#সুখের_অ-সুখ
#মম_সাহা
পর্বঃ সতেরো
(লেখিকার অনুমতি ব্যাতিত কপি নিষেধ)
সুখ কতক্ষণ চুপ রয়,নিরবতায় ব্যয় হয় কতটা সময়। ঘুমিয়ে থাকা শরীরের প্রতিটা অঙ্গ জাগ্রত করার সময় দেয়, মস্তিষ্কটা সচল করার পর শরীরে আলাদা অনুভূতি খেলে গেলো। আকষ্মিক ভয়টা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলো। মনের কোণে উঁকি দিচ্ছে কিছু হারানোর তীব্র আতঙ্ক। নিজেকে ধাতস্থ করে, হিমার দিকে তাকিয়ে সুখ বিষ্ময়মাখা কন্ঠে বলল,
-“তুই সকাল সকাল সেই যশোর থেকে ঢাকা কীভাবে এলি? আর হঠাৎ এখানে কেনো এসেছিস? কোনো সমস্যা হয়েছে হিমা?”
-“কেনো তুই জানিস না,কোনো এখানে এসেছি? মেঘ ভাইয়া’কে ছাড়া আমার চলবেই না সুখ। তুই তো কাল আর আমার সাথে যোগাযোগ করলি না তাই বাধ্য হয়ে ছুটে আসলাম।”
সুখের ছোট্ট মাথা’টা মানতে পারলো না বোধহয় কথা’টা। কম্পিত হলো বক্ষ মাঝে হৃৎপিণ্ডটা,আতঙ্কিত হলো শরীরে প্রতিটা শিরা-উপশিরা গুলো। কন্ঠের মাঝে কত গুলো অব্যক্ত কথা দলা পাঁকিয়ে গেলো যেনো। কী বলবে,কোথা থেকে শুরু করবে, হিসাব মেলাতে পারে না সুখ। কেবল ধীর কন্ঠে সুক্ষ্ণ কন্ঠ’নালী থেকে বের হয়ে আসলো,
-“তুই জানলি কীভাবে উনাদের বাড়ির ঠিকানা? আর একা একা এতটা পথ পাড়ি দিলি কীভাবে? আর কেন’ই বা এতটা তাড়া? একটু অপেক্ষায় থাকার মতন সময়ের কেনই বা এত স্বল্পতা?”
হিমা সুখের ডান পাশে এসে বসে। ছোট্ট শ্বাস ফেলে বলে,
-‘কারণ আমি পালিয়ে এসেছি। বাড়িতে থাকলে বিয়েটা হয়েই যেতো। আমি পারতাম না নিজের পছন্দের মানুষটাকে ছাড়া ভালো থাকতে। তাই, অবশেষে বাড়ি ছাড়লাম।”
সুখ আৎকে উঠে। পছন্দের মানুষের জন্য তার সই বাড়ি ছেড়েছে কিন্তু সেই মানুষটা যে অন্য কারো। কীভাবে মেয়েটাকে চরম সত্য টা জানাবে? ঠিক থাকবে তো মেয়েটা? কিন্তু না জানিও যে উপায় নেই। আর যা’ই হোক,মেঘ তার স্বামী। মনের সম্মতিতেই হোক বা অসম্মতিতে,মেঘ যে তার জনম জনমের সঙ্গী হয়ে গেছে। আজ নিজের কপাল চাপড়াতে ইচ্ছে করছে সুখের। কারণ একমাত্র তার বিয়ের কথাটা না জানানোর জন্যই আজ এ অবস্থা।
সুখের ভাবনার মাঝে হিমা সুখের হাতটা টেনে নেয় আলগোছো। সুখের ভাবনার সুতোয় টান পড়ে। হিমা সুখের দিকে তাকিয়ে অদ্ভুত কন্ঠে বলল,
-“দিবি না, মেঘ ভাইয়া’কে আমায়?”
সুখ অথৈ সাগরে পড়ে যায়। কী উত্তর দিবে? শৈশবের সই নাকি জনম জনমের সঙ্গী’কে বেছে নিবে সে? মন বলল- স্বামী ছাড়া যাবে না, বিবেক বলল- শৈশবের সই এতই তুচ্ছ তবে?
মন আর বিবেকের তুমুল যুদ্ধে বিবেকের কথাটা গাঢ়ো ভাবে মস্তিষ্কে দাঁগ কাটিয়ে মনকে জিতিয়ে দিয়ে বলল,
-“প্রেমিক’কে হস্তান্তর করা যায় হয়তো কোনো কিছুর বিনিময়ে কিন্তু স্বামী, স্বামী’কে পুরো সাতজন্ম না হওয়া অব্দি ছাড়া যায় না। তোর মেঘ ভাইয়া আমার সাত জন্মের সঙ্গী রে হিমা। সাত জন্ম পরে না’হয় তুই নিস।”
কথাটা বলার পর মাথা নিচু করে রাখে সুখ। একটা বিস্ফোরণ হবে যে এখানে সেটা তার মন বলছে। নিজেকে প্রস্তুত করছে সেই মোতাবেক। এক দুই তিন করে সেকেন্ডের কাটা’টা ঘুরে মিনিটে পৌঁছালো কিন্তু অদ্ভুত হলেও সত্যি যে হিমার কোনো প্রতিক্রিয়া দেখা গেলো না।
সুখ অপরাধী কন্ঠে বলল,
-“আমি দুঃখীত হিমা, তোদের কাছ থেকে সত্যি’টা লুকানো কখনো উচিৎ হয় নি। আমি ভেবেছিলাম আগে বিয়ে নামক বন্ধনটাকে গুছিয়ে নেই নিজের মাঝে তারপর সবাইকে জানাবো। কিন্তু, তোর যে উনার প্রতি দুর্বলতার বিশাল পাহাড় সৃষ্টি হয়েছে তা তো বুঝি নি রে।”
হিমা তবুও কোনো কথা বললো না। সুখ ভাবে হয়তো মেয়েটা মানতে পারে নি এই অপ্রত্যাশিত সত্যি টা। কি প্রতিক্রিয়া দেখাবে হিমা সেই ভেবে সুখের গলা শুখায়। হিমা কী কান্না করবে? তার সাথে আর কথা বলবে না?
সুখের ভাবনার মাঝে উচ্চস্বরে হেসে উঠলো হিমা। সুখ হতবাক, সে ভেবেছিল তুমুল রাগে হয়তো ফেটে পরবে হিমা কিন্তু হলো তার বিপরীত? মেয়েটা কী পাগল হয়ে গেলো?
সুখ অবাক কন্ঠে বলল,
-“পাগল হলি হিমা? হাসছিস কেন? আমি সত্যি বলছি মেঘের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে।”
-“বিয়ে না হলে বুঝি দিয়ে দিতিস? মানলাম প্রেমিক হস্তান্তর করা যায় তাই বলে মনের কোণে যার জন্য মিষ্টি প্রেমময় অনুভূতির জন্ম হয় তাকেও দিয়ে দেওয়া যায়? সব থেকে বড় কথা, একজন মানুষ কী কখনোই হস্তান্তরযোগ্য?”
সুখের এই প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। আসলেই তো,মানুষ’কে কী কখনো দেওয়া যায়! কিন্তু তাই বলে হিমা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবে না? অন্তত অবাক তো হওয়া উচিত ছিলো। সুখ বিষ্ময়মাখা কন্ঠে বলল,
-“তুই কোনো রিয়েক্ট করলি না কেনো হিমা? তোর অন্তত অবাক তো হওয়ার কথা ছিলো।”
-“যে জিনিস জানি আগেই, সেটাতে অবাক হবো কেন?”
যেখানে অবাক হওয়ার কথা হিমার ছিলো,সেখানে সুখ অবাক হলো। বিষ্ময়মাখা কন্ঠে বলল,
-”মানে! আগেই জানতি মানে? কীভাবে জানলি? আমি তো বলি নি। তাহলে?”
হিমা চুপ রয় কিছুকাল তারপর হেসে বলে,
-“মেঘ ভাইয়া’ই বলেছিলো,বোধহয়। বাদ দে ও কথা, আগে বল তুই কেন আমাদের জানালি না এটা? তোর বিয়েতে নাহয় একটু বিরিয়ানি’ই খেতাম তাই বলে দাওয়াত দিলি না! ছিহ্ সুখ, এত কিপ্টা হলি কীভাবে?”
সুখ হিমার এহেন আচরণে অবাক। কাল সকালেই তো এ মেয়েটা কেঁদে কেটে যেভাবে বলল মেঘকে তার প্রয়োজন এক মুহূর্তের জন্য সত্যিই মনে হয়েছিলো মেঘ’কে ছাড়া মেয়েটা বাঁচবে না কিন্তু এখনের ভাবভঙ্গি পুরো উল্টো?
সুখ হতবাক হয়ে বলল,
-‘তার মানে তুই সব’টা জানতি? তাহলে কাল সকালে যে কান্নাকাটি করলি সেটা?’
-‘ওটা তো কেবল তোকে বিভ্রান্তিতে ফেলার জন্য। দেখলাম আমার বান্ধবী কী করে। ওমা, এখন দেখি বান্ধবী তার উনার প্রতি একদম চিৎপটাং। একটু ভাগ দিবে না বান্ধবীদের।’
-‘তুই বলতে চাচ্ছিস কালকের চোখের জল মিথ্যে ছিলো? এটা কেমন মজা হলো? আমি তো ভয় পেয়ে গেছিলাম। এমন মজা কেউ করে?’
-‘হিমা করে।’
কথা’টা বলে খিলখিল করে হেসে দিলো হিমা। সুখের বুক থেকে একটা পাথর নেমে গেলো যেনো। এমন মজা কেউ করে? আর একটু হলে সে দ্বিধার সমুদ্রে ডুব মারতো। তারপর হঠাৎ একটা কথা মনে পড়তেই সুখ বলে উঠলো,
-‘কিন্তু কাল যে বললি তোর বিয়ে ঠিক হয়েছে? সেটাও মিথ্যে? একটু আগের বলা সবই মিথ্যে?’
-‘সব মিথ্যা না। বিয়ে ঠিক হয়েছে এটা সত্যিই আর বাকি গুলো একদম ডাহা অভিনয়। বাহ্ কি সুন্দর অভিনয় জানি আমি।’
সুখ বান্ধবীর বাহুতে একটা চড় লাগায়। মেয়েটা বুঝি একটু সিরিয়াস হতে পারবে না? হঠাৎ রুমে দু’জন মানুষের আবির্ভাব ঘটে। একজন মেঘ কিন্তু মেঘের পাশেরজনকে দেখে সুখ হা হয়ে গেলো। অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে গেলো। অবিশ্বাস্যকর ভঙ্গিতে বলল,
-‘ইউসুফ ভাই,আপনি! এত সকালে আপনি এখানে? আমি কী এসব স্বপ্ন দেখছি?’
-‘আর কী করবো বলেন ভাবী? আপনার এমন উদ্ভট বান্ধবী’র জন্য সারা রাত গাড়ি চালিয়ে আসতে হলো।’
হিমা তেড়ে গেলো। ঝগড়ুটে ভাবে বলল,
-‘এই এই কী বললেন আপনি? আমি ঝগরুটে? আমি!’
সুখের জেনো কিছু বোধগম্য হলো না। কপাল কুঁচকে বলল,
-‘একটু সব খুলে বলবে কেউ! কি হচ্ছে কিছুই বুজছি না। হিমা’কে আপনি নিয়ে আসছেন? কিন্তু কেনো?’
হিমা এগিয়ে আসলো, সইয়ের বাহু জড়িয়ে বলল,
-‘আরে মোর সুখ পাখি, আমি বলছি তোকে সব। আসলে কাল তোর সাথে রাস্তায় দেখা হলো না? আমি তখন বাড়ি ছেড়ে চলে এসে ছিলাম। বিয়ে করবো না বলে রাগারাগি করেছি। ভেবেছিলাম অনুর বাড়িতে থাকবো। তা’ই করলাম। কিন্তু হঠাৎ মনে হলো অনুর বাড়ি আমার পরিবার চিনবে তাই তাড়াতাড়ি তোদের বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে মনে পড়লো তুই তো তোর শ্বশুর বাড়ি চলে এসেছিস। তারপর ভাবলাম সিলেট মামার বাড়ি যাবো। মামার বাড়ির সাথে আমাদের বাড়ির তেমন সম্পর্ক নেই তাই বাড়ির মানুষ জানতেও পারবে না আর আমিও আরামে ক’দিন কাটাতে পারবো। কিন্তু তখনই মনে হলো তোকে উল্টোপাল্টা কত কিছু বলেছি, তা মনে করে যদি সংসারে অশান্তি হয়। তাই অত রাতে তোর ক্যাবলা মার্কা ইউসুফ ভাইকে হাতে পায়ে ধরে সারা রাতে জার্নি করে এখানে এলাম।’
সুখ বড় এক নিঃশ্বাস ফেলল। যাক,সবটাই মজা ছিলো। সইও রইল স্বামীও রইল। সুখ ছোট্ট নিঃশ্বাস ফেলে বলল,
-‘চল নাস্তা তো করিস নি, আয় আগে খেয়ে নে।’
-‘না না ভাবী, আমরা নাস্তা করেছি। এখন আপনার বান্ধবী’কে বাস স্ট্যান্ড অব্দি পৌঁছে দিয়ে আমি আবার যশোর চলে যাবো। স্যার নেই ওখানে,আমাকে’ই তো সামলাতে হবে।’
সুখ কপাল কুঁচকে বলে,
-‘চলে যাবে মানে? হিমা আজ কোথাও যাবে না। সারা রাত ঘুম নেই। আপনিও কোথাও যাবেন না। আজ নো যাওয়া। মেঘ আপনি কিছু বলেন।’
মেঘ এতক্ষণ নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছিলো,সুখের কথায় ঠোঁট উল্টে বলল,
-‘ঘরণী যা বলে, কর্তার তাতেই সম্মতি।’
ইউসুফ আর হিমা হেসে দেয় মেঘের কথায়। সুখ মেঘের দিকে চোখ বড় করে তাকিয়ে হেসে দেয়। তারপর বেশ খানিকক্ষণ হ্যাঁ না করে অবশেষে সুখ পরাজিত হলো। গেইট অব্দি এগিয়ে দিলো হিমা আর ইউসুফ’কে। এর মাঝে মসৃন’কে অবশ্য হিমা দেখে নি। এতে বাঁচা গেছে নাহয় আরেক ঝামেলা হতো। হিমা গাড়ির জানালা দিয়ে ছোট্ট মুখটি বের করে উচ্চস্বরে বলল,
-‘সুখপাখি, আমরাও কিন্তু সাত জন্মের সই। কেবল স্বামী না,সইও সাতজন্মের হয়। প্রতিজন্মে তোকে চাই আমার সুখপাখি। আমরা সাত জন্মের সই।’
সুখ কেবল মুচকি হাসলো। ইউসুফদের গাড়ি চলতে শুরু করলো। মেঘের ফোন আসাতে মেঘ ফোন ধরে একটু সাইডে চলে গেলো। সুখের নজর গেলো গাছের আড়ালে,বাড়ির পিছনের কুঠির’টার দিকে। মেঘও অন্য ধ্যানে ব্যস্ত।এখনই মোক্ষম সময় ও ঘরটা দেখে আসার। যেমন ভাবনা তেমন কাজ।
ইউসুফের গাড়ি চলছে আপন গতিতে। গাড়ির মাঝে দু’জন মানব মানবী নিরব। গাড়ি নিজের গন্তব্য এসে পৌঁছালো। ইউসুফ চাইলে সিলেট অব্দি পৌঁছে দিতে পারতো হিমা’কে কিন্তু যেহেতু গন্তব্য আলাদা, শেষ অব্দি আলাদা দু পথে পা বাড়াতে হবে দু’জনকে সেহেতু আগে থেকেই মায়া বাড়ানোর আগে বিচ্ছেদ আসুক।
বাস স্ট্যান্ড অব্দি আসতেই গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ালো হিমা। ইউসুফ শীতল স্বরে বলল,
-‘ধন্যবাদ হৈমন্তিকা। ভাবী আর স্যার এর নতুন পথ চলা’টা বিবর্ণ না করে রঙিন করার জন্য।’
-‘ধন্যবাদ তো আপনার প্রাপ্য ক্যাবলাকান্ত। যদি কাল সুখের বিয়ের কথাটা না জানাতেন তাহলে নিজের অজান্তেই সইয়ের সুখের কাটা হতাম। তবে,আপনার মনে হয়েছিলো আমি নাটকের খলনায়িকাদের মতন করবো এসব জানার পর? আমি সই,সাতজন্মের সই।’
-‘তাহলে আমিও চাই প্রতি জন্মে আমার সাথে আপনার দেখা হোক।’
হিমার হাসি’টা চওড়া হলো। মাথা কাত করলো। তারপর যেতে যেতে বলল,
-‘অমন কথা বলবেন না ক্যাবলাকান্ত। প্রতিবার যদি নিয়তি এক হয় তবে প্রতিবারই আমরা দুজন দু’পৃথিবীর মানুষের গন্তব্য একটা’ই হবে। অপ্রাপ্তির দহন।’
হিমা চলে যাচ্ছে, আবার দেখা হবে কিনা জানা নেই। ইউসুফের বুকের বা’পাশে তুমুল ব্যাথা শুরু হলো। কেউ জানবে না এক লুকায়িত অপ্রাপ্তির কাহিনী। কাল যখন মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে বলল মেঘকে ভালোবাসে সে, তখন ইউসুফের যে কী রক্তক্ষরণ হলো হৃদয় মাঝে কারণ সেও যে ভালোবেসে ফেলেছিলো এই উড়ন্ত, ছুটন্ত হৈমন্তিকা’কে। তখন মেঘের বিয়ের কথা থেকে শুরু করে নিজের হৃদয়ের কথা’টাও জানালো। মেয়েটা যে এক রাতের মাঝে সামলে উঠবে ভাবতে পারে নি সে। সে হয়তো পাবে না তার মানুষটা’কে। থাক না কিছু অপ্রাপ্তি, ভীষণ গোপনে। ভালোবাসি হৈমন্তিকা, ভীষণ ভালোবাসি।
হিমা জানালার পাশে সিট টাতে বসে বাহিরে দৃষ্টি নিবদ্ধ করতেই দেখলো একটা গাড়ি ছুটে যাচ্ছে। হিমা মুচকি হাসলো। দীর্ঘশ্বাস ফেলে মনে মনে বলল,
-‘আবার আপনাদের শহরে আসা হবে না হয়তো মেঘ সাহেব। খুব গোপনে সবার আড়ালে বলছি, ভালোবাসি মেঘ সাহেব, ভালোবাসি। ক্যাবলাকান্ত,আপনিও ভালো থাকেন। তবে বড্ড ভালো মানুষেরা বোধহয় কম’ই ভালো থাকে। আপনিও আজ থেকে তার দলের। আমিও পুড়বো কারো অনীহায়। আপনিও পুড়েন।’
#চলবে