সীমাহীন ভালোবাসার নীড় পর্ব ১

0
1879

অর্ধনগ্ন অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছে ঢাকার টপ টেন বিজনেস ম্যান এর মধ্যে স্থানপ্রাপ্ত যুবক।যুবকটির পাশেই বিছানায় বিভোরে ঘুমাই আছে অত্যন্ত সুন্দরী এক রমনী। সেদিকে কোন ধ্যান নায় যুবকটির সে তো আধশোয়া অবস্থায় সিগারেট এ একটার পর একটা টান দিচ্ছে আর আরেক হাত দিয়ে লেপটোপ এ কাজ করচ্ছে।

সিগারেট এর গন্ধ নাকে আসতেই খুক খুক করে কাশতে কাশতে ঘুম থেকে উঠে পরে রমনী যুবক সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করে না কিন্তু তার ঠোঁটের কোণে তাচ্ছিল্যের এক হাসির রেশ লাগে আছে।।।

রমনী তার গায়ের চাদর টা ঠিক করে উঠে বসে আর নেকা কন্ঠে যুবকটির শরীর ঘেঁষে বসে। যুবটি দেখেও না দেখার ভান করে

মিথিলাঃওওও নির বেইবি ইউ নো না আমার সিগরেট এর গন্ধ সহ্য হয়না প্লিজ পুট ইট ডাউন

নিরঃএন্ড ইউ থিংক নির চৌধুরী তোর মতো চিপ একটা মেয়ের জন্য তার অভ্যাস চেঞ্জ করবে
(ল্যাপটপ এর স্ক্রিন বন্ধ করে)

নির এর কথা বলার ধারণে ভয় পায়ে যায় মিথিলা
মিথিলা কিছু বলতে যাবে তার আগেয় মিথিলার মুখের উপর টাকার বান্ডিল ছুড়ে মারে নির

নিরঃটাকা গুলা নে আর আমার মুখের সামনে থেকে বিদায় হো নাইদার আই উইল সুট ইউ

মিথিলাঃইউ তোমার কি মনে হয় আমি তোমার টাকার জন্য এখানে আসেছি আমার পাপার তোমার থেকে কম নাই ডিড ইউ গেট ইট আমি রোজ এখানে আসি আমার শরীরের চাহিদা মেটাতে না তোমার সাথে টাইম স্পেন্ড করতে আর তুমি গো টু হেল উইথ ইউর মানি

মিথিলা টাকা গুলা ওইখানেই ফেলে ওয়াসরুম থেকে ফ্রেশ হয়ে বার হয়ে আসে এক বার নির দিকে তাকায়ে নিজেকে শান্ত করে নির এর সামনে যায় কিন্তু সেদিকে নির এর তাকানোর মতো সময় নাই

মিথিলাঃদেখো নির আই লাভ ইউ প্লিজ এক্সেপ্ট মি আমার মতো মেয়ে যাকে পাওয়ার জন্য সব ছেলেরা হা হুতাশ করে সেখানে আমি তোমাকে চাই শুধু প্লিজ নির। আই নো ইউ ওলসো লাভ মি

নির এবার ফোন হাতে নিয়ে কাকে যেনো ফোন করলো। কয়েক মহূর্তের মধ্যেই সেখানে ২ জন মহিলা গার্ড চলে আসলো।নির ইশারা করতেই তারা টানে হিচড়ে মিথিলাকে রুম থেকে নিয়ে যায়ে হোটেল এর বাহিরে ফেলে আসে।।।।

(আসেন পরিচয় জানেনি নির চৌধুরী। চৌধুরী গ্রুপ ওফ ইন্ড্রাস্টির একমাত্র মালিক। ২৭ বছরের যুবকটি একা হাতে তিলে তিলে গড়ে তুলেছে এক সাম্রাজ্য যার পিছনে পড়ে আছে হাজারো নাম করা ব্যবসায়ী। রাগী জেদ্দী এক কথায় সাইকো ছোট বেলা থেকে একা থাকতে থাকতে নিজেকে এক ঘুয়ে করে ফেলেছে তার জন্য সবার আগে সে নিজে।

আর এতক্ষন তার সাথে যে মেয়েটা ছিলো সে হলো মিথিলা খান বাবা মায়ের মেঝো সন্তান জেদী বদমেজাজী এক ঘুয়ে টাইপের মেয়ে যেটা চায় তার চায় ই। ২ মাস আগে এক বিজন্যাস পার্টিতে তার চোখ যায় নির এর উপরে তার পরের থেকে তার মাথায় নির নামক ভুত তার মাথায় চড়ে বসেছে। গার্ডস দের থেকে জানতে পারেছে নির এর জন্য রোজ একটা করে মেয়ে আনা হয় অবশ্য তারা সবাই নিজ ইচ্ছাই আসে নির এর কাছে সেদিন থেকে ১ মাস ঘুড়ে সে নির এর সাথে রুম ডেট করার সুযোগ পায়েছে এই ১ মাস কোন মেয়েকেই সে নির এর আশেপাশে আসতে দেয়নি),

——–

অন্ধকার ব্রীজের উপরে বসে আছে আদ্রিতা উর্ফে আদ্রি। একটার পর একটা ইটের টুকরা ফেলচ্ছে পানিতে আশেপাশে ঝি ঝি পোকার মেলা আকাশেও লক্ষ কোটি তারার সমাহার সাথে মস্ত এক চাঁদ কালো আকাশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য ফুটে উঠেছে।আদ্রি সেদিকে তাকায়ে এক পলক হাসে।

প্রকৃতির সাথে বিরাট এক শত্রুতা তার। বাকি মেয়েদের মতো আদ্রিকে এদের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেনা বরং এই সৌন্দর্য তার কাটা গায়ে নুনের ছিটা দেওয়ার মতো লাগে

প্রতিবার কিছু না কিছু কারে তার কাছ থেকে এই প্রকৃতি তাই তো সহ্য করতে পারেনা আদ্রি এই সৌন্দর্য যে তার জীবন টাকে কুৎসিত বানায়েছে সে কেন ভিন্ন রংগে রাঙাবে।

একটা সময় ঘাসের উপরেই শুয়ে পরে আদ্রি। ঠোঁটের কোনে হাসি লাগে থাকলেও দুই চোখ জুড়ে তার আপন জন দের না পাওয়ার কষ্ট। বুকের মাঝখানে চলা ভয়াবহ কষ্টের শাক্ষী দিতেই চোখ দুইটা বেয়ে নোনা জল বেরিয়ে আসে এক সময় সেখানেই ঘুমাই পরে সে । আদ্রি ঘুমানোর কিছু ক্ষন পরেই সেখানে একটা যুবোক আসে আদ্রিকে পাজা কোলে তুলে নিয়ে। আদ্রি নড়ে চড়ে উঠে আবার ঘুমাই পড়ে যুবোকটির গলা জরায় ধরে। যুবোক টি আদ্রির কপালে কিস করে তাকে গাড়ির ফ্রোন্ট সিটে বসায় দেয় তারপর নিজেও ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করে।।।।।।

প্রায় ১ ঘন্টা পরে গাড়ি টা থামে বিশাল এক রাজপ্রসাদ এর সামনে। যুবোকটা পুনরায় আদ্রিকে কোলে নিয়ে হাটা ধরে। বাড়র ভিতরে ঢুকতেই লাইট জ্বলে উঠে যুবোকটি সামনে তাকায়ে দেখে তার মা অগ্নি রুপ নিয়ে দ্বারায় আছে

নওরিন খানঃএইসব কি আদ্রিয়ান তোকে কতোবার মানা করবো এই অপয়াকে আমাদের বাড়ির ত্রী সিমানায় নিয়ে আসবিনা
(রাগে চিৎকার করে)

আদ্রিয়ানঃমা আস্তে বনু ঘুমাচ্ছে আমি একে রুমে থুয়ে আসচ্ছি তোমার কাছে

নওরিনঃনাহ এই অপয়া কে আমি আর রাখবোনা আমার বাসায় না জানে সারাদিন কোন ছেলের সাথে ঘুরে ঢোলাঢোলি করে আসে আল্লাহ জানে।

আদ্রিয়ানঃজাস্ট স্টোপ মা আর একটা কথাও শুনতে চায়না নাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা (কথা গুলা বলেই আদ্রিকে নিয়ে উপরে উঠে যায়)

নওরিনঃহ্যা হ্যা এই দিন টাই তো বাকি ছিলো দেখার জন্য এই অপয়া অলক্ষির জন্য যে আর কতো কিছু দেখতে হবে আল্লাহ জানে মরে না কেন। মরলে পরে তো এই জ্বালা থেকে নিস্তার পাই

(আরও কিছু ক্ষন চিল্লা পাল্লা করে নওরিন বেগম চলে গেলো নিজের রুমে)

আদ্রির চোখ বন্ধ করা অবস্থায় চোখ এর দুই ধার বেয়ে পানি গরায়ে পরচ্ছে। আদ্রি নওরিন বেগমের আওয়াজ শুনেই উঠে গেছিলো কিন্তু কিছু বলেনি এটা তার জন্য নতুন কিছুনা এই বাড়ির এমন কোন মানুষ নাই যে তার সাথে ভালো করে কথা বলে আদ্রিয়ান ও মাঝেমধ্যে ছাড়া তার সাথে কথা বলে কিন্তু না কথা বলেও তার সম্পূর্ণ খেয়াল রাখে

আদ্রিয়ান আদ্রির চোখে পানি দেখেও কিছু বলেনা গায়ে লেপ তুলে নিয়ে লাইট বন্ধ করে দরজা টা ভিড়ায় দিয়ে চলে যায় আদ্রি লেপে মুখ গুজে কান্না করতে করতে ঘুমাই পড়ে

(আসেন এবার পরিচয় পর্বে আদ্রিতা খান ডাক নাম আদ্রি। নাহিদ খান এর ২ য় বউ এর একমাত্র কন্যা। আর যে ছেলেটা আই মিন আদ্রিয়ান সে হলো নওরিন খান উর্ফে নিহাল এর ১ম স্ত্রীর বড় ছেলে আর এক টা মেয়ে আছে মিথিলা খান। যতদিন নাহিদ এর ২ য় স্ত্রীর মানে আদ্রির আম্মু আসিফা খান বেচে ছিলেন আদ্রি এই প্রসাদের রাজ কুমারী ছিলো কিন্তু আদ্রির ৬ বছর বয়সে এক ভূমিকম্পে আসিফা মারা যায় আর ধীরে ধীরে শুরু হয় আদ্রির উপর অবহেলা)

প্রতিদিন কার মতো আজকেও আদ্রির ঘুম ভাংগলো চিৎকার চেচামেচিতে আদ্রির বুঝতে বাকি নাই যে মিসেস খান নাহিদ খান কে তার বিষয় এ বলচ্ছেন
লম্বা এক নিশ্বাস ছাড়ে বিছানা ছাড়ে উঠে বসে আদ্রি ফ্রেশ হয়ে বাড়াতে হবে নতুন চাকরির জন্য।।।।।

#সীমাহীন_ভালোবাসার_নীড়
#লেখিকাঃনওশিন আদ্রিতা
#পার্টঃ১
,

চলবে????

কেমন হয়েছে জানাবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here