#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি
#লেখিকা-সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি
পর্ব-৩
সাফরান ফারজানা কে বাড়িতে পৌছে দিলো।তারপর স্নিগ্ধা কে নিয়ে স্নিগ্ধাদের বাড়িতে আসলো।স্নিগ্ধা অনেক ভয়ে আছে।এখন তো ফারজানা নেই।এখন সাফরান স্নিগ্ধা কে ছেড়ে দিবে না।সাফরান আতিয়া রহমানের রুমে গিয়ে দেখে তিনি ঘুমাচ্ছে।সাফরান স্নিগ্ধার হাত ধরে টেনে স্নিগ্ধার রুমে নিয়ে যায়।ভয়ে স্নিগ্ধা গুটিসুটি মেরে দাড়িয়ে থাকে।ভুলেও স্নিগ্ধা সাফরানের চোখে চোখ রাখার সাহস পায় না।সাফরান স্নিগ্ধার হাত শক্ত করে চেপে ধরে,,,
—বল তোকে কী করবো?
—কিছু করো না ভাইয়া,তোমার পায়ে পড়ি,,আম্মু’কে কিছু বলিও না।
—তুই একের পর এক ঝামেলায় জড়াবি,আর আমি সব গোপন করবো?এবার তুই ছাড় পাবি না স্নিগ্ধা। আজকে যদি তোর কিছু হয়ে যেত?আমি সময় মত না গেলে কী হতো তোদের আজকে বুঝতে পারছিস?
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা ভাবতে থাকে,আসলেই ত সাফরান ভাইয়া যদি ঠিক টাইমে না আসতো,তাহলে হয়তো সাইফ ফারজানার ক্ষতি করতো সাথে আমারও”
সাফরান স্নিগ্ধা কে চুপ করে থাকতে দেখে চেছিয়ে উঠে
—জবাব দে ইডিয়ট,,,
—ভাইয়া সরি। মাফ করে দাও না।এমন ভুল আর কখনো হবে না।
—তুই ভালো হবি না আমি জানি।কিন্ত একটা কথা জেনে রাখ,আমি কোনো সুপারম্যান না যে তুই যখনি বিপদে পরবি আমি জেনে যাবো।তুই বড় হয়েছিস নিজের ভালো এখন বুঝতে হবে।
স্নিগ্ধা মাথা নাড়িয়ে বলে “বুঝবো ভাইয়া এখন থেকে”
সাফরান স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে হতাশ হয়ে যায়।এতো বড় একটা ঘটনা ঘটে গেলো।কিন্ত স্নিগ্ধার চোখে মুখে ভয়ের কোনো ছাপ নেই।বিন্দু মাত্র অনুশোচনা নেই।
—তোকে বুঝিয়ে কাজ হবে না জানি।কাল ফুপি আর তুই চলে আসবি বাসায়।কথা আছে।
—কেনো ভাইয়া?আম্মুকে বলে দিবে সব?
—বলবো কী বলবো না আমার ব্যাপার। আমি এখন যাচ্ছি। বাড়ির মেইন গেট বন্ধ করে ঘুমিয়ে পর।আর হ্যাঁ উলটা পালটা কিছু করার আগে চিন্তা ভাবনা করিস।নাহয় আমার চেয়ে খারাপ কেউ হবে না।
সাফরান হনহন করে চলে গেলো।যাওয়ার সময় পিছন ফিরে স্নিগ্ধা কে একবার দেখলো,,,তারপর বললো “শোন”
—কী,,,
সাফরান পকেট থেকে কয়েকটা ডেইরী মিল্ক চক্লেট দিলো স্নিগ্ধা’কে।চক্লেট পেয়ে স্নিগ্ধা ২পাটি দাত দেখিয়ে হেসে দিলো।সাফরান কিছুক্ষণ স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে বাইক নিয়ে চলে গেলো।সাফরান চলে যেতেই স্নিগ্ধা দরজা বন্ধ করে রুমে চলে আসলো।স্নিগ্ধা সাফরান কে সহ্য করতে পারে না।কিন্তু সাফরান আজ অনেক বড় বিপদ থেকে বাচিয়েছে। শুধু আজই না,স্নিগ্ধা যতোবারই বিপদে পরে সাফরানকেই পাশে পায়।কিন্ত তারপরেও স্নিগ্ধা কেনো সাফরান কে পছন্দ করে না।নিজের কাছে প্রশ্ন’টা করেই নিজেই হেসে উত্তর দেয় “কারন সাফরান ভাইয়া একটা রোবট,লাল চোখওয়ালা রোবট,যার মনে ফিলিংস, রোমান্টিকতা,প্রেম কিছুই নেই,শুধু দায়িত্ব পালন করা ছাড়া”
স্নিগ্ধা চক্লেট খেতে খেতে মোবাইলে বন্ধুদের সাথে চ্যাট করতে থাকে।
——————————
সাফরান ঘুম থেকে উঠে,ভূত দেখার মতো চমকে উঠে।স্নিগ্ধা তার মুখের উপর ঝুকে আছে,সাফরান কে চোখ খুলতে দেখে স্নিগ্ধা চমকে পিছিয়ে যায়।দুজনেই দুজনের দিকে অবাক চোখে তাকিয়ে আছে।
সাফরান নিজেকে সামলে নিয়ে বলে” আমার রুমে কী করছিস তুই,আর আমার মুখের কাছে কী করছিলি?
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা ভয়ার্ত চোখে তাকিয়ে থাকে।
সাফরান খেয়াল করে,স্নিগ্ধা হাত পিছনে করে কিছু যেন লুকাচ্ছে,,
-হাতে কী তোর দেখি,,
–কই কি কিছু তো না,আমি যাই মামি আমাকে ডাকছে,
কথাটা বলে স্নিগ্ধা এক দৌড়ে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।সাফরান স্নিগ্ধার পিছন পিছন আসলো।স্নিগ্ধার মা আতিয়া রহমান এসেছে,পাশের বাড়ির রিনা খালাম্মাও এসেছে,সবার সামনে গিয়ে সাফরান একটা রাগী রাগী লুক দিলো।বয়সে ছোট হলেও সাফরান’কে সবাই ভয় করে।কিন্তু আজ হঠাৎ সবার চেহারা থেকে ভয় উধাও।সবাই আজ মুখ টিপে টিপে হাসতেছে। রাফিয়া আহমেদ কিছু বলতে গিয়েও স্নিগ্ধার ইশারায় চুপ হয়ে গেলো।সবার এই হাসি হাসি চেহারা সাফরানের হজম হলো না।আবারো একটা রাগী ভাব নিয়ে সাফরান নিজের রুমে আসলো।তারপর ব্রাশ নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।হঠাৎ ওয়াশরুমের আয়নায় নিজের চেহারা দেখে সাফরান চমকে উঠলো। এগুলা কী।ছিঃ কী গাঢ় রঙের লিপ্সটিক,চোখের উপর এসব কী কালো কালো।ওয়াক থু,নিজের চেহারা দেখে নিজের ই ঘৃণা হচ্ছে।সাফরান তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো। এসব স্নিগ্ধার কাজ।স্নিগ্ধার নাম ধরে চিৎকার দিয়ে উঠলো সাফরান।
সাফরান ফ্রেশ হয়ে সাহিল কে খোজতে লাগলো,সাহিল সাফরানের ছোট ভাই।এবার নিউ টেনে উঠেছে।কিন্ত পড়ালেখায় একেবারেই ফাকিবাজ।
ডাইনিং টেবিলে সবাই বসে আছে,সাফরানের জন্যেই অপেক্ষা করছিলো সবাই।সাফরান এসে বসায় সবাই নাস্তা খাওয়া শুরু করলো।
নাস্তা খাওয়ার সময় সাফরান স্নিগ্ধার দিকে রাগী চোখে তাকালো।
–আম্মু তোমার ছেলে সাহিল কোথায়?
সাফরানের আম্মু সাফরানের কথায় একটু থতমত খেয়ে গেলো।সাহিল বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে গেছে আজ বাসায় আসতে সন্ধ্যা হতে পারে।কিন্ত এটা সাফরান কে কিছুতেই জানানো যাবে না।জানলে সারা বাড়ি তুলে বসাবে।ছেলের রাগ বেশি রাফিয়া আহমেদ ভালো ভাবেই জানে।রাফিয়া আহমেদ আমতা আমতা করে বললো
—আছে এখানেই কোথাও,,
—এখানে থাকলে কই,নাস্তা খেতে তো আসে নাই।ডাকো তোমার ছেলেকে। সকাল সকাল কোথাও গেছে,,কয়টায় উঠছে ঘুম থেকে?
রাফিয়া আহমেদ এবার কী বলবে ভেবে পেলো না তখনি স্নিগ্ধা বললো ” নিজে কয়টায় ঘুম থেকে উঠছে তা দেখতে বলো মামি”
স্নিগ্ধার কথায় এবার সাফরান স্নিগ্ধার দিকে কটমট করে তাকালো।তারপর স্নিগ্ধার মা আতিয়া রহমানকে বললো “ফুপি স্নিগ্ধার পড়ালেখার দরকার নেই,একটা ভালো সম্মন্ধ আছে আমার হাতে বিয়ে দিয়া দাও” হঠাৎ সাফরানের এমন কথায় স্নিগ্ধার হেচকি উঠে গেলো।রাফিয়া আহমেদ তাড়াতাড়ি পানি ঢেলে দিলো স্নিগ্ধাকে।
হঠাৎ এমন কথা কেনো সাফরান,,? বললো আতিয়া রহমান।
—স্নিগ্ধার পড়ালেখা ভালো লাগে না এখন,,,
সাফরানের কথায় এবার স্নিগ্ধা নিজেকে সামলে নিয়ে মুখ বাকা করে বলে,” আমার তো সবে ১৭ ভাইয়া কিন্ত তুমি তো বুড়ো হয়ে যাচ্ছো।বিয়ে দিতে হলে তোমাকে দিবে,পরে কিন্তু মেয়ে খুজে পাবে না”
স্নিগ্ধার এমন কথায় এবার সাফরানে হেচকি চলে আসলো।সাফরান আগুন চোখে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে আছে।সবাই তাদের এই খুনসুটি দেখে হেসে উঠলো। এমন হাস্যরসের দৃশ্য সাফরানের সহ্য হচ্ছে না।সাফরান নাস্তার টেবিল থেকে উঠে রুমে আসলো।তারপর কিছুক্ষণের মধ্যে রেডি হয়ে বাইরে এলো।
—মা আমি দোকানে যাচ্ছি।বাবার খেয়াল রাখিও সন্ধ্যায় ডাক্তার এসে বাবাকে চ্যাক আপ করে যাবে।আর হ্যা ফুপি আর স্নিগ্ধা কে থাকতে বলিও আমি না আসার আগে যেনো কোথাও না যায়।
—ঠিক আছে,,,আমি বলবো।
সাফরান মোটর সাইকেল নিয়ে বের হয়ে গেলো।দোকানে যাওয়ার জন্যে সাফরান বের হয় নাই।সাফরান বের হয়েছে সাহিল কে খোজার জন্য। সকাল থেকে সাহিল বাড়িতে নেই।কোচিং-এ ও যায় নাই।সাহিল কে এখনো মোবাইল দেওয়া হয় নাই।সাফরান পুরা মহল্লা খুজেও সাহিল কে খুজে পেলো না।
——————————-
আজো যাওয়ার পথে ফাহিমার সাথে দেখা।সাফরান বাইক থামিয়ে ফাহিমা কে বললো “সাহিল কে দেখেছিস ?”
“হ্যা সকাল ৬ঃ০০ টায় দেখেছিলাম।অনেক সেজেগুজে যেতে”
—সেজেগুজে?
—দেখে তো এমনি মনে হয়েছে।নতুন টিশার্ট,সু,সানগ্লাস ঘড়ি পড়ে,,
—আচ্ছা।বাসায় যা।আমার কাজ আছে পরে কথা হবে।
—কিসের এতো কাজ ভাইয়া তোমার। এখনো বিয়ে করো নাই এতো কাজ কেনো?
—বিয়ে না করলে কাজ থাকতে পারে না?
—না থাকতে পারে না।সাহিলের মতো একটু সেজেগুজে বেরোবে,তা না করে কাজ নিয়ে পরে থাকো।
—বুড়াকালে ভীমরতি ধরে নাই আমাকে,,
—বুড়াকাল কেনো হতে যাবে,সবে তো ২৬ এ পড়েছো তুমি ভাইয়া,,,
—হইছে আমাকে নিয়ে আর ভাবতে হবে না।বাড়িতে যা।
সাফরান বাইকে স্টার্ট দিয়ে চলে গেলো।ফাহিমা দাড়িয়ে দাড়িয়ে সাফরানের চলে যাওয়া দেখছে আর ভাবছে একদিন সাফরানের বাইকের পিছনে বসে ঘুড়ে বেরোবে সারাটা শহর।
ফাহিমা সাফরান’দের বাড়িতে এসেছে,,,
—হাই স্নিগ্ধা কখন এলে,?
—এইতো সকালেই এসেছি।
—থাকবে নাকি আজ?
—হ্যা থাকতে পারি।
স্নিগ্ধার কথা শুনে ফাহিমার মন’টা খারাপ হয়ে গেলো।কেনো জানি ফাহিমা স্নিগ্ধা কে পছন্দ করে না।স্নিগ্ধার সৌন্দর্য আর স্নিগ্ধার প্রতি সাফরানের দায়িত্ব এসবের জন্যেই ফাহিমা স্নিগ্ধা কে হিংসা করে।ফাহিমা মুখ কালো করে চলে যায়।স্নিগ্ধা খেয়াল করেছে কিন্ত স্নিগ্ধার এসব নিয়ে মাথাব্যথা নেই। স্নিগ্ধা সাফরানদের বাগানে এসে কয়েকটা সেলফি তুলে, তারপর ইন্সটাগ্রামে আপলোড করে।সাথে সাথেই ইনবক্সে রাহাতের মেসেজ আসে।রাহাত স্নিগ্ধার ক্লাসমেট। ক্লাসের সব চেয়ে হেন্ডসাম ছেলে।রাহাত স্নিগ্ধা কে পছন্দ করে। স্নিগ্ধাও ধীরে ধীরে রাহাতের প্রতি দূর্বল হয়ে পরেছে।রাহাতের কোকড়া চুল আর চাপ দাড়ি স্নিগ্ধার অনেক ভালো লাগে।কোকড়া চুলে ছেলেদের এতো বেশি সুন্দর দেখায় তা স্নিগ্ধার জানা ছিলো না। রাহাত অনেক সুন্দর করে কথা বলতে পারে।অনেক ভালো কবিতা লিখতে পারে।স্নিগ্ধা বাগানে বসে ইন্সটাগ্রামে রাহাতের ছবি দেখছিলো।আর তখনি পিছন থেকে সাহিল এসে স্নিগ্ধার হাত থেকে মোবাইল’টা নিয়ে ফেলে।
—এই কী করছিস মোবাইল দে।
—না দিবো না,আগে বলো এই ভাইয়া টা কে?
—কেউ না মোবাইল দে বলছি।
—দিবো না কী করবে?
—সাফরান ভাইকে বলে দিবো।
—আমিও বলে দিবো তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ড এর ছবি দেখছিলে বসে বসে।
—এই বয়ফ্রেন্ড কী রে,,আগে নিজের কথা ভাব।সকাল থেকে কোথায় গিয়েছিস।সাফরান ভাইয়া খুজে বেড়াচ্ছে তোকে,আজ আলু ভর্তা বানাবে তোকে।এদিকে দে মোবাইল।
—দিবো না। আগে বলো আজকে ভাইয়ার হাত থেকে আমাকে বাচাবে?
—আচ্ছা মোবাইল দে,আমি ভেবে দেখছি।
—না কোনো ভাবাভাবি নাই।বাচাবে কী না বলো?
—ওকে ফাইন।আমি আজকের জন্য তোকে বাচাবো।কিন্ত কাল ঠিকই ডাবল মাইর খাওয়াবো।
—দেখা যাবে।এই নাও মোবাইল।আর বলো এই ছেলেটা কে?ওর মাথায় কী পাখি থাকে?চুল গুলা পাখির বাসার মতো কেনো স্নিগ্ধা আপু?
—কী বলছিস এসব? কি সুন্দর চুল আর বলে কিনা পাখির বাসা।
—তোমার বয়ফ্রেন্ড নাকি আপু,,,
–আবারো?
স্নিগ্ধা সাহিল’কে মারার জন্য তেড়ে আসে।আর সাহিল পালিয়ে যায়।স্নিগ্ধা দৌড়াতে থাকে আর তখনি হোচট খেয়ে পরে যেতে ধরে স্নিগ্ধা কিন্তু সাফরান এসে ধরে ফেলে স্নিগ্ধা কে। স্নিগ্ধা সাফরানের শার্টের কলার ধরে রাখে,স্নিগ্ধার ভয়ার্ত চোখের দিকে তাকিয়ে সাফরান।দুজনের অপলকে তাকিয়ে থাকা সাহিল লক্ষ্য করছিলো।কিন্ত সাফরান কে দেখে সাহিল লুকিয়ে পরে।
সাফরান স্নিগ্ধা কে নিজের বাহু থেকে মুক্ত করে,,,
—দেখে চলতে পারিস না?
—আ,আমি খেয়াল করি নাই
—খেয়াল করবি কি করে,চোখ দুটো মোবাইলের মধ্যে রাখলে অন্য কিছুর খেয়াল থাকে?
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা বেশ চটে যায়।স্নিগ্ধা কে অপমান করার একটা সুযোগ ও হাত ছাড়া করে না এই লাল চোখ ওয়ালা রোবটা’টা।
স্নিগ্ধা বিড়বিড় করে সাফরান কে গালি দিতে লাগলো।
—কী বলছিস,? পরিষ্কার করে বল।
—কিছু না ভাইয়া।আমি যাচ্চি মামি ডাকছে।
কথাটা বলে স্নিগ্ধা বাড়ির ভিতর চলে গেলো। সাফরান বাগান’টা ভালো করে দেখে বাড়ির ভিতরে আসলো।
রাফিয়া আহমেদ রান্নাঘরে কাজ করছিলো,, “মা সাহিল কোথায়”?
রাফিয়া আহমেদ কিছু বলতে যাবে তার আগেই ” স্নিগ্ধা বললো,সাহিল তো পড়তে বসেছে, এখনি ওকে ম্যাথ করিয়ে আসলাম আমি”
স্নিগ্ধার কথায় সাহিল তাচ্ছিল্যের হাসি দিলো “হাহাহাহা,তাই,তা ম্যাডাম আপনার স্টুডেন্ট থেকে আস্ক করেন নাই সারা দিন কোথায় ছিলো সে?”
স্নিগ্ধা আমতা আমতা করে উত্তর দিলো “ছোট মানুষ একটু ঘুড়তে গিয়েছিলো কাছেই”
—ছোট মানুষ দূরে কিংবা কাছে যেখানেই যাক বড় মানুষ কে সাথে নিতে হবে তো,আপনি কী বলেন ম্যাডাম?দেখি আপনার থেকেই শুনি।
স্নিগ্ধা সাফরানের বাশমূলক কথা ঠিকই বুঝতে পেরেছে,,সব কথায় সাফরান এভাবে স্নিগ্ধা কে পেচে ফেলে দিতে পারবে তা জানা সত্তেও স্নিগ্ধা সাহিলের হয়ে সাফাই গাচ্ছে।
—ভাইয়া বাদ দাও তো চলো আমাকে ফিজিক্স এর পড়া বুঝিয়ে দিবে,,
—তুই যা পড়তে বস।আমি সাহিলকে সাইজ করে আসতেছি,,,
—ভাইয়া,আমাকে এখন বুঝিয়ে দাও।পরে আমি পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবো।
স্নিগ্ধা সাফরানের হাত ধরে টেনে রুমে নিয়ে আসলো।মনে মনে অবশ্য বলতে থাকলো “সাহিলের বাচ্ছা তোর জন্য আমার থেকে পড়তে বসতে হচ্ছে তাও এই লাল চোখওয়ালা রোবটের কাছে”
সাফরান স্নিগ্ধার দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে।আর স্নিগ্ধা সাফরানের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
(চলবে)
অসুস্থ অনেক।সবাই দোয়া করবেন।গল্পটা দেরিতে দেওয়ার জন্যে দুঃখিত। গল্পটা সবার কাছে কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন।ধন্যবাদ সবাইকে?