#যদিও_অসময়ে_এসেছো_তুমি
#লেখিকা-সুমাইয়া_সেহরিন_সুইটি
পর্ব-১
কোচিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে সাফরান সিন্ধা’কে কল দিছে।অনেক সময় হয়ে গেছে এখনো আসছে না।৭ঃ০০টা বাজছে। সাফরান আরো কয়েকবার স্নিগ্ধা’কে কল দিলো।
কিন্ত স্নিগ্ধা রিসিভ করছে না। কিছুক্ষণ পরেই সাফরান দেখলো স্নিগ্ধা একা নেমে আসছে। তার সাথে তার বান্ধবীরা নেই।সাফরান তেড়ে আসলো স্নিগ্ধার দিকে,স্নিগ্ধা ভয়ে পিছিয়ে গেলো।সাফরান যতো স্নিগ্ধার দিকে এগিয়ে আসছে স্নিগ্ধা ততোও পিছিয়ে যাচ্ছে।স্নিগ্ধা বুঝতে পারলো তার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে এখন আর এক চুল নড়ার ও সুযোগ নাই।ভয়ে স্নিগ্ধা চোখ বন্ধ করে ফেললো।আর তখনি সাফরান দেওয়ালের সাথে স্নিগ্ধার হাত দুটো শক্ত করে আটকে রাখলো।
“উহু ভাইয়া ছাড়ো”
ব্যাথা পাচ্ছি আমি,ব্যাথায় স্নিগ্ধা অস্ফুট স্বরে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
“ব্যাথা না,সব সময় তোর দুষ্টামি,বান্দ্রামি,ছেলেটা কে আগে বল?”
“কোন ছেলেটা”সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা চেছিয়ে উঠলো,,।
এবার সাফরান আরো শক্ত করে স্নিগ্ধার হাত চেপে ধরে”কোন ছেলেটা তাই না,দুজনে এক সাথে কলেজের সামনে ফুসকা খেলে,হাসাহাসি করলে,এবং ছেলেটার বাইকে বাড়ি পর্যন্ত আসলে,এখন বলছো কোন ছেলেটা”
-আরেহ ও তো আমার ফ্রেন্ড।
-তোর ফ্রেন্ড।তোর সব ফ্রেন্ড কে আমি চিনি, ও তোর কিরকম ফ্রেন্ড?
সাফরানের প্রশ্নে স্নিগ্ধা থতমত খেয়ে গেলো,এখন
সত্যি’টা বল্লেও সাফরান মেরে ফেলবে,না বল্লেও মেরে ফেলবে। স্নিগ্ধা গোংগিয়ে গোংগিয়ে বললো” আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড”
-ফেসবুক ফ্রেন্ড তোর,ফেসবুক ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করে ডেটিংয়ে ও চলে গিয়েছিস,অনেক বেড়ে গেছিস স্নিগ্ধা তুই। ফুপি’কে কতো করে বলেছি তোকে যেন মোবাইল না দেয়,ওয়েট কর আজকে সব বলছি আমি বাসায়।
-সাফরান ভাইয়া তোমার পায়ে পড়ি।প্লীজ বাসায় কিছু বলো না।এমন আর হবে না।
-তোকে আজকে আমি আর ক্ষমা করছি না স্নিগ্ধা,দেখি মোবাইল দে।
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা আঁতকে উঠলো ‘না আমি মোবাইল দিবো না”
–কী বললি তুই,,
–আমি মোবাইল দিব না।
–মোবাইল দিলে ত সব চুরি ধরা পরে যাবে তোর তাই না।
—আমি কোনো অন্যায় করিনি,আমি যথেষ্ট বড় হয়েছি,আমি কী করবো কার সাথে ঘুড়বো,তা সম্পূর্ণ আমার ব্যাপার।তুমি কেনো আমার থেকে কৈফিয়ত চাইবে ভাইয়া।তুমি আমার,,,,,,
স্নিগ্ধা কথা শেষ করতে পারলো না এর মধ্যেই সাফরানের পাচ আংগুল বসে গেলো স্নিগ্ধার মোলায়েম গালে। চোখ বড় বড় করে গালে হাত দিয়ে সাফরানের দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে রইলো স্নিগ্ধা ।
এই চোখে স্পষ্ট ঘৃণা ফুটে উঠেছে।সাফরান দাতে দাত চিবিয়ে বললো
“অনেক বার বেরেছিস,কলেজে উঠতে না উঠতে এতো খারাপ হবি ভাবিনি কখনো,চল এখন বাসায় চল”
স্নিগ্ধা সাফরানের চড় খেয়ে নিজেকে আর সামলাতে পারলো না ভ্যা করে কেদে দিলো,,সাফরান আশে পাশে তাকিয়ে স্নিগ্ধার মুখ চেপে ধরলো।
—‘চুপ একদম চুপ,আরেকবার কান্না করলে আরো দুইটা চড় খাবি,চুপ কর বলছি।
সাফরানের ধমকে স্নিগ্ধা চুপ করলো ঠিকি কিন্তু ফুপিয়ে কাদতে লাগলো।
“উঠ বাইকে উঠ,আর মোবাইল দে এদিকে”
স্নিগ্ধা সাফরানের কোনো কথাই শুনলো না,মুক্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকলো।সাফরান এক ঝটকায় হাত থেকে মোবাইল টা নিয়ে নিলো স্নিগ্ধার।
-লক কী বল
–কুত্তা
—কী বললি?
–মোবাইলের লক পাসওয়ার্ড বলতে বলছি,,,
–বলছি তো “কুত্তা”
স্নিগ্ধার অদ্ভুত পাসওয়ার্ড শুনে সাফরান আরো বেশি রেগে গেলো,,। ‘আচ্ছা বাইকে উঠে বস’
সাফরান খেয়াল করলো স্নিগ্ধা শীতের কাপড় পরে নাই।সাফরান নিজের জ্যাকেট-টা খুলে স্নিগ্ধাকে পরিয়ে দিলো,তারপর স্নিগ্ধা কে বাইকে উঠতে বললো।
স্নিগ্ধা এবার আর কোনো প্রতিবাদ করলো না,চুপচাপ বাইকে উঠে বসলো,সাফরান বাইকে স্টার্ট দিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে স্নিগ্ধার বাড়ির দিকে রওনা দিলো। কারো মুখে কোনো কথা নেই।শুধু স্নিগ্ধার নাক টানার ফ্যাত ফ্যাত শব্দ আসছে। মনে মনে সাফরান কে একশোটার উপরে গালি দিলো স্নিগ্ধা।সাফরানের ঘাড়ের দিকে তাকিয়ে বিভিন্ন অংগিভংগি করলো।স্নিগ্ধার ইচ্ছা করছে সাফরানের ঘাড়ে কামড় দিয়ে ঘাড়ের মাংস উঠিয়ে ফেলার।সাফরান
স্নিগ্ধার বাড়ির সামনে বাইক থামালো,তারপর স্নিগ্ধা কে নামতে বললো,স্নিগ্ধা নামার সাথে সাথে সাফরান পকেট থেকে টিস্যু বের করে স্নিগ্ধা কে দিলো, “নে চোখ মুখ মুছে নে,আমি ফুপিমণি কে কিছু বলবো না,কিন্তু নেক্সট টাইম এমন দেখলে কছম খোদা,তোকে ওখানেই মেরে পুতে ফেলবো”
স্নিগ্ধা কোনো কথা বললো না,সাফরানের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো শুধু।
-আচ্ছা যা বাসায় যা
–কিন্ত আমার মোবাইল।
—তোর মোবাইল আজকে পাবি না।সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা আবারো হেচকি টেনে কাদতে লাগলো,
–‘চুপ একদম চুপ,ফুপিমণি শুনলে কিন্তু কাল থেকে কলেজ যাওয়া ও বন্ধ।
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা চুপ করে গেলো,তারপর দ্রুত পায়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকলো।সাফরান আরো কিছুক্ষণ সিজেলের বাসার সামনে দাড়িয়ে রইলো।
আগুন ধরে গেছে সাফরানের মাথায়।বিকালে স্নিগ্ধার কলেজের সামনে ফালতু টাইপ একটা ছেলের সাথে স্নিগ্ধা’কে দেখার পর থেকেই সাফরানের মাথায় ও মনে আগুন জ্বলছে।
স্নিগ্ধা সাফরানের ফুফাতো বোন।কিন্তু সাফরান স্নিগ্ধা কে ছোট থেকেই পছন্দ করে।প্রথমে সাফরান তার অনুভূতি কে পাত্তা দেয়নি কিন্তু সময় যেতে যেতে ঠিকই বুঝতে পারে সাফরান স্নিগ্ধাকে ভালোবেসে ফেলেছে।তবে এখনো সাফরান নিজেকে বোঝায়,এই অনুভূতি’টা ভালোবাসা না কেবল দায়িত্ব। এদিকে স্নিগ্ধা একেবারেই অবুঝ।বাচ্ছাদের থেকেও বেশি।মাঝে মাঝে স্নিগ্ধার বাচ্চামী দেখে সাফরান আরো বেশি পাগল হয়ে যায়।আর মাঝে মাঝে বিরক্ত।সাফরান বাসায় এসে নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে রইলো।রাগ বেশিই উঠে গেছিলো মাথায়।এই হাত দিয়ে সাফরান স্নিগ্ধাকে থাপ্পড় মেরেছে।সাফরান দেওয়ালে কয়েকটা ঘুষি মারতেই ঝরঝর করে সাফরানের হাত থেকে রক্ত পড়তে লাগলো।কেনো সাফরান স্নিগ্ধাকে থাপ্পড় মারতে গেলো।আবেগ টা প্রশমিত করে সাফরান স্নিগ্ধার মোবাইল চ্যাক করতে থাকে।কোথাও কোনো পাসওয়ার্ড দেওয়া নেই।সাফরান গ্যালারি থেকে শুরু করে,ফেসবুক,ইন্সটাগ্রাম সব চ্যাক করতে থাকে।আজকে স্নিগ্ধার মোবাইল না চ্যাক করলে সাফরান বুঝতেই পারতো না স্নিগ্ধা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যাচ্ছে।কয়েকটা পর্ন ভিডিও মোবাইলে দেখে একটু আগের রাগ’টা আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠে সাফরানের।
‘কতো খারাপ হয়েছে মেয়েটা এই বয়সে’।মোবাইল থেকে পর্ণ ভিডিও গুলা ডিলেট করে সাফরান স্নিগ্ধার মেসেঞ্জার চ্যাক করে।আতিক আহমেদ নামের একটা ছেলের সাথে ফুসকা খেতে যাওয়ার প্ল্যান ও দেখতে পায় সাফরান।ছেলেটা আর স্নিগ্ধার ওলড কনভারসেশন চ্যাক করে আবারো বুকের বা পাশে ব্যাথা অনুভূত হয় সাফরানের।যেই ব্যাথাটা আজ বিকাল থেকেই টের পাচ্ছে সাফরান।
ছেলেটার সাথে প্রেমের সম্পর্ক না হলেও হবে হবে ভাব ছিলো দুজনের মধ্যে।ছেলেটাও স্নিগ্ধা কে পটানোর জন্যে সব রকম চেষ্টা করছে। সাফরান স্নিগ্ধার আইডি থেকে ছেলেটা কে বল্ক করে দিলো।তারপর ফেসবুক থেকে স্নিগ্ধার সব ছবি ডিলেট করে ফেসবুক প্রোফাইল লক করে দিলো। ফ্রেন্ড লিস্টের সব ছেলেকে বল্ক করে দিলো সাফরান।
———-
স্নিগ্ধার চোখে ঘুম নেই।নিজের পারসোনাল মোবাইল অন্য কারো হাতে পরার কষ্ট যে কতো ভয়ংকর তা হারে হারে টের পাচ্ছে স্নিগ্ধা।স্নিগ্ধার চোখ দিয়ে এখনো অশ্রু ঝরছে,কেনো সাফরান ভাইয়া তাকে এতো শাসন করে।মোবাইল ছাড়া স্নিগ্ধার একটুও ভালো লাগছে না।বারবার এপাশ ওপাশ করছে স্নিগ্ধা।
হঠাৎ স্নিগ্ধা একটা শব্দে ব্যাল্কনি তে ছুটে যায়।আর তখনি সাফরান স্নিগ্ধার মুখ চেপে ধরে দেওয়ালের সাথে চেপে ধরে। আকষ্মিক সাফরানের এমন কাজে স্নিগ্ধা হকচকিয়ে যায়।সাফরান রাগী চোখে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে আছে।স্নিগ্ধা গোংগাতে গোংগাতে বললো” মেরে ফেলবে নাকি,ছাড়ো”
ঃ-মেরেই ফেলবো তোকে।এতো বার বেরেছিস।খারাপ ছেলেদের সাথে কথা বলিস।খারাপ ভিডিও দেখিস।
সাফরানের কথায় স্নিগ্ধা আমতা আমতা করতে লাগলো,কিন্ত গুছিয়ে কিছুই বলতে পারলো না।
সাফরান স্নিগ্ধা কে ছেড়ে দিয়ে,মোবাইল’টা স্নিগ্ধার হাতে দিয়ে বললো” কোনো ছেলেকে আইডিতে এড করাবি না,কোনো খারাপ ভিডিও দেখবি না,অচেনা কোনো ছেলের সাথে মোবাইলে কথা বলবি না,আমি তোর মোবাইল যে কোনো সময় চ্যাক করবো”
স্নিগ্ধা ভীত চোখে মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।সাফরান স্নিগ্ধার টেবিলে বসে বললো” ফুপিমণি কী রান্না করেছে আজকে,ক্ষিদা লেগেছে আমার অনেক,কী আছে নিয়ে আয় তো”
ঃ-আম্মুকে ডাকবো,,,
ঃ-নাহ ফুপিমণি ঘুমিয়েছে,আর এতোরাতে আমি আসছি এটা বলার দরকার নেই।আস্তে আস্তে কিছু খাবার নিয়ে আয় যা।
স্নিগ্ধা রান্না ঘরে যেয়ে ফ্রীজ থেকে ঠান্ডা খাবার গুলা বের করে গরম করে নিয়ে এলো,,,
‘এই নাও খেয়ে নাও তাড়াতাড়ি, আমি ঘুমোবো”,
ঃ-কেনো মিথ্যা বলচিস,তুই আর ঘুম,ঘুমাবি ত সেই তিনটার সময়,মোবাইলের চার্য শেষ হলে,অবশ্য তোর মোবাইলের চার্য শেষ করেই আমি এনেছি,আজ রাতে তোর ঘুমাতে হবে”
রাগী চোখে স্নিগ্ধা সাফরানের দিকে তাকিয়ে আছে,,সাফরান সেদিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে,খাবার খেতে লাগলো, ‘তুই খেয়েছিস’
‘হুহ’
ঃচেহারা দেখে তো মনে হয় না।আমার খাবারের দিকে যেভাবে নজর দিচ্ছিস।আয় এদিকে বস।
স্নিগ্ধা সাফরানের কথায় বাধ্য মেয়ের মতো চেয়ারে বসে পরে।’এই নে আমার প্লেট থেকে খা’ তোর মনে আছে ছোট থেকেই তুই আমার প্লেটে ভাগ বসাতি,অভ্যাস’টা এখন তোর পালটে গেছে বড়ো যে হয়ে গেছিস।
স্নিগ্ধা সাফরানের কথার কোনো জবাব দেয় না।চুপচাপ খেতে থাকে।স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে সাফরান মুগ্ধ হয়ে যায়।এতো মায়াবী কোনো মেয়ে হতে পারে।দুধে আলতা গায়ের বরং,খাড়া সুন্দর একটা নাক। শিল্পীর আকা ছবির মতোই টানা টানা এক জোড়া চোখ,যে চোখে একবার তাকালে,সাধ্য নেই কারোরই সেই চোখ থেকে দৃষ্টি সরানোর।আবেগময়ী গোলাপি ঠোঁট।যে কারোরই হুশ উরিয়ে দেওয়ার মতো সব রুপ এই মেয়ের আছে।
সাফরানের এক দৃষ্টিতে স্নিগ্ধার দিকে তাকিয়ে থাকা স্নিগ্ধার নজরে পরে,,।স্নিগ্ধা মুখ নিচু করে নেয়। মাছের কাটা খাওয়ার খচখচ শব্দে সাফরান বাস্তবে ফিরে আসে। স্নিগ্ধা বিড়ালের মতো করে মাছের কাটা খাচ্ছে।এই মেয়েটা ছোট থেকেই মাছের কাটার পাগল।সবাই মিলে খেতে বসলে একটা মাছের কাটাও ফেলানো যাবে না।আর মাছের মাথা তো একজনেরই প্লেটে যাবে।এর কোনো হেরফের নেই।সাফরান হাত ধুয়ে স্নিগ্ধা কে পাশে বসিয়ে বলে” আমি তোর ভালো চাই রে স্নিগ্ধা,তুই যে পথে যাচ্ছিস সে পথে,তোর কষ্ট ছাড়া বদনামি ছাড়া আর কিছু হবে না ভালো করে লেখাপড়া কর,তোর বাবার স্বপ্ন পূর্ণ কর।
স্নিগ্ধা সাফরানের কথায় মাথা নাড়িয়ে সম্মতি জানালো।
ঃ-আচ্ছা আমি এখন যাচ্ছি তুই ঘুমিয়ে পড়।আর আমি যে আসছিলাম ফুপিমণি কে বলার দরকার নেই ঠিকাছে।
ঃ-ঠিকাছে ভাইয়া।
ঃ-আর ধর এই চকলেট গুলো তোর জন্যে।
চকলেট পেয়ে স্নিগ্ধা এতোক্ষণের সব রাগ অপমান ভুলে যায়,হাত বাড়িয়ে চকলেট বাক্স টা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দেয়।সাফরান স্নিগ্ধার বাচ্চামি দেখে স্নিগ্ধার মাথায় একটা চাটি কেটে ব্যালকনি দিয়ে নামতে থাকে।তারপর বাইক নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সাফরান চলে যেতেই স্নিগ্ধা মোবাইল চার্যে লাগিয়েই মোবাইল টিপতে থাকে।আর মনে মনে সাফরান’কে বিভিন্ন ভাষায় গালি দিতে থাকে।স্নিগ্ধার ফ্রেন্ড লিস্ট এখন একটা গার্লস লিস্ট হয়ে গেছে, শুধু ছেলে বলতে সাফরান ভাই আছে,,,।স্নিগ্ধা র ইচ্ছা হচ্ছে সাফরান’কে ও ব্লক দেওয়ার কিন্তু ইচ্ছা হলেও সাহস হচ্ছে না।
(চলবে)
গল্পটা সবার কাছে কেমন লাগছে কমেন্টস করে জানাবেন। রোমান্টিক গল্প লিখি না যে এমন না আমি ফেসবুকে প্রথম গল্প লেখা শুরু করি রোমান্টিক গল্প দিয়ে। আমার আগের গল্প “লুকায়িত অনূভুতি” এবং “লাভ গেম” গল্প দুইটা পড়তে পারেন।পেইজে পাবেন।সবার গঠনমূলক মন্তব্য আশা করবো। ধন্যবাদ সবাইকে।