বাঁধন
End part
Write: Sabbir Ahmed
তারপর আমি বাসা থেকে বের হয়ে একটা ফুল কিনলাম…..
আর পার্কে বসে আছি রিমির জন্য।
ওর পাগলামো গুলোর কথা মনে করে হাসতেছি মিটিমিটি….
হঠাৎ বাবা এসে সামনে দাড়াল
-বাবা তুমি এখানে(শুভ)
-মাফ করে দে আমায় (বাবা)
-ছি এগুলো কি বলো। দোষ করেছি তো আমি।
-তোর মা ১ মাস আগে মারা গেছে রে
-ক ক ক কিভাবে??
-স্ট্রোক করছিলো। তুই নাম্বার চেন্জ করছিস কেনো?? তোকে অনেক খুঁজা খুঁজি করা হয়ছে কিন্তু পাই নাই।
-সব কিছু তো শেষ
-যা হবার হইছে। বাড়িটা ফাকা এখন বৌমাকে নিয়ে চল।
-হুমমমম ও আসবে কিছুক্ষনের মধ্যেই
-তুই কান্না করিস না এখন (চোখ বেয়ে পানি পড়ছেই)
-হুমমমমমমমম
কিছুক্ষণ পর রিমি আসলো। ওকে সব বললাম। সে যাওয়ার জন্য রাজি হলো। প্রথম এ মানা করছিল। কোনো ভাবে যদি তার বাড়ির লোক যানতে পারে তাহলে খবর আছে।
আমরা আমাদের বাড়িতে চলে গেলাম। সবকিছুই এখন স্বাভাবিক…
একদিন একটা লোক বাড়িতে এসে রিমি কে ডাকছিলো..
-কে?? কাকে চাই(শুভ)
-রিমি আছে??(লোকটি)
-জ্বি আছে
-একটু ডেকে দিন
-আপনি ওর কে হন??
-ও দেখলেই বুঝতে পারবে…
-রিমি রিমি বাইরে আসো তো(শুভ)
-কি হইছে(রিমি ভেতর থেকে বলল)
-বাইরে আসো। তোমাকে একজন ডাকছে।
-ওকে ওয়েট
রিমি কিছুক্ষন পর আসলো। লোকটিকে দেখার পর রিমি একদম থমকে যায়…
-বাবা তুমি!(রিমি)
(ওহ তাহলে এটাই আমার শশুর মসাই)
-তুই ওভাবে চলে না এলেও পাড়তি। আমাদের এত কঠোর ভাবিস কেনো??
-বড় আপুর বিয়েতে তোমরা যে ব্যাবহার করছো সেটা দেখে আমার ভয় করে।
-ওহহ সেটা তো অন্য বিষয় ছিলো
-হুমমম। আমি এখানে তুমি জানলে কিভাবে??
-একদিন পাশের বাড়িতে এসে তোকে দেখতে পাই।
-ওহহহ তুমি বসো।
-না যাই এখন
-না আংকেল বসেন(শুভ)
-ওই কি হয় তোমার??(রিমি চোখ রাঙিয়ে বলল)
-জিভে কামর দিয়ে বললাম। সরি সরি আব্বা হয়। আব্বা বসেন…
কিছুক্ষণ পর বাবা আসলো তারা অনেক কথাবার্তা বললো। শেষে তারা দুজন মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিলো। তারা আমাদের বিয়ের অনুষ্ঠান করতে চায়। আমি আর রিমি রাজি হই।
শশুর মসাই আজই রিমিকে নিয়ে যেতে চায়। তাই রিমি কাপড় গুছাচ্ছে..
-না গেলেই তো হয়(শুভ)
-একবারে কি যাচ্ছি নাকি??(রিমি)
-ঠিক তা নয়। থাকবো কিভাবে আমি??
-ওলে আমাল বাবুতা। ৩ টা দিন থাকতে পারবে না???
-৩ টা দিন কম হলো নাকি অনেক দিন।
-হুমমম মসাই এখন একটু কষ্ট করেন তারপর একবারে এসে আর যাবো না।
(ওকে কাছে টেনে নিয়ে বললাম)
-আমরা যে বাধঁনে আটকা পড়ছি। এটা কখনো ভেঙে যাবে না তো
-নারে পাগল কখনোই যাবে না। আর তুমি অনেক শক্ত করে গিট্টু দিয়েছো।তোমার ভালবাসার গিট্টুতে বাঁধন ছিড়বে না….
-তাই যেন হয়।
-এখন তাহলে আসি
-না দাড়াও।
-কি??
-কয়েকটা ইয়ে দিয়ে যাও
-যাহ এখন না বিয়ের আগে এসব করতে নেই
-ওই ওই…..(তারপর যা হয় আরকি সেটা না বলাই ভালো)
-এই এবার যেতে হবে(রিমি)
-হুমম চলো
তারপর রিমি কে ওর বাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এলাম। এখন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিতে হবে…তিন দিনের মধ্যে সব আত্মীয় স্বজন কে দাওয়াত করা হলো। রিমি আমাকে ফোন দিয়ে কান্না করতে আর বলতো..আমাকে এসে একটু দেখে যাও। আমি ওকে বলতাম…ওরে পাগলি আমি যখন বললাম তখন আমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে রেখে গেছো এখন বোঝো।
অনুষ্ঠানেরর দিন সকালে…
-হ্যালো রিমি (শুভ)
-হ্যা বলো
-কি করো??
-সাজতেছি
-খুব দেখতে ইচ্ছা করছে
-হুমম আর তো কয়েক ঘন্টা ওপেক্ষা করো।
-হুমম তাছাড়া আর কি করার। ওকে এখন রাখি। আর কিন্তু ফোন দিবো না। একদম সরাসরি কথা বলবো।
-হুমম ঠিক আছে
-ওকে বাই
-ওকে।
সেদিন রাত ৮ টায়। খবর আসলো..
-বাবা বরের গাড়ি এক্সিডেন্ট করে নদীতে পরে গেছে গাড়ির ভেতর যারা ছিলো কেউ বেঁচে নেই….(রিমির ভাই)
-রিমি কথা টা শুনে বলল। আরে ভাইয়া কি বলো ও আসবে। আমাকে ও বলেছে। ও কখনো আমায় ছেড়ে যাবে না। আমার ওর ভালবাসার বাঁধন অনেক শক্ত। ও একটু পরেই আসবে।
– না রে ও আর আসবে না(রিমির বাবা)
-আরে দেইখো ও আসবে
-না ও আসবে না। ও মারা গেছে
-ও তাও আমাকে বলে যাবে..এসব কথা বলতে বলতে রিমি নিস্তেজ হয়ে যায়
-(রিমি আর কিছু বলতে পারে না)
-আচ্ছা বাবা আমি একটু ঘুমাই। ও আসলে আমায় ডেকে দিয়ো। আর হ্যা ও বলেছে আমার জন্য ও কি যেনো আনবে। তোমরা কেউ ওটা দেখবে না। আমি শুধু দেখবো হুমম।
আর ও আসুক। আমি ওকে বলেছি একটু তাড়াতাড়ি আসতে। আর উনি দেরী করতেছেন।
আমি ঘুমাবো এখন কেউ আমাকে ডাকবে না। ও এসে আমাকে ডেকে তুলবে হুমমম
তারপর রিমিও একদম জীবনের মতো ঘুমিয়ে যায়….রিমি অভিমান করেছে
শুভ এসে তাকে ঘুম থেকে উঠাবে।
শুভও আর কখনো আসবে না। রিমিও জেদ ধরেছে ও না আসলে সে চোখ খুলবে না ?
………………….END………………….
,,,,
,,,,
,,,,
,,,,
#SSSS