হৃদয়ে মেঘগলি শেষ পর্ব

0
1705

#হৃদয়ে_মেঘগলি
|শেষ|
লাবিবা ওয়াহিদ

–“ছোটোবেলায় তোমার সাথে একদিন খেলা শেষ করে বাড়ি ফিরেছিলাম। বাড়ি ফিরে শুনতে পারি আমার মা আমাকে এবং তোমাকে বিয়ে দিবে। সেই ছোট্ট আমি বুঝিনি কিসের বিয়ের কথা বলছে। কিন্তু ধীরে ধীরে যখন আমি বড়ো হলাম, তোমাদের ছেড়ে অন্য শহরে চলে গেলাম তখন অনুভব করলাম আমি তোমাকে ছাড়া থাকতে পারি না। নতুন কারো সাথে তোমার মতো করে বন্ধুত্ব করতে পারি না। বাবা তার ব্যবসায়িক কাজে গাজীপুরেই থেকে যায়। আর আম্মা আমার এবং তিয়াসা আপুর ভালো শিক্ষার জন্যে ঢাকাতেই রেখেছে। কিন্তু আম্মুকে আমি বুঝাতেই পারতাম না আমার মন-মস্তিষ্ক সব গাজীপুরেই পড়ে ছিল। বারবার যেতে চাইতাম। কিন্তু আম্মার বারণ। যখন সতেরো বছর বয়স হয় তখন আম্মাকে ফট করেই বলেছিলাম,
“আমার বিয়ে আনোশীর সাথেই হবে, তাই না আম্মা?”

আম্মা চমকে গিয়েছিল এ কথা শুনে। তবুও হাসি-মুখে বলে, “হ্যাঁ! তাইতো। তুই ভালো করে পড়াশোনা কর। তোকে আনোশীর সাথেই বিয়ে দিব!”

মায়ের এই কথাটা আমার কাছে নীরব প্রতিজ্ঞা লেগেছিল। এজন্যে আমি তোমাকে পাওয়ার জন্যে হলেও পড়াশোনায় মনোযোগী হলাম। যুবক অবস্থায় আসতে আসতে আমার আম্মা হঠাৎ বদলে গেল। সে আমার যুবক, সুদর্শন চেহারা পেয়ে তার মনে অহংকার তৈরি হলো। ধারণা করল আনোশীর চাইতেও আরও কচি সুন্দরী মেয়ে আমার বউ হওয়ার যোগ্য। এ জন্যে আমাকে প্রায়-ই মেয়ে দেখাতে শুরু করল। আমি তখন চটে গিয়ে আম্মাকে বলেছিলাম, একজনের সাথে আমাকে ছোটো থেকে জুড়ে দিয়ে এখন এসবের মানে কী? মা ক্ষেপে গিয়ে অস্বীকার করে, তোমার খুঁত ধরতে শুরু করে। তুমি আমার সমবয়সী, সমবয়সীরা কখনোই সংসারী হয় না। ব্লা ব্লা!

পড়াশোনা শেষ করে বাড়ি এসে এর উপদ্রব আরও বেড়ে যায়। রোজ রোজ মেয়ে দেখা এবং মায়ের সাথে ঝগড়াঝাঁটি ভালো লাগছিল না দেখে বাড়ি ছেড়ে চলে আসি। উঠিও তোমাদেরই বাড়িতে। পেইন গেস্ট হিসেবে। বাবা আগে থেকেই আমার সিদ্ধান্তের সাথে সম্মতি ছিল। কিন্তু মায়ের সামনে সেরকম প্রকাশ করেনি। আমাকে যাতে বের করে না দেয় সেজন্যে বাবা নিজেই কাদের আঙ্কেলের কাছে অনুরোধ করেছে। এবং বাবা-ই বিয়ের প্রস্তাব দেয় আঙ্কেলকে। আঙ্কেল হাসি-মুখে মেনে নেন। কারণ, ছোটো বেলা থেকেই আমাদের এই দুই পরিবারের সম্পর্ক ভালো। ”

আনোশী শিশিরের কথায় ফোড়ন কেটে বলল,
–“তাহলে তুমি আমাকে প্রথমদিন এ কথা বললে কেন তোমার বাবা…”

শিশিরের সে-কথা মাথায় আসতেই হেসে দিল। আনোশী তখনো ঘোরের মাঝে আছে!
–“তোমাকে সেই মুহূর্তে একদমই আশা করিনি। আমি ভেবেছিলাম বিয়ের কথা-বার্তা না হওয়া অবধি তোমার মুখদর্শনও করব না। এটা আমার জেদ ছিল। আমি ভীষণ ঘাড়ত্যাড়া কী না। এজন্যে ঢাকায় যখন দেখলাম তখন চিনতে না পারলেও দ্বিতীয়বার যখন দেখেছি তখন চিনে ফেলেছি। এছাড়া ফটোগ্রাফি আমার সখ, মোটেও পেশা নয়। তোমাকে তো এমনি-ই নানান কথা গিলিয়েছি!”

আনোশী গরম চোখে তাকাল শিশিরের দিকে। শিশির আনোশীর নাকের ডগায় আঙুল ছুঁয়ে বলল,
–“এই রাগটার জন্যেই তুমি অনন্য আনোশী। তবে বিয়ের ফটোশুটে তোমার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার হতে চাই!”

আনোশী শিশিরের থেকে নজর ঘুরিয়ে ফেলে। শিশির যে কী পরিমাণ চাপাবাজ সেটা আনোশী বুঝতে পেরেছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আনোশী শিশিরকে কী করে এতটা অনুভব করল না? অথচ ওপাশ থেকে ছেলেটা তাকে নিয়ে কত কত রঙিন স্বপ্ন বুনেছে। নিজের কাজে আনোশী নিজেই লজ্জিত। এরকম একটা মানুষের অপেক্ষা না করে সে ভুল মানুষের ওপর দুর্বল হয়ে গিয়েছিল। এর কী ক্ষমা হয়?

শিশির আবার বলতে লাগল,
–“তোমাকে দেখার পরেই আমার সিদ্ধান্ত বদলে গেল। তোমাকে আমি আমার পরিচয় বলব না। যে করেই হোক তোমার আশেপাশে থাকব। ছোটোবেলার সোনালী দিন গুলোর মতো জ্বালাব তোমাকে। এজন্য কাদের আঙ্কেলকে আবার আমাকে অনুরোধ করতে হয়েছে। কাদের আঙ্কেল আমাকে আমার সীমানায় থেকে থাকতে বলেছে। কিন্তু আনোশী তুমি যে নিচ তলাতেই থেকে যাবে আমি বুঝতে পারিনি। সময় গুলো পার করার পরপর আঙ্কেল যখন তোমার মত জানাল তখন মনে হলো আলসেমি ছেড়ে বাবাকে সাহায্য করা উচিত! এছাড়া আম্মাও এতদিনে আমার বিরহে প্রায় জান-প্রাণ দিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা। আম্মাকে ছেড়ে আসার কারণে তিয়াসা আপুর কাছে কম বকা খাইনি।”

–“আলসেমি?”

–“হ্যাঁ! বাবা আমাকে পড়াশোনা শেষ করার পরপরই ফ্যাক্টরি, গার্মেন্টস দেখাশোনা করতে বলেছিল। কিন্তু আমি বিভিন্ন জায়গায় ট্যুর, আলস্য জীবন কাটাতে সময় নিয়েছিলাম। সেক্ষেত্রে বেকার-ই তো ছিলাম তাই না? তবে আমি এখন আত্মনির্ভরশীল হয়েছি আনোশী। বিয়ে করবে না আমায়?”

কী ব্যাকুল আবদার। আনোশী অপ্রস্তুত হয়ে পড়ল। কোনো রকমে বলল,
–“তাহলে স্টুডিও’র ব্যাপারটা? বিয়েতে ফটোশুট?”

–“ওগুলাও সখের বসেই। তবে স্টুডিও বন্ধুর ছিল। আমি আড্ডা দিতাম সেখানে!”

সব শুনল আনোশী। কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলল,
–“আমি তোমার সমবয়সী, কখনো যদি এমন মনে হয় আমার চাইতে আরও ছোটো মেয়ে তোমার জীবন রাঙাতে পারত। তখন কী করবে? তোমারও মায়েরও তো এই চাওয়া।”

এই মুহূর্তে এসে শিশিরের চোয়াল শক্ত হয়ে গেল। আনোশী আড়চোখে শিশিরের অভিব্যক্তি পরখ করে নিল। শিশির শক্ত গলায় আওড়াল,
–“আমার আর ধৈর্যের পরীক্ষা নিও না আনোশী! সেই দিন আসার আগে আমার মৃ*ত্যু আসুক!”

এ কথা শুনে আনোশীর বুকটা কেমন কেঁপে উঠল। বুকটা অজানা ভয়ে ধুকপুক করছে। কেন? শিশিরের মুখে এ-কথা শুনে আনোশীর এমন কেন অনুভব হচ্ছে? শিশির আনোশীর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে গম্ভীর গলায় বলল,
–“আব্বাকে গিয়ে বলে দিচ্ছি আনোশী রাজি। আগামী সপ্তাহেই আমাদের বিয়ে!”

বলেই শিশির উঠে চলে গেল। একবারও ফিরে চাইল না আনোশীর দিকে।। এই মুহূর্তে এসে আনোশীর মনে হলো শিশিরকে গম্ভীরমুখে মানায় না। সে আনোশীর বিষের শিশি হিসেবেই সুন্দর।

হঠাৎ আনোশীর ফোনটা টুং করে বেজে ওঠে। আনোশী ফোন হাতে নিতেই দেখল অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ। মেসেজটা ছিল,
–“এটা আমার নাম্বার। ভুলবশত নাম্বার দিয়ে আসতে ভুলে গিয়েছি!”

আনোশীর বুঝতে বাকি রইল না, এটা শিশিরের নাম্বার। আনোশী তৎক্ষণাৎ টাইপ করল,
–“রাগ করে চলে গেলে কেন?”
–“কোথায় রাগ করলাম?”

আনোশী চুপ করে বসে রয়। কী ভেবে মেসেজ করে,
–“তোমাকে রাগ করলে বিশ্রী লাগে। তুমি আগের শিশিরেই পারফেক্ট!”

ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা শিশির এই বার্তা দেখে খানিক হাসল। অনুভব করতে পারল আনোশী তাকে নিয়ে ভাবছে। শিশির দেরী করে রিপ্লাই করে বলল,
–“জানি। রাগ আমার ডিকশনারিতে নেই! ওটা তোমার ডিকশনারিতেই থাকুক!”

——————-
শিশির তার কথাই সত্য প্রমাণিত করল। বিয়ের দিন আনোশীর ছবি সে তুলেছে কয়েকটা। যা সকলকে যেমন অবাক করিয়েছে তেমনই উপভোগ করিয়েছে। আনোশী লাজুক হয়ে কড়া গলায় কতবার শিশিরকে বারণ করেছে কিন্তু শিশির তার বারণ শুনলে তো।

আনোশীর বিয়েতে মামীরা এসেছে। আনোশী তার মায়ের থেকে জেনেছে আরও কিছু তিক্ত সত্য। তাশুতির ব্যাপারে। আনোশী জানত তাশুতি ছেলেদের সাথে মেলামেশা করত। কিন্তু কখনো এটা ভাবেনি শ্বশুরবাড়ি গিয়ে এই ধরণের নিচ কাজ করবে। কোন মেয়ে কী ভাবে নিজ মুখে ডিভোর্স চাইতে পারে এত সুখ থাকার পরেও? এছাড়াও তাশুতি নিজের বোন হিসেবে শেহরিমের সাথে বিয়ে দিতে বারণ করেনি। শেহরিমের সাথে বিয়ে বারণ করেছে নিজ হিংসা থেকেই। এমনিতেও আনোশী শেহরিমকে মেনে নিত না, তবে তাশুতির এই ব্যাপারগুলো মোটেও ভালো লাগেনি আনোশীর। মন থেকে ক্ষমা চাইল এতদিন যাবৎ শেহরিমকে ভুল বোঝার জন্যে। তবে শেহরিম যতই নির্দোষ হোক, আনোশী যাকে একসময় দুলাভাইয়ের স্থানে বসিয়ে সম্মান দিয়েছে তাকে নিয়ে অন্যকিছু ভাবাটা যে কোনো মেয়ের জন্যেই অসম্ভব। তবে আনোশী তার মায়ের কাছে শুনেছে শেহরিম বিয়ে করে নিয়েছে। এ কথা শুনে আনোশী স্বস্তি পায়। সঙ্গে দোয়া করে যাতে তার দাম্পত্য জীবন সুখের হয়।

বিয়ের অনুষ্ঠানের এক কোণায় বসে ঈর্ষায় জ্বলছে তাশুতি। তার পাশেই থেমে থেমে কাঁদছে নোরা। এতে তাশুতি মোটেও বিচলিত নয়। মাত্রই অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে মেয়েকে সে ধমক দিয়েছে। নোরার কান্না শুনে আনোশী এগিয়ে আসে। নোরাকে কোলে নিয়ে তাকে শান্ত করার চেষ্টা করতে লাগে। একসময় সে শান্ত হয়ে আনোশীর কাঁধে চুপ করে মাথা এলিয়ে দেয়। আনোশীর তাশুতির দিকে চেয়ে বলল,

–“তুমি মোটেও ঠিক করছ না আপু। অন্যের রাগ এই বাচ্চাটার উপর ঝাড়ছ কেন?”

তাশুতি ক্ষেপে গিয়ে বলল,
–“আমার মেয়ে, আমি যা ইচ্ছে তাই করব। তোর কী?”

আনোশী ফোঁস করে নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
–“আমি জানি না তুমি আমাকে কী কারণে অপছন্দ করো? তবে নোরার জন্যে হলেও নিজেকে শোধরাও। অতীতে যা করার করেছ। এবার অন্তত সঠিক পথে আসো!”

তাশুতি কানেই নিল না আনোশীর কথা। আনোশী নোরাকে নিয়ে যেতে লাগলে হঠাৎ থেমে যায়। পিছে ফিরে তাশুতির উদ্দেশ্যে বলল,
–“আমিও যেমন আমার বাবার রক্তের সন্তান নই তেমনই তুমিও একই আপু। আমরা দুজনেই তাদের আসল সন্তান ছিলাম না কিন্তু তাদের ভালোবাসা পেয়েছি আসল বাবা-মায়ের মতোই।”
তাশুতিতে দমিয়ে দেওয়ার জন্যে বোধহয় এই কথাগুলোই যথেষ্ট ছিল!

আনোশী শিশিরের ঘরে বসে আছে বউ সাজে। তবে সে কিছুটা রাগাম্বিত! তার একমাত্র কারণ শিশিরের ক্যামেরা নিয়ে অত্যন্ত বাড়াবাড়ি। এখানেও সে ছবি-ই তুলে যাচ্ছে। আনোশীর রাগী চেহারা দেখে শিশির বলল,
–“আরেহ! বাসর রাতে রাগ কিসের? একটু হাসো। লাস্ট একটা ছবি তুলব!”

আনোশী হাসা তো দূর, আরও রেগে গেল। চিবিয়ে চিবিয়ে বলল,
–“এত ছবি কী ভূনা করে খাবে?”

শিশির আলতো হেসে বলল,
–“তা কেন? এগুলা স্মৃতি হয়ে এলবাম বন্দি থাকবে। বুড়ো বয়সে একসাথে ছবি গুলো দেখতে দেখতে বলব, এই দেখো এটা আমার ব্যক্তিগত নারী ছিল। তোমার মতোই সুন্দরী!”

আনোশীর রাগ উবে গেছে। না চাইতেও হেসে ফেলেছে শিশিরের কথায়। শিশিরের ভাবনা কতো গভীর। শিশির ক্যামেরা রেখে হঠাৎ এসে আনোশীকে জড়িয়ে ধরল। চোখ বুযে বলল,

–“আমি ভেবেছিলাম হয়তো তোমাকে নিজের করে পাব না, তুমি অন্য কারো হয়ে যাবে। কিন্তু ভাগ্য আমাকে নিরাশ করেনি। তুমি আমার হয়ে ছিলে বলে তোমাকে আমি পেয়েছি। এখন ভাগ্যবান পুরুষদের তালিকায় নাম লেখাব নাকি সেরা হতাশাগ্রস্ত পুরুষদের তালিকায়!?”

আনোশী মাত্রই সুখের সাগরে ভাসতে নিচ্ছিল। কিন্তু শিশিরের বলা শেষ বাক্যে আনোশী চটে গিয়ে বলল,
–“মানে?”
–“না, মানে.. আপনার রাগ তো চুলার আগুনের মতো। ভাবছি আবার বিয়ে করে নিব!”

আনোশী ক্ষেপে গেল ভীষণ। নিজেকে শিশিরের বাহুডোর থেকে ছুটিয়ে বলল,
–“আমাকে এক্ষুণি আমার বাড়ি দিয়ে আসবে!”

শিশিরের চোখ বড়ো বড়ো হয়ে গেল। পরমুহূর্তে হেসে দিয়ে বলল,
–“হ্যাঁ আমিও ভালোবাসি তোমায়!”

আনোশী ভ্রু কুচকালো। বলল,
–“আমি তো এটা বলিনি!”

–“কিন্তু তোমার চোখ বলেছে। এখন আসো, কাছে এসো। বউকে জড়িয়ে ধরে ঘুমানোর স্বপ্নটা পূরণ করি!”

সোস্যাল মিডিয়ায় কমিউনিটি সেন্টারে শিশির এবং আনোশীর ছবি শেয়ার করার পরপর ছবিটা রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ক্যাপশন ছিল, জামাই যখন বউয়ের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার। মূলত এই ধরণেরই ক্যাপশন। ভাইরাল হওয়ার ফলস্বরূপ শেহরিমও সেই ছবি দেখতে পেল। আনোশীকে চিনতে অসুবিধা হলো না তার। আনোশীকে দেখে শেহরিম কিচেনের দিকে তাকাল। অদ্রী এখন ডাক্তারনি থেকে রাঁধুনী হয়েছে। শেহরিমের সংসারী বউও বলা যায়। শেহরিম আবার আনোশীর ছবির দিকে তাকিয়ে কমেন্ট করল,
–“তোমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক!”

বলেই ফোন রেখে শেহরিম অদ্রীর কাছে চলে গেল সময় কাটাতে। সে অদ্রীকে নিয়েই খুশি থাকতে চায় আজীবন। সবসময়।

~ সমাপ্ত।

বিঃদ্রঃ জানি গল্পটার এন্ডিং বেশি সুন্দর ছিল না। এতদিন অপেক্ষা করানোর জন্যে ক্ষমাপ্রার্থী। অবশেষে এটার শেষ টানতে পেরেছি। সকলের অল্প হলেও মন্তব্য চাই। ভুলত্রুটি থাকলে ধরিয়ে দিবেন প্লিজ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here