১.
আদিব দাঁড়িয়ে আছে গার্লস কলেজের
সামনে মেঘলা একটু পর বেরবে।আদিব জানে ছুটি হওয়ার ঠিক তিন মিনিট পর মেঘলা বের হয়।আজও ব্যতিক্রম হলো না।সাদা কলেজ ড্রেস পরা মেঘলাকে দেখে বাইকে উঠে বসলো সে।কিছুটা এগিয়ে একটা চায়ের দোকানে ঢুকলো। দোকানী ছেলেটা যথারীতি এক কাপ চা এনে সামনে রাখলো।এখন আর তাকে চাইতে হয় না।আদিব আসার সাথে, সাথেই সে চা নিয়ে হাজির হয়।মেঘলা হেঁটে এই পর্যন্ত আসতে তার চা শেষ হয়।দূর থেকে মেঘলাকে দেখতেই তার ভালোলাগে।মেঘলা কাছাকাছি চলে আসলে সে উঠে পরে।এরপর আরেকটা চায়ের দোকানে বসে পরে মেঘলার আড়াল হয়ে।এই পর্যন্তই সে মেঘলাকে দেখতে পায়।কারণ এই মোড়ে এসে রিকশা নেয় মেঘলা।কলেজ থেকে এতটা দূরে এসে রিকশা নেয়ার কারণটা সে জানে।কলেজের সামনে রিকশা নিলে মেঘলার বাড়ি পর্যন্ত ভাড়া হয় বিশ টাকা।একটু হেঁটে এসে রিকশা নিলে দশ টাকায় হয়ে যায়।আদিবের কখনো সাহস হয় না মেঘলার রিকশার পিছু নিতে।মেঘলার সামনে গেলেই তার বুক ধড়ফড় করে,তৃষ্ণায় গলা শুকিয়ে আসে।মেঘলার শীতল দৃষ্টিতে সে ঘেমে একাকার হয়ে যায়।মেঘলা চলে যাওয়ার পর আদিব বাইক স্টার্ট দিলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।
ঘরে ঢুকে এসি অন করে ধপাস করে শুয়ে পরলো বিছানায়।
ভাইজান, আইন্নের কপি।
তোকে কত বলতে হবে পাখি, শুদ্ধ ভাবে কথা বলার জন্য?
কি করুম ভাইজান?আম্মায় আমারে একডা কতা শেহায় তা, দুইডা থাপ্পড় মারে।কয় আরে কেউ ভালা কতা শেহায়ইতে পাইবো না!
আমরিনের কাছে শিখবি।
ওরে আল্লা!তাইলে তো শিকতেই পারুম না।আপায় সারাদিনে দুয়ার বন্ধ কইরা থাহে।আই রুমোত গেইলে কয় পাখি তোমার চোখের নিচে কি জানি ইংরেজিতে কয় হেইডা পরছে!তুমি এট্টু আমার বিছানাত শুয়ে ঘুমাইয়া লও!আই তো কিছু বুঝবার পারিনা ভাইজান।
পাখির কথায় আদিবের মাথা ধরে গেল।ধমক দিতে গিয়েও নিজেকে সামলে নিলো।
একটু কম কথা বলতে পারিস না, তুই?
ভাইজান,আর একখ্যান কতা কইবার চাই, যদি আইন্নে রাগ না করেন।তয় সমিস্যা নাই,আমি পাখি ফুড়ুৎ কইরা পালামু।
বেশি কথা না বলে কি বলবি সেটা বলে বিদায় হো,আমি ঘুমাবো।
ভাইজান, আর মনে অয় আপারে জ্বীনে ধরছে!ভালা কবিরাজ দেহাইতে অইবো।আর কাছে ভালা কবিরাজের ঠিহানা আছে।
চড় দিয়ে সবকয়টা দাত তোর ফেলে দিব এরকম উল্টা,পাল্টা কথা বললে।ভাগ এখান থেকে,ধমক লাগালো আদিব।
পাখি দৌড়ে পালালো।আদিবের রাগকে সে মনে,মনে ভয় পায় অনেক।
মেঘলা গোসল সেড়ে রান্নাঘরে আসলো।হাঁড়ির ভাত টুকু প্লেটে বেড়ে নিলো।তরকারির বাটি গুলো খালি পরে আছে,শুধু ডাল ছাড়া।চুপচাপ তাই দিয়েই খেয়ে নিলো সে।থালাবাসন গুলো পরিষ্কার করে মামির ঘরের দরজায় টোকা দিলো।ভেতর থেকে মোমেনা বেগমের গলা ভেসে আসলো,”আমার মাথা ধরেছে, কড়া করে এক কাপ চা করে আন।”
মেঘলা দরজার কাছ থেকে রান্নাঘরে চলে এলো।চায়ের পানি বসালো। অন্যদিকে চিন্তায় পরে গেল।মামির মাথা ধরেছে, এর মানে আজকেও মায়ের ডাক্তার দেখানোর কথাটা কি বলতে পারবে না?ঔষধ শেষ হয়ে গেছে পনেরদিন হতে চললো।আর দেরি করা মায়ের শরীরের জন্য ভালো হবে না।
চা ঢেলে মোমেনা বেগমের জন্য নিয়ে এলো।
মোমেনা চায়ে কয়েক চুমুক দিয়ে বললেন,আমার শরীরটা ভালো নেই,রাতের রান্নাটা করিস। মনিরা প্রাইভেট থেকে ফিরলে একটু নুডলস বানিয়ে দিস।রাতের জন্য মুরগী ভিজিয়ে রাখিস, ঝাল কম দিবি।
মেঘলা হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়লো। ফিরে যেতে চাইলেও দাঁড়িয়ে পরলো।সাহস করে ডাক্তার দেখানোর কথাটা বলে ফেললো।
মোমেনার বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে গেল।কিন্তু মুখে কিছুই বললেন না।নিরবে চা টুকু শেষ করলেন।চায়ের কাপটা মেঘলার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললেন, সামনের মাসে তোর মামা টাকা পাঠালে তখন নিয়ে যাস।এখন আমার হাতে টাকা নেই।মনিরার প্রাইভেটের টাকাই তো বাকি রেখেছি সামনের মাসে এক সাথে দিব বলে।
মেঘলার কিছুই বলার রইলো না।বলার মতো হয়ত কিছু নেই।মামির কথাই যে বিনাবাক্য মেনে নিতে হবে তা অজানা নয়।মায়ের ঘরে উকি দিয়ে দেখলো ঘুমিয়ে আছে মাহিমের সাথে।মাহিমের ঘুমন্ত মুখটা বড্ড আদুরে লাগছে দেখতে।ছোট ভাইটাকে দেখলেই চিন্তা হয় খুব।বাকশক্তিহীন বুদ্ধিপ্রতিবন্দীদের জন্য তাদের সমাজটা যে মোটেও বন্ধুসুলভ নয়,বরং ক্ষতিকর। রান্নাঘরে এসে দ্রুত কাজে লেগে গেল। একটু পরেই টিউশনির বাচ্চা দুটো আসবে।
২.
আমরিন দরজা বন্ধ করে শাড়ি পরার চেষ্টা করছে।এর আগে আধঘন্টা ধরে ইউটিউবে ভিডিও দেখেছে।কলাপাতা রংয়ের শাড়িটা শরীরে পেচিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।কুঁচি গুলো এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে বারবার। এক পর্যায়ে রাগে শাড়িটা ছুড়ে মারলে ঘরের এক কোণে। পেটিকোট, ব্লাউজ পরেই সে বিছানায় উঠে গেল।হলো না তার বড় হওয়া।মনে, মনে শপথ করলো, যতদিন না ঠিকভাবে শাড়ি পরা শিখতে পারবে, ততদিন সে আনাফ ভাইয়ের সামনে যাবে না।আনাফ ভাইয়ের “খুকি “ডাকটা বিলীন করতেই হবে।আমরিন ঘুমিয়ে পরলো।ঘুমটা গারো না হতেই দরজায় শব্দ হলো।ঘুম চোখে উঠে গিয়ে দরজা খুললো।আমরিনকে এই বেশে দেখে আঁতকে উঠলো পাখি!
আপা, আইন্নের এই দশা ক্যান?
পাখির কথায় আমরিনের ঘুম কেটে গেল।নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জা পেল।তাড়াতাড়ি দরজাটা আবার বন্ধ করে দিলো।
অন্যদিকে দরজার বাইরে পাখি হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো।আপার সাথে কি বদ জ্বীন আকাম, কুকাম করবার চাইছে!নাউজুবিল্লাহ!তার দাদীর কাছে হুনছিলো,বদ জ্বীন গুলা সুন্দরী মাইয়্যার লগে আকাম, কুকাম করে,তারপর জ্বীনে দ্যাশে লইয়্যা যায়। নিজের ভাবনায় আবার আঁতকে উঠলো পাখি।
ভাইয়া, আমি তোমার একটা উপন্যাসের বই নেই?আমরিন এসে আবদার জুড়ে দিলো আদিবের কাছে।
আদিব ফোন থেকে মাথা তুলে ভ্রু কুঁচকে তাকালো,সামনে তোর বোর্ড পরিক্ষা এখন এসব গল্প, উপন্যাস পড়ার সময় নয়।
আমি পড়বো না ভাইয়া,একজনকে দেব।
মাথা ফাটিয়ে ফেলব একদম। জানিস না,আমার বই আমি কাউকে দেই না।
জানি তো।তবু আমি তাকে কথা দিয়ে ফেলেছি।তার কাছে তোমার কত প্রশংসা করেছি জানো?
আমরিন!তোর কিন্তু সাহস বেড়ে গেছে?আমার বই তুই অন্য কাউকে দেয়ার কথা ভাবিস কি করে? যা ভাগ আমার ঘর থেকে।
প্লিজ ভাইয়া,আমি তাকে বলেছি আমাদের একটা ছোট লাইব্রেরি আছে।তুমি সবাইকে বই পড়তে দাও।এখন দিতে না পারলে কি ভাববে বলোতো?
তোকে যেতে বলেছি আমার ঘর থেকে!আর একবার বই চেয়ে দ্যাখ তোর কি হাল করি আমি!
আমরিন হতাশ ভঙ্গিতে বললো, ঠিক আছে,দেবে না যখন,দিও না।আমিও বলবো মেঘলা আপুকে, আমার ভাইয়া মোটেও ভালো মানুষ নয়।তুমি কিছু মনে করো না। আমরিন ভাইয়ের দিকে একবার তাকিয়ে দ্রুত বেরিয়ে এলো।
মেঘলা নামটা শুনে একটা ঝটকা খেল আদিব। তড়িৎ গতিতে দৌড়ে গেল আমরিনের কাছে।ভাইকে দেখেও না দেখার ভান করে সোফায় বসেই রইলো আমরিন।আদিব তার সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললে,তুই কাকে বই দিতে চেয়েছিস?
মেঘলা আপুকে।
কো-কোন মেঘলা?
বই তো দেবে না,শুনে কি করবে?
যেটা জানতে চাইছি, সেটা বল?
আমাদের বাড়ি থেকে গুনে, গুনে ছয় নম্বর একতলা যে বাড়িটা ওখানেই থাকে মেঘলা আপু,তুমি চিনবে না!
আদিবের ভেতরটা শুকিয়ে আসলো।কোন বইটা চেয়েছে?
“শেষের কবিতা।”
আদিব কিছু না বলে তার ঘরে ঢুকে বইটা নিয়ে এলো। সাবধানে পড়তে বলবি,বইয়ের যেন কিছু না হয়।ভাবলাম কথা যখন দিয়ে ফেলেছিস তখন বইটা না দিলে খারাপ দেখাবে।এরপর কখনো,কাউকে বই দিতে চাইবি না।
আদিব চলে যাওয়ার পর আমরিন হেসে কুটিকুটি হলো।
৩.
মেঘলা কলেজ যাওয়ার আগে মাহিমকে গোসল করে, খাইয়ে দেয়।মাহিম সবকিছু ঠিক মতো করতে পারে না।মালিহা বেগমও তো নিজেরটা করতে পারে না।মেঘলার মাঝে, মাঝে ভয় হয়।তার পায়ের তলার মাটিটা এখনো নরম কাঁদা। প্রতিবন্ধী ভাই,অসুস্থ মাকে নিয়ে হাজারটা ভাবনা। মাথার উপরের ছাঁদটাও নড়বড়ে। মামি তাদের যে কোনো সময় এই বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে।দ্রুত কলেজের জন্য তৈরী হয়ে মাকে দুপুরের ঠিক মতো খেতে বলে বের হলো।রাস্তায় আমরিনের সাথে দেখা হলো।আমরিন হাসি মুখে এসে দাঁড়ালো।ব্যাগ থেকে বইটা বের করে মেঘলার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো,এই বইটাই তো খুঁজছিলে তুমি, তাইনা?
মেঘলা অবাক স্বরে বললো,হ্যাঁ কিন্তু তুমি কি করে জানলে?
তুমি আমার বান্ধবী মিলির কাছে খোঁজ করছিলে ওর বড় বোনের কাছে এই বইটা আছে কিনা?আমি সেটা জানতে পেরে তোমার জন্য নিয়ে এলাম।আমাদের বাসায় বাবার ছোট একটা লাইব্রেরী আছে।তোমার এরপর যে বই গুলো দরকার হবে সোজা আমাদের বাড়িতে চলে আসবে।আর খুঁজতে যাবে না।কথা গুলো এক নাগাড়ে বলে ফেললো আমরিন।
মেঘলা হা হয়ে শুনছে শুধু। কিছু বলার আগেই আমরিন বলে উঠলো, আমার কোচিং এর দেরি হয়ে যাচ্ছে, আমি যাই।তুমি কিন্তু একটুও লজ্জা করবে না আসতে।আমরিন দৌড়ে চলে গেলো।
মেঘলা অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো, তার অনেক দিনের ইচ্ছে এই উপন্যাসটা পড়ার।কিনে পড়ার মতো সার্মথ্য নেই।তাই খোঁজ করছিলো।আমরিন এভাবে এসে তাকে বইটা দেবে ভাবতেই পারেনি
আদিব গুনগুন করতে করতে বাসায় ঢুকলো। ড্রয়িংরুমে আসতেই সুন্দর গন্ধ পেল।দৌড়ে রান্না ঘরে গিয়ে দেখলো,মা বিরিয়ানি রান্না করছে।হাসতে হাসতে বললো,কি ব্যাপার, এই আয়োজন কিসের জন্য?
দিলারা মুখ ভার করে জবাব দিলেন, তোর বাপের কাছে গিয়ে শোন।বুড়ো বয়সে ভীমরতি হয়েছে।আজকের দিনে নাকি আমি ওনার ঘাড়ে চেপে বসেছিলাম, সেই দুঃখে তিনি আজ বিরিয়ানি খাবেন।
ইশ!,একদম ভুলে গেছি,আজ তো তোমাদের বিবাহ বার্ষিকী।যাই, বাবাকে উইশ করে আসি।আদিব প্লেট থেকে কাবাব তুলে নিয়ে খেতে খেতে বাবার ঘরের দিকে এগোলো।
দিলারা বেগম হাসেন এদের বাপ,ছেলের কান্ডে।ছেলে,মেয়ে দুটোই একদম বাপের মতো হয়েছে,পাগলাটে।আনোয়ার চৌধুরী একজন অত্যন্ত সহজ,সরল এবং ভালো মানুষ।স্বামী কে নিয়ে বিয়ের প্রথম মাসে থেকে যে সম্মান, ভালোবাসা তার মনে তৈরী হয়েছে তা আজও একি ভাবে বিরাজমান। প্রতিটা সম্পর্কের প্রতি যত্নশীল মানুষটা।সবাই বলত বিয়ের কয়েক বছর পেরোলে, বাচ্চা কাচ্চা হলে ভালোবাসা কমে যায়,সম্পর্কে মরচে ধরে।কিন্তু দিলারা বেগমের কাছে কখনো তা মনে হয়নি।বরং যত সময় এগিয়েছে দুজনের ভালোবাসা তত বেড়েছে। তিনি কপাল গুনে এমন স্বামী পেয়েছেন।
মাকে এবার কি উপহার দিচ্ছো?আদিব ঘরে ঢুকে বাবার মুখোমুখি বসলো।
ঠিক প্রশ্ন করেছিস।তোকে জানাতে চেয়েছি অনেক আগেই, তোর মা বললো,বেরিয়েছিস।
আমরিন কে কোচিংয়ে দিয়ে আসলাম।
আনোয়ার বেড সাইড টেবিলের ড্রায়ার থেকে বাসের টিকিট দুটো বের করে আদিবের সামনে রাখলেন।
এবার তাহলে সমুদ্র বিলাসে যাচ্ছো?
ইয়েস মাই সান।
আমরা কি দোষ করলাম বাবা?
হতচ্ছাড়া, গত মাসেই তো তোদেরকে সিলেট ঘুরিয়ে আনলাম।আমরা বুড়ো, বুড়ি একটু দুদিনের জন্য ঘুরতে যাবো তা তোদের সহ্য হচ্ছে না।
আদিব হেসে বললো,ঠিক আছে, আমি আজই নাহার খালাকে নিয়ে আসবো।তুমি টেনশন ফ্রী বারোতম হানিমুনটা সেড়ে এসো।
বাপকে লজ্জা দিতে খুব ভালো লাগে তাইনা।তোর ছেলে মেয়েকেও শিখিয়ে দেব দেখিস!হানিমুন তো দূরের কথা, বউয়ের সাথে প্রেমটাও ঠিকভাবে করতে পারবি না।
৪.
খাবার টেবিলে আমরিন হুট করে আদিবকে প্রশ্নটা করে বসলো।
ভাইয়া বল তো তোর আর আমার মধ্যে কার বুদ্ধি বেশি?
আদিব মুরগীর পা চিবোতে চিবোতে বললো,এটা আবার বলার কি আছে,অবশ্যই আমার বেশি। তোর মাথায় তো গোবর ছাড়া কিছু নেই।
ভাইয়া!তুমি কিন্তু আমাকে অপমান করছো?
তুই অপমানও বুঝিস?
ঠিক আছে আমিও তেমায় বুঝিয়ে দেব অপমান কাকে বলে?
দুজনের বেশ তর্ক লেগে গেল।পাখি দৌড়ে আসলো।
ভাইজান আইন্নে আপার লগে ঝগড়া করতাছেন ক্যান?আম্মা, খালুজান বাসায় নাই,আইন্নের উচিত আপারে বেশি কইরা আদর করা।আমরিন হেসে ফেললো।আদিব, পাখিকে ধমক দিয়ে উঠে গেল।
আপা মন বেজার কইরেন না।ভাই, বইনের ঝগড়া হইবোই। আমরিন পাখির কথায় আবার হাসলো।পাখি ভ্রু কুঁচকে আমরিনকে লক্ষ্য করছে।
এতো হাসতাছে ক্যান আপা?তাইলে কি তার ধারণাই ঠিক। আপারে জ্বীনে ধরছে!এতো ভালা মাইয়্যার এই দশা কেমনে হইলে?সর্বনাশ হওয়ার আগেই তার হুজুরের লগে কতা কইতে হইবো।
চলবে…
জোনাকিরা ভীড় করেছে
সিফাতী সাদিকা সিতু
পর্ব -১