Senior life partner পর্ব ৪২

0
1411

#Senior_life_partner
পর্ব—-42
Afrin Ayoni

রিদীমার জ্ঞান ফিরেছে ঠিক 22 ঘন্টা পর। মিটিমিটি চোখে তাকিয়ে দেখছে চারপাশ।কেমন ঝাপসা ঝাপসা চারদিকটা।চোখের সামনে সবার প্রথমে ভেসে উঠেছে একমাত্র ভাইয়ের চেহারাটা।জোর নেই শরীরে। হালকা গলায় বলে উঠলো– ভাই!!

রবিন পাশেই বসে আছে।নিজের কানকে যেন বিশ্বাস করতে পারছে না।দুহাতে নিজের চোখ দুটো মুছে ভালো করে তাকালো রিদীমার দিকে,,,

রবিন– আপুনি!!

রিদীমা মুখে হাসি টেনে রাখতে চাইছে।কিন্তু এই অসুস্থ শরীর তাকে সেটা করতে দিচ্ছে না। গলা দিয়ে কথা বের হচ্ছে না রিদীমার। হাতের মধ্যাঙ্গুল টা একটু নড়াচড়া করছে কেবল।

রবিন স্বাদকে চিৎকার করে ডাকলো।স্বাদ আর শাহেদ কেবিনের বাইরে কিছু একটা নিয়ে আলোচনা করছিলো। রবিনের ডাকে দুজনেই কেবিনে প্রবেশ করে।ইসুয়া ও ছুটে এলো।

স্বাদ– What happened???

রবিন– আপুনি এইমাত্র ডাকলো আমাকে।

স্বাদ এগিয়ে এসে রিদীমার পালস চেক করে। মুখে হাসি টেনে বলে,,,, ohhh god??

শাহেদ– কি রে কি বুঝলি??

স্বাদ– পালস তো ভালোই আছে।তবে জখমটা খুব বেশি গাঢ় তো তাই সময় লাগবে সুস্থ হতে।

ইসুয়া– আপু কথা বলতে পারবে না আজ থেকে।??

স্বাদ– এ সময় ওকে একেবারেই কথা বলতে দেওয়া ঠিক হবে না। দুদিন যাক,আবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

রবিন– বাড়িতে খবরটা জানানোর প্রয়োজন। মা বাবা খুব টেনশন করছে।

শাহেদ– আমি জানিয়ে দিচ্ছি।??

ইসুয়া– স্বাদ ভাইয়া,,আপুকে কিছু খাওয়ানো যাবে??

স্বাদ– 48 ঘন্টা অবধি স্যালাইন চলবে শুধু।

ইসুয়া– Ohh…..??

রবিন এদিকে ওদিকে তাকিয়ে কাউকে খুঁজছে।তারপর স্বাদের দিকে তাকিয়ে বললো– এখন আপনার একটু বিশ্রামের প্রয়োজন। আপনি বরং বাড়িতে চলে যান।কিছুক্ষণ রেস্ট করে আবার চলে আসবেন।

স্বাদ– রিদ পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত আমি কোথাও যাচ্ছি না। যে কোনো সময় ট্রিটমেন্টের প্রয়োজন হতে পারে।

এবার রবিন শাহেদের দিকে তাকালো।শাহেদ কাটা কাটা গলায় বললো — সরি,আমি ও যাচ্ছি না।??

ইসুয়া রবিনের দিকে তাকিয়ে– ভাইয়াদের বলে লাভ নেই। তুমি ই বরং বাড়িতে যাও।এদিকে কিছু জিনিসপত্র লাগবে,,,বাড়ি থেকে গিয়ে আনতে হবে। তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বাবা মাকে সামলিয়ে জিনিস গুলো নিয়ে আবার চলে আসো।

স্বাদ– হ্যাঁ তাই কর রবিন। আমরা তিনজন তো আছি।

শাহেদ– বাড়িতে গিয়ে আমাকে জানিও তো শিলা কোথায় আছে?ওর জন্য খুব চিন্তা হচ্ছে। ??

স্বাদ শাহেদ আর ইসুয়ার জোরাজুরিতে রবিনকেই বাড়ির জন্য বেরুতে হল।রবিন হসপিটাল থেকে বেরোতে যাবে তার চোখ পড়ে ওয়েটিং রুমে বসে থাকা নয়নের উপর।হাত দিয়ে ইশারা করতেই নয়ন ছুটে আসে রবিনের কাছে।

নয়ন– কি রে?আপুর কি অবস্থা???

রবিন– জ্ঞান ফিরেছে। রিকভারি করতে দুদিন লাগবে।

নয়ন– মানে কথা বলতে হাঁটাচলা করতে আরো দুদিন লাগবে????

রবিন– হুম।

নয়ন মিনমিন করে– Ohhhh no …. ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে যাবে।??

রবিন– কিরে ফিসফিস করছিস কার সাথে??

নয়ন– এমনিতেই কিছু না। কই যাচ্ছিস এখন??

রবিন– বাড়িতে,,,, একটু দরকার ছিলো।

নয়ন– ওহ আচ্ছা।

রবিন– শুভ কই রে????

নয়ন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কি উত্তর দিবে এই প্রশ্নের? আমতা আমতা করে বললো– জানি না তো!!

রবিন ভ্রু কুঁচকে– মিথ্যা বলবি না একদম।??

নয়ন– সত্যি জানি না।

রবিন– শুভ কোথায় তা না হয় জানিস না,কিন্তু এখন আমি যে প্রশ্ন গুলো করবো তার ঠিক ঠিক জবাব দে।

নয়ন কপাল ভাঁজ করে– কী????

রবিন– শুভর এমন পাগলামির মানে কি??

নয়ন– কি বলতে চাচ্ছিস??

রবিন– আপুনিকে নিয়ে কি করলো দেখলি না??

নয়ন– স্বাভাবিক ব্যাপার!কাছের আত্মীয় স্বজনের অবস্থা এমন দেখলে পাগলামি তো করবেই।

রবিন– বোকা বানাস না! তুই কথা ঘুরাচ্ছিস।

নয়ন– ????

রবিন– শুভ কি আপুনিকে??

নয়ন– বাদ দে প্লিজ।ওটা past ছিলো।

রবিন– প্লিজ বল আমাকে।আমাকে কেন এতদিন কিছু জানালি না??

নয়ন– কি জানাতাম?? শুভ রিদীমা আপুকে পাগলের মত ভালবাসে? বিগত কিছু বছর যাবত আপুকে এখানে সেখানে রাস্তাঘাটে ফলো করে আসছে, বিরক্ত করছে।এসব????

রবিন– পছন্দ করে বললে ও পারতি!!

নয়ন– তোরা দুজন ই আমার বন্ধু। আমি একজনকে আরেকজনের কাছে খারাপ বানাতে পারছিলাম না। ভয় হত যদি তোদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল ধরে।

রবিন– এখন কোথায় ও????

নয়ন– চলে গেছে।

রবিন– চলে গেছে মানে????

নয়ন– এর বেশি কিছু বলতে পারবো না আমি। কিছু জিজ্ঞেস করিস না।

রবিন– কই গেছে ??

নয়ন– সেটা তো বলেনি।তবে বলেছে আর কবে দেখা হবে জানা নেই??

রবিন– বন্ধুত্বের কোনো দাম নেই ওর কাছে????

নয়ন– রাগছিস কেন?ভালো ই তো করেছে,,,রিদীমা আপুর পথের একটা কাটা গেছে।??

রবিন– আমি আর তুই ওর কাছে কিছুই ছিলাম না??

নয়ন– দেরি হচ্ছে। তুই বাড়িতে যা।কখন কি দরকার লাগে হসপিটালে।??

রবিন চলে গেল। নয়নের ছলছল চোখ দুটো থেকে তখন নীরবে অশ্রু ঝড়ছে।সামনে এগিয়ে যাওয়া রবিনের চোখ দুটো ও থেমে নেই।একদিকে প্রিয় বন্ধুর সাথে বিচ্ছেদ, অপরদিকে একমাত্র বোনের অসুস্থতা দুইটা কষ্টের ভার নিতে পারছে না এই ছোট্ট হৃদয়। ??

নয়ন কাউকে মেসেজ করে জানিয়ে দিল– রিদীমা আপুর জ্ঞান ফিরেছে।দুদিন সময় লাগবে স্বাভাবিক হতে।প্লিজ যাস না। আমার আর রবিনের গুরুত্ব নেই তোর কাছে?রবিন খুব আপসেট হয়ে পড়েছে।??

লন্ডনের ফ্লাইটে বসে শুভ মুচকি হাসে।রিপ্লাই করলো– ভালো থাকিস।দেখে রাখিস সবাইকে…Goodbye!!

মেসেজটা করেই ফোন বন্ধ করে ফেলে শুভ।আর পিছুটান নয়।চোখ দুটো লাল হয়ে আছে। গাল গুলোতে আঙ্গুলের ছাপ লেগে আছে। বারবার চোখের পানি মুছে চলেছে???। পিছনে রেখে যাচ্ছে আত্মার চেয়েও আপন দুই বন্ধুকে আর শিশুকাল থেকে যৌবনকাল অবধি ভালবেসে আসা একমাত্র প্রিয় মানুষটাকে!!

অস্পষ্ট স্বরে বলে উঠলো– আপনিও ভালো থাকবেন My Princess ??

———————————————————————-

দেলোয়ার খান আর সিনথিয়া বসে আছে একটা রুমে।সিনথিয়া বাবার দিকে তাকিয়ে,,,

সিনথিয়া– পাপা! এটা কি করলে তুমি?এখন তোমার বিরুদ্ধে সব তথ্য সহজেই ধরা পড়ে যাবে।

দেলোয়ার খান– আমার লোকরা এত অদক্ষ নয়।ঐ মেয়েটাই মাঝখান থেকে এসে সব বানচাল করে দিল।

সিনথিয়া– আচ্ছা, আমি বুঝতে পারছি না মারিয়ার সঙ্গে আপুর কি শত্রুতা????

দেলোয়ার খান– সেটা তো আমার ও প্রশ্ন। কিন্তু আমার কাজটা ঐ হতচ্ছাড়ির জন্য পুরো বেসতে গেল।

সিনথিয়া– কিন্তু আপুকে মেরেই কেন সম্পত্তি পেতে হবে??

দেলোয়ার খান– তোমার আপু বেঁচে থাকলে ঐ সম্পত্তির আশা করা ও ভুল হবে।রবিন আর রিদীমাকে সরানো ছাড়া সম্পত্তি পাওয়ার কোনো উপায় নেই।

সিনথিয়া– দুই দুটো খুন!!??

দেলোয়ার খান– বললাম যে উপায় নেই।

সিনথিয়া– তা তোমার প্ল্যান কি ছিলো বললে না তো।

দেলোয়ার খান– লাইট গুলো অফ করার সঙ্গে সঙ্গে দুটো গুলি চলবে।??

সিনথিয়া– তাই ই তো হল।দুটো গুলি চলেছে।

দেলোয়ার খান– চলেছে,,,কিন্তু দুটো গুলিই রিদীমাকে করা হয়েছে। যার একটা করেছে আমার লোকেরা আর অপরটা করেছে মারিয়া মেয়েটা।তাই আমার লোকেরা Confused হয়ে গেছে।

সিনথিয়া– দুটো গুলি রিদীমা আপুর জন্য ছিলো না??

দেলোয়ার খান– মোটেও না,,,দুটো গুলি ওদের দুই ভাই বোনের জন্য ছিলো।কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হল না। মারিয়াকে ঐ শুভ ছেলেটা ধরে ফেললো আর আমার দলের লোকদের একজন আটকে পড়লো রবিনের জালে।

সিনথিয়া– এবার কি হবে??☹☹

দেলোয়ার খান কপালের ঘাম মুছতে মুছতে বসে পড়ে সোফায়– জানি না।

সিনথিয়া– এবার তো জেলের ভাত নিশ্চিত।দেখো বাবা,,, জেলখানায় 3rd ডিগ্রি সহ্য করতে না পেরে আবার আমার নাম নিও না।??

দেলোয়ার খান মেয়ের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন আর মনে মনে বলেন– পুরাই কালসাপের বাচ্চা।?

সিনথিয়া — মরেই যেত।বেঁচে আমাদের backside এ বাঁশ দিচ্ছে???

দেলোয়ার খান– এই না হলে real হারামির বাচ্চা।

সিনথিয়া– ???

রবিন বাড়িতে এসে রিদীমার হুঁশ ফেরার খবর জানায়।আফজাল সাহেব আর দিতী বেগম কিছুটা শান্ত হয়েছেন। মমতা চৌধুরী ও কিছুটা চিন্তামুক্ত হয়েছে। রবিন ফ্রেশ হয়ে শিলার খবর নিতেই রুম থেকে বের হল।নিশুয়া আর শিলা তখন ড্রয়িং রুমে বসে আছে।

রবিন– শিলা!

শিলা– হ্যাঁ ভাইয়া।

রবিন– শাহেদ ভাইয়া যতক্ষণ না ফিরছে ততক্ষণ তুই এই বাসা থেকে এক পা ও বের হবে না। এখন আমরা সবাই লাইফ রিস্ক নিয়ে আছি।

শিলা– ঐ বাসা খালি পড়ে আছে। ??

রবিন– থাকুক।কিছু হবেনা।

নিশুয়া– হ্যাঁ আপু দরকার নেই যাওয়ার। একা থাকবে নাকি??

রবিন– নিশুয়া, আঙ্কেল আন্টি কোথায়??

নিশুয়া– আব্বু আম্মু তো বাসায় গেছে।

রবিন– আচ্ছা। তুমি শিলার সাথে এখানে থেকে যাও।ইসুয়া কখন হসপিটাল থেকে ফিরবে ঠিক নেই।

নিশুয়া– আচ্ছা ভাইয়া।??

সুরাইয়া খান একটা বড় টিফিন ক্যারিয়ারে চার জনের জন্য খাবার প্যাক করে আনলেন।

সুরাইয়া খান– এই নে,তুই ও তো কিছু খেলি না। তোদের সবার জন্য খাবার দিয়ে দিয়েছি।আর এই ব্যাগে ইসুয়া যা যা দিতে বলেছে দিয়ে দিয়েছি।

রবিন– ঠিক আছে।আমি গেলাম।সবাইকে দেখে রেখ।সাবধানে থেকো।

সুরাইয়া খান– টেনশন নিস না।সাবধানে যাস।??

রবিন খাবার আর ব্যাগ নিয়ে আবারো ছুটে চললো হসপিটালের উদ্দেশ্য।।

……………………………………………………..

দুদিন পর,,,,,,

রিদীমা পুরোপুরি সুস্থ না হলেও অনেকটাই সুস্থ। তাকে আজ রিলিজ করা হবে।বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই তাকে ইসুয়া তৈরি করছিলো,,,,

রিদীমা– এই কদিন সবাইকে চাপে রেখেছি তাই না??

ইসুয়া অভিমান করে — কি বললে তুমি?তুমি জানো তোমার জন্য আমরা সবাই আধমরা হয়ে গেছি।

রিদীমা– এত টেনশনের কিছু ছিলো না। পাগলটা কি খুব বেশি কেঁদেছে????

ইসুয়া– কয়জনের কথা বলবো?তুমি কার কথা বলছো?

রিদীমা– আমার ভাইটা!??

ইসুয়া– ওহ্। বাচ্চাদের মত একেবারে,,, হাউমাউ করে সে কি কান্না।

রিদীমা– জানো ইসুয়া!একবার মম ছোটবেলায় বেশি দুষ্টুমি করাতে রবিনকে মারতে গেছিলো,,, আমি সামনে এসে পড়ায় লাঠির বারি আমার আঙ্গুলে পড়ে আঙ্গুলটা ভেঙে যায়। তখন ড্যাড জলদি করে ডক্টরের কাছে নিয়ে গেল।আঙ্গুলটা ব্যান্ডেজ করে বাসায় ফিরতেই আমাকে জড়িয়ে সে কি কান্না। ও তিনদিন খায়নি কিছু। মা বলেছিল,,,”রবিনের গায়ে লাগলেও এতটা কান্না করতো না যতটা আমার আঘাতের জন্য কেঁদেছে সে।”

ইসুয়া– তোমরা দুই ভাই বোন একে অন্যকে খুব ভালবাসো তাই না????

রিদীমা– হুম। বাবা মা দাদীজান কেমন আছেন??

ইসুয়া — ভালো ই।তবে এতদিন খুব হাইপার ছিলো সকলে।

রিদীমা– আমার জন্য সবাইকে কত হেনস্থা হতে হল।

ইসুয়া– এভাবে বলো না। সবাই তোমার জন্য দিনরাত তোমার সুস্থতা কামনা করে গেছে। ??

রিদীমা– সবাই আমাকে খুব ভালবাসে।

ইসুয়া– স্বাদ ভাইয়া না থাকলে তো অপারেশন করার মত ডক্টর ই ছিলো না। শাহেদ ভাইয়া আর স্বাদ ভাইয়ার চোখে বন্ধুকে হারানোর ভয় দেখেছি স্পষ্ট।

রিদীমা– দুইটা ই আস্ত পাগল।??

ইসুয়া– বন্ধুরা এমনি হয়।শুভ তো একটু হলে হাসপাতাল ই ভেঙ্গে ফেলতো।

রিদীমা ভ্রু কুঁচকে– কেন????

ইসুয়া– তোমাকে হসপিটাল পর্যন্ত নিয়ে আসার সকল ব্যবস্থা করার পর যখন এখানে এসে শুনলো ডক্টর নেই,, সে কি চিল্লাপাল্লা!কান্নাকাটি,ডক্টরদের শাসিয়েছে অবধি।পরে যখন স্বাদ ভাইয়া অপারেশন করাতে রাজি হচ্ছিল না তার পায়ে ধরেছে অবধি।

রিদীমা– বদ্ধ উন্মাদ এই ছেলে।??

ইসুয়া মুখ মলিন করে– তবে আরেকটা কথা।

রিদীমা আড়চোখে তাকায় ইসুয়ার দিকে– কি???

ইসুয়া– শুভকে শেষ তোমাকে অপারেশন থিয়েটারে ঢোকানোর পর দেখেছি।এই দুদিন নয়নকে দেখলে ও একবারের জন্যও শুভকে হসপিটালের আশেপাশে দেখা যায় নি।

রিদীমার কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে। ইসুয়া যা বলছে তা কি সত্যিই!!হঠাৎ কেবিনের দরজা দিয়ে ঢুকলো স্বাদ আর রবিন।

স্বাদ– আমার পেশেন্ট এখন কেমন আছে???

রিদীমা হেসে–আয় ডাক্তার!তোর পেশেন্ট বলে কথা,, ভালো তো হতেই হবে।

স্বাদ– তা বটে।

রবিন– এখন কেমন ফিল করছো????

রিদীমা– বেশ ভালোই।

রবিন ইসুয়ার দিকে তাকিয়ে– তোমরা রেডি?? হসপিটালের সামনে গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে।

ইসুয়া– এইতো শেষ।?

রবিন– তাহলে আর বসে কেন?? চল।

স্বাদ– ওকে বাই।??

রবিন– বাই মানে??

স্বাদ– আমি এখান থেকে ডিরেক্ট বাড়িতে ফিরবো।

রবিন– আপনি আর শাহেদ ভাইয়া দুজনেই আমাদের সঙ্গে চৌধুরী মেনশন যাচ্ছেন।আন্টি ও সেখানে আছে।

রিদীমা– ডং না করে চল তো।??

স্বাদ– আচ্ছা।

রিদীমাকে নিয়ে সবাই একই গাড়িতে করে চৌধুরী বাড়িতে ফিরলো।ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে বাড়ির সবাই। রিদীমাকে দেখে এগিয়ে গেল দিতী বেগম আর সুরাইয়া খান। বাকি সবাই বসে আছে। রিদীমাকে নিয়ে মমতা চৌধুরীর পাশে বসালো আফজাল সাহেব।

মমতা চৌধুরী রিদীমার মাথায় হাত বুলিয়ে– আমার নাতনী????

রিদীমার সামনে একসঙ্গে সোফায় বসে আছে,,,, দেলোয়ার খান,সিনথিয়া আর মারিয়া। রিদীমার পাশে মমতা চৌধুরী আর আফজাল সাহেব।

বাকিরা রেহানা বেগম,স্বাদ,শাহেদ,শিলা,নয়ন,রবিন, ইসুয়া, নিশুয়া,ঝুমা বেগম,তারেক সাহেব,আকাশ,তার বউ সাথী,দিতী বেগম,সুরাইয়া খান সহ রহিমা।

রিদীমা– What happened????

রবিন– আজ এক এক করে সবকিছুর জট খুলবে আপুনি।??

_______________________________(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here