হৃৎপিণ্ড_২ (দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ) পর্ব ৯

0
460

#হৃৎপিণ্ড_২
#দ্বিতীয়_পরিচ্ছেদ
#পর্ব_ ৯
#জান্নাতুল_নাঈমা
_____________________
কপাল কুঁচকে ওষ্ঠজোড়া ফুলিয়ে নিভু নিভু দৃষ্টিতে তাকিয়ে ইমনের সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে মুসকান৷ দিঘল ঐন্দ্রজালিক আখিঁদ্বয় দ্বারা ইমন’কে আপাদমস্তক দেখছে মেয়েটা। শ্বাসরুদ্ধ করে কয়েক পল নিশ্চুপ হয়ে তাকিয়েই রইলো ইমন৷ এই একটা মুখ,এই একজন মানবীর দৃষ্টিজোড়া, এই একজন মানবীর নিঃশ্বাসের গভীরতা তীক্ষ্ণ ভাবে ঘায়েল করে তাকে। একত্রিশ বছরের জীবনে এ পৃথিবীতে শতাধিক নারীর সঙ্গে পরিচয় ঘটেছে তার। কেউ রূপবতী, কেউ গুণবতী। তাদের সে রূপ বা গুণ কোনভাবেই ইমন চৌধুরী কে আকৃষ্ট করতে পারেনি৷ চেষ্টার কোন ত্রুটি ছিলো না তাদের, শুরুতে ভাবতো সৃষ্টিকর্তা কি তার ভেতর অনুভূতি নামক যন্ত্র টা দেয়নি? নাকি তার জন্য কোন নারী’কে এ পৃথিবীতে সৃষ্টিই করা হয়নি? আশেপাশের পরিচিত বহু মেয়ের আফসোসের আরেক নাম ইমন চৌধুরী। নিজের বন্ধু – বান্ধব, বাবা মায়ের বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পাড়া, প্রতিবেশী সকলের একটাই কৌতুহল ইমন চৌধুরী বিয়ে করে না কেন? বা তার জীবনে কোন নারীর আগমণ ঘটে না কেন? সব প্রশ্নের উত্তর সেদিন পায় যেদিন চৌদ্দ বছরের এক কিশোরী’কে দেখা মাত্রই বক্ষঃস্থল কেঁপে ওঠে। নিঃশ্বাসে – প্রশ্বাসে শুরু হয় অস্থিরতা। হৃৎপিণ্ড নামক পাখিটা যাকে এক পলক দেখার জন্য ছটফট ছটফট করতেই থাকে। রূপ নয় গুণ নয় এক মায়াবতী’র মায়ার জালে আঁটকে যায় সে। অজস্র মায়ায় আচ্ছাদিত প্রগাঢ় সে দৃষ্টিজোড়ায় খুঁজে পায় একরাশ মুগ্ধতা। বক্ষঃস্থলে হাহাকার করে যেনো হৃৎপিণ্ড নামক পাখিটা বলতে থাকে হে পুরুষ রূপ নয় এক মায়াবতীর মায়ায়ই না হয় আঁটকে থাকো। গুণ নয় ছোট্ট এক কিশোরী’র মুগ্ধতাতেই না হয় ডুবে থাকো।
সেদিনই সমস্ত কৌতুহলের অবসান ঘটে৷ লজ্জিত হয় খুব যে বাচ্চা’টাকে জন্মাতে দেখেছে। চোখের সামনে হেসে খেলে মানুষ হতে দেখেছে তার প্রতি এমন অনুভূতি! এজন্যই বোধ হয় বোনওয়ালা কোন ছেলেই তাদের বন্ধু’দের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেনা৷ বন্ধু’র বোন দেখে হার্টবিট নামক যন্ত্রটার দফারফা অবস্থা যদি নাই হয় তাহলে সেই হার্টবিট নামক যন্ত্রটা’কে নির্দ্বিধায় অকেজো বলে সাব্যস্ত করা উচিৎ!

বাচ্চাদের মতো ভাবুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মুসকান। এক গালে হাত রেখে চোখ গুলো টেনে টেনে বড়ো করে তাকিয়ে থাকার চেষ্টা করছে। ইমন নির্নিমেষ দৃষ্টিতে তাকিয়েই বললো,

” কি ভাবছিস। ”

মুসকান এবার চোখ পিট পিট করে এক হাত বাড়িয়ে ইমনের টিশার্ট টেনে ধরে বললো,

” এই কালারটা খুবই জঘন্য তুমি এটা পড়বে না। ”

বলেই নিজের শাড়ির আঁচল দেখিয়ে বললো,

” আমারটার সাথে মিলছে না কেন নানাভাই? তখন তো ঠিক মিল ছিলো। ”

মৃদু হেসে ইমন বললো,

” তাই… ”

মুসকান গালে তর্জনী আঙুল ছুঁইয়ে মাথা নাড়িয়ে বললো, “হুম”

ইমন মাথা দুলিয়ে বললো,

” মিলবে কি করে আমিতো পোশাক পালটে নিয়েছি। এবার তুইও নিবি। কিন্তু এটুকু হুঁশ তোর আছে?তারমানে তুই পুরোপুরি মাতাল নস? ”

খিলখিল করে হেসে ওঠলো মুসকান পরোক্ষণেই আবার ফুঁপিয়ে কেঁদেও ওঠলো। মুখ টা চুপসে গেলো ইমনের মুসকানের দিকে দু’কদম এগিয়ে বললো,

” কি হলো? ”

” তুমি এসেছো নানাভাই? ”

ক্রন্দনরত সুরে কথাটি বলেই ইমন’কে জড়িয়ে ধরলো মুসকান৷ বুকে মুখ গুঁজে গুণগুণিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকলো,

” তুমি আমাকে ছেড়ে কেন চলে গেলে নানাভাই? আমাকে তুমি একটুও ভালোবাসো না একটুও না। ”

একদম স্থির হয়ে গেলো ইমন। পা থেকে মাথা অবদি অদ্ভুত ভাবে শিউরে ওঠলো। বক্ষঃস্থলে সুক্ষ্ম এক ব্যাথাও অনুভূত হলো। নিঃশ্বাস হয়ে ওঠলো ভারী। মুসকান বিরবির করে কত-শত নালিশ যে করতে লাগলো হিসাব নেই। মুসকানের প্রতিটা ভারী নিঃশ্বাস,আধো আধো কন্ঠে বলা প্রতিটা কথা ইমনের অন্তরে গিয়ে লাগছে। ইমন যখন স্তব্ধ হয়ে আছে মুসকান তখন ইমনের দিকে মাথা উঁচিয়ে তাকিয়ে আবারো বুকে মাথা রাখলো। তারপর নিজে নিজেই ইমনের দু’টো হাতের একটি টেনে কোমড়ে অপরটি টেনে পিঠে রাখলো। বুক পিঠে মুখ ঘষতে ঘষতে প্রচন্ড শক্ত করে জড়িয়ে রইলো। শ্বাসরুদ্ধকর এই পরিস্থিতি’তে ইমন আর কিছু ভাবতে পারলো না৷ মুসকান যে তার বুকে একটু ঠাঁই চাইছে, তার ভালোবাসা ময় আলিঙ্গন চাচ্ছে এটুকু বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হলো না। তবে এটাও সত্যি যদি হুঁশে থাকতো কখনোই এমনটা করতো না। হোক রাগে বা লজ্জায়। বেহুঁশ বলেই এতো সহজে নিজের অনুভূতি গুলো প্রকাশ করে ফেলছে। ছোট্ট একটি শ্বাস ছেড়ে দুচোখ বন্ধ করে মুসকান’কে দু’হাতে আবদ্ধ করে নিলো ইমন৷ দু’জনের মাঝে দীর্ঘ একটা সময় আর কোন কথা হলো না। জোৎস্নার রাতে চারদিকের মৃদু আবহাওয়ায় একজোড়া মানব-মানবীর তীব্র নিঃশ্বাসের শব্দে কেবল পরিবেশটি মুখরিত হয়ে ওঠলো। ইমন যেনো চলে গেলো অন্য এক দুনিয়ায়। বুকের ভিতর যে ঝড় বয়ে চলছিলো সে ঝড় থামানোর চেষ্টায় উন্মাদ হয়ে ওঠলো। চারদিকের মৃদু আবহাওয়ায় মুসকানের গভীর আলিঙ্গনে মাতাল প্রায় হয়ে গেলো। এ মূহুর্তে শ্রেষ্ঠ মাতাল বোধ হয় সে নিজেই। তা কেবল তার মাতলামোতেই প্রকাশ পাচ্ছে। কিন্তু সে মাতালামি খুব বেশী দীর্ঘস্থায়ী হলো না৷ ইমন যখন প্রচন্ড আবেশে আচ্ছন্ন হয়ে মুসকানের মাঝে ডুবে যাচ্ছিলো একের পর এক প্রগাঢ় স্পর্শে কেঁপে ওঠছিলো মুসকানের সর্বাঙ্গ। ঠিক সেসময়ই বেজে ওঠলো ইমনের ফোন। চমকে ওঠে মুসকান’কে ছেড়ে দিলো ইমন। ঘনঘন শ্বাস ছেড়ে ফোন রিসিভ করতেই মুরাদ বললো,

” দোস্ত গুড নিউজ রিমি প্র্যাগনেন্ট আম্মা আর চাচি মিলে জোর করে টেস্ট করাইছে ওরে। কাল’কে হাসপাতাল যাইয়া আরো ভালো ভাবে কনফার্ম হমু। ”

ইমনের মেজাজ খিঁচে গেলো। পরোক্ষণেই ভাবলো নাহ ভালোই হয়েছে একটু বেশীই হয়ে যাচ্ছিলো। মুরাদকে কনগ্রেস জানালো ইমন৷ এদিকে ইমন ছেড়ে দেওয়ায় প্রচন্ড রেগে গেছে মুসকান৷ সে ইমন’কে চায়, চায় তার স্পর্শ’কে অস্থিরতায় তার বক্ষবন্ধনী ক্রমান্বয়ে ওঠানামা করছে। এদিকে ইমন মুরাদের সঙ্গে কথা বলার ফাঁকে একবার মুসকানকে আপাদমস্তক দেখে নিয়ে দৃষ্টি সরিয়ে নিলো। এক ঢোক গিলে সিদ্ধান্ত নিলো ফোনে কথা শেষ করেই নিচে চলে যাবে। পরিস্থিতি খুবই ডেঞ্জারাস! কথা বলতে বলতে ইমন বা’দিকে ধীর গতিতে হাঁটা ধরবে এমন সময় মুসকান কাঁদো কাঁদো ভঙ্গিতে ইমনের সামনে দাঁড়ালো। কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে তার পূর্বেই ইমন একহাতে টেনে মুসকানকে নিজের কাছে নিয়ে এলো। মুসকানের পিঠ নিজের বুকে ঠেকিয়ে একহাতে ওর মুখ চেপে ধরলো। ফোনের ওপাশে মুরাদ যা বলছে সব শুনে ইমন শুধু হুম,হা উত্তর দিচ্ছে। কিন্তু মুসকানের ছটফটানি সামলাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এমন একটা ভাব যে মুখ থেকে হাত সরালেই কন্ঠ দিয়েই তাণ্ডব শুরু করবে। কিন্তু মুরাদ যদি ঘুণাক্ষরেও বুঝতে পারে মুসকান এখনও তার সাথে বা মুসকানের পাশে সে তাহলে গালিগালাজ করে গুষ্টি উদ্ধার করে ছাড়বে। বিয়েতে মত দিছে বলে বিয়ের পূর্বে শান্তিতে প্রেম কোনভাবেই করতে দেবে না এই বান্দা। তাই হিটলার বন্ধুর বোন’কে হিটলারি ছাড়া ঘায়েল করার উপায় নেই। ভাবতেই চোখ বুঝে মুসকানের ঘাড়ে গভীরভাবে ওষ্ঠ ছুঁইয়ে বললো, ” হুম “। মুরাদ বললো,

” তাহলে রাখি তুই সকাল সকাল মুসুকে নিয়ে চলে আসিস মুসুকে রেখে আমার সাথে হাসপাতাল যাবি।”

ইমন সেভাবেই বললো,

” হুম। ”

মুরাদ ফোন কেটে দিতেই ফোন ট্রাউজারের পকেটে রেখে মুসকানের মুখ থেকে হাত সরিয়ে নিজের দিক ঘোরালো। মুসকান ঘনঘন শ্বাস নিচ্ছে তখনো ইমন বললো,

” অনেক রাত হয়েছে নিচে যেতে হবে। ”

কি হলো মুসকানের কে জানে দু’হাতে ইমনের বুকপিঠে ধাক্কা মেরে সরিয়ে বিরবির করে কিসব বলতে বলতে ছাদের ওপাশে চলে গেলো। আশ্চর্যান্বিত হয়ে পিছু ছুটলো ইমনও। মুসকান সুইমিং পুলে পা ডুবিয়ে বসলো। ইমন সেদিকে গিয়ে বললো,

” এখন কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে। আমি কিন্তু রেগে যাব।”

” রেগে গেলে তো হেরে গেলে। ”

পানিতে পা নাচাতে নাচতে বললো মুসকান। ইমন ভ্রু বাঁকিয়ে তাচ্ছিল্য সুরে বললো,

” এই রাগ হারার রাগ না মিস মুগ্ধময়ী। ”

মুসকানের পাশে ইমনও বসে পড়লো। কেন জানি ভালোই লাগছে তার হুঁশে থাকা অবস্থায় কখনো এভাবে মুসকান’কে পায়নি৷ এতো সুবোধ্য ভাবে মুসকান তার সঙ্গে কখনো কথাও বলেনি৷ কেন জানি লোভ হলো এই মুসকানের প্রতি। যে কিনা অবলীলায় নিজের সবটুকু অনুভূতি উজার করে দিতেও আজ প্রস্তুত। একহাত বাড়িয়ে মুসকান’কে নিজের বুকে টেনে নিলো ইমন। আরেক হাতে হাঁটু অবদি ট্রাউজার গুটিয়ে নিজের পা’দুটোও মুসকানের মতো ডুবিয়ে দিলো পানিতে। তা দেখে খুশিতে মুসকানের চোখ দু’টো জ্বলজ্বল করে ওঠলো। শাড়ি ওঠিয়ে হাঁটু অবদি তুলে ইমনের দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেসে ওঠলো। ইমন বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে শ্বাস রুদ্ধ করে বললো,

” মরে যাবো নাকি মেরে ফেলবো বুঝতে পারছিনা। ”

মুসকান হাসি থামিয়ে বোকা বোকা চেহেরায় তাকিয়ে রইলো। ইমন ছোট্ট করে শ্বাস ছেড়ে মুসকানের কপালে চুমু খেয়ে মুসকানের ডুবানো পা দু’টো নিজের দু’পা দ্বারা আবদ্ধ করে ফেললো। কিছুটা শিউরে ওঠলো মুসকান। সেদিকে পাত্তা না দিয়ে মুসকানের দু’হাত নিজের হাতে মুঠোবন্দি করে নিলো। মুসকান অবাক চোখে তাকিয়ে আছে ইমন তার সে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো,

” আই ওয়ান্ট ইউ সো মাচ মুসু। ”

মুসকান পিটপিট করে তাকিয়ে বললো,

” চলো আমরা বিয়ে করে নেই। ”

ইমন কপট রাগ দেখিয়ে বললো,

” হুহ বিয়ে, বিয়ে করলে কে জানি সুইসাইড করবে বলেছিলো? ”

মুখটা ভার হয়ে গেলো মুসকানের ঠোঁট ফুলিয়ে বললো,

” তুমি আমায় বিয়ে করবে না নানাভাই? ”

হেসে ফেললো ইমন মাথা এদিক, সেদিক করে না বোঝালো। সঙ্গে সঙ্গে মুসকান এক ঝটকায় ইমনের থেকে হাত ছাড়িয়ে নিলো। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বললো,

” তোমরা সবাই স্বার্থপর। কেন বিয়ে করবে না? আমিতো বড়ো হয়ে গেছি। আমি আর বাচ্চা নেই নানাভাই, আমি বাচ্চাদের মতো আর হেসে,খেলে বেড়াই না। আমি বড়োদের মতো গম্ভীর হতে শিখে গেছি। জানো নানাভাই আমি সব রান্না শিখে নিয়েছি। একজন নারী’র কাছে একজন পুরুষ ঠিক যা যা আশা করে সবটা পাবে তুমি তাহলে কেন বিয়ে করবে না? ”

” মুসু! ”

কান্নামিশ্রিত দৃষ্টিতে তাকালো মুসকান। অসহায় ভঙ্গিতে বললো,

“আমি রান্না করতে পারি নানাভাই তোমার পছন্দের সব রান্না আমি শিখে নিয়েছি। রান্না পারি, ঘর গোছাতে পারি,কাপড় পরিষ্কার করতে পারি সবটা শিখে নিয়েছি। বাচ্চা বলে আমার অনুভূতির গুরুত্ব তোমরা কেউ দাওনি। তাই আমি নিজেকে বড়ো করে তুলেছি। পঁচিশ, ছাব্বিশ বছর বয়সী নারী’রা যা পারে আমিও তাই পারি। তাহলেও কেন বিয়ে করবে না বলো? ”

অসহনীয় যন্ত্রণায় বুক ফেটে যাচ্ছে ইমনের। রাগে শরীরের রক্ত টগবগ করছে। কোনরকম নিজেকে সামলে নিয়ে ঠোঁট কামড়ে মুসকানের এক গালে হাত রেখে দৃঢ় কন্ঠে বললো,

” চুপ আর কোন কথা নয় আমরা নিচে যাবো। ”

মুসকান চুপ করলো না বরং এগিয়ে এসে ইমনের দুগাল নিজের ছোট ছোট হাত দু’টো দিয়ে আঁকড়ে ধরে কাতর কন্ঠে বললো,

” আংকেলের ধারণা যেনো সঠিক না হয় তাই শত রাগ, অভিমান থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় কোন পুরুষ’কে আমার জীবনে আসতে দেইনি। আমি সব দিক থেকে নিজেকে তৈরী করেছি। আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি খুব ভালোবাসি তোমাকে। ”

হুহু করে কেঁদে ওঠলো মুসকান। সহ্য করতে না পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে ইমন মুসকানের দুগাল শক্ত করে চেপে ধরলো। বললো,

” আমাকে এতো এক্সপ্লেইন করার প্রয়োজন নেই। আর একবার যদি কেঁদেছিস মেরে ফেলবো। ”

গাল ছেড়ে মুসকানকে একহাতে তুলে কোলে বসিয়ে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। মুসকানও গুটিশুটি হয়ে পড়ে রইলো ইমনের বুকে। বিরবির করে বলতে থাকলো,

” আমার অনেক কষ্ট নানাভাই। আমার বুকে খুব ব্যাথা করে, আমি খুব কষ্ট পাই, আমার খুব যন্ত্রণা হয়। ”

বুকের ভিতর টা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছিলো ইমনের৷ আর বেশীক্ষণ থাকলে হয়তো স্ট্রোক করে মৃত্যুই ঘটবে তার। তাই আর এক মূহুর্ত দেরী করলো না। মুসকান’কে ওভাবে নিয়েই নিচে নেমে গেলো।

চলবে…
গল্পটির মধ্যে বাস্তবতা খুঁজবেন না। এটি শুধুমাত্র বিনোদনের জন্য। রিল্যাক্স হতেই এটি লেখা আশা করি পাঠকরাও রিল্যাক্স মুডে পড়বে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here