রুহুলের ছোটাম্মা(সৎমা) বলে উঠলো,” কি রে কি হইছে,, চ্যাচাইতাছা ক্যান”
রানু দ্দম ফেলে বললো,”বড় দাদাভাই রে ভুতে ধরছে,, আম্মা”
সুভা বিরক্ত হলো কথা শুনে।বললো,”কি যা তা বলছিস রানু। তোকে দিয়ে একটি কাজ ঠিকঠাক হয় না।”
দাদিমা শুনে বললো,” কিহ,,,আমার মানিক রে ভুতে ধরছে?”
রানু বললো,”আম্মা গো আমার খুব ডর করতাছে।”
মহীবুলের মা মাথায় হাত রেখে বললো,” হায় আল্লাহ কি কয়। বিয়ার গন্ধ পাইয়া ভুত-পেত কই থিকা উদয় হইলো। ”
দাদিমা বললো,” না গো মহীর মা আমার মানিকের তো রাইশ ভার।সিংহ রাশি হেরে তো ভুতে ধরতে পারবো না সহজে।সত্য কইরা ক দেখি রানু।”
রানু বললো,” আমি সত্যি দেখছি আম্মা। খুদার কসম। দেহি যে বাগানে জবা গাছের দিক তাকায়া একা একাই হাসতাছে। আপনেই কন ভুতে না ধরলে কি কেউ একা একা হাসে।”
রানুর কথা শুনে কেউ না বুঝলেও সুভা এবং সামিয়া ঠিক ই বুঝতে পারলো রুহুল কেন হাসছে।। সামিয়া উচ্চস্বরে হেসে দিল।
সামিয়া বললো,” হাহাহা,,,রানু তুই এই জন্য এই ভাবে চিল্লাইলি। আরে পাগলি দাদাভাই তো প্রেমে পড়ছে। তুই চলচিত্র দেখস না,,নায়কেরা প্রেমে পড়লে একা একাই হাসে। নতুন ভাবিরে দেইখা দাদা ভাই সেইরম টাস্কি খায়া গেছে।”
রানুর এখন মনে হল হ্যাঁ তাই তো সে তো রাজ্জাক কবরীর ছবি(সিনেমা) তে দেখছিল।তাইলে কি সে অন্যায় কিছু বলে ফেললো নাকি।
(লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
রুহুল সকল কে একসাথে দেখে ভড়কে গেলো।সিড়ি দিয়ে উপরে যাবে এমন সময় তার দাদি ডাক দিলো।
দাদিমা রুহুলকে ডাকলো,” মানিক এইখানে আয়। কথা আছে।”
রুহুল সিড়ি থেকে নেমে দাদির সামনে দাড়ালো।তারপর বললো,” জি দাদিমা,, বলেন,”
দাদি রুহুলের কান ধরলো। বললো, “কিরে পেরেমে পড়ছা বলে। একা একা যে হাসোস মানুষ কয় ভুতে ধরছে। এইডা কি সত্য।”
রুহুল কানে হাত দিতে বললো,”দাদিমা কান ছাড়েন আর কি যা তা বলছেন। ”
রুহুল আড়চোখে মা চাচিদের দিকে তাকালো। সে যে বাজে ভাবে ফেসে গেছে বুঝতে বাকি নেই। রুহুলের অবস্থা বুঝে সুভা জা দেরকে নিয়ে রন্ধনশালায় গেলো। রুহুল এবার যেন হাফ ছেড়ে বাচলো।
রুহুল কান থেকে হাত ছাড়িয়ে দাদিকে কোলে তুলে নিলো। তারপর ঘুড়াতে লাগলো আর বললো,” হ্যা গো দাদিমা আমি প্রেমে পড়েছি।আমি তাহার প্রেমে মাতোয়ারা হয়ে গেছি।”
রুহুলের কান্ড দেখে সামিয়া আর রানু হেসে দিলো।
দাদিমা হাসতে হাসতে বলল,”আরে নামা আমারে।থাম রে পাগলা পইড়া যামু।”
রুহুল দাদিকে নামিয়া দিলো।
দাদিমা জোরে নিশ্বাস নিয়ে বললো,” একদিনেই দিওয়ানা হইয়া গেলি হ্যাঁ। কি জাদু করছে শুনি?”
রুহুল দাদিমার কানের কাছে ফিশফিশ করে বললো, “সে তো জাদু করে নি, হৃদয় হরণ করেছে।”
বলেই সিড়ি বেয়ে উপরে চললো।
দাদিমা সামিয়া কে বললো, ” শোন রে সামিয়া তোর ভাই এর হৃদয় নাকি কাকন হরণ করছে। হাহাহাহা”
সামিয়া, রানু আর দাদি হাসতে হাসতে অবস্থা বেহাল।
দূর থেকে রুহুলের কান্ড দেখছিল মহীবুল আর হেলাল।হেলাল হাসছে কিন্তু মহীবুলের তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলো মনে। (লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
__________________________
সিরাজী পাঠশালা~
আসরের নামাজ পড়ে সকল মেয়েরা উঠোনে বসে আছে। মেয়েরা বৌচি, কুতকুত, জুতাচুরি খেলছে। কেউ কেউ আবার একে অপরের মাথার উকুন এনে দিচ্ছে। কাকন তাদের থেকে খানিক টা দুরেই আছে। গতকালের তুলনায় আজ তার মন ভালো। মেয়েদের খেলা দেখে তার ও খেলতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু নিজের প্রাণপ্রিয় সই(বান্ধবী) এর কথা মনে করে খেলে না।শৈশব যার সাথে পাড় করেছে কৈশোর পাড় না করার কষ্ট আজীবন তার বক্ষে থেকে যাবে। আচ্ছা জ্যোৎস্না কি কাকনকে ভুলে গেছে দুই বছরে। কথাটি ভাবতেই কাকনের বুক কেপে উঠলো।
হঠাৎ কারো ডাক শুনে টিনের গেইটের দিকে তাকালো কাকন।সামিয়া কে দেখে উঠে দাড়ালো । কালো বোরকা পড়ে এসেছে। চিনতে কিছুক্ষণ সময় লাগলেও চেনার পর উঠে সামিয়ার সামনে গেলো।
সামিয়া বললো, “কি গো ভাবীজান,,, চিনছো আমারে”
কাকনবললো, ” জি। আসুন ভিতরে আসুন।”
সামিয়ার সাথে রানু আর একজন মহিলা এসেছে।
সামিয়া কে নিয়ে কাকন ঘরে নিয়ে গেলো।ফাতিমা কে ডাকলো।সামিয়া কে দেখে ফাতিমা কাছে এসে কাঠের টুল এগিয়ে দিলো। সামিয়া বসলো তারপর বললো, “আমি এসেছি নতুন ভাবির মাপ নিতে।দাদিমার হুকুম সব কাম একদম ঠিক ঠাক মত করতে হইবো।দাদিমা পাঠায়ছে ভাবির মাপ নিতে। আর এই যে ইনি হইলো আমাগো সিরাজী মঞ্জিলের মাইয়া গো পোশাক বানানোর দর্জি।”
ফাতিমা বললো, ” ওহ ঠিক আছে। কাকন তুই মাপ দিয়া দে।”
দর্জি কাকনের সব মাপ নিয়ে কাগজে লিখে রাখলো। বিয়ের জন্য পেটিকোট, ব্লাউজ বানানোর দায়িত্ব তার।
মাপ নেওয়া শেষ হলে সামিয়া ফাতিমার থেকে বিদায় নিলো। তারপর ঘর থেকে বের হলো কাকন কে সাথে করে নিয়ে।তারপর বললো, ” জানো ভাবি দাদাভাই তো তোমার প্রেমে পাগল হইয়া গেছে। একা একাই হাসে।তুমি নাকি হৃদয় হরণ করছো। হিহিহি”
সামিয়ার কথা শুনে কাকনের খুব লজ্জা করছে। সামিয়া কিভাবে জানলো। লোকটা নিশ্চয় বলেছে। লোকটা যে ঠোঁটকাটা বেশ বুঝতে পারলো কাকন।
কাকন কাচুমাচু হয়ে বললো, “আমি কিছু জানি না।”
সামিয়া কাকনের অবস্থা দেখে হেসে ফেললো।
সামিয়া বললো, ” থাক লজ্জা পাইতে হইবো না। আমি আজ আসি।”(লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
কাকন বিদায় জানালো,” আল্লাহ হাফেজ।”
সামিয়া কাকনের কানের কাছে যেয়ে বললো,”আর শুনো গো ভাবি এত লজ্জা পাইয়া এখনি শেষ কইরো না।বাসর রাতের জন্য কিছু রাইখা দেও।”
কাকন লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।তার কান গরম হয়ে গেলো।
সামিয়া”আল্লাহ হাফেজ “বলেই চলে গেলো।
কাকন সামিয়ার যাওয়ার পানে চেয়ে রইলো।একমাত্র সামিয়া কেই তার সরল মনের মনো হলো। সিরাজী বংশের এই প্রথম কাউকে খাদহীন মনে হলো। যাওয়ার পানে দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘরে গেলো কাকন।
______________________________
দুলাল সিরাজীর অন্যতম প্রিয় ব্যক্তি হলো রুহুল।দুলাল সিরাজী এক ঠিলে দুই পাখি মারলো। প্রথমত রুহুলের লন্ডন আর যেতে পারবে না স্ত্রী কে রেখে।সিরাজপুরবাসীর সামনে সেদিন মান সম্মান ও বেচে গেলো। আবার শীতের শুরুতে রুহুলের উপর সকল দায়িত্ব দিয়ে অবসর নিতে পারবে। দুলাল সিরাজীর আনন্দের শেষ নেই।
বিশ্রাম কক্ষে বসেছে দুলাল, জামাল, রুহুল, হেলাল, মহীবুল। খাতা কলম নিয়ে সকল আত্মীয়, অতিথি দের তালিকা করেছে। সিরাজী মঞ্জিলের বড় ছেলের বিয়ে বলে কথা। বহুবছর পর আবারো উৎসব। তাই রাজকীয় ভাবে বিয়ের সব আয়োজন করা হবে।
দুলাল সিরাজী বললেন, ” সকল অতিথির নাম তো লেখা হইলো। কাল সকালেই যেখানে যারা আছে সকলরেই আমন্ত্রণ করা শুরু।আমাগো রুহুলের বিয়ে বইলা কথা।”
রুহুল মুচকি হাসলো। সত্যিই তার বিয়ে। যত তাড়াতাড়ি হবে ততই তার হৃদয়ে প্রশান্তির দেখা মিলবে।(লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
জামাল বললো,” আব্বাজান আপনে কোনো চিন্তা কইরেন না। সব কাম ঠিক ঠাক মতো হইবো। কাল ই সকলের বাড়ি দাওয়াত দেওয়া হইয়া যাইবো।পরশু থিকা বাড়িতে মেহমান আইসা ভড়বো।”
দুলাল বললেন, “হ্যাঁ তোমারাই তো দেখবা। বিলাল তো আর সুস্থ না। তা না হইলে আমার বড় পোলায় নিজের বড় পোলার সকল কাম নিজ হাতে করতো।”
মহীবুল বললো, ” সব ই কপাল দাদাজান। তবে যা ই কন কাম ডা আমার মতে ঠিক হইলো না একেই তো এতিম মাইয়া সিরাজী মঞ্জিলের বউ হইবো। তার উপর যেখানে চাচাজান এর এত বড় ক্ষতি হইলো ওইখান কার মাইয়া কি আর ঘরে নিয়া আইবেন। ”
জামাল ব্যাঙ্গ করে বললো, “আব্বা যা ভালো বোঝে তাই হইবো।তুই এগুলা নিয়া ভাবিস না। তোর বড় ভাই এর বিয়া। আনন্দ কর,, ফুর্তি কর।হুদাই এগুলা কস কেন। মাইয়া এতিম তো কি হইছে। ”
আগুনে ঘি ঢালার জন্যই মুলত এটা মহী আর জামালের পরিকল্পনা। কিন্তু এতে ব্যাঘাত ঘটালো রুহুল।
রুহুল বললো,” কি বলতে চাও তোমরা কাকন ওই মহিলাশালার মেয়ে বলে অমঙ্গলকর। আব্বার সাথে যা হয়েছে তার জন্য আমি নিজেও কষ্ট পাই। শুধুমাত্র মহিলাশালায় অঘটন ঘটেছিল বলেই কি এমন করছো নাকি কাকনের বাবা-মা নেই বলে কাকন কে এভাবে ছোট কেন করছো ।আর মহী তুই যে কাকন কে ছোট করে কথা বলছিস কেউ না জানলেও আমি কিন্তু ঠিক ই জানি তুইইই না থাক সেসব বিষয়ে আমি মুখ খুলতে চাই না। বলেই বের হয়ে গেলো রুহুল
মহীবুল এবার একটু নড়ে বসলো। জামাল ও চুপ। রুহুল মেপে মেপে কথা বলে। খুব কম কথা বলবে তবে কম কথা যেন শখানিকের সমান।
দুলাল রুহুলের যাওয়ায়া তে ক্ষেপে উঠলো,” আহ কি শুরু করলা তোমরা। আর জামাল তোমার পোলা মহী রে মুখ বন্ধ রখবার কইয়া দিও। আমি এই বিয়াতে কোনো অশান্তি চাই না।”
জামাল দোষ ঢাকার জন্য বললো,”আব্বা এইডা ও তো ঠিক ওইখানেই তো বড় ভাই এর….”
দুলাল সিরাজী জামালকে থামিয়ে দিয়ে বললো,”ব্যাস আর একটা কথাও না।যাও যারে যে কামে দেওয়া হইছে ওইকাম কেমনে করবা ওইডা ভাবো।”
বলেই দুলাল সিরাজী নিজ কক্ষে চলে গেলো।
মহীবুল এবার বাবার কাছে যেয়ে বললো,” আর কতদিন গোলামি করুম আব্বা।আপনে এই বুইড়া রে কিছু কন না কেন। ”
জামাল বলল,”আহ, খালি ফটর ফটর করস। ঝোপ বুইঝা কোপ দিতে হয় বুঝলি রে মহী। ”
মহী অশ্রাব্য গালি দিয়ে বললো,” বা* আপনার ঝোপ ও রুহুল নিবো কোপ ও নিবো কইয়া গেলাম। চল হেলাল মাল খামু। (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
চলবে…..
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি
বিদ্রঃ দয়া করে কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করবেন। ধন্যবাদ।
®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি ✍️