তোকে ঘিরে♥পর্ব-১

0
8203

রাতের আকাশে সুনশান সড়কে রক্তাক্ত অবস্থায় দৌড়াচ্ছি। গাল, মাথা, থুতনি থেকে তরল তাজা রক্ত গড়িয়ে পড়ছে পাকা রাস্তায়। চোখেমুখে ভীষণ অন্ধকার দেখছি তবুও প্রাণপণে সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে শাড়ি আকড়ে দৌড়াচ্ছি! আধবোজা চোখে একবার পেছন ফিরে তাকালাম। কেউ পিছনে আসছেনা।মাথা ফেটে কানের পাশ দিয়ে স্রোতের মতো রক্ত ঝড়ছে আমার, থুতনিতে ভয়ংকর ক্ষত, পেট ধরে আর দৌড়ানোর শক্তি পাচ্ছিনা আমি! আমি কি শয়তানগুলোর কাছে মরে যাবো? আমার যে হারে ব্লিডিং হচ্ছে আমি বাচঁবো না!!হয়তো বাচঁবো না!! আল্লাহ মাবুদ খোদা!! রক্ষা করো!! চোখের সামনে সব ঝাপসা দেখছি আন্দাজের উপর অবচেতন মন দিয়ে ঠোট কামড়ে দৌড়াচ্ছি। হাটুর নিচ থেকে সব অবশ লাগছে!! খালি খালি টাইপ অকেজো লাগছে! আমার পা! আমার পা দুটো ভয়ংকর ব্যাথা করছে মাবুদ! আমি বাচঁতে চাই! ওই শয়তানগুলোর হাত থেকে বাচঁতে চাই!! আর পারছিলাম না দৌড়াতে, মাথা ঝিমঝিম করে পাক খাচ্ছে। সবকিছু চোখের সামনে ঝাপসা থেকে কঠিন ঝাপসায় লুটিয়ে পড়তেই আমি থুবড়ে পড়লাম পাকা রাস্তায়। আমার পড়ে যাওয়ার শব্দটা ঝটাং করে প্রতিধ্বনি হলো চারিদিকে। চর্তুদিক থেকে চোখমুখ ঘোলা হয়ে, শরীর অবশ বিষাদে লিপ্ত হয়ে অসহনীয় ব্যথায় নিস্তেজ হয়ে আসছে। হাত পায়ের উপর কাবু পাচ্ছি না আমি। চোখদুটো বুজে এলো আমার আপনা আপনি…

.
— ওহ্ শিট! মেয়েটার গায়ে কাপড় নেই! সায়মা তাড়াতাড়ি তোর চাদরটা দে!

পূর্বের কথায় অবাক হয়ে সায়মা বললো,
— ‘এই নোংরা মেয়েকে আমি আমার দামী চাদর দিবো? নো নেভার! এই মেয়ে তো উলঙ্গ না পূর্ব! লিভ হিম! আচলটা টেনে দে জাস্ট!’
পূর্ব চোখমুখ শক্ত করে বললো,
— ‘তুই দিবি না!’
— নো! এই চাদরটা তুই দিয়েছিস কিভাবে এই রাস্তায় পড়ে থাকা মেয়েকে দিবো? ডাস্টবিনের কীটপতঙ্গ!
পূর্ব তাড়াহুড়ো করে নিজের গা থেকে পান্জাবীর কটিটা খুলে রাস্তায় পড়ে থাকা রক্তাক্ত মেয়েটাকে ঢেকে দিলো। হাটু মাটিতে ঠুকে মেয়েটার গালে আলতো থাপ্পর দিতেই বুঝতে পারলো মেয়েটি বেহুঁশ! জীবিত আছে কিনা বুঝার জন্য নাকের কাছে দুটো আঙ্গুল বসিয়ে দিলো। নিশ্বাস পড়ছে! তার মানে জীবিত! পূর্ব ঝট করে মেয়েটাকে কোলে তুলে রাস্তায় ওপাশে দাড়িয়ে থাকা গাড়ির উদ্দেশ্য দৌড় লাগালো! পিছে পিছে ছুটে এলো সায়মা! এই পূর্ব যখন তখন মানবতা দেখাতে তৎপর হয়ে যায়! কি করতে ইচ্ছে করে উফ! হঠাৎ পূর্বকে এরূপ অবস্থায় আসতে দেখে গাড়ির ভেতরে বসে থাকা পাচঁ জোড়া চোখ নিবদ্ধ হয়ে ওকে দেখছিলো। কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই পূর্ব মেয়েটাকে গাড়ির ভেতরে নিয়ে কোলে মাথা রেখে সায়মার উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বললো,

— তুই সামনে যা!

সায়মা হোচট খেলো যেনো! পূর্ব ওকে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া মেয়েটির জন্য সামনে বসতে বলছে? কতো নিষ্ঠুর পূর্ব! গাড়ির দরজা ধরে এখন কাদঁতে ইচ্ছে করছে ওর।পূর্ব নিজের পার্সনাল রুমাল দিয়ে মেয়েটার কপাল চেপে ধরেছে! সায়মা গাড়ির দরজা লাগিয়ে সামনে উঠে পড়লো। পূর্ব পান্জাবীর হাতা কনুইয়ে তুলে রক্তাক্ত রুমালটা জানালা দিয়ে বাইরে চিপড়ে অবশিষ্ট রক্ত ফেললো। আবার মেয়েটির কপালে চেপে বলে উঠলো,

— মিথুন! ইমিডেটলি গাড়ি হসপিটালে ঘুরা!
ড্রাইভার সিট থেকে মিথুন জবাব দিলো,
— পূর্ব রাস্তা ব্লক! কিভাবে নিবো?
— হোয়াট! শিট শিট শিট! এক কাজ কর! ডিসপেন্সারিতে নে!
— আচ্ছা!

আট আসন বিশিষ্ট মাইক্রোবাসটা ডিসপেন্সারির সামনে থামলে ফাস্ট এড বক্স এনে দিলো ফুয়াদ! ফুয়াদ জানালা দিয়ে উকি মেরে বললো,

— পূর্ব আর কিছু লাগবে? প্লিজ লাগলে এক্ষুনি নে! আমরা আটকা পড়বো দোস্ত! সামনের রাস্তা বিপদজ্জনক! আর্মি যেতে দিবেনা!
পূর্ব তুলায় স্যাভনল নিয়ে ক্ষত জায়গা ক্লিন
করতেই বললো,
— আর্মি যেতে না দিলে আর্মিদের লজে থাকবো! তবুও গাড়ি চালা!
— সিউর?

ফুয়াদের প্রশ্ন শুনে চরম বিরক্ত হলো পূর্ব! ফুয়াদ পূর্বের চেহারার সারমর্ম বুঝতে পেরে কাচুমাচু করতে করতে গাড়িতে উঠলো। সায়মার পাশ থেকে জাওয়াদ প্রশ্ন করলো,

— আল্লাহর দোহাই ভাই! প্লিজ বল! কই থিকা এই মেয়েরে তুইল্লা আনছোস! কে এই মেয়ে! নষ্টা বেশশরম মাইয়াও হইতে পারে!

পূর্ব কঠিন গলায় বললো,
— শেষের লাইনটা ফার্দার মুখে আনবিনা! মেয়েটাকে দেখে ওয়েল ফ্যামিলির মেয়েই মনে হচ্ছে! জাস্ট শাড়ির কুচিটা ছিড়া, ব্লাউজের হাতা ছিড়া। দ্যাটস অল!
— এতো নরমালি কেমনে বলিস ভাই?রেপ কেসও তো হতে পারে! কেমনে সিউরিটি দিবি?
পূর্ব মেয়েটার মাথায় ব্যান্ডেজ করে দিলো। কাটা ছেড়া জায়গা গুলোতে মলম লাগিয়ে দিতেই সায়মা উচ্চস্বরে বলে উঠলো,

— তুই আর মলম লাগাবিনা! ওকে ছুঁবি না বলছি! আমি সহ্য করতে পারছিনা। রাস্তার ফক্কিনিকে তুই এভাবে টেক কেয়ার করছিস!

পূর্ব মলম দেওয়া শেষ করে টিস্যুতে হাত মুছে জোরে তপ্ত নিশ্বাস ছাড়লো। সায়মার উত্তর দেওয়াটা প্রয়োজন মনে করলো না পূর্ব। সায়মার মতো ফালতু থার্ড ক্লাস ইডিয়েটকে কি উত্তর দিবে পূর্ব? ইডিয়েট তো ইডিয়েটই!

এসির নিচে কোলে থাকা মাথাটার দিকে এবার শান্ত চোখে তাকালো পূর্ব। হলদেটে ফর্সা গালের উপর পাঁচটা আঙ্গুলের গাঢ় ছাপ, বড় বড় চোখজোড়া, নাকটা একটু চিকন তবে বোঁচা, ঠোঁটের বাম কোণা থেকে থুতনি পর্যন্ত রক্ত শুকিয়ে আছে তার। আচ্ছা? মেয়েটা নাম কি? কি কারনে রাস্তায় ওভাবে বেহুশ পড়েছিলো? মেয়েটিকে দেখে অতোটা খারাপ মনে হচ্ছেনা কিন্তু শরীরের অবস্থা দেখে ধর্ষণ ছাড়া অন্য কিছু আওড়াতে পারছেনা। আচ্ছা মেয়েটাকে কি রেপ করেছে? পূর্ব হঠাৎ চোখ বন্ধ করে মেয়েটার মুখের উপর ঝুঁকলো। দূরত্ব খুব সামান্য! পূর্বের নিশ্বাস মেয়েটার উপর পড়ছে! পূর্ব তার সিক্সথ সেন্স দ্বারা কিছু অনুমান করতেই চটপট চোখ খুলে মাথা উঠিয়ে ফেললো। বামহাত ধরে হার্টবিট চেক করছে এখন। সেন্স বলছে মেয়েটা ভয়ঙ্কর বিপদ থেকে বেঁচেছে। নার্ভ অস্বাভাবিক হারে উইক হয়ে আছে। হাতও কেমন ঠান্ডা হয়ে আসছে!! ওহ্ শিট ঠান্ডা হয়ে আসছে!! পূর্ব দ্রুত মেয়েটিকে বুকে চেপে ধরলো। নিজের গলার নিচে মেয়েটির মুখ গুজিয়ে অস্থির গলায় বলে উঠলো,

— মিথুন! মিথুন তুই কাইকারটেক লজে নে!! মেয়েটাকে আগে সুস্থ করতে হবে!!
ফুয়াদ চিৎকার দিয়ে বললো,
— মরে যাচ্ছে নাকি!!
পূর্ব আরো শক্ত করে বুকে চেপে বললো,
— গড নৌস ইয়ার! হারি আপ গাড়ি ওদিকে নে! শরীর ঠান্ডা হচ্ছে!
মিথুন তাড়াতাড়ি গাড়ি ঘুরিয়ে ‘কারকারটেক লজ’ এর বড় গেট দিয়ে ভেতরে ঢুকলো। রিসেপশনে সব ফর্মালিটিস কমপ্লিট করে পূর্ব দৌড়ে ওকে বিছানায় শোয়ালো! লজের মেয়ে স্টাফকে ডেকে সায়মার ব্যাকপ্যাক ধরিয়ে বললো, যা লাগবে এখান থেকে নিন! মেয়েটার পোশাক বদলে দিন! আমি বাইরে অপেক্ষা করছি! পূর্বের এই আচরণে সায়মা পুরোপুরি থ! বাইরে থেকে আগত মেয়েটার জন্য এতো কিসের দরদ? পূর্ব চোখ বন্ধ করে দরজার বাইরে পিঠ লাগিয়ে ফেললো। মেয়েটাকে দেখার পর থেকেই মন খারাপ হয়ে গেছে। কিছুতেই স্থির করতে পারছেনা নিজেকে। মেয়েটার এই নাজুক অবস্থা! রক্তাক্ত মাথা! উফফ…এই ভয়াবহ দৃশ্য দাগ কেটে দিচ্ছে পূর্বের মনে।

জমজমাট বিয়েবাড়ি থেকে পালিয়েছে ছয় কাজিনরা। বাড়িতে অলরেডি সবাই জেনে গেছে বর সহ পাঁচজন উধাও! বর বিয়ের আসর থেকে পালিয়েছে!! এদিকে আজ পূর্বের প্রেমিকাকে দেখতে আসবে ছেলেপক্ষ! পূর্ব খবরটা পেয়েই নিজের বিয়ের আসর ছেড়ে মাইক্রো দিয়ে যাচ্ছে! পূর্বের তিন বছরের প্রেমগাথায় জল ঢেলে দিয়ে প্রেমিকা অগোচরে বাবার পছন্দে বিয়ে করবে তা এ জনমে জীবনেও মেনে নিবে না পূর্ব! পারলে আগুন ধরিয়ে দিবে প্রেমিকার বাড়িতে!সব ধ্বংস করে দিবে সে! পূর্ব নিজেও বিয়ের পিড়িতে বসতো না শুধু দাদীর কসমের উপর অটল হয়েছে সে!! যাত্রাপথে হঠাৎ রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় একটা মেয়েকে দেখলে সে তুলে নিয়ে আসে গাড়িতে! মেয়েটার নাম কি, কোথায় থাকে, কি হয়েছে…কিচ্ছু জানে না সে! মেয়েটার কি রেপ হয়েছে? নাকি অন্যকিছুর ঘাপলা জড়িয়ে আছে?

হঠাৎ চিন্তায় দুনিয়ায় ফোড়ন কেটে কাধের উপর ভার অনুভব করলো পূর্ব! চোখ মেলে পাশে তাকাতেই ফুয়াদের ম্লান চেহারাটা দেখতে পেলো। ফুয়াদ চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা। কান্না কান্না স্বরে নিচু কন্ঠে বললো,

— আনিশার বিয়ে হয়ে গেছে ভাই, আনিশার ছোট বোন ফোন দিয়েছিলো। আমরা ওর বিয়ে থামাতে পারলাম না ভাইয়া, পারলাম না।

পূর্বের পায়ের তলা থেকে যেনো মাটি সরে যেতে লাগল! নিজের রক্ত বাহিকায় হঠাৎ দ্রুতবেগে রক্ত প্রবাহ চালু হলো! হৃৎপিন্ড ভয়ঙ্কর স্পিডে দাপাতে লাগালো! পূর্ব রাগে, ক্ষোভে, তুমুল হুঙ্কারে দেয়ালে ইচ্ছামতো ঘুষাতে লাগলো!!

— তুই বিয়ে করতে পারিস না আনিশা!! তুই বিয়ে করলি কেন!তুই তোর পূর্বকে ভুলে যেতে পারিস না!!! তোকে আমার কাছে ফিরতেই হবে ড্যাম!!!

চিৎকার চেচামেচিতে প্রচন্ড গলা ফাটিয়ে দেয়ালে ঘুষাচ্ছে পূর্ব! পেছন থেকে অব্যর্থ পথিকের মতো ফুয়াদ টানছে!! পূর্বের হাত ছিলে রক্ত বের হয়ে শুভ্র দেয়ালটা রক্তিম হয়ে লাল থেকে গভীর লালে গভীর পরিণত হচ্ছে! ধামধাম শব্দ! সর্বস্ব শক্তি দিয়ে ঘুষি! হাহাকার চিৎকার! দুটো শব্দ মিলে একাকার হয়ে লজের আনাচে কানাচে বিক্ষোভ ধ্বনিতে প্রতিধ্বনিত্ব হচ্ছে!! সবাই এদিকে ছুটে আসলে পূর্বের পাগলামি দেখে ভয় পেয়ে যায়! ফুয়াদের সাথে বাকি কাজিনরা টেনেটুনে পূর্বকে নিয়ন্ত্রণ করে! পূর্ব ফ্লোরে হাটু মুড়ে ঝুঁকে বসে! ওকে ঘিরে সব কাজিন গোল করে বসলে সান্ত্বনা দিতে থাকে পূর্বকে। যা হয়েছে তা কখনো ফিরে পাওয়া যাবেনা। একটা ভুল সারাজীবনের দুঃখ! এটাই কঠিন সত্য! পূর্ব নিশব্দে চোখের বাধ ছেড়ে দিয়েছে।শুকনো ফ্লোরে গোল গোল বিন্দু আকারে অশ্রুজল পড়ছে। মন কিছুতেই মানতে চাইছেনা পুরোনো প্রেমটা আজ অন্যকারো ঝুলিতে!পূর্বের বুক ঠেলে কান্না আছড়ে পড়ছে!! কেনো পূর্ব দাদীর কথা প্রেমিকাকে ছাড়লো? তাও প্রথম প্রেম! প্রথম ভালোবাসা!

সায়মা অসহায় সুরে চোখ ভিজিয়ে বললো,
— এসব কিছু ওই নোংরা মেয়েটার জন্য হয়েছে!! আমরা ওকে যদি ওখানেই ফেলে দিতাম!! এটলিস্ট টাইম মতো তো পৌছাতে পারতাম!! সব দোষ ওর…

— এক্সকিউজ মি? আপনারা যে মেয়েটির পোশাক বদলাতে বলেছেন তার পোশাক আমি পাল্টে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

পূর্ব আস্তে আস্তে মাথা তুলে স্টাফ মহিলার দিকে তাকালো। মহিলাটা চলে গেছে এতোক্ষনে। পূর্ব ফুয়াদের কাধে ভর দিয়ে ঝট করে উঠে দাড়ালো। সবাই কিছুটা অবাক হয়ে উঠে দাড়ালো! পূর্বের হাবভাব ভালো লাগছে না ওদের! পূর্বের রাগ মানে ভয়ংকর দূর্যোগের পূর্বাভাস! এই দূযোর্গ কতটা ভয়াবহ হতে পারে কেবল ওর কাজিনরা ভালো জানে! পূর্ব হুড়মুড় করে মেয়েটার রুমে ঢুকে ঠাসস করে দরজা ঠেলে দেয়। সবাই দরজার নব্ ঘোরাতেই দেখে বন্ধ! কি সাংঘাতিক! পূর্ব ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দিয়েছে!!! পূর্বের মাথায় কি চলছে?? ও কি মেয়েটাকে রাগের বশে মেরে ফেলবে? ক্ষতি করবে? ফুয়াদ, মিথুন, জাওয়াদ ধাক্কাতে লাগলো!! চিৎকার করলো খুলার জন্য!! সায়মা, পূর্বিকা সবাই চেচাচ্ছে! পূর্ব আর খুললো না! পূর্ব হাত মুষ্টিবদ্ধ করে বিছানায় শুয়ে থাকা মলিন চেহারার জ্ঞানহীন মেয়েটার দিকে ফুঁসে আসছে ! একপা একপা করে এগুচ্ছে! শরীর শীতের কাপুনির মতো থরথর কাপছে!! চোখের নিচ ঘেমে উঠেছে। চোখের ভেতরের সাদা অংশ এখন লাল লাল নার্ভে সাদা রঙ হারাচ্ছে। ক্রমশ লাল হয়ে উঠছে চোখদুটো ! আগুনের হুল্কো ছটার মতো রক্তিম লাল! হিংস্র রাগ!

#তোকে_ঘিরে♥
#সূচনা_পর্ব
#ফাবিয়াহ্_মমো

— চলবে?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here