#টুয়েন্টি_মিনিটস (চ্যাপ্টার-০১)
পর্ব-১৩
লেখা: ShoheL Rana শামী
ঘরের বাজারগুলো আজকাল সুফিয়া নিজেই করে। বাবা পুরোপুরি শয্যাশায়ী এখন। বাজার করার মতো আর কেউ নেই। বাধ্য হয়ে সুফিয়াকেই বাজারে যেতে হয়। এজন্য লোকের কত কথা শুনতে হয় তাকে! এই তো সেদিন বাজার করে ফেরার সময় এক বখাটের পাল্লায় পড়ে। তিনটা বিয়ে করেছে, তবুও মেয়েদের পেছনে ঘুরে লোকটা। মদ খেয়ে মাতাল হয়। সুফিয়াকে দেখে সেদিন পথ আটকালো। সিগারেটে লম্বা একটা টান দিয়ে বললো, ‘সুফিয়া, তোমার দুঃখটা আমি বুঝি। বিয়ে তো তোমার হচ্ছে না, আমিও আরেকটা বউ খুঁজছি।’
সুফিয়া রেগে গিয়ে বললো, ‘করিম ভাই, পথ ছাড়ুন।’
করিম পথ ছাড়লো না। আরেকটু গা ঘেঁষে বললো, ‘তোমার বাপের অসুখটার কথা ভাবো। তোমার বিয়ে হয়ে গেলে সেও সুস্থ হবে।’ বলেই সুফিয়ার হাত ধরতে চাইলো করিম। সুফিয়া তার বিশেষ জায়গায় জোরে পা চালিয়ে দ্রুত হেঁটে চলে এলো। করিমের আর্তনাদ কানে এলেও পেছনে সে আর তাকায়নি।
এভাবেই প্রতিনিয়ত সুফিয়াকে এসবের শিকার হতে হয়। আজও বাজার করে যখন ফিরছিল, কয়েকটা ছেলে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করতে লাগলো। একটা ছেলে মন্তব্য করলো, ‘পুরুষ হয়ে জন্ম নিতে গিয়ে মেয়ে হেয়ে গিয়েছিল সে।’
ছেলেটার মন্তব্য শুনে বাকিরা হেসে ওঠলো। আরেকটা ছেলে বলে উঠলো, ‘বেচারির বিয়ের চিন্তায় বাপটা মরতে বসলো। আমাদের মধ্যে কাউকে পছন্দ হলে বিয়ে করে নিতে পারে।’
সুফিয়া বরাবরই প্রতিবাদী মেয়ে। এসব শ্লেষোক্তি সে সহজে হজম করলো না। বাজারের ব্যাগটা রেখে পায়ের জুতো খুলে তেড়ে গেলে, ছেলেগুলো পালিয়ে যায়। সুফিয়া উত্তেজিত হয়ে ফিরে আসে ঘরে৷ জাফর মাস্টার নিজের বিছানায় শুয়ে ছিলেন। মেয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকলেন। সুফিয়া এসে একটু রুক্ষ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো, ‘কী হয়েছে? ডাকছো কেন?’
‘আজও তোকে উত্ত্যক্ত করেছে তাই না?’
সুফিয়া জবাব দেয় না। তবে জাফর মাস্টার ঠিকই বুঝে ফেলেন। হতাশার সুরে তিনি বললেন, ‘জাফর মাস্টার রাস্তায় বের হলেই যারা দূর থেকে সালাম দিয়ে চলে যেত, আজ জাফর মাস্টার বিছানা থেকে উঠতে পারে না দেখে সবাই তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছে। আফসোস! একটু সবুর কর মা, সব ঠিক হয়ে যাবে।’
‘আর কবে ঠিক হবে বাবা? তুমি তো দিনদিন আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছো। তুমি না থাকলে তো সবাই আমাকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাবে।’ ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠে শাড়ির আঁচলে মুখ গুঁজলো সুফিয়া।
‘কাঁদিস না মা। এটাই হয়তো আমাদের নিয়তি।’ মেয়েকে কাছে টেনে মাথায় হাত বুলালেন জাফর মাস্টার। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজ পত্রিকার হকার আসেনি?’
সুফিয়া কান্না থামিয়ে চোখ মুছে বললো, ‘হকার তো প্রতিদিন আসে এগারোটার সময়। এখন বাজে কেবল নয়টা। তোমার কী হয়েছে বলো তো বাবা? কয়েকদিন ধরে দেখছি হকার আসার আগে থেকেই তার খোঁজ করো?’
‘কিছু হয়নি। রিহান ছেলেটার কথা খুব মনে পড়ে। বেচারা ছেলেটা অভিমান করে কোথায় যে গেল?’
রিহানের কথা উঠতেই সুফিয়ার চেহারাটা বিবর্ণ হয়ে গেল। কয়েক মুহূর্ত চুপ থেকে সে শীতল কণ্ঠে বললো, ‘তুমিও তো বাবা সেদিন আটকাওনি তাকে। আমিই না হয় সেদিন তার উপর একটু রেগেছিলাম।’
‘কী করে আটকাতাম বল? লোকের বিষ দাঁত তোর বাবাকে যে প্রতিনিয়ত কামড় দিতো? ছেলেটাও বড্ড অভিমানী। সেই যে গেল, একটিবারও দেখতে এলো না। কোথায় আছে? কী অবস্থায় আছে সে? আল্লাহ-ই জানেন।’ দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন জাফর মাস্টার। সুফিয়াও অন্যমনস্ক হয়ে গেল হঠাৎ। কিছু মুহূর্ত নীরবে কেটে গেল। জাফর মাস্টার জানালা দিয়ে দূরের পরিবেশটায় দৃষ্টি ফেললেন। অনেকদিন তিনি বাইরের হাওয়া গায়ে লাগাতে পারছেন না। সময় কতকিছু বদলে দেয়! মেয়ের দিকে দৃষ্টি ফিরালেন তিনি। বললেন, ‘একটু গোসল করাতে পারবি মা? শরীরটা কেমন যেন করছে।’
সুফিয়া উঠে বড়ো একটা গামলায় করে পানি আনলো। একটা তোয়ালে সেই পানিতে ভিজিয়ে ভিজিয়ে বাবার সারা শরীর মুছে দিলো। তারপর বাবার গায়ের কাপড়গুলো বদলে দিয়ে বললো, ‘তুমি থাকো বাবা, আমি দুপুরের রান্নাটা করে আসি।’
সুফিয়া রান্না করতে চলে গেল। আরও অনেকক্ষণ পর হকার এলো পত্রিকা নিয়ে। সুফিয়া বাইরে বের হয়ে পত্রিকা এনে বাবাকে দিতে দিতে বললো, ‘ধরো তোমার পত্রিকা। পড়তে থাকো। আমার রান্না এখনও শেষ হয়নি।’
বাবার হাতে পত্রিকা দিয়ে সুফিয়া পুনরায় রান্নাঘরে এলো। তরকারিতে লবণ ঠিকঠাক হয়েছে কি না দেখে আরেকটু লবণ ছিটিয়ে দিলো।
পত্রিকায় চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাৎ নবযুগ পত্রিকার একটা শিরোনামে চোখ আটকে গেল জাফর মাস্টারের। এই নিউজটা দেখার জন্যই তিনি প্রতিদিন হকারের খোঁজ করতেন। সেদিন রিহান জোর গলায় কথাটি বলার পর থেকে জাফর মাস্টার অপেক্ষায় ছিলেন এই দিনটার। যদিও সেই সময় তিনি রিহানের কথা বিশ্বাস করেননি, তবুও তিনি রিহানকে মিথ্যা প্রমাণ করতে খোঁজ করতো পত্রিকার। রিহান যখন এক মাস পর আসবে, তখন যেন বলতে পারেন, ‘এই দেখো, তোমার কোনো কথা-ই সত্যি হয়নি।’ কিন্তু পত্রিকার আজকের শিরোনাম দেখে মাস্টার সাহেব নিজেই তাজ্জব বনে গেলেন। কী করে এটা সম্ভব? রিহান কী করে একমাস আগে থেকে জানলো কাজী নজরুল সাহেব দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয়ে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলবেন? উত্তেজিত হয়ে তিনি মেয়েকে ডাকলেন, ‘সুফিয়া সুফিয়া…’
‘আসছি বাবা, তরকারিটা নামিয়ে আসছি…’
‘তাড়াতাড়ি আয়, দেখে যা।’
‘এইতো, হয়ে গেল। আসছি…’
আরও কিছুক্ষণ পর সুফিয়া তরকারির পাতিলটা চুলা থেকে নামিয়ে বাবার ঘরে গিয়ে দেখলো, বেগম পত্রিকাটা নিচে পড়ে আছে। আর নবযুগ পত্রিকাটা বাবা বুকের উপর রেখে চোখ বন্ধ করে আছে। সুফিয়া নিচ থেকে বেগম পত্রিকাটা তুলে জিজ্ঞেস করলো, ‘কেন ডাকছো? এরইমধ্যে ঘুমিয়ে পড়লে না-কি বাবা?’
জাফর মাস্টার কোনো সাড়াশব্দ করলেন না। সুফিয়া পুনরায় ডাকলো, ‘বাবা… বাবা…’
এবারও কোনো সাড়া না পেয়ে সুফিয়া ভয় পেতে শুরু করলো। ভয়ে ভয়ে বাবার গা ধরে ঝাঁকিয়ে ডাকলো, ‘বাবা, কথা বলছো না কেন?’
ততক্ষণে জাফর মাস্টারের দেহটা নিস্তেজ হয়ে গেল। সুফিয়া তাঁর নিস্তেজ দেহটা ধরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠলো। তার চিৎকার শুনে পাশের বাড়িগুলো থেকে কয়েকজন ছুটে আসতে লাগলো। তারা এসে নিশ্চিত করলো, জাফর মাস্টার আর বেঁচে নেই।
বাবার মৃত্যুর পর বড্ড একাকি দিন কাটতে লাগলো সুফিয়ার। ঘর থেকে বের হয় না, কারও সাথে কথা বলে না। ঠিকভাবে খায় না। পাশের বাড়ির এক খালা মাঝেমধ্যে তার জন্য খাবার নিয়ে আসে। তখন ইচ্ছে হলে খায়, নয়তো রেখে দেয়। বিকেল হলে বাচ্চারা আগে তাদের উঠোনে খেলতে আসতো, এখনও আসে, তবে সুফিয়ার মন খারাপ দেখে খেলে না। তারা সুফিয়ার পাশে বসে মন ভালো করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে নিজেরাও মুখ কালো করে ফেলে। সন্ধ্যা হলে সবাই যার যার বাড়িতে ফিরে যায়। এভাবেই কাটতে থাকে সুফিয়ার দিনগুলো। কাজী নজরুলের অসুস্থতার কথা সে শুনেছে। তবে খুব বেশি দাগ কাটতে পারেনি তার মনে, কারণ- এরচেয়ে গভীরভাবে দাগ কেটে গেছে তার বাবার মৃত্যু।
অনেকদিন বাজারও করেনি সুফিয়া। বাবা নেই, কার জন্য বাজার করবে সে? কার জন্য রান্না করবে? তবে এভাবে চলতে থাকলে একদিন সেও অসুস্থ হয়ে পড়বে বাবার মতো। নিজেকে শক্ত করলো সে। বাজারে গেল সে আজ। অনেকদিন পর সে আজ বাড়ির টিনের গেইটটা পেরোলো। বাজারে গিয়ে নিজের পরিমাণ মতো বাজার করলো। ফেরার সময় দেখলো কিছু লোক চাঁদা তুলছে নজরুলের চিকিৎসার জন্য। সুফিয়া বাজারের ব্যাগ নিয়ে ওদিকে এগিয়ে গেল। জিজ্ঞেস করলো তাদের, ‘নজরুল সাহেবের এখন কী অবস্থা?’
একজন জবাব দিলো, ‘উনার অবস্থা আরও খারাপের দিকে। কথা বলার শক্তি তো একদম হারিয়ে ফেলেছেন। আগে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এখন মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।’
সুফিয়ার শাড়ির কোণায় একশো টাকা বাঁধা ছিল। সুফিয়া টাকাগুলো বের করে কী যেন ভাবলো। বাবার কথা মনে পড়লো তার। বাবা বেঁচে থাকতে তার জন্য খুব চিন্তা করতো। বাবা একদিন বলেছিল, ‘বসে বসে খেলে রাজার অঢেল সম্পদও একদিন শেষ হয়ে যায়। মা রে, আমার তো অল্প জমানো টাকা আছে। আমার যদি কিছু হয়ে যায়, তোর তখন কী হবে? তুই কী খেয়ে বাঁচবি?’
সুফিয়া কিছুটা ধমকের সুরে বলেছিল, ‘বাবা, এসব বলো না তো। আমার কষ্ট হয়।’
আজ সত্যি সত্যি বাবা তাকে একা করে চলে গেল। একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে হাতের একশো টাকা চাঁদার বাক্সে ফেলে সুফিয়া বললো, ‘দোয়া করি, নজরুল সাহেব যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’ বলেই আড়ালে চোখ মুছে হনহন করে হাঁটতে লাগলো সুফিয়া।
ঘরে এসে রান্না করতে লাগলো সে। একা খাবে, তাই অল্প রান্না করতে বেশিক্ষণ লাগলো না। বাইরে পত্রিকার হকার এসে আরেকবার বাবার কথা মনে করিয়ে দিলো তাকে। হকার থেকে দুটো পত্রিকা নিলো সুফিয়া। তারপর জিজ্ঞেস করলো, ‘মাস শেষ হতে আর ক’দিন বাকি?’
‘ছয়দিন আপা।’
‘ঠিক আছে। আর ছয়দিন পত্রিকা দিয়ে হিসাব করে টাকা নিয়ে নিয়েন। এরপর আর পত্রিকা দিতে হবে না।’
‘আচ্ছা, আপা।’
হকারটা চলে গেল সাইকেল চালিয়ে। সুফিয়া বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়তে চাইলে বারবার অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছে। আজকাল পত্রিকাগুলোও পড়তে মন চায় না তার। কেবল শোকের নিউজ ছাপা হয়। তারপরও শিরোনামগুলো পড়তে থাকলো সে। এর কিছুদিন পর হকারকে সব টাকা হিসাব করে বুঝিয়ে দিয়ে পত্রিকা নেয়া বন্ধ করে দিলো চিরতরে।
গভীর রাত। সুফিয়ার চোখে ঘুম নেই। আজ বাবার পাশাপাশি রিহানের কথাও খুব মনে পড়ছে তার। লোকটা সেই যে গেল, আর খোঁজ নাই। বাবা যে মারা গেল, একটু দেখতেও এলো না। হয়তো বাবার মৃত্যুর সাংবাদটাও সে পায়নি। পেলে অবশ্যই আসতো। লোকটা এতটাও খারাপ না। সুফিয়ার চোখ বেয়ে অশ্রু বের হয়ে এলো হঠাৎ। কার কথা ভেবে এই অশ্রু? বাবার কথা ভেবে? না-কি রিহানের? না-কি দুজনের কথা ভেবে?
দরজায় ‘খটখট’ শব্দ হলো। প্রথমে সুফিয়া পাত্তা দিলো না ব্যাপারটা। কিন্তু পরক্ষণে বুঝলো, কেউ দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছে। সুফিয়া অশ্রু মুছে ঘরের আলো জ্বাললো। তারপর রান্নাঘর থেকে মাছ কাটার বটিটা হাতে নিয়ে প্রস্তুতি নিলো। যে হবে হোক, আজ তার রক্ষা নেই। এতো রাতে একটা মেয়ের ঘরে যে দরজা ঠেলে, সে নিশ্চয়ই ভালো লোক নয়। সুফিয়া নিজেই দরজা খুললো। দেখলো বখাটে করিম তার দুপাটি দাঁত বের করে শয়তানের মতো হাসছে। সুফিয়ার হাতের বটিটা সে খেয়াল না করেই ঘরে ঢুকে পড়লে, সুফিয়া তার গলায় বটির কোপ বসায়। জোরে আর্তনাদ করে উঠে করিম। সুফিয়া এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে তার পুরো শরীর। মুহূর্তেই রক্তে ভেসে গেল পুরো ঘর। চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়িঘর থেকে লোকজন ছুটে আসতে লাগলো। মুহূর্তেই একটা রব পড়ে গেল ওখানে। সবাই উচিত কাজ হয়েছে বললেও সুফিয়ার কপালটা মন্দ ছিল। সেই মুহূর্তে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল একটা ব্রিটিশ সেনাদের গাড়ি। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গাড়িটা থামে। কয়েকজন ব্রিটিশ সেনা আসে ওখানে। সব দেখে ওরা লাশ আর সুফিয়াকে তুলে নিয়ে যায়।
একমাস সুফিয়াকে একটা কারাগারে রাখা হয়। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ব্রিটিশদের একটা ক্যাম্পে। ওখানে বৃটিশরা তৈরি করেছে আরেকটা কারাগার। সেই কারাগারে রয়েছে ছোটো ছোটো অনেকগুলো অন্ধকার কক্ষ। একটা কক্ষে সুফিয়াকে ঢুকিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় লোহার দরজা। ভেতর থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই। সুফিয়ার হাতে পায়ে শেকল পরা ছিল। অন্ধকার রুমে হাঁটতে গিয়ে শেকলের ঝংকার শোনা গেল। হঠাৎ শেকলে পা প্যাঁচিয়ে পড়ে গেল সুফিয়া। একটা লোকের গায়ের উপর পড়েছে। লোকটার সারা মুখে লম্বা দাড়ি অনুভব করলো সে। লোকটারও হাত পা শেকল দিয়ে বাঁধা। সুফিয়া লোকটার কাছে মাফ চেয়ে গায়ের উপর থেকে সরতে চাইলে, লোকটা তার হাত ধরে ডাক দেয়, ‘সুফিয়া…’
হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায় সুফিয়ার। উত্তেজিত হয়ে বলে, ‘কে? কে ডাকে আমার নাম ধরে?’
[[চলবে…]]
(