ছোট গল্প — হেলোসিনেশন
~ সবুজ আহম্মদ মুরসালিন
২.
আজ সকাল থেকে রাসেলের জ্বর বেড়েছে। ভোর রাতে একবার অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো। এখন অবচেতন হয়ে শুয়ে আছে। সকালে কিছুই খেতে পারেনি। কোনো রকম একটা রুটি খেয়ে ওষুধগুলো খেয়েছে। সেই ভোর বেলা জ্বর বেড়েছে এখনো কমেনি। সকালে ডাক্তার এসে একবার দেখে গেছে। জরুরী হলে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছে।
একটা দীর্ঘঘুম দিয়ে রাসেল মাত্র উঠেছে। উঠেই হাত বাড়িয়ে বালিশের পাশে থেকে ফোন নিয়ে লক খুলতেই দেখলো আনিকা মেসেজ দিয়েছে বেশ কিছুক্ষণ আগে। আনিকা জানতে চেয়েছে, জ্বর কমেছে?
রাসেল মিথ্যে করে উত্তর দিলো,
— হুম, এখন মোটামুটি সুস্থ।
আনিকার জিজ্ঞাসা করলো,
— মন খারাপ?
রাসেল বলল,
— কিছুটা!
দীর্ঘ সময় দুইজনই নিরব। কেউ কাউকে মেসেজ করলো না। নিরবতা ভেঙে আনিকা মেসেজ দিলো,
— শুনুন
রাসেল উত্তর দিলো,
— হ্যাঁ, বলুন।
আনিকা বলল,
— আপনি ইচ্ছে করে আর জ্বর বাধাবেন না এবং
“আমি আপনাকে ভালোবাসি” এটা আপনাকে আর হেলোসিনেশন করতে হবে না!
“আমি সত্যি আপনাকে ভালোবাসি।”
আনিকার মেসেজ পড়তেই রাসেল হাত থেকে তার ফোন পরে গেলো বিছানায়। সে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না। আনিকা কি সত্যি বলছে? সে এতো দিন যেটা শুনতে চেয়েছিলো আজকে সে সেটা শুনতে পেলো। আনিকাকে সে সাথে সাথেই ফোন দিলো। সে আনিকার ফোন বন্ধ পেলো৷ রাসেল বারবার আনিকাকে কল দিতে থাকলো কিন্তু প্রতিবার বন্ধ পাচ্ছে।
রাসেল মন খারাপ করে শুয়ে পড়লো। শুয়ে শুয়ে আনিকার কথা ভাবতে শুরু করলো। সে আনিকাকে এতোদিন এক তরফা ভাবে ভালো বেসে এসেছে। আজ আনিকা নিজে বলেছে তাকে আনিকা ভালোবাসে। এর থেকে বড় অর্জন তার জীবনে নেই। সে আজ পৃথিবীর সবচে সুখি মানুষ। তার মত সুখি কেউ নেই পৃথিবীতে। সে আনিকার কথা ভাবতে ভাবতে একটা সময় ঘুময়ে গেলো।
(ছোট গল্প তাই পর্বগুলো ছোট করে দিয়েছি।
আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।)
চলবে…