💖 স্বপ্নের প্রেয়সী 💖
Part – 2
_________________
ফ্রেস হয়ে এসে ফারহান স্যার এর সামনে গিয়ে দাড়িয়ে আছি।
বসবো নাকি তাই নিয়ে কনফিউশন এ পরলাম। কারন পান থেকে চুল খসলেই আমাকে শাস্তি দিবেন। গভীর চিন্তা মগ্ন আমি।
এমন সময় ফারহান স্যারের ধমকে চমকে গেলাম।
– তোকে কি এখানে সঙ সেজে দাড়িয়ে থাকতে বলেছি।
শুধু শুধু টাইম ওয়েস্ট করার ধান্দা।
হাতে একটা ইয়া লম্বা প্রশ্ন ধরিয়ে দিয়ে বলল ‘ফাস্ট এই গুলো সলভ করে দে।একটা যদি ভুল হয় তো দশ বার কান ধরে উঠ বস করবি।’
স্যারের হাত থেকে প্রশ্ন নিয়ে আমি হা হয়ে আছি ।
রাগি ফেস নিয়ে স্যার বললেন ।
– কি হয়েছে কি?
আমি একটা শুকনো ঢোক গিলে বললাম ‘ না স্যার কিছু না।’
– ওকে গুড। ফাস্ট লিখে দে।
একটা কেবলা হাসি দিয়ে বললাম
– জি স্যার।
বলেই লিখা শুরু করলাম।
______________
30 মিনিট পর
সব কমপ্লিট।
একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম।
আর নিজেই নিজেরে বলা শুরু করলাম।বাহ ফারাবি বাহ সব শেষ। এই বার দেখি বেটা বজ্জাত হনুমান তুই আমাকে কি করে বকা দিস।
মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
কিন্তু কতক্ষণ থাকবে জানি না।
– স্যার হয়ে গেছে।
– ওকে দে।
স্যার খাতা দেখছেন আর আমার হার্ট কাপছে।
দুজনের মধ্যে নীরবতা বিরাজ করছে।
বেশ কিছু ক্ষন পর। ফারহান স্যার বললেন ‘ হুম ভালো হয়েছে।’
এইবার জেনো আমার দেহে প্রান আসল। স্বস্তির নিশ্বাস ফেললাম।
কিন্তু হঠাৎ ই মনে পড়ল আমার ইংলিশ গাইডে
নিশির প্রেম পএ!
উফফফ এই আরাফ ভাইয়ের জন্য আজ আমি শেষ।
_________
নিশি আমার বান্ধবী। বলতে গেলে বেস্ট ফেন্ড ই বটে।
আরাফ ভাই আমাদের দুই ব্যাচ সিনিয়র। নিশি আর আরাফ ভাইয়ের দুই বছরের প্রেম। মাসে দশ বার হয় ব্রেক আপ!
তিন দিন আগে বেশ ঝগড়া হয়েছে আরাফ ভাইয়ের এক্স কে নিয়ে।
নিশি তো সব যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে।ব্লক লিস্ট এ রেখে দিয়েছে দুই দিন ধরে।
যদি ও এমন বহু বার হয়।
আর তাই আরাফ ভাই কোনো উপায় না পেয়ে আমি স্কুল থেকে ফেরার সময় চিঠি আর দুই টা ড্রাক চকলেট হাতে দিয়ে বলেছে নিশি কে দিতে।
সেই চকলেট ব্যাগে রেখে চিঠি টি রেখেছিলাম ইংলিশ গাইডের ভেতরে।
আর কালকের পড়ার চাপে চিঠি টা বের করার কথা ভুলেই গিয়েছিলাম। যার ফল স্বরূপ ফারহান স্যারের হাতে।
নিশির বাচ্চা তরে তো আমি কাঁচা চিবিয়ে খাব।
যদি তরে একটা ও চকলেট দেই তার পর বলিস।
উফফফফ আমি তো শেষ।
________________
স্যার পেজ উল্টো করেই পেয়ে গেল নিশি কুত্তির চিঠি ।
আমার তো মনে হচ্ছে আমি শেষ। আম্মু গো তোমার মেয়ে আর বাঁচবে না গো।
আমার বাচ্চা গুলো অনাথ হয়ে যাবে গো।
আমার জামাই টার কপাল ই খারাপ ও তো বিধবা হয়ে যাবে ।
এই কথা ভাবা মাএই বেকুব বনে গেলাম।
পুরুষ মানুষ বিধবা হয় নাকি?
ধুর যাক গে সে হবে হয় তো। কিন্তু আমার মৃত্যু নিশ্চিত।
_________________
স্যার চিঠি টা পড়ছে আর তার মুখে রাগ স্পষ্ট ফুটে উঠছে। রাগ যেন বেরেই চলছে আমি তো এবার শেষ।
_________________
চোখ মুখ খিচে দাড়িয়ে আছি । কখন যে আমার উপর দিয়ে সাইক্লোন , টর্নেডো , ফনি যাবে তার অপেক্ষায় ।
স্যার আমাকে ডকলেন
– ফারাবি।
আমি তো এবার শেষ।ভয়ে আমি কেঁদেই দিলাম ।
পরক্ষণেই আবার ফারহান স্যার ডাক দিলেন ।
আমাকে চুপ থাকতে দেখে আমার সামনে আশা শুরু করলেন। আর আমি তো আল্লাহ্ কে ডাকছি আল্লাহ্ এবারের মতো এই হনুমানের থেকে আমায় বাঁচিয়ে দাও।
( জানি না গল্প কেমন হচ্ছে। গল্প লেখার অভিজ্ঞতা নেই তেমন। ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। আপনাদের মতামত আশা করছি। পেজে লাইক দিয়ে পাশে থাকুন।
গল্প টা আমি আমার মতো করে সাজাচ্ছি। আশা করি ভালো লাগবে। কেউ বাজে মন্তব্য করবেন না । আপনাদের অনুপ্রেরণা আমার শক্তি। পাশে থাকুন ।)
বি: দ্র: ভুল ত্রুটি মাফ করবেন ।
ফাতেমা তুজ
চলবে