হৃদপিন্ড_২ (পর্ব ১৩)

0
418

#হৃদপিন্ড_২
#জান্নাতুল_নাঈমা
#পার্ট_১৩
.
গতকদিনে একদম পাগল হয়ে গেছে ইমন৷ কোন কিছুতেই মন বসাতে পারছেনা সে। অফিস থেকে ফিরেছে রাত এগারোটায় ফ্রেশ হয়ে খেয়ে দেয়ে শুয়েছিলো। কিন্তু ঘুম তাঁর চোখে ধরা দেয়নি। দেবে কি করে? তাঁর মন যে খুবই তৃষ্ণার্ত হয়ে আছে। এই তৃষ্ণা মেটানো খুবই দুষ্কর। মুরাদের নাম্বারে ডায়াল করলো কিন্তু কল গেলোনা। যাবে কি করে সেদিনের পর থেকে মুরাদের ফোনে ইমনের নাম্বার গুলো ব্ল্যাকলিষ্টে রয়েছে। রাগে চোয়াল শক্ত হয়ে এলো তাঁর। দিহানকে ফোন করে এক নাগাড়ে চিল্লাতে শুরু করলো। দিহান ফোনের স্পিকার বাড়িয়ে সেই চিল্লানো শুনালো সায়রীকে। বেশ অনেকটা সময় পর সায়রী স্বান্তনা দিলো ইমনকে। ইমন স্বান্তনায় ভোলার পাএ নয়। তাই সায়রীকে বকা দিয়ে ফোন কেটে দিলো।

ছেলের চিল্লানো ঠিক ইরাবতী আর আকরাম চৌধুরীর কানে পৌঁছায়। আকরাম চৌধুরী দরজায় নক করতেই ইমন দরজা খুলে দেয়। ইরাবতী ভয়ে আর রুমে ঢুকেনি। আকরাম চৌধুরী রুমে গিয়ে ছেলেকে বোঝাতে লাগলেন। বোঝানোটা অবশ্যই ইমন মুসকানের ভালোবাসার বিপক্ষে ছিলো যার ফলে আরো রেগে যায় ইমন। হাতে থাকা ফোনটা ছুঁড়ে ফেলে মেঝেতে। চোখ,মুখ লাল বর্ণ ধারণ করে তাঁর। এমন রূপে ছেলেকে দেখে ভড়কে যায় আকরাম চৌধুরী। সচরাচর ছেলেকে রাগতে দেখা যায় না। আর যখন রেগে যায় তখন তাণ্ডব শুরু হয়ে যায়৷

নিচে নামতেই ডায়নিং টেবিলে যা পায় সব ছুঁড়ে ফেলে মেঝেতে। টেবিলে দুটো থাবা দিয়ে বলে,

—- নেক্সট টাইম কেউ আমার থেকে মুসুকে আলাদা হওয়ার কথা বললে আমি ভুলে যাবো তাঁর সাথে আমার কোন সম্পর্ক আছে।

ইরাবতী ছেলের রূপ দেখে আঁচলে মুখ গুজে কাঁদতে শুরু করে। ইমন আর এক মূহুর্ত দাঁড়ায় না বাড়ির বাইরে গিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে মুরাদের বাড়ির উদ্দেশ্যে।
.
রাত বারোটা বাজে প্রায়। গেটের সামনে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালো ইমন৷ পরপর তিনটা সিগারেট শেষ করে গেট টপকিয়ে ভিতরে প্রবেশ করলো। মেইন দরজায় ঠকঠক আওয়াজ করার কথা ভাবলেও করলো না। মুসকানের রুমের জানালায় পিঠ ঠেকিয়ে কয়েক দফা ভারী শ্বাস নিলো আর ছাড়লো।
জানালায় কয়েকবার ঠকঠক আওয়াজও করলো। কিন্তু কোন লাভ হলোনা।

চারদিকে মৃদু বাতাস বইছে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে। কিছু সময়ের ব্যবধানে হয়তো শুরু হবে ঝড়। সেই ঝড় কি তাঁর মনে বয়ে চলা ঝড়ের থেকেও প্রবল হবে?

অনেকটা সময় ওভাবেই দাঁড়িয়ে রইলো ইমন। একটি দেয়ালের ব্যবধান শুধু তাঁর আর মুসকানের মাঝে। যদি কোন ম্যাজিক হতো আর এই দেয়ালটা বিলীন হয়ে যেতো, যদি এক পলকে দেখতে পেতো তাঁর হৃদপিন্ডটাকে। একটুখানি ছুঁয়ে দিতো তাঁর প্রাণপাখিটাকে খুব কি ক্ষতি হয়ে যেতো?

বিদ্যুৎ চকমকানো তে আম্মু বলে কেঁদে ওঠে মুসকান। কেঁপে ওঠে ইমন। গলার স্বর উঁচু করে বলে,

—- মুসু ভয় পাস না আমি আছি জানালা খোল দেখ আমি দাঁড়িয়ে আছি কিছু হবে না।

ইমনের কন্ঠ শুনতেই দ্বিগুন ভয় পেয়ে যায় মুসকান। ভূত ভূত বলে আরো চেঁচিয়ে ওঠে। ইমন মৃদু ধমকে দাঁতে দাঁত চেপে বলে,

—- চুপপ কোন ভূত নেই আমি এসেছি আমি তোর ঢংয়ের নানাভাই।

—- আম্মু,,,বলেই মুসকান কেঁদে ওঠে। রেগে যায় ইমন। রাগান্বিত গলায়ই বলে,

—- দেখ মুসু তোর জন্য যদি এখন তোর কষাই ভাই এসে আমাকে তাড়িয়ে দেয়। আর আমি তোকে এক পলক দেখতে না পেয়েই চলে যাই তাহলে তুই আর তোর ভাই আগামীকাল সকাল আর দেখতে পারবিনা বলে দিলাম। দু’ভাইবোন মিলে আমাকে একদম ক্ষতবিক্ষত করে দিচ্ছিস। নিজে আর কতো ক্ষতবিক্ষত হবো এর থেকে বরং তোদের ওপারে পাঠিয়ে দিয়ে নিজেও ওপারে চলে যাই।

মুসকানের আর বুঝতে বাকি রইলো না সত্যি ইমন এসেছে। খুশিতে কেঁদে ফেললো সে। উত্তেজনায় হাত কাঁপছে তাঁর। দ্রুত জানালা খুলে দিলো। গুড়িগুড়ি বৃষ্টি পড়ছে জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে দুহাত ঢুকিয়ে দিয়ে মুসকানের দুহাত শক্ত করে চেপে ধরলো ইমন। মুসকান কাঁদতে কাঁদতে হেঁচকি তুলে ফেললো। ইমন চোখ রাঙিয়ে বললো,

—- কাঁদবি না একদম। কেনো কাঁদছিস? তোর ঐ হিটলার ভাইয়ের কতো দম আছে আমি দেখে ছাড়বো। আমার বউটা বাচ্চা তুলে নিয়ে গেলে মা, ভাইদের জন্য কান্নাকাটি করবে বলে ওকে আমি ছেড়ে দিচ্ছি নয়তো বুঝিয়ে দিতাম আমি কি জিনিস।

মুসকান কেঁদেই চলেছে ইমন মুখ এগিয়ে মুসকানের দুহাতে একের পর এক চুমু খাচ্ছে। নিজের এক হাত বাড়িয়ে মুসকানের চোখের পানিও মুছে দিলো। আদুরে গলায় বললো,

—- এতো কাঁদছিস কেনো? এই দেখ আমি কতো আদর করছি।

আবারো বিদ্যুৎ চমকালো মুসকান মৃদু চিৎকার দিয়ে ইমনের হাত খামচে ধরলো। ইমনও তাঁর দুহাত শক্ত করে চেপে ধরলো। চারদিকে বাতাসের বেগ বেড়ে গিয়ে শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। পুরো শরীর ভিজে শরীরের সাথে শার্ট লোপ্টে গেছে ইমনের। মুসকান ভাঙা আওয়াজে বললো,

—- তুমিতো ভিজে যাচ্ছো।

—- হুম তো কি বলতে চাচ্ছিস? চলে যেতে বলছিস? কতোদিন পর তোকে পেয়েছি হিসেব করেছিস? একদম কথা বলবিনা চুপ করে বসে থাক। ভিতরে যেহেতু ঢুকতে দিবিনা সেহেতু বাইরেই থাকতে দে।

—- আমি কি দরজা খুলবো?

—- না একদম না তোর স্বাদের ভাই তো এখনো জেগেই আছে মেবি। টের পেলে অযথা লাফালাফি করবে। আপাতত আমি রিল্যাক্স মুডে আছি বলেই মুসকানের হাতের পিঠে চুমু খেলো।

—- না না কেউ জেগে নেই আমি দরজা খুলি? ফিসফিস করে বললো মুসকান।

—- উহুম মুরাদ জেগে আছে।

—-না নেই৷

—- জেদ করছিস কেনো? নব দম্পতিরা এতো আগো ঘুমায় নাকি? তোর ভাই তো লুইচ্চার মহারাজা বউকে এতো আগেই ছাড়বে নাকি?

মুসকান তীক্ষ্ণ চোখে তাকালো। তা দেখে মৃদু হাসলো ইমন।

—- আমার দাদাভাই কে নিয়ে আজেবাজে কথা বলবে না বলে দিলাম।

—- আজেবাজে কথা কোথায় বললাম যা সত্যি তাই তো বললাম৷

—- ছাড়ো আমি দরজা খুলবো। আমি জানি সবাই ঘুমিয়ে আছে কেউ জেগে নেই।

—- ওকে তাহলে আজ কিন্তু আমি তোর সাথে ঘুমাবো। যেভাবে খুশি সেভাবে আদর দিবো।

লজ্জায় চুপসে গেলো মুসকান৷ আর টু শব্দটিও করলো না সে। ইমন মুখে দুষ্টু হাসি একে বললো,

—- মুরাদ আর রিমি এখন কি করছে জানিস?

চোখ বন্ধ করে ফেললো মুসকান৷ হাত ছুটাতে নিতে চাইলেই আরো শক্ত করে চেপে ধরলো ইমন। বললো,

—- আরে শোন শোন তোর ভাই কতো ভালো এটা শুনলেই বুঝতে পারবি।

—- আমি কিছু শুনবো না৷ মিনমিন করে বললো মুসকান।

—- এ বাবা মুসু তুই লজ্জা পাচ্ছিস কেনো? আর শুনতেই বা চাচ্ছিস না কেনো? আমি কি বাজে কিছু বলছি নাকি? নাকি তুই অন্যভাবে নিচ্ছিস বিষয়টা। তুই তো দেখি বড্ড পেকে গেছিস সব বুঝিস?

ইমনের দুষ্টুমিতে রাগ হলো মুসকানের। এতো লজ্জা কেনো দিচ্ছে ইমন? কেনোই বা এভাবে কথার জালে ফাঁসাচ্ছে? গায়ের শক্তি দিয়ে হাত ছাড়িয়ে সরে যেতে নিতেই ইমন চট করে হাত বাড়িয়ে ওড়না টেনে ধরলো৷ বৃষ্টির পানিতে অর্ধেক বিছানা ভিজেই গেছে। মুসকানের ওড়না একটানে গ্রিলের ফাঁক দিয়ে বাইরে নিয়ে এলো। মুখ হাত মুছে ওড়নাটা মাথায় চাপিয়ে নিলো। ওড়না বিহীন মুসকান তো লজ্জায় আরো ইমনের সামনে যেতে পারছেনা। এমন সময়ই কারেন্ট চলে গেলো৷ সাথে সাথে মুসকান ভয়ে জানালার কাছে এসে হাত বাড়িয়ে দিলো। ইমনও মুচকি হেসে হাত দুটো নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিলো। এতোক্ষণ ইমন মুসকানকে দেখতে পেলেও এখন আর দেখতে পারছেনা৷ একে অপরের উপস্থিতি, স্পর্শ অনুভব করছে শুধু।
.
প্রায় দুঘন্টা বৃষ্টি তে ভিজেছে ইমন। সেই সাথে পুরো দু’ঘন্টা মুসকানের সাথে সময়ও কাটিয়েছে। মুসকান তাঁকে জানিয়েছে আগামীকাল স্কুলে যাবে। আগামীকাল অফিসও নেই ইমনের তাই কথা দিয়েছে টিফিন পিরিয়ডে দেখা করতে যাবে। কিন্তু ভোরের দিকেই গা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হয় ইমনের। সারাদিন বিছানা ছেড়ে ওঠতেও পারেনা সে। জ্বরের ঘোরে অচৈতন্য রয়েছে সে৷ দুপুরের দিকে ডাক্তার আসে বাড়িতে। একটা ইনজেকশন পুশ করে দিয়ে বেশ কিছু মেডিসিনও দেয়।

এদিকে মুসকান ইমনের অপেক্ষা করতে করতে অস্থির হয়ে গেছে। তাঁর শ্বাসপ্রশ্বাসের অস্থিরতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ইমন তাঁকে কথা দিয়েছিলো আসবে অথচ আসেনি। বিষয়টা সহজ ভাবে হজম করতে পারলো না মুসকান৷ টিফিন পিরিয়ড শেষ হতে আর মাএ পাঁচমিনিট। মুসকান দৌড়ে সায়রীর কাছে যায়। একা একপাশে ডেকে নিয়ে অসহায় চোখ,মুখ করে বলে,

—- আপু নানাভাইকে একবার ফোন দেবে?

—- কি বলছিস মুসু মুরাদ জানতে পারলে কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেবে আমাদের।

—- তুমি না বললেই তো জানবেনা শুধু এক মিনিট কথা বলবো প্লিজ আপু তোমার পায়ে পড়ি।

সায়রী না করতে পারলো না৷ একদিকে ইমন একদিকে মুরাদ এদিকে বাচ্চা মেয়েটার অসহায় মুখ টা। ইমন,মুরাদকে গুরুত্ব না দিলেও মুসকানের অনুভূতিকে গুরুত্ব দিতে বাঁধ্য হলো সায়রী। এতে করে যে ভয়ংকর ঘটনাটা ঘটলো তা কি করে সামাল দেবে সায়রী?

ইমনের ফোন রিসিভ করে ইরাবতী। ইমনের অসুস্থতার খবর শুনে ফোন ফেলে ক্লাসে গিয়ে নিজের ব্যাগটা নিয়েই দৌড়ে চলে যায় স্কুলের বাইরে। সাথে সাথেই অটো পেয়ে অটোতে ওঠে চলে যায় মুসকান। সায়রী তাঁর পিছন দৌড়ে এসে এতো করে ডাকলেও সে আর থামে না। এমন ভয়াবহ অবস্থায় জীবনে পড়েনি সায়রী৷ দ্রুত ইমনের নাম্বারে ডায়াল করে সে। জানতে পারে ইমনের ভীষণ জ্বর। এ কথা শুনেই মুসকান অমন উন্মাদের মতো ছুটে গেলো। যে মেয়েটা একা স্কুল,প্রাইভেটে যায় না সে মেয়েটা আজ কতো সাহস দেখিয়ে কিভাবে চোখের পলকে চলে গেলো। ভাবতেই গা শিউরে ওঠলো সায়রীর। ছুটির পর মুরাদ এসে যদি মুসকান কে না পায় তাহলে কি ভয়ংকর দৃশ্য দেখতে হবে তাঁকে ভাবতেই মাথাটা এক চক্কর দিয়ে গেলো তাঁর।
.
চৌধুরী বাড়িতে ঢুকেই সোজা ইমনের রুমে চলে গেলো মুসকান। ইমনকে বিছানায় শোয়া অবস্থায় দেখে নানাভাই বলেই ডুঁকরে কেঁদে ওঠলো। ইরাবতী মুসকানকে দেখে অবাক হলোনা। কারণ সে কিভাবে এসেছে সবটা সায়রীর থেকে শুনেছে। এতদিন ছেলের পাগলামি দেখে কেঁদেছে সে কিন্তু আজ মুসকানের পাগলামি দেখে শান্তি লাগছে। কারণ এদের এই পাগলামিই এদেরকে এক করার জন্য যথেষ্ট।
.
অচৈতন্য অবস্থায়ই মুসকানকে আঁকড়ে ধরলো ইমন। মুসকান কেঁদেই চলেছে৷ ইরাবতী মুসকানের মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,

—- কেঁদো না মামনি এই জলপট্টি টা ওর মাথায় দাও ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে জ্বর কমে যাবে।

মুসকান জলপট্টি হাতে নিলো কিন্তু কিভাবে দেবে ইমন তো তাঁর কোলে মুখ গুঁজে রয়েছে। ইরাবতীর সামনে লজ্জা পেলেও ইমনের অসুস্থতা কে বেশী গুরুত্ব দিয়ে স্বাভাবিক রয়েছে মুসকান। ইরাবতী বুঝলো এভাবে জলপট্রি দেওয়া যাবেনা। তাই মুসকানকে বললো ইমনের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে। ওদের একা রেখেই ইরাবতী রুম ছেড়ে বেড়িয়ে যায়।
নিজ রুমে গিয়ে স্বামীকে সবটা জানায় আর বলে,

—- যেখানে ওরা দুজন দুজনে জন্য এতোটা পাগল সেখানে শুধু মুরাদের জন্য আমরা থেমে থাকতে পারি না৷ তুমি আজি মুরাদের চাচার সাথে কথা বলবে।

আকরাম চৌধুরী মেজাজ দেখিয়ে বলে,

—- মাথা খারাপ হয়ে গেছে তোমারও। আমার একটা সম্মান আছে ইমনের মা সেটা তুমি ভুলে যেতে পারোনা। আমার ছেলের মাথা খারাপ হয়েছে বলে বউ এর মাথা খারাপ হয়েছে বলে আমার তো মাথা খারাপ হয়নি তাইনা? এডিউকেটেড একটা ছেলে হয়ে কি করে এসব মাথায় আনতে পারে সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা। এই মেয়েটা না হয় বাচ্চা তোমার ছেলে তো বাচ্চা নয়৷ এখনো সময় আছে এসব থেকে বেরিয়ে আসতে বলো আর মেয়েটাকে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দাও। পাগল হয়েছি আমি আমার ছেলের জন্য ঐ বাড়িতে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাবো? তাও যদি হতো মেয়েটার বয়স সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমার ছেলের জন্য সুন্দরী, উচ্চশিক্ষিত,উচ্চবিত্ত পরিবারের মেয়ে আনবো আমি।

—- তুমি বোধহয় ভুলে গেছো তোমার ছেলে ঠিক কি? এসব কথা তোমার ছেলের কানে দিয়ে পুএ হারা হবার শখ না জাগলে মুখ টা বন্ধ রাখো।
_____________________
প্রায় একঘন্টা পর ইমনের হুঁশ ফেরে। নড়েচড়ে বুঝতে পারে ছোট ছোট দুটিহাত তাঁর চুলগুলো নিয়ে খেলা করছে। ঘন নিঃশ্বাসের শব্দ তাঁর কানে বাড়ি খায়৷ চোখ বুজে দু’হাতে মুসকানকে টেনে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে জাবটে ধরে। কানের কাছে মুখ নিয়ে ফিসফিস করে বলে,

—- আই লাভ ইউ মাই লিটল ওয়াইফ।

—- উফফ মরে গেলাম আমি ছাড়ো৷

—- উহুম ছাড়বোনা সারাজীবনের জন্য রেখে দিব আমার কাছে। তোর ঐ হিটলার ভাই নিতে এলেও ছাড়বোনা৷ মেরে বস্তা বন্দি করে ভ্যানগাড়ি দিয়ে পাঠিয়ে দিব তোর মায়ের কাছে তবুও তোকে ছাড়বো না৷ বলেই গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো। তখনি সায়রী রুমে ঢুকে চেঁচিয়ে ওঠে,

—- এসব কি হচ্ছে ইমন? বাচ্চা মেয়েটাকে একা পেয়ে এভাবে সুযোগ নিচ্ছিস?

চলবে…
রিচেক দেওয়া হয়নি। পর্ব ছোট বলে কেউ অভিযোগ করবেন না ছোট করে হলেও রেগুলার দেওয়ার চেষ্টা করবো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here