হীরার নেকলেস পর্ব ২

0
373

#হীরার_নেকলেস (দ্বিতীয় পর্ব)

গোয়েন্দা গুলজার হোসেন একটু আলাদা করে ডেকে নিয়ে এক এক করে সবার সাথে কথা বললেন। আমাকেও থাকতে বললেন সেখানে, হয়ত গুরুত্বপূর্ন কিছু মনে রেখে পরে সাক্ষী দেয়ার জন্য। খুব অল্প প্রশ্ন করলেন সবাইকে। স্বাভাবিক ভাবেই সবাই নিল ব্যাপারটা। কেউ তেমন বিরক্ত হলো না। অথচ এখানকার সবাই ই কমবেশি সমাজের উঁচু তলার মানুষ।

প্রথমে রাহাত ভাইকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, আপনি কি খেয়াল করেছিলেন যে আপনার স্ত্রী নেকলেস খুলে ফেলেছে?
–হ্যা খেয়াল করেছি তো। জিজ্ঞেসও করেছি, সে বলল তার এলার্জি উঠেছে তাই খুলে রেখেছে হাত ব্যাগে।
–আপনার নার্ভ খুব শক্ত, খুব বেশী বিচলিত হয়েছেন বলে মনে হয় না।
–বিচলিত হয়ে লাভ কি? বরং দামী নেকলেসটা কিভাবে পাওয়া যায় সেটাই ভাবছি। আপনি না থাকলে আমি এখনই পুলিশে ফোন করতাম। বিল্ডিংয়ের সবার সম্মানের কথা ভেবে আমি এখনো পুলিশ ডাকিনি কিন্তু আজ রাতের মধ্যে ফেরত না পেলে আমি অবশ্যই পুলিশ ডাকব।

গুলজার আংকেল নীচু স্বরে বললেন, রাহাত নিশ্চয়ই আপনি সেটা করতে পারেন। তবে পুলিশ কিন্তু ঢালাও ভাবে তদন্ত করে, এরা প্রথমেই আপনাদের মোবাইল ট্রাকিং করবে, এখানে সন্দেহজনক সবার মোবাইলের সব ডাটা চেক করবে, আপনারটাও। সেটা কি ভালো হবে?

রাহাত ভাইকে এইবার একটু বিচলিত দেখা গেল। গুলজার আংকেলের দিকে চকিত একটা তাকানো দিলেন। একটু ইতস্তত করে আস্তে বললেন, সেটা করলে করবে কিন্তু আমার জিনিসটা তো ফেরত পেতে হবে।

এরপর চলে গেলেন। বুঝলাম মোবাইল নিয়ে অস্বস্তি আছে রাহাত ভাইয়ের আর সেটা গুলজার আংকেল জানেন ভালো করে , ভেঙ্গে বলে ভদ্রলোককে লজ্জায় ফেলতে চান নি।

শাহনাজ ভাবী আসলেন এরপর। বেশ বিধ্বস্ত চেহারা। চুল এলোমেলো, কেঁদেছে বোঝা যায়। গুলজার আংকেল বললেন,
শাহনাজ, আপনি কখন লক্ষ্য করলেন নেকলেস ব্যাগে নেই?

যখন চিৎকার দেয়েছি তখনই। বাথরুম থেকে ফিরে টিস্যু পেপারের জন্য পার্স খুলছি তখন চেক করে দেখি নেকলেসটা নেই।

আমি বোকার মতো বললাম, বাথরুমে তো টিস্যু পেপার দেয়া আছে।

শাহনাজ ভাবী আমার দিকে অবাক হয়ে তাকিয়ে বললেন, আমি ঘাম মুছার জন্য টিস্যু পেপার বের করছিলাম, বাথরুমে আবার যাবো ওই টিস্যু পেপার আনার জন্য?

আমি বিব্রত হয়ে গেলাম।

গুলজার আংকেল তাড়াতাড়ি কথা ঘুরানোর জন্য বললেন, শাহনাজ আপনার দই মাংস কিন্তু চমৎকার আইডিয়া, নতুন রেসিপি একদম।

–কি বলেন গুলজার ভাই। কেউই তো ভালো করে খেলো না। একমাত্র সদরুল ভাইই কয়েকবার খেল। তার নাকি ভালো লেগেছে অনেক। রিনা ভাবিকে রেসিপি দিতে বলল।

–আচ্ছা ঠিক আছে শাহনাজ আমরা দুঃখিত। আশাকরি আপনার নেকলেসটা বের করে ফেলতে পারব।

ভাবী একবার নিঃশ্বাস ফেলে বললেন, গুলজার ভাই, আপনি অনেক বড় গোয়েন্দা কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু প্লিজ এই ব্যপারটা একটু গুরুত্ব দেন। পুলিশে খবর দেয়াটা খুব জরুরী। পরে পুলিশ জানলে তদন্তে কোন সাহায্য করতে পারবে না। আগে জানানোই ভালো।

আচ্ছা ঠিক আছে আমাকে একটু সময় দিন এরপর পুলিশ ডাকা যাবে।

এরপর কথা বললেন রাশেদ ভাই আর রেনু ভাবির সাথে।
–রাশেদ, আপনি তো আমার সাথে বসে গল্প করছিলেন, কিছু অস্বাভাবিক বিষয় কি লক্ষ্য করেছেন?
–নাহ তো গুলজার ভাই। কি বিষয়?
–চুরি যেহেতু হয়েছে আমাদের ভিতরেই কেউ নিয়েছে সেটা। আপনার কি কাউকে সন্দেহ হয়?
রাশেদ ভাই গলা নীচু করে বললেন, তেমন কাউকে না তবে আজ একজনকে একটু অন্যভাবে দেখলাম।
–কী?
রাশেদ ভাই আরোও গলা নীচু করে ফিসফিস করে বললেন, শাহনাজ ভাবি যে দুইবার বাথরুমে গেলো সেই দুইবারই আমি বিল্ডিংয়ের ওই সাইডে দাঁড়ানো ছিলাম। আশ্চর্য ব্যাপার দুইবারই রেহানা ভাবি তার পিছু পিছু বাথরুমে গিয়েছে। রেহানা ভাবিকে শেষবার বাথরুম থেকে বের হওয়ার পর পরই নীচে যেতে দেখেছি। উনি যদি এই ছাদের বাথরুম ইউজ ই করবেন তাহলে আবার নীচে তার ফ্ল্যাটে কেন যাবেন?

যুক্তিপূর্ন কথা। গুলজার আংকেল গম্ভীর হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো এটা খুবই সম্ভব যে রেহানা ভাবি নেকলেসটা নিয়ে বাসায় রেখে এসেছেন বা অন্য কোথাও পাচারও করে দিতে পারেন। কিন্তু সেটা হলে তাকে ধরা কঠিন হবে। তবে গুলজার আংকেলের বুদ্ধির অভাব নেই, ঠিক একটা বুদ্ধি বের করে তাকে ফাঁদে ফেলে ধরবেন। দেখা যাক কিভাবে তাকে ধরেন আংকেল।

এরপর রাজ্জাক আংকেল আর শিল্পী ভাবি এলেন।
–কেমন আছেন?
–ভালো ছিলাম কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এখানে বেশ একটা ঝামেলা তৈরি হয়ে গেছে। গুলজার তুমি তো ভালো গোয়েন্দা ছিলে, বুঝতে পারছ না কে নিয়েছে নেকলেসটা?
— এখনো না, রাজ্জাক ভাই। কিছু খটকা আছে। আর একটু জানতে পারলে বুঝে যাব কি হয়েছে আসলে। তবে আমার বিশ্বাস চোর আমাদের ভিতরেরই একজন এবং সে এখানেই আছে। নেকলেসটাও নিশ্চয়ই খুব বেশী দূর নিয়ে যেতে পারে নি।
–আমাদের কিছু জিজ্ঞেস করবে?
–তেমন কিছু না। এই বিল্ডিং য়ে আপনাদের ফ্যামিলির সাথে কাদের খাতির সবচেয়ে বেশী, শাহনাজ ভাবীদের তাই না?
–হু সে তো জানোই। শিল্পীর সাথে শাহনাজের ভালো সম্পর্ক। এদিকে রাহাত রিহানকেও খুব আদর করে। কেনো?
–না ভাই এমনিতে জিজ্ঞেস করলাম। ঠিক আছে আমি একটু রিহানের সাথে আলাপ করি এখন।

জজ সাহেব কপাল কুঁচকে চলে গেলেন। বোঝা গেল গুলজার আংকেলের প্রশ্নের ধরন তার পছন্দ হয় নি।

–রিহান কেমন আছো?
–জ্বী আংকেল ভালো।
–তুমি তো দেখলাম ড্রোন খুন ভালো চালাও।
–জ্বী আংকেল অনেকদিন ধরে প্রাকটিস করেছি তো।
–ম্যাভারিকের ড্রোন গুলো কেমন? তুমি এখান থেকে না দেখে চালাতে পারবে?
–জ্বী পারব আংকেল , ডিসপ্লে দেখে আমি ড্রোন চালাতে পারি। অনেক প্রাকটিস করেছি, একদম নীচের তলায় ল্যান্ড করিয়ে আবার ফিরিয়ে আনতে পারব।
–ড্রোন তোমাকে নিশ্চয়ই কেউ গিফট করেছে তাই না?
–জ্বী রাহাত আংকেল গিফট করেছেন, লাস্ট যেবার চীন গিয়েছিলেন এটা আমার জন্য নিয়ে এসেছেন।
–আচ্ছা থ্যাংক ইউ রিহান।
–থ্যাংক ইউ আংকেল।

রিনা ভাবি এসে বিরক্তি দেখালেন। –আচ্ছা ভাই কি শুরু হয়েছে বলেন তো? একজনের নেকলেস হারিয়ে গেছে বলে সবাইকে চোর বানিয়ে ফেলা হচ্ছে এটা কেমন?
গুলজার আংকেল শান্ত স্বরে বললেন, রিনা আপনি ভুলে যাচ্ছেন নেকলেসের দাম কিন্তু অনেক। এখানে আমরা খুঁজে না পেলে পুলিশ আসবে। আপনার স্বামী যে হাত সাফাইয়ের দারুন খেলা জানে সেটা তখন তার জন্য ঝামেলার হয়ে যেতে পারে।

রিনা ভাবির মুখে রক্ত জমে গেল। ‘ এইসব কি বলেন আপনি, অযথা অপমান করার চেস্টা করছেন।
–নাহ । রিনা । সদরুল শুধু হাত সাফাই ভালো জানে না তার মধ্যে সেটা দেখানোরও একটা প্রবণতা আছে। সে ইতোমধ্যে আমার বুক পকেট থেকে চিরুনী সরিয়েছে। মেহেদীর হাত থেকে একটা ব্রেসলেট পর্যন্ত খুলে নিয়েছে মেহেদী টের পায় নি। আমি আন্দাজ করছি সে এটা করেছে এখানে সবাইকে চমকে দেয়ার জন্য, পরে ফেরত দিয়ে চমকে দিত এবং কোন কিছুই তেমন দামী না, কিন্তু পুলিশ এইটুকু জানতে পারলেই সে বিপদে পড়ে যাবে।

রিনা ভাবির মুখ থেকে এবার রক্ত সরে গেল। চাপা গলায় সদরুল ভাইকে ধমক দিল, দেখছো তুমি ভাবো তুমি সবাইকে ফাঁকি দিয়ে বোকা বানাবা, এখন দেখ কি বিপদে পড়লা।

সদরুল ভাই মুখ শুকনা করে চিরুনী আর ব্রেসলেট ফেরত দিয়ে বলল, গুলজার ভাই বিশ্বাস করেন আমি আজকের অনুষ্ঠানে একটু মজা করার জন্য এটা করেছি, আমার আর অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল না।

গুলজার আংকেল বললেন, আচ্ছা ঠিক আছে যান, আমি পরে দেখছি ব্যাপারটা।

সবার শেষে আসলো রেহানা ভাবি আর কামাল ভাই। দুইজনই চুপচাপ। গুলজার আংকেল আচমকা বললেন,
রেহানা আপনি ছাদে আসার পর নীচে গিয়েছিলেন কোন কাজে?
–জ্বী গিয়েছিলাম, আমার মা এসেছেন বাসায়, উনি ফোন দিয়েছিল দুইবার। তার ফোন পেয়ে গিয়েছি।
গুলজার আংকেল একটু চিন্তিত হলেন। আমার বিশ্বাস রেহানা ভাবির কথা বিশ্বাস হয় নি তার। বললেন,
–ঠিক আছে আপনারা যান।

তারা চলে গেল। গুলজার আংকেল আমার সাথে পুরা সাক্ষাৎকারের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করতে লাগলেন। আমি তার কাছ থেকে সরে এসে মিলিকে খুঁজলাম। মিলি ছাদের এক কোণায় দাঁড়িয়ে ছিলো। আমি তাকে টেনে একটু অপেক্ষাকৃত অন্ধকারে সরিয়ে নিয়ে গেলাম।

কাছে টানায় মিলি একটু অবাক হলো, তারপর নীচু গলায় বলল, এই। কি করছ? তোমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
আমি তার কাঁধে হাত দিয়ে কাছে টেনে ছেড়ে দিলাম। সে হাসল, কি ময়না , ভাবছ আমি এই গন্ডগোলে ভয় পাইছি? মোটেই না।

আমি হেসে সরে এলাম।

একটু পর গুলজার আংকেল সবাইকে ডেকে বললেন, আমার মনে হচ্ছে এটা সাধারন কোন চোরের কাজ না। ক্লিপ্টোম্যানিয়াক ধরনের কেউ আছে আমাদের ভিতর। সেক্ষেত্রে শুধু নেকলেস সে চুরি করবে না, আরোও জিনিসপত্র চুরি করার কথা। আপনারা একটু চেক করে দেখবেন আপনাদের আর কিছু চুরি গেছে কিনা?

সবাই যার যার জিনিসপত্র চেক করতে লাগল। আমার পাশ থেকে মিলি হঠাৎ আতঙ্কিত স্বরে চিৎকার দিলো।
— আমার গলার চেইন নাই। চেইন খুলে নিয়ে গেছে। কে নিলো?
আমি তাকিয়ে দেখি সত্যিই মিলির গলা খালি। সেখানে এক ভরি সোনার একটা চেইন ছিলো। আমার ক্ষুদ্র উপহার। গুলজার আংকেল দ্রুত এগিয়ে এলেন। মিলিকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন, তুমি একদম চিন্তা করোনা মিলি, তোমার চেইন আমি বের করে দেব। আর কারোও কিছু খোয়া গেছে?

দেখা গেল কারও তেমন কিছু হারায় নি।

আমি যখন খানিকটা হতাশ হয়ে সরে যাচ্ছি রাহাত ভাই চিৎকার করে বললেন, আরে তাইতো আমার ঘড়িটা চুরি গেছে। রোলেক্স ঘড়ি। অনেক দামী। কি সর্বনাশ! এখুনি পুলিশ ডাকা দরকার। গুলজার ভাই আমি পুলিশ ডাকছি রিপোর্ট করতে হবে। দামী দামী জিনসপত্র চুরি যাচ্ছে আর আমরা পুলিশে রিপোর্ট করব না সেটা তো হয় না।

রাশেদ ভাই এগিয়ে এসে কিছু বলার চেস্টা করলেন। উনিই এতক্ষণ পুলিশ ডাকার বিরোধিতা করছিলেন । এইখানে যারা আছেন তারা সমাজে সবাই প্রতিষ্ঠিত। সবার একটা সম্মান আছে। একজন কেউ হয়ত চুরি করছে কিন্তু সেজন্য অন্যদের সম্মানের ক্ষতি করার মানে নেই। তাছাড়া গুলজার হোসেন আছেন, উনি চেস্টা করলে এই সমস্যার সমাধান পুলিশ ছাড়াই হবে।

গুলজার আংকেল উঁচু গলায় বললেন, আমি সমস্যাটার প্রায় সমাধান করে এনেছি। আমাকে আর মাত্র পনের মিনিট সময় দেবেন প্লিজ, আমি সব হারানো জিনিস বের করে দেব। আর প্লিজ কেউ ছাদ থেকে চলে যাবার চেস্টা করবেন না।

আমি আর মিলি সরে এলাম। গুলজার আংকেল তার ফোন নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়লেন। বাথরুমের কাছে গিয়ে কয়কজন লাইন দিয়েছে দেখলাম। টেনশনে অনেকেরই বাথরুম পেয়ে যায়। মিলি আমার কাছে সরে আসল। সে একটু পর পর কেঁপে কেঁপে উঠছে। তার অনেক শখের গলার চেইন। বিয়ের প্রথম এনিভার্সিতে কিনে দিয়েছিলাম। মায়া ছাড়তে পারছে না মেয়েটা।

রাহাত ভাই পনের মিনিট অপেক্ষা করলেন না, পুলিশে ফোন দিয়ে দিলেন। মিনিট পনের পর গুলজার আংকেল যখন সবাইকে খাবার টেবিলের সামনে ডাকলেন তখন মোহাম্মাদপুর থানার ওসি রাকিব সাহেব হাজির হয়ে গেছেন। গুলজার আংকেলকে দেখে সে সালাম দিল।

গুলজার আংকেল বললেন, রাকিব যখন এসেই পড়েছ বস।
টেবিল ঘিরে সবাই বসে পড়লাম। রাহাত ভাই বললেন, ওসি সাহেব আমার স্ত্রীর একটা দামী হীরার নেকলেস এই ছাদ থেকে চুরি হয়ে গেছে, আমি এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে চাই।

গুলজার আংকেল বললেন, হীরার নেকলেসটা পাওয়া যাবে। থানায় অভিযোগ করতে চাইলে পরেও করতে পারবেন।

–কি বলেন গুলজার ভাই, আপনি শুধু শুধু সময় নষ্ট করছেন, এরমধ্যে আরোও জিনিসপত্র চুরি যাচ্ছে। মিলি ভাবীর গলার চেইন আর আমার হাতের ঘড়িও চুরি হলো। আর আপনি বলছেন পাওয়া যাবে। ওসি সাহেব আপনি আমার অভিযোগ ফর্মালি নেন।

গুলজার আংকেল বললেন, শান্ত হন রাহাত। চুরি হওয়া সবকিছুই এইখানেই আছে। আমাদের চোখের সামনেই।

আমরা সবাই হতভম্ভ! চোখের সামনে সবকিছুই আছে? হীরার নেকলেসও? মানে কি? গুলজার আংকেলের মাথা ঠিক আছে তো?

লেখক : খোন্দকার মেহেদী হাসান
©Khondokar Mahedi Hasan

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here