#Senior_life_partner
পর্ব——36
Afrin Ayoni
জরুরী তলব হঠাৎ!!
রিদীমা– তুই বস,,,,আরো একজনকে আসতে বলেছি।
স্বাদ– কাকে????
রিদীমা– এলেই দেখবি।
রেস্টুরেন্টের দরজা দিয়ে শাহেদকে ঢুকতে দেখে স্বাদ উঠে দাঁড়ায়। রিদীমা স্বাদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে– কি??
স্বাদ– ও এখানে কেন রিদ??
রিদীমা– বস, একটু পর ই জানতে পারবি।
শাহেদ রিদীমাদের সঙ্গে যোগ দিলো।রিদীমা আর স্বাদের দিকে তাকিয়ে বললো– Hi guy’s….
স্বাদ যেন অসন্তুষ্ট। রিদীমা মুচকি হেসে জবাব দেয়। শাহেদ রিদীমাকে উদ্দেশ্যে করে বলে,,,
শাহেদ– এভাবে ডাকার কারণ????
রিদীমা– আজ তোদেরকে আমার অনেক কিছু জানানোর আছে??
স্বাদ– ফোনে বললেই পারতি।
রিদীমা– সরাসরি বলতে হবে তাই তো ডেকেছি।তোর সময় না থাকলে আসতে পারিস।
স্বাদ—- ????
শাহেদ– বলো,,কি হয়েছে??
রিদীমা — সেদিন না আসার কারণ কী??
শাহেদ ভ্রু কুঁচকে– কোন দিন??
রিদীমা– Just shut up…. আমি এখানে মজা করতে আসিনি,যা জানতে চেয়েছি বলো।??
স্বাদ– পুরোনো কাসুন্দি ঘাটার কি দরকার রিদ?বাদ দে না।
রিদীমা স্বাদের দিকে তাকিয়ে– তোর কি খুব বেশি প্রবলেম হচ্ছে??
স্বাদ হকচকিয়ে গেল, আমতা আমতা করে বলল– না।
রিদীমা– তাহলে একটু চুপ থাক। ??
রিদীমা শাহেদের দিকে তাকিয়ে– কি হলো?বলুন…. এতদিন তো এই সুযোগটাই খুঁজছিলেন।
শাহেদ গলা খেঁকিয়ে– যেদিন আমাদের কাজী অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা ছিলো।তখন আমি বাসা থেকে সব ব্যবস্থা করেই বের হয়েছিলাম প্রিয়দর্শীনি।
স্বাদ– পথে এমন কি হল সব ব্যবস্থা জলাঞ্জলি দিলি?
শাহেদ– রাস্তায় ছিলাম হঠাৎ একটা কল আসে আমার অফিস থেকে খুব important mission এ যেতে হবে,ঐ মূহুর্তেই।
রিদীমা– আমাকে কল করে জানানোর প্রয়োজন ছিলো না কি????
শাহেদ– তখন কি বলতাম আমি??আমার এই কাজের কথা তখন সবার কাছ থেকে লুকানো ছিলো।কেউ জানতো না।
রিদীমা– আমি সারাদিন বসে ছিলাম যেখানটাই আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলে।
শাহেদ– আমার মিশন শেষ হতেই আমি সরাসরি সেখান থেকে তোমার কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।তবে……….
রিদীমা আর স্বাদ– তবে????
শাহেদ– আমি যখন মিশন শেষ করে আসতে যাবো তখনই একটা নাম্বার থেকে কল আসে।আর আমার মাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
রিদীমা– Don’t talk rabies…. ??
স্বাদ হেসে জবাব দেয়– গল্প বানাস না,তোর তো মা নেই।তোর মাকে কে মারতে যাবে??
শাহেদ স্বাদের দিকে তাকিয়ে– তোর উত্তর টা আমি পরে দিচ্ছি,ওয়েট।
রিদীমার দিকে তাকিয়ে বললো– মায়ের কাছ থেকে সেই ছোটবেলায় দুই ভাই বোন আলাদা হয়ে গেছি, অন্তত দূর থেকে একটু দেখার আশা তো আছে যতদিন বেঁচে থাকবে!যদি সেদিন আমি যেতাম,,তোমাকে বিয়ে করতাম তবে আমার মাকে আমাদের হারাতে হত।জীবনে অনেক কিছু হারিয়েছি প্রিয়দর্শীনি। আর হারাতে ইচ্ছে করেনি সেদিন।
রিদীমা– আমি??আমাকেও তো সেদিন হারিয়েছেন।
শাহেদ– দুটো দিন পার হয়ে গেলে তোমাকে জানাবো ভেবেছি,কিন্তু তুমি তো আমাকে সেই সময়টাই দিলে না।
স্বাদ দুজনের কথায় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেল। কি হচ্ছে এসব?মাথায় ঢুকছে না কিছু তার।
রিদীমা– কে ছিলো????
শাহেদ– Mr. দেলোয়ার খান।
রিদীমা তার ডান হাত দিয়ে টেবিলের উপর থাকা গ্লাসটা মাটিতে ছুঁড়ে মারে– এই একটা মানুষই আমার জীবনের কালসাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই শুরু থেকে।
শাহেদ– তিনি আরো অনেক কাজের সাথে যুক্ত। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে তাকে ধরা যাচ্ছে না। উপর থেকে special officer নিযুক্ত করা হয়েছে।তার সকল কর্মকান্ডের প্রমাণ সহ তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করার নির্দেশ আছে।
রিদীমা– আমার কাছে কিছু proved আছে,তবে ওগুলো যথেষ্ট নয় আমার মনে হয়। অপরাধীকে হাতেনাতে ধরাই সর্বোত্তম উপায়।
শাহেদ– No problem…. যাকে লাগানো হয়েছে ডিউটিতে সে সুযোগের অপেক্ষায় শুধু।
স্বাদ– এবার আমাকে ও কিছু বুঝিয়ে বল।??
রিদীমা– আমার এ বিষয়ে only শাহেদের সঙ্গে কথা ছিলো।হয়ে গেছে,তুই এত জেনে কি করবি??
শাহেদ– আমাকে কি আরেকটা সুযোগ দেওয়া যায় না প্রিয়দর্শীনি??
রিদীমা– আমি এখন এসব নিয়ে ভাবছি না, ভাবতে চাই না।
স্বাদের দিকে ফিরে তাকালো রিদীমা — হঠাৎ এ দেশে আসার কারণটা আমাকে বলবি?
স্বাদ ভ্যাবাচ্যাকা খায়। রিদীমা কি কিছু সন্দেহ করছে?
স্বাদ আমতা আমতা করে বললো– মায়ের জন্য। তার আবদারেই।
রিদীমা– ইসুয়াকে কি বলেছিস????
স্বাদ টেনে টেনে বলে– আমি………….???
রিদীমা– আমি তোকেই জিজ্ঞেস করছি।
স্বাদ– আমি ওকে আবার কি বলতে যাব??
রিদীমা– চালাকি করার চেষ্টা করিস না ডাক্তার।
স্বাদ– Actually I love u রিদ।??
রিদীমা খুব একটা অবাক না হলেও শাহেদ তার রক্তচোখে তাকিয়ে আছে স্বাদের দিকে।
রিদীমা– R u mad????
স্বাদ– কেন রিদ?কাউকে ভালবাসার মাঝে পাগলামির কি দেখলি??
শাহেদ– স্বাদ তুই জানিস আমার আর রিদীমার সম্পর্কের কথা।তারপর ও??
স্বাদ– রিলেশনটা নেই।থাকলে কখনোই এভাবে স্বীকার করতাম না রিদকে আমিও ভালবাসি, ভালবাসতাম।
রিদীমা– ভালবাসতাম মানে??
স্বাদ– আমি ও তোকে ভার্সিটি থেকেই ভালবেসে আসছি।কিন্তু তোদের রিলেশনের পর আর দেশে থাকার সাহস পাইনি।কিছু দিন পর ই লন্ডনে চলে যাই।
রিদীমা– What??
শাহেদ– কি বলছিস তুই এসব??
স্বাদ রেগে — কেন? তুই যদি রিদকে ভালবেসে মাঝপথে হাত ছেড়ে দিতে পারিস,তবে আমি রিদকে ভালবাসি স্বীকার করাতে কোনো ভুল দেখতে পাচ্ছি না।
রিদীমা– Stop guy’s….. আমি কোনো পোশাক নই যে পছন্দ হল আর তোরা কিনে নিলি????
স্বাদ— রিদ শোন।
রিদীমা– আমাকে আগে বলিসনি কেন??
স্বাদ– Friendship ভাঙার ভয়ে।
শাহেদ– এখন বুঝি friendship ভাঙার ভয়টা নেই??
রিদীমা– এখানে তোদের তর্ক করতে ডেকে নিয়ে আসিনি আমি।দেখ স্বাদ, আমি জীবনে একজনকে ভালোবেসেছিলাম।তার জায়গায় অন্য কাউকে মেনে
নেওয়া it’s not possible….??
স্বাদ– রিদ এভাবে বলিস না।
স্বাদ হুট করেই রিদীমার হাতটা ধরে। রিদীমা হকচকিয়ে গেল। শাহেদ কপাল কুঁচকে দেখছে সবকিছু।
রিদীমা– কি করছিস কী?হাত ছাড়।
শাহেদ– হাতটা ছাড় স্বাদ।
স্বাদ– আমি তোকে খুব ভালবাসি রিদ।আমি তো দূরেই চলে গেছিলাম ভাগ্য আমাকে আবারো টেনে এনেছে।এতে আমার দোষ টা কোথায় বল??
রিদীমা– দেখ বিষয়টা এমন না যে, তোকে রিজেক্ট করে আমি শাহেদকে আবার সুযোগ দিচ্ছি।আমি আমার লাইফের সঙ্গে আর কাউকে জড়াতে চাই না।
শাহেদ এবার যেন একটু নিভে গেল — প্রিয়দর্শীনি!!??
স্বাদ– রিদ আমাকে ……….
রিদীমা উঠে দাঁড়ায়, আর বলে — আমি আর কিছু শুনতে চাচ্ছি না প্লিজ।যা বলার ছিলো বলে দিয়েছি আমি।
শাহেদ– কিন্তু!!
রিদীমা– তোরা বস,আরো একজন আসার ছিলো।এত লেইট হচ্ছে কেন আমি এগিয়ে দেখি।
কথাটা বলে রিদীমা রেস্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে যায়। স্বাদ আর শাহেদ নিঃস্তব্দ হয়ে আছে।কি হবে বুঝতে পারছে না কেউ। কি চায় রিদীমা??
মিনিট চারেক পর রিদীমা একটি মেয়ের সঙ্গে রেস্টুরেন্টে ঢুকলো,,,
শাহেদ স্বাদের দিকে তাকিয়ে বললো– “Who is She?”
স্বাদ সামনে তাকিয়ে দাড়িয়ে গেল –মিস মারিয়া।??
রিদীমা আর মারিয়া একসঙ্গে এগিয়ে আসে স্বাদ আর শাহেদের দিকে।মারিয়া একটা সিম্পল সুতি শাড়ি পড়ে আছে।চলাফেরা হাঁটার স্টাইলে কিছুটা বাঙালি বাঙালি মনে হচ্ছে।
স্বাদ– আপনি এখানে????
রিদীমা— আমি ডেকেছি।
স্বাদ– কেন??
রিদীমা– মেয়েটাকে দেখ ডাক্তার,তোকে পাওয়ার জন্য কত কি না করছে? আর তুই!!
স্বাদ– তুই জানিস না রিদ উনি সেদিন কি করেছে??
রিদীমা– আমি সব জানি,মারিয়া আমাকে সবটাই বলেছে।কিন্তু কার জন্য করছে এসব সে?? ওটা একবার ভাব।??
স্বাদ– চাই না ভাবতে ।
রিদীমা কিছু বলতে যাবে তার আগেই মারিয়া বলে উঠলো — Dr. আহসান!!
স্বাদ ভ্রু কুঁচকে তাকায়।
মারিয়া এগিয়ে এসে বললো– আমি আর আপনাকে কখনো disturb করবো না। এটা নিয়ে কোনো টেনশন নিবেন না।আসলে আমার মা বাঙালি ছিলেন,বাবা বিদেশী। বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহ আমার ছোটবেলা থেকেই।তাই একটু একটু বাংলা ভাষা শিখতে শুরু করেছি,তারপর বাংলাদেশে থাকার জন্যই কোনো বাঙালি ছেলেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
শাহেদ– Do u like বাংলাদেশ????
মারিয়া — Mr. শাহরিয়ার আপনি আমার সাথে বাংলাতেই কথা বলতে পারেন।আমি পুরোপুরি বলতে না পারলেও পুরোপুরি বাংলা বুঝি। Yes, I like…
শাহেদ হেসে– আচ্ছা ঠিক আছে তাই হবে।
স্বাদ মারিয়াকে দেখে বিরক্ত সেটা উপস্থিত তিনজন ই বুঝতে পারছে। এখন লাঞ্চের সময়। তাই রিদীমা ওয়েটারকে ডেকে খাবার অর্ডার করে। স্বাদ দাঁড়িয়ে পড়ে।
রিদীমা কপাল ভাঁজ করে– কিরে বস? খাবি না???
মারিয়া অসহায় দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। শাহেদ স্বাদের হাত টেনে আবার বসায়।
শাহেদ– আরে বেটা বস।??
স্বাদ না চাইতেও আবার বসলো।রিদীমা মারিয়া আর শাহেদ লাঞ্চ শুরু করে।কিন্তু স্বাদ খাবার মুখে তুলছে না দেখে মারিয়া বললো,,,
মারিয়া — Dr. আহসান, আপনার বেশি সমস্যা হলে আমি চলে যাচ্ছি। ??
স্বাদ রেগে– হ্যাঁ যদি পারেন তাই করুন।
রিদীমা আর শাহেদ একে অপরের মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। মারিয়া অপমান বোধ করতে লাগলো।
রিদীমা– এটা কেমন behaviour স্বাদ????
শাহেদ– কি করছিস স্বাদ?এভাবে বলছিস কেন?
মারিয়ার চোখ দুটো ছলছল করে ওঠে। স্বাদ বিরক্তি নিয়ে খাবার খেতে শুরু করলো।
রিদীমা মারিয়ার দিকে তাকিয়ে– সরি মারিয়া,কিছু মনে কর না।
মারিয়া নিচের দিকে তাকিয়ে– It’s ok আপু।??
রিদীমা– এই আপু বলছো কেন? নাম ধরে ডেকো।
মারিয়া হেসে — Ok……??
রিদীমা– দেখ স্বাদ!আন্টির বয়স হয়েছে, আন্টিও একটা ছেলের বউ চায়।এই মেয়েটা তোকে খুব ভালবাসে। তাকে একটা chance দেওয়া দরকার!
স্বাদ হাততালি দিয়ে– বাহ্ রিদীমা চৌধুরী, এই কথাটা কি আপনার ও ভাবা উচিত নয়?? আমি দুর্ভাগা এত বছর ধরে ভালবেসে গেলাম, আমাকেও কি আপনার একটা সুযোগ দেওয়া উচিত ছিলো না।
শাহেদ– এভাবে কথা বলছিস কেন তুই???
রিদীমা– স্বাদ।
স্বাদ– থাক আর কিছু শুনতে চাই না। এবার আমার লাইফের সিদ্ধান্ত আমাকে নিতে দিন।আমার জন্য ভাবতে গিয়ে এত টাইম ওয়েস্ট করতে হবে না আপনাদের। ??
স্বাদ রেগে বেরিয়ে গেল রেস্টুরেন্ট থেকে। স্বাদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে সবাই। শাহেদ আর রিদীমা হতভম্ব। মারিয়া তো বলার ভাষাই হারিয়ে ফেলেছে।
মারিয়া রিদীমার দিকে তাকায়– সরি আপু,আমার জন্য তোমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হল।??
রিদীমা কিছু বলে না। চুপচাপ ভাবতে থাকে।
——————————————————————-
Maam…. আপনাকে এই কালো শাড়িটাতে দারুণ মানাবে,এটা ট্রাই করে দেখুন।
রবিন দোকানদারের দিকে তাকিয়ে– ঐ মিয়া আমার বউকে কিসে মানাবে আমি দেখছি,আপনি এসব নিয়ে আপনার মোটা মাথাটা ঘামাবেন না।??
ইসুয়া– কি হচ্ছে কি এসব? ওরা seller,, ওরা এসব বলেই তো সেল করবে।আপনি এরকম করছেন কেন??
রবিন– আমার ভাল লাগছে না ওদের কথাবার্তা।
ইসুয়া– পাগল।??
রবিন– বলতেই পারো।তবুও তোমার দিকে চোখ দিলে….
ইসুয়া– এই চুপ করুন তো,ফালতু বকবক না করে ড্রেস সিলেক্ট করতে হেল্প করুন আমাকে।
রবিন– ওকে ।
ইসুয়া আর রবিন রিসেপশনের জন্য কিছু কেনাকাটা করতে এসেছে মার্কেটে।
ইসুয়া– আমি মেরুন কালারের একটা শাড়ি পড়তে চাইছিলাম অনুষ্ঠানে।
রবিন– খোঁজে দেখ,,কোনটা পছন্দ।??
ইসুয়া তার জন্য শাড়ি choose করছিলো।রবিন একটা জুয়েলারি শপের দিকে বারবার তাকাচ্ছে। ইসুয়া কে শাড়ি পছন্দ করতে বলে জুয়েলারি শপের দিকে এগিয়ে গেল রবিন।
Can I help u,sir????
রবিন– Yes….. ঐ দুলজোড়া দেখান তো।
দোকানদার– এইটা??
রবিন– এটার বামপাশেরটা।
দোকানদার– এই নিন।আপনার পছন্দ আছে স্যার।
রবিন হেসে জিজ্ঞেস করে– Price????
দোকানদার– Only 35000 টাকা।
রবিন বিল পরিশোধ করে দুলজোড়া পকেটে ঢুকিয়ে আবারো ইসুয়ার কাছে ফিরে এলো।
ইসুয়া– কোথায় গেছিলেন????
রবিন– ওদিকে।তোমার শাড়ি সিলেক্ট করা হয়েছে??
ইসুয়া — বুঝতে পারছি না, দেখুন না একটু!!
রবিন– হয়েছে, বুঝতে পেরেছি আপনার দ্বারা হবে না। আমি চুজ করে দিচ্ছি।
রবিন দোকানদারকে একটা গাঢ় পিংক কালারের শাড়ি দেখিয়ে বলে — ওটা নামানতো।
ইসুয়া– Wow….??
রবিন– কি??
ইসুয়া– অনেক joss শাড়িটা।
রবিন– পছন্দ হয়েছে??
ইসুয়া– হুম।??
রবিন দোকানদারের দিকে তাকিয়ে — প্যাক করে দিন।
আরো কিছু কেনাকাটা করে ইসুয়া আর রবিন শপিংমল থেকে বেরিয়ে এলো।ইসুয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে কাজের বাহানায় রবিন অন্যত্র চলে যায়। ইসুয়া একাই বাড়িতে ফিরে।
রবিন একটা গোডাউনের সামনে এসে দাঁড়ায়। ফোনে কিছু নাম্বার টাচ করতেই গোডাউনের দরজাটা খুলে গেল।ভেতরে গিয়ে রবিন একটা চেয়ারে বসলো।
রবিন একা নয়,স্যুট টাই পড়া আরো পাঁচ জন লোক বসে আছে গোল টেবিলে।
স্যার, এবার action নেওয়ার high time…..??
রবিন– আহা মিস্টার রাহাত এতদিন ধরে সবকিছু যোগাড় করেছি,আরো দুটো দিন না হয় অপেক্ষা করুন।
কিন্তু, ক্রিমিনাল খুবই দুরন্ত স্যার।হাত ফসকে বেরিয়ে যাবে।??
রবিন– বেরিয়ে আর যাবে কোথায়??পরশু আমাদের বাড়িতে একটা রিসেপশন আছে।এই নিন invitation কার্ড।আর এখানে আপনাদের পাঁচ জনের জন্য ওয়েটারের ড্রেস রাখা আছে। এই পোশাকে সবাই সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।
Yes sir……..??
রবিন– মনে রাখবেন,ঐটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র আমাদের জন্য। ওখানে আরো দুটো team থাকবে….. so, be careful.
Done ….. বলে সবাই চেঁচিয়ে উঠে। ??
রবিন তার দলকে সম্পূর্ণ কাজ বুঝিয়ে দিয়ে বেরিয়ে গেল গোডাউন থেকে।
অন্যদিকে দেলোয়ার খান তার রুমে বসেই সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সব দেখছিলেন। তারপর একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বললেন,,,,
দেলোয়ার খান–আমার সাথে game ?? বাপ বেটা মেয়ে মিলে।দেলোয়ার খানের double game নিয়ে কোনো ধারণা নেই তোদের।এবার দেখবি আসল খেলা।মাত কাকে বলে সেটা দেলোয়ার খান দেখাবে তোদের???
_______________________________(চলবে)