—“ছেলেটাকে আমার চাই।আমার ছবির সাথে এই ছেলের ছবি এডিট করে দিবি।ওর হবু বউকে ছবিগুলো পাঠিয়ে বিয়ে ভা/ঙ/বো।”
মেসেজ অপশন অন করে তুহা বাকরূদ্ধ হয়ে গেলো।কেননা,ওরই হবু বরের ছবি দিয়ে ওকে এডিট করে দিতে বলছে ওর কাজিন।
মেসেজের রিপ্লাই না পেয়ে তৃষা আবারও কি-বোর্ড হাত চালিয়ে টাইপ করলো,’খুব দ্রুত কাজটা করে দিবি।আমার হাতে সময় নেই,মাত্র একসপ্তাহ পরই বিয়ে।আর হ্যাঁ!তোর হবু বরের ছবিটাও মেইল করে দিস।দেখি সবাই কেমন ছেলে পছন্দ করেছে তোর জন্য।
–“তোমার সাথে মিট করিয়ে দেবো,তাড়াতাড়ি কুমিল্লায় চলে এসো”টাইপ করেই তুহা ফোন রেখে উঠে দাঁড়ায়।”
ভার্সিটি থেকে ফিরেই ক্লান্ত থাকায় শুয়ে পড়েছিলো।তাই দুপুরে আর খাওয়া হয়নি তুহার।ঘুম ভাঙতেই সময় দেখতে ফোনের স্ক্রিনে আনলক করতেই তৃষা আপুর মেসেজ ভেসে ওঠে।তুহা মোটামুটি ভালোই এডিট করতে পারে।তাই তৃষা এডিট করার জন্য নিজের চাচাতো বোনকেই বেছে নিয়েছে।অন্যকাউকে দিয়ে এডিট করলে সত্যিটা বের হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি রয়েছে।তুহা কখনোই একজনের গোপন কথা অন্যজনকে বলবেনা।মেসেজ চেইক করেই তুহা নিশ্চল চাহনিতে চেয়ে রইলো।
তুহা বিছানা ছেড়ে গোসল সেরে নিলো।আধ ভেজা চুল নিয়েই খাবার বেড়ে রুমে ফিরলো।খাবার শেষ করে রান্নাঘরে প্লেট ধুয়ে রেখে আসলো।
হঠাৎ তুহার মনে হলো তৃষার সাথে কথা বলা উচিত।মেয়েটা একেবারে একগুঁয়ে,জেদি টাইপের।যা একবার পছন্দ হয় সেটা নিয়ে কারো সাথে আপোষ করবেনা।তার লাগবেই।এই স্বভাবের জন্য তৃষা বাবা মায়ের কাছে অনেক বকা খায়।তবুও একটি মাত্র মেয়ে বলে ভালোবাসতেও কমতি রাখেননা।
তৃষা পড়ালেখা শেষ করে এখন চাকুরিরত অবস্থায় আছে।বাবা,মা,ভাই,ভাবি নিয়ে ঢাকাতেই থাকে।অফিসেরই এক কলিগকে তার মনে ধরেছে।কিন্তু ছেলেটার কাছ থেকে কখনো কোনরূপ সাড়া পায়নি।আর না সে সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছে।আসলে কারো এটেনশন না পেলে তাকে কিভাবে প্রপোজ করবে সেটাই ভেবে পায়না তৃষা।বছরখানেক ধরেই ছেলেটাকে পছন্দ করে।
তার আগেই তার চাচাতো বোন তুহাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে এটাতে তার কোনো মাথাব্যথা নেই।বরং বাবা মা যখন তাকে বিয়ের কথা বলেছিলো তখন সে উত্তর দিয়েছিলো,’যেদিন আমার মন বলবে আমার বিয়ে করা উচিত বা আমি কাঙ্খিত মানুষটিকে পেয়ে গিয়েছি সেদিন নিজেই তোমাদেরকে বলবো আমাকে বিয়ে দিতে।’
মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে চরম বিরক্ত হলেন আয়না ও আফসান সাহেব।কিন্তু মেয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় জেদি হওয়ায় আর কিছুই বলতে পারলেননা।
তুহার বিয়ের আর মাত্র একসপ্তাহ বাকি।পারিবারিকভাবেই বিয়েটা হচ্ছে।ছেলে মেয়ে দুজনের মতের ভিত্তিতেই ব্যাপারটা বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে।
তুহা তৃষার নাম্বারে ডায়াল করলো।দুবার রিং হওয়ার পর তৃতীয়বার কেটে দিয়েছিলো তৃষা।
মিনিট দশেক পর তৃষা নিজেই ফোন করলো।
তুহা অযথা কথা না বলে সোজাসাপটা প্রশ্ন করলো,’তুমিকি ছেলেটাকে ভালোবাসো?’যার ছবি এডিট করতে বলেছো?
তৃষা শব্দ করে হেসে উঠলো।যেনো তুহা কোনো মজার প্রশ্ন করেছে।পরোক্ষণে মুখের চওড়া হাসি মিলিয়ে তৃষা জবাব দিলো,’আমার সম্পর্কে তুই ভালো করেই জানিস।কাউকে পছন্দ না হলে আমি তাকে পাত্তা দিই না।আর ছেলেটাকে নিজের করে চাইছি তারমানে নিশ্চয়ই সে পছন্দের উর্ধ্বে।’
তুহা মুখ গোল করে নিঃশ্বাস ছেড়ে বলল,’আর ছেলেটা?সে ও কি তোমাকে ভালোবাসে?’
তৃষা ধমকে উঠলো তুহাকে।রাগচটা ভাবে বলল,’ছেলেটা কি?ভাইয়া বলে ডাকবি।দুদিন পর দুলাভাই হবে তোর।না জানি তোর সাথে সাথে আমাকেও বিয়েটা সেরে ফেলতে হয়।
তুহা স্বগোতক্তি কন্ঠে বলল,’আমার প্রশ্নের উত্তর পেলামনা।সেও কি তোমাকে ভালোবাসে?’
তৃষার সহজ স্বীকারোক্তি “না”।
তুহা ফোঁস করে আবারও শ্বাস ফেলে বলল,’তবে তাকে নিজের করতে চাইছো কেনো?’
তৃষা খানিকটা বিরক্ত হয়েই বলল,’ছোট!ছোটদের মতো থাক।বড়দের মতো এত প্রশ্ন করিসনা।তোকে যে কাজটা দিয়েছি সেটা রাতের মধ্যেই কমপ্লিট করবি।
তুহা কোনো উত্তর দিলোনা।চুপ করে রইলো কিয়দংশ সময়।
তৃষা ফোন কেটে দিতে গিয়েও কিছু একটা মনে করে কোমল কন্ঠে বলে উঠলো,’মন খারাপ করেনা পাখিটা।আসলে আমি ইভানকে অনেকটাই মনে জায়গা দিয়ে ফেলেছি।তুই ঠিকঠাক কাজটা করে দিস।আর হ্যাঁ!কাজটা পারফেক্ট হওয়া চাই।যাতে চট করে সহসা কেউ বুঝতে না পারে এটাতে এডিটের ছিঁটেফোঁটা ও থাকতে পারে।
তৃষা লাইন কেটে দিতেই তুহা ভাবনায় মত্ত হয়ে গেলো,তার এখন কি করা উচিত ভেবে পায়না।তৃষা একগুঁয়ে স্বভাবের।তার কাছে সবার আগে তার রাগ আর জেদ।সেটা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।তৃষার কথাটাতো শুনলো এবার ইভানের কথাও শোনা উচিত।কারণ সম্পর্কটা তাদের তিনজনকে নিয়েই আর এখানে বড়রা ও জড়িত আছে।ফোন থেকে ইভানের নাম্বারটা লিস্ট থেকে খুঁজে নিয়ে আড়ষ্টভাবেই নাম্বারটাতে চাপ দিলো।এতটা জড়তার কারণ বিয়ের কথা হওয়ার পর থেকে দুজনে সামনাসামনি কথা বললেও ফোনে কথা বলা হয়নি।নাম্বারটা যোগাযোগের জন্য আদান-প্রদান করে হলেও যোগাযোগটা ঠিক হয়ে ওঠেনি।
রিং হওয়ার কয়েক সেকেন্ড অতিবাহিত হওয়ার পরই শান্ত,স্নিগ্ধ,ভরাট,পুরুষালি কন্ঠস্বর ভেসে আসলো।
“হ্যালো!”
তুহা রিনরিনে চিকন কন্ঠস্বরে জবাব দিলো,’ইভান?’
ওপাশ থেকে হ্যাঁ সূচক মত পেয়ে তুহা বলল,’আমি তুহা।আপনার সাথে জরুরি কিছু কথা ছিলো।’
ইভান বেশ নম্রভাবেই উত্তর দিলো,’চিনতে পেরেছি।জরুরি কথাটা বলতে পারো।’
তুহা ইতস্তত ভাবে বলল,’আসলে কথাটা এতটাই জরুরি যে,সামনাসামনি কথা বলতে হবে।
ইভানের চিন্তিত কন্ঠস্বর শোনা গেলো।’কিন্তু আমিতো ঢাকায় আছি।অফিস থেকে বিয়ের একসপ্তাহ আগ থেকে ছুটি দেওয়া হবেনা।এখন ছুটি নিলে পরে ছুটি পাবোনা।
তুহা শুষ্ক ঠোঁট জোড়া হালকা ভিজিয়ে নিলো।নিভে যাওয়া কন্ঠে বলল,’আজ বৃঃহস্পতিবার।কাল আপনার অফিস বন্ধ থাকবে।ঢাকা থেকে কুমিল্লা এটুকু পথ আসতে পারবেননা?আসলে কথাগুলো অনেক জরুরি।
ইভান ফোঁস করে শ্বাস ফেলে বলল,’আচ্ছা ঠিক আছে।’আর কোনো কথা আছে তোমার?
তুহা বলল,’নাহ।’
ইভান লাইন কেটে দিলো।
তুহা বারান্দা থেকে উঠে বসার ঘরে চলে গেলো।আজই বড় চাচা-চাচি ঢাকা থেকে আসার কথা।সাথে তুরাগ ভাইয়া আর প্রমি ভাবিও আসবেন।তৃষা আপু বিয়ের দুদিন আগে আসবেন,যখন অফিস থেকে ছুটি পাবে তখন।এতক্ষণে আধ ভেজা চুল প্রায় শুকিয়ে এসেছে।তুহা চুলে হাত খোঁপা করে রান্নাঘরে ছুটলো।এই মুহুর্তে এক কাপ চা জরুরি।বাসার সবার জন্যই চা বসিয়ে দিয়েছে।
সবার হাতে হাতে চা দিয়ে নিজের কাপ হাতে নিয়ে সবার সাথে সন্ধ্যার আড্ডায় বসলো তুহা।তুহার ছোটবোন কোচিং থেকে ফিরে ঘরে ঢুকেছে।মাত্রই বেরিয়ে আসলো।দাদু,ছোট চাচা,বাবা,মা,তুহা,তার বোন তৃণা সবাই আড্ডায় বসেছে।তুহার ছোট চাচা এখনো বিয়ে করেননি।কুমিল্লার একটা কলেজে লেকচারার হিসেবে যোগ দিয়েছেন কয়েক বছর হলো।তবে বিয়ের কথা উঠলেই উনার হাস্যজ্জ্বল চেহারায় কেমন অমাবস্যার আঁধার নেমে আসে।
রাদিফ বলল,’হ্যাঁ রে তুহা তুইতো বিয়ে করে এবাড়ি ছেড়ে চলে যাবি।এখন সব মায়া আমাদের উপর থেকে উঠে শশুর বাড়ীর লোকেদের জন্য হবে।
তুহা চায়ে টুকরো চুমুক দিয়ে হেসে উঠলো ছোট চাচার কথায়।পরক্ষণেই মুখের হাসি মিলিয়ে গেলো।এখনো বিয়েটা অনিশ্চিত।আগে ইভানের সাথে কথা বলবে পরে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তুহা নেবে।পরিবারকেও তো তার সিদ্ধান্তের কথা জানাতে হবে।
তৃণা অলস ভঙ্গিতে বলল,’আপদ বিদায় হলে সবার সব ভালোবাসা আমি একাই পাবো।
তুহা সরু চোখে তাকিয়ে দেখলো সবাই মিটিমিটি হাসছে।তৃণা বোনকে আরেকটু জ্বালানোর জন্য বলল,’আমারতো ইচ্ছে করছে আজই বিদায় করে দিতে।’
তুহা মেকি রাগ দেখিয়ে তৃণাকে একটা গাট্টি মে/রে নিজের ঘরে চলে আসলো।বড় চাচারা আসতে আসতে রাত আটটা বাজবে বলে জানিয়েছেন।
রাতেই তুহার বড়চাচার পরিবার চলে এসেছে।খাবার টেবিলে বেশ আড্ডা দিলো সবাই।সবার আড্ডা টপিক হলো তুহা আর ইভানের বিয়ে।তুহা যথারীতি খাওয়া শেষ করে ঘরে ফিরলো।
নিজের প্রয়োজনীয় পড়ায় চোখ বুলিয়ে শুয়ে পড়লো।
————————————————
সকালের মিষ্টি রোদ্দুর এসে গাল ছুঁয়ে দিতেই তুহা উঠে পড়ে।জানালার পর্দা সে নিজেই ইচ্ছেকৃত সরিয়ে রেখেছিলো রাতে।যাতে করে সকালের গাছের ফাঁক গলিয়ে আসা টুকরো রোদ্দুর আর স্নিগ্ধ সকালের মিষ্টতা গ্রহন করতে পারে।আড়মোড়া ভেঙে ফ্রেশ হয়ে আসলো তুহা।ফোনে একটা মেসেজ চোখে পড়লো।
ইভানের নাম্বার থেকে এসেছে,’আমি রাতেই কুমিল্লায় ফিরেছি।সকাল দশটায় দেখা করবো।আমাকে আবার বিকেলের বাসেই ঢাকায় ফিরতে হবে।’
তুহা কোথায় দেখা করতে হবে সে জায়গার নাম টেক্সট করে দিয়ে নাস্তা করতে চলে গেলো।নাস্তা শেষে প্রমির সাথে আড্ডা দিলো কিছুক্ষণ।
গায়ে সাদা চুড়িদার জড়িয়ে রেডি হয়ে ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করার কথা বলে বাসা থেকে বের হলো।রাস্তা থেকে একটা রিকশা ডেকে নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে পাড়ি জমালো।
তুহা রেস্তোরাঁর একটা ফাঁকা টেবিলে বসে ইভানের অপেক্ষায় বসে আছে।দশটা বাজতে আর মিনিট দু’য়েক বাকি।
অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে তুহার সামনাসামনি চেয়ারে এসে বসে পড়লো একটা বলিষ্ঠদেহের সুদর্শন পুরুষ।সূর্যের তেজে শরীরের ধূসর রঙা শার্ট ভিজে শরীরের সাথে আটকে আছে।ঘর্মাক্ত মুখ টিস্যু দিয়ে মুছে নিয়ে সামনে তুহার দিকে তাকালো।
উজ্জ্বল শ্যামবর্ণ হালকা লম্বাটে মুখোশ্রীতে চাপ দাড়ির আভাস।মনে হচ্ছে শেভ করেছে দুদিন আগেই।গায়ের ছাই রঙা শার্ট যেনো তার চেহারা আরো উজ্জ্বল করে তুলেছে।এই মুহুর্তে ইভানকে এক চমৎকার পুরুষ মনে হচ্ছে তুহার কাছে।
ইভানের গলা খাঁকি দিয়ে ওঠার শব্দে তুহা নিজেকে সামলে নিলো।ইভান বলল,’কি খাবে?’
তুহা ভনিতা না করেই বলল,’কোল্ড কফি হলেই চলবে।’
ইভান অর্ডার দিয়ে দুহাতে টেবিলে রেখে বলল,’এবার তোমার জরুরি কথা বলতে পারো।’
তুহা আমতা আমতা করে বলল,’আসলে তৃষা আপু মানে আমার বড় চাচ্চুর মেয়ে আপনাকে পছন্দ করে।’
ইভানের কপালে ঈষৎ ভাঁজ দেখা গেলো।পর মুহুর্তেই বলল,’একটা সম্পর্ক পারিবারিক ভাবে এগোতে গেলে সবারই পছন্দ থাকা লাগে।’
তুহা তড়িৎগতিতে জবাব দিলো,’নাহ!আপু আপনাকে একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করে।আপনি বুঝতে পারছেনতো আমি কি বোঝাতে চাইছি?’
আপনি আপুকে চেনেন।আপনারই কলিগ।উনি আপনাকে পছন্দ করেন।আপনি যদি উনাকে পছন্দ করে থাকেন তবে আমি বাসায় জানিয়ে দেবো আপনাকে আমার পছন্দ হয়নি।’
কলিগের কথা বলায় ইভানের মনে পড়ে গেলো তৃষা নামের মেয়েটির কথা।মেয়েটার চালচলনে ইভান এটা বুঝতো যে মেয়েটা তাকে পছন্দ করে।তবে ইভান এতোদিকে নজর দেয়নি।তবে এখন ব্যাপারটা এরকম পর্যায়ে চলে যাবে সেটাও ভাবতে পারেনি।চোখেমুখে বিরক্তি ফুটিয়ে ইভান বলল,’যদি তোমার বোনকে পছন্দ হতো তবে আমি তোমাকে বিয়ে করার জন্য মত দিতাম না।
ততক্ষণে কফি চলে এসেছে।ইভান বলল,’কফি শেষ করো।আর বিষয়টা আরো ভালো করে ভেবে দেখো।তোমার যদি একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে আমাকে অপছন্দ হয়ে থাকে তবে বলতে পারো।কিন্তু বোনের দোহাই দেবেনা।আমি তোমার বোনকে পছন্দ করিনি।
তখনকার মতো কথা শেষ করে তুহা বাসায় ফিরলো।সকালে তৃষাকে এডিট করা ছবি পাঠানোর কথা ছিলো।এখন সেটার বদলে ইভানেরই একটা ছবি পাঠিয়ে টাইপ করলো,’উনিই আমার হবু বর।’
কিছুক্ষণের মধ্যেই তুহার নাম্বারে কল আসলো।তৃষা ফোন করে তুহাকে ঝেঁকে ধরলো।
তোর মাথায় সমস্যা আছে?কিসব আবল-তাবল মেসেজ করছিস?
তুহা বেশ স্বাভাবিকভাবেই জবাব দিলো।আমি মজা করছিনা।বিশ্বাস না হলে তুমি আম্মুর কাছ থেকে ছবি নিয়ে দেখতে পারো।তাছাড়া আমি তোমার ব্যাপারটা সম্পর্কে খোলসা হতেই উনার সাথে সকালে দেখা করেও এসেছি।উনি বলেছেন,’তোমাকে পছন্দ করেননা।
তৃষার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো যেনো।সে হুস হারিয়ে বলল,’তুই কি বলছিস এসব?’যদিও তোর সাথে ইভানের বিয়ে ঠিক হয়ে থাকে তাতে কি?তুই বিয়েটা ভেঙে দে।
তোর লজ্জা হওয়া উচিত।বড়বোনের ভালোবাসায় হাত বাড়াচ্ছিস ছিঃ!
তুহা রিনরিন কন্ঠে জবাব দিলো,’কিন্তু আপু উনিতো তোমাকে পছন্দই করেননা।’
তৃষা রেগে অগ্নিশর্মা হয়ে বলল,’তুই যদি ইভানকে বিয়ে করিস তবে আমি আ/ত্ম/হ/ত্যা করবো।’
তৃষার কথায় আৎকে উঠে তুহা।শরীরে মৃদু কম্পন শুরু হলো তার।
#চলবে………
#সম্পর্কের_বন্ধন
#লেখিকাঃজিন্নাত_চৌধুরী_হাবিবা
#সূচনা_পর্ব