চড়ুইপাখির বন্ধুত্ব .
মাইশাতুল মিহির [লেখিকা]
[০৫]
স্বচ্চ আকাশ! মৃদু বাতাস প্রভাহমান। মাথার উপর থাকা উল্কাপিন্ডের উত্তাপে চারপাশের অবস্থা বেশ গমগমে। ভ্যাঁপসা গরম প্রবল। যানবাহনের তীব্র ধ্বনিতে কান জ্বালা-পালা হওয়ার উপক্রম। সচেতন না কেউ! অপ্রয়োজনে অতিরিক্ত হর্ণ বাজানোর ফলে যে পরিবেশে শব্দ দূষণ হয় তাতে কারোর বিন্দুমাত্র ভ্রুঁক্ষেপ নেই। কাকের অস্ফুটিত কর্কষ কণ্ঠস্বর বোধহয় এই যান্ত্রিক যন্ত্রের ধ্বনি থেকে সুন্দর। রাস্তার পাশের বিল্ডিং’এর এই এক অসয্যকর ব্যাপার। প্রতিবার চরম মাত্রার বিরক্ত হয় অর্ষা। আজও হলো। প্রিয় ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো যান্ত্রিক ধ্বনির কারনে। কাল শেষ রাতে ঘুমিয়েছিলো অর্ষা। অর্পনের কাছে মনে লুকিয়ে থাকা সকল প্রকার অভিযোগ প্রকাশ করার পর নিজেকে হালকা মনে হয়েছিল তার। ফুচকা খাওয়ার পর অন্যান্য দিনের মতোই রাতের খাবার খেয়ে শুয়ে পরেছিল সে। ভেবেছিল ঘুমিয়ে যাবে কিন্তু তা আর হয়নি। রিফাত কল দিয়েছে যার জন্য সারারাত জেগে ফোনে প্রেমালাপ করেছে দুজন। তাই আজ দেড়িতে উঠা। ঘুম আর কিসের? একটু বেশি ঘুমিয়েছিল তাতেই হেনার চেঁচামেচি শুরু। এক বার এসে ফ্যান বন্ধ করে গেলো। আরেকবার এসে সব পর্দা ভাজ করে দিলো। বিছানায় আরো কিছুক্ষন গড়াগড়ি করে উঠলো অর্ষা। অলস শরির টেনে ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে রুম থেকে বের হলো। নাস্তার জন্য টেবিলে বসতেই হেনা শুরু করলো তার রোজকার দিনের সংগ্রামী ভাষন!
‘নবাবজাদি! সারারাত মোবাইল টিপে সকাল দশ টায় তার ঘুম ভাঙ্গছে। খাওয়া লাগে তোর? আরেকটু পরেই উঠতি। একবারে গোসল করে দুপুরের খাবার খেতে বের হইতি। আমার যতো জ্বালা। তোর মতো অলস মাইয়া আর কোনো ঘরে আছে?’
রান্না ঘর থেকে পরোটার প্লেট এনে ডাইনিং টেবিলে রাখে আবারো রান্না ঘরে চলে গেলো হেনা। অর্ষা প্লেট থেকে পরোটা ছিঁড়ে এক টুকরো মুখে দিলো। তারপর মায়ের উদ্দেশ্যে বললো, ‘আম্মু তুমি তো আর ফেসবুক চালাও না। নাহলে জানতে পারতে তোমার মেয়ে একা না। এমন মেয়ে অহরহ বাঙ্গালী পরিবারে আছে।’
তেঁতে উঠলো হেনা। রান্না ঘরে পেয়াজ কুচি করতে করতে রাগে গিজগিজ করে বলতে লাগলো, ‘হ আমার তো আর কাম নাই যে খাওয়া-দাওয়া-ঘুম ফালাইয়া খালি মোবাইল চালামু। শ্বশুড় বাড়ি গিয়া যে কি করবি আল্লাজ জানে। দুইদিনও টিকতে পারবি না। শাশুড়ি ধাক্কা দিয়া বের করে দিবে।’
‘আরেহ্ কি যে বলো। বিয়ের আমরা বউ-শাশুড়ি মিলে চিল করবো। প্যারা নাই!’
‘হ হ, তোমার চিল বাইর করবো। পাশের বাসায় তো দুইটা মেয়ে আছে। দেখ গিয়ে তাদের। সকালে ঘুম থেকে উঠেই মায়ের কাজে হাত লাগায়। সারাদিন তোর মতো মোবাইল ঘাটে না। তোরে যে কোন কপাল নিয়ে জন্ম দিলাম।’
ভ্রুঁ কুঁচকালো অর্ষা। বললো, ‘কার কথা বলছো? তাসনিম আর আরফিনের কথা?’
‘পুরো বিল্ডিং জুরে এমন ভদ্র মেয়ে আর কয়টা আছে?’
প্রতিত্তুর করলো না অর্ষা। মনে মনে বিরক্ত হয়ে খাবার চিবুতে লাগলো। তাসনিম আরফিন নামের ডুই মেয়েরই বয়ফ্রেন্ড আছে। তবে অর্ষার মতে তাসনিম নামের মেয়েটির দুইটা বয়ফ্রেন্ড। কারণ ডিএমসিতে দুই দিন দুইটা ছেলের হাত ধরে দেখেছে অর্ষা। আর ফেসবুকে ওদের আইডিতে ঢু মারলে বুঝা যাবে এরা মোবাইল চালায় কিনা। চুপচাপ খাবার খেয়ে নিলো অর্ষা। মায়ের বকবকানি এক চুল পরিমানেরও কানে তুললো না। রুমে গিয়ে বাহিরে যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে নিলো। কুর্তির সাথে হিজাবটা ভালো করে মাথায় বেধে কাধ ব্যাগ হাতে নিয়ে বের হলো। মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বের হওয়ার সময় প্রশ্ন তুললো, ‘অর্পন অর্জন কই আম্মু?’
‘ওরা দুজন মাঠে গেছে ক্রিকেট খেলতে। দুপুরে চলে আসবে। বারন করেছিলাম এই রোদে ক্রিকেট খেলতে হবে না কিন্তু শুনলো না।’
কথা বাড়ালো না অর্ষা। বেড়িয়ে আসলো বাসা থেকে। আশেপাশে তাকিয়ে রিকশা খুঁজলো। দুর্ভাগ্যবশত একটা রিকশাও নজরে এলো না তার। বিরক্ত লাগলো অর্ষার। সকালে এদের প্যান-প্যানানি তে ঘুম ভাঙ্গলো আর এখন এদের কোনো হদিস নেই। ওয়াহ্!! বেশ কিছুক্ষন রিকশার জন্য অপেক্ষা করে হেটে যাবে বলে মনস্থির করলো সে। আকাশে বিশাল উল্কাপিণ্ডের উত্তাপে চারপাশ গরম হয়ে আছে। অসহনীয় তাপে পরিবেশ হাহাকার। ফুটপাত ধরে হাটছে অর্ষা। দুপুরের প্রথমভাগ হওয়ায় রাস্তা আজ জনমানবশূন্য। সুশান পিচ ঢালা রাস্তা ধরে সামনের দিকে এগুচ্ছে অর্ষা। বড় রাস্তা পেরিয়ে একসময় পার্কের পাশে এলো। আষ্টর্যজনক ভাবে আজ পার্কটাও খালি। হাতে গুনা দু-একজন ছেলে দেখা যাচ্ছে। এদের মাঝেই কয়েকজনকে চিনে অর্ষা। এই এলাকারই এহসান হোসেনের একমাত্র ছেলে নিরব। তার পাশের ছেলে গুলো হয়তো অন্য এলাকার। তাদের বন্ধু! চুপচাপ পার্কের বড়-বড় গাছের নিচ দিয়ে হেটে যাচ্ছে অর্ষা। তখন নিরব চেঁচিয়ে উঠলো, ‘কিরে অর্ষা এই দুপুরে কোথায় যাচ্ছিস?’
চালিত পা থামিয়ে দাঁড়ালো অর্ষা। প্রতিত্তুর করলো, ‘লাইব্রেরিতে যাচ্ছি।’
নিরব আশে-পাশে তাকিয়ে আবারো প্রশ্ন করলো, ‘লাইব্রেরি তো অনেক দূর। হেটে যাচ্ছিস কেন?’
অর্ষা চেহারায় স্পষ্ট বিরক্তি এনে বললো, ‘আর বলবেন না ভাইয়া। আজকে আমার জরুরি কাজ আছে। আর এইদিকে একটাও রিকশা পাচ্ছি না। আবার এই রোদের তাপ বিরক্ত লাগছে।’
হেসে ফেললো নিরব। সিল্কি চুল গুলো এক হাতে পিছে ঠেলে বললো, ‘সাবধানে যা!’
অর্ষা প্রতিত্তুরে মুচকি হেসে সামনে এগুলোতে লাগলো। এমনিতেই গরম তারউপর আজই পরপর বাজে একটা ঘটনায় শিকার হলো অর্ষা। নিলয়দের থেকে বেশকিছু দূরে যেতেই দু-টো ছেলে এসে অর্ষার রাস্তা আটকে দাঁড়ালো। হঠাৎ এমন হওয়ায় ভরকে যায় অর্ষা।
ছেলে দু-টোর মাঝে একজন বলে উঠলো, ‘ডোন্ট মাইন্ড আপু। আপনার নাম কি?’
স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দিলো, ‘অর্ষা নূর!’
সেই ছেলেটি আবারো বললো, ‘বাহ বাহ নামের মতোই একদম নূরের মতো দেখতে তুমি। প্রথম দেখাতেই ক্রাশ খেয়েছি।’
তেঁতে উঠলো অর্ষা। কাটকাট গলায় শুধাল, ‘রাস্তা ঘাটে এসব কি ধরনের অসভ্যতামি? ‘
‘সিরিয়াসলি বলছি তোমাকে ভালো লেগেছে আমার। নাম্বার টা দাও তো। প্রেম করবা? শপিং করিয়ে দিবো। রেস্টুরেন্টের বিল পে আমি করবো।’
রাগে শরির রিনরিনিয়ে উঠলো অর্ষার। ‘ দেখুন কপাল ভালো থাকতে এখান থেলে চলে যান। এই এলাকায় এইসব চলে না। কারোর নজরে আসলে হাড্ডি সব আস্তো থাকবে না। সাবধান করছি জান থাকতে পালিয়ে যান।’
শুনলো না ছেলে দুটি। উল্টো ব্যঙ্গ করতে লাগলো। অর্ষা পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলে তার সামনে এসে আবারো রাস্তা আটকে দাঁড়ালো তারা। নিজেকে অসহায় লাগছে অর্ষার। নিরব ভাইকে জুড়ে ডাক দিতে নিজেকে প্রস্তুত করলো সে। কিন্তু তার আগেই নিরব এখানে হাজির। অর্ষাকে পছন্দ করে বলা ছেলেটির কলারে ধরে উড়ুমসে একখান ঘু-ষি বসালো নাক বরাবর। মুখ থুবড়ে পরে যায় ছেলেটি। আতংকে মুখে হাত দিয়ে চোখ বড়বড় করে তাকায় অর্ষা। নিরব এগিয়ে ছেলেটির কলার ধরে উঠিয়ে বলতে লাগলো, ‘এতো বড় সাহস তোর আমাদের এলাকায় এসে আমাদের এলাকারই মেয়ের সাথে ইভ:টে:জিং করছ? তোকে তো..!”’ বলেই আবারো ঘুষি মারলো একটা। দ্বিতীয় ছেলেটি চলে যাবার জন্য পা বাড়াতেই নিরবের পাশের ছেলে গুলো ধরে ফেলে। অতঃপর গ্যা:ঞ্জাম হয় এখানে। এলোপাথাড়ি ভাবে মা:রে ছেলে দু-টোকে সবাই। নিরব চোখের ইশারায় অর্ষাকে বাড়ি যেতে বলার পর অর্ষা এক মুহূর্তও দেড়ি করলো না। তাৎক্ষনাৎ স্থান প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত পায়ে বাসার দিকে অগ্রসর হলো। অর্ষার যাওয়ার দিকে নিরব কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলো। রাগে তার শরির মৃদু কাঁপছে। অর্ষার সাথে এমন হওয়ায় মানতে পারলো না। এগিয়ে এসে অশ্রাব্য ভাষায় গালি দিয়ে লা:থি দিলো কয়েকটা। থামছেই না সে। এক পর্যায়ে একজন মা:র নিতে না পেরে জ্ঞান হারালো। আরেকজনের যায় যায় অবস্থা প্রায়।
কোনো রকমে দ্রুততার সাথে পা চালিয়ে বাসায় আসলো অর্ষা। দৌড়ে রুমে গিয়ে দরজা আটকে দিলো। এমন একটা ঘটনার জন্য সে মোটেও প্রস্তুত ছিল না। তবে ছেলের গুলোর থেকেও বেশি ভয় লাগছে নিরবের কথা ভেবে। মনে আছে তার। একবার একটা ছেলে এই এলাকার বৃদ্ধ রিকশা চালকের সাথে খারাপ ব্যবহার করায় প্রচুর মে:রে ছিলো। সেই ছেলের তিন মাস হাসপালে ভর্তি থাকতে হয়ছে। তাহলে কি এবারো এই ছেলে দুইজনকে এভাবে মারবে নিরব ভাই? উফফ! কেন বের হলো আজ।
বিকেলের প্রায় শেষ প্রান্তে। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পরেছে কেবল। গোধুলির আবিরে হলুদ লালচে আভা ছড়িয়ে আছে। উড়ন্ত পক্ষিরা ঢানা ঝাপটে চলছে তাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। মৃদু বাতাস প্রভাহমান। ছাদের রেলিং ধরে একপাশে দাঁড়িয়ে আছে অর্ষা। মূলত সে সাদাতের জন্য অপেক্ষা করছে। হাত ঘড়িতে তাকিয়ে সময় দেখলো। আরো ঘন্টা-খানেক পর মাগরিবের আজান দিবে। বেশ কিছুসময় পর সাদাতকে আসতে দেখে এগিয়ে এলো অর্ষা। তাদের বিল্ডিং’এর পাশের বিল্ডিং এহসান হোসেনের বাড়িতে সাদাতের পরিবার ভাড়া থাকে। অর্ষাদের ছাদ থেকে এক হাত দূরে এই ছাদ। অর্ষাকে এগিয়ে আসতে দেখে সাদাত হাসলো।
‘তুমি এখানে?’
অর্ষা ছাদের রেলিং’এ দুই হাত রেখে হেলান দিয়ে বললো, ‘হ্যাঁ আপনার কবিতা শুনতে অপেক্ষা করছিলাম। নতুন কবিতা লিখেছেন?’
ঠোঁট প্রসারিত করে লাজুক হাসলো সাদাত। কুঁকড়ানো লম্বা লম্বা চুল গুলো কালো ক্লিপ দিয়ে আটকানো। শ্যামবর্ণ গায়ের শরির। হাতের ডাইরির পাতা উল্টে একটা কবিতা বের করে দেখালো। অর্ষা কবিতা দেখে অনুরোধ করলো আবৃতি করে শুনাতে। সাদাত চোখের কালো ফ্রেমের চশমা ঠিক করে পড়তে লাগলো।
প্রেয়সী,
কবির হৃদয়ের লুকানো ব্যাকুলতা
রাত্রীর আধঘুমন্ত প্রহরির আর্তনাদ
তুমি কি শুনতে পাও?
তোমার খোলা চুলের মুগ্ধতায়
বাকা দাঁতের হাসির স্নিগ্ধতায়
বারংবার প্রেমে পরতে বাধ্য করায়।
বিকেলে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুজন
গোধূলির আবিরের সূর্যাস্ত করি দর্শন।
ইচ্ছে হয় আমার,
ভালোবাসার শহরে তোমায় নিয়ে পাড়ি জমাই
হাতে হাত রেখে কুমিল্লা শহর ঘুরে বেড়াই।
ভালোবাসবে আমায়?
দু-মুঠো বিকেল এনে উপহার দিব তোমায়
সারাজীবন ভালোবেসে আগলে রাখবো তোমায়।
অর্ষা কবিতা শুনে কিছুক্ষন তীক্ষ্ণ চোখে সাদাতের দিকে তাকিয়ে রইলো। তার বুঝতে বাকি নেই সাদাত যে তাকে নিয়েই কবিতা লিখেছে। হাবভাব সবই বুঝে অর্ষা। তাই তো মাঝে মাঝে ছাদে আসতে চায় না। যাও একটু আসে তখন সাদাত তাকে কবিতা পড়ে শুনায়। অর্ষার নিজেরও ভালো লাগে কিন্তু সাদাত তাকে পছন্দ করে এই ব্যাপার টা তার ভালো লাগে না। কথা বাড়ালো না বেশি। যেই কাজে এসেছিল সেটাই জানতে চাইলো।
‘বাহ খুব ভালো লিখেন। আচ্ছা আজকে নিরব ভাইয়ের খবর জানেন?’
সাদাত স্বাভাবিক ভাবে বললো, ‘হ্যাঁ আজকে বেশি ক্ষেপেছে নিরব ভাই। শুনলাম এই এলাকার একটা মেয়েকে নাকি দুইটা ছেলে বিরক্ত করছিলো। ছেলে দুইটা এলাকায় নতুন এসেছে। আপাতত হাসপাতালে আছে। মনে হয় না মাস দুই মাস আগে তারা ছাড়া পাবে সেখান থেকে। পুরো পরিবার সহ এলাকা থেকে বের করে দিয়েছে নিলয় ভাই।’
অবাক হলো অর্ষা। চোখে মুখে তার বিস্ময়কর। জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে নিলো। কথা না বাঁড়িয়ে বললো, ‘ওহ ভালো হয়েছে। আচ্ছা ভাইয়া আমি আসি। সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে।’
ছাদ থেকে তাড়াতাড়ি নেমে এলো অর্ষা। বুক তার ধুকধুক করছে। আল্লাহ এই ভয় পেয়েছিল সে। এতো বাজে ভাবে মারার কি আছে? হালকা পাতলা থ্রে’ট দিলেই তো পারতো। ভাবলো না আর। শুকনো ঢুক গিলে বাসায় ঢুকলো। আশেপাশে তাকিয়ে অর্পন কে খুঁজলো। হেনা কে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো অর্পন আর অর্জন মিলে অর্ষাদের বড় কাকার বাড়িতে গেছে। কাল আসবে। হতাশ হলো অর্ষা। এই মুহূর্তে অর্পন কে সব কিছু বলতে পারলে নিজেকে হালকা লাগতো তার। তবে অপেক্ষা করছে আগামীকাল অর্পনের আসার।
চলবে??