দেবী পর্ব ৭

0
346

#দেবী
লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি
কপি করা সম্পুর্ণ নিষেধ।
৭ঃ

বৈশাখের আগমন হয়েছে আজ চারদিন। পুর্ব আকাশে সূর্য উদয় হআজকের তাপ যেন একটু বেশি।যাকে বলে বৈশাখের তান্ডব শুরু হওয়া। কিন্তু তার চেয়ে ভয়াবহ নৃত্য যে শুরু হয়েছে কাকনের বক্ষে। কাল রাত থেকে শুরু হয়েছে। রাতেও তার নিদ্রা হয়নি।এক নিদ্রাহীন সকালের সম্মুখীন হতে হলো কাকনের। অথচ গতকাল সকালেও তার সুন্দর একটা সকাল দেখা হয়েছিল।আর আজ এক কঠিন সকাল।

ঘরে জানালার পাশে বসে আছে কাকন।তার মাথায় জগৎ সংসারের চিন্তা।কি হবে তার পরিনাম। এই দুনিয়ায় তার তো আপন বলতে কেউ নেই।যারা ছিল তারাও কাকন কে রেখে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছে। আর যারা আছে তারা কি আদোও আপন।কিন্তু ফাতিমার কাছে যে সে মায়ের মতো গন্ধ পায়। ফাতিমার হাত ধরে যখন ঘুমায় মনে হয় তার মা তার সাথে আছে। সে যে ফাতিমা কে ছাড়া থাকতে পারবে না। সত্যিই কি তাকে নতুন ঘরে যেতে হবে। আর সে তো এতিম। তার মতো এতিমের কি আদোও কেউ হবে।সিরাজী মঞ্জিলের মানুষের রূপ যে তার এখনো অচেনা।(লেখিকাঃ#Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
জানালার কাছে বসে কাকন এসব ভাবতে ভাবতে বেলা হয়ে গেছে নিজেও বুঝে নি।
চিন্তার জগৎ থেকে বের হলো কাকন যখন ফাতিমা ডাকলো,”কিরে কাকন, আর কতক্ষণ বইসা থাকবি। তর জন্য আমিও খাই নাই। রাতে ও খাইলি না। এখন অন্তত আয়।আমার খিদা লাগছে।”

কাকন বললো,” আমার খিদে নেই আপা। আপনি খেয়ে নেন।এখনো না খেয়ে আছেন কেন?”

ফাতিমা কাকনের কাছে এসে বললো,” তরে ছাড়া যে খাইতে ইচ্ছা করে না। তাই কইলে কি হবো। এর এই যে কইতাছা খিদা নাই আমি কি বুঝিনা। পেট এর জ্বালা যে বড় জ্বালা রে মা। আয় খাইয়া নে।”

কাকন আনমনে বলে উঠলো,” মনের জ্বালা যে তার চেয়ে ও বেশি জ্বালায় আপা। এই জ্বালায় ছাই হলেও নিস্তার পাওয়া যায় না।”

(কাকনের কন্ঠে হাহাকার শুনে অবাক হলো ফাতিমা তাই বললো,” মনের জ্বালা হইল কেন তর আবার, হুহ?”

কাকন কথা ঘুররানোর জন্য বললো, “আমার খুব মাথা ব্যাথা করছে। আমাকে একটু সরষের তেল মাথায় টিপে দিবেন আপা।”

ফাতিমা কাকনের আবদার শুনে তেল নিয়ে এসে দিতে শুরু করলো।তারপর বললো,” কাকন মা,তরে কিন্তু আইজ দেখতে আসবো সিরাজী মঞ্জিলের মানুষজন। তুই আজকা শাড়ি পড়বি। তরে নিজ হাতে সাজামু আমি। দেখবি আমার হুর এর বাচ্চা রে হুরের রানি গো মতো লাগবো।”

কাকন নিশ্চুপ হয়ে বসে রইলো।এক পলক ফাতিমাকে দেখে দৃষ্টি নত করে রাখলো।

ফাতিমা কানের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো,” সকলকে সালাম দিবি, সকলের সাথে হাইসা কথা কবি। দেখবি ওনারা খুশি হবো। তারা অনেক ভালো মানুষ।তরে অনেক ভালো রাখবো রে মা।

কাকন ফাতিমার পেট জড়িয়ে ধরলো তারপর বললো
” কিন্তু আপা,,,আমি আপনাকে ছেড়ে কোথাও যেতে চাই না।”

ফাতিমা বললো,”সবাই রেই সব কিছু ছাড়তে হয়। সবাই রেই কিন্তু দুনিয়া ছাইড়া যাওয়া লাগে। ঠিক তেমনি আমিও দুনিয়া ছাইড়া চইলা যামু একদিন।তখন তো তুই না আমিই ছাইড়া যামু। তখন তুই করবি ক?তর তো কেউ নাই। এই দুনিয়ায় তর একটা পরিবার হইবো। আমি দেইখা যাইতে চাই। ”
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

কাকন জোরালো গলায় বললো,” আমার কাউ কে চাই না। কোনো পরিবার লাগবে না। আর আমি আপনাকেও যেতে দিবো না আপা।”

ফাতিমা বললো, ” তা হয় না কাকন। মেয়েদের স্বামীর ঘর ই সব রে মা,,সবার ই যাওয়া লাগে। আমারে দেখ আমারও বিয়া হইছিল। কিন্তু,, থাক বাদ দে সেইসব।”

কাকন অবাক হয়ে বললো,” আপনার বিয়ে হয়েছিল? কিন্তু আপনি যে বলেছিলেন আপনার কেউ নেই আপা?”

ফাতিমার গলা ধরে আসলো। তবুও বললো,”কেউ তো নাই এইডা সত্য। মা মরা ছিলাম,, বাজান আর সৎ মা মিলা বিয়া দিছিলো অল্প বয়সে। বিয়ার কয়েক বছর ভালোই গেলো।আমার পোলাপান হয়না দেইখা আমারে অবহেলা করা শুরু করলো। নতুন বউ কইরা নিয়া আইলো মাজেদা রে ।বউ পোয়াতি হইলো। খুশিই হইছিলাম যে আমিও পোলাপানের মুখ দেখমু কিন্তু খালাস(প্রসব) করার সময় মইরা গেলো। আমি ওইদিন খুব কানছিলাম আমার সতীনের জন্য যত না তা চেয়ে বেশি আমার সোয়ামির জন্য। সে মাজেদার জন্য খুব কানছিল। তার কান্দন দেইখা বুক ফাইটা যাইতেছিল আমার। তারপর একদিন হঠাৎ কইরা গায়েব হইয়া গেলো।কিন্তু সে কই যে গেলো আর আইলো না। সিরাজী আব্বা অনেক খোজ করছিল পায় নাই।পরে আমারে এই মহিলা পাঠশালায় কাম দিছিলো।তারপর এতিম মাইয়াগো দেখা শুনার কাম দিলো। এহন এইডাই আমার পরিবার। ১যুগ হইলো আমি এখানেই আছি।তারা অনেক ভালো মানুষ রে মা। ” কাকন কে জড়িয়ে ধরে কাদতে শুরু করলো ফাতিমা।
সব শুনেও কাকন নিশ্চুপ।আজ প্রথম সে ফাতিমা কে কাদতে দেখলো।

কাকন এর ফাতিমার জন্য ভিষণ খারাপ লাগলো। বললো,”কান্না থামান আপা। আমি কি আপনার কেউ না আপা,,,আপনি ছাড়া কিন্তু আমার কেউ নাই, কেউ নাই।”

ফাতিমা চোখ মুছে বললো,” আচ্ছা আর কানমু না। আর শুন তর ও বাড়ি হইবো,ঘর হইবো, খুশি হওয়ার সময় এহন। তয় আমারে কিন্তু ভুলিস না। আমার কাছে মাঝে মধ্যে আসিস।”

কাকন বললো,”আমি আপনাকে কখনোই ভুলবো না। আপনি যে আমার মা।”

ফাতিমা কাকনের চোখ এর দিকে তাকালো। এই প্রথম কেউ তাকে মা বললো। মাতৃত্বের স্বাদ যে তার কখোনোই গ্রহণ করা হলো না।তার বুকে চাপা কষ্ট অনুভব হলো। কাকনের কপালে চুমু দিলো।তারপর বললো,” হইছে চল খাইয়া নে। তারপর তৈরি হবি। একটু পর সিরাজী মঞ্জিলের বেগমরা আসবো। ”

(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)
_________________

সিরাজী মঞ্জিল থেকে সবাই মহিলাশালায় আসলো।রুহুল, রুহুলের আম্মা,ছোট আম্মা, দাদি,সামিয়া,চাচি এলো। সাথে মিস্টি,দই নিয়ে এসেছে। আর সাথে বড় বোয়াল মাছ। আর সাতটি শাড়ি। পাকা কথা বলার সময় এগুলো নিয়ে যাওয়ার নিয়ম সিরাজী বংশের।
ফাতিমাঃ “আসসালামু আলাইকুম আম্মাজানেরা,,আসেন বইসেন আপনারা। ”

রুহুলের দাদি বল্লো,”ওয়ালাইকুম আসলাম। তোমার অস্থির হওয়া লাগবো না। তুমি যাইয়া মাইয়া ডারে নিয়া আইসো। আমার দাদার বউ রে দেখার জন্য তর সইতাছে না।”

ফাতিমা বললো, “জি আমি এখনি নিয়া আয়তাছি।”

লাল রঙের এক শুতি শাড়ি পড়েছে কাকন। জোড়া ভ্রুযোগলের এর চোখে কাজল, কানের দুপাশের ছোট ছোট চুল মুখের উপর পড়ছে। কোমড় অব্দি চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া। মাথায় কাপড় দিয়ে সব চুল ঢাকা।শুধু গোলাপি মুখ টুকুই দেখা যাচ্ছে। ফর্সা গোলাপি রঙা গায়ে লাল শাড়ি তে যেন কাকন কে অপসরীর মতো লাগছে।

ফাতিমা কাকন কে সাথে করে নিয়ে এলো।
ট্রে তে শরবত সাথে পান নিয়ে হাজির হলো কাকন। তার সুমধুর কন্ঠে বললো,”আসসালামু আলাইকুম”
(বলেই গুরুজন্দের সালাম করা শুরু করলো কাকন।)

দাদিমা মুগ্ধ হয়ে বললো, ” ওয়ালাইকুম আসসালাম,, এতো দেহি আসমানের পরী গো ফাতিমা। হুহ আমার দাদার বউ তো আগুনের দলা। নাম কি তোমার?”

–“জি আমার নাম কাকন।”

রুহুলের চাচি শরবত নিলো তারপর বললো,” আম্মা এত সুন্দর মাইয়া আমাগো সিরাজপুরে আছিলো আর আমরা আইজ দেখলাম। মাইয়া আমার পছন্দ হইছে। জান্নাতের হুর এইডা। ”

সামিয়া উৎফুল্লে বললো,” আল্লাহ গো আমার ভাবি এত্ত সুন্দর।এই জন্যই দাদাভাই তো চোখ ই সরাইতে পারছে না।” বলেই কনুই দিয়ে গুতা দিলো রুহুল কে।

রুহুল কাকন কে দেখেই ভিন্ন জগতে চলে গেছিলো। সে নিজেও কল্পনা করে নি তার পবিত্রফুল কে এত সুন্দর লাগবে লাল শাড়ি তে। সদ্য ফোটা রক্তজবা ফুলের মতো লাগছে।দেখেই তার হৃদগতি বেড়ে গেছে।

রুহুলের ছোট আম্মা মালেকা বললো,”সামিয়া সব সময় তর দুষ্টামি করা লাগে। চুপ থাক এইখানে। কাকন মা তোমারে আমার ও পছন্দ হইছে।”

রুহুলের মা সুভা কাকন এর মুখ দেখে অবাক হয়ে গেলো। তার কাকন কে খুব আপন লাগছে।মনে হচ্ছে কত যুগের চেনা। সে নিজেও কল্পনা করেনি তার খোকার বউ এর রুপ এমন।সুভা সুখের নিশ্বাস ফেলে
বললো,” মাশাল্লাহ। আসো আমার কাছে বসো।
কাকন ফাতিমার দিকে তাকালো।ফাতিমা সম্মতি দিলে কাকন যেয়ে বসলো।”

রুহুলের মা কাকনের থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি চেয়ে চেয়ে দেখলো। তারপর হাতে সোনার আংটি পরিয়ে দিলো।হাতে সোনার বালা আর নাকে ছোট নাকফুল টা খুলে তাদের সাথে আনা নাকফুল পড়িয়ে দিলো।

সুভা কাকনের হাত ধরে বললো,”শোনো মা এগুলা কোনোদিনও খুলবা না। এগুলো বিবাহিত নারীর চিহ্ন।যতদিন স্বামী বেচে থাকবে তুমি পড়ে থাকবে। আর আজ থেকে আমিও তোমার মা। নিজেকে আর এতিম মনে করবে না কেমন।”

কাকন মাথা দিয়ে সম্মতি জানিয়ে বললো,” জি”

সুভা আবারো বললো,” আজ থেকে তোমার নিজের পরিবার আমরা।”
বলেই কাকন কে বুকে টেনে নিলো। সুভার মনে হলো নিজের সন্তান কে বুকে নিলো সে। কাকন এর সুভার কথাতে চুপ রইলো। কিন্তু সুভাকে গ্রহণ করতে পারলো না কাকন। অজান্তেই চোখ বেয়ে দুফোঁটা অশ্রুকণা ঝড়লো সুভার। হাত দিয়ে সকলের অগোচরে তা মুছে নিলো সুভা। (লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

সামিয়া এবার কাকনের কাছে গেলো। বললো,” ভাবি আমি হইলাম সামিয়া। আপনার সবচেয়ে আদরের ছোট ননদ। বাকি ২টার বিয়ে হইয়া গেছে। তবে আজ কালের মধ্যেই চইলা আসবে।”

কাকন মুচকি হেসে বললো,”ওহ আচ্ছা।”

ফাতিমা সকলের সম্মুখে শরবত এগিয়ে দিয়ে বললো, “আপনারা মুখে নেন আম্মা। কিচ্ছু খাইতাছেন না কেন।শরবত খান।কাকন শরবত বানাইছে।”

রুহুল শরবত খেলো। এবার তার হৃদয় ঠান্ডা হলো। তার কাকনের সাথে কথা বলতে খুব ইচ্ছে করছে। কিন্তু মা-চাচীদের সামনে বলতেও লজ্জা করছে।

সবাই কিছু না কিছু মুখে নিলেও সুভা নিলো না।তা দেখে ফাতিমা বললো, “আপনি তো কিছুই নিলেন না আম্মা”?
সুভা কাকনের দিকে চেয়ে বললো,” কাকন কে দেখেই আমাদের মন ভরে গেছে। আর কিছু লাগবে না”।

রুহুলের দাদিমা বললো, “হুম পান ডা ভালোই লাগলো। এতদিন সিরাজী সাব খালি সুনাম করতো। তয় আইজ নিজেও স্বাদ নিলাম। কাকনের হাতে জাদু আছে।কাকন তরে আমার দিলে ধরছে।”

কাকন চুপচাপ সকলের কথা শুনছে।

দাদিমা এবার বললো, “আইজ তাইলে আমরা উঠি। কাকন খুব সিঘ্রই তোকে আমার ঘরে নিয়ে যামু।”

এরপর কাকনের হাতে কিছু টাকা দিলো। কাকন নিতে চাইলো না ফাতিমা যখন নিতে বললো কাকন তখন টাকা গ্রহণ করলো।

সবশেষে দাদিমা বললেন,” ভালো থাকিস বুবু।”
বলেই উঠে দাড়ালো রুহুলের দাদি। লাঠি ভর করে হাটে।

সবাই চলে যাওয়ার জন্য পা চালালো। কাকন সবাই কে হাসি মুখে বিদায় জানালো।ঘর থেকে সকলেই বের হলো। রুহুলের সাথে চোখে চোখ পড়তেই কাকন চোখ নামিয়ে নিলো।একে একে সকলেই প্রস্থান নিলে সকলের অগোচরে রুহুল কাকন এর কাছে এসে দাড়ালো।কাকন চলে যাওয়ার জন্য ছুটলেই শাড়ির আচল টেনে কিছুটা কাছে নিয়ে এলো এবং তারপর কানে কানে বললো,_
❝রুহুল সিরাজীর হৃদয়হরণীর হৃদয় ও
রুহুল সিরাজী খুব সিঘ্রই হরণ করবে,,
প্রস্তুত থাকবেন হৃদয়হরণী ।❞

রুহুল শাড়ির আচল ছেড়ে দিলো। ঘোমটা আরো মাথায় টেনে মুচকি হেসে বিদায় নিলো। রুহুলের কথায় কাকন ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো। লজ্জায় লজ্জাবতী পাতার মতো যেন নুইয়ে পড়লো। গাল দুটি লাল রঙ ধারণ করলো। এমন কথা সে আগে কখনো শোনে নি।এই কথা শোনার পর কাকনের বক্ষে আবার প্রলয় নৃত্য শুরু হলো তবে এই নৃত্য এক অন্যরকম অনুভুতির। এক ভয়ংকর অনুভুতি।
(লেখিকাঃ #Srotoswini_স্রোতস্বীনি)

এতক্ষণ পর্দার আড়ালে দাঁড়িয়ে ছিল ফুল,রিতা,নুপুর সহ কয়েকজন। ফাতিমা নিষেধ করেছিল তাই তারা কক্ষ থেকে বের হয়নি।
সবাই যাওয়ার পর তারা বের হয়ে কাকনের কাছে এলো।
ফুল বললো, ” কিরে কাকন আমরা কিন্তু সব দেখছি।”

কাকন এবার আরো লজ্জা পেলো। ছিঃ তার এখন কি হবে?

নুপুর কাকনঅকে বললো,”রুহুল সিরাজী তরে কি কইয়া গেলো রে?”

রিতা বলল,” হ্যাঁ রে বল না আমরা ও শুনি।”

ফুল বললো,”কইছে রে কইছে রুহুল সিরাজী কাকনের প্রেমে পড়ছে।”

হাহাহা হাসির আওয়াজ করে উঠলো সকলে।
হাসির ধ্বনি কাকনকে আরো লজ্জা দিলো।
কাকন এখন কি করবে কোনো কিছু মাথায় আসলো না। তাই কোনো কিছু না ভেবেই শয়নকক্ষে দৌড়ে চলে গেলো।

চলবে….
#দেবী
#Srotoswini_স্রোতস্বীনি

বিদ্রঃ কেউ কপি করবেন না। ভালো লাগলে লাইক,কমেন্ট, শেয়ার করে পাশে থাকবেন।ধন্যবাদ।

®️ Srotoswini-স্রোতস্বীনি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here