#হৃদয়হরণী
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব-৮
-তার মানে তুই এতক্ষণ এই জন্য মন খারাপ করে বসে ছিলি পেখু(অর্নব)
-মানে সিরিয়াসলি আমি তোর এই আবির দাকে বুঝতেই পারি না,,, মানুষটা চাই কি??(প্রিয়া)
-সেটাতো আমিও বুঝতে পারছি না,, কিছু করলাম না শুধু শুধু এত গুলো কথা আমাকে শুনিয়ে গেল,,অথচ দেখ এই কানের, চুড়ি এমনকি মেহেন্দী টাও সে আমাকে কাল দিয়ে গেছে,,,আবার তার সাথে থ্রেট পর্যন্ত দিয়েছে যদি মেহেন্দী না পড়ি তাহলে যেন তার সামনে না যায়,,, উফ শোন তোরা ,আমি অল্প বয়সে পাগল হয়ে যাবো আর তার জন্য দায়ী থাকবে মিস্টার আবির চৌধুরী,,, এই একটা ছেলেই সেই ছোটবেলা থেকে আমার জীবন তেজপাতা করে দিলো,,,
-শান্ত হ,,,আর মন খারাপ করে থাকিস না,,,একটু পরেই আবার রেডি হতে হবে বরযাত্রী যাওয়ার জন্য,,,(আকাশ)
-আচ্ছা তুই সকাল থেকে কি কি করেছিস আমাকে একটু বল তো(রুশা)
-নাও ইনি এলেন এবার সব তথ্য একত্রিত করবেন,,(দিপু)
-উফফ তুই চুপ করবি,,যা তোর gf ফোন করেছিল কথা বল,,কি হল বল পেখু(রুশা)
-তারপর পেখম সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সব কথা খুলে বলল,,সব কিছু শোনার পর ওর বন্ধুরাও বুঝতে পারছে না আবিরের পেখমকে ওই কথা গুলো বলার উদ্দেশ্য কি??
-পেখম ,,,পেখম,,,(মাসি)
-কি মাসিমনি,,, ডাকছো কেন??(পেখম)
-ও তুই এখানে,,, শোন না মা একটু এই কফি আর পকোড়া গুলো পুলকের বন্ধুদের দিয়ে আয় না,,
-আর কেউ নেই মাসিমনি,, দেখছো তো একটু গল্প করছিলাম,,,(আদুরে গলায়)
-মারবো একটা,,, দাদার বিয়ে উনি নাকি গল্প করছেন,, বাড়িতে কত কাজ যা আগে,,,
-আচ্ছা ঠিক আছে,, এই পেখু চল আমরাও যাই তোর সাথে,,,(রুশা)
-হ্যাঁ ঝাড়ি টা যাতে ভালো করে দিতে পারো,,,(প্রিয়া)
-উফফ চুপ কর,,,এখন চল এখান থেকে,,,(পেখম)
__________________________________________
(একটা ট্রেতে কফি নিলো পেখম,,প্রিয়া একটা ট্রেতে পকোড়া নিলো আর রুশা একটা জলের বতল নিলো,,,তারপর গেস্টরুমে গিয়ে নক করলো)
-এই দেখতো কে এসেছে,,(মৈনাক)
-প্লিজ ইয়ার সবে শুলাম,, এখন উঠতে পারবো না,, ঐ বাড়িতে ভীষণ খেয়েছি,,সেটা হজম করতে হবে,,(নিষ্প্রভ)
-হ্যাঁ হজম তো করতে হবে ,,নাহলে রাতের টা খাবি কি করে??আর একটা দেখো সেই যে ওয়াশরুমে গিয়েছে এখনো তার বেরোনোর নাম নেয়,,ভাই নয়ন আমিও তো একটু ফ্রেশ হবো বল,,(কুশল)
-সেই কখন থেকে নক করে যাচ্ছে,,, তোরা নিজেদের মধ্যে কথা বল ,,,বলেই ঋষি দরজা খুলতে গেল,,,
-ভাই এরা ভিতরে কি করছে,,,কখন থেকে নক করছি ,,আমার হাত ব্যাথা হয়ে গেল,,,(রুশা)
-চুপ হয়ে যা,,,,বলতেই পেখম দেখে ঋষি দরজা খুলে দিয়েছে,, ও ঋষিকে দেখে মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,,,আব ভিতরে আসতে পারি ??
-হ্যাঁ অবশ্যই,,
-এই নিন আপনাদের টিফিন,, মা পাঠিয়েছে,, বলেই সেন্টার টেবিলের উপর কফি ,পকোড়া আর জলের বতল রেখে দিয়ে ঘর থেকে বেরোতে যাবে ওমনি কুশল বলে ওঠে,,
-আরে পেখম আপনার বান্ধবীদের সাথে ভালো করে তো পরিচয় হলো না তখন,,, এখন একটু পরিচয় পর্ব সেরে নেওয়া যাক কি বলেন মিস রুশাকে উদ্দেশ্য করে,,
-রুশা,, আমার নাম রুশা কুশল দাআআআআআআআ
-হাই,,,প্লিজ দাদা বলো না ,,,(বুকের দিকে ইশারা করে) এইখানে ভীষণ লাগে বলেই হেসে উঠলো,,,,ওদের এই কান্ড দেখে ঘরের সব সদস্যরা একসাথে হেসে উঠলো,,,
-এবার আড্ডা দেওয়া যাক লেডিস,,,(মৈনাক)
-why not মৈনাক দা উপস সরি আপনাদের তো আবার দাদা বলা যাবে না,,,i am right মিস্টার মৈনাক??
– beautiful Lady দের কাছে থেকে দাদা ডাক শুনলে আমাদের মতো ব্যাচেলার ছেলেদের হার্ট এ্যাটাক করে,,(কুশল)
-তাহলে তো আপনাদের ভালো ডাক্তার দেখাতে হয়,,ওফফ হো আমি কি করে ভুলে গেলাম এখানেই তো ডাক্তার আছে তাই না মিস্টার ঋষি?? আপনি কেমন ডাক্তার যে আপনার সামনেই আপনার বন্ধুদের হার্ট এ্যাটাক এসে যাচ্ছে??(রুশা)
-এতক্ষন এদের কথোপকথনের কোনো অংশে মনোযোগ দিতে পারে নি ঋষি,,তার সব মনোযোগ ছিলো পেখমের ওপর,,কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে সে রুশার কথায় ,ঠিক তখনই ওয়াশরুমের দরজা খুলে চুল মুছতে মুছতে সামনে এগিয়ে এসে নয়ন বলে ওঠে”অনেক সময় এই হার্টের মেডিসিন ডাক্তার দের কাছে থাকে না,কিছু কিছু সময় সুন্দরী রমনীদের কাছেও থাকে মিস রুশা,,
-আপনাদের কথার জন্যে কিন্তু কফি আর পকোড়া দুটোই ঠান্ডা হয়ে যাবে,,,আমরা বরং এখন আসি আপনারা খেয়ে নিন,,,বলেই পেখম রুশা আর প্রিয়ার দিকে চোখ রাঙিয়ে চলে যাওয়ার জন্য উদ্দত হলেই, পিছন থেকে ঋষি বলে ওঠে” মিস পেখম,,”
-পেখম পিছন ফিরে বলে ,কিছু বলবেন ডাক্তার??
-ডাক্তার নামটা শুনেই ঋষির মনের মধ্যে একটা ভালোলাগার অনুভূতি ছুঁয়ে যায়,,,নিজেকে সামলে বলে ওঠে” ধন্যবাদ”।
-কীসের জন্যে??
-এই যে(টেবিলের দিকে ইশারা করে) এত কিছু আমাদের জন্যে কষ্ট করে আনার জন্যে,,,
-এইটুকুতে ধন্যবাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই ডাক্তার,,, বলেই চলে গেল পেখম রা,,,আর এই দিকে ঋষিকে নিয়ে খিল্লি করতে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো সবাই,,,,
____________________________________________
-অশোক চৌধুরীর আজকে যেমন খুশির দিন তেমনই মনে সে হালকা ব্যাথা অনুভব করছে,,সেই ছোট্ট তীয়ার আজ বিয়ে,,এখন ভাবলেই মনে হয় এই তো সেদিন নার্সিং হোম থেকে নিয়ে আসলাম,, দেখতে দেখতে মেয়েটা এত বড়ো হয়ে গেল যে আজ তার বিয়ে,,,কাল থেকে মেয়েটাকে আর প্রতিদিনের ন্যায় কাছে পাবেন না তিনি। অফিস থেকে ফিরে আসলে কেউ আর এসে বলবে না বাবা তোমাকে এক কাপ কফি করে এনে দেবো?? বাবা তোমার মাথাটা একটু টিপে দেবো,,,,কেউ আর বায়না করে বলবে না বাবা আমার এটা চায়,,,ও বাবা দেখো না মা কিন্তু আমাকে আবার বকছে,,,কথা গুলো ভেবেই বুকের ব্যাথাটা আরও তীব্র হয়ে ওঠে,,সাথে সাথেই অদ্বিতীয়ার মাথাটা চেপে ধরে বুকের মাঝে,,, না এবার শান্তি,, এই তো তার মেয়ে তার কাছেই আছে,,,
-বিগত কয়েক ঘন্টা ধরেই বাড়ির লোকজন সবাই চুপচাপ বসে সামনের এই দৃশ্য দেখছে,,,সবার চোখ ছলছল করছে বাবা মেয়ের ভালোবাসার মুহূর্তটা উপলব্ধি করতে পেরে,,,
-এবার তো ওঠো,,আবির এই বাপ মেয়েকে বলনা উঠতে,,সেই কখন থেকে বসে আছে,, এবার আমি কান্না কাটি শুরু করলে কিন্তু কেউ থামাতে পারবে না,, সকাল থেকেই নিজেকে সামলে রেখেছি,,,কথাটা বলেই কেঁদে ফেললেন অনুপমা,,, মায়ের কান্না দেখে আবির মাকে জড়িয়ে ধরে,, প্রথমে নিজের চোখ মুছে,,তারপর মায়ের চোখ মুছিয়ে দিলো,,,
-এই বুঁচি এই জন্যে তোকে আমি ধমক দেয়,,,কোথায় বিয়ে করে ড্যাং ড্যাং করতে করতে শ্বশুর বাড়িতে যাবে তা না এখন আমার বাবা মাকে কাঁদাচ্ছে,,,ও মাসি বুঁচিকে নিয়ে যাও তো,,(আবির)
-হ্যাঁ আমাকে তো নিয়ে যেতে বলবি,,,আমি তো ধমক খাবো বাবা মা কাঁদছে বলে,,,তাহলে তুই বল ,,,তুই কেন কাঁদছিস?? এবার আমি তোকে ধমক দি দাভাই??(চোখের জল মুছে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে বলে ওঠে অদ্বিতীয়া)
-আবির গিয়ে অদ্বিতীয়াকে বুকে জড়িয়ে ধরে,, তারপর বলে ওঠে”ও বাবা বুঁচিকে বিয়ে দিতে হবে না,,,”
-আবির ওকে কাঁদতে বারণ কর,,একটু পরে parlour থেকে সাজাতে আসবে,,আর এখন কেঁদে চোখ মুখ ফুলিয়ে ফেললে তখন ভালো দেখাবে না(অনুপমা)
-আমাকে বারণ করছো,,তা নিজে কেন কাঁদছো মা,,,(অদ্বিতীয়া)
-অনু আর আবির আমার মেয়ের সাথে এই ভাবে কথা বলবে না(অশোক)
-ঠিক হয়েছে বাবা বকে দিয়েছে,,,তারপর বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে ওঠে” ও বাবা আমি কিন্তু প্রত্যেক দিন আসবো এই বাড়িতে,,, তোমার ছেলে বারণ করলেও আসবো,,আসবো তো বাবা??
-আসবি মা,,এই বাড়ি আবিরের নাকি,,,এটাতো আমার মায়ের বাড়ি,,,
-এই শোন তোকে আমি কবে বারণ করেছি(কান টেনে ধরে)
-আআআ লাগছে দাদাভাই,,,
-লাগুক,,,শোন বুঁচি তোর যখন ইচ্ছা হবে চলে আসবি,,এক কাজ করি পুলককে বলি বুঁচিকে বিয়ে করে এখানেই রেখে চলে যা,,
-ভালো হচ্ছে না কিন্তু দাদাভাই,,,,(তারপর সবাই আবার হেসে ওঠে একত্রে)
___________________________________________
-লাল বেনারসী শাড়ি এঁলো করে পড়ানো হয়েছে তীয়াকে,, সাথে ভারি মেকআপ দেওয়া হয়েছে,,, চুল গুলো ডিজাইন করে খোঁপা করা আর তার উপরে গোলাপ আর বেলী ফুল দিয়ে সজ্জিত করা।মাথা থেকে পা পর্যন্ত গহনা পড়ানো হয়েছে,,গলায় দেওয়া হয়েছে গোলাপ আর রজনীগন্ধার মালা,,কোনো দিক থেকে কমতি নেই আজ অদ্বিতীয়ার মধ্যে,, বধূবেশে স্বয়ং সম্পূর্ণা লাগছে অদ্বিতীয়া কে আজ।
-এইদিকে নীল রঙের পাঞ্জাবী পড়েছে আবির আর তার হাতা গুলো কনুই পর্যন্ত গোটানো রয়েছে,,আর তার সাথে সিলভার কালারের হ্যান্ড ওয়াচ পড়েছে,,চুল গুলোতে জেল দিয়ে স্টাইলে উল্টিয়ে রেখেছে,,,হালকা চাপ দাড়িতে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থক আজ আবির,,
____________________________________________
-না না আমি এ সব ফোঁটা দিতে পারবো না মা,,,(পুলক)
-এটা দিতে হয় দাদুভাই( দিদা)
-আচ্ছা মা বাদ দাও,,আয় তোকে আমি একটা ফোঁটা দিয়ে দি,,,পেখু পুলককে টোপড় টা পড়িয়ে দে,,(মনোরমা)
-পেখম এসে বিয়ের টোপড় পড়িয়ে দিলো,,,ঘিয়ে রঙের সাথে লাল রঙের কম্বিনেশনে একটা পাঞ্জাবী পড়েছে পুলক,,হাতে গোল্ডেন কালারের হ্যান্ড ওয়াচ,,,কপালে ছোট্ট একটা চন্দনের ফোঁটা, মাথায় টোপড়,,গলায় রজনীগন্ধা আর গোলাপ মিশ্রিত মালা, এক কথায় বরবেশে পুলককে ভালোই মানিয়েছে।
-ভাই পুলক টোপড় পড়তে এখন খুব ভালো লাগবে,,পরে গিয়ে এই টোপড়ের ওজন কত সেটা ভালো মতোই টের পাবে,,(কুশল)
-এই চল চল দেরি হয়ে যাচ্ছে,, লগ্ন কিন্তু তাড়াতাড়ি,,,আচ্ছা বরের গাড়িতে কে কে যাবে,,??(মৈনাক)
-তোরা পাঁচজন আর তিতাস,,,(পুলক)
-আর বাকি সব,,,??
-ওরা পরের গাড়িতে আসবে,,,
-আচ্ছা এবার পুলক বল যে মা আমি তোমার জন্য দাসী আনতে যাচ্ছি। আমাকে অনুমতি দাও(মাসিমনি)
-এটা আবার কেমন কথা মাসিমনি,, না রে দাভাই এগুলো বলবি না,,(পেখম)
-পেখমের কথায় পুলক ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে,,, তখন ওর মা বলে,,
-বাবু বল যে, মা তোমার জন্য আমি আর একটা মেয়ে আনতে যাচ্ছি,,পেখু তোমাকে জ্বালায় আর সে তোমাকে অতিষ্ট করে দেবে,,,(মনোরমার কথায় সবাই বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকে,,, পেখম আর পুলক তক্ষুনি মনোরমা কে জড়িয়ে ধরে বলে love you maa ,,,আর সবাই হেসে ওঠে)
___________________________________________
-এই বরণডালা নিয়ে আয় তোরা বর এসে গিয়েছে,,,, সবাই দৌড়ে ফুল দিয়ে সাজানো গেটের কাছে যায়।অনুপমা পুলককে বরণ করলো,,, আর সবাই শাঁখ আর উলু দিয়ে উঠলো,,,আবির আজ নানা কাজে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও ওর চোখ দুটো পাখিকে এক পলক দেখার জন্য তৃষ্ণায় মরে যাচ্ছে,, দুপুরে মেয়েটাকে ঐ ভাবে বলার পর থেকে ওর মন খারাপ,,,,
-পুলক বাকিরা কোথায়??
-আসছে পরের গাড়িতে,,,,
-আবির ওর বন্ধুদের সাথে কথা বলছে,কারণ পুলককে কিছুতেই ঢুকতে দেবে না ওরা,,,বাড়ির সদস্য,, বন্ধুরা সবাই মিলে গেট বন্ধ করে রেখেছে ,এমন সময় আবিরের চোখ আটকে যায় গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানবীকে দেখে,,,
-নীল শাড়ি পড়েছে সে,,হাতে তার নীল চুড়ি,কানে তার নীল স্টোনের ঝুমকো,, চুলগুলো ছাড়া,, কানের পাশে নীল ,লাল গোলাপ গুঁজে রাখা,,,শাড়ির আঁচলের ফাঁকে গোল্ডেন কালারের কোমড় বিছে দেখা যায়,,,হালকা বাতাসে চুল উড়ছে সেই নারীর আর তার সাথে তাল মিলিয়ে ঝঙ্কার তোলা তার হাসি,,,এ কোনো সাধারণ মানবী না এ হলো আবিরের প্রেয়সী,,,
-আবির হাতে মাইক নিয়ে একটু একটু করে এগিয়ে গেল ওদের দিকে তারপর আকাশের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো,,
-“অবশেষে এই দুটি আঁখির অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এল তবে সে। এবার এই পাগল প্রায় আঁখি দুটি তাদের তৃষ্ণা মেটাতে সক্ষম হবে।সে কি জানে তার এই ঝঙ্কার তোলা হাসি ক্রমশ আমার হৃদয়ের মৃদু কম্পমানের কারণ হয়??সে কি জানে তার এই গভীর চাহনিতে আমি মাতাল প্রায়??সে কি জানে তার এই বাঁধন ছাড়া চুল গুলো যখন তার চোখ মুখ ছুঁয়য়ে দিয়ে যায় তখন ভীষণ হিংসা হয় আমার?? সে কি জানে তার হাতের চুড়ি,কানের ঝুমকোর মৃদু আওয়াজে আমার মন জুড়ে এক প্রশান্তির হাওয়া বয়ে যায়”??
চলবে,,,,,
(কপি করা নিষেধ। গঠনমূলক মন্তব্য ও রিয়্যাক্ট করবেন,,, কার কোন চরিত্র ভালো লাগে,,, কোন বিষয় টা ভালো লাগে গল্পের সবাই সেটা মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন)