#জোনাকিরা ভীড় করেছে
#পর্ব-১৭
মেঘলা ফ্রেশ হয়ে আমরিনের ঘরের কাছে এসে দেখলো দরজা এখনো বন্ধ। মেয়েটা বোধহয় একটু বেলা করে উঠে।মেঘলার ইচ্ছে হলো না ঘরে ফিরে যেতে।আড়ষ্টতা আবার যেন তাকে চেপে ধরেছে।গতরাতে তো এমন মনে হয়নি?আদিব যদি ঘুম থেকে উঠে পরে তাহলে ঘরের ভেতর সে বড্ড অসস্তিতে পরবে।মেঘলা ভেবে পেল না কি করবে।এ বাড়িতে কি সবাই দেরী করে উঠে?সে একটু রান্না ঘরের দিকে উঁকি মারলো।দিলারা বেগমকে দেখে হাসি ফুটলো মুখে।
আদিবের ঘুম ভেঙে গেছে অনেক আগেই কিন্তু সে চোখ খুলছে না।মেঘলা যে ঘরে নেই তা বুঝতে পারছে।অথচ সে ভেবেছে বিয়ের পরের প্রথম সকালটা বউয়ের মুখ দেখেই শুরু করবে।মেঘলা তাকে বেশি বেশি ক্ষেপিয়ে তুলছে।গতরাতে তো বাদর নাচ নাচিয়েছে আজ আবার কি করবে কে জানে?মেঘলা কি চাচ্ছে আদিব শাস্তির পরিমানটা বাড়িয়ে দেবে!এই মুহূর্তে আদিবের ইচ্ছে করছে সকালের গরম চায়ে মেঘলাকে চুবিয়ে খেয়ে ফেলতে।তাকে বড্ড জ্বালাচ্ছে মেয়েটা। বউ হওয়ার চব্বিশ ঘন্টাও হয়নি তাতেই তাকে নাজেহাল করে ছেড়ে দিয়েছে।সারাজীবন যে কি করবে তা ভেবেই ভয় পাচ্ছে।
খুট করে দরজায় শব্দ হওয়ায় আদিব বুঝতে পারলো মেঘলা এসেছে।চট করে চোখ তুলে তাকিয়ে বেকুব বনে গেল।আনাফ দরজায় আয়েশি ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে বাঁকা হাসছে।আদিব সেদিকে বালিশ ছুঁড়ে মারলো তারপর উঠে ওয়াশরুমের চলে গেল।আনাফ হাসতে হাসতে চলে গেল।
মেঘলা আর দিলারা বেগম কুটকুট করে গল্প করছে আর কাজ করছে।দিলারা অবশ্য মেঘলা কিছুই করতে দিচ্ছেন। তবুও মেঘলা জোড় করে পরোটা গুলো ভাঁজছে। আনোয়ার সাহেব পুরোনো অভ্যাসবশত চা চাইতে রান্না ঘরের দিকে এসে থমকে গেলেন বউ শ্বাশুড়ির যুগলবন্দী দেখে।উফফ!তিনি ভুলেই গেছেন এখন শ্বশুর মশাই হয়েছেন।আগের মতো রান্নাঘরে এসে নিজের বউয়ের সাথে গল্প,প্রেম কোনোটাই করতে পারবেন না।আহা!কেন যে ছেলেটার বিয়ে হয়ে গেল?আনোয়ার সাহেব আফসোস করতে করতে নিজের ঘরের দিকে গেল।আদিব ঘর থেকে বেরিয়ে বাবাকে বিরবির করতে দেখে অবাক হলো।তাছাড়া বাবার হাতে চায়ের কাপও দেখতে পেল না।আদিব মাকে ডাকতে ডাকতে রান্না ঘরে আসলো।মেঘলাকে দেখে ডাক থেমে গেল।
দিলারা বেগম বললেন,এভাবে ডাকছিস কেন, রে?
বাবা আজ চা খেল না তো।
ইশ!আজ একদম ভুলে গেছি বাবা।আসলে নতুন বউ মা পেয়েছি তো গল্পে মশগুল হয়ে গেছি।তোর বাবাও তো আসে নি চা চাইতে?
বাবাকে দেখলাম রান্নাঘরের সামন থেকে চলে যেতে।
ওহহ, বউ মাকে দেখে লজ্জা পেয়েছে নাকি রে?আজ প্রথম জানলাম তোর বাপের লজ্জাও আছে!
মেঘলা দিলারা বেগমের কথা শুনে হাসলো।আদিব চলে গেল নিজের ঘরে।বলা যায় না মা তাকেও কিছু বলে বসে কিনা?
মেঘলা একটু ভয়ে ভয়ে বললো,আন্টি আমি চা দিয়ে আসি বাবাকে?
শ্বশুর মশাইকে কি সুন্দর বাবা বলছিস, আর আমাকে, আন্টি?
মেঘলা জ্বিভে কামড় দিলো।মনেই থাকছে না তার। আর সহজে মা ডাকতেও পারছে না।কেমন লজ্জা লাগছে।অথচ কতো সহজে বাবা ডেকে ফেললো।
দিলারা বেগম মেঘলার শুকিয়ে যাওয়া মুখটা দেখে হেসে ফেললেন। বললেন,আচ্ছা যা তোর শ্বশুর মশাইকে চা টা দিয়ে আয়।উনি সত্যি খুব খুশি হবেন।
মেঘলা চায়ের কাপ নিয়ে এগোলো আনোয়ার সাহেবের উদ্দেশ্যে।
৩৭.
পাখি হাত পা ছুঁড়ে কাঁদতে বসেছে।সে গ্রামের বাড়ি থেকে ফিরে যেই শুনেছে আদিব বিয়ে করেছে অমনি ভ্যা ভ্যা করে কান্না শুরু করেছে। তার কষ্ট লেগেছে নাকি,আদিব তাকে না জানি বিয়ে করেছে, বিয়ের আগে একবারও দেখায় নি বউ কে?সবাই বোঝাচ্ছে বিয়েটা হুট করে হয়ে গেছে অথচ পাখির ঢং শেষ হচ্ছে না।আদিব এসে যখন ধমক লাগালো তখনও সে কেঁদে চললো।
বললো,ভাইজান আইজকা আইন্নে কুনু কতা কইবেন না? আর দাম নাই এই বাড়িত? আইজকাই চইলা যামু গ্রামের বাড়িত।
তাহলে এভাবে সবার মাথা খাচ্ছিস কেন?তাড়াতাড়ি চলে যা,ভাগ।
আদিবের এই কথায় পাখির কান্নার বেগ বেড়ে গেল।দিলারা বেগম এমন নাটক দেখে কপাল চাপাচ্ছেন। কোন কপালে যে এই মেয়েটাকে তিনি কাজে এনেছেন কে জানে?
আমরিন পাখির কাছে বসে মনযোগ দিয়ে কান্না দেখছে।যেন কোনো সার্কাস চলছে। আনোয়ারা ভাবীকে ইশারায় থামাতে বললেন। কিন্তু দিলারা বেগম ধারে কাছেও এলেন না পাখির।তার রাগ উঠছে।আদিব বিয়ে করেছে সেটা নাকি ওকে আগে জানাতে হতো।বিয়ের আগে পাত্রী দেখাতো হতো!ভাবা যায় এই মেয়ের আবদার!
মেঘলা এতোক্ষণ গোসল করছিলো তাই সে পাখিকে দেখতে পায়নি।এভাবে পাখিকে কাঁদতে দেখে অবাক বললো,আমরিন ও এভাবে কাঁদছে কেন?
সবাই তাকালো মেঘলার দিকে।সদ্য গোসল করা মেঘলাকে বেশ স্নিগ্ধ লাগছে।ভেজা চুল গুলো পিঠময় লেপ্টে আছে।মেরুন রঙের শাড়ির সাথে কালো ব্লাউজ পরা মেঘলাকে দেখে আদিবের গলা শুকিয়ে আসলো। বুকের ভেতর সাইক্লোন বয়ে যাচ্ছে।তার চোখ দুটো মেঘলা ঝলসে দিতে চায় নাকি?সে ভেবেছিলো মেঘলাকে শাস্তি দেবে এখন উল্টোই মেঘলা তাকে শাস্তি দিচ্ছে। এভাবে তাকে চমকে দিচ্ছে কেন মেয়েটা?
দিলারা বেগম ছেলের বউকে দেখে প্রান জুড়ালেন।সত্যি মেয়েটা অনেক সুন্দর। ছেলেটার আসলেই চোখ আছে বলতে হবে!
পাখি কান্না বন্ধ করে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছে মেঘলার দিকে। সে কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
কয়েক জোড়া মুগ্ধ দৃষ্টির মাঝে কেমন অসস্তি বোধ করলো মেঘলা।আমরিন এসে পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বললো, তোমায় খুব সুন্দর লাগছে,সত্যি ভাবী
ডাকতে ইচ্ছে করছে।এই ভাইয়া তুমি চুপ করে আছো কেন,বউয়ের প্রশংসা করো একটু?
আদিব কটমটে তাকালো আমরিনের দিকে। এমনিতেই তার যায় যায় অবস্থা। তৃষ্ণায় বোধহয় বুকের ছাতি ফেটে যাবে!
পাখি লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়ালো। চেচিয়ে উঠে বললো, হায় হায় আপা আইন্নে ভাইজানের বউ!
কেন পাখি আপা, বউ পছন্দ হয়নি তোমার?আমরিন হেসে জানতে চাইলো।
আই তো আপারে থুক্কু ভাবিরে বিয়ার আগে মেলা দেখছি।আই তো বুঝবার পারি নাই যে ভাইজান এনারে বিয়া করবো।
পাখির কথায় দিলারা বেগম হেসে ফেললেন। বললেন,এখন তো বুঝেছিস যা এবার গোসল করে খেয়ে কাজে লেগে পড়। আজ অনেক রান্না আছে।
হ আম্মা,যাইতাছি।পাখি আদিবের সামনে গিয়ে বললো,ভাইজান আইন্নেরে ভুল বুইঝছি, আর কথায় মন খারাপ কইরেন না।আইজকা খুব ভালা লাগতেছে।
হইছে আর কানের কাছে প্যানপ্যান করিস না।এবার নিজের কাজে যা।
পাখি একপ্রকার নাচতে নাচতে চলে গেল।
মেঘলার মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই প্রথম মাকে ছেড়ে অন্য কোথাও আছে।মাহিম থাকায় চিন্তা একটু কম হলেও মায়ের জন্য কেমন যেন লাগছে।যতই অভিমান করুক না কেন আম্মাকে তো সে খুব ভালবাসে।আম্মাই তো তার পুরো পৃথিবী।একবার ছুটে গিয়ে মায়ের কোলো মুখ লুকাতে ইচ্ছে করছে।ফয়সালের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়ার পর মালিহা বেগম নিজে থেকে সব ঔষধ বুঝে নিয়েছে।কখন কোনটা খেতে হবে।সেসময় মেঘলার খুব কষ্ট হয়েছে।কোনোদিন ভাবনাতেই আসেনি মাকে ছেড়ে থাকতে হবে।আসবেই বা কি করে নিজের জন্য তো কিছু ভাবে নি কখনো।আমরিনের সাথে গল্প করতে দুপুরে খাওয়ার সময় হয়ে এলো।আদিবকে সে তার আশেপাশে কোথাও দেখতে পারছে না।হয়ত কোথাও বেরিয়েছে।দিলারা বেগম এসে খাওয়ার জন্য ডেকে গেলেন ওদের।আমরিন খেতে গিয়ে অবাক হয়ে গেল।নিমিষেই কেঁদে ফেললো সে।আম্মা এসেছে। দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরলো।মালিহা বেগম মেয়ের এমন পাগলামি দেখে কাঁদার বদলে হাসেন।আদিব গিয়ে তাকে জোর করে এনেছে।মালিহা বেগম তো কিছুতেই আসতে চান নি কিন্তু আদিব নাছোড়বান্দা। মোমেনা বেগমকেও আদিব ডেকেছে।কিন্তু মোমেনা বেগম রাজি হননি।তার বদল মনিরা আর মারুফের বউ এসেছে।মেঘলা মাকে ছেড়ে সোজা হয়ে দাঁড়ালো। পানিতে টইটম্বুর চোখে আদিবের দিকে তাকালো।দেখলো,খালি প্লেটের দিকে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মেঘলা অবাক হলো না।এটাই তো তার চেনা আদিব যে মেঘলার মনের কথা গুলো বুঝতে কখনো ভুল করে না।
দিলারা বেগম মোটামুটি অনেক আয়োজন করেছেন।আনোয়ারা বেগম সাথে থাকায় অনেকটা সাহায্য হয়েছে।ওইটুকু সময়ের মাঝে পোলাও,গরুর মাংস,কাবাব,রোস্ট সবটাই করেছেন।মালিহা বেগমের লজ্জা লাগছে এভাবে মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে খালি হাতে এসো খাবার খেতে।আজই তিনি মারুফ কে দিয়ে কিছু আনিয়ে নেবেন।এছাড়া নতুন মেয়ে জামাই, মেয়ের শ্বশুর শ্বাশুড়ির জন্য জামাকাপড় কিনবেন।আদিবরা হয়ত কোনোদিন এসব নিয়ে মেঘলাকে কিছু বলবে না কিন্তু যতই হোক মেয়ের শ্বশুর বাড়ি বলে কথা।এতো ভালো পরিবারের মানুষ গুলো সামান্য কিছু দিতে পারলেও মনে আনন্দ পাবেন তিনি।
৩৮.
আনাফ ফোনে জেরিনের সাথে কথা বলছে।আনাফের ইচ্ছে করে না মেয়েটার সাথে ফোনে এতো প্যানপ্যান করতে তবুও বাধ্য হয়ে করতে হয়।জেরিন ওকে বাইরে ডাকছে।জেরিন তার কাজিনের বিয়ের জন্য শপিং করবে, এখানে আনাফকে ডাকার কি আছে? বিরক্তি নিয়ে যেতে রাজি হলো।
আমরিন এসে বললো,নিশ্চয়ই ওই পেত্নীটার সাথে দেখা করতে যাচ্ছো, তাই না?
আনাফ ভ্রু কুঁচকালো। আমরিন আবার উল্টা পাল্টা কথা শুরু করেছে।মেয়েদেরকে কিছুতেই বুঝতে পারে না আনাফ।এরা রাতে একরকম থাকে দিনের বেলা আরেকরকম।আশ্চর্য! পেত্নীটা আবার কে?সে তে যাচ্ছে জেরিনের সাথে দেখা করতে!
কিসব আজেবাজে কথা বলছিস,ভূতে ধরছে নাকি তোকে?
নাহ,ভূত নয় জ্বীনে ধরেছে আমায়।তোমার বিশ্বাস না হলে পাখি কে জিজ্ঞেস করে দেখ?
চুপ কর,সর আমার সামন থেকে বাইরে যাব।
যাও, আমি আটকিয়েছি নাকি?তবে তুমি যাওয়ার পর আমি ফুপির কাছে যাবো। সব কথা বলে দেব।এতদিন ধরে পেটে চেপে রেখে কষ্ট করেছি আর করবো না।
কি বলবি তুই, মাকে?
কেন,তুমি যে ওই জেরিন পেত্নীটার সাথে ঢলাঢলি করো তাই বলবো?
ছি! এত বাজে ভাবে কথা বলিস কেন তুই?মোটেও আমি ওসব করি না।জেরিন তো আমার ভালো বন্ধু।
তাই বুঝি।জেরিন খুব ভালো আর আমি বাজে কথা বলি , না?দাঁড়াও আমি এখনেই ফুপিকে সব বলে দেব।
আমরিন যেতে ধরলে আনাফ তাড়াতাড়ি হাত টেনে ধরলো। অসহায় হয়ে বললো,তুই খুব বাড়িয়ে কথা বলিস, মা এমনিতেই জেরিনকে পছন্দ করে না।তোর মিথ্যা কথায় আমার বারোটা বাজাবে।
হ্যাঁ,আমি তো চাই তোমার বারোটা বাজুক।তবে আমি নাও বলতে পারি ফুপিকে, যদি আমার কথা শোনো তুমি!
তুই কি আমায় ভয় দেখাচ্ছিস?
তুমি কি ভয় পাচ্ছো?
আনাফ অসহায় হয়ে গেল।বললো,ঠিক আছে বল কি তোর কথা।
তুমি ওই জেরিন পেত্নীটার সাথে দেখা করতে যাবে না।যদি যাও তাহলে আমাকেও নিয়ে যেতে হবে।
কিহ!তুই ছোট মানুষ ওখানে গিয়ে কি করবি?
আমরিনের প্রচন্ড রাগ উঠে গেল।আনাফ ভাই তাকে আবার ছোট বলছে।সে হনহনিয়ে চলে গেল আনোয়ারা বেগমের কাছে।কিন্তু তার আগেই আনাফ এসে দুহাতে আঁকড়ে ধরলো আমরিনকে।
আদিব ঘরে ঢুক দেখলো মেঘলা চুল আঁচড়াচ্ছে।তাকে দেখেও না দেখার ভান করলো মেঘলা।আদিব ভেবে পায় না মেঘলা এমন ভাব কোথা থেকে শিখলো।আগে তো তাকে দেখলেই চুপসে যেত আর এখন তাকেই চুপসানোর পায়তারা করছে,হু।
আদিব অন্যদিকে চোখ ফিরিয়ে নিলো, দেখবে না সে মেঘলাকে।তার ঘরে থেকে তাকেই ভাব দেখানো হচ্ছে।
আদিবকে দেখে লুকিয়ে হাসলো মেঘলা কাছে এসে বললো,আপনার লাইব্রেরি এতো ময়লা কেন?পরিষ্কার করেন না কখনো?
তুমি আমার লাইব্রেরিতে ঢুকেছ কেন?
ঢুকবো না কেন?এই ঘরে যখন থাকার অধিকার আছে তখন লাইব্রেরিতেও ঢোকার অধিকার আছে।আপনার পারমিশনের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না।
আদিব হা হয়ে গেল মেঘলার কথা শুনে।এই মেয়ে এখন তার কথার পিঠে দিব্যি কথা বলে যাচ্ছে। সোজাসুজি তর্ক করছে।বিয়ে করে কি মেঘলার মাথার, মনের সব জট গুলো খুলে গেল!
ওভাবে আমায় দেখে কোনো লাভ নাই।আপনার সব বই গুলো আজ নামিয়ে রেখেছি কাল পরিষ্কার করবো বলে।
কিহহ!আদিব চিল্লিয়ে উঠলো।এবার বুঝি তার হার্টঅ্যাটাক হয়ে যাবে!
চলবে..