সরোবরে প্রেম
লেখনীতেঃশ্যামকন্যা
পর্ব:১৩
প্রিয়তার নেত্রযুগল মুদিত। শান্ত ভঙ্গিতে ঘুমাচ্ছে। অর্ণব প্রিয়তার নরম হাত নিজের মুঠোয় আটকে ফেলে। কপালে উষ্ণ চুমু খায়। আরেক হাতের ভাঁজ থেকে জায়নামাজ বিছানায় রাখে। অর্ণবের চোখে পানির দাগ বসে আছে। নামাজে সারাক্ষণ সে প্রিয়তার জন্য দোয়া করেছে। তোতা পাখির ন্যায় সূরা আর দোয়া-দরুদ জপেছে। আসমা চৌধুরী একটু আগে শুতে গিয়েছেন। ভোর হব হব করছে। ফজরের মিষ্টি আজান পড়েছে বেশ আগেই। এখনো তার রেশ রয়ে গেছে। সকাল হওয়াটা অনিন্দ্য সুন্দর। তবে অর্ণবের কাছে এখন সব ফিকে। প্রিয়তমা স্ত্রীর একচুল আঘাত তার বুকে তীরের ন্যায় বিঁধে। শুধু তাই নয়, বুকটাকে ফালা ফালা করে দেয়।
এয়ারকন্ডিশন দেয়া ঠান্ডা ঘরের মাঝে বসে আছে অর্ণব আর প্রিয়তা। সাইক্রিয়াটিস্ট ভদ্রলোকের বয়স চল্লিশের কিছু এপার ওপার। তিনি চশমা ঠিক করে শান্ত চোখে প্রিয়তার দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। প্রশ্ন ছুড়ে,
“আপনার স্বামী যখন বাসার বাইরে থাকে আপনি তখন কি করে।”
প্রিয়তার বাঁধ ভেঙে যায়। সে অভিমানের সুরে বলে,
“ওনি না থাকলে আমার জগৎটাই খালি হয়ে যায়। ভীষণ ফাঁকা লাগে চারপাশটা। মনে হয় একটা বদ্ধ ঘরে আমি একা। ভীষণ একা।”
অর্ণবকে খানিকটা অপ্রস্তুত দেখায়। ভদ্রলোক কাগজে খসখস শব্দে কিছু লেখেন। এরপর বলেন,
“এবার আপনার শরীরের কন্ডিশন ব্যাখ্যা করুন।”
“আমি কাল রাতে ঘরে একটা অতিমানবিক ঘটনা দেখেছি। দেখেছি অনেকগুলো কালো পোকা আমায় মারতে আমার সামনে এগিয়ে আসছে। যতোই আমি তাদের তাড়াতে চাই কেউ যায় না। একসময় আমাকে খুবলে খেতে শুরু করে।”
সাইক্রিয়াটিস্ট ভদ্রলোক বলেন,
“এটা তোমার হ্যালুসিনেশন, প্রিয়তা। ব্রেনে অক্সিজেন এর অভাবে এমনটা হয়।”
প্রিয়তা খানিকটা মাথা নিচু করে। ভদ্রলোক আবার বলেন,
“অর্ণব সাহেবের কথা অনুযায়ী তোমার কালকে প্যানিক অ্যাটাক হয়েছিল। তোমার মাঝে ডিপ্রেশন, এনজাইটির ছাপ রয়েছে। রুমে ঢুকতেই খেয়াল করলাম তুমি তোমার স্বামীর হাত ধরে আছ। এবং এখনো তাই। তাই আমি তোমাকে প্রশ্ন করি। তোমার উত্তরে আমার সংশয় দূর হয়।”
অর্ণব বলে,
“প্যানিক অ্যাটাক টা স্থায়ী হবে না তো?”
“সেটা প্রিয়তার মনের জোর এবং ওষুধের উপর খানিকটা নির্ভর করছে।”
সময় অতিক্রম করতেই সাইক্রিয়াটিস্ট প্রিয়তার সাথে আরো খানিকক্ষণ কথা বলে প্যাডে কয়েকটা ঘুমের ওষুধ, টেনশন রিলিফের ওষুধ লিখে। যাওয়ার সময় অর্ণবের সাথে একান্তে কিছু কথা বলে। সেগুলো ছিল, প্রিয়তাকে একা রাখা যাবে না, ঘুমের ওষুধগুলো খাওয়াতে হবে। কারণ এ ধরনের প্যাশেন্টদের আত্মহত্যা প্রবণতা থাকে।
অনি আজ কোঁকড়াচুলো ছেলেটার সাথে রেস্টুরেন্টে এসেছে। কফি অর্ডার করে ওরা বসে থাকে। রেস্তোরাঁটা অবশ্যই কাপলদের জন্য। ভেতরে অন্ধকার আবহাওয়া। কৃত্রিম লাইট যেন জায়গাটাকে ভুতুড়ে বানিয়েছে। কফি আসতে দেরী হচ্ছে। হয়তো ওরাও জানে এখানে কাপলরা কেন আসে! ছেলেটা চেয়ার এগিয়ে অনির পাশে গিয়ে বসে। ওর হাত ছুঁয়ে যায় অনির শরীরের স্পর্শকাতর স্থান। অনির খানিকটা অস্বস্তি হলেও সে বাঁধা দেয় না। উপভোগ করতে থাকে জীবনের প্রথম প্রেমের মুহূর্ত।
অবনী কারো নাম্বারে বারবার ডায়াল করে যাচ্ছে। তবে ফোন সুইচড অফ দেখাচ্ছে। অবনী রাগে ফোন খাটের উপর ছুঁড়ে ফেলে।
সেলিনা বেগম প্রিয়তার অসুস্থতার সংবাদ পেয়ে দৌড়ে এসেছেন। অর্ণব হাসপাতালে গিয়েছে। আসবে রাতে। সেলিনা বেগম আসমা চৌধুরীকে অনুরোধ করলেন প্রিয়তাকে নিজের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য। আসমা চৌধুরী অর্ণবকে কল দিল। অর্ণব অনুমতি দেয়ার পর প্রিয়তা রেডি হতে গেল।
রাতের বারো ঘটিকা। প্রিয়তা ওষুধের এফেক্টে ঘুমিয়ে পড়েছে। আকাশে পূর্ণ চন্দ্র। জোছনা যেন ঢেলে দেয়া হয়েছে ভ্রম্মান্ডে। পরিস্কার দৃশ্যমান বাইরের পরিবেশ। অর্ণব প্রিয়তাকে দু’বার কল করে। প্রিয়তা ঘোরের মাঝে জবাব দেয়,
“ঘুম পাচ্ছে, ঘুমিয়ে পড়ুন।”
ওপাশ থেকে কাতর কন্ঠে উত্তর আসে,
“তোমায় ছাড়া থাকতে পারছি না, প্রিয়ু।”
প্রিয়তা শোনে না। তার নিশ্বাসের শব্দ ভারী হয়। অর্ণব ফোন কানের সাথে লাগিয়ে বসে থাকে। হৃদয়ের গহীন থেকে উত্তর আসে, এই মেয়েকে ছাড়া তার পক্ষে থাকা সম্ভব না, কখনোই না।
সেলিনা বেগম সকালবেলা প্রিয়তাকে সাথে নিয়ে বের হন। প্রিয়তা অনেক প্রশ্ন করেও কাঙ্ক্ষিত জবাব পায়নি। অবশেষে তারা গন্তব্যে পৌঁছে। আগরবাতির গন্ধে মাতোয়ারা চারদিক। সুফি একজন মানুষ বসে আছে ছোটখাটো এক ঘরে। মাথায় টুপি, চোখে সুরমা, হাতে তসবি, পাশে আল্লাহর পাক কুরআন। তিনি প্রিয়তাকে এক কোয়া রসুন খেতে দেন। প্রিয়তা মায়ের মুখপানে চাইলে সেলিনা বেগম ইশারা করে খেতে বলেন। প্রিয়তার মুখে ঝাঁঝালো এবং ঝালের সংমিশ্রণে একটা স্বাদের ঝটকা লাগে। মুহূর্তের মাঝেই প্রিয়তা বমি করে ভেতরের সবটা উগড়ে দেয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ছোট ছোট কাগজের টুকরো। আঁতকে উঠেন সেলিনা বেগম। সুফি মানুষটা জবাব দেন,
“আপনার মেয়ের জানের ভয় আছে, মাগো। দা’য়ের মধ্যে তাবিজ বাইন্ধা এই কবজ করা হইছে। চান্দে চান্দে দা ডুববো আর আপনার মেয়ে কমজোড় হইবো।”
সেলিনা বেগম কেঁদে ফেলেন। তিনি মানুষটার হাত ধরে বলেন,
“আমার মেয়ের বিপদ কাটিয়ে দিন।”
সুফি মানুষটা জবাব দেয়,
“জান দেয়ার মালিক আল্লাহ পাক, বিপদও আল্লাহই কাটাইবো।”
প্রিয়তা থমকে বসে থাকে। তার হাত-পায়ে উঠে বসার শক্তি নেই। আদৌও এসব সত্যি হয়?
চলবে?
সরেবরে প্রেম
লেখনীতেঃশ্যামকন্যা
পর্ব:১৪
সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়ষ্কদের জন্য প্রযোজ্য
প্রিয়তা এখন বেশ সুস্থ। ওর সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত সত্যগুলো অর্ণব জানে না। প্রিয়তা ইচ্ছে করেই জানায়নি। শুধু শুধু মানুষটাকে কষ্ট দিতে তার একটুও ইচ্ছে করে না। প্রিয়তা গায়ের উড়না খুলে গোসলে যাওয়ার জন্য উদ্যোত হয়। সে সময় অর্ণবের আগমন ঘটে। অর্ণব এলোমেলো দৃষ্টিতে প্রিয়তার দিকে তাকায়। ঘোর লাগানো কন্ঠে বলে,
“এমন এলোমেলো হয়ে আমার সামনে আসবে না। সামলাতে কষ্ট হয়।”
প্রিয়তা ভ্রু কুঞ্চিত করে তাকায়। বলে,
“তাহলে এবার থেকে বোরখা পড়ে আপনার সামনে আসবো।”
অর্ণব হেসে ফেলে। বলে,
“উফ, এই মেয়ে এতো বোকা। এই! তোমায় এভাবে দেখলে আমার পাগল পাগল লাগে। আরও কিছু বলবো?”
প্রিয়তার গাল ঈষৎ রক্তিমবর্ণ ধারণ করে। সে গায়ে উড়না টেনে নেয়। হাত দুটো কচলাতে থাকে।
অর্ণব জিজ্ঞেস করে,
“এই সন্ধ্যায় গোসল কেন? ঠান্ডা লাগলে কিন্তু সেবা করতে পারব না। ”
প্রিয়তা জবাব টানে,
“কতোদিন আমায় আগের মতো ভালোবাসেন না। আমি কি পুরোনো হয়ে গেছি?”
অর্ণবের বুকে তীরের ন্যায় কথাটা বিঁধে। অর্ণব হুট করে প্রিয়তার খুব কাছে চলে আসে। গালদুটো হাতে নিয়ে বলে,
“আমায় ভুল বুঝো না, প্রিয়ু্। তুমি অসুস্থ ছিলে তাই জোর করতে চাইনি। আমি অমানুষ না।”
প্রিয়তা চোখ নামিয়ে ফেলে। অর্ণব আবার বলে,
“নিজে থেকে কাছে ডাকলে তো। এইবার আর নিজেকে সামলাতে পারব না। ”
অর্ণব প্রিয়তার উড়না খুলে ফেলে। চুলের খোপা আলগা করে। চোখের দিকে দৃষ্টি স্থির করে বলে,
“আমার বউ এতো সুন্দর কেন? ইচ্ছে তো করে…..”
প্রিয়তা অর্ণবের কথায় নুয়ে পড়ে। অক্ষিযুগল বন্ধ করে নিজেকে সমর্পণ করে স্বামীর কাছে। মিলেমিশে একাকার হয় দুজনের নিশ্বাস।
সকালটা আজ বেশ স্নিগ্ধ। প্রিয়তা রুমের সাথে লাগোয়া বারান্দায় হাসনাহেনা গাছ লাগিয়েছে। পাগলকরা ঘ্রাণ বেয়ে ঢুকছে রুমের ভেতর। প্রিয়তা তোয়ালে দিয়ে চুল ঝারছে। ফর্সা পিঠ দৃশ্যমান। অর্ণবও গোসল করে বের হয়েছে। সে এগিয়ে এসে প্রিয়তার কাঁধ চেপে ধরলো। পুরুষালি ছোঁয়ায় প্রিয়তার বুকে উথাল-পাতাল ঢেউ উঠলো। অর্ণব আলতো কামড় বসালো প্রিয়তার উন্মুক্ত পিঠে। প্রিয়তা ‘ও’ বোধক শব্দ করে বলল,
“রাক্ষসের মতো কামড় দিচ্ছেন কেন? ভার্সিটি যাব তো।”
অর্ণব নির্বিকার। হুট করে প্রিয়তার মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো। সে আলমারি থেকে হোয়াইট কালার শার্ট বের করলো। অর্ণবের লোমযুক্ত খালি বুকটা দেখে শুকনো ঢোক গিললো। এরপর নিমিষেই বোতাম লাগিয়ে শার্টটা অর্ণবের গায়ে দিল। অর্ণবের চুল দুহাতে আঁকড়ে গালে মৃদু কামড় বসালো।
অর্ণবের চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম। মেয়েটা করেছে কি!
রুম থেকে বের হওয়ার সময় অর্ণব মুখে মাস্ক পড়ে নিল। আজ সারাদিন মাস্ক খোলা যাবে না। কিছুতেই না।
খাবার টেবিলে ঘটলো বিপত্তি। মাস্ক পড়ে তো খাওয়া যাবে না। অগত্যা অর্ণব মাস্ক খুলে পরোটা চিবুতে লাগল। আসমা চৌধুরী অর্ণবের গালের দাগ খেয়াল করলেন। জিজ্ঞেস করলেন,
“গালে কি হয়েছে রে?”
অর্ণব উত্তর দিল,
“বিলাই কামড় দিয়েছে, আম্মা।”
আসমা চৌধুরী আকাশ থেকে পড়লেন। বললেন,
“দেখিস, বিলাইর বাচ্চা না আবার তোর পেটে হয়ে যায়। ”
অর্ণব কাশতে লাগলো। আমিন সাহেব মৃদু হেসে চলে গেলেন। প্রিয়তা মাথা তুলতে পারলো না। এতোটা লজ্জায় পড়তে হবে জানলে সে কখনোই এই কাজ করতো না। ছিহ!
অর্ণব ডিউটি রুমে বসে রোগীর ওষুধ এর নাম লিখছিল। মেসেজের টিউনে তার মনোযোগের সুতা কাটে। হোয়াইটস অ্যাপে আননোন নাম্বার থেকে মেসেজ এসেছে,
“এই ছেলে এই! এতো জ্বালাচ্ছেন কেন? কেউ একজন সারাক্ষণ আপনাতে মশগুল থাকে। বুকের সুপ্ত মনিকোঠায় আপনার স্থান। আপনি কি বোঝেন না কিছুই? এতো পাষাণ কেন আপনি? ”
অর্ণব মোবাইল ফেলে রাখে। এসব দেখার সময় নেই ওর।
প্রিয়তা ভার্সিটি এসেছে। নৌশিন, সারা, জাবির ওকে জেঁকে ধরেছে। সারা বললো,
“বিয়ের পর তো ভীষণ ব্লাশ করছিস, প্রিয়তা। ভাইয়ার স্পেশাল পাওয়ার।”
বলেই হো হো করে হাসতে থাকে। প্রিয়তা লজ্জায় খানিকটা কুঁকড়ে যায়। তার বন্ধুগুলো ভীষণ ফাজিল। জাবির বলে,
“আমি ট্রিট ছাড়া কথাই বলবো না। ”
প্রিয়তা বলে,
“চল, আজ তোদের খাওয়াবো।”
ভার্সিটির ক্লাস শেষে চারজন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যায় ফুচকা খেতে। ছেলে হওয়া সত্বেও জাবির তিন প্লেট ফুচকা শেষ করে ফেলেছে। বেশ খানিকক্ষণ হাসি-ঠাট্টা করে বাসায় ফিরে প্রিয়তা।
অর্ণবের মোবাইল খাটের উপর রাখা। প্রিয়তা লক স্ক্রিন খুলতেই হোয়াটস অ্যাপের ম্যাসেজটা দৃশ্যমান হয়। প্রিয়তার মনে হয় ওর বুকে কেউ ছুরি চালিয়েছে। কন্ঠনালী ধরে আসে। চোখ বেয়ে দু ফোঁটা পানি গড়ায়।
অর্ণব ফ্রেশ হয়ে বেরিয়ে দেখে প্রিয়তার মুখ লাল। চোখের দৃষ্টি ঘোলাটে। সে জিজ্ঞেস করে,
“কি হয়েছে? ”
প্রিয়তা চোখ দিয়ে যেন অর্ণবকে ভস্ম করবে। কঠিন গলায় বলে,
“মেয়েদের নাম্বার দিয়ে বেড়ান আপনি!”
মোবাইলটা এগিয়ে দেয় অর্ণবের নিকট। অর্ণব মেসেজটা ডিলিট করে। প্রিয়তার পাশে বসে বলে,
“আমি কাউকে নাম্বার দেইনি, প্রিয়ু। পরিচিত কেউ হয়তো মজা করছে।”
প্রিয়তা কিছু বুঝতে চায় না। বলে,
“কথা বলবেন না আমার সাথে। যে প্রেম নিবেদন করছে তার কাছে যান।”
অর্ণব দুষ্টু হাসি দিয়ে বললো,
“যান নাকি জান? কোনটা বললে?”
প্রিয়তার মুখভঙ্গি বদলালো না। সে মুখ ফুলিয়ে বসে রইলো। অর্ণব কথা না বাড়িয়ে শুতে গেল। প্রিয়তা ঠায় বসে রইলো। অর্ণব লাইট অফ করে দিল। প্রিয়তা অপর পাশে শুয়ে খানিকক্ষণ ব্যাকুল হয়ে কাঁদলো। তার খুব ইচ্ছে হলো নিজের হাত কেটে ফেলার, কিংবা এক পাতা ঘুমের ওষুধ খাওয়ার। সে কান্নারত অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়লো।
চলবে?