ভালোবাসি বলে দাও পর্ব ৬

0
503

#ভালোবাসি_বলে_দাও
#আরিশ❤আরু
#Suraiya_Aayat

6.

রাত ৩টে মতো বাজে প্রায়, ওনার সাথে বাইকে করে সেই যে বেরিয়ে ছিলাম দুজনে তারপর পুরো পুরান ঢাকার অলিগলি ঘুরে বাসার সামনে এসে উনি নামিয়ে দিলেন আমাকে। এতখনের এই রাত্রির শহর ভ্রমনে আমি ক্লান্ত। তবে বাসায় ঢোকার সময় অদ্ভুত এক জিনিস খেয়াল করলাম তা হলো বাসার গেটটা খোলা। তা দেখে আমি অবাক হলাম বেশ। আমার যতদূর স্বরে আছে যে যাওয়ার সময় দরজাটা বন্ধ করে রেখে গিয়েছিলাম যাতে চাচা মাঝরাতে উঠে বিভ্রান্ত না হয়।

এভাবে চুপচাপ কিছুখন ভাবতে থাকায় আরিশ ভাইয়া বলে উঠলেন,
‘এই মেয়ে কি ভাবছো আবার? বাসায় যাও। আর খবরদার এতো রাতে কাঠগোলাপ গাছের নীচে গিয়ে দাঁড়াতে দেখলে খবর আছে। ‘

আমি মনে মনে দম ফাটা আমি হাসি হাসছি ওনার কথা শুনে। আমি ওনার দিকে ঘুরে এমন এক ভাব নিলাম যে আমি ওনার কথা কানেই তুলিনি।

‘আপনি কোথায় যাবেন এখন?’

উনি গাড়ির সাথে হেলান দিয়ে বললেন,
‘ বাসায়। ‘

আমি ওনার কথা নাচক করে বললাম,
‘ নাহ! এতো রাতে বাসায় যাওয়ার দরকার নেই। আপনি আজকে আমাদের বাসায় থেকে যান। আমি রহিমা খালাকে বলছি আপনার জন্য গেস্টরুমটা খুলে দিতে। ‘

কথাটা বলে ওনাকে আর কিছু বলার সুযোগ দিলাম না বিন্দুমাত্র। আমি চম্পট বাসার দিকে হাটা দিলাম, আমি জানি উনি হয়তো আসবেন না নিজের জেদটা বজায় রাখবেন। বাসার ভিতর ঢুকবো মাত্র এবার ওনার দিকে তাকালাম, উনি কি আসছেন নাকি চলে গেছেন তা দেখার জন্য আর তর সইলো না আমার। পিছন ঘুরে তাকাতেই দেখলাম চাচার ঘরের সামনে রাখা আমাকে দেওয়া উপহারগুলো উনি একে একে গুছিয়ে আনছেন। তা দেখে নিজের মাথায় একটা চাটি দিলাম, এতোটা কেয়ারলেস আমি কিভাবে হতে পারি?

লজ্জায় আর দাঁড়ালাম না সেখানে, আমি এতখনে বুঝে গেছি যে উনি আজ রাতে বাসায় থাকবেন। আজ আমার জন্মদিন তাই আজকের রাতটার জন্য তো ওনাকে সহ্য করাই যায়। কথাটা ভেবে একপ্রকার দৌড়ে বাসার ভিতর ঢুকলাম আমি তারপর একটা সময় গিয়ে আমার পা দুটো থেমে গেল, আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম আমি।

দৌড়ে গিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরতেই বাবা হেসে উঠলো আর আমাকে আগলে নিলো। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
‘তুমি এভাবে সারপ্রাইজ দিবে আমি সত্যিই ভাবিনি। ভালোবাসি বাবা। ‘

বাবা আমার মাথায় ভালোবাসার পরশ একে বললেন,
‘তোমার জন্মদিন আর আমি না এসে পারি? ‘

বাবার সাথে কথা বলতে বলতেই আমাকে দেওয়া উপহার গুলো নিয়ে আরিশ ভাইয়া বাসায় ঢুকতেই বাবা বলে উঠলেন,
‘কেমন আছো আরিশ? ‘

আরিশ ভাইয়া জিনিসগুলো টেবিলে রেখে উত্তর দিলেন,
‘জ্বি মামা ভালো। আপনি কেমন আছেন? ‘

বাবা হেসে বললেন,
‘বেশ ভালো। আমি আন্দাজ করেছিলাম যে তোমরা বেরিয়েছো। অপেক্ষা করছিলাম তাই তোমার আসার জন্য। ‘

উনি মুচকি হাসলেন আর আমি তাদের কথোপকথনের নিরব শ্রোতা। আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই আরিশ ভাইয়া বলে উঠলেন,
‘আমি আসছি। বাসায় ফিরতে হবে। ‘

আমি কিছু বলবো তার আগেই বাবা বলে উঠলেন,
‘এতো রাতে আর বাসায় ফিরতে হবে না আজকে এখানেই থেকে যাও, তাছাড়া আজ দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে তারপর বাসায় যেও। আর কয়েকজন গেস্ট ও আসবেন। ‘

উনি আমার দিকে অদ্ভুত এক দৃষ্টিতে তাকালেন যেন আমার বিয়ের পাকাকথা চলছে অন্য কারোর সাথে।

উনি আর না করলেন না, বাবার কথা মতো আমি নিজে গেস্ট রুম টা খুলে দিলাম। বাবা বিশ্রাম নেবেন, সকাল বেলা আম্মু এসে হয়তো সে নিজেও আমার মতো সারপ্রাইজড হয়ে যাবে।
ওনার রুমের দরজার তালা খুলে আমি চলে আসতে নিলেই উনি বেশ রাগী কন্ঠে বলল,
‘ এই মেয়ে দাড়াও। ‘

আমি বিরক্ত হয়ে ওনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
‘উফফ! আবার! আমার তো একটা নাম আছে। ‘

উনি ভাবলেশহীন ভাবে বললেন,
‘হোয়াটএভার। ‘

কথাটা বলে উনি আমার হাতটা ধরে ঘরের মধ্যে টেনে নিয়ে দরজা লক করে দিলেন। আমি চমকে গেলাম ওনার এমন হঠকারিতা কাজকর্মে। উনি আমার হাত ধরে এক জায়গায় দাড় করালেন আমাকে। আর আচমকাই কঠিন স্বরে বললেন,
‘ সবসময় এতোটাও অগোছালো হওয়া ভালো নয় যে প্রিয় জিনিসগুলো কে অবহেলা করতে হবে। কখনো কখনো কিছু জিনিসের ও গুরুত্ব দিতে শেখো নয়তো ভীষনরকম আফশোষ করবে জীবনে আর সেদিন আমি তোমাকে কোনভাবে হেল্প করবো না। ‘

কথাটা বলে উনি ওয়াশরুমে ঢুকে দরজাটা ধাম করে বন্ধ করে দিলেন। ওনার যাওয়ার পানে চেয়ে রইলাম আমি। আচ্ছা উনি কি রাগ করেছেন? কিন্তু কেন? কিন্তু এই মুহূর্তে আমার সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন হলো আচ্ছা আমি কি ফিরে যাবো নাকি ওনার ফেরার জন্য অপেক্ষা করবো। আসলে মানুষটি আমার কাছে গোলকধাধার মতো। যখনো মনে হয় এই বুঝি ওনাকে বুঝতে পারবো তখনই উনি কেমন কঠিন হয়ে যান। কিছু করার নেই তাই আমি বসে রইলাম। উনি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে এলেন, উনি এখনো আগের মতোই রয়েছেন। রেগে আছেন কি না বোঝা মুশকিল। আমি ওনার কাছে দাঁড়িয়ে বললাম,
‘আপনি কিছু খাবেন? ‘

আমি জানি যে ওনার ক্ষিধে নেই কারন আমরা বাইরে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে এসেছি। ওনার মুডের খবর জানার জন্য জিজ্ঞাসা করা। উনি আচমকাই যেন বরফের মতো গলে গেলেন।
‘নাহ! ‘

কথাটা বলে উনি ওনার পকেট থেকে ফোনটা বার করে কিছু একটা করলেন। আমি আধীর আগ্ৰহ নিয়ে চেয়ে আছি আমার ফোনটার দিকে আর ওনার কাজকর্মের দিকে। নিজের ফোনটা ওনার হাতে দেখে আমার মোটেও ভালো লাগছে না। তবে উঁকি মারলেই উনি ধমক দেবেন সেই ভয়ে চুপ করে রইলাম।
উনি আমার দিকে ভ্রু উঁচিয়ে আড়চোখে একবার তাকিয়ে পুনরায় ফোনে কিছু একটা করতে লাগলেন।
হঠাৎ উনি আমার ফোনটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন,
‘নাও। এটা সবসময় তোমার সাথেই রাখবে। আর কল করলেই সেটা মিসডকল যাতে না হয় খেয়াল রাখবে। মিসডকল হলেই খবর আছে। ‘

আমি তড়িৎ গতিতে ওনার হাত থেকে ফোনটা ছিনিয়ে নিলাম তারপর যে ঠিক কতোটা খুশি হলাম বলে বোঝাতে পারবো না। উনি আমাকে দেখে বললেন,
‘ বাচ্চা মেয়ে তার ফোন পেয়ে খুশি? যাও এবার ঘুমাতে যাও। ‘

ওনার বাচ্চা মেয়ে ডাকা শুনেও আমার রাগ হলোনা বিন্দুমাত্র। আমি ওনার দিকে একটা ভুবন ভোলানো হাসি হেসে বললাম,
‘আপনার মতো ভাই যেন ঘরে ঘরে হয়। পুরো টুইটুই মার্কা পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষ আপনি। ‘

আমার খুশি ওনার বোধহয় সহ্য হলো না। উনি দরজাটা খুলে ইশারায় আমাকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য বললেন।
আমি কোন কথা না বাড়িয়ে বেরিয়ে গেলাম ওনার রুম থেকে। উনি মুখ এর ওপর দরজা বন্ধ করে দিলেন। ফোনটা একদম আগের মতোই আছে।
তবে সমস্যা বাধলো ইন্টারনেট ইউজ করতে গিয়ে। নেট অন হয় না। কোন সোশ্যাল মিডিয়া অন হয় না। কোন কিছুই চলে না। ওনার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে বহুখন যাবৎ চেষ্টা করলাম সবকিছু অন করার। হলো না। কতোবার ফোনটা সুইচ অফ করে অন করেছি হিসাব নেই। পনেরো মিনিট যাবৎ চেষ্টা করছি কিছু কাজ হচ্ছে না। রাগে শরীর ঘেমে যাচ্ছে আমার। না পেরে ওনার ঘরের দরজা ধাক্কা দিতে লাগলাম আমি।
‘আরিশ ভাই দরজা খোলেন, আমার ফোন কাজ করছে না কেন? ‘

ওপাশ থেকে কোন উত্তর এলো না, শুধুই নিরবতা। আমার রাগটা ক্রমশ বেড়েই চলছে। পুনরায় দরজা ধাক্কা দিয়ে বললাম,
‘ কি করেছেন ফোনে? দরজা খোলেন। আমার ফোন আগের মতো করে দেন।’

উনি তাতেও উত্তর দিলেন না। এবার আমি ফোন সহ দরজায় বাড়ি মারতে লাগলাম। এ ফোন আজ প্রান ত্যাগ করলেও আমার সমস্যা নেই কারন শুধু ওনাকে আর বাবাকে কল ছাড়া কিছুই করা যাবে না আর এই ফোনে তা আমি এই কয়েক মিনিটে বেশ ভালো ভাবেই বুঝেছি।

‘ এই বেয়াদপ ছেলে দরজা খোলেন। আমার ফোন আগের মতো করে দেন বলছি। ‘

আমি অনবরত দরজা ধাক্কা দিতে লাগলেই দেখলাম ফোনটা ভাইব্রেট করে উঠলো।
তাকাতেই দেখি ওনার এস এম এস।
‘ থা/প্প/ড় খেতে না চাইলে এক্ষুনি রুমে গিয়ে ঘুমাও। আর এক মিনিটের মধ্যে তোমাকে যেন এখানে না দেখি। জলদি ঘুমাও।’

রাগে আমার চোখে জল চলে এলো। যতোটা না খুশি হয়েছিলাম। সব খুশি নিমেষেই মাটি হয়ে গেল যেন। রাগ সহ্য করতে না পেরে ফোনটা এক আছাড় মারতেই তার কয়েকটা খন্ড হয়ে গেল। রাগটা বেশি হলো যখন দেখলাম কেবল উনিই এসএমএস করতে পারবেন, আমি রিপ্লাই করতে পারবো না।

/

ডাইনিং টেবিলে আরিশ ভাইয়া, ফুপি, সানা আর আমার পরিবারের সকল সদস্য সহ আরও দুইজন বসে আছেন যাদেরকে আমি কস্মিন কালেও চোখে দেখেনি তবে আম্মুর শোনা মতে তারা বাবার ফ্রেন্ড এবং তারা এতদিন যাবৎ দেশের বাইরে ছিলেন। তাদের এক ছোট্ট মেয়েও এসেছে। যখন থেকে এসেছে তখন থেকেই আমার জিনিস লন্ডভন্ড করে চলেছে। এখন তো তার নজর পড়েছে আমার উপহার পাওয়া নীল টুপিটার ওপর যেটা আরিশ ভাইয়া আমাকে জন্মদিনের উপহার স্বরূপ দিয়েছেন। কিন্তু ওনার প্রতি রাগ আমার বিন্দুমাত্র কমেনি তাই কিছু বলছি না শুধু সহ্য করে যাচ্ছি।

সবাই একসাথে খেতে বসেছেন। তারা আমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। এমন একটা ভাব করছেন যেন আমার প্রশংসা করার জন্য ওনাদেরকে এখানে ভাড়া করে আনা হয়েছে। তবে হঠাৎ এতো প্রশংসা আমার সহজে হজম হলো না। কথায় কথায় আন্টি বলে উঠলেন,
‘আমার ছেলে আর একবছর পরই দেশে ফিরবে। সে আমেরিকাতে এখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। দেশে ফিরে কোন কোম্পানিতে জয়েন হবে। আমার ছেলে তো আরুকে দেখেনি তবে দেখলে অবশ্যই ওর পছন্দ হবে। কি বলেন আরমান ভাই? ‘

উনি কথাটা আমার বাবার দিক ছুঁড়ে দিলেন। ওনার ছেলের সাথে আমার নামটা শোনা মাত্রই আমার বুকের ভিতর মোঁচড় দিয়ে উঠলো। আরও কেঁপে উঠলাম বাবার কথা শুনে,
‘ হ্যাঁ রাইহান তো আমার ছেলের মতো। আর সে আরুকে দেখে অপছন্দ করার কোন কারন দেখাতে পারবে না আশা করি।’

আমার সমস্ত শরীর কাঁপছে, এই মুহূর্তে কি বলবো বুঝতে পারছি না, আম্মু আর ফুপির দিকে তাকাতেই দেখলাম তারা দুজনেই মুখ চুন করে বসে আছেন, হয়তো তারা আমার সাথে আরিশ ভাইয়াকে!
পরক্ষনেই মনে হলো, না না এ আমি কি ভাবছি। আমি কোনভাবেই ওনার যোগ্য না।
টেবিল ছেড়ে দৌড়ে পালাতে ইচ্ছা করলো আমার, কিন্তু সেটা করলে বাবা সহ সবাইকে অপমান করা হয়। আমি মাথা নীচু করে রইলাম। আমার চোখ ছলছল করছে। এত দ্রুত আমার জীবনের এতো বড়ো একটা সিদ্ধান্ত কিভাবে নিতে পারে বাবা তাও আমার মত ছাড়া?

আন্টি আমার নাম ধরে ডাকতেই তার দিকে তাকাতে গিয়ে আরিশ ভাইয়ার দিকে আমার চোখ পড়তেই আমি আরো জড়ো হয়ে গেলাম। উনি বেশ দিব্যি মজা করে খাচ্ছেন যেন ওনার এই পাকাকথায় দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আচ্ছা আমাকে ভালো না বাসুক কিন্তু তবুও তো আমি ওনার কাজিন আর একদিক থেকে ওনার ছাত্রী। ওনার কি উচিত নয় এর প্রতিবাদ করা,আর এই সমন্ধ ভেঙে মানবতা দেখিয়ে সমাজ সেবা তার ওপর উনি না আমাকে বাচ্চা বলেন!

আমার কান্না পেল খুব কিন্তু কাঁদবো না।
আরিশ ভাইয়ার আরামে খাওয়ার মাঝে ব্যাঘাত ঘটিয়ে অপরিচিত আঙ্কেল ওনাকে জিজ্ঞাসা করলেন,
‘ তুমি নাকি ঢাকা মেডিকেল এ পড়ো। তা বেশ ভালোই তো। দেখতেও সুদর্শন। আর ভদ্র ও। ‘

আরিশ ভাইয়া ফিচেল হাসলেন, ওনার তাতে যায় আসে না, উনি কখনোই বাইরের মানুষের প্রশংসা গায়ে মাখেন না, এবারও তাই করলেন।
আন্টিটি ফুপিকে বলে উঠলেন,
‘আমার এক ভাতিজি আছে, এখন কলেজে পড়ে। আপনার ছেলের সাথে তার বিয়ে দেবেন? ‘

আরিশ ভাইয়া আগের মতোই নির্বিকার যেন তিনি তার ভবিষ্যৎ জেনে গেছেন তাই এতো নিশ্চিন্ত। আমি অবাক হচ্ছি একে একে। এটা কি জন্মদিনের দাওয়াত নাকি বিয়ের আসরের এক বৌঠকখানা বোঝা মুশকিল।
ওনাদের কথার মাঝে আরিশ ভাইয়া খাওয়া শেষ করে উঠে আমাকে উদ্দেশ্যে করে বললেন,
‘আরুপাখি তুমি খেয়ে তাড়াতাড়ি এসো আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করছি বাইরে। ‘

আমি হাফ ছাড়লাম। উনি বোধহয় আমাকে নিয়ে এখন কোথাও বার হবেন কিন্তু কোথায়? এখানে বসার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই আমার। ওনার কন্ঠে আরু পাখি ডাক শুনে ওনারা একে অপরের দিকে তাকালেন তবে বাবা এতে স্বাভাবিক কারন বাবা সব জানেন যে আমার আর আরিশ ভাইয়ার সম্পর্কটা কেমন।

ফুপি জবাব দিলো,
‘ছেলের তো এখনো বিয়ের বয়স হয়নি। তাই এসব নিয়ে ভাবি নি।’

ওনারা আর কিছু বললেন না। আমি কেবল বাবার থেকে উঠে যাওয়ার পারমিশন নিয়ে সেখান থেকে উঠে গেলাম। সানার দিকে তাকাতেই বুঝলাম যে সে আমার উঠে যাওয়াতে খুশি হয়েছে।
আমি হাত ধুয়ে আরিশ ভাইয়ার পিছন পিছন দৌড়ালাম,ওনার পিছন পিছন দৌড়াচ্ছি আর হাপাচ্ছি। উনার সাথে হেটে পারছি না, একটা সময় ওনার সামনে গিয়ে দাঁড়িয়ে ওনার পথ আটকে খানিকটা ঝুকে হাপাতে লাগলাম, উনি আমার দিকে অদ্ভুত ভাবে চেয়ে আছেন যেন আমি ভিন গ্ৰহের প্রানী। আমি ওনার চাহনি দেখল বললাম,
‘আমি কিন্তু এখনও আপনার ওপর রেগে আছি। ‘

উনি এবার আরও ভাবলেশহীন আচরন করতেই আমি চেঁচিয়ে বললাম
‘মি অভদ্র! ‘

#চলবে,,,,

বড়ো বড়ো কমেন্ট করবেন। বড়ো বড়ো কমেন্ট পড়তে আমার ভাল্লাগে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here