প্রণয় ডায়েরি পর্ব-২৭

0
371

#প্রণয়_ডায়েরি
#Tafsia_Meghla
#পর্বঃ২৭

ঠান্ডা হাওয়া বইছে৷ বাতাসের বেগ বাড়ছে বাতাসের সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও পরছে৷ আর আকাশটা উচ্চস্বরে ডেকে উঠছে বারংবার৷
অকৃত্রিম বাতাস পুরো ঘরখানা হীম শীতল করে দিয়েছে৷ প্রেয়সীকে বুকে লেপ্টে নিয়ে এখনো ফ্লোরেই বসে আছে৷ মেয়েটা ওর বুকে লেপ্টে থেকেই ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে আর বক্ষের মালিকের হাজার নিন্দা করছে৷
তবে এই নিন্দা খারাপ নয় আবেগ মিশ্রিত ভালোবাসা মিশ্রিত৷ যার বক্ষপিঞ্জিরায় লেপ্টে আছে তার পাজরে মিশেই তাঁর নামে নালিশ করছে তাঁর কাছেই৷
শার্ট আর শার্ট ভেদ করে বক্ষটা প্রেয়সীর চোখের পানিতে ভিজে জুবুথুবু হয়ে আছে একেবারে৷
এই মেয়ের কান্নারস্বরটাও কত মিষ্টি৷ নাকি ওর কাছেই এমন মিষ্টি লাগছে?
তিশান নামক পুরুষটির এখন পাষাণের মত একটা ইচ্ছা জাগলো৷ প্রেয়সীকে বলতে ইচ্ছে করলো,
“আপনার কান্নারস্বরটাও আমার প্রিয় হয়ে গেলো চাঁদ৷ কাদুন আপনি আমি আপনার কান্নারত কন্ঠ শুনবো৷”
কিন্তু না ইচ্ছেটা মনেই পুষে রাখলো৷ ওষ্ঠদ্বয়ে আনলো না আর৷ এমনি করে কি বলতে আছে? প্রেয়সী যদি কষ্ট পায়?
এরপর থেকে প্রেয়সী তাঁর বুকেই কাঁদবে৷ কিন্তু এরপর থেকে প্রেয়সীর সকল কান্না হবে সুখের৷ তখন না হয় বলবে কখনো?
আজই প্রেয়সীর কষ্ট মেশানো শেষ কান্না৷ সকল সুখ মেয়েটার হাতে এনে দিবে৷ আগলে রাখবে বুকে৷

অনেকটা সময় পার হলো মেয়েটা থামলো৷ কাঁদছেনা আর ভারি নিশ্বাস বুকে পরছে৷
মেয়েটা ঘুমিয়ে গেলো কি? মেয়েটা নিজেকে যতটা বড় প্রমান করে ততটা সে নয়৷ কান্না করতে করতে এখনো বাচ্চাদের মত ঘুমিয়ে পরে৷
আস্তে করে আগলে নিলো মেয়েটাকে অতঃপর বিছানায় শুইয়ে দিলো৷ ইসস কেন যে ভারি লেহেঙ্গা টা দিতে গেলো ভারি লেহেঙ্গাটায় নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে প্রেয়সীর? মুঠোভরতি চুড়ি গুলো খুলে নিলো৷ বাকি সব অলংকার আগেই খুলেছে মেয়েটা৷ চুড়ি গুলোর আচরে ওর বুক ও অনেকটা কেটে গেছে৷ তাতে মলম লাগালো না৷ জালা করছে জায়গাটা তবুও এমনি রেখে দিলো৷ এ যে প্রেয়সীর দেওয়া চিহ্ন৷

তাফসির গলা থেকে লেহেঙ্গার উরনাটা সরিয়ে দিলো তিশান৷ কিছুটা জরতা কাজ করলেও নিজেকে এই বলে শান্তনা দিলো,
“মেয়েটা নিজের অর্ধাঙ্গ তাহলে জরতা কিসের?”
নিজের পছন্দের কম্বলটা জড়িয়ে দিলো মেয়েটার শরীরে৷এসিটা অন করে পাওয়ার কমিয়ে দিলো৷ কম্বলটার উপর কেমন হিংসে হলো তিশান নামক পুরুষটির কেমন লেপ্টে আছে প্রেয়সীর শরীর জুরে৷ ওইতো একটু আগেই তাঁর বক্ষস্থলে এমন লেপ্টে ছিলো৷

নিচে সোরগোল শোনা গেলো নতুন বউ নিয়ে এসেছে৷ বারান্দায় এসে দাঁড়ালো আরাভদের বাড়ির দরজার সামনে সবাই দাঁড়িয়ে আছে৷ স্বর্নাকে দেখা যাচ্ছে৷ স্বর্না একটা ধন্যবাদ পাওনা আছে অনেক সাহায্য করেছে ওকে৷

তাফসিকে নিয়ে নিজের বাড়িতেই উঠেছে৷ স্বর্না বলেছিলো ঢাকার বাইরে চলে যেতে কিন্তু এই মেয়ের যা অবস্থা কান্নাকাটি করে ভাসাচ্ছে কেউ দেখলে নিশ্চিত বলবে ও কিডন্যাপ করেছে৷
বেশখানিক্ষণ পর নিজেদের বাড়িতে কথার আওয়াজ পেলো৷ ওর বাবা-মা বাড়িতে ঢুকেছে৷
বারান্দা থেকে বেরিয়ে রুমে প্রবেশ করে একবার পরখ করলো তাঁর চাঁদকে৷ পাষাণ মেয়েটা কি সুন্দর ঘুমাচ্ছে?

ধাতস্থ হয়ে নিচে নেমে এলো তিশান যেমন কিছু হয়ইনি স্বাভাবিক সব কিছু৷ এহসান সাহেব ছেলেকে উপর থেকে নামতে দেখে থতমত খেলেন৷
এই ছেলে এখানে? তাহলে মেয়েটা কোথায়? সবাই তিশান কে উপর থেকে নামতে দেখে ভুত দেখার মত চমকে উঠে৷
তিশানের মা রুনা ছেলের দিকে তাকিয়ে অবাক কন্ঠে প্রশ্ন ছুড়ে দেয়,
“তুই বাড়িতে?”
“তো বউকে নিয়ে কি অন্য বাড়িতে যাবো নাকি?”
তিশানের নিঃসংকোচে উত্তর৷ সবাই যেন এমন উত্তরে নড়েচড়ে দাঁড়ালো৷ রাগ হলো এহসান সাহেবের এই ছেলে মুখটাই ছোট করে দিলো তাঁর৷
তার কথাতেই বিয়েটা নাকোচ করেছিলো তাফসির বাবা৷ কিন্তু তার ছেলেই এমন কান্ড বাজালো৷
এহসান সাহেব ক্রুদ্ধ কন্ঠে বলেন,
“মেয়েটাকে নিয়ে পালিয়েছো কেন? সবার চোখে নিচু করে দিলে আমাদের এই বাড়িতে ঠাই নেই তোমার৷”
তিশান একই ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে মোবাইল ঘাটতে ঘাটতে উত্তর দেয়,
” আমার জিনিস বেশিদিন আমি দূরে রাখিনা তা নিশ্চয়ই ভালো করে জানা আছে তোমার?
আর রইলো এখানে থাকার কথা থাকবো না ফাইন৷ চলে যাচ্ছি আমরা৷”
ইশান ভাইয়ের দিকে পূর্ণদৃষ্টি নিক্ষেপ করলো৷ ও জানে ভালো করেই ভাইটা যে ওর ঘার বাঁকা৷ এ ছেলের ধারা সব সম্ভব৷
স্বাভাবিক কন্ঠে ইশান প্রশ্ন ছুড়ে দিলো,
” বিয়ে করেছিস?”
“করেছি৷ এখনো ওই পাষাণ মেয়েকে বিয়ে না করলে এখানে রাখার সাধ্যি ছিলো নাকি আমার৷ সবাই সরযন্ত্রে নেমেছে এক সাথে৷ ”
শেষের কথা গুলো বিরবির করেই বললো যা ইশান ছাড়া কারো কর্ণপাত হলো না৷
ইশান ভাইয়ের কথায় হতাশ নিশ্বাস ত্যাগ করলো৷
তিশান উপরে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতেই তিশানের বাবা শক্ত কন্ঠে বলে উঠে,
” তোমার যেখানে ইচ্ছা যাও৷ আমাদের বাড়ির বউকে আমাদের বাড়িতেই রেখে যাও৷”
তিশান দাঁড়ালো অতঃপর পিছনে মুরলো বাবার মুখের উপরই বললো,
“ইম্পসিবল৷ আমার বউ আমার সাথে থাকবে৷ ”
এমন ঠোঁট কাটা উত্তরে সবাই বড় বড় করে তাকালো তিশানের দিকে৷
রুনা জানেন এই বাপ ছেলেকে ঝগড়া করতে দিলে সারা রাত বসে ঝগড়াই করবে তাই আগ বাড়িয়ে বলেন,
“কাউকে কোথাও যেতে হবে না৷ তিশান উপরে যাও৷ আর তাফসি কোথায়? মেয়েটাকে কোথায় রেখেছো?”
তিশান বাইরে যেতে যেতে বলে,
” ঘুমাচ্ছে মা৷ ওকে একটু দেখো পারলে একটু চেঞ্জ করিয়ে দিও তুমি আর ভাবি মিলে৷ আসার পর থেকে কেঁদে কেটে ভাসাচ্ছে শুধু৷ আমি আসছি ভাবির সাথে দেখা করে৷”
তিশান বেরিয়ে গেলো তিশানের মা রুনা দীর্ঘশ্বাস ফেললো৷ সে জানতো তার ছেলে পালানো ফন্দি আটছে৷ বিয়ের দু-দিন আগে সে নিজে কানে শুনেছে৷

আফরা আর তিশানের মা তিশানের রুমের দিকে এগিয়ে গেলো৷ কান্নায় মেয়েটার নাক মুখ লাল হয়ে আছে পুরোপুরি এই মেয়েটাকে তার ছেলে পাগলের মত ভালোবাসে৷ হসপিটালে তৃতীয় দিন মেয়েটাকে দেখার পর তার ছেলের ছটফটানি দেখেছে সে৷
যাক তার চঞ্চল ছেলেটাকে এবার এই মেয়েই ঠিক করতে পারবে৷ কিন্তু ওর বাড়ির মানুষ যা ক্ষেপে আছে কাল আসার পর আবার মেয়েকে নিয়ে যাবে না তো? তাহলে বিয়ে বাড়িতেই কেলেংকারী বাধিয়ে দিবে তার ছেলে৷
তিহান নিজের থেকে একটা জামা এনে দিলো মায়ের হাতে৷
তখনি তিশান ফোন করলো৷ ফোনের আওয়াজে নড়েচড়ে উঠলো মেয়েটা৷ তিশানের মা হাত বাড়িয়ে ফোনটা তুললো অতঃপর সে কিছু বলার আগেই ওপাশ থেকে তিশান বললো,
“আম্মু ওকে উঠিয়ে শাড়ি পড়িয়ে দাও৷ আমার আলমারিতে শাড়ি আছে৷”
তিশানের মা ছেলের কথায় ভরকালো৷ এখন শাড়ি পড়াবে কেন? পাগল হলো নাকি ছেলেটা?
তিশানের মা বিরক্ত নিয়ে বলে,
“পাগল হলি নাকি? সারাদিন ধকলের পর মেয়েটাকে শাড়ি পড়াবো কেন?”
“আমি দেখবো তাই৷ ”
ছেলের নির্লিপ্ত ঠোঁট কাটা উত্তরে আরো বেশি বিরক্ত হলো মা৷
ছেলে লজ্জা সব ধুয়ে খেয়েছে নাকি একেবারে? তিশানের মা ফের বিরক্ত কন্ঠে বলে,
“কি বলছিস কি? আমি যে মা ভুলে গেলি নাকি?”
এবার তিশান শব্দ করে হেসে দিলো৷ অতঃপর উত্তর দিলো,
“মা চাঁদকে বরণ করা হয়নি৷ চাচি ভাবিকে বরণ করেছে নিজ হাতে খাইয়েছে আমি দেখেছি৷ ওকে নিয়ে আমি আবার চৌকাঠে দাঁড়াবো তুমি বরণ করবে আমার চাঁদকে৷ ”
হাসলো রুনা৷ নৈঃশব্দিক হাসি৷ ছেলে বড় হয়েছে৷ সেই ছোট্ট তিশান আজ কতো বড় যে মা ছাড়া কিছুই বুঝতো না৷ এ মেয়ের ক্ষমতা আছে বলতে হবে৷
তাফসি চোখ পিটপিট করে খুললো৷ আফরা আর তিহান বের হলো মিষ্টি রেডি করতে আর রান্নার জন্য সার্বেন্টকে বলতে বাড়িতে নতুন বউ এসেছে যে৷
তিশানের মা কে দেখে লজ্জা পেলো তাফসি সাথে অনুশোচনাও হলো ভাবলো সে হয়তো ভুল বুঝবে৷ কিন্তু না তিশানের মা তাকে অবাক করে দিয়ে বললো,
“আমার ছেলের উপর রাগ করিসনা মা৷ ছেলেটা তোকে ভালোবাসে৷”
তাফসি কিছু বললো না চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পরছে৷ তিশানের উপর অভিমান টা চওড়া যে৷ ওর বাবা ওকে ভুল বুঝছে হয়তো?
তিশানের মা তাফসিকে বললো, বিয়ের কথা নাকোচ করতে যে তিশানের বাবাই শিখিয়ে দিয়েছিলো নয়তো বিয়ের জন্য সবাই রাজি ছিলো৷ এ কথা শুনে অবাক হলো তাফসি৷ ওর বাবা ওকে ভুল বুঝেনি এ ও বলেছে৷
তাফসিকে জড়িয়ে ধরলো তিশানের মা৷ মেয়েটা কাঁদছেই৷ ছেলেটা সুন্দর মেয়েটাকে কাঁদাচ্ছে কি করে? মেয়েটার আচরণ প্রথম থেকেই লক্ষ করেছে তিশানের মা৷ মেয়েটা সবার আগে বাবার মায়ের কথা ভাবে নিজের ভালোবাসাও প্রাধান্য দেয়নি তার ছেলের মত৷ এই দিক দিয়ে তাফসির বাবা-মা কে জয়ি মনে হলো তার৷
তাফসির চোখ সন্তপর্ণে মুছিয়ে দিয়ে মুচকি হেসে বলে,
“কাঁদেনা মা৷ আমার ছেলেটা যে পাগল জানিসি তো? তোর বাবাকে ঠিক মানিয়ে নিবে৷ কিন্তু একটা কথা বলি ওর উপর অভিমান টা জারি রাখ৷ রেগে থাকিস না উপরে উপরে দেখা অভিমান করে আছিস৷ একটু শাস্তি দে উম্মাদ ছেলেটাকে৷”
বলেই হাসলো রুনা৷ তাফসিও হেসে দিলো৷ অতঃপর তিশানের আলমারি থেকে শাড়ি না বের করে নিজের ঘর থেকে নিজের বিয়ের একটা শাড়ি পড়িয়ে দিলো৷
বড় বউ হিসেবে আফরার জন্যও একটা রেখেছে আরেকটা তাফসিকে দিলো৷ ইশানের আগে বিয়ে হলেও আফরাকে এখনো ঘটা করে অনুষ্ঠান করে নিয়ে আসেনি৷
কিছুদিন পরই ইশানের বিয়ে হতো৷ তাফসির ভালো লাগলো তিশানের মা কে সে একদম অন্যরকম আর অনেক ভালো৷ এমন শাশুড়ী পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার নয়তো কোন শাশুড়ী বলে ছেলেকে শাস্তি দিতে?

এর মাঝেই তিশানের বাবা তাফসির বাবা চাচাদের সাথে কথা বললো৷ সবাই স্বাভাবিক হলেও তাফসির বাবা একটু তার উপর রেগে আছে৷ আর তারা চায় মেয়েকে কালকে নিয়ে আসতে তাদের বাড়িতে পরে বড়রা একটা তারিখ ঠিক করে নাহয় আবার বিয়েটা সামাজিক ভাবে সবাইকে জানিয়ে ওয়ালিমা করবে?
কিন্তু এতে তিশানের বাবা চিন্তিত তার অধম ছেলেটা কি দিতে চাইবে?
বেশক্ষানিক্ষণ পর তিশান এলো৷ মায়ের শাড়িতে বউকে দেখে থমকালো৷ মেয়েটা মুখ ভার করে আছে তাও খেয়াল করলো৷ অথচ বোন ভাবির সাথে কি সুন্দর হেসে হেসে কথা বলছে?
স্বর্না, আরাভ এলো বোনকে গিয়ে জরিয়ে ধরলো তাফসি রাগে কথা বললো না৷ স্বর্না হতাশ নিশ্বাস ত্যাগ করে তিশানের দিকে তাকালো তিশানো একই ভঙ্গিতে তাকালো৷ যার মানে এই পাষাণ মেয়ে ওর সাথেও কথা বলছে না৷

তিশান আফরা আর তিহানের মাঝখান থেকে তাফসির হাত ধরে উঠিয়ে নিলো অতঃপর সবার সামনেই গম্ভীরকন্ঠে বললো,
” আপনি পাষাণ চাঁদ৷ ওদের সাথে হেসে হেসে কথা বলবেন না আমার সামনে৷ আপনি শুধু আমার সাথে হেসে কথা বলবেন৷ ”
তিশানের বাবা ছেলের কথায় থতমত খেয়ে বেরিয়ে গেলো৷ তাফসি লজ্জা পেলো মাথা নিচু করে কয়েকটা গালি দিলো মিনমিনিয়ে৷ ঠোট টিপে হাসলো আফরা স্বর্না৷ তিশানের মা রান্না ঘরের দিকে চলে গেলো মিষ্টির প্লেট আনতে৷
তিশান আবার বললো,
“চলুন চাঁদ৷ আপনাকে বরণ করে ফের অন্দরে প্রবেশ করাবো৷”
উত্তরের আশা না করেই চৌকাঠে গিয়ে দাড়ালো৷ ইশান এর মাঝেই ভাইয়ের মাথায় গাট্টা মেরে বললো,
“বড় ভাইয়ের আগে বউ ঘরে তুললি লজ্জা সরমের মাথা খেয়ে৷”
তিশান বলে,
“তোর বিয়ে হয়েই গেছে নিজ ক্ষমতায় বউকে ঘরে তুলতে পারলিনা এটা তোর ব্যর্থতা৷ তোর জন্য বেচারা ভাবি আমার কষ্ট পাচ্ছে তবুও তোর সময় হবে না পরে দেখবি চাচা হয়ে গেছিস কিন্তু আমার বাচ্চার চাচিকে এখনো গৃহপ্রবেশ করাতে পারলি না৷ ”
তিশানের এহেন উত্তরে থতমত খেলো ইশান লজ্জা পেলো তাফসি কান গরম হয়ে আসছে৷ এখন ইচ্ছে তাফসির ইচ্ছে জাগলো এই ছেলেকে নির্লজ্জ উপাধি দিতে৷ কিন্তু গলা দিয়ে তা বের হলো না লজ্জায় মাথা নিচু করেই রইলো৷

তিশানের মা ও এলো বরণের কুলা নিয়ে৷ অতঃপর বরণ করলো সবার সামনেই পাজ কোলে তুলে নিলো তাফসিকে৷ এটা যে নিয়ম এটাও তিশান জানে৷ লজ্জা পেলো তাফসি৷ লজ্জায় তাকাতে পারছে না আর৷
তিশান ঘরে প্রবেশ করতে করপ্তে মিনমিনিয়ে বললো,
” অন্দর মহলে আপনাকে ফের স্বাগত আমার অন্তস্তলের প্রণয়িনী৷”

চলবে,

[নোটঃ ১৬২২ শব্দের পর্ব]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here