#তোকে আমার চাই
#লেখিনীতে: ইসরাত জাহান তন্নি
#পর্ব. ৫
”
ক্লাস শেষে আমি ইভা,সাথী,মিথিলা আমরা চারজনে একসাথে হাটছি গ্রেট এর সামনে আসতে দেখে পেলাম উনাকে সাথে উনার দলবল আছে দেখেই মনে হচ্ছে আড্ডা দিচ্ছেন, আমি দেখে উঁচু গলায় চেঁচিয়ে ডাকতে ডাকতে আসলেন সাথে উনার দলবল ও
”
শুভ্রব : এই তনু চল তোকে যে আমি ডাকছিলাম শুনতে পাস-নি কালা নাকি, ( ভ্রু কুচঁকে )
”
তনু : আপনি গরুর মতো ডাকলে কে শুনতে পাবে শুনি।
”
শুভ্রব : কি আমি গরু গরুর মতো ডাকি,বাড়ি চল তারপর দেখাচ্ছি মজা আমাকে গরু বলা,দিবো ধরে থাপ্পড় ( রাগী লুক নিয়ে )
”
তনু : উহুহ কি দেখাবেন কিসের মজা হুহ আইছে মজা দেখাইতে যত্তসব ( মুখ ভেংছে )
”
সিফাত : এই তোরা থামবি ( চিৎকার দিয়ে )
”
তনু : হ্যাঁ থামলাম আপনাদের দলবল সবার নাম তো জানা হলো না কি নাম আপনাদের ( ভাবহীন )
”
এক জন্য বললো, আমি নাজমুল ইসলাম সাদ, শুভ্রব ভাইয়ার জুনিয়র অনার্স ফাস্ট ইয়ারে পড়ি ( দেখতে কেমন জানি পিচ্ছি পিচ্ছি লাগে কিন্তু উচ্চতা ৫ ফুট ৫ ইঞ্জি হবে তবে হ্যাঁ গায়ের রঙ একদম সাদা দপদপে নাম যেমন সাদ দেখতে ও সাদা আজ সাদ,বাদামি রঙের গেঞ্জি,পড়েছে,মাশা’ল্লাহ ভীষন সুন্দর লাগছে কিন্তু থ্রির কোয়াটার পেন্ট পড়েছে, যার জন্য ভালো লাগছে আবার লাগছে ও না)
আর চার জন, নাজিম, ফারহান,পায়েল,রাই,
নাজিম দেখতে মা’শাল্লাহ উচ্চতা ৬ ফুট হবে, গায়ের রঙ শ্যামলা তবে মুখটা কেমন মায়া মায়া লাগছে শুভ্রব এর close friend উনারা সেম ইয়ারে পড়েন,!!
”
ফারহান,দেখতে সাদের মতো পিচ্চি পিচ্চি লাগছে উনারা দুজনো একি ইয়ারে পড়েন তাই দেখতেও এক একি রঙের ড্রেস, হাহাহা,
”
পায়ের, রাই আপু, দুজনেই উনার সাথে সেম ইয়ারে পড়েন, উচ্চতা আমার মতোই ৫ ফুট ৫ ইঞ্জি, তবে উনার দেখতে একদম সাদা সুন্দর আর আমি তো শ্যামলী,, হিহিহি,,
”
শুভ্রব : ওরা কে ( হাত দিয়ে বান্ধুবীর ইশরায় দেখিয়ে বললো )
”
তনু : ওরা,,,ওরা আমার নতুন বান্ধুবী এই যে ও ইভা, সাথী মিলি,ওদের নাম গুলো কি মিষ্টি তাই না দেখতেই যেমন মিষ্টি কথা বার্তা ও মিষ্টি মিষ্টি, খুব ভালো লাগে একদিনে ওদের আমি ভীষন ভালোবেসে পেলেছি,গো
”
ইভা,সাথী,মিলি : আমরা তোকে ভালোবেসে পেলেছি রে, শোন না এনি কে ( ভ্রু কুচঁকে )
”
তনু : তোদের বলেছিলাম না,একজন আমার পিছনে আঠার মতে লেগে থাকেন,সব সময় আমাকে বকাঝকা করেন এনিই উনি শুভ্রব ভাইয়া আমার একমাত্র ফুপির ছেলে তাই না ভাইয়া ( মুচকি হেসে )
”
উনি যেন আবার বমের মতো ফুলে গেলেব যা গে আমার কি তাতে উহু এখন আর উনাকে ভয় পাই না ভয় পাবোই বা কেন উনি কি ভাগ না ভালুক,,, আসতো একটা কুত্তা, ছাগল ভাম ছাগল ( মনে মনে )
”
তারপর উনি আর কিছু বললেন না, আশে পাশে প্রচুর মানুষ ছিলেন, তাই তখন আমরা সেখান থেকে সবাই কে বিদায় দিয়ে,বাড়ির উদ্দেশ্যে রইনা দিলাম, বাসায় আসতে না আসতে দেখলাম মানুষের ভীর,
।
।
।
।
।
।
।
।
”
শুভ্রব : কি হয়েছে সবাই এখানে কেন কি হলো টা কি, ( ক্লান্ত কন্ঠে )
:-……………….
”
তনু : হ্যাঁ কি হয়েছে সবাই চুপচাপ কেন কিছু বলো কি হয়েছো, নীরা ভাবি তুমি শুয়ে আছো কেন, শরীর টরীর খারাপ নাকি তোমার,বলো।( ভ্রু কুঁচকে )
………………
”
শুভ্রব : এএএ মেয়েটা সব সময় দুই লাইন আগে চলে, ভাবির আবার কি হবে এমনি শুয়ে আছে হয় তো সব সময় অলটো পালটো চিন্তা ভাব না। ( চেঁচিয়ে )
”
তনু: এই শুরু হয়ে গেলো আমাকে বকা ঝকা করা আপনি আমার পিছনে না লাগলে হয় না যত্তসব ফালতু ( বিরক্ত নিয়ে )
”
শুভ্রব : কি আমি ফালতু না আজকে তোমাকে মেরেই ফেলবো দাড়া,( সামনে এগিয়ে )
”
তনু : ফুপি দেখো না তোমার ছেলে আমাকে মারতে আসছে , কি অসভ্য ছেলে গো তোমার?
”
শুভ্রব এর দাদি : এই একদম আমার হিরের টুকরো দাদুভাই কে অসভ্য বলবে না, আমার নাতির মতো ছেলে পাবে, পাবে না সারা পৃথিবী চড়লেও এমন ভালো ছেলে পাবে না খুঁজে হ্যাঁ। ( লাজুক হেসে )
”
ফুপি : এই শুভ্রব তুই বেশি করছিস সব সময় আমার মেয়ে টার পিছনে লেগে থাকিস বা মারবো ধরে ( হেসে )
”
তনু : সে তুমি মারো কাটো আমার কি যাগে আগে বলো এতো মানুষ কেন এখানে কি হয়েছে,( ব্যস্ত ভঙ্গীতে )
”
দাদি : কি আর হবে তুমি কাকিয়া হতে চলেছো আর শুভ্রব কাকাই এখন যাও মিষ্টি নিয়ে আসো।
”
শুভ্রব : কি সত্যি আমি কাকাই হবো এই নীরা ভাবি কি বলে গো হুম, ( ভ্রু কুচঁকে )
”
তনু : এই দাদি শুনো আমি কিন্তু শুধু কাকিয়া হচ্ছি না ফুপিও হচ্ছি হ্যাঁ বলে দিলাম বাবুদের উপর বেশি আমার অধিকার আমি বেশি কোলে নিবো আদর করবো ( দাঁতে দাঁত চেপে )
”
শুভ্রব : তাহলে আমিও তো ফুপাজি + কাকাই + কাকাই + ফুপাজি, সো আমারও বেশি অধিকার আছে,
”
তনু : শোনুন আপনার সাথে তর্কো করার বিনদ্যু মাত্র ইচ্ছে নেই। ( ভেঙিয়ে )
”
শুভ্রব : আমারও, ( বিরক্ত )
”
তনু : আচ্ছা নীরা ভাবি বাবুদের নাম কি রাখা যায় বলো তো, ( দাঁত কেলিয়ে )
”
নীরা : সে তো তোমরা ভালো বুঝো পরের টা পরে, ( একটু হেসে )
”
শুভ্রব : পরের টা পরে কি হ্যাঁ মেয়ে হলে রাখবো রোজিনা ছেলে হলে শাহিদ, নাম গুলো কেমন বলো তো,( ভাব নিয়ে )
”
উনার নাম চুজ দেখে সবাই ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো কিসব নাম বলছেন উনি,
”
তনু : আপনাদের বাড়ির কাজের লোকে নাম ও কতো সুন্দর, নায়রা, হালিমা,সাহিদা,হানিফ রাজু, আর অন্যা দের বাড়ির কাজের লোক দের নাম কুদ্দুছ জরিনা রহিমা কতো কি,সে জায়গায় আপনি বাড়ির ছেলে মেয়েদের নাম এগুলা ঠিক করছে ( মন খারাপ।)
”
আমার কথা শুনে পুরো বাড়ির সবাই হাসছে সাথে উনি ও হাসছে তো মন খুলে হাসছে কতো মাস পর আজ উনি হাসছে উনার হাসি দেখে সবাই নিচুপ, আমি তাকিয়ে আছি উনার দিকে কি সুন্দর করে হাসেন উনি, আমি যেনো চোখ সরাতে পারছি না, উনি ব্যাপার টা বুঝতে ফেরে চুপ হয়ে হয়ে গেলেন,
”
শুভ্রব : কি হলে সবাই এমন করে তাকিয়ে আছো কেন, ( অবাক )
”
তনু : শোনো সবাই ছেলে মেয়ের নাম রাখবো,আয়ান,মেয়ে হলে, আয়না নাম গুলো কেমন বলো তো ( কোমড়ে হাত দিয়ে দাঁত কেলিয়ে )
”
সবাই : ভালোই তো, ভীষণ সুন্দর নাম ( হেসে )
”
ফুপি : তনু আমার ঘরে আয় তো একটু তোর সাথে কথা আছে।
”
সবাই যে যার ঘরে চলে যাওয়ার পর আমি ভয়ে ভয়ে ফুপির ঘরে উঁকি জুঁকি দিচ্ছি ফুপি কেন ডাকছে আমাকে কেন যেতে বললো ঘরে আমি কি কোনো ভুল করেছি,
”
ফুপাজি : তনু তুমি বাহিরে দাড়ি আছো কেন ভিতরে আসো ( হেসে )
”
তনু : হ্যাঁ জ্বী যাচ্ছি ( মুচকি হেসে )
”
ফুপি : বস,( একটু থেমে ) জানিস এই কয় এক মাসে আজ আমরা আগের শুভ্রবকে ফিরেছি হাসতে দেখেছি আমার তোর উপর বিশ্বাস ছিল তুই পারবি আমার শুভ্রব কে ঠিক করতে ( জড়িয়ে ধরে কান্না )
”
ফুপাজি : হুম বাদ দেও তো কান্না কাটি এখন আমাদের খুশির দিন কান্না করলে চলে,,,,, তা তনুমা আজ ক্লাস কেমন হলো তোমার,
”
তনু : হুম ভালো
”
শুভ্রব : আমাকে রেখে একা একা এই পেত্নী টার সাথে কি কথা হচ্ছে হুম, ( সন্দেহ )
”
ফুপি : সে তেমন কিছু না বাহিরে দাড়িয়ে আসছিস কেন ভিতরে আয়, ( হেসে )
”
শুভ্রব : আম্মু আমি ভিতরে যাবো না তুমি তনু কে পাঠিয়ে দেও তাহলে হবে ব্যাস। ( ক্লান্ত কন্ঠে )
”
তনু : ইয়ে ফুপি আমি যাবো না।
ফুপি : যাবি না মানে কি যা আমরা এখন ঘুমাবো যা?
কি আর করার শেষ পর্যন্ত এই খাটাস টার সাথে যেতে হবে ইয়ে আল্লাহ মামুদ, বাচাঁও আমাকে উনি আমাকে মারবেন টারবেন না তো,,,।।
শুভ্রব কিরে কি এতো বিরবির করছিস চল, তাড়াতাড়ি আয় পরে গেলে রুমে ডুকতে দিবো না কিন্তু, ( কড়া গলায়।)
ইহহহ আইসে ব্যাটা ধমক দিতে, উহু না গেলে না যাবো তোর রুমে তুই থাক না তোর রুমে, যাবো আমার ফুপি যে কি ছেলে জন্ম দিলো গো বাবা নিরামিষ, মুলার জুস উহু, মনে মনে এসব সাত পাচঁ ভাবতে ভাবতে বসার ঘরে সোফায় কাত, হয়ে শুয়ে পড়লাম,
#চলবে
( রাতে গল্পটা লিখে ঘুমিয়ে পড়ছিলাম পোস্ট করতে মনেই ছিলো না,রাতের দিকে আরেকটা পার্ট দিতেও পারি’!! ভুল ক্রটি মাফ করবেন। )