হৃদয়হরণী পর্ব ৫

0
789

#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব-৫

-মেয়েটা পায়ে কি ভীষণ ব‍্যাথা পেয়েছে আবির??(অনুপমা)

-তা একটু পেয়েছে মা,,ডাক্তার দেখিয়েছি মেডিসিন দিয়েছে,,বললো যে ঠিকই হয়ে যাবে।তীয়া কোথায় মা?

-ও ওর ঘরে।এতক্ষণ মনে হয় ঘুমিয়ে পড়েছে,,,আর একটু ভাত দি??

-মা তুমি তো জানো আমি ভাত খায় না রাতে ,,তবুও তুমি জোড় করে খাওয়াচ্ছো,,,কাল থেকে চিকেন স্টু বা স‍্যালাট রেখে দেবে প্লিজ মা,,

-আচ্ছা ঠিক আছে,, এত বলতে হবে না,,, আচ্ছা আবির একটা কথা বলবো,,

-বলো মা,,তার আগে তুমি আমাকে একটা প্রশ্নের উত্তর দাও তো,,,জানো খাওয়ার সময় আমি এত কথা বলা পছন্দ করি না তবুও আজকে তুমি continuously non stop কথা বলেই যাচ্ছো কি ব‍্যাপার বলো তো??

-তেমন কোন ব‍্যাপার না আবির,,আমি শুধু বলতে চাইছি যে তুই মেয়েটাকে কেন নিজের মনের কথা বলে দিচ্ছিস না??

-মায়ের কথা শুনে আবির ভ্রু কুঁচকে বলে ওঠে” পাগল নাকি আমি,,ও এখন অনেক ছোট মা,,বয়স বাড়লেও maturity আসেনি,,, আর এখন যদি আমি ওকে তোমার কথায় বলে দি,,তাহলে আবেগের বশে যা ইচ্ছা তাই করে বেরাবে,,,, আমি চাই না ওর ওই ক্ষুদ্র মস্তিষ্কে এখন এইসব বিচরণ করুক,,, পড়াশোনা করছে করুক নিজের ক‍্যারিয়ার নিয়ে ভাবুক তারপর তো আমি আছি,,,,

-কি জানি বাবা আমার তো ইচ্ছা করছে আগে তোর বাবাকে বলি তারপর পুলকের বাবার সাথে অন্তত কথা বলে রাখি।

-তার কোনো প্রয়োজন নেই মা,,আমি ওকে সময় দিতে চাই,,,ও নিজে থেকে যেদিন আমার অনুভূতি গুলো বুঝতে পারবে,,যেদিন দেখবো আমি যতটা ওর জন্য কাতর, ওর চোখেও আমার জন্য সেই অনুভূতি,, সেই দিন আমি ওকে বলবো কিন্তু তার আগে নয়,,,আর তুমিও এই ব‍্যাপারে কারোর সাথে কোনো আলোচনা করবে না এমনকি বাবাকেও বলার দরকার নেই এখন। উঠছি আমি হয়ে গেছে আমার(বলেই আবির নিজের ঘরে চলে গেল।)
___________________________________________

-দাভাই তুই রাখ না আমি নিজে করে নিতে পারবো,,

-পেখু একদম চুপ করে থাকবি,,,

-প্লিজ দাভাই তুই বড়ো হয়ে আমার পায়ে হাত দিয়ে আমাকে পাপী করতে চাস বল??(ন‍্যাকামো করে)

-পেখমের কথায় পুলক ওর মাথায় একটা চাটি মেরে বলে”তুই এসব আবার কবে থেকে মানতে শুরু করলি?? মা দেখে যাও ভূতের মুখে রাম নাম,,”

-উফফ তুই না সব সময় আমাকে পঁচাস,,,যা তো এখন এখানে থেকে,,, আমি ঘুমাবো,,,by the way বৌমনি কি করছে??

-ও ঘুমাচ্ছে,, কেন??

-ওই জন্য তো বলি তুই হঠাৎ আমার ঘরে কেন?? ফোনে কথা না বলে,,,

-আজ্ঞে না আবির আমাকে ফোন করে বলেছে তোর পায়ের অবস্থা কেমন,,আর তুই যা অলস শেষে দেখা গেল মলম না লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিস,,,তাই আমি যেন মলম পা লাগিয়ে দি,,,

-ও এই ব‍্যাপার,, শোন এবার তুই যা,,মলম লাগানো শেষ তোর,,আমি এবার ঘুমাবো দাভাই,, প্রচুর ক্লান্ত আমি,,

-ঠিক আছে গুড নাইট,,,কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমাকে ফোন করিস বা মাকে ডেকে নিস,,,

-পুলক চলে যাওয়ার পর পেখম ঘরের আলো নিভিয়ে মৃদু আলো জ্বালিয়ে দেয়,,তারপর ব‍্যালকনির দোল্লায় এসে বসে পড়ে,,,রাতে একবার ব‍্যালকনিতে না আসলে ওর ঘুম হয় না,,,আবার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পড়ছে আর তার সাথে হালকা হাওয়া বইছে,,, আর তার সাথেই তাল মিলিয়ে ওর চুল গুলো বাধ্য থেকে অবাধ্য হয়ে উঠছে বারংবার,,,, চুল গুলো সামলাতে গিয়ে ওর সন্ধ‍্যের মুহূর্ত গুলো বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে আর তার সাথেই পাল্লা দিয়ে গাল দুটো রক্তিম হয়ে যাচ্ছে,,,

-আমার সব বন্ধুরা বলে যে ওরা নিজেরাও confused আবিরদার এমন ব‍্যবহারে,,, সেই ছোটবেলা থেকেই তিনি এইরকম,,, তার আচরণে এই মনে হবে তিনি আমাকে ভালোবাসেন,,ভালো না বাসলেও পছন্দ করেন কিন্তু পরক্ষণেই তার আচরণে মনে হবে সব আমার মনের ভুল,,, ওরা তো মাঝে মধ্যে বলেও ফেলে পেখু তোর আবির দা যদি তোকে ভালোবাসতো তাহলে কি মাসের পর মাস ব‍্যাঙ্গালোরে পড়ে থাকতো,,,তোর সাথে ধমক দিয়ে কথা বলতো,,,ফোন নাম্বার থাকা সত্ত্বেও কোনো দিন ফোন করেছে,,,দিনশেষে সব প্রশ্নের উত্তর নিরাশ জনক হয়ে ওঠে নিজের কাছে,,,

এই তো আবির দার মনের কথা জানার জন্য কতশত প্ল্যান করি আমরা কিন্তু কোনো লাভের লাভ হয় না,, সেবার যখন আবির দা বাড়িতে এল তখন বলেছিল”পাখি আজ তোকে আমি নিতে যাবো কলেজে,,কখন ছুটি হয় তীয়াকে বলে দিস” কেন রে আমি যদি তোকে নিজে থেকে ফোন করি তাহলে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে?? আমার বন্ধুরা তো শুনে একটা প্ল্যান করেই ফেলল ,আমাদের ডিপার্টমেন্টের সবথেকে handsome ছেলেকে রিকুয়েস্ট করেছিল এমনকি একপ্লেট বিরিয়ানি খাইয়ে ছিল যে আবির দার গাড়ি আমাদের কলেজের সামনে আসলে ও যেন আমার সাথে কথা বলে আর হাতে একটা চিঠি দেয় ব‍্যাশ এতটুকু,, চিঠিটা অবশ্য প্রিয়া লিখে দিয়েছিল,,, কিন্তু শেষে কি হল আবির দা আমার হাত থেকে চিঠিটা নিলো বেশ মনোযোগ সহকারে পড়লো then চিঠিটা ভাঁজ করে আমার হাতে দিয়ে ,চোখে sunglass টা ভালো করে পড়ে বলে” পাখি তোর যে প্রেমিকের লাইন লেগে যাবে কদিন পর থেকে, সাবধানে থাকিস আবার,,, এখন চল আমার আবার অফিস যেতে হবে,,,আমাদের বন্ধুমহলে তা নিয়ে প্রায় এক সপ্তাহ শোক উৎযাপন করা হয়েছিল,,
আবার সেইবার পূজোর সময় আবির দাকে দেখিয়ে দেখিয়ে ছেলে বন্ধুদের সাথে ঘুরতে বেরিয়েছিলাম,,রাতে ব‍্যালকনিতে ২-৩ পর্যন্ত ফোনে কথা বলেছি এমন ভাবে যে আমি প্রেম করছি,,অবশ্য ওটা আমাদের গ্ৰুপ কল ছিলো,,কিন্তু তাতেও আবির দার কোনো হেলদোল নেই,,,এই রকম কত শত কথা এখন ভাবলে নিজেরি হাসি পাই,,,

কিন্তু আজ তো আমি তুর্য দার সাথে কতটা সময় হাসি ঠাট্টা করলাম,, উনার কোলে চেপে এলাম তাতেও কি হল ,, nothing কিছুই না,,, উফফ আমার আর ভালো লাগছে না,,, পেখম এই ছোট্ট মাথাতে একটা কথা ঢুকিয়ে নে উনি তোকে ভালোবাসেন না,,,ভালোবাসলে এত কিছু মুখ বুজে সহ‍্য করতেন না,,,সব ঠিক ছিল কিন্তু যাওয়ার আগে আজ কি বলে গেলেন উনি,,আমার সব মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে,,, উনার মুড ভালো থাকলেই শুধু ভালো করে কথা বলেন,,, ধূর ভালো লাগে না,,, উনার যখন আবেগ উথলে পড়ে তখনই উনি আবেগময় কথা বলেন আর তা না হলে উনি একজন তিঁতো লোক।শোন পেখম এখন এসব কথা না ভেবে যা শুয়ে পড়,,পরে ঘুম না আসলে মাথা যন্ত্রণা করবে,,এই ছোট্ট মাথায় আর চাপ নিস না,,,যদি উনি তোর হয় তাহলে দিনশেষে তোরই থাকবে,,,,

-পাখি এত রাতে দোল্লায় বসে কি বিড়বিড় করছিস??(হঠাৎ কোনো শক্ত পুরুষালী কন্ঠ শ্রবণ হতেই পেখম কেঁপে ওঠে,, তারপর নিজেকে সামলে ধীরে সুস্থ বলে ওঠে,,)

-কিছু না আবির দা,,

-কিছু না তা এখানে কেন বসে আছিস??

-আসলে ঘুম আসছিলো না তাই,,,

-ঘুম আসছিলো না তাই এ কথা বলার মানেটা কি পাখি??বাইরে ঠান্ডা বাতাস বইছে একটু পরেই তো ঠান্ডা লেগে মাথা যন্ত্রণা করবে,,তার উপরে আজকে বৃষ্টিতে ভিজেছিস,,,সে খেয়াল আছে??(রাশ ভারী গলায় ধমক দিয়ে)

-এবার বেশ কাঁদো কাঁদো হয়ে পেখম বলে ওঠে আমার ভুল হয়ে গেছে,, আমি এখনি ঘরে চলে যাচ্ছি আবির দা,,বলেই দোল্লা থেকে উঠে ঘরে চলে যাওয়ার জন্যে উদ্দত হতেই পাশের ব‍্যালকনি থেকে আবিরের নরম গলার স্বর কানে ভেসে আসে,,

-পাখি মেডিসিন গুলো খেয়েছিস

-পেখম মাথা নাড়িয়ে হ‍্যাঁ বলে,,,

-আর মলম টা??

-দাভাই এসে লাগিয়ে দিয়ে গেছে,,,

-ঠিক আছে যা ঘুমিয়ে পড়,,,আর শোন ঘরের পাখার স্পিরিট টা কমিয়ে রাখবি আজ বেশ ঠান্ডা,,,

-ঠিক আছে,, বলে যেতে গেলেই আবার পিছন থেকে ডাকে আবির”পাখি”

-কিছু বলবেন??

-হ‍্যাঁ আসলে তোর মাথার চুল গুলো আজকে বেঁধে শুবি,,,

-চুল বেঁধে শুয়ে পড়লে সকালে মাথা ভীষণ ব‍্যাথা করে,,,আর চিরুনি দিতে পারি না,,,

-ঠিক আছে যা,অনেক রাত হয়েছে,,, পাখি চলে যেতেই আবির ব‍্যালকনির রকিং চেয়ারে বসে পেপার ওয়েট টা হাত দিয়ে ঘোরাতে ঘোরাতে বলে,,

-প্রিয়তমার অবাধ্য কেশ গুলো যখন আঁছরে পরে তার সারা মুখে বারংবার তখন এই প্রেমিক হৃদয়ে শুরু হয় তোলপাড়।আর এই তোলপাড়ের প্রকোপে প্রেমিক মনের সহ‍্যের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়ে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করে তার প্রিয়তমার কাছে যেতে এবং বুকের মাঝে ঝাপটে জড়িয়ে ধরতে,,,প্রিয়তমা কি জানে তার প্রেমিক হৃদয় বড়ই ব‍্যাকুল হয়ে থাকে সর্বদা??

-তার পর মুহূর্তেই বলে ওঠে জানে না,, প্রিয়তমা জানে না,,, জানলে এত কষ্ট দিতে পারতো না তার আচরণের মাধ্যমে প্রেমিক পুরুষকে,,,,আবির মনে মনে হেসে ওঠে এই মেয়ে্য জন্যে তাকে কি না কি করতে হয়,,,,না আজ আর ঘুম আসবে না এই চোখে,,আজ পুরানো স্মৃতি চারণ করেই কাটিয়ে দেবে,,

-এই তো সেবার পাখিকে এক পলক দেখার জন্য ব‍্যাঙ্গালোর থেকে দেনানদার ফ্লাইটের টিকিট কেটে দু ঘন্টার মধ্যে কলকাতায় এসেছে,,, মা বাবা তো প্রায় অবাক হয়ে গিয়েছিল বলা নেই কয়া নেই এই ভাবে চলে আসায়,,,মা বাবার সাথে কথা বলে ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে নেয় আবির, তারপর ব‍্যালকনিতে গিয়ে দেখে তার রাত-প্রেয়সী আরামে টেডি জড়িয়ে ঘুম দিচ্ছে,,, সেই দিন সারা রাত আবির ব‍্যালকনিতে বসে পাখিকে দেখেছে,,,ব‍্যাস এবার সে আরামসে পাঁচ- ছয় মাস ব‍্যাঙ্গালোরে থাকতে পারবে,,,

-আবার একদিনের ঘটনা পাখিকে কলেজ থেকে আনতে গিয়ে দেখে একটা ছেলে ওকে প্রেমপত্র দিচ্ছে,, সেটা দেখে যে কি পরিমাণে রেগে গিয়েছিল মনে তো হচ্ছিল ছেলেটার মাথা ফাটিয়ে দি,,,তারপরও পাখি ছিলো বলে নিজের রাগটা কনট্রোল করেছিল,, পাখিকে বাড়িতে নামিয়ে আবার কলেজে ছুটে গিয়েছিল,, ভাগ্য ভালো ছিল তাই ক‍্যাফেটেরিয়ায় ছেলেটাকে পেয়ে যায় এবং রীতিমতো থ্রেট দিয়ে আসে,,,

-আবার সেইদিনের ঘটনা রাত ৩টে পর্যন্ত ফোনে কারোর সাথে কথা বলতে দেখে সেই রাতে আবিরের আর ঘুম হয়নি,,পরের দিন সকাল সকাল তীয়াকে দিয়ে ফোন করিয়ে জানে যে ওটা গ্ৰুপ কল ছিলো।মেয়েটা ওকে বেশ ভালোই টেনশনে ফেলে দেয় মাঝে মাঝে,,,

-আবির এইসব কথা গুলো ভাবতে ভাবতে পেখমের ঘরের দিকে তাকায়,, দেখে মেয়েটা গুটিসুটি মেরে শুয়ে আছে,, একের থেকে পায়ে ব‍্যাথা,, তার উপরে বৃষ্টিতে ভিজেছে,,, জ্বর এলো নাকি এই টেনশনে যেটা কোনো দিন করেনি আজ সেটা করতে বাধ্য হল,,,এত রাতের মধ্যে দিয়েও ফ্ল্যাটের টেরিসে চলে যায় আবির,,তারপর সেখান থেকে টপকে চলে যায় পাখিদের টেরিসে,,,খুবই সন্তপর্ণে পাইপ বেয়ে নেমে আসে পাখির ব‍্যালকনিতে,,,ধিরে ধিরে ব‍্যালকনিতে নেমে নিজের ব‍্যালকনিতে তাকায় তারপর কিছু একটা ভেবে বলে ওঠে না এখান থেকে ওখানে লাফিয়ে গেলে আমাকে হাসপাতালের দোর গড়ায় যেতে হবে তার কোনো দরকার নেই,,, ভাগ‍্যিস এই মেয়েটি দরজা খোলা রেখেছে,,,,তারপর আস্তে আস্তে ঘরে চলে যায়,,,

-বিছানায় গুটিসুটি হয়ে শুয়ে থাকা পেখমের কপালে হাত দিতেই টের পায় জ্বর চলে এসেছে,,,পকেটে করে আনা জ্বরের মেডিসিন টা আলতো করে খাইয়ে দিল আবির ,,তাতে পেখমের ঘুমটা হালকা ভেঙে যায়,, নিজেকে আবিরের বাহুবন্ধনে দেখে স্বপ্ন ভেবে হেসে ওঠে ও । আবির পাখির গায়ের উপর একটা পাতলা ব্ল‍্যাকেট দিয়ে দিল,,,আবিরের খুব করে মন চাইছে তার মায়াবিনীকে নিজের বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরে রাখতে,, কিন্তু নিজের ইচ্ছা টাকে আপাতত ধামা চাপা দিয়ে কপালে একটা ভালোবাসার পরশ দিয়ে দেয়,,,অবাধ্য চুল গুলোকে কানের পাশে গুজে দিয়ে বেরিয়ে যায়,,,,প্রেমিক পুরুষ যে তার কাছে এসেছিল সেটা প্রিয়তমা জানতেও পারলো না,, পেখম গরম ব্ল‍্যাকেট পেয়ে সেটাকে জড়িয়ে আবার গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

চলবে,,,

(রিচেক করার সময় পাইনি,,,লাইক ও মন্তব্য করে পেজের পাশে থাকবেন)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here