#সুখের_অ-সুখ
#মম_সাহা
পর্বঃ ছয়
ভেজা রাস্তায় সাবধানে পা ফেলে একটু একটু রাস্তা পিছে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে সুখোবতী। শুক্রবার হলেও আজও টিউশন করাতে বের হতে হয়েছে।আজকাল সময়টাই এমন,যে নরম তাকে সবাই খামচি দিবে।টাকার জন্য মানুষের ছেলেমেয়ে পড়ানো লাগে আর তখন বাচ্চা গুলোর গার্ডিয়ানরা ভাবে তারা যেনো শিক্ষকদের ক্রয় করে ফেলেছে যখন যা বলবে তা-ই মানতে হবে।
ঝিরঝির বৃষ্টি পড়ছে।সময়টা ঠিক দুপুরের পরের ভাগ।আকাশে ধূসর রাঙা মেঘ উড়ছে।রাস্তায় তেমন মানুষজনও নেই।এই বৃষ্টিমাখা দিনে কাঁদায় চিপ চিপে রাস্তায় কারই বা থাকতে ভালো লাগে? এর চেয়ে বারান্দায় বসে প্রিয় সঙ্গী বা পরিবারের সাথে তুখোর আড্ডা আর গরম গরম চায়ে মেতে উঠার মজাই আলাদা।কিংবা নরম বিছায়া গা এলিয়ে কম্বলের নিচে নিজেকে গুটিয়ে রাখতেও বেশ পছন্দ করে মানুষ।তার মাঝে কেউ কেউ এই বৃষ্টিপাতেও থেকে যায় রাস্তায়, কাঁদা চিপচিপে রাস্তায় মাইলের পর মাইল হাঁটে কেবল নিজের উদর পূর্ণ করার তাগিদে।নিজের আপন মানুষের চাহিদা পূরণের ব্যস্ততায়।
যেখানে একটা স্বচ্ছল পরিবারের বাবা ছুটির দিনে বৃষ্টিময় আবহাওয়ায় বিকেলে চায়ের সাথে স্ন্যাকস চায় সেখানেই আরেকজন অর্থের দিক থেকে অস্বচ্ছল বাবা নিজের সন্তানের মুখে দুইটা অন্ন দেওয়ার প্রয়াসে ঝড়বৃষ্টি না মেনে ছুটে চলে অবিরাম পথ।একটা কথা আছে না “ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়,পূর্ণিমার চাঁদ যেনো ঝলসানো রুটি”। পেটে ক্ষুদা থাকলে আবহাওয়াও শরীরকে বিলাসিতা দিতে পারে না।
সৃুখের নীল রঙের জামাটা ঝিরঝির বৃষ্টিতেও বেশখানিকটা ভিজে গেছে।তার নিজের বাসা থেকে টিউশনির বাসাটা বেশ খানিকটা দূরে।রিক্সা বা অটোরিকশা করে গেলে একটু দ্রুত যাওয়া আসা করা যায় কিন্তু বৃষ্টির কারণে ভাড়া দ্বিগুণ যার জন্য সুখের হেঁটেই বাসা অব্দি যেতে হচ্ছে।
সুখের পাশ কেটে দুই তিনটা গাড়ি গেলো তার মাঝে একটা বিয়ের গাড়ি রজনীগন্ধ্যা ফুল দিয়ে সাজানো বাকি দুইটা গাড়ি হয়তো বরযাত্রীর।বিয়ের গাড়িটার দিকে তাকিয়ে সুখ তপ্ত শ্বাস ফেললো। এমনই একটা দিনে তারও বিয়ের গাড়ি এসেছিলো,সেজেছিলো তার ঘরবাড়ি আলোকসজ্জায় কিন্তু সেই বাড়ি হঠাৎ ঝড়ে মরা বাড়িতে রূপ নিবে কেউ ভাবতে পেরেছিলো? আবার বাবার মৃত্যুর এক মাস হতে না হতে আবারও নাকি বিয়ের আসরে তাকে বসানো হবে।দাদীজানের তীব্র ইচ্ছায় নিজের সবটুকু খারাপ লাগা,বিষাদ মাটি চাপা দিয়ে সে রাজি হয়েছে বিয়েতে বসার জন্য। আচ্ছা এবার বিয়েটা স্বাভাবিক হবে তো? নাকি ভাগ্য খেলবে নতুন খেলা?
হঠাৎ সুখ অনুভব করলো তার আশেপাশে ঝিরঝির বৃষ্টিটা বেশ বড় আকারে রূপ নিয়েছে। আকাশের ধূসর মেঘ কালো বর্ণ ধারণ করেছে কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে তার শরীরে বৃষ্টি পড়ছে।সুখ চমকে যেতেই পাশ থেকে একটা গম্ভীর মিষ্টি কন্ঠ ভেসে আসলো
-‘চমকানোর কিছু নেই অপরিচিতা। আপনার মাথার উপর মস্ত বড় এক ছাতা আছে যার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আপনার শরীরে বৃষ্টি পড়ছে না।’
সুখ দ্রুত তার ডানদিকে ফিরে তাকায়। তার পাশে বলিষ্ঠ দেহের এক সুপুরুষ দাঁড়িয়ে আছে। মানুষটা তার অচেনা না,এ’নিয়ে তৃতীয় সাক্ষাত হবে।প্রথম বার সিএনজিতে, দ্বিতীয় বার বাস স্ট্যান্ড আর আজ তৃতীয়বার।
সুখ অস্বস্তি অনুভব করে সড়ে যেতে নিলেই সাথের মানুষটা ব্যতিব্যস্ত স্বরে বলল
-‘আরে বোকা মেয়ে নাকি! দেখছেন কতটা বৃষ্টি হচ্ছে? ছাতার নিচ থেকে বের হলে তো ভিজে চুপসে যাবেন।এখানে থাকুন, ছাতার নিচে।’
সুখ সড়লো না বরং রাস্তার একপাশে দাঁড়ালো সেই ছাতার নিচে।আশেপাশে কোনো যাত্রী ছাউনি নেই।খোলা রাস্তায়, তুমুল বৃষ্টিপাতে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই।
পাশের লোকটা বেশ নরম কন্ঠে বলল
-‘আমি মেঘ,মেঘ আহমেদ।’
সুখ লোকটার মুখপানে চাইলো।লোকটা নিজের নাম বললো কেন? পরিচিত হতে চাচ্ছে নাকি? ছেলেদের স্বভাবই এটা।পরক্ষণেই আবার নিজেই নিজের মনকে বলল, লোকটাকে দেখে তো তেমন ফালতু মনে হচ্ছে না বরং বেশ সাহায্য করছেন তাকে সেই প্রথম দিন থেকে।এখন কি লোকটার পরিচয় এর বিপরীতে তাকেও নিজের পরিচয় দিতে হবে? দশ রকমের ভাবনা ভেবে সুখ অবশেষে মুখ খুললো
-‘আমি সু,,,,’
আর কাছে বলতে না দিয়ে লোকটা সুখকে থামিয়ে দেয়। চুখ ড্যাবড্যাব চোখে তাকিয়ে রয়।পরিচয় জানার জন্যই তো নিজের নামটা বললো তাহলে তাকে থামিয়ে দিলো কেন?
মেঘ হয়তো বুঝতে পারে সুখের মনোভাব তাই মুচকি হাসি বজায় রেখেই বলল
-‘আপনি অপরিচিতা।আপনার নাম আমি রেখে দিছি।আর আপনি তো আমার নাম রাখবেন না তাই নিজের নামটা বলে দিছি।তা কোথায় গিয়েছিলেন এই বৃষ্টিমাখা দিনে?’
-‘এইতো টিউশন করাতে গিয়েছিলাম।আসলে কয়েকদিন বন্ধ হয়েছিলো তাই ছুটির দিনেও পড়িয়ে সেই বন্ধ পুষিয়ে দিচ্ছি।’
সুখের সহজ সরল কথা বেশ মিষ্টি লাগলো মেঘের।ততক্ষণে বৃষ্টি প্রায় থেমে গেছে।একটা রিক্সা আসতেই সুখ সেটাকে থামিয়ে দিলো।ঝটপট রিক্সায উঠে বসলো।মেঘ শান্ত কন্ঠে বলল
-‘তাহলে ভালো থাকবেন অপরিচিতা।’
সুখ মাথা নাড়ল বলল
-‘আপনিও ভালো থাকবেন মেঘ সাহেব।আবারো কোনো আকষ্মিক সমস্যায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েন।ধন্যবাদ।’
মেঘ হাসিমুখে ঘাড় কাত করতেই রিক্সা চলতে শুরু করলো আপন গতিতে। মেঘ হাত নাড়িয়ে বিদায় জানালো।রিক্সাটা চোখের অগোচর হতেই মেঘের৷ গাড়িটা মেঘের সামনে এসে দাঁড়ালো।মেঘের পিএ দরজা খুলে দিতেই মেঘ ভিতরে গিয়ে বসলো।মেঘের পিএ ইউসুফ মেঘের দিকে তাকিয়ে নিচু কন্ঠে বলল
-‘এই বৃষ্টির মাঝে হঠাৎ গাড়ি থেকে নেমে এতটা না ভিজলেও পারতেন স্যার। বরং মেমকে গাড়িতে তুলে নিতেন।’
-‘ইউসুফ আমি মানুষদের বড্ড সহজেই চিনি।আর এই অপরিচিতাকে মনে হয় বেশিই জানি।সে কখনোই একটা আগন্তুকের গাড়িতে বসতো না।ওসব তুমি বুঝবে না।তুমি গাড়ি স্টার্ট দেও।’
ইউসুফ গাড়ি স্টার্ট দিতেই মেঘ সুখের যাওয়া রাস্তার দিকে তাকিয়ে আনমনেই বলল
~”আমি এক ভারী বর্ষনে দেখেছি অপরিচিতার মুখ,,
সেই মুখে জেনো আছে আমার রাজ্যের সুখ।”
________
“বিয়েটা কেনো করতে চাইছেন রেদোয়ান ভাইয়া?”
সুখের এহেন প্রশ্নে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় নি রেদোয়ানের মনে বরং সে ভীষণ আয়েশে খাটে বসে পা দুলাচ্ছিলো। সুখ আরেকটু গলার স্বর উঁচু করে বলল
-‘ভাইয়া আপনি বিয়েটা কেন করতে চাচ্ছেন একটু বলবেন?তাও আমার মতন মেয়েকে? নাকি রিফিউজ করে ছিলাম বলে প্রতিশোধ নিতে চাচ্ছেন?’
রেদোয়ানের চোয়াল আকষ্মিক শক্ত হয়ে গেলো।কোনোরূপ শব্দ ব্যয় না করে সুখের গাল চেঁপে ধরে দাঁতে দাঁত কিড়মিড় করে বলল
-‘তোমার থেকে প্রতিশোধ নেওয়া লাগবে আমার বিয়ে করে? এর চেয়ে বড় কিছুর জন্যই তোমাকে বিয়ে করছি।সুখের অ-সুখে,আমার অসুখ।’
রেদোয়ান আর এক মুহূর্ত অপেক্ষা করলো না।দ্রুত পা ফেলে সুখের ঘর থেকে প্রস্থান নিলো।সুখ টিউশন করিয়ে এসে তাদের বাসায় রিতীমত রেদোয়ান হাজির।আর রেদোয়ানকে একা পেয়েই জানার আগ্রহ দেখালো কিন্তু এমন কিছু শুনাবে ভাবতে পারে নি।তাহলে সেদিনের চিরকুট রেদোয়ান ভাই ই দিয়েছিলো কিন্তু কেনো?
অন্ধকার রুমে কেউ একজন চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে উঠলো।ঘৃণিত খেলা শুরু হয়ে গেছে আজাদ শেখের বাড়িতে।অন্তরালে লুকিয়ে একজন গভীর ষড়যন্ত্র করছে আর তার অন্তরালে লুকিয়ে সেই ষড়যন্ত্রের বিপরীতে আরেকজন ষড়যন্ত্র করছে।কে জিতবে এ খেলায়? নাকি সব দিক থেকে হার টা সুখের হবে?
__________
দুই সপ্তাহ পর বিয়ের দিন ফিক্সড করা হয়েছে।ঘরোয়া ভাবেই বিয়েটা করানো হবে।
সুখ ধারাবাহিক কার্যক্রম আগের মতনই বজায় রেখেছে।আজ সকালেও ঘুম থেকে উঠে ঘরের যাবতীয় কাজ শেষ করে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেছে।লীলাবতী আজকাল ঘর থেকে বের হয় না।আনুমানিক তাে এখন তিনমাস চলছে তার গর্ভাবস্থার।শরীরেও ছোট খাটো পরিবর্তন শুরু হয়ে গেছে। যতটা পারে নিজেকে লোকচক্ষুর আড়ালে রাখে।
উত্তপ্ত রৌদ শহরময়। গ্রীষ্মকালের এই এক জ্বালা,কখনো উষ্ণতা আবার কখনো সিক্ততা।সুখ ভার্সিটির থেকে বের হতেই মাথাটা জেনো ঘুরে উঠলো এত রৌদ দেখে।তার সাথে তার বান্ধবী অনু ছিলো।সুখকে মাথা চেপে ধরতে দেখে অনু অবাক কন্ঠে বলল
-‘কিরে সুখ? মাথা ধরে আছিস কেন? মাথা ঘুরছে?’
সুখ দু-হাত মাথা চেপে মাথা ডানে বামে নাড়িয়ে না বললেও তার মাথা আবার ঘুরে উঠে।অনু আর সুখ ব্যাতিত তাদের বান্ধবী হিমা এখানে উপস্থিত ছিলো।সে দ্রুত নিজের বোতল থেকে পানির বোতল বের হরে দিয়ে সুখের দিকে এগিয়ে দিলো।মধ্য দুপুর দেখে এ সময় রাস্তাঘাট জনশূন্য। মাঝে মাঝে কয়েকটা গাড়ি যাচ্ছে।
হিমা রাস্তায় হাত দেখাচ্ছে গাড়ি থামানোর জন্য। কিন্তু বরাবর তার গাঁ ঘেষে চলে যাচ্ছে সব গাড়ি।একটা কালো রাঙা গাড়িও তার পাশ কেটে চলে গিয়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ালো।হিমা দৌড়ে গিয়ে কিছু বলার আগেই গাড়ির ভিতরে তাকিয়ে অবাক হয়ে রইল সাথে মুগ্ধ।
অনু হিমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অদ্ভুত স্বরে বলল
-‘এই সুখ হিমা কী আবার ক্রাশ টাশ খেয়ে ফেলল নাকি? ওর তো ঠুসঠাস ক্রাশ খাওয়ার স্বভাব।’
সুখ অসুস্থতার মাঝেই ফিক করে হেসে উঠলো।অনু গলা তুলে হিমাকে ডাক দিয়ে বলল
-‘দেখিস হিমা গিলে ফেলিস না।’
হিমা তাড়াতাড়ি মাথা নাড়িয়ে গাড়ির ভিতরে থাকা মানুষটাকে বলল
-‘ভাইয়া আমার ফ্রেন্ড একটু অসুস্থ একটু হ্যাল্প করুন না।আমাদের একটু ওর বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে যান।’
গাড়ির ভিতরের মানুষটা হিমার দৃষ্টি অনুসরণ করে তার বান্ধবীর দিকে তাকিয়ে চমকে উঠে।দ্রুত গাড়ি থেকে নেমে গটগট পায়ে এগিয়ে যায় সুখদের কাছে ব্যতিব্যস্ত স্বরে বলল
-‘অপরিচিতা কি হয়েছে আপনার?’
সুখ এতক্ষণ অনুর সাথে হেলে চোখ বন্ধ করে দাঁড়িয়ে থাকলেও এখন পরিচিত কন্ঠে চোখ মেলে তাকালো।সামনের মানুষটার দিকে তাকিয়ে অবাক কন্ঠে বলল
-‘আরে মেঘ সাহেব আপনি এখানে? আজও আমার সমস্যায় সমাধান হয়ে আপনিই আসলেন?’
মেঘের কপালে চিন্তার ভাজ পড়েছে।তার সামনে থাকা ফর্সা লাল হয়ে যাওয়া গোলগাল মুখটার দিকে তাকিয়ে ভাজটা আরো গাঢ়ো হলো।বুঝাই যাচ্ছে মেয়েটা ভীষণ অসুস্থ।
মেঘকে নেমে আসতে দেখে তার পিএ ইউসুফ ও নেমে এসেছিলো।অকাঙ্খিত সময়ে কাঙ্খিত মানুষটাকে দেখে ইউসুফের হাসি চওড়া হলো।তার স্যার বড্ড বেপরোয়া হয়ে উঠেছিলো এই মানুষটাকে দেখার জন্য অবশেষে দেখা মিললো।
মেঘ ব্যতিব্যস্ত স্বরে বলল
-‘চলুন আমার গাড়িতে আপনারা।আমি পৌঁছে দিচ্ছি।’
হিমা অবাক কন্ঠে বলল
-‘আপনি সুখকে চিনেন?’
মেঘ ভ্রু কুঁচকালো পরক্ষণে মনে হলো তাহলে তার অপরিচিতাই সুখ।তখন হেসে মাথা নাড়ালো।সুখ অনুর হাত ধরে ধীরে ধীরে গাড়িতে গিয়ে বসলো।মেঘও যেতে নিলো ইউসুফ ডাক দিয়ে বলল
-‘স্যার শুনেন।’
-‘হ্যাঁ ইউসুফ বলো?’
-‘এই উত্তপ্ত গরমেও আমি কারো মাঝে শীতলতা দেখতে পারছি।সেটা কেনো?’
মেঘ কতক্ষণ তাকিয়ে থেকে হেসে দিলো।ইদানীং গম্ভীর মানুষটা হুটহাট হেসে দিচ্ছে এ কী গভীর প্রনয়ের সূচনা?
মেঘ গাড়িতে বসা অসুস্থ মানুষের দিকে তাকিয়ে বলল
~”আমার শীত,গ্রীষ্ম,বর্ষা
অপরিচিতাই এখন ভরসা।”
#চলবে
[আইডিতে সমস্যা হওয়ার কারণে গল্প দিতে এ কয়েকদিন এমন হলো।আশারাখি এখন থেকে নিয়মিত গল্প পাবেন।আর রীতিমতো আমি রসকষহীন লেখিকা হিসেবে খেতাব পেয়েছি।তাই একটু রসকষ আনার প্রচেষ্টা। ভালোবাসা ]