#অদ্ভুদ_ভালোবাসা
#সুমাইয়া_সুমু(আমি)
পার্টঃ১৩
,
খান বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে হায়াত। একদিন এই বাড়ি থেকে অপমান হয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলো। আজ আবার সেই বাড়ির সামনে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু এবার বউ হয়ে না এই বাড়ির অতিথি হয়ে। এই বাড়িতে আসার কোনো ইচ্ছে হায়াত এর ছিলো না কিন্তু খুশির জন্য আসতে হয়েছে। অতঃপর আর কিছু না ভেবে হায়াত ভিতরে চলে গেলো।
,
ভিতরে যেতে দেখে ওর বোন খাবার পরিবেষণ করছে মনে হলো ওর জন্যই এতখন ওয়েট করে ছিলো। হায়াত গিয়ে ওর খুশি কে জড়িয়ে ধরে বলে-
,
হায়াতঃ কেমন আছিস আপু?
,
খুশিঃ ভালো তুই কেমন আছিস? আগে থেকে কতো পাল্টে গেছিস রে।
,
হায়াতঃ পাল্টাতে হয় কিছু কিছু মানুষকে দেখিয়ে দিতে হয় যে আমরাও চাইলে পাল্টাতে পারি।
,
খুশিঃ হয়েছে থাক এবার খেতে বস দেখ তোর জন্য কত রকন আইটেম রান্না করেছি।
,
খুশি কথাটা বলে সিড়ির উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে মাহিম মুরাদ নামছে। মাহিম এসে দেখে হায়াত আর খুশি দাড়িয়ে আছে। মাহিম তো হায়াত কে দেখে পুরো অবাক। মাহিম হায়াত এর কাছে গিয়ে বললো-
,
মাহিমঃ কি শালিকা কেমন আছেন আপনি?
,
হায়াতঃ জি জিজু ভালো আছি। তুমি কেমন আছে।
,
মাহিমঃ ভালো চলো বসা যাক।
,
হায়াতঃ হু বাট আসলে আপু আমি না এসব খাই না এগুলো অনেক ওয়েলি ফুট। আচ্ছা আন্টি আর আংকেল কোথায়।
,
খুশিঃ মা রুমে আর তুই আমাকে বলবি না তুই এসব খাস না আচ্ছা তুই একটু ওয়েট কর আমি তোর জন্য অন্য কিছু রান্না করে আনছি।
,
হায়াতঃ না আপু আজকে থাক আমি অন্য একদিন আবার আসবো আর এখন আমাকে হসপিটালে যেতে হবে অনেক ইমারজেন্সি আছে। বাই। বাই জিজু।
,
কথাটা বলে হায়াত চলে গেলো। এতখন মুরাদ বিষম্মিতো হয়ে হায়ার এর দিকে তাকিয়ে ছিলো। কথাটা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলে ছিলো। হায়াত যখন চলে গেলো তখন ওর হুস ফিরলো। ও তখন ও অবাক চোখে হায়াত এর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। হায়াত যেতেই খুশি বলে উঠলো–
,
খুশিঃ তোমরা বসো আমি খাবার বেরে দিচ্ছি।
,
মাহিমঃ আজ থেকে মুরাদ ও আমার সাথে অফিসে যাবো।
,
খুশিঃ ভালো।
,
কথাটা বলে খুশি রান্না ঘরে চলে গেলো। আর মাহিম আর মুরাদ নাস্তা করে অফিসের দিকে চলে গেলো।
,
অফিসে বসে মুরাদ ভাবছে এতো টা চেঞ্জ হায়াত এর মধ্যে। তখনি দরজা খুলে ভেতরে একটা মেয়ে প্রবেশ করলো সে আর কেউ না আমাদের মাইশা শাক চুন্নি মানে মাইশা। মাইশা এসে মুরাদ এর গলা জড়িয়ে ধরে নেকা কন্ঠে বললো–
,
মাইশাঃ ওহ্ বেবি তুমি অফিয় জয়েন করেছো আমাকে বলবে না আগে। ভালোই করেছো। আর শুনলাম তোমার ওই এক্স বউ মানে হায়াত এসেছে দেশে। আসলেই মেয়েটা বেহায়া জানো। ও তো আার জানে না ওই দিন তুমি আমার কথাটা শুনে এসব করেছিলো। মেয়েটা আসলেই নির্লজ্জ।
,
কথাটা বলে মুরাদ কে কিস করতে গেলেই। মুরাদ উঠে ওকে,,,,,,,,,
,
চলবে,,,,,,
,
কাহানিমে আয়ি টুইস্ট। আর অনেকে ভাবেন যে গল্প টা আমি কপি করি না তেমন কিছু না। আসলে সুমাইয়া সুমু আমার নাম আর রিমাও আমার। সেই সাপেক্ষে গল্প টাও আমার লেখা।