You_are_mine
season_2
Poly_Anan
part_6
ঈশানের দিকে বার বার আড় চোখে ঈশা তাকাচ্ছে আর একের পর এক ঢোক গিলে যাচ্ছে।আজ তার সাথে ঠিক কি কি হবে সে ভেবে কুল পাচ্ছেনা।
“কি হলো অনুর পেছনে লুকিয়ে আছেন কেন আপনি? সামনে আসুন!
ঈশা অনুর সাথে আরেকটু নিজেকে জড়িয়ে নেয়।
” কি হলো কথা কি কানে যায় না আমি আসতে বলেছি সামনে..!(ধমক দিয়ে)
ঈশানের ধমক শুনে ঈশা অনু দুইজনেই কেপেঁ উঠে।তারা এখন দাঁড়িয়ে আছে ছাদের একটি চিলেকোঠার ঘরে। অনুষ্ঠানের সব কিছু নিচে বাগানের দিকটায় এরেঞ্জ করায় ছাদের দিকটায় তেমন কেউ আসে না।শুধু মাত্র লাইটিংএর কয়েকজন মাঝে মাঝে এসে সব কিছু ঠিক করে যায়। কিন্তু তাদের কে ও আসতে বারন করে দিয়েছে ঈশান।টাকা দিয়ে রিসোর্টের সবার মুখ বন্ধ করে দিয়েছে সে।
ঈশা..এবারো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে অনুর পেছনে। অনু নিজেও ভয়ে জড়ো সড়ো দাড়িয়ে আছে।অনু ঈশার হাত টেনে বলে,
“‘ঈশু প্লিজ আমাকে ছাড়..! তুই দেখ ঈশান ভাই রেগে আছে তোর উপরের রাগ এবার আমার উপরের ও তুলবে। প্লিজ ঈশু তোদের দুজনের মাঝে আমাকে পিষে মারিস না।
” শালিক পাখি কি বিড় বিড় করছো(ঈশান)
“ন…না ভাইয়া কিছু না।
” কই গো ঈশা তুমি তো ভালো নাচতে যানো।আজ তো আরিফের সাথে নাচার কথা ছিল?কি আমি ঠিক বলেছি(ভ্রু কুচকে)
ঈশা এই ভয়টায় পাচ্ছিল।ঈশান আরিফের সাথে মেলামেশা নিয়ে নিশ্চই গন্ডগোল পাকাবে ঠিক তাই হলো।এবার ঈশা কি করবে কিভাবে বাচাবে নিজেকে।
“ঈশা তুমি কি বেরিয়ে আসবে নাকি আমি চুল টেনে ধরে আনবো এতে কিন্তু তোমার নিজেরি অপমান হবে।
ঈশা সুরসুর করে অনুর পেছন থেকে অনুর পাশে এসে দাড়ায়।
“অনুর পাশে কি তোমার। অনু মেয়েটা যা সাফার করছে তোমার জন্য… ট্রাস্ট মি অন্য কোন মেয়ে হলে তোমার বন্ধুত্বের বন্ধন ছিন্ন করে পালিয়ে যেত। কই গো ঈশু সামনে এসে দাঁড়াও আমার।
ভয়ে ঈশার কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।সরু চিকন ঠোঁট দুটো তিরতির করে কাপছে।ঈশান ঈশাকে হেঁচকা টেনে নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়।বিষয়টি চোখের পলকে সম্পূর্ণ হয় তাই ঈশা অবাক হয়ে ঈশানের দিকে তাকায়।
ঈশান পকেট থেকে ফোন বের করে অনুর দিকে ছুড়ে মারে অনু তা ক্যাচ করে নেয়।
” শালিক পাখি তোমার বান্ধুবিকে নাচার শখ আজ মিটিয়ে দেবো।ডান্স ফ্লোরে একবার নেচেছি আবার নাচবো তুমি আমার মোবাইলে ভিডিও করবে নাচটা।আর খবরদার কাপাকাপা হাতে ভিডিও করলে তোমারো খবর আছে ভিডিওটা যেনো ক্লিয়ার হয়।আর সুন্দর একটা গান ছাড়ো।
ঈশা নিজেকে ছাড়াতে লাফালাফি শুরু করে দেয় ঈশান আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলে,
“আমার ডান্স থেরাপি নিতে তৈরি হয়ে যাও ঈশু যান।
” ড…ডান্স থেরাপি(ভয়ে ঢোক গিলে)
“ইয়েস ডান্স থেরাপি ?(বাকা হেসে)
অনু তাড়াতাড়ি তার ফোন থেকে একটি মিউজিক প্লে করে।আর ঈশানের ফোন থেকে ভিডিও করতে শুরু করে…..
ঈশান ডান্সের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। আর গানের তালে নাচতে শুরু করে..
Mareez-e-Ishq hoon main, kar de dawaa
Mareez-e-Ishq hoon main, kar de dawaa
O o ho…
Talab hai tu, tu hai nasha
Ghulam hai dil ye tera
Khulke zara jee loon tujhe
Aaja meri saanson mein aa (ঈশা অবাক হয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।আর ঈশান ঈশার চোখের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসতে থাকে।ঈশার উড়ন্ত অবাধ্য চুল গুলোতে একটি ফু দিয়ে সরিয়ে দেয়)
Talab hai tu, tu hai nasha
Ghulam hai dil ye tera
Khulke zara jee loon tujhe
Aaja meri saanson mein aa (ঈশানের ঠোঁটের ওই হাসিতে ঈশা যেনো হারিয়ে গেছে। দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে এক অজানা নেশায় মত্ত হয়ে গেছে।)
Mareez-e-Ishq hoon, main kar de dawa
Haath rakh de tu dil pe zara
O o… haath rakh de tu dil pe zara (ঈশান ঈশার হাত টেনে তার বুকের বা পাশে ধরে।ঈশা এখনো ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে)
Tujhe mere rab ne milaya
Maine tujhe apna banaya
Ab na bichadna Khudaya (অনু অবাক হয়ে ভিডিও করছে সে ভেবেছিল ঈশা হয়তো হাত পা ছুড়া ছুড়ি করবে কিন্তু ঈশানের নেশা দৃষ্টিতে ঈশা একদম ফ্রিজড হয়ে গেছে)
Tujhe mere rab ne milaya
Maine tujhe apna banaya
Ab na bichadna Khudaya
Mohabbat rooh ki hai laazim riza
Haath rakh de tu dil pe zara
O o… haath rakh de tu dil pe zara
ঈশান সম্পূর্ণ নাচ শেষ করে ঈশার হাত টেনে চুমু খায়
অনু ভিডিওটা সেভ করে দুজনকে উদ্দেশ্য করে হাত তালি দিতে থাকে।
“ঈশা তুই কি ভালো নাচিস রে…. ঈশান ভাইয়া এটাই কি আপনার ডান্স থেরাপি না মানে থারাপি টা কিন্তু অসাম ছিল!?(দাত কেলিয়ে)
অনুর কথা শুনে ঈশা রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।মুহূর্তেই ঈশান বাধন আলগা করে দেয়। কিন্তু বাম হাতটা শক্ত করে ধরে রাখে।
” থেরাপির আসল ডোজ এখনো বাকি শালিক পাখি।দাও মোবাইল দাও।
ঈশান হাত বাড়িয়ে মোবাইল নিয়ে ভিডিও দেখতে থাকে।
“বাহ দারুন কেউ বুঝবেই না তোমাকে আমি ফোর্স করে এইসব করিয়েছি।
” আপনি একটা ঠকবাজ,
“দূর কি যা তা বলছো তুমি।আচ্ছা ঈশু আমি যে তোমার ফেসবুক আইডি হ্যাক করেছি সেই আইডি থেকে যদি এই ভিডিওটা সবার মাঝে ছড়িয়ে দি বিষয়টা কেমন হবে?
” এই আপনি এইসব কি উলটা পালটা কথা বলছেন কাজটা কিন্তু একদম ঠিক হবেনা।
“আমি ও যানি ঠিক হবে না তবে এই কাজ টা আমি করবো না সত্যি করবো না যদি তুমি আমার কথা মানো!
” কি কথা(ভ্রু কুচকে)
(গল্পটি লেখনীতে-পলি আনান)
ঈশান বড় একটি খাম নিয়ে ঈশাকে উদ্দেশ্য করে বলে,
“এখানে কিছু পেপার’স আছে তুমি সেগুলোতে সাইন করবে।
” নো ওয়ে। কিসের পেপার এগুলো?
“তা তোমার জেনে কাজ নেই যা বলছি তাই করো না হলে ভিডিও কিন্তু আপলোড দেবো।
অনু বুঝতে পারে ঈশান নিশ্চই আবারো কোন ফন্দি আটছে।
” ঈশাকে আর কত শাস্তি দেবেন ভাইয়া…!বেচারিকে এবার একটু ফ্রিডম দিন। সে নিজেও আপনার নিত্যনতুন কান্ডে ডিপ্রেশনে আছে।(অনু)
“তুমি মুখ বন্ধ রাখো শালিক পাখি নাহলে তোমাকে ও ডিপ্রেশনে ফেলার ব্যবস্থা করে দেবো।
অনু মুখটা লুকিয়ে কাচুমাচু হয়ে যায়।
” লিসেন ঈশা আমি পাচঁ পর্যন্ত গুনবো আমার হাতে সময় বেশি নেই এই পেপার’স গুলোতে তুমি সাইন করবে না হলে ভিডিওটা ছড়িয়ে যাবে।
“কখনো না আমি কোন দিন ও সাইন করবো না।(রেগে)
” ওকে ঠিক আছে আমি বরং সবার মেসেঞ্জারে সেন্ড করে দিচ্ছি তার সাথে টাইমলাইনে ও পোস্ট করে দিচ্ছি।এর পর যে তোমার সাথে কি হবে আমি আর কিছু যা নি না।ভিডিওটা সবাই দেখলে হাজারটা প্রশ্নের সম্মুখীন হবে আর আমার বিরুদ্ধে তুমি কোন প্রমানে আনতে পারবেনা।সবাই তোমাকেই খারাপ যানবে, বলবে বড় লোকের ছেলে পেয়ে আড়ালে একটু মন গলাতে চাইছে।
তার থেকে ভালো তুমি সাইনটা করে দিতে।তুমি যেহেতু করবেই না আমি তাহলে আমার কাজটা করছি…..
ঈশান মোবাইলে মনোযোগ দিতেই ঈশা জোরে বলে,
“আয়ায়ায়ায়ায়া মি রা..রাজি.. সাইন করবো আমি।
ঈশা হাতে কলম তুলে নিলেই অনু ধমকে বলে,
” পাগল হলি ঈশা এগুলো কিসের পেপার’স আগে পড়ে নে।
“শালিক পাখি ডানা বেশি ঝাপটাবে না বলে দিলাম ডানা কিন্তু আমি একদম ছেটে দেবো।মাইন্ড ইট।কি হলো তুমি থামলে কেন সাইন করো।
ঈশান ঈশাকে কাগজ গুলো দেখারো সুযোগ দিলনা তার আগেই দ্রুত সাইন করিয়ে খামের মুখ বন্ধ করে নেয়।
এদিকে অনু মনে মনে বলে,
” ঈশুরে তুই আবারো শেষ কি কাগযে তোকে সাইন করালো আল্লাহই যানে।
ঈশানের মুখে ফুটে উঠেছে বিশ্বজয়ের হাসি।
” অনেক রাত হয়েছে যাও তোমরা ঘুমিয়ে পরো।এখনো অবশ্য ফাংশন শেষ হয় নি চাইলে এটেন্ড করতে পারো।আমি যাই ওকে গুড বাই সি ইউ এগিন।
“আল্লাহ তোর মুখটা আমায় আর না দেখাক(দাতে দাত চেপে মনে মনে ঈশা)
….
পরের দিন বিয়ের অনুষ্ঠানে ঈশা অনু কারো মুখেই হাসির ছাপ নেই।তাদের দেখতে কেমন প্রান হীন একটি খোলস দেহ লাগছে। দুজনেই চুপ চাপ গুম হয়ে বসে আছে এক কোনায়।তাদের মুখে নেই কোন হাসি। ইতিমধ্যে গেস্টরা আসা শুরু করে দিয়েছে।হাসিন ঈশার দিকে তাকিয়ে বলে,
” ঈশা তোর কি হয়েছে এমন চুপ হয়ে গেছিস কেন?
“কিছু না ভাইয়া। তুমি এখনো রেডি হওনি কেন?
” এইতো যাবো আচ্ছা কাল কই ছিলি আমার বিশেষ গেস্টদের সাথে তোর পরিচয় করিয়ে দিতে পারলাম না।তবে আজ কিন্তু তাদের দায়িত্ব তোদের দুজনের উপর।আমি চাই ঈশা আর অনু দুজন মিলেই হ্যান্ডেল করবি।
“ওক্কে ভাইয়া।বাট তোমার গেস্টরা আসেনি।
হাসিন কথার মাঝেই খেয়াল করে তার গেস্ট এসে গেছে মুখ জুড়ে হাসির রেখা ফুটিয়ে সামনে থাকা দুইজন ব্যাক্তিকে জড়িয়ে ধরে।
” কি রে কেমন আছিস আসতে অসুবিধা হয় নি তো?
“না হয়নি।
“ঈশা পরিচয় করিয়ে দি এরাই আমার স্পেশাল গেস্ট।
ঈশা ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতেই বড় সড় একটা ধাক্কা খায়।সে দুই পা পিছিয়ে গেলে অনু তাকে আবারো সামনে টেনে দাড় করায়।
” ঈশা ওরা হলো ঈশান,রাসেল, আমার ফ্রেন্ড তাদের সাথে আমার পাচঁ বছরের ফ্রেন্ডশীপ যদিও আমি বড় তাদের তবুও বেশ ভালো বন্ধু। ঈশান রাসেল দুজনেই ইউএস থাকে। গত তিন বছর থেকে বাংলাদেশে থাকতে শুরু করে। আর তাদের সাথে আলাপ কিন্তু ফেসবুকেই।(ঈশাকে উদ্দেশ্য করে)
ঈশা ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্তু ঈশানের হাবভাব দেখতে এমন সে ঈশাকে চিনেই না।
“আর ঈশান রাসেল এই হলো আমার কাজিন ঈশা।ও কিন্তু খুব চঞ্চল। তোমাদের কোন প্রয়োজন হলে ঈশাকে ডাকবে।আর ও হলো ঈশার বেস্ট ফ্রেন্ড অনু। সেও আমার বোনের মতো দুজনেরি দায়িত্ব তোমাদের সাহায্য করা।(ঈশানকে উদ্দেশ্য করে)
” আমি আসি তাহলে তোরা তোদের মতো পরিচিত হয়ে নে।
“ওকে(মিষ্টি হেসে ঈশান)
ঈশা এখনো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।কি হচ্ছে এইসব এই লোকটা কি পিছু ছাড়ার নয় দিন দিন চুইংগামের আঠার মতো আরো চিপকে যাচ্ছে পুরাই চিপুক গাম।
” হেই ঈশা ক্যাচা লাগা মেরি মাজাক…!(বাকা হেসে ঈশান)
“পুরাই ভাল্লাগছে তোর মজা(দাতে দাত চেপে)
” বাই দা ওয়ে তুই তোকারি করছো কেন(ভ্রু কুচকে)
“তো কি করবো এর থেকে ভালো সম্মোদন আসে না আপনার জন্য।
ঈশা আর ঈশানের তর্ক দেখে রাসেল অনুর পাশে দাঁড়িয়ে বলে,
“চলুন আমরা পুল সাইডে যাই।
” হ্যা চলুন।
“তুমি করেও বলতে পারো মিষ্টি করে ডাকবে “তুমি”
“আপনি কিন্তু আমার মাথা গরম করে দিচ্ছেন।
“ঠান্ডা করার মতো অপশন আমার কাছে আছে ঈশু বেবি…সো যতই মাথা গরম করো ঠান্ডা করার ব্যবস্থা আমার।
ঈশা বড় বড় পা ফেলে দ্রুত ঈশানকে বকতে বকতে চলে যায়। কিছুক্ষর পর স্টেজে যখন শিমলি আর হাসিনের ফটোশুট হচ্ছে তখন ঈশান একজন ফটোগ্রাফার কে ঈশারা করে।এই ফটোগ্রাফারটাকে ঈশান নিজে হায়ার করেছে।সে শুধু ঈশা আর ঈশানের কিছু কাপল পিক তুলবে।
ঈশা বেশ মনোযোগ সহকারে ফটো তুলা দেখছে।ঈশান তার পেছনে বেশ ঠেসে দাঁড়ায় যেন পরবর্তীতে ছবি দেখলে বুঝা যায় তারা দুজন বেশ পাশাপাশি ছিল।
ঈশার মাথাটা একদম ঈশানের বুক বরাবর। এভাবে বেশ কিছুক্ষন ছবি তোলার পর ঈশা ঘুরে পেছনে তাকাতে নিলেই ঈশানের বলষ্ঠ দেহের সাথে বেশ জোরে ধাক্কা খায়।
” উফফ…আপনি এখানে কি করছেন(বিরক্ত হয়ে)
“তুমি যা করছিলে আমিও তাই করছিলাম।
” সরুন সামনে থেকে।
ঈশা ঈশানকে টেক্কা দিয়ে সামনের দিকে হাটা ধরে ঈশান ফটোগ্রাফার টাকে ইশারা করে তাদের পেছন পেছন আসার জন্য।বাগানের দিকটায় ঈশা অনুকে খুজতে যায় সেই দিকটা বেশ নিরিবিলি এখন। কেননা সবাই বর বউ দেখতেই ব্যস্ত।ঈশা অনুর নাম ধরে ডাকতে নিলেই ঈশান পেছন থেকে ঈশার হাট টেনে নেজের দিকে ঘুরিয়ে আনে।
ঈশা তার দিকে তাকালেই ঈশান বলে,
“ক্যাপচার”
ঈশার ভ্রু যুগল কুচকে যায় কি বলছে ঈশান একের পর এক অঙ্গ ভঙ্গিতে ছবি তুলতে থাকে ঈশান। কিন্তু বোকা ঈশা বুঝতে পারেনা ঈশানের কান্ড।
“এই যে আপনি এইসব কি করছেন?এমন স্টেচু হয়ে যান কেন?
” তোমাকে জালানোর জন্য এমন করছি বুঝলে কিছু!
“দূর ছাড়ুন।কথায় কথায় আমাকে এইভাবে খবরদার জড়ি দরবেন না।
” কেন তোমাকে ধরতে আমার পারমিশন লাগবে না কি(ভ্রু কুচকে)
“অবশ্যই।
” তোমাকে ছোয়াঁর বৈধতা আমার আছে!সো বেশি পক পক করবেনা।
“হাহ..!বৈধতা কি ব…
ঈশার আর কোন কথা না শুনে ঈশান উলটো দিকে হাটা শুরু করে।এই মেয়ে যে তর্কবাজ তা ঈশান ভালো করেই যানে।
বিয়ের সকল আচার-অনুষ্ঠান শেষে সবাই সবার নিজ নিজ বাড়িতে আবারো ফিরে আসে।বেশ কিছুদিন অনু ঈশার কলেজ মিস হয়েছে তাই তারা সিধান্ত নেয় আজ কলেজ যাবে।কলেজের সব ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে একে একে দুটো গাড়ি অনু ঈশার সামনে থামে। দুজনে দুজনের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে।দুটো গাড়ি থেকেই ঈশান আর রাসেল নামে।
” বাহ বাহ আমাদের ঈশা রানি কবে থেকে এতো ভালো হয়ে গেছে। একটা ক্লাস ও ফাঁকি না দিয়ে আজ সব ক্লাস মন দিয়ে করেছে।আমি সত্যি খুশি হয়েছি আজ(মুচকি হেসে ঈশান)
“পথ আটকালেন কেন।রাস্তা ঘাটেও কি আপনার গুন্ডামির টর্চার আমাকে সহ্য করতে হবে?
” দূর ভালো কথা বললেও তুমি খারাপ মাইন্ডে নাও ভাল্লাগে না আমার।
“আপনার ভালো না লাগলে সামনে থেকে সরুন আর আমাকেও যেতে দিন।
” নাহ আর একা যেতে পারবেনা এখন থেকে নতুন রুলস, আসবে অনুর সাথে যাবে আমার সাথে..!
“মানে(অবাক হয়ে)
“মানে কলেজে আসবে শালিক পাখির সাথে কিন্তু যাওয়ার সময় আমার সাথে যাবে তুমি আর শালিক পাখির সাথে যাবে রাসেল…বুঝলে কিছু..!
ঈশা কাদো কাদো মুখে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে।রাসেল বলে,
” আরে ভয় পেয়না ভা…মানে তোমাদের রাস্তার গলির মুখেই আবার তোমাদের নামিয়ে দেবো দুজনে একসাথে বাড়িতে ডুকবে তবে কেউ সন্দেহ করবেনা।
অনু এবার বিরক্ত হয়ে ঈশানের দিকে তাকিয়ে আছে নিত্যনতুন এইসব অত্যাচারে সে আর পেরে উঠছে না নিজের স্বাধীন লাইফ বলে কিচ্ছু নেই নাকি। অনু সিধন্ত নেয় যাবে সে এবার বুঝিয়ে ছাড়বে অনু কি জিনিস।অনু ঈশার হাত টেনে বলে,
“ঈশা চল আমরা যাবো!
ঈশা চোখ গরম করে তার দিকে তাকালে অনু বলে,
” সমস্যা কি একটু ঘুরতেই তো যাবো। চল ফ্রিতে ঘুরে আসি। ঈশান ভাইয়া আমি ঠিক বলেছিনা।
“আরে বাহ শালিক পাখির মাথায় তবে বুদ্ধি এসেছে।রাসেল যাও শালিক পাখিকে তোমার সাথে নিয়ে যাও।আর ঈশু আমার সাথে এসো।
ঈশার মন চাইছে চিৎকার দিয়ে মাঝ রাস্তায় কাদঁতে, কি হচ্ছে এইসব।
ঈশা গাড়িতে বসে পরে আর ঈশান ড্রাইভিং করা শুরু করে দেয়।শুরু হয়ে যায় ঈশানের একের পর এক ঈশাকে রাগানো কথা বার্তা।
” আচ্ছা আমরা এখন কোথায় যাবো…!(ঈশা)
“পার্কের দিক টায় চলো রাসেল দেখি ওইদিকটায় গেলো।
পার্কের দিকটায় দুপুরের সময়ের কারনে মানুষ জন কম।শুধু কয়েকটা স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা আড্ডা দিচ্ছে।
রাসেল অনুর পাশে পাশেই হাটছে।একটা ঝাল মুড়ির স্টল দেখে বায়না শুরু করে দেয় সে ঝাল মুড়ি খাবে।সঙ্গে সঙ্গে রাসেলের চোখ মুখ কুচকে যায়।
” এগুলো কি সাস্থ্যসম্মত?
“এই এতো কথা বলবেন না তো খেলে তো আর মরে যাবো না।
অনু দ্রুত স্টলের দিকে হাটা ধরে পেছন পেছন রাসেল।
” আংকের দুই ফ্লেট ঝালমুড়ি সাথে কাচাঁমরিচ যেন বেশি থাকে…. বেশি বুঝেছেন আংকেল মানে একদম বেশি..!
“আপনি দুইটা অর্ডাল করলেন কেন? আপনি খান আমি ফাস্ট ফুড খাইনা আর এইসব ঝাল আমার আর ঈশানের একদম সহ্য হয় না। আমরা তো ভয়েল করা ফুড খাই।
” ছিহহহহ ওয়াক…!?
“কি হলো কি সমস্যা!
” তেল মশলা ছাড়া খাওয়ার কোন মজা আছে। এইসব অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বেচে আছেন কি করে।
অনুর ঝাল মুড়ি দুইটার এগিয়ে দেয় লোকটা। অনু এক প্লেট রাসেলের হাতে দিয়ে বলে,
“নিন ট্রাই করুন হেব্বি টেস্ট কিন্তু..!
” ন..না আমি খাবো না।
“নিতে বলেছি নিন(ধমক সুরে)
রাসেল যে কোন গ্যাড়াকলে আটকে গেছে সে বুঝতে পারছেনা।দূর থেকে ঈশানকে দেখতে পেয়ে ঈশান কে ডাক দেয় ঈশান ও তাদের দিকে এগিয়ে আসে।ঝাল মুড়ি দেখেই লাফিয়ে উঠে ঈশা।
” আমি ঝাল মুড়ি খাবো।
“হোয়াট..?ঈশা এইসব একদম খাবেনা।এগুলো কিন্তু সাস্থ্যর জন্য খারাপ…(রেগে)
” এই চুপ থাকুন তো।দাড়ান , আজকে আপনি ও খাবেন আর দেখবেন কত মজা।
“আংকেল দুইটা ঝাল মুড়ি দিন একদম ঝাল বেশি দিয়ে….
” এই কে খাবে ঝাল মুড়ি আমি ঝাল খাই না।কিরে রাসেল তোর হাতে ঝাল মুড়ি কেন।
“মিস অনু খেতে বলেছে..! (অসহায় মুখ করে)
” ফেল হাত থেকে এগুলো তুই যানিস না এইসব নিষিদ্ধ।
“এই খবরদার ফেলবেন না বলে দিচ্ছি(চোখ রাঙ্গিয়ে অনু)
রাসেল বাধ্যে ছেলের মতো মুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে থাকে।
ঈশা ঈশানের দুজনের টা চলে এলে ঈশা ঈশানের হাতে এক প্লেট ধরিয়ে দেয়।
” নিন এবারের মতো টেস্ট করুন।
ঈশা আর অনু অলরেডি খাওয়া শুরু করে দিয়েছে। তাদের এতো মরিচ খাওয়ার স্টাইল দেখে ঈশান আর রাসেল ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে।
“কি হলো মুখে নিচ্ছেন না কেন আপনারা(ধমক দিয়ে ঈশা)
ঈশা রাসেল দুজনেই একটু করে মুখে নেয় কিন্তু একবার চাবানোর সাথে সাথে কান দিয়ে গরম ধৌয়া উঠতে শুরু করে।এতো ঝাল ঈশা অনু কি করে খেলো।এরা কি রাক্ষসি নাকি।মাই গড মুখের ভেতর টায় যেন কেউ আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
রাসেল আর ঈশানের ছট ফট দেখে অনু ঈশার হাত টেনে এগিয়ে গিয়ে বলে,
” আর ঘুরাতে আনবেন? আর শর্ত জুড়ে দেবেন এবারের মতো শাস্তি দিয়ে দিলাম।বিদেশের সাহেব বাবুরা ঝাল খেতে পারেনা..!আমি বাঙ্গালি মাছে ভাতে ভাঙ্গালি দরকার পড়লে মাছের কাটা তোদের গলায় বেধে শাস্তি দেবো। এসেছিস এই অনুকে আর তার কলিজাকে থ্রেট দিতে। শুন আমরা যাচ্ছি বিলটা দিয়ে দিস(রাগি কন্ঠে)
ঈশা ড্যাব ড্যাব করে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে।অনু ঈশাকে নিয়ে অনেকটা দূরে চলে গেছে।ঈশান চিৎকার দিয়ে বলে,
“শালিক পাখি তোমার ডানা ছেটে দেবো মনে রেখো(দাতে দাত চেপে)রাসেলের বাচ্চা পানি দে তাড়াতাড়ি।
রাসেল ভাবতে থাকে এই ডেঞ্জারাস মেয়েকে নিয়ে সে ঘর বাধার সপ্ন দেখেছিল।এতো দুই দিনেই রাসেলকে জানে মেরে দেবে।
#চলবে…..
?♀️অনু এটা কি করলো ঈশানকে রাগিয়ে দিল।এবার অনু বেচারির কি হব্বে☹️।
অনুর সম্পর্কে দুই লাইন বলে যাও…!
?পর্বটা কেমন হয়েছে যানতে চাই…!