স্তব্ধের স্নিগ্ধতা পর্ব ২৩

0
903

#স্তব্ধের_স্নিগ্ধতা
#মাশফিয়াত_সুইটি(ছদ্মনাম)
পর্ব:২৩

বিছানায় শুয়ে পা দুলাচ্ছে স্তব্ধ, দু’দিন পর পর অফিস মিস দেওয়া অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।এই অভ্যাসের কারণে রাতুল শিকদারের কাছে প্রতিনিয়ত বকাঝকাও খায় কিন্তু অভ্যাস আর বদলায় না।স্নিগ্ধতাকে নাস্তা করার সময় দেখেছিল তারপর আর দেখতে পাচ্ছে না।স্নিগ্ধতা ইচ্ছে করেই ঘরে আসছে না, ঘরে আসলেই আবার কোন লজ্জায় পড়তে হবে কে জানে।

স্তব্ধ এবার গলা খাঁকারি দিয়ে ডাক দিলো,
– স্নিগ্ধ….. এদিকে আসো।

স্নিগ্ধতা শাশুড়ি এবং দিদানের সঙ্গে বসে টিভি দেখছিল স্তব্ধের ডাক শুনতেই কলিজা শুকিয়ে গেল।অরিত্রি শিকদার বললেন,
– স্তব্ধ ডাকছে দেখে আসো কি দরকার।

– যাচ্ছি মা।

স্নিগ্ধতা স্তব্ধকে মনে মনে গালি দিতে দিতে ঘরের দিকে ছুটলো। এখন বাড়িতে স্নিগ্ধতার ভালোই সময় কাটে শাশুড়ি বউমার অনেক মিল হয়েছে।

স্নিগ্ধতা ঘরে প্রবেশ করে স্তব্ধকে শুয়ে থাকতে দেখে বিরক্ত হলো বিরক্ত প্রকাশ না করে বলল,

– ডাকলেন কেন?

– ঘরে জামাই রেখে পাষান হৃদয় নিয়ে বাইরে ঘুরঘুর করলে ডাকতে তো হবেই।

– আমার হৃদয় পাষান?

– হুম এই যে আজ আমি অফিসে গেলাম না তোমার তো উচিত ছিল আমার সামনে বসে থাকার আর তুমি কিনা মম আর দিদানের সঙ্গে টিভি দেখো।

– অযথা বসে থাকতে ভালো লাগে না।

– উফ আমি কি তোমায় অযথা বসিয়ে রাখতাম নাকি?

– কি করাতেন?

– রোমাঞ্চ করতাম।

– কেন ডেকেছেন তা বলুন।

– রেডি হয়ে নাও আমরা বের হব।

– কোথায়?

– প্রশ্ন করো না গেলেই দেখতে পাবে।

– মা’কে বলে আসি।

– কাউকে বলতে হবে না তুমি দ্রুত রেডি হয়ে আসো।

স্নিগ্ধতা মাথা নাড়িয়ে আলমারির কাছে যেতেই স্তব্ধ আবারো পেছন থেকে ডেকে বলল,
– ভেতরে দেখো একটা প্যাকেটে বোরকা হিজাব আছে পরে নাও।

স্নিগ্ধতা বোরকা হিজাব বের করে পরতে লাগলো স্তব্ধ নিজের পোশাক নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেল। কিছুক্ষণ পর স্তব্ধ বের হলো কালো জিন্স সাদা শার্ট পরে।আয়নার সামনে গিয়ে চুল গুলো ঠিক করে নিয়ে শার্টের উপরে একটা কালচে কোট পরলো।স্নিগ্ধতা রেডি হয়ে বিছানায় বসে স্তব্ধকে দেখছে, স্তব্ধ ওয়ালেট আর মোবাইল হাতে নিয়ে স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে বলল,

– চলো।

স্তব্ধ আর স্নিগ্ধতা দু’জনেই বেরিয়ে গেল। গাড়ি ড্রাইভার চালাচ্ছে কিছুক্ষণ পর একটা ভার্সিটির সামনে গাড়িটা থামলো,স্তব্ধ নেমে গেল সাথে স্নিগ্ধতাও নামলো।স্নিগ্ধতার মনে প্রশ্ন ঘুরছে প্রশ্নগুলো দমিয়ে রেখে স্তব্ধের সঙ্গে সামনের দিকে চলতে লাগলো। স্তব্ধের হাতে একটা ফাইল ছিল যা এতক্ষণ স্নিগ্ধতা খেয়াল করেনি সবকিছু শেষে স্নিগ্ধতার সাইন নিতে যাবে তখনি স্নিগ্ধতা প্রশ্ন করল,

– এগুলো?

– তোমার মাস্টার্সে ভর্তির কাগজপত্র।

স্নিগ্ধতা বেশ অবাক হলো স্তব্ধ মৃদু হেসে বলল,
– আগে সাইন করো।

স্নিগ্ধতা সাইন করতেই দু’জনে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে গেল।স্তব্ধ বলল,
– তোমার তো ইচ্ছে ছিল মাস্টার্স কমপ্লিট করার আমি চাই তোমার ইচ্ছে পূরণ হোক এছাড়া বাড়িতেও বোরিং সময় পার করতে হয় এর থেকে ভার্সিটি আসলে পড়াশোনায় থাকলে ভালো লাগবে।

– কিন্তু..

– কোনো কিন্তু নয়, ফুচকা খাবে?

স্নিগ্ধতা আশেপাশে তাকাতেই একটা ফুচকা ওয়ালাকে দেখে মুচকি হেসে মাথা ঝাঁকালো।স্তব্ধ জানে স্নিগ্ধতার ফুচকা পছন্দ তাই আজ নিজেও স্নিগ্ধতার খুশির জন্য রাস্তায় দাড়িয়ে ফুচকা খেয়েছে।
____________

‘আপনার সাহস হয় কিভাবে আমাকে রোজ রোজ গাঁ জ্বালানো মেসেজ দেওয়ার?’

কলেজ শেষে রাস্তায় দাড়িয়ে তিহানের দিকে আঙ্গুল
তাক করে ধমকিয়ে কথা বলছে শিরিন।শিরিনের রাগমিশ্রিত মুখ দেখে তিহান একটা ঢুক গিললো। শিরিন আবারো ধমকিয়ে বলল,

– কথা বলছেন না কেন? সামনাসামনি ঝগড়ায় পারেন না বলে মেসেজ করে ঝগড়া করেন?

– ঝগড়া কোথায় করলাম?

– তাহলে কি আমায় লাইন মা’রার চেষ্টা করছেন?

– উহু আমি দুষ্টুমি করেছি, আপনাকে রাগানোর জন্য মেসেজ গুলো দিয়েছি।

– এখন রেগে একটা ঘুষি মা’রি?

– না না এ করবেন না এখনও আমার বিয়ে করা বাকি আপনাকে আর কখনও মেসেজ দিব না ঝগড়াও করবো না এমনকি দেখা হলে কথাও বলবো না প্রমিস।

শিরিনের রাগটা আরও বেড়ে গেল তিহানের কলার চেপে ধরে বলল,
– কেন মেসেজ দিবেন না কথা বলবেন না হাত ভেঙ্গে গলায় ঝুলিয়ে দিব।

তিহান ভিতু কন্ঠে বলল,
– এমন করছেন কেন? সবাই দেখছে।

– আপনি জানেন না কেন এমন করছি?

– আমি তো সমস্যার সমাধান করে দিলাম।

– এটা সমস্যার সমাধান নয়।

– ওহ আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না আমার কথা? আমি প্রমিস করলে প্রমিস রাখি।

শিরিন কলার ছেড়ে দিয়ে তিহানের চোখের দিকে তাকিয়ে মিনমিনে গলায় বলল,
– অথচ একবারও বললেন না আমার জন্য আপনার ভেতরে অনুভূতি বিচরণ করছে আমাকে আপনি পছন্দ করেন কি সুন্দর করে বলে দিলেন আর কথা বলবেন না মেসেজ করবেন না।

তিহান অপরাধী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে শিরিনের চোখেও নিজের জন্য ভালোলাগা খুঁজে পেয়েছে। শিরিন আর এক মুহূর্তও না দাড়িয়ে তিহানের সামনে থেকে চলে গেল।

তিহান শিরিনকে পছন্দ করে কিন্তু সাহসের অভাবে বলতে পারছে না যদি রাগারাগী করে কিংবা স্নিগ্ধতাকে বলে দেয় আর তখন যদি স্নিগ্ধতা খারাপ ভাবে। আজ শিরিনের চোখের ভাষা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে তিহান।
.
.
.
তিহান চুপচাপ বসে আছে কতকিছু ভাবছে।অরিত্রি শিকদার তিহানের ঘরে এসে তিহানকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে জিজ্ঞেস করলেন,

– কি হয়েছে তোর? এমন মনমরা কেন?

– আমি বিয়ে করবো বড় আম্মু।

অরিত্রি শিকদার চমকে গেলেন।অরিত্রি শিকদারের মুখের অবয়ব দেখে জিহ্বায় কামড় দিলো তিহান, অরিত্রি শিকদার বললেন,

– ভালো সিদ্ধান্ত তো মেয়ে দেখা তাহলে শুরু করি?

তিহান এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
– মেয়ে দেখতে হবে না কষ্ট করে মেয়ে সামনেই আছে।

অরিত্রি শিকদার চারিদিকে চোখ বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
– কই মেয়ে?

– আরে বড় আম্মু এই সামনের কথা বলিনি আমি বলতে চাইছি মেয়েকে তোমরা চেনো।

– কে?

– ভাবীর বান্ধবী শিরিন।

– কিহহ!

– প্লিজ বড় আম্মু আমার ক্ষেত্রে দজ্জাল হয়ো না শিরিনের বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাও।

– তুই আমাকে দজ্জাল ভাবিস!আজ তোর বড় আব্বু আসুক কালই শিরিনদের বাড়ি যাব আমি।

– লাভ ইউ বড় আম্মু।
____________

বাড়িতে এসে স্তব্ধ-স্নিগ্ধতা তিহান আর শিরিনের ব্যাপারটা জানতে পেরেছে।এই নিয়ে স্তব্ধ তিহানের সঙ্গে অনেক মজা করেছে। রাতে রাতুল শিকদারকেও অরিত্রি শিকদার জানিয়েছে, রাতুল শিকদার রাজি হয়ে গেছেন আগামীকাল শিরিনদের বাড়িতে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

স্তব্ধ স্নিগ্ধতার দিকে তাকিয়ে আছে, স্নিগ্ধতাকে দেখেই বুঝা যাচ্ছে সে অনেক খুশি।স্তব্ধ জিজ্ঞেস করল,

– আজকে এত খুশি কেন মহারানী?

– খুশি হব না আমরা দুই বান্ধবী এক বাড়িতে থাকবো একসঙ্গে সংসার করবো,জানেন ছোট বেলায় সবসময় বলতাম বিয়ে করলে দু’জনে এক বাড়ির দুই ভাইকেই বিয়ে করবো ছোটবেলার কথাটা যে সত্য হয়ে যাবে কে জানতো।

স্তব্ধ অসহায় কন্ঠে বলল,
– আমাদের দুই ভাইয়ের জীবনটা তেজপাতা হয়ে যাবে, জেনে বুঝে কেন যে খাল কেটে কুমির আনতে চাইছে তিহান?

– আপনি আমার বান্ধবীকে কুমির বললেন?

– উহু কুমির নয় ডায়নী তোমাকে আজেবাজে বুদ্ধি দেয়।

– ভালো হচ্ছে না কিন্তু।

– বান্ধবীর নামে কথা বললেই গায়ে লাগে আর জামাইয়ের নামে যখন বান্ধবী কথা বলে তখন গায়ে লাগে না?

– শিরিন মুটেও আপনার নামে কিছু বলে না।

– আমার জানা আছে হুহ।

– আপনার আর কি কি জানা আছে?

– তোমাকে বলবো কেন?

– কাকে বলবেন?

– কাউকে বলবো না আমার মনের ভেতর চাপিয়ে রাখব।

– রাখেন চাপিয়ে আমার জানার ইচ্ছে নেই।

বলেই রাগ দেখিয়ে অন্যপাশে ফিরে শুয়ে পড়লো স্নিগ্ধতা।স্তব্ধ পেছন থেকে শক্ত করে ধরে বলল,
– বউ তুমি রাগ করলেও সুন্দর লাগে হাসলেও সুন্দর লাগে তোমাকে ধরতেও ভালো লাগে আহা আমার পরী বউ।

– ছাড়ুন আমায়।

– তোমায় ছাড়লে ঘুমাবো কি করে?

– ঘুমাতে হবে না ছাড়ুন।

স্তব্ধ দুষ্টু হেসে বলল,
– তার মানে তুমি কি রোমাঞ্চ করতে চাইছো বউ?

স্নিগ্ধতা বুঝতে পারলো সে কি বলে ফেলেছে দ্রুত কিছুটা চেঁচিয়ে বলল,
– এই না না আমি মজা করলাম আপনি এভাবেই ঘুমান হি হি।

স্তব্ধ মুখ গোমড়া করে বলল,
– ওকেহ গুড নাইট।

স্নিগ্ধতা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে দোয়া দরুদ পড়ে ঘুমানোর জন্য চোখ বন্ধ করলো।

তিহান শিরিনের ছবি দেখছে আর মুচকি মুচকি হাসছে। এতদিন অনুভূতিকে পাত্তা দেয়নি কিন্তু আজ শিরিনের চোখে ধরা খেয়ে গেল।
______________

সকালে সবাই খাবার টেবিলে বসে নাস্তা করছে। আজ রাতুল শিকদার অফিসে যাবেন না স্তব্ধ অফিসে যাবে,স্নিগ্ধতা শিরিনকেও কলেজ থেকে ছুটি নিতে বলেছে, শিরিন প্রশ্ন করেছিল কিন্তু স্নিগ্ধতা আসল কারণটা বলেনি।

সকাল সকাল কলিং বেল বাজা শুরু হয়ে গেছে।সালেহা গিয়ে দরজা খুলে দিল,রুশি এবং নাতাশা ভেতরে প্রবেশ করতেই সবাই চমকে গেল,স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে নিয়ে নিজেদের ঘরের দিকে চলে গেল। রাতুল শিকদার কৌতুহল নিয়ে বললেন,

– তোমরা!

– আশা করেননি দুলাভাই?

– হঠাৎ করে এলে তাই একটু অবাক হলাম।

– নিজেদের মানুষ অযথা অভিমান করে সম্পর্ক বললেই তো শেষ হয়ে যায় না সম্পর্কগুলো ঠিক করতে এসেছি সাথে ভালো একটা খবরও নিয়ে এসেছি।

অরিত্রি শিকদার জিজ্ঞেস করলেন,
– কি খবর?

– নাতাশার বিয়ে ঠিক করেছি।

অরিত্রি শিকদার খুশি হলেন।যতই হোক বোন তো ছোট থেকে একসঙ্গে বড় হয়েছেন সুখ দুঃখের সঙ্গি ছিল এই বোন।অরিত্রি শিকদার ওদেরকে সোফায় বসতে দিয়ে বললেন,

– এ তো খুশির খবর কবে বিয়ে ছেলে কি করে?

– এখনও বিয়ের ডেট ফিক্সড হয়নি তবে তোমরা ছেলেকে চেনো।

– আমরা চিনি?

– হুম ছেলে হচ্ছে আদ্রিক খাঁন।

সবার মুখ চুপসে গেল।রুশি আবারো বলল,
– আদ্রিক ছেলে হিসেবে মন্দ নয় আমার মেয়ের জন্য সঠিক।

রাতুল শিকদার হেসে বললেন,
– হ্যা খারাপ না।

স্নিগ্ধতা বিছানায় পা দুলাতে দুলাতে স্তব্ধকে বলল,
– ঘরে নিয়ে আসলেন কেন? সবাই কি ভাববে?

স্তব্ধ অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে শার্টের বোতাম লাগাতে লাগাতে বলল,
– কেউ কিছু ভাববে না ওখানে থেকে তুমি কি করবে?

– এখানে থেকে আমি কি করবো?

– তাই তো দাড়াও তোমায় একটা কাজ দেই।

বলেই স্তব্ধ একটু ভেবে টাইটা স্নিগ্ধতার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,
– আমার টাই বেঁধে দাও।

– আমি কেন? আপনি নিজেই তো বাঁধতে পারেন।

– বাঁধতে পারি তো কি হয়েছে? বউ হিসেবে তোমার একটা দায়িত্ব আছে না নাও টাই বেঁধে দাও।

– বাঁধতে পারি না।

– আসো শিখিয়ে দেই।

অগ্যতা স্বত্বেও স্নিগ্ধতা স্তব্ধের সোজাসুজি দাড়ালো, স্তব্ধ স্নিগ্ধতাকে টাই বাঁধা শিখিয়ে দিয়ে বলল,
– দেখলে কত ইজি।

– হুম।

স্তব্ধ শার্টের উপর একটা কোট পরে স্নিগ্ধতার কপালে চুমু খেয়ে বের হতে যাবে তখনি তিহান দরজার কাছে এসে বলল,

– ভেতরে আসতে পারি কাপল?

– হুম আয়।

তিহান ভেতরে এসে বিছানার এক কোণে বসলো,স্তব্ধ জিজ্ঞেস করল,
– আন্টি এখনও আছে নাকি গেছে?

– আছে, জানিস নাতাশার বিয়ে ঠিক হয়েছে।

– ওহ।

– কার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছে সেটা তো শোন।

– বল।

– আদ্রিক খাঁনের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছে।

স্তব্ধ স্নিগ্ধতা দু’জনেই বিষ্মত হলো।স্তব্ধ ঠোঁটে হাসি রেখা টেনে বলল,
– এটা আরও ভালো খবর ওদের দু’জনকে অনেক মানাবে একেবারে পারফেক্ট কাপল।

বলেই স্তব্ধ বেরিয়ে গেল, স্তব্ধের কথায় তিহান হাসছে।

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here