#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:২২
আদ্রিক নাতাশাকে না চিনলেও নাতাশা ঠিক আদ্রিককে চিনতে পেরেছে এও মনে পড়েছে এই ছেলেকেই স্তব্ধ মে’রেছিল এই অপরাধে স্তব্ধ নিজের বাবার হাতে থাপ্পড় খেয়েছিল। আদ্রিক নাতাশাকে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে দেখছে। নাতাশা স্মার্ট সুন্দরী মেয়ে তবে সৌন্দর্যের মূল উৎস মেকআপ।
রুশি গদগদ হয়ে বলল,
– এ হচ্ছে আমার বড় মেয়ে নাতাশা অনার্স শেষ করেছে কিছুদিন আগে।
মিসেস খাঁন মুখে একটা রসগোল্লা পুরে দিয়ে বললেন,
– মেয়ে দেখতে মাশাল্লাহ।
রুশি মেকি হাসলেন মনে মনে বলতে লাগলেন,’ওই শিকদার পরিবারকে দেখিয়ে দিব স্তব্ধের থেকেও ভালো ছেলের সঙ্গে আমি আমার মেয়ের বিয়ে দিচ্ছি।’
মিসেস খাঁন আরও কিছু প্রশ্ন করলেন নাতাশাকে। নাতাশা সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিল, মিসেস খাঁনের মুখ দেখে বুঝা যাচ্ছে নাতাশাকে তার পছন্দ হয়েছে মি. খাঁন মিসেসের মতামতের উপর নির্ভরশীল। মিসেস খাঁন রুশিকে বললেন,
– মেয়ে পছন্দ হয়েছে তবে এখনি পাকা কথা দিয়ে যেতে পারছি না কালকের মধ্যে জানিয়ে দিব।
রুশি ছটফট করতে করতে বললেন,
– জ্বি আচ্ছা।
সবাই বিদায় নিয়ে চলে গেল আদ্রিককে আলাদাভাবে নাতাশার সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছিল কিন্তু আদ্রিক কথা বলতে ইচ্ছুক নয়। সবাই যেতেই নাতাশা মাথা থেকে ঘোমটা নামিয়ে মায়ের দিকে কঠোর দৃষ্টিতে তাকিয়ে শক্ত কন্ঠে বলল,
– মা তুমি সব জেনেও আদ্রিকের সঙ্গে আমার বিয়ে দিতে চাইছো?
– বিয়ে কোথায় দিতে চাইছি? সবে তো দেখে গেল।
– এরপর বিয়েও পাকাপাকি হয়ে যাবে তুমি জানো না স্তব্ধ একে মে’রেছিল।
– জানি বলেই তো চাই তোর আর আদ্রিকের বিয়ে হোক তারপর শোধ নিব রাতুল শিকদার এবং স্তব্ধের উপর ।
– কি বলো এসব? স্তব্ধকে না তুমি ছেলের চোখে দেখো?
– আমি চেয়েছিলাম তোর আর স্তব্ধের বিয়ে দিতে তাই ওসব বলেছি তবে এর একটা শোধ তুলতেই হবে আমাদের এত বড় অপমান।
– আর যাই করো না কেন স্তব্ধের কোনো ক্ষতি করবে না আর আমি আদ্রিককেও বিয়ে করতে পারবো না তুমি জানো তো আমি স্তব্ধকে ভালোবাসি।
রুশি ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়লেন। নাতাশা চলে যেতেই মনে মনে বললেন,’কার ক্ষতি হবে আর হবে না সময় বলে দিবে।
শিরিন আজ শিকদার বাড়িতে এসেছে মূলত স্নিগ্ধতার জোরাজুরিতে।শিরিন আসবে জেনে তিহান নিজে গিয়ে শিরিনকে নিয়ে এসেছে।আজ নিজ হাতে অনেক পদ রান্না করেছে স্নিগ্ধতা,শিরিন স্নিগ্ধতাকে টেনে ঘরে নিয়ে গিয়ে বলল,
– কতদিন পর দেখা হলো কোথায় গল্প করবি তা না করে রান্নাঘরে বসে আছিস।
– তোর জন্যই তো রান্না করছি।
– করতে হবে না আমার কাছে বসে থাক।
– আচ্ছা বসলাম।
– তোর হাজব্যান্ড কোথায়?
– সকাল সকাল কোথায় যেন বের হলো।
– ওহ।
– আমার হাজব্যান্ড তোর দুলাভাই হয় বুঝলি।
– হুম বুঝেছি।
– তিহান ভাইয়ার সঙ্গে তোর কি চলছে রে সত্যি করে বলবি।
শিরিন চোখগুলো বড় বড় করে,
– ওই তালগাছের সঙ্গে আমার কি চলবে!
– তাহলে এত ঝগড়া করিস কেন?
– ওই ব্যাটা আমার নামে তোর কাছে আজেবাজে কথা বানিয়ে বলেছে তাই না ?
– তুই যা ভাবছিস তা নয়।
– আমি তো তাই ভাবছি, শোন তোর দেবর হচ্ছে অসভ্য শুরুর দিন থেকে আমাকে জ্বালাচ্ছে ইচ্ছে করে দু’বার ধাক্কা দিয়েছে আবার পিচ্চিও বলেছে তুই বল আমাকে কোন দিক দিয়ে পিচ্চি মনে হয়।
– থাক রাগ করিস না।
– ওই ব্যাটারে দেখলেই রাগ উঠে।
দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষ শিরিন এবার চলে যেতে চেয়েছিল কিন্তু স্নিগ্ধতা দেয়নি। রাতুল শিকদার বাড়িতে ছিলেন না স্তব্ধ অফিসে যায়নি আবার বাড়িতেও নেই। সবার সাথে শিরিনের পরিচয় হয়ে গেছে তিহানও আজ বাড়িতেই ছিল, শিরিন তিহানকে দেখেও না দেখার ভান করে ছিল।
স্নিগ্ধতা চা বানাতে গেছে শিরিন নিষেধ করার পরেও শুনেনি। শিরিন উপরতলা ঘুরে দেখছে, একটা ঘরের সামনে যেতেই পুরুষ কন্ঠ থেকে গুনগুন গান শুনতে পেয়ে ঘরে উঁকি দিতেই লজ্জা পেয়ে গেল দ্রুত ওখান থেকে সরে গেল।তিহান সবেমাত্র কোমড়ে টাওয়াল জড়িয়ে গোসল করে বের হয়েছিল আর তখনি শিরিন তাকে এই অবস্থায় দেখে ফেলে তিহানও শিরিনকে লক্ষ্য করেছে।
তিহানের লজ্জা লাগছে দ্রুত জামা-কাপড় পড়ে নিয়েছে।স্তব্ধ শিষ বাজাতে বাজাতে ঘরে প্রবেশ করতেই শিরিনকে বিছানার একপাশে বসে থাকতে দেখে বেশ অবাক হলো।ব্রু জোড়া কুঁচকে বলল,
– বউয়ের বদলে বউয়ের বান্ধবী এখানে কেন!
শিরিন বাঁকা হেসে জবাব দিল,
– কেন আপনি খুশি হননি দুলাভাই?
– উহু তোমাকে দেখলেই আমার বুকটা ছেৎ করে উঠে।
– কেন দুলাভাই?
– তুমি আমার বউকে কু বুদ্ধি দেও তোমার জন্য আমার বউ আমাকে অত্যাচার করে।
শিরিনের হাসি পাচ্ছে নিজের হাসি দমিয়ে রেখে বলল,
– এবার বুঝতে পারলেন তো স্নিগ্ধা আমায় বেশি ভালোবাসে।
– উহু আমাকে বেশি ভালোবাসে।
– না আমাকে।
– হুস লেসবিয়ান।
শিরিন রেগে গিয়ে বলল,
– লেসবিয়ান কেন বললেন?
– মেয়ে হয়েও আমার বউয়ের দিকে নজর দেও তাই।
শিরিন ভরকে গেল স্নিগ্ধতা এসে দু’জনের ঝগড়া দেখে বলল,
– কি হয়েছে?
শিরিন মুখ ভার করে বলল,
– তোর জামাই আমাকে লেসবিয়ান বলেছে।
স্তব্ধ ভাবলেশহীন ভাবে বলল,
– ঠিকই তো বলেছি।
– দেখলি স্নিগ্ধা আবার।
– ওকে লেসবিয়ান কেন বললেন?(স্নিগ্ধতা)
– তোমার দিকে নজর দেয়।
স্নিগ্ধতা হা করে তাকিয়ে আছে কি বলবে বুঝতে পারছে না হাসিও আসছে। শিরিন বলল,
– এবার থেকে আপনার বউয়ের দিকে বেশি বেশি নজর দিব।
বলেই শিরিন আর স্নিগ্ধতা ঘর থেকে বের হতে নিচ্ছিল তখনি স্তব্ধ বলল,
– এই শালী শুনো আর কোনো কু বুদ্ধি আমার বউয়ের কানে দিও না আমার সংসারে কিছু হলে তোমার নামে মামলা করবো।
কথা শেষ করে টাওয়াল নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল স্তব্ধ।স্নিগ্ধতা আর শিরিন দু’জনে ফিক করে হেসে দিল। শিরিন চলে যাওয়ার জন্য উদ্যত হলো সবাই থাকতে বলেছিল আজকের রাতটা কিন্তু শিরিন বুঝিয়ে না করে দিয়েছে।
____________
রাতে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল শিরিন এমন সময় একটা কল আসলো রিসিভ করতেই ওপরপাশ থেকে তিহান ঝাঁঝালো কন্ঠে বলল,
– আমাকে তো খুব ম্যানারস শেখান এখন আপনার ম্যানারস কোথায় গেছে মিস ঝগড়ুটে?
– আমি আবার কি করলাম?
– জানেন না নাকি না জানার নাটক করছেন।
– আচ্ছা আপনি যে পাগল হয়ে গেছেন বাড়িতে কেউ জানে?
– মিস ঝগড়ুটে আপনি কিন্তু আবার ঝগড়া করতে চাইছেন।
– ফোন কে দিয়েছে?
তিহান এবার থতমত খেয়ে গেল গলার স্বর নিচু করে বলল,
– আমি দিয়েছি।
– কেন দিয়েছেন?
– আপনি তখন এক অবলা পুরুষের ঘরে গিয়ে তাকে বিভৎস রূপে কেন দেখেছেন?
তখনকার কথা মনে পড়তেই শিরিনের অস্বস্তি লাগছে। তিহান কোনো উত্তর না পেয়ে আবারো বলল,
– কি হলো এখন চুপ কেন?
– আপনি ওই অবেলায় কেন গোসল করেছেন? গোসল করেছেন ভালো কথা ঘরের দরজা আটকে পোশাক পরতে পারলেন না?
– এখন উল্টো আমার দোষ দেওয়া হচ্ছে?
– অবশ্যই সব দোষ আপনার আপনি দরজা লাগালে এমন সমস্যা হতো না।
– এখন আমায় বিয়ে করবে কে? সব তো আপনি দেখে নিলেন।
শিরিন মুখ কাচুমাচু করে বলল,
– ওভার এক্টিং বন্ধ করুন তেমন কিছুই আমি দেখিনি।
– যা দেখেছেন সেটাই আমার জন্য লজ্জাজনক এখন কে বিয়ে করবে জবাব দিন।
– বিয়ে পাগল ছেলে।
বলেই কল কেটে দিল শিরিন হাসতে হাসতে শুয়ে পড়লো।
.
.
.
খাঁন পরিবার থেকে রুশিকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ছেলের বউ হিসেবে নাতাশাকে তাদের পছন্দ হয়েছে। ওরা চায় আদ্রিক আর নাতাশা আলাদা ভাবে কথা বলুক রুশি সাথে সাথে রাজি হয়ে গেছে।
নাতাশা আর নিতু দু’জনে ঘরে দুপাশে বসে আছে নিজেদের মতো।রুশি মেয়ের কাছে বসে বললেন,
– আজ সন্ধ্যায় আদ্রিকের সঙ্গে তুই দেখা করতে যাবি।
– অসম্ভব।
– অতীতের কথা ভুলে যা নতুনভাবে জীবন শুরু করতে হবে নিজেকে ভালো রাখতে হবে।
– তুমি যদি অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করতে মানা যেত কিন্তু আদ্রিক!
– আদ্রিক খারাপ কিসের?
– স্তব্ধ আদ্রিককে মে’রেছে এমনি এমনি তো আর স্তব্ধ এমনটা করবে না।
– আমি যা বলছি তাই করবি আজ তুই দেখা করবি।
সন্ধ্যায় একটি রেস্টুরেন্টে আদ্রিক নাতাশা দেখা করতে এসেছে দু’জন দু’জনের মুখোমুখি বসে আছে। আদ্রিক ব্রু কিঞ্চিৎ কুঁচকে নাতাশাকে দেখছে, নাতাশার ভেতরে অস্থিরতা কাজ করছে। এবার আদ্রিক মুখ খুলল,
– এখানে কি বসে থাকতে এসেছ? কথা বলছো না কেন?
নাতাশা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বলল,
– আমি আপনাকে বিয়ে করতে পারবো না কারণ আমি একজনকে ভালোবাসি।
আদ্রিকের কোনো ভাবান্তর নেই মুখে ঝুলে আছে বিভৎস হাসি এতে নাতাশা চরম অবাক হয়েছে।আদ্রিক বলল,
– স্তব্ধকে ভালোবাসো, আই এম রাইট?
– আপনি জানলেন কিভাবে?
– আমি অনেক কিছুই জানি তবে স্তব্ধ বিবাহিত তোমাকে পাত্তাও দেয় না তোমাদের তো ওই বাড়িতে যেতেও নিষেধ করেছে তাই না।
– তবুও আমি স্তব্ধকে চাই আপনি বাড়িতে গিয়ে বলে দিবেন আমায় বিয়ে করবেন না।
– কোনকিছু করার আগে ভেবে করতে হয়।
– যেমন?
– স্তব্ধকে পাওয়ার জন্য তোমাকে আমি হেল্প করতে পারি।
– কিভাবে?
– সেটা তোমাকে ভাবতে হবে না বিয়ে আমাদের ঠিক হবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর হবে না তুমি স্তব্ধকে পেয়ে যাবে তবে আমাকেও হেল্প করতে হবে।
– কি হেল্প করতে হবে বলুন আমি সব করতে রাজি।
– স্নিগ্ধতাকে আমার চাই।
– কি!
– চমকে যাওয়ার দরকার নেই যা বলছি তা করতে পারলে বলো।
– স্নিগ্ধতাকে আপনি চেনেন?
– না চিনলে চাইলাম কেন?
– কিভাবে স্নিগ্ধতাকে আপনার কাছে এনে দিব?
– ওসব তোমাকে ভাবতে হবে না ভাবনা বুদ্ধি আমার কাজ তোমার বলো রাজি?
– হুম রাজি।
নাতাশা বাড়িতে এসে বিয়ের জন্য রাজি হয়ে গেল তবে মা’কে বলে দিয়েছি এত তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে পারবে না একটু সময় লাগবে রুশি কিছু না ভেবেই রাজি হয়ে গেলেন।
_____________
নুহাশ দেশে ফিরেছে কয়েকদিন আগে আজ আরিয়া, নুহাশ নৌসিন শিকদার বাড়িতে আসছে যার জন্য অরিত্রি শিকদার আজ নিজে রান্নাঘরে ঢুকেছে রান্না করতে স্নিগ্ধতা হাতে হাতে সাহায্য করছে।
বেলা এগারোটার দিকে আরিয়াদের গাড়ি বাড়ির নিচে থামে।তারা ভেতরে প্রবেশ করলো, অরিত্রি শিকদার হেসে নুহাশের সঙ্গে কথা বলছেন। স্নিগ্ধতার সঙ্গেও পরিচয় হয়ে গেছে এতক্ষণে,নৌসিন স্তব্ধের ঘরে বসে দুষ্টুমি করছে আর স্নিগ্ধতা সেই দুষ্টুমি দেখছে।স্তব্ধ নুহাশকে দেখেই উৎফুল্ল হয়ে বলল,
– আরে দুলাভাই এতদিন পর?
– দেশের বাইরে ছিলাম দেশে ব্যাক করতেই তোমাদের দেখতে চলে এলাম।
– ভালো করেছ অনেক মিস করছিলাম তোমায়।
– নাটক বাদ দাও এখন তুমি বউ পেয়েছ বউকে মিস করতে করতেই তো তোমার সময় শেষ।
স্তব্ধ তিক্ষ্ম দৃষ্টিতে আরিয়ার দিকে তাকালো,আরিয়া শুকনো হাসলো।স্তব্ধ নিজের চুলগুলোয় হাত বুলিয়ে বলল,
– বউকে সবাই মিস করে তুমি কি কম করেছ?
নুহাশ ভরকে গিয়ে বলল,
– তোমার মতো করি না।
– সব দেখা আছে, সারারাত ধরে আপুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছে কে?
– শালা মাফ চাই তোমার কাছে আর আমার মান সম্মান ডুবিও না।
– ঠিক আছে পরে কথা হবে।
স্তব্ধ ঘরে গিয়ে বিছানায় লম্বা হয়ে শুয়ে পড়লো স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে বলল,
– এমন একটা পরী লাগবে তোমার?
স্নিগ্ধতা অবুঝের মতো স্তব্ধের দিকে তাকালো স্তব্ধ দৃষ্টি বুঝতে পেরে বলল,
– না মানে তুমি চাইলে আজ থেকেই এমন একটা পরী আনার কার্যক্রম শুরু করে দিতে পারি।
– সারাক্ষণ ঠোঁটের মধ্যে পঁচা গন্ধ কথা নিয়ে ঘুরেন মুখে কিছু আটকায় না?
– পঁচা কথা নয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা কথা।
– চুপ থাকেন।
– তুমি যেই লজ্জাবতী রমনী এখন যদি আমি চুপ থাকি তাহলে আর তুমি পরী পাবে না।
– আপনার সঙ্গে কথা বলা মানে লজ্জা পাওয়া।
স্নিগ্ধতা নৌসিনকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।স্নিগ্ধতার কান্ড দেখে স্তব্ধ হাসতে লাগলো।
চলবে……..
[কোনো চরিত্র চিনতে অসুবিধা হলে পূর্ববর্তী পর্বগুলো পড়ে আসবেন আশা করি অসুবিধা আর থাকবে না। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]